ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলছে, এক সহযোগীর ‘ড্রেসকোড’ নিয়ে প্রশ্ন করতেই চটে যান তিনি, ভাঙেন বেশ কিছু আসবাব।
ঘটনার সময়েই গুলশান-১ এলাকার অল কমিউনিটি ক্লাব থেকে ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করে বাহিনীটি।
ওই দিন রাতে পরীমনি ও তার সঙ্গীরা কী কী করেছেন তা বুধবার রাতে গণমাধ্যমকে তুলে ধরেন অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর ইকবাল।
তিনি জানান, পরীমনির গত ৭ জুন রাত সোয়া ১টার দিকে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে অতিথি হিসেবে আসেন। নিয়ম না মানা এবং ক্লাবের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় পরীমনি ও তার সঙ্গে থাকা দুজনকে চলে যেতে বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা না শুনে ক্লাব বারে প্রায় ১৫টি গ্লাস, ৯টি অ্যাস্ট্রে ও বেশ কিছু হাফপ্লেট ভেঙেছেন।
আগের ঘটনাকে এখন সামনে আনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরীমনি।
রাত সোয়া ১০টার দিকে কয়েকটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি (অল কমিউনিটি ক্লাবে) গিয়েছিলাম। সেটা তো সিসিটিভির ফুটেজে আপনারা দেখেছেন। কিন্তু অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা যদি ঘটিয়ে থাকি, তাহলে সেটা এতদিন পর কেন আসলো। তারা তো আমার মতো ভিকটিম হয়নি, তাদের তো কোনো বাধা ছিল না। সঙ্গে সঙ্গেই তারা অভিযোগ করতে পারতেন। এটা তো খুবই স্পষ্ট।’
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের ক্লাবে কিছুদিন আগে ছোট একটি অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আপনারা জানেন, সোশ্যাল ক্লাবের টাইম লিমিটেশন আছে। আমাদের ক্লাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাত্র দুই থেকে তিনজন ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন, তারাও চলে যাচ্ছিলেন। সে সময় আমাদের ক্লাবের একজন অতিথি ইমার্জেন্সির কথা বলে এই আসতেছি বলে বাইরে গিয়েছিলেন।
‘যাওয়ার পর উনি আর আসতে পারছিলেন না, বিকজ অফ ক্লাবের টাইমিং। সিকিউরিটি গার্ডকে ফোন করে অনুমতি চাচ্ছিলেন যে উনি আবার আসতে চায়। অনুমতি চাওয়াতে আমাদের ক্লাবের অ্যাডমিন সাহেবকে তিনি বলেছেন যে, তার মোবাইল ফোন ও কাগজ রেখে গিয়েছিলেন। তখন অ্যাডমিন তাকে আসতে দেয়ার অনুমতি দেন।’
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জানান, ক্লাবের ওই মেম্বারই পরীমনিসহ তিনজনকে নিয়ে একটু পর ক্লাবে ঢুকতে চান।
আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘তখন দুইজন ফিমেল ও একজন মেল এসে উপস্থিত হয়। ক্লাবের কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেটি হলো কোনো মেল যদি ক্লাবে আসে, তবে তাকে ড্রেসকোড মেইন্টেইন করতে হবে। কিন্তু সেই মেল ভদ্রলোক হাফ প্যান্ট ও স্যান্ডেল পরে এসেছেন। তখন আমাদের অ্যাডমিন ও ফুড অ্যান্ড ব্রেভারেজের পরিচালক বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা এটা দেখে বলেছেন যে, আপনি তো ক্লাব রুলস ভায়োলেট করেছেন। আপনি তো হাফ প্যান্ট পরে এখানে আসতে পারেন না। তারপর উনারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। ক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া উনাদের আচার আচরণ গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তারা (কর্তৃপক্ষ) বলেছেন, রাত অনেক হয়েছে আপনারা চলে যান।’
এরপরই পরীমনি ও তার সঙ্গীরা ভাঙচুর শুরু করে বলে জানান ক্লাব প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘কিন্তু তারা চলে যাচ্ছিলেন না দেখে আমাদের পরিচালক তাদের চলে যেতে বলেন। তারপর আমাদের যে সদস্য, মানে যে সদস্যের মাধ্যমে তারা এখানে এসেছিলেন, সেই সদস্যও তাদের চলে যেতে অনেক অনুরোধ করেন। কিন্তু উনারা যাচ্ছিলেন না দেখে ঐ সদস্যই চলে গেল। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন; গ্লাস, অ্যাশট্রে ছুড়ে মারতে থাকেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রায় ১৫টি গ্লাস উনারা ভেঙেছেন, প্রায় ৯টি অ্যাশট্রে ছুড়ে মেরে ভেঙেছেন এবং বেশ কিছু হাফপ্লেট ছুড়ে ছুড়ে মেরে ভেঙেছেন। উনারা এই প্রথম এসেছেন। এর আগে উনাদেরকে চিনতামও না, জানতামও না। পরে আমরা শুনেছি যে উনাদের একজনের নাম পরীমনি। কিন্তু আমরা তা জানতাম না।’
আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘তাদের ক্লাব বন্ধ হলে কোনো সার্ভিস দেয়া হয় না। কিন্তু বিকজ অফ দুজন ফিমেল এসেছে। উনারা বারবার রিকুয়েস্ট করেছে। তখন যারা ছিল তারা উনাদের একটু খানি সার্ভ করেছেন। কিন্তু উনি এসব এনজয় না করে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ ডেকেছেন। উনারা সেখানে হাফ এন আওয়ার সময় কাটিয়েছেন।’
ভাঙচুর করে পুলিশও ডাকেন তারা
অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘এক পর্যায়ে উনারা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশ কল করেন। তখন পুলিশ আসে, পুলিশ এসে দেখতে পান যে, উনি এগুলা ছুড়ে মারছেন। তখন পুলিশ উনাদের জিজ্ঞেস করেন আপনারা এখানে কেন আসছেন, কেন আমাদের কল করছেন? তখন তারা বলে যে, আমাদের সাথে এই হয়েছে ওই হয়েছে। উনারা (পুলিশ সদস্যরা) বলেন যে, এরকম তো কিছু দেখছি না। তখন কেউ ছিলও না। দুইজন ওয়েটার ছিল আর এই তিন চারজন মানুষ ছিল।
‘তারপরে পুলিশ ভাইয়েরা ওয়াকিটকির মাধ্যমে উপরে জানতে চায় যে তারা এখন কী করবে। ওয়াকিটকির আওয়াজ বাইরে যাচ্ছিল। তখন উপরের থেকে নির্দেশ আসে যে, উনারা যদি এমন করে তাহলে উনাদেরকে বের করে দিয়ে আপনারা চলে যান। তখন ঐ আওয়াজ শুনে উনারা কিছুটা ঠান্ডা হোন, আর পুলিশ ভাইদের কথা মত সেখান থেকে চলে যান। তারপর পুলিশ ভাইয়েরাও চলে যান।’
আলমগীর ইকবাল জানান, সাধারণত ক্লাবে অবান্তর কিছু হলে প্রেসিডেন্ট কিংবা সেক্রেটারিকে ইনফর্ম করার কথা। কিন্তু পরীমনি যেহেতু এখানকার অতিথি তিনি সেটা জানেন না। আর এখন অনেক সুযোগ সুবিধা, যে কেউ ৯৯৯ এ কল করতে পারেন। সো উনার মনে হয়েছে ৯৯৯ কল করবেন।
ক্লাব সদস্যকে শোকজ
যে সদস্যের মাধ্যমে পরীমনি ও তার সঙ্গীরা ক্লাবে এসেছিলেন তাকে শোকজ করেছে অল কমিউনিটি ক্লাব।
আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘আমরা ক্লাব কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী যে সদস্যের মাধ্যমে তিনি (পরীমনি) এসেছিলেন তাকে আমরা শোকজ করেছি। তার বিরুদ্ধে ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেটি এখন চলমান রয়েছে। এটিই হলো আমাদের ক্লাবের সংশ্লিষ্টতা। অন্য কোনো ব্যাপারে আমাদের কিছু ঘটেনি।’
তিনি বলেন, ‘ক্লাবগুলোর নিয়ম হলো যিনি অতিথি, তিনি ক্লাবেরও অতিথি। ক্লাবের অতিথির বিরুদ্ধে ক্লাব কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়ার বিধান নাই। যার মাধ্যমে এসেছেন তিনি ক্লাবের নিয়ম কানুন জানেন। শুধুমাত্র তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে। সেটি আমরা করতেছি। এর বাইরে অন্য কিছু করার আমাদের এখতিয়ার নেই। আর এমন ভয়ানক কিছু করে নাই যে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ক্লাবের ওই সদস্য শোকজের জবাবও দিয়েছেন বলে জানালেন আলমগীর ইকবাল।
পরীমনির সঙ্গে আর কে কে এসেছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এক ভদ্রলোক এসেছিলেন হাফ প্যান্ট পরে, আর একজন মহিলা ছিল। এটা রাত প্রায় সোয়া একটা দেড়টার ঘটনা।’
সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ক্লাব প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘না, আমরা কোনো ডায়েরি করিনাই। কেন করিনাই; আমরা মনে করেছি যে, এতে আমাদের ক্লাবেরই সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। এজন্য আমরা জিডি করিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি উনি সেলিব্রেটি। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি উনাকে চিনি না। যদি উনি সেলিব্রেটি হয়, উনার মান সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব উনার নিজের। উনি উচ্চবংশের, উনি শিক্ষিতা, এটা উনার ডিউটি যে উনার মান সম্মান কীভাবে রক্ষা করবেন। এটা আমার ডিউটি না। আমার ডিউটি আমার মান সম্মান কীভাবে ধরে রাখব। যেমন: নায়ক শাকিব খান আমাদের ক্লাবের মেম্বার। উনি তো কোনো অসংলগ্ন আচরণ করছেন বলে আমার মনে পড়েনা। যার যার মান সম্মান তাকে বজায় রাখতে হবে। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।’
পরীমনির বিরুদ্ধে পুলিশের জিডি
অল কমিউনিটি সেন্টারে পরীমনির ভাঙচুরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ৭ জুন রাতে কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে তার (পরীমনির) বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’
কবে এই জিডি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ৭ জুন রাতে।’
জিডিতে কী বলা হয়েছে, জানতে চাইলে সুদীপ বলেন, ‘অভিযোগ যে, উনি আনঅথরাইজড ওখানে গেছেন। তারপর ক্লাব মেম্বারসদের যে জায়গা ছিল, ওখানে নাকি বসতে চেয়েছেন, তারপর নাকি ভাঙচুর করেছেন। এইগুলো আরকি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।
ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।
প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।
টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।
জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।
আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।
এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।
পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য