বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মাস্ক পরে হামলা চালায় ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল। এ সময় বিভাগের আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয় কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চুকে। নিয়ে যাওয়া হয় বিভাগের সিসিটিভির হার্ডডিস্ক ড্রাইভ।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা হয় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায়। ঘটনার ২১ দিন পর এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আলিফ হোসেন হীরা ও শাকিল আহমেদ।
রোববার টেইলারিং ব্র্যান্ড টপ টেনের বরিশাল শোরুমে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায়ও এসেছে এই দুইজনের নাম। শাকিলকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়। হীরাকে করা হয়েছে মামলার ১০ নম্বর আসামি।
টপ টেন শোরুমের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে হলুদ পাঞ্জাবি পরা এক তরুণের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। পাঞ্জাবি পরা ওই ছেলেকে জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারী মারুফ হাসান টিটু বলে শনাক্ত করেন স্থানীয় ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী। তবে তারা কেউই তাদের নাম প্রকাশে রাজি হননি।
আলোচিত এই ঘটনায় ২১ জনের নাম এবং ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোমবার মামলা করেন টপ টেন শোরুমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইমরান শেখ। এদের মধ্যে পাঁচজনকে রোববার হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। মামলার ১ নম্বর আসামি আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সদর রোডে রোববার সন্ধ্যার ওই ঘটনার পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, ঘটনায় যারা জড়িত তাদের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে; রয়েছে পুলিশের গাফিলতিও। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামলার ১৪ জন আসামি বরিশালের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক আনিসুর রহমান।
আসামিরা হলেন কলেজ এভিনিউ এলাকার মারুফ হাসান টিটু, নিউ সার্কুলার রোডের মুহিদুল ইসলাম মুহিদ, লুৎফর রহমান সড়কের তাজিম হাওলাদার, কলেজ রোড এলাকার সৈয়দ আলিফ হোসেন হিরা, শুভ শীল, সুখ রানা হক, গনপাড়া এলাকার সুজন, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার নাজমুল হাসান রনি, হাটখোলা রোড এলাকার নাদিম মাহমুদ হৃদয়, কলেজ রোড এলাকার ফাহিম হোসেন, লুৎফর রহমান সড়কের আল আমিন হোসেন সোহান, কাশিপুর মহুয়া এলাকার মিজান শরীফ, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর এলাকার ইকবাল হোসেন ও নগরীর কসাইখানা এলাকার নিলয় আহম্মেদ রাব্বি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার মামলায় নামধারী ২১ জনের অধিকাংশ বরিশালের প্রভাবশালী তিন ছাত্রলীগ নেতার অনুসারী।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক টিটু জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতের ঘনিষ্ঠ অনুসারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি ফেসবুকের মেসেঞ্জারে সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতের সঙ্গে টিটুর বেশ কিছু ছবিও পাঠিয়েছেন নিউজবাংলাকে।
মামলায় গ্রেপ্তার এক নম্বর আসামি রাকিব জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব হোসেন খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রাজিব হোসেন খানের মিছিলের ছবিতে তাকে সামনের সারিতেই দেখা গেছে। গ্রেপ্তার রাকিব বরিশাল সিটি করপোরেশনের যানবাহন ও লাইসেন্স শাখার কর্মচারী।
শাকিল পরিচিত জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিমের অনুসারী হিসেবে। টপ টেনে হামলার পর মুনিমের সঙ্গে শাকিলের ছবি ভাইরাল হয় ফেসবুকে। বিএম কলেজে হামলার ঘটনাতেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শাকিল।
টপ টেনের মামলার ১০ নম্বর আসামি সৈয়দ আলিফ হোসেন হীরাকে বিএম কলেজে হামলার ঘটনায়ও গ্রেপ্তার করেছিলেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক প্রলয় কান্তি। তাকেও সবাই আতিকুল্লাহ মুনিমের অনুসারী হিসেবেই চেনেন। নিউজবাংলার কাছেও ওই নেতার সঙ্গে হীরার প্রচুর ছবি এসেছে।
সোহান, ফাহিম, শুভসহ মামলার আসামিদের অনেকেই জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত, আতিকুল্লাহ মুনিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব হোসেন খানের অনুসারী বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল জেলা ছাত্রলীগেরই দুই সহসভাপতি।
এ বিষয়ে জানতে প্রথমে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। পরিচয় দেয়া হলে তিনি জানান, এক অসুস্থ রোগীর সামনে আছেন। একটু পরে ব্যাক করবেন।
এর পর তিনি আর কল ব্যাক করেননি। পরে তাকে মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। সাড়া না মেলায় হোয়াটস অ্যাপে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি জবাব দেননি।
ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব হোসেন খান ও সহসভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিমের সঙ্গেও। কিন্তু তারা ফোন ধরেননি। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো সাড়া দেননি।
ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না জানতে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে ফোন করা হলে তিনি প্রশ্ন শুনেই সংযোগ কেটে দেন। পরে তাকে আবার ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
বরিশালের গবেষক ও লেখক আনিসুর রহমান খান স্বপন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কলেজের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার হলে দ্বিতীয়বার একই অপরাধীরা অপরাধ করতে সাহস পেত না এবং শহরে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করতে পারত না।’
তিনি বলেন, ‘দুই মাসের মধ্যেই ঈদ। ঈদের মধ্যেই বরিশালের বাজার জমজমাট থাকবে। এর আগে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়বে।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘কারও রাজনৈতিক পরিচয় আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। আমরা তাদের অপরাধী হিসেবেই দেখছি। এ ধরনের অপরাধ যারা করেছে তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। আমরা কাউকে ছাড় দেব না।’
আরও পড়ুন: বরিশালে কি আবারও সন্ত্রাসের রাজত্ব
কোনো ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম থাকলে সেগুলো আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে ‘ডি-রেজিস্টার’ করতে বলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিটিআরসির অফিশিয়াল ফেসবুকে এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিজ এনআইডিতে পছন্দমতো ১০টি সিমকার্ড রেখে অতিরিক্ত সিমকার্ডগুলো ৩০ অক্টোবর ২০২৫ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে ডি-রেজিস্টার (নিবন্ধন বাতিল)/মালিকানা পরিবর্তন করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কতগুলো সিমকার্ড নিবন্ধিত হয়েছে তা যাচাই পদ্ধতি :
*১৬০০১#, এনআইডির শেষ ৪ ডিজিট, সেন্ড
বিটিআরসি বলেছে, কোনো গ্রাহক বর্ণিত প্রক্রিয়ায় সিম ডি-রেজিস্ট্রোর/মালিকানা পরিবর্তনে ব্যর্থ হলে বিটিআরসি কর্তৃক অতিরিক্ত সিমকার্ডগুলো দৈবচয়নের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করা হবে। গত মে মাসে কমিশন সভায় ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ সিমের সংখ্যা ১৫ থেকে ১০টিতে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত দেয় বিটিআরসি।
২০১৭ সালে একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। এর আট বছর পর চলতি বছরের ১৯ মে কমিশন সভায় ১৯ মে সিমের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
রাজধানীর পল্টন মডেল থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপিন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৬৭ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন– জাতীয়তাবাদী মহিলার দলের সভাপতি আফরোজ আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মিডিয়া ইউং শামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমুনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায়, যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মনজু, ঢাকা দক্ষিণের ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনসহ প্রমুখ।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সম্প্রতি এই মামলায় তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় দায় থেকে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। আজ আদালত এ প্রতিবেদন গ্রহণ করে অভিযোগের দায় থেকে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় দেরিতে হলেও আমরা সুবিচার পেয়েছি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে শো-ডাউন করে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। এরপর নবী উল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর দুইটি মিছিল শো-ডাউন করে একই দিক থেকে আসতে থাকে এবং সর্বশেষ মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ৮-১০ হাজার জনের একটি মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। তারা নয়াপল্টনে ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শো-ডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদের রাস্তার এক লেন ছেড়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়।
আরও বলা হয়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ জনতাবদ্ধে বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়পল্টনে ভিআইপি রোডে হকস বে নামে গাড়ির শো রুমের উত্তর পাশে রাস্তায় পুলিশের একটি সরকারি ডাবল কেবিন পিকাপ পুড়িয়ে আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। সরকারি কাজে বাধা দিয়ে অতর্কিতে পুলিশকে আক্রমণ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আসামিরা রাস্তার পাশে ডিউটিরত এসির (পেট্রোল-মতিঝিল) সরকারী মিটসুবিসি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পোড়া গাড়ির আনুমানিক মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। আসামিদের নিক্ষেপিত ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আসামিরা নাইট এ্যাগেল মোড় থেকে পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং পর্যন্ত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ জনগণের উপর আক্রমণ করে প্রাইভেটকারসহ রাস্তায় আটকে পড়া আরও অনেক গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি এই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা।
আজ সোমবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান সপ্তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৫১। বাতাসের এ মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
একই সময়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইরাকের বাগদাদ ও ভারতের দিল্লি। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ২২৭৮ ও ১৯০। স্কোর ১৮৩ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, চতুর্থ অবস্থানে আছে কলকাতা, স্কোর ১৬৮ এবং ১৬৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে উজবেকিস্তানের তাশকেন্ট।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।
২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়াসহ তিন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সোমবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষকদের একাংশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল রোববার থেকে অবস্থান করছেন। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বেলা ১১টার দিকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক জড়ো হয়েছেন। জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজীসহ অনেকেই পলিথিন ও মাদুর বিছিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন। এক পাশে শিক্ষকরা স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় তারা প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান ও লাঠিচার্জের বিচার দাবি করেন।
তারা বলেন, আমরা সুবিচার পাচ্ছি না। প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা তো এখানে থাকতে আসিনি। দাবি মেনে নিলে আমরা ফিরে যাবো। অবিলম্বে মধ্যে ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া এবং ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
রাজধানীর একাধিক স্কুল কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে শিক্ষকরা স্কুলে উপস্থিত হলেও ক্লাসসহ কোনো কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কর্মবিরতি চলছে। তারা শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি বলেন, ‘গতকাল শিক্ষকদের ওপর যে হামলা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এই সরকার থেকে এটি আশা করিনি। আমাদের পাঁচ সহযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের তিনটি বিষয় নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন না হবে, ততক্ষণ আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছি, সেহেতু আপনারা শিক্ষকরা শহীদ মিনারে চলে আসুন। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান আপনাদের বাধা দেয়, তাহলে শিক্ষকরা মিলে তাকে বাধ্য করবেন।
এর আগে, রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি। তিনি বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে সোমবার থেকেই দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় শিক্ষকদের পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিচার্জ করে। এরপর বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন তারা। কিছু শিক্ষকদের আবারও প্রেসক্লাব এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ ছাড়া আরেকটি অংশ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
প্রজ্ঞাপন ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জোট। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে আলোচনা শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব আজিজী এ ঘোষণা দেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের শিক্ষক সমাবেশে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিল। ওইদিন শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসিকের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ।
সূত্রমতে, শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে নতুন করে বাড়িভাড়া ভাতা ও মেডিকেল ভাতার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাবনা গত ৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এতে বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ নির্ধারণে নতুন প্রস্তাব করা হয়। একইসঙ্গে কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ এবং চিকিৎসা ভাতা এক হাজার টাকার প্রস্তাব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীকে সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে সাময়িক বরখাস্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে বরখাস্ত করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম জুডিশিয়াল সার্ভিসের শৃঙ্খলা বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত মর্মে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম জুডিশিয়াল সার্ভিসের শৃঙ্খলা বিধিমালা-২০১৭ এর বিধি ১১ অনুযায়ী রেজাউল করিম চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকার সিএমএম থাকাকালীন রেজাউল করিম চৌধুরীর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
মেক্সিকোতে প্রবল বন্যায় এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৪ জন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভেরাক্রুজ রাজ্য। খবর আল জাজিরার।
রোববার এক বিবৃতিতে মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, দুটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের প্রভাবে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এরফলে ভেরাক্রুজ, পুয়েবলা, হিডালগো, কুয়েরেতারো এবং সান লুইস পোতোসিসহ পাঁচটি রাজ্যে ভূমিধস এবং বন্যা দেখা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভেরাক্রুজ রাজ্যে বন্যায় ১৮ জন, হিদালগোতে ১৬ জন, পুয়েবলায় নয়জন এবং কুয়েরেতারোতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে মেক্সিকোর সংবাদমাধ্যম এল ইউনিভার্সাল জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ৪৮ জন।
কর্তৃপক্ষ জানায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ১৬ হাজার বাড়ি। বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মৌসুমি ঝড় প্রিসিলা ও রেমন্ডের জেরে গত ৬ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বর্ষণ শুরু হয় মেক্সিকোজুড়ে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুসারে, শুধু ভেরাক্রুজেই তিন দিনে ৫৪০ মিলিমিটার (২১ ইঞ্চিরও বেশি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
৯ অক্টোবরের পর থেকে ঝড় ও বৃষ্টির তেজ কমতে থাকে। এ সময় উদ্ধার অভিযানে নামে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও সেনাবাহিনী। দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধস হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় অনেক এলাকায় গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বাড়িঘরের ওপর পড়েছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম বলেছেন, উদ্ধার অভিযান এবং ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশের উদীয়মান গেমিং কমিউনিটির জন্য নতুন ও উদ্দীপনাময় অধ্যায় হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অপো ইস্পোর্টস ক্লাব উন্মোচন করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস উদ্ভাবক অপো। এই উদ্যোগের প্রথম আয়োজন হিসেবে নতুন উন্মোচিত অপো এ৬ প্রো’র মাধ্যমে পাবজি মোবাইল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগ্রহী গেমারদের একত্রিত করতে চায় অপো, যেখানে দক্ষতা, কৌশল ও প্রযুক্তি একত্রিত হবে।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীরা মোট ৩,০০,০০০ টাকা পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পাবেন; যা এটিকে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বহুল প্রতীক্ষিত মোবাইল গেমিং প্রতিযোগিতার মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরেছে। প্রতিযোগিতাটির রেজিস্ট্রেশন চলবে ১০-১৩ অক্টোবর, ১৪-২১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে কোয়ালিফায়িং রাউন্ড। কোয়ার্টারফাইনাল হবে ২৩ ও ২৪ অক্টোবর, সেমিফাইনাল ২৬ ও ২৭ অক্টোবর এবং গ্র্যান্ড ফাইনাল ও বিজয়ী ঘোষণা হবে ৩১ অক্টোবর। খেলোয়াড়রা অপো’র অফিসিয়াল ডিসকর্ড কমিউনিটি https://discord.gg/zU8TbkuEA থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
এই ইস্পোর্টস অভিজ্ঞতার মূলে রয়েছে অপো এ৬ প্রো। গেমারদের জন্য অসাধারণ পারফরম্যান্স ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে এই স্মার্টফোন এসেছে। এটি সুপারকুল ভিসি কুলিং সিস্টেমের কারণে দীর্ঘসময় খেললেও ডিভাইস অতিরিক্ত গরম হয়ে যাবে না। এর এআই লিঙ্কবুস্ট ৩.০ স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক সংযোগ নিশ্চিত করবে, যা টানটান উত্তেজনার ম্যাচেও ল্যাগ-মুক্ত খেলার নিশ্চয়তা প্রদান করবে। এর সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, ৮০ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং ও আইপি৬৯-রেটেড ডিউরেবিলিটি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অবস্থাতেও নিরবচ্ছিন্ন খেলার নিশ্চয়তা দেয়।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “অপো ইস্পোর্টস ক্লাব উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গেমারদের জন্য পেশাদার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। অপো এ৬ প্রো আমাদের খেলোয়াড়দের মতোই শক্তিশালী, সহনশীল ও যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত। নতুন প্রজন্মের ইস্পোর্টস প্রতিভাদের সহায়তা করতে পেরে এবং তাদের জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।”
রেজিস্ট্রেশন ও আপডেটের জন্য অংশগ্রহণকারী ও ফ্যানদের অফিসিয়াল ডিসকর্ড কমিউনিটিতে https://discord.gg/zU8TbkuEA যোগ দেওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে। একইসাথে রিয়েল-টাইম আপডেট, ম্যাচ হাইলাইট ও বিজয়ী ঘোষণার ক্ষেত্রে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ও টিকটকে অপো বাংলাদেশকে ফলো করুন।
মন্তব্য