রাজধানীর পল্লবী থানায় বিড়াল নির্যাতনের অভিযোগে করা দুটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষকে ডেকেছে পুলিশ।
এক পক্ষে আছেন, অভিযুক্ত বিড়ালের কর্মকাণ্ড নিয়ে পরিচালিত ফেসবুক-ইউটিউব চ্যানেল ‘পুচি ফ্যামিলি’র তাপসী দাশ। আরেক পক্ষে আছেন, বেসরকারি সংস্থা এএলবি অ্যানিমাল শেল্টারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দ্বীপান্বিতা রীদি।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘থানায় করা দুটি লিখিত অভিযোগের তদন্ত করছেন এসআই শরিফুল ইসলাম। তদন্তের স্বার্থেই তিনি মিরপুর ডিওএইচএসের পরিষদে দুই পক্ষকে ডেকেছেন। আশা করছি বিড়াল নিয়ে বিবাদের নিষ্পত্তি হবে।’
মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে বেসরকারি সংস্থা এএলবি অ্যানিমাল শেল্টারের কর্মকর্তা তাজকিয়া দিলরুবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘থানায় করা অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে আমরা বুধবার সকাল ১১টার দিকে বসব পল্লবী থানা পুলিশের সাথে। এ সময় পুচি ফ্যামিলির তাপসী দাশকেও ডাকা হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে এএলবি অ্যানিমাল শেল্টারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দীপান্বিতা রীদির সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ১৩ জুন পল্লবী থানায় করা দুটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাপসী দাশের ডিওএইচএসের বাসায় অভিযান চালিয়ে নিষ্ঠুরতার শিকার বিড়ালগুলোকে উদ্ধার করার কথা ছিল।
কিন্তু অভিযান পরিচালনার আগে ডিওএইচএস কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন আছে জানিয়ে অভিযান পরিচালনা করেনি পুলিশ। তা ছাড়া ওইদিনই থানায় অভিযোগের খবর পেয়ে তাপসী দাশ দুটি বিড়াল নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেসংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রচার করে বলেন, তারা ঢাকার বাইরে ঘুরতে গেছেন। তারপর থেকে বাসায় ফেরেননি। এ জন্য বিড়ালগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এই প্রসঙ্গে জানতে ‘পুচি ফ্যামিলি’র তাপসী দাশ ও তার স্বামী পার্থ চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে নিউজবাংলা। তাদের ফোন সচল থাকলেও তারা কেউই ফোন ধরেননি।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক - ইউটিউবে বিড়ালের নানা কর্মকান্ডের ভিডিও প্রচার নিয়ে আলোচিত- সমালোচিত 'পুচি ফ্যামিলি' র তাপসী দাশের বিরুদ্ধে বিড়াল নির্যাতনের অভিযোগে গত ১৩ জুন পল্লবী থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন এএলবি অ্যানিমাল শেল্টারের তাজকিয়া দিলরুবা ও বিড়ালপ্রেমী আরেক নারী। ওই দুটি লিখিত অভিযোগে বিড়ালের ওপর নানা ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।
বলা হয়, তাপসী দাশ ভিডিও করার সময় এক বিড়ালের মূত্র আরেক বিড়ালকে দিয়ে পান করান। ছোট ছোট বিড়াল ছানার লেজ কিংবা গলায় ধরে টান মারেন। অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করেন। সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে অনেক বিড়ালের মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগও আনা হয়েছে তাপসীর বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া আরেকজনের বিড়াল আটকে রেখে ফিরিয়ে না দিয়ে বিড়াল পালকের চরিত্র নিয়েও বাজে মন্তব্য করেন তার ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলের লাইভে।
পুচি ফ্যামিলির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
এএলবি অ্যানিমেল শেল্টার বলছে, তাপসী দাশ ফেসবুকে বিড়ালকে নিয়ে যাচ্ছেতাই আচরণ করে থাকেন। নির্মম আচরণের ভিডিও ধারণ করে তার প্রায় ৯ লাখ ফেসবুক ফলোয়ার ও দেড় লাখ ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারকে নিষ্ঠুরতা শেখাচ্ছেন। এদিক থেকে আইসিটি অ্যাক্টেও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি।
তাপসীর নিষ্ঠুরতার উদাহরণ দিতে গিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান দীপান্বিতা রিদি বলেন, এক বিড়ালের মূত্র মেশানো পানি আরেক বিড়ালকে পান করানো হয়। এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর। শুধু ভিডিও বানানোর জন্য তিনি চরম অস্বাস্থ্যকর ও নির্মমতার আশ্রয় নিয়ে থাকেন।
তাপসী দাশ মাছের নাড়িভুঁড়ি পরিষ্কার না করে কেবল সেদ্ধ করে বিড়ালকে খাওয়ান। এভাবে খাওয়াতে উৎসাহ দেন অনুসারীদের। এতে বিড়ালের বদহজম, ডায়রিয়া ও পেটে ক্রিমি জন্ম নেয়ার শঙ্কা থাকে।
এ ছাড়া তার অনেক ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি প্রায়ই বিড়ালের ছোট ছোট বাচ্চার লেজ বা গলা ধরে টান মারেন। এতে ছানাদের মেরুদণ্ড থেকে লেজ আলাদা হয়ে যেতে পারে। সেটা জোড়া লাগানোর চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। ফলে বিড়াল সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
তার দেখাদেখি অনুসারীরাও এসব শিখছেন এবং বিড়ালের ওপর এমন নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। এসবের প্রমাণও আছে। তার ভিডিওতে ক্রমাগত মেটিংকে (মিলন) উৎসাহ দেয়া হয়। কীভাবে মেটিং করাতে হয় তার প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকেন তিনি। তবে টানা মেটিংয়ের ফলে মরণব্যাধি হওয়ার শঙ্কা থাকে বিড়ালের।
এএলবি অ্যানিমেল শেল্টারের চেয়ারম্যান দীপান্বিতা রিদি আরও অভিযোগ করেন, ‘পিওর পার্শিয়ান বিড়ালগুলোর কখনোই স্পে, নিউটার করান না তাপসী দাশ। কিন্তু ফলোয়ারদের দেখান, তিনি স্টেরিলাইজেশন করান। এভাবে তিনি তার অনুসারীদের ভুল ধারণা দেন। এ ছাড়া ব্রিডিং করে পিওর ব্রিড বলে মিক্সড ব্রিড সেল করেন বিড়ালপ্রেমীদের কাছে। এভাবে অনেক মানুষ তার মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।’
তিনি বলেন, তাপসী যেসব টিস্যু দিয়ে বিড়ালের মূত্র পরিষ্কার করেন, সেগুলো দিয়েই বিড়ালের মুখ পরিষ্কার করেন। এ ছাড়া ছোট ছোট বাচ্চাকে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করিয়ে অনেক ছানার মৃত্যু ঘটিয়েছেন তাপসী দাশ।
‘আলো’র বিরুদ্ধে অপয়া অপবাদ! কী হয়েছিল আলোর?
এএলবি অ্যানিমেল শেল্টারের কর্মী ও প্রাণিপ্রেমিকরা নিউজবাংলাকে বলছেন, আলো নামের একটি অন্ধ বিড়াল ছিল তাপসী দাশের কাছে। সেটির সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণিপ্রেমীদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেন তাপসী। আলোকে মেন্টাল টর্চার করা হয়।
তাপসীর হেফাজতে থাকা যত বিড়াল মারা যায়, তার সব দায় চাপানো হয় আলো নামের এই বিড়ালের ওপর।
তাপসী দাশের ফেসবুক লাইভে ভেটেরেনারি চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলা হয়, আলো এমন এক অসুখ বহন করে, যার জন্য আলো সুস্থ থাকলেও আশপাশের সবাই মারা যায়। যদিও চিকিৎসককে বলতে শোনা গেছে, আলোর পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব না তার থেকে অসুখ ছড়িয়েছে কি না।
বিড়ালপ্রেমীদের দাবি, আলোকে কোনো রকম চেকআপ করানো হয়নি। অনেকেই আলোর চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাপসী দেননি। শুধু তা-ই নয়, আলোকে তার আসল মালিকের কাছে ফেরত দেয়ার পর সেই মালিককে পুচি ফ্যামিলি থেকে ভয় দেখানো হয়েছিল, যাতে কোনো চিকিৎসা না করান। একপর্যায়ে আলো মারা যায়।
বিড়ালপ্রেমীরা জানান, পুচি ফ্যামিলি থেকে আলোর ব্যাপারে যা যা বলা হয়েছে, তার বেশির ভাগই মিথ্যা। তাপসী দাশ টেস্ট না করিয়েই সবকিছু বলেছেন। আলোর মৃত্যুর জন্য তাপসী দাশ দায়ী এবং অবশ্যই এটা অ্যানিমেল অ্যাবিউস ও ক্রুয়েলটি।
পুচি ফ্যামিলি পেজের স্বত্বাধিকারীর বক্তব্য
পুচি ফ্যামিলি পেজের মালিক তাপসী দাশের স্বামী পার্থ চৌধুরী। তাপসী দাশের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তিনি।
পার্থ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনারা আমাদের ভিডিওগুলো দেখেন। একেবারে স্বচ্ছ। আমার স্ত্রী তাপসী দাশ অনেক আগে থেকেই বিড়াল পালন করে। কয়েকজনের পরামর্শে পেজ খোলে। অল্প সময়ের মধ্যে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ফলোয়ার হয়েছে। এটা অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না।
‘তাপসী একটি লাইভে এক হাতে মোবাইল ফোন ধরে রাখার কারণে আরেক হাত দিয়ে বিড়ালের লেজ বা গলা ধরেছিল। এটা অনেক আগের ঘটনা। সামুদ্রিক মাছ সেদ্ধ করে কাঁটা ছাড়িয়ে বিড়ালকে খাবার দেয়া হয়। কোনো অস্বাস্থ্যকর খাবার দেয়া হয় না। নির্যাতনও করা হয় না।’
থানার পুলিশের কাছে করা লিখিত অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পার্থ দাশ বলেন, ‘ওরা যদি মামলা করে, আমরাও আইনজীবী নিয়োগ করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে মসজিদ বানিয়েছেন স্থানীয় ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়। নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর কালীবাড়ী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সরকারি জমিতে তারা টিনশেডের এই মসজিদ গড়ে তুলেছেন।
মসজিদটির নাম দক্ষিণ চর কালীবাড়ী আশ্রয়ণ জামে মসজিদ। চলতি মাসে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। মসজিদটির জন্য বেশ কয়েকজন স্থানীয় ট্রান্সজেন্ডার নিজেদের সময়, শ্রম ও অর্থ দিয়েছেন।
সম্প্রদায়ের নেতা ২৮ বছর বয়সী জয়িতা তনু বলেন, ‘এখন থেকে কেউ ট্রান্সজেন্ডারদের মসজিদে নামাজ পড়ায় বাধা দিতে পারবে না। কেউ আমাদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে পারবে না।’
সোনিয়া নামের ৪২ বছর বয়সী আরেকজন বলেন, ‘জীবনে আবার মসজিদে নামাজ পড়তে পারব, সেটি স্বপ্নেও ভাবিনি।’
সোনিয়া ছোটবেলায় কুরআন তেলাওয়াত করতে পছন্দ করতেন এবং ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মক্তবেও যেতেন, কিন্তু সবাই যখন বুঝতে পারেন যে তিনি ট্রান্সজেন্ডার, তখন থেকে তাকে আর মসজিদে ঢুকতে দেয়া হতো না।
সোনিয়া বলেন, ‘মানুষ আমাদের বলত, তোমরা ট্রান্সজেন্ডাররা কেন মসজিদে আসো? তোমাদের ঘরেই নামাজ পড়া উচিত, মসজিদে এসো না।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জন্য ছিল খুবই লজ্জার। তাই আমরা আর মসজিদে যেতাম না।
‘এখন এটি আমাদের মসজিদ। আর কেউ কিছু বলতে পারবে না।’
স্থানীয় ট্রান্সজেন্ডার কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আবদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘দেশে এমন মসজিদ এই প্রথম। আগেও একটি শহরে মসজিদ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তবে স্থানীয়দের প্রতিবাদে তা আর হয়ে ওঠেনি।’
এ ছাড়াও ট্রান্সজেন্ডারদের উদ্যোগে একটি কবরস্থানও তৈরি করা হয়েছে।
মসজিদটির ইমাম আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘অন্য মানুষের মতো তারাও আল্লাহর সৃষ্টি। কারও সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ ধর্মে নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মানুষ। কেউ পুরুষ, কেউ নারী, কিন্তু সবাই মানুষ। কুরআন আল্লাহ সবার জন্যই নাজিল করেছেন। তাই প্রত্যেকেরই প্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে। কেউ কাউকে অস্বীকার করতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডারদের এই বিশ্বাস অন্যদের জন্য শিক্ষনীয় হতে পারে। আমি যতদিন হলো এ মসজিদে আছি, তাদের চরিত্র ও কর্ম দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’
মসজিদটিতে ট্রান্সজেন্ডারদের পাশাপাশি স্থানীয় অনেকেই নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।
তোফাজ্জল হোসেন নামের ৫৩ বছর বয়সী এক মুসল্লি জানান, ট্রান্সজেন্ডারদের সম্পর্কে তার ভ্রান্ত ধারণা ছিল। তাদের সঙ্গে ওঠা-বসার মাধ্যমে সেটি দূর হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে তারা যখন আমাদের সঙ্গে থাকতে শুরু করলেন, তখন অনেকে অনেক কথাই বলতেন। কিন্তু আমরা পরে বুঝতে পেরেছিলাম যে, মানুষ যা বলছে তা সঠিক নয়। তারাও অন্য মুসলমানের মতো সৎ জীবনযাপন করেন।’
ভবিষ্যতে এ মসজিদটি আরও বড় করতে চান তনু, যাতে করে আরও বেশি মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন:নীলফামারীতে জমির জন্য বাবার মরদেহ দাফন করতে বাধা দিয়েছেন ছেলে। বাবার কবরে শুয়ে কবর দিতে বাধা প্রদান করেন তিনি। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।
শুক্রবার নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারিতে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার রাতে মারা যান ওই এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমান। জমি রেজিস্ট্রির করার আগে বাবার মৃত্যু হওয়ায় ছেলে নওশাদ আলী মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে নওশাদ আলী।
স্থানীয়রা জানান, সদ্য প্রয়াত মুজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী রয়েছেন। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ২ শতাংশ ও ছোট ছেলেকে ৫ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে ৩ শতাংশ জমি প্রদান করেন বাবা মজিবুর রহমান। কিন্তু মৃত্যুর আগে প্রথম পক্ষের তিন ছেলেকে দেয়া জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেন নওশাদ। এক পর্যায়ে কবরে শুয়ে পড়েন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘জমি লিখে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা প্রদানের ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’
সাধারণত মাথা কেটে ফেলার পরও মুরগি কিছুক্ষণ নড়াচড়া করতে থাকে। তবে ইতিহাসে একবার ঘটেছিল বিরল ঘটনা। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফ্রুইটাতে মাথা ছাড়া ১৮ মাস বেঁচে ছিল একটি মুরগি।
এ ঘটনা সে সময় তোলপাড় তুলেছিল। অনেকে এটিকে অলৌকিক ঘটনা বলেই বিশ্বাস করতেন। তবে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী?
লয়েড ওলসেন নামে এক ব্যক্তি তার পারিবারিক খামারে কাজ করছিলেন। বাজারে নেয়ার জন্য মুরগিটি জবাই করছিলেন তিনি। এর মধ্যে একটি মুরগি আশ্চর্যজনকভাবে মাথা কাটার পরও দৌড়াচ্ছিল।
ওলসেন মুরগিটিকে ধরে একটি বাক্সের মধ্যে রাখেন। তিনি নিজেই এই ঘটনায় কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। বাক্সে রাখা মুরগীটির নাম দেন তিনি ‘মাইক’। আশ্চর্যজনকভাবে পরের দিন সকালেও ওলসেন দেখলেন মুরগিটি বেঁচে আছে।
কীভাবে বেঁচে ছিল?
মুরগির মস্তিষ্কের বেশির ভাগ অংশ মাথা ও চোখের পেছনে থাকে। যখন ওলসেন মাথা কাটার জন্য কোপ দেন তখন মাইকের মাথার সামনের বেশির ভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাস, হজম ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত মস্তিষ্কের অংশটি অক্ষত রয়ে যায়।
পরবর্তীতে তিনি মুরগিটিকে খাওয়ানোর কৌশল আবিষ্কার করেন। সেটির খাদ্যনালীতে ড্রপার দিয়ে পানি ও তরল খাবার দিতেন। পাশাপাশি সিরিঞ্জ দিয়ে গলা থেকে শ্লেষ্মা অপসারণ করতেন। এভাবে বেশ সুস্থ সবল শরীর নিয়েই বেঁচে ছিল মাইক।
সে সময় মাইক এতটাই বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল যে, টাইম ম্যাগাজিনও এটিকে নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছিল।
এ ঘটনায় ওলসেন বুঝতে পারেন, মাইক বিখ্যাত হতে যাচ্ছে! মানুষ এটিকে টাকা দিয়ে দেখতে আসবে। ঘটনার পরের ১৮ মাস বিভিন্ন মেলা, কার্নিভ্যাল ও অন্যান্য পাবলিক ইভেন্টে এই মস্তকবিহীন মুরগিটি প্রদর্শন করেন ওলসেন। এগুলো করে বেশ অর্থও কামান তিনি।
১৯৪৭ সালের ১৭ মার্চ অ্যারিজোনার ফিনিক্সে প্রদর্শনীর জন্য সফরকালে মাইক মারা যায়। ওলসেন ও তার স্ত্রী ক্লারা তাদের হোটেলের ঘরে মাইকের শ্বাসনালির গড়গড় শব্দে জেগে ওঠেন। মাইককে বাঁচানোর জন্য তারা সিরিঞ্জ খুঁজছিলেন, কিন্তু সিরিঞ্জটি ভুলবশত এটি সাইড শো-তে রেখে এসেছিলেন। ফলে মাইকের গলা থেকে শ্লেষ্মা টেনে বের করা যায়নি। এতে একসময় দম বন্ধ হয়ে মারা যায় মুরগিটি।
এই আশ্চর্যজনক ঘটনাটি বহু দশক আগে ঘটলেও, ফ্রুইটারের নাগরিকরা মুরগিটিকে ভুলে যায়নি। এটিকে সেখানকার জনগণ ‘মাইক দ্য হেডলেস চিকেন’ নামে চেনে।
প্রতি বছর ওই শহরে মাইকের স্মরণে একটি উৎসব আয়োজন করা হয়। এ উৎসবে শত শত মানুষ জমায়েত হয়।
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সম্ররা মুন্ডা নামের এক জেলের পেট থেকে অস্ত্রোপচার করে একটি কুঁচিয়া বের করা হয়েছে। মাছ ধরার সময় পায়ুপথ দিয়ে কুঁচিয়াটি পেটের ভেতর ঢুকে যায়।
শনিবার দিনের বেলা এ ঘটনা ঘটলেও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা কুচিয়াটি এক দিন পর জীবিত অবস্থায় ওই জেলের পেট থেকে অস্ত্রোপচার করে বের করেন।
জানা যায়, উপজেলার মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি জেলে সম্ররা মুন্ডা কুচিয়া মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিদিনের মতো শনিবারও (২৩ মার্চ) তিনি মাছ ধরতে যান। এ সময় হঠাৎ কাদায় আটকে গেলে তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া কাদায় পড়ে যায়। তখন তিনি অনুভব করেন তার পায়ুপথে কী যেন ঢুকছে। তবে তখন বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দেননি। তিনি বাড়ি ফেরার পর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।
রোববার স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানকার চিকিৎসকরা তার কথা শুনে এক্স-রের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। পরবর্তীতে সম্ররা মুন্ডাকে ওইদিন সন্ধ্যায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চালিয়ে তার পেটের ভেতর থেকে জীবন্ত অবস্থায় কুঁচিয়া মাছটি বের করেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় ডাক্তাররাও বিস্মিত।
ওসমানী মেডিক্যালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পেট থেকে জীবিত ২৫ ইঞ্চি লম্বা একটি কুঁচিয়া মাছ বের করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ওসমানী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।
পঞ্চগড়ে এক মাস বয়সী শিশু কন্যাকে বিক্রির জন্য বাজারে তুলে এলাকায় চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছেন এক নার।
সোমবার বিকেলে পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
তবে ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মানসিক ভারসাম্য না থাকায় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াতেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী তার কোলে থাকা ১ মাস বয়সের একটি কন্যা শিশুকে আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন। দর কষাকষির মাধ্যমে ওই শিশুকে ক্রয় করছেন এক বৃদ্ধ। এক পর্যায়ে টাকা দিয়ে শিশুটিকে নিজ কোলে নেন ওই বৃদ্ধ।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার নিজের সন্তানকে বিক্রির জন্য দাম হাঁকান ওই নারী। এরপর শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকার বৃদ্ধ মেকানিক ইসমাইল হোসেন শিশুটিকে ২৫ শ’ টাকার বিনিময়ে কিনে নেন। বিক্রির বেশ কিছু সময় পর শিশুটিকে আবারও অবশ্য ফেরত নিয়ে নেন ওই নারী।
এ বিষয়ে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সোমবারে বাজার করার সময় দেখি, ওই মেয়েটি তার সন্তাকে বিক্রি করবে বলছে। আমার এক ভাগনির সন্তান নেই। বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ভাগনির জন্য বাচ্চাটি কিনতে চাই। পরে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে বাচ্চাটিকে নিজের কোলে নেই। এরপর বাড়ি ফেরার পথে সে আবার দৌড়ে এসে টাকা ফেরত দিয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে নেয়।’
বিষয়টি জানতে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তারপরও বিষয়টি দেখতে সমাজসেবা কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।’
আরও পড়ুন:নিরাপত্তার ইস্যুতে বন্ধ রাখা হয়েছে সারা বিশ্বে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় সিরিজ হ্যারি পটারের বিভিন্ন পর্বে প্রদর্শিত বাষ্পচালিত ট্রেন পরিষেবা ‘দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস’।
স্থানীয়ভাবে ‘দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিস’ নামে পরিচিত এ সেবাটি যুক্তরাজ্যে দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। ট্রেনটি বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত লোকসান হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন এর অপারেটর।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হ্যারি পটার সিনেমাখ্যাত এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসছে। বাষ্প ইঞ্জিনের এই ট্রেন এতদিন যাবত বিশেষ ছাড়ের অধীনে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে আসছিল। তবে এখন বাঁধ সেধেছে ট্রেনটির পুরোনো ধাঁচের দরজা।
বর্তমানে এই দরজার অনুমোদন নেই দেশটিতে। তাই ওয়েস্ট কোস্ট রেলওয়ের (ডব্লিউসিআর) এই পরিষেবাটি আবারও চালু করতে অনুমোদন লাগবে ইংল্যান্ডের অফিস অফ রেল অ্যান্ড রোডের (ওআরআর)। এই সংস্থা অনুমোদ দিলেই পুনরায় চলতে পারবে দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।
২০০২ সালে জে কে রাউলিংয়ের বিখ্যাত শিশুতোষ সিরিজ হ্যারি পটারের দ্বিতীয় খণ্ড ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস’-এ প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল এই বাষ্পচালিত ট্রেন। এরপর এটি আরও কয়েকটি খণ্ডে প্রদর্শিত হয়। মূলত সেখান থেকেই দর্শকদের আকর্ষণের জায়গা হয়ে ওঠে হাইল্যান্ডসের গ্লেনফিনান ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে মালাইগ থেকে ফোর্ট উইলিয়াম পর্যন্ত পাড়ি দেওয়া এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।
পরিষেবাটি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চালু থাকে। এ বছরও দর্শনার্থীদের পরিষেবা দিতে ট্রেনটি বিশেষ ছাড়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিসটি বন্ধ থাকবে। তবে যারা এতে চড়তে আগেই টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন, তারা পুরো টাকা ফেরত পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
ডব্লিউসিআরের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক জেমস শাটলওয়ার্থ বলেন, ‘পরিষেবাটি স্থগিত হওয়ায় আমরা হতাশ; আমাদের ট্রিপ বুক করা গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
তিনি বলেন, ‘জ্যাকোবাইট পরিষেবাটি হাজার হাজার পর্যটকের আকর্ষণের জায়গা। এটি মালাইগ এবং ফোর্ট উইলিয়ামের স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশপাশি যুক্তরাজ্যের পর্যটন খাতে প্রতি বছর অন্তত ২০ মিলিয়ন পাউন্ড যোগ করে। ওআরআর যদি আমাদের আবারও ছাড় না দেয়, তাহলে এতে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অন্তত ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান হতে পারে।’
ছোট ছোট বাচ্চারা ঘিরে ধরেছে, আছে নানা বয়সের মানুষও। দূর থেকে মনে হবে হয়ত টিসিবির পণ্য সংগ্রহের লাইন। তবে কাছে গিয়ে দেখা গেল ভিন্নচিত্র। ১০ টাকার বিনিময়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশে বসেছে এ আয়োজন। প্যাকেট খুলে দেখা যায়, দামে ১০ টাকার হলেও সেখানে অন্তত ৭০ টাকা মূল্যমানের ইফতার সামগ্রী রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার অটো পার্টস ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান তিন বছর ধরে এই আয়োজন চালিয়ে আসছেন।
ফ্রিতে কেন দিচ্ছেন না?- জবাবে আনিসুর রহমান বলেন, ‘সারা দিন রোজা রেখে মানুষ ইফতার করবে নিজের টাকায়- এই অনুভূতিটুকু তাদের হোক। এই ভাবনা থেকেই আমি এইটুকু মূল্য যোগ করেছি। আমার এটা করতে ভাল লাগছে এবং বাকিটা তো উপরে একজন আছেন। তিনি সব জানেন এবং দেখেন।’
আনিসুর রহমানের দুই সন্তান শাহাদাত হোসাইন ও সাজ্জাদ হোসাইন বাবাকে সহয়তা করছিলেন।
তারা জানান, বাবুর্চি দিয়ে তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষে এসব খাদ্যসামগ্রী তৈরি করা হয়। বাবুর্চিও অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজটি করেন।
বাবার এই কাজ দুই ছেলেরই খুব ভাল লাগে জানিয়ে তারা বলেন, তাই প্রতি বছর এই সময়টার জন্য আমরা অপেক্ষা করি। এটাকে রোজাদারদের সেবা করার একটা সুযোগ হিসেবে দেখছি।
আনিস সাহেব জানান, সামর্থ্যবানরা এগিয়ে এলে এটার পরিসর বড় করা যাবে। বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া যাবে।
ইফতার সামগ্রী সংগ্রহ করতে আসা মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানায়, সে ১০ টাকা দিয়ে পরিপূর্ণ ইফতার সামগ্রী পাচ্ছে। এজন্য বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এখানে চলে আসে।
পাশের গ্রাম বাইঙ্গাপাড়া থেকে বয়ঃজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তিও এখান থেকে ইফতার সংগ্রহ করার কথা জানান।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির সময়ে আনিস সাহেবের এমন কাজকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য