কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা আগুনে শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত কারও পরিচয় জানা যায়নি।
আগুন লাগার পর ছোটাছুটি করতে গিয়ে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (এপিবিএন) তারিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আহতদের ক্যাম্পের বিভিন্ন এনজিও সংস্থার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে প্রকৃত আহতের সংখ্যা আরও বেশি।
‘অনেক আহত চিকিৎসা নেননি। তারা নিজেদের ঘর-বাড়ি রক্ষায় ক্যাম্পের আশপাশে অবস্থান করছেন।’
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সোমবার আগুন লাগার পর যারা ঘরবাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তারা আজ সকালে পুড়ে যাওয়া ঘরে কোনো কিছু বেঁচে গেছে কি না, তা খুঁজে দেখছেন।
‘তবে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরগুলোতে অবশিষ্ট নেই তেমন কিছুই। মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি এখনও।’
চার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আগুন লাগে, যা নিয়ন্ত্রণে আসে রাত সাড়ে ৯টার দিকে।
আগুনে চার হাজারের বেশি বসতঘর ও দোকান পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন।
আগুনের কারণও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
ওবায়দুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির দাবি, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে ৮ নম্বর ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেন কিছু রোহিঙ্গা। ধীরে ধীরে তা ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ক্যাম্প ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ক্যাম্পে আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। আতঙ্কে সড়কে অবস্থান নেয় রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষরা।
থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য নুরুল বশর জানান, বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
স্থানীয় লোকজন আরও জানান, আগুনের ঘটনায় বালুখালীজুড়ে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে ক্যাম্প এলাকায় পৌঁছতে বেগ পেতে হয়। রাত সাড়ে ৯টার পর আগুন আর ছড়ায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোথাও কোথাও জ্বলছিল।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের কক্সবাজার, উখিয়া, টেকনাফ ও রামু স্টেশনের ছয়টি ইউনিট রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সামছু-দৌজা বলেন, ‘বাতাসের গতি বেশি হওয়ায় আগুন দ্রুত পার্শ্ববর্তী ক্যাম্পগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। লাগোয়া তিনটি ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চার সহস্রাধিক বসতঘর ও দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
‘আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও লোকজন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যরা তাদের সঙ্গে যোগ দেন।’
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশনের দুটি ইউনিটের পাশাপাশি টেকনাফের একটি, কক্সবাজারের দুটি এবং রামুর একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৮ নম্বর ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ তানজীম জানান, ক্যাম্পের ঘরগুলো টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি। এ কারণে দ্রুত বাড়ে আগুনের তীব্রতা।
আরও পড়ুন:ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ট্রাক চালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা দুজন একই মালিকের দুটি ট্রাক চালান। ঢাকামুখী দুটি ট্রাকের একটি মহাসড়কের উপর বিকল হয়ে পড়লে অপর ট্রাক সেটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে ট্রাকটি সেতুর ওপর ঢাকামুখী লেনের সড়ক বিভাজকে আটকে যায়। ধারণা করা হচ্ছে তখন দুই ট্রাকের চালক সড়কে নেমে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তখনই অজ্ঞাত কোনো গাড়ি তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ভোর ৪টা থেকে পৌনে ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, নিহতদের বয়স ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এদের একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি হলেন ময়মনসিংহের রহমতপুর এলাকার রাকিব, যিনি সচল ট্রাকটির চালক ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর ট্রাক মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে আসছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিলোনিয়া বাজারে যাত্রীবাহী বাস উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দাগনভূঞা উপজেলার জায়ালস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ জায়ালস্কর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. শ্রাবণ (২০), একই ইউনিয়নের খুশিপুর গ্রামের মো. শহীদুল্লাহর স্ত্রী শামীম আরা বেগম (৫০) ও অজ্ঞাত যুবক (৩০) পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুগন্ধা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ফেনী থেকে নোয়াখালীর দিকে যাচ্ছিল। সিলোনিয়া বাজারে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা বাস থেকে আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শোয়েব ইমতিয়াজ নিলয় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশিদ জানান, মৃত্যু ও গুরুতর আহতের খবর পেয়েছি, তবে এর সংখ্যা এখনো জানতে পারিনি। আমাদের পুলিশ কাজ করছে। কী কারণে এমন দুর্ঘটনা হতে পারে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরে যৌথ বাহিনীর মোবাইল কোর্টের অভিযানে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বুধবার ( ০১ অক্টোবর) কুলাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলাকালে হেলমেট ও কাগজপত্র বিহীন অবস্থায় মটর সাইকেল চালানোর অপরাধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর আওতায় ১২ টি মামলায় মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ভবিষ্যতে সকল নিয়ম কানুন মেনে রাস্তায় চলাচল করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়। মোবাইল কোর্টের অভিযানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন।
দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটিতে ঢাকা যেন জনমানবশূন্য। ব্যস্ত নগরী হয়ে পড়েছে অনেকটা শান্ত-নিরিবিলি। নেই যানজটের চিরচেনা রূপ, সড়কগুলো রয়েছে প্রায় যানবাহনশূন্য।
সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে দুর্গাপূজার ছুটি মিলিয়ে বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে শনিবার (৪ অক্টোবর) পর্যন্ত ছুটি রয়েছে সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
স্বাভাবিক দিনের তুলনায় আজ সড়কে গণপরিবহনসহ অন্যান্য গাড়ির সংখ্যা অনেক কম। জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন গণপরিবহন কম থাকায় কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। তবে সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা থাকলেও মেট্রোরেলে রয়েছে যাত্রীদের চাপ।
সড়কে রিকশা ও অটোরিকশার আনাগোনাও চোখে পড়ার মতো। স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মানুষ এ বাহনগুলোকেই বেছে নিচ্ছেন। তবে যাত্রী কম থাকায় অনেক চালকই অলস সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও বিনা অজুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, রামপুরা, বনানী, খিলক্ষেত ও উত্তরাসহ রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে সকালের দৃশ্য এমনই।
রাস্তাঘাটে তেমন দেখা মিলছে না যানবাহনের। ছুটির দিন হওয়ায় বাসে যাত্রীদের সংখ্যা কম। বাসের হেল্পাররা স্টপেজগুলোতে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ডাকছেন। যেখানে অন্যদিনগুলোতে সাধারণ যাত্রীরা জোর করেও কোনো কোনো পরিবহনের দরজা খুলতে পারেন না।
গুলিস্তান থেকে মিরপুরে আসা যাত্রী শাহরিয়ার হাসানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি মিরপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করেন। শাহরিয়ার বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও মিরপুরে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হই। কিন্তু ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের মতো তেমন চোখে পড়ছে না যানবাহন। মানুষের ভিড়ের কারণে যেখানে যাতায়াতে ভোগান্তি হতো সেখানে আজ বাসের সিটগুলো প্রায় লোকশূন্য। মোড়ে হাঁকডাক করেও যাত্রী পাচ্ছেন না হেল্পাররা।
শ্যামলী থেকে শাহবাগ আসেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কাজে শাহবাগের উদ্দেশ্যে বের হই। শ্যামলী থেকে শাহবাগ যেতে যেখানে সময় লাগতো প্রায় এক ঘণ্টা; সেখানে আজ ছুটির দিন হওয়ায় ২০ মিনিটে পৌঁছে যাই। বাসেও তেমন কোনো ভিড় নেই। বেশিরভাগ সিটই ফাঁকা।
দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে চারদিনের ছুটি পাওয়ায় অনেকেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ঢাকা ছেড়েছেন। অনেকে বিনোদনের জন্য পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণে গেছেন। এতে ব্যস্ত নগরী ঢাকা যেন শূন্য হয়ে পড়েছে।
শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য মো. আব্দুস ছামাদ জানান, শাহবাগ অত্যন্ত ব্যস্ততম মোড়। কিন্তু আজ দুদিন যেন ফাঁকা হয়ে গেছে। কিছু অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য যানবাহন অনেক কম।
তবে আজ দুর্গাপূজার বিসর্জন উপলক্ষে দুপুরের পর থেকে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
চাকরি বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আরও ২০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে ইসলামী ব্যাংক। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে ব্যাংকটিতে ৪০০ জনের চাকরি গেল। এদিকে মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৩৬৪ জন বা ৮৮ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকিদের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। আর গত শনিবার পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যর্থদের মধ্যে যারা আবেদন করেছেন, তাদের জন্য ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ইসলামী ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, অযোগ্যতা বা অন্য কোনো বিবেচনায় কাউকে ছাঁটাই করা হয়নি। বরং যারা মূল্যায়ন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে, পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে উল্টো অন্যদের বাধা দিয়েছে কিংবা ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সমাবেশ করেছে– এ রকম ব্যক্তিরা তালিকায় রয়েছেন। ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকটিতে প্রায় ১১ হাজার লোক নিয়োগ হয়। এর মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ হয় ৮ হাজার ৩৪০ জন। সেখান থেকে ৫ হাজার ৩৮৫ জনের যোগ্যতা মূল্যায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর মাধ্যমে গত শনিবার পরীক্ষা নেয় ব্যাংক। এতে অংশ নেন মাত্র ৪১৪ জন। বাকি ৪ হাজার ৯৫৩ জন পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় তাদের ওএসডি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ইসলামী ব্যাংকের এই বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার উদ্যোগ বাতিল চেয়ে গত ২১ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট করেন ব্যাংকটির চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. জিয়া উদ্দিন নোমান। বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন আদালত। এর পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিটকারীকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া এবং চাকরিতে কাউকে রাখা বা না রাখার বিষয়টি ব্যাংকের নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত।
ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বে থাকা ড. কামাল উদ্দীন জসীম বলেন, যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে নানা অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে। কাউকে চাকরিচ্যুত করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে বৈধতা দেওয়া তাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, আইবিএর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়াদের ৮৮ শতাংশই উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকি যারা উত্তীর্ণ হননি, তাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বরের বাধার কারণে অনেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। তাদের মধ্য থেকে যারা আবেদন করেছেন, তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার পাশাপাশি এসব কর্মীকে একাডেমিক সনদ যাচাই করছে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাপে বেসরকারি ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২ হাজার ২১৪ জনের সনদ যাচাইয়ের জন্য ৬টি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এসব টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সনদ যাচাই করছে। এরই মধ্যে ৩০ জনের জাল সনদ চিহ্নিত করেছে ব্যাংক।
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় পাচারের উদ্দেশে বন্দি নারী ও শিশুসহ ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে কয়েকজনকে টেকনাফের বাহারছড়ার করাচিপাড়া ঘাট সংলগ্ন একটি ঘরে আটকে রাখার খবর পাওয়া যায়। পরে সেখানে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে পাচারের উদ্দেশে বন্দি ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায় বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক। তিনি বলেন, অভিযানে কোনো পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের ধরতে যৌথ বাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
শহিদুল আলম কেমন আছেন- সারা দেশের মানুষের মনে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাঁক খাচ্ছে। গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে এই নৌবহরে হানা দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এরই মধ্যে ১৩টি জাহাজ থেকে গ্রেটা থানবার্গসহ দুই শতাধিক কর্মী-সমাজসেবীকে বন্দি করেছে ইসরায়েল।
জানা গেছে, শহিদুল আলম কনসায়েন্স নামে একটি বড় জাহাজে রয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেটি আটক হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
ফেসবুকে শহিদুল আলমের সবশেষ পোস্ট দেখা যাচ্ছে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আগে (এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত)। ওই পোস্টে তিনি ইসরায়েলকে ইঙ্গিত করে ইংরেজিতে লেখেন, ‘আমরা বারবার যাত্রা করবো। কারণ এই জলসীমা তোমাদের নয়, ওই ভূখণ্ডও তোমাদের নয়; যতক্ষণ না ফিলিস্তিন স্বাধীন হচ্ছে।’
এর আগে একাধিক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন শহিদুল আলম। এর একটিতে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আমার ‘ড্রোন ওয়াচ’ দেখাচ্ছে- আরও এক ঘণ্টা যেতে হবে, যেখানে আমরা সাধারণত সম্ভাব্য আক্রমণের প্রতি নজর রাখি। আমার ওয়াচে এর আগে একটি তুর্কি জাহাজ দেখা গেছে, তবে এখন পর্যন্ত বিপজ্জনক কিছু ঘটেনি।
আরেক ভিডিওতে তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে, বজ্রপাত হয়, বিপদ আসে। আমরা দ্রুত ঝড়ের আগে যেতে চেষ্টা করি। তখন আরেকটা ব্যাপারও ছিল। আমরা জানতে পারি, আমাদের সবচেয়ে সামনের যে ফ্লোটিলা আলমা, তাতে ইসরায়েলি জলদস্যুরা হামলা শুরু করে। আমরা এই উত্তাল ঝড়ের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সবার পেছনে সবচেয়ে বড় জাহাজে রয়েছি আমরা। কাজেই আমাদের ওপর কী আসবে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। ইসরায়েল যেটা করছে, অন্যদের ওপর আক্রমণ করে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।
মন্তব্য