ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার সামরিক অভিযান। এমন অবস্থায় রুশ অভিযানের শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপদে দেশত্যাগের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে পরিবার নিয়ে কিয়েভেই অবস্থান করেন এবং রুশ সামরিক অভিযান প্রতিহতের ঘোষণা দেন।
এমন পরিস্থিতিতে গত মাসে বিভিন্ন রাশিয়ার সাইটে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে একটি খবর ভাইরাল হয়। যেখানে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির বড় মেয়ে ওলেকসান্দ্রা জেলেনস্কা পোল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন। তিনি তার বাবাকে ঘৃণা করেন এবং তার সঙ্গে জেলেনস্কার মতবিরোধও রয়েছে। তিনি তার বাবাকে নাৎসি বলছেন এবং ইউক্রেনীয় হতাহতের জন্য বাবা জেলেনস্কিকেই দায়ী করে তাকেই ইউক্রেনীয়দের খুনি বলছেন। তার একটি ক্রন্দনরত ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়।
ভাইরাল ছবিটিকে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, এই ছবিটি একটি ভিডিও থেকে নেয়া হয়েছে, যা ২০১৭ সালের আগস্টের ২৪ তারিখে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছিল। এতে স্পষ্ট হয় এই ছবিটি কোনোভাবেই চলতি রুশ সামরিক অভিযানের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। এখন আরেকটি প্রশ্ন হলো ভিডিওর মেয়েটি কী ওলেকসান্দ্রা জেলেনস্কা? এর উত্তরও না। ভিডিওতে পাওয়া ক্রন্দনরত নারী প্রাপ্ত বয়স্ক। ২০১৭ সালে ওলেকসান্দ্রা জেলেনস্কার বয়স ছিল ১১ বছর। অর্থাৎ এটি কোনোভাবেই জেলেনস্কার ভিডিও নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রুশ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জেলেনস্কির মেয়ের পোল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার সংবাদটি আসলে ভুয়া খবর।
আরও পড়ুন:Aleksandra Zelenskaya, la hija de Zelensky, reniega de su padre. Lo llama nazi y asesino del pueblo ucraniano:"Rusos, ucranianos, ¡quiero contarles lo que está pasando allí!" pic.twitter.com/WIieuN1XD7
— Bryansk Anthony (@1098Bryan) April 21, 2022
ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। অভিযানের ৪ মাস পর এসে রুশ সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনবাসে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে এবং অন্য স্থানগুলো থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। ইউক্রেন বলছে, পিছু হটছে রুশ সেনারা। রাশিয়ার দাবি, পরিকল্পনা মাফিকই চলছে সামরিক অভিযান।
এদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনারা অভিযোগ করেছে, কৃষ্ণসাগরের দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ড থেকে সেনা প্রত্যাহারের এক দিন পরই রাশিয়া সেখানে ফসফরাস বোমা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।
শুক্রবার টেলিগ্রামে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, রাশিয়ার দুটি সু-৩০ বিমান ক্রিমীয় উপদ্বীপ থেকে উড়ে এসে স্নেক আইল্যান্ডে ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ করে চলে গেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় স্নেক আইল্যান্ডে এই বোমা হামলা চালানো হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার দ্বীপ থেকে তাদের সরে যাওয়াকে ‘শুভেচ্ছার প্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। অর্থাৎ ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি করার জন্য জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় হস্তক্ষেপ করবে না ইউক্রেন।
তবে ফসফরাস বোমা হামলার অভিযোগ এনে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী বলছে, রাশিয়া তাদের নিজেদের ঘোষণাকেও সম্মান জানাতে অক্ষম।
ইউক্রেনীয় সেনারা টেলিগ্রামে এই বিবৃতির সঙ্গে একটি ভিডিও যুক্ত করে দিয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বিমান দ্বীপে অন্তত দুইবার বোমা ফেলছে।
তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে ফসফরাস বোমা ব্যবহারে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও তা নিষিদ্ধ নয়। বেসামরিক মানুষ ও স্থাপনায় এবং এমন কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু যার আশপাশে বেসামরিক স্থাপনা রয়েছে, সেখানে ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ নিষিদ্ধ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
দোনবাসের বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেন যদি পূর্ণাঙ্গ ন্যাটো সদস্য হয়ে ক্রিমিয়া আক্রমণ করে, তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্গিমেন্টি আই ফ্যাকটি পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মেদভেদেভ বলেন, ‘আমাদের জন্য ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ এবং এটি চিরকাল থাকবে। ক্রিমিয়ার ওপর আক্রমণের যেকোনো প্রচেষ্টা আমাদের জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মতো। যদি কোনো ন্যাটো সদস্য তা করে, তাহলে এর অর্থ হবে সমগ্র উত্তর আটলান্টিক জোটের সঙ্গে সংঘর্ষ। অর্থাৎ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, যা পুরোপুরি বিপর্যয়।’
২০১৪ সালে ইউক্রেনে এক অভ্যুত্থানে মস্কোপন্থি সরকারের পতন হলে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। পরে এক গণভোটে ক্রিমিয়ার জনগণ রাশিয়ার সঙ্গে যোগদানের পক্ষে ভোট দেয়। ক্রিমিয়াতে মূলত রুশভাষীদেরই বসবাস।
যদিও ইউক্রেন এই গণভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এবং ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়া-দখলকৃত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করে।
সম্প্রতি ইউক্রেনীয় সেনাদের ভারী অস্ত্র সরবরাহ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তবে শর্ত এই যে এসব ভারী অস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে আঘাত করা যাবে না। শুধু ইউক্রেনে অনুপ্রবেশ করা রুশ সেনাদের ওপর হামলার ক্ষেত্রে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে।
ইউক্রেন দাবি করে আসছে, ক্রিমিয়া হলো রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চল। রুশ ভূখণ্ডে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি ক্রিমিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ, যিনি বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সেই দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক বিরোধ এমনকি এর কোনো সম্ভাব্য কারণও নেই, আমরা এমনটা আশাও করি না। ন্যাটোতে যোগ দিয়ে যদি তারা আরও ভালো ও নিরাপদ বোধ করে তবে তারা ন্যাটোতে থাকুক। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ছাড়াও ন্যাটো আমাদের পাশেই রয়েছে।’
তবে নরডিক দেশগুলোর ন্যাটোতে যোগদানের ফলে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে এর প্রতিক্রিয়া জানাবে এমনটা জানিয়ে মেদভেদেভ বলেন, দুই ন্যাটো প্রার্থী দেশের নাগরিকদের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রধারী যুদ্ধজাহাজের দোরগোড়ায় বসবাস করা রোমাঞ্চিত হওয়ার মতো কিছু নয়।
এ ছাড়া মেদভেদেভের মতে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সামরিক গঠনে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হবে, যা দুই দেশই নিজেদের বেসামরিক প্রকল্পে ব্যয় করতে পারত।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের কারণেই সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুরুতে তুরস্ক দুই দেশের ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করলেও পরে তার অবস্থান থেকে সরে আসে।
এদিকে ন্যাটো সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, এবারের সংঘাত শেষ হলে আমাদের অবশ্যই পশ্চিমা নিরাপত্তাবলয়ে একটি স্থান দিতে হবে। আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার এবং আপনাদের অবশ্যই ইউক্রেনের জন্য একটি সাধারণ নিরাপত্তার জায়গা খুঁজে বের করতে হবে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে চলমান লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো ব্লককে তার দেশের প্রতি সহযোগিতা ও সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনে ভিডিওলিংকের মাধ্যমে ভাষণ দেয়ার সময় জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, কিয়েভ পরাজিত হলে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ হবে। আপনারা হয় ইউক্রেনের জয়ের জন্য যথেষ্ট সাহায্য করুন, নতুবা রাশিয়া ও আপনাদের (পশ্চিমা) মধ্যে যুদ্ধ হবে।
ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক ও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভের বাজেট ঘাটতি মেটাতে মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার (৪৮ হাজার কোটি টাকা) প্রয়োজন।
জেলেনস্কির মতে, সামরিক সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনকে যুদ্ধের ময়দানে বিজয়ের মাধ্যমে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে এবং রুশ কর্মকাণ্ডের সত্যিকার জোরালো জবাব দিতে সমগ্র ইউরো-আটলান্টিক সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজন।
এবারে ন্যাটো সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, এবারের সংঘাত শেষ হলে আমাদের অবশ্যই পশ্চিমা নিরাপত্তাবলয়ে একটি স্থান দিতে হবে। আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার এবং আপনাদের অবশ্যই ইউক্রেনের জন্য একটি সাধারণ নিরাপত্তার জায়গা খুঁজে বের করতে হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
দোনবাসের বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন:ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর মধ্যপন্থী জোটের ইয়ায়েল ব্রাউন-পিভেটকে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
দ্য ন্যাশনাল নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়ায়েলই হতে যাচ্ছেন দেশটির নিম্নকক্ষের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া প্রথম নারী। তিনি গর্ভপাতের অধিকারের একজন সমর্থক।
ইমানুয়েল মাখোঁর দল নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর এবং ফরাসি রাজনীতির অতি-ডান ও বাম শিবির শক্তিশালী হওয়ার পর জাতীয় পরিষদে এই প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হলো।
এর আগে নির্বাচনে পার্লামেন্টে ৫৭৭টি আসনের মধ্যে ইমানুয়েলের দল জয় পেয়েছে ২৪৫টিতে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তাদের দরকার ছিল ২৮৯টি আসন।
এখনও মাখোঁর দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে অ্যাসেম্বলিতে। তবে নতুন কোনো আইন পাস করার জন্য এই সংখ্যাগরিষ্ঠতাও যথেষ্ট নয়।
ইয়ায়েল ব্রাউন-পিভেট একজন প্রাক্তন সমাজতন্ত্রী। ২০১৬ সালে তিনি মাখোঁর পার্টিতে যোগ দেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনাপ্রবাহের দিকে আলোকপাত করে ইয়ায়েল ব্রাউন-পিভেট ফ্রান্সের গর্ভপাত অধিকার রক্ষায় কাজ করেছেন এবং চেম্বারকে আইন রক্ষার বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে গত মাসে ফ্রান্সের শ্রমমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নিকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের বেশি সময় পর দেশটিতে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
৬১ বছর বয়সী এই নারী রাজনীতিক বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্সের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
দেশটিতে সবশেষ নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেন ইডিথ ক্রেসন। তিনি ১৯৯১ সালের মে মাস থেকে ১৯৯২-এর এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন:ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ২০১৫ সালের সিরিজ হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন হামলাকারীদের মধ্যে বেঁচে থাকা একমাত্র ব্যক্তি।
বন্দুক ও বোমা হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সালাহ আবদেসলামকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, যা ফ্রান্সে বিরল।
এ মামলায় আরও ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, আধুনিক ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ বিচারকাজ শুরু হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক হামলা মামলার শুনানিতে অংশ নিতে ৯ মাসের বেশি সময় প্যারিসের বিশেষ আদালতে হাজির হন ভুক্তভোগী, সাংবাদিক ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।
২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর কয়েকটি বার, রেস্তোরাঁ, জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম ও ব্যাতাক্লানের সংগীতানুষ্ঠানে হামলায় কয়েক শ মানুষ আহত হন।
হামলা মামলার বিচারের শুরুতে আবদেসলাম নিজেকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ‘সেনা’ হিসেবে দাবি করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি হতাহতদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, তিনি খুনি নন। তাকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হবে অন্যায়।
আবদেসলাম আদালতকে আরও বলেন, হামলার দিন বিস্ফোরকযুক্ত জামা বা সুইসাইড ভেস্টে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল না তার। প্যারিসের উপকণ্ঠে সুইসাইড ভেস্ট খুলে ফেলেছিলেন তিনি।
ওই সুইসাইড ভেস্ট ক্রুটিপূর্ণ থাকার বিষয়টি গ্রহণ করেছে আদালত, তবে আবদেসলাম শেষ মুহূর্তে তার মানসিকতা পরিবর্তন করেছেন, এমন দাবি নাকচ করেছেন বিচারকরা।
আবদেসলামের আমৃত্যু কারাদণ্ডের অর্থ হলো ৩০ বছর কারাবাসের পর প্যারোলে তার মুক্তি পাওয়ার সুযোগ খুবই কম।
ফ্রান্সে অপরাধীদের কঠোরতম সাজা হলো আমৃত্যু কারাদণ্ড। দেশটির আদালতে এ ধরনের সাজা দেয়ার ঘটনা বিরল।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এডিথ সিউরাত বিবিসিকে বলেন, এ দণ্ডে বেদনা উপশম করেনি। তিনি সন্তুষ্ট নন।
ওই নারী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ক্ষত ও মানসিক যন্ত্রণা, দুঃস্বপ্ন ও আঘাত বয়ে বেড়াচ্ছি। এখনও আমাদের এটা নিয়েই বাঁচতে হচ্ছে।’
বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
প্যারিসে সিরিজ হামলায় ২০ জনকে দুই বছর থেকে শুরু করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
হামলায় জড়িতদের মধ্যে ৩৭ বছর বয়সী মোহামেদ আবরিনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাকে কমপক্ষে ২২ বছর কারাগারে কাটাতে হবে।
হামলাকারীদের কয়েকজনকে প্যারিসে গাড়ি চালিয়ে আনার কথা স্বীকার করেন আবরিনি।
ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের সাধারণত ১৮ থেকে ২২ বছর কারাবন্দি থাকতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে সেটা ৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এরপর আসামি প্যারোলের জন্য বিবেচিত হন।
হামলার সমন্বয়কারী মরক্কো বংশোদ্ভূত বেলজিয়ামের নাগরিক মোহামেদ বাক্কালিকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিনি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাসা ভাড়া দিয়েছিলেন হামলাকারীদের।
সুইডেনের নাগরিক ওসামা ক্রায়েম ও তিউনিসিয়ার নাগরিক সোফিয়েন আয়ারিকে ৩০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে আমস্টারডাম বিমানবন্দরে আলাদা হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন।
মোহাম্মদ উসমান ও আদেল হাদ্দাদিকে ১৮ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য ছয়জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। পশ্চিমা বাধা উপেক্ষা করে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরিকল্পনা বুঝতে ঘাম ঝরাতে হচ্ছে পশ্চিমা গোয়েন্দাদের।
এমন পরিস্থিতিতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি-সেভেনের সম্মেলন চলাকালে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দাবি করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নারী হলে ইউক্রেন আক্রমণ করতেন না।
বরিস বলেন, ‘যদি পুতিন একজন নারী হতেন, স্পষ্টই তিনি তা নন, কিন্তু তিনি যদি হতেন, আমি সত্যিই মনে করি না যে তিনি আক্রমণ ও সহিংসতার জন্য একটি পাগলাটে যুদ্ধ শুরু করতেন।’
তার মতে, ইউক্রেনে আক্রমণ বিষাক্ত পুরুষত্বের একটি নিখুঁত উদাহরণ। তাই তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পদগুলোতে নারীদের যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধের চার মাস হয়ে গেলেও যুদ্ধ সমাপ্তির কোনো লক্ষণ নেই। ন্যাটো বলছে, যুদ্ধ দীর্ঘ হবে।
তবে জি-সেভেনের নেতারা মরিয়া হয়ে চাইছেন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি, এমনটাই জানিয়েছেন বরিস জনসন। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন, সহসা যুদ্ধ অবসানে কোনো চুক্তির সম্ভাবনা নেই।
তবে জনসনের মতে, পশ্চিমাদের উচিত হবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাওয়া। ফলে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে জেলেনস্কি ভালো অবস্থানে থাকবেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
দোনবাসের বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন:ন্যাটো সদস্য হওয়ার জন্য সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেবে তুর্কিয়ে। তুর্কিয়ের এ সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের ন্যাটোতে যোগদানের সবচেয়ে বড় বাধার অবসান হলো।
পশ্চিমা এই সামরিক জোটের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৩০। ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যোগ দিতে হলে প্রতিটি দেশের সমর্থন লাগবে। কোনো একটি ন্যাটোভুক্ত দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যোগদানের বিষয়ে ভেটো প্রদান করলেই দেশ দুটির ন্যাটোতে যোগদান স্থগিত হয়ে যাবে। সে কারণে তুর্কিয়ের সমর্থন দুই দেশের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, সন্দেহভাজন জঙ্গিদের তুরস্কে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে সুইডেন চেষ্টা বাড়াতে সম্মত হয়েছে এবং সুইডেন ও ফিনল্যান্ড দুই দেশই তুরস্কের ওপর দেয়া অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয়েছে।
ফলে আঙ্কারা সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে যোগদান সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড থেকে যা পাওয়ার ছিল তা তুর্কিয়ে পেয়েছে।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নিনিস্তো বলেছেন, তিনটি দেশের যৌথ স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছে, যেখানে একে অপরের নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন দেবে।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগদালেনা অ্যান্ডারসন বলেছেন, এটি পশ্চিমা জোট ন্যাটোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছিলেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো সদস্য পদের আবেদনের বিরোধিতা করবে তুর্কিয়ে এবং আঙ্কারাকে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে রাজি করাতে যেকোনো চেষ্টা নিষ্ফল হবে।
এরদোগান ফিনল্যান্ড ও সুইডেন সম্পর্কে বলেছিলেন, দুই দেশই তুর্কিয়েতে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ও পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (ডিএইচকেপি/সি) নিরাপদ অতিথিশালা।
তুর্কিয়ে এই দুই সংগঠনকেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
যদিও ন্যাটোর জেনারেল মিরসিয়া জিওনা আশা প্রকাশ করেছিলেন যে তুরস্ককে এই ইস্যুতে রাজি করানো যাবে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে দুই নরডিক দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দুই দেশই নিরপেক্ষ ভূমিকা থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যদিও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দুই দেশকেই সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছিল, ফিনল্যান্ডের এমন পদক্ষেপ রুশ-ফিনিশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি উত্তর ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ফলে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ফিনল্যান্ডকে নিরপেক্ষ দেশের ভূমিকায় থাকতে বাধ্য করার জন্য রাশিয়া সামরিক প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য বিকল্প উপায়ে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
তবে ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্তের কারণে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে মস্কো ঠিক কী কী পদক্ষেপ নেবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি দেশটির সাম্প্রতিক দেয়া বিবৃতিতে।
এর আগেও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যদি ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দেয়, তবে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে।
রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ এর আগে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, দুই দেশ যাতে বাস্তবতা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যথায় বাড়ির পাশে পরমাণু অস্ত্র ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বসবাস করতে হবে তাদের।
এ ছাড়া ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ন্যাটোর সম্প্রসারণ কীভাবে কার্যকর হয় এবং তা রুশ সীমান্তের কতটা কাছে চলে আসে, তার ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।’
ফিনল্যান্ডে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান রাও নরডিক। যদিও বলা হচ্ছে, দেশটির ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি। পাওনা টাকা নিয়ে জটিলতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাও নরডিক।
তবে ফিনল্যান্ড বলছে, রাশিয়া দেশটির চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। ফলে ফিনল্যান্ড বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ আনতে পারবে। এটি দেশটির জন্য খুব একটা চাপ নয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য