× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফ্যাক্ট চেক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহর জমিতে নয়
google_news print-icon

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহর জমিতে নয়

ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়-সলিমুল্লাহর-জমিতে-নয়
বলা হয়ে থাকে, নবাব সলিমুল্লাহ ৬০০ একর জমি দিয়েছেন। আমি নিজেই এটা নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি৷ কেউ কেউ বলেছে, কলকাতা কমিশন রিপোর্টের মধ্যে এটি উল্লেখ আছে। আমি সেই রিপোর্টটিও আদ্যোপান্ত দেখেছি। কোথাও এ ধরনের কোনো তথ্য নেই: ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার জমিতে, এ নিয়ে ব্যাপকভাবে চালু একটি প্রচার হচ্ছে, নওয়াব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ দান করেছেন এই জমি। তবে এর ঐতিহাসিক কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নবাব পরিবারের জমি দান নিয়ে দুটি মত প্রচলিত আছে। প্রথমটি হলো, নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর ৬০০ একর জমির ওপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় মতটি উল্টো। সেটি হলো, দান করার মতো জমি নওয়াব পরিবারের ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়, তার অধিকাংশই সরকারি খাসজমি।

তবে তথ্য বলছে, ১৯২১ সালে দেশের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জন্মের ছয় বছর আগে ১৯১৫ সালে মারা যান সলিমুল্লাহ। আর তার মৃত্যুর আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আলোচনার সময় নওয়াব সলিমুল্লাহর ভূমিকার সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ মেলে।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের ঘোষণার পর যখন পরিকল্পনা রদ করা হয়, তখন ১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ।

তবে ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। যদিও এর তিন বছর পর ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশন ইতিবাচক মত দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইনসভা পাস করে ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং ১৩) ১৯২০।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহর জমিতে নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল। ছবি: ফেসবুক

এটিই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনি ভিত্তি। আর ১৯২১ সালের ১ জুলাই ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

এবার ১০০ বছর পূর্তিতেও আবার সেই পুরোনো আলোচনা উঠে এসেছে যে, নওয়াব সলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দিয়েছিলেন কি না।

এই মতটি বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক যে ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ আছে, তাতেও খুব জোরালোভাবে তুলে ধরছেন কেউ কেউ। বলা হয়, ‘কলকাতা কমিশন রিপোর্টে’ নাকি সলিমুল্লাহর জমি দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ আছে।

তবে এই কমিশনের রিপোর্ট পুরোটা পড়েও এই তথ্যের কিছুই পাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান খান।

‘এটা শুধুই গল্প’

সিদ্দিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে, নবাব সলিমুল্লাহ ৬০০ একর জমি দিয়েছেন। আমি নিজেই এটা নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি৷ কেউ কেউ বলেছে, কলকাতা কমিশন রিপোর্টের মধ্যে এটি উল্লেখ আছে। আমি সেই রিপোর্টটিও আদ্যোপান্ত দেখেছি। কোথাও এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন সলিমুল্লাহ বেঁচেই ছিলেন না। জমি দান করার বিষয়টা একটা গল্প।’

তিনি জানান, ১৯০৫ সালে পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশ যখন হয়, সে সময় এখন যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত যে জায়গাগুলো আছে, এগুলো সরকার আগেই অধিগ্রহণ করে নিয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহর জমিতে নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য। ফাইল ছবি

‘সাধারণত অধিগ্রহণ করলে যাদের জমি তাদের টাকাপয়সা দিতে হয়। সেভাবেই সরকার এই জায়গাগুলো দখল করে নিয়েছিল। তাই যখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এ জায়গাগুলো সলিমুল্লাদের ছিল না৷ ফলে ৬০০ একর জমি দেয়া এটি একটি গল্প’- বলেন ইসলামের ইতিহাসের এই অধ্যাপক।

সলিমুল্লাহকে নিয়ে চলা প্রচার খতিয়ে দেখতে কাজ করা এই অধ্যাপক বলেন, ‘এ ধরনের মিথ বা গল্প তৈরি করে সলিমুল্লাহকে বড় করতে হবে না। এটা ছাড়াও সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক ভূমিকা রেখেছেন৷’

কী ভূমিকা, তার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘লর্ড হার্ডিঞ্জ বা সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে রাজি করানোর ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রয়াসটা ওনারই ছিল৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক পর্যায়ে নাথান কমিশন গঠন এবং যত দিন তিনি জীবিত ছিলেন এটিকে এক্সপাডাইস করা এটিই হলো ওনার বড় কন্ট্রিবিউশন। এটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই৷ ওনার নামে হলের যে নামকরণ, প্রারম্ভিক পর্যায়ের তার অবদানকে বিবেচনা করেই এটি করা হয়েছে।’

একই বিভাগের অন্য অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘নবাব সলিমুল্লাহ সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি দেননি। তিনি পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য জমিগুলো দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে সরকার দলিল ছাড়াই এ জমিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়। তবে স্বাধীনতার অনেক পরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের কাছ থেকে কিছু জায়গার দলিল নিয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো তথ্যই নেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পার হলেও কাদের জমির ওপর এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত, সেটি নিয়ে অস্পষ্টতা দূর করতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। কোনো তথ্য নেই কোনো বিভাগে। যদিও শিক্ষার্থীদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্যে আছে নানা মত।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানও কিছু বলতে পারেননি। নিউজবাংলার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মত থাকবে। ভালো করে গবেষণা করে এটি বের করতে হবে।’

তবে এই গবেষণার উদ্যোগ কেউ নেবে কি না, এই বিষয়টি কেউ বলতে পারেননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহর জমিতে নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি

সরদার ফজলুল করিম ও অধ্যাপক রাজ্জাকের কথোপকথন

সরদার ফজলুল করিম রচিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ: অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক-এর আলাপচারিতা ও অন্যান্য’ শীর্ষক বইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির মালিকানা নিয়েও আলাপচারিতা আছে।

সরদার ফজলুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সলিমুল্লাহ হল নিয়ে জানতে চান জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের কাছে।

প্রশ্ন করা হয়, ‘স্যার, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলমান ছাত্রদের প্রথম ছাত্রাবাসের নাম যে সলিমুল্লাহ হল রাখা হলো, এর কারণ কী? এতে নওয়াব পরিবারের কি কোনো আর্থিক কন্ট্রিবিউশন ছিল?’

উত্তরে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আদৌ কোনো কন্ট্রিবিউশন ছিল না। আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী লেখাপড়ায় ব্রিলিয়ান্ট ছিল। তারা আহসান মঞ্জিলের টাকায় লেখাপড়া করেছে। তারা সলিমুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করত। ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার প্রায় ১০ বছর পরে তার একটা মৃত্যুবার্ষিকীতে তার নামে একটা ছাত্রাবাস করার প্রস্তাব তারা করেন।’

এই বইয়ে উল্লেখ আছে, “আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কোনো মুসলমান ধনীর কাছ থেকেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডাইরেক্টলি কোনো ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্রিবিউশন পায় নাই’।”

‘সলিমুল্লাহ হল যে তৈরি হলো তা পুরোই সরকারের টাকায়। নওয়াব পরিবারের টাকায় নয়; জায়গাতেও নয়। রমনায় যে জায়গায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি, তা পুরোটাই খাসমহল এবং সরকারের জমি। সেটেলমেন্ট রিপোর্টে তাই আছে।’

ঢাকার নওয়াবদের ভূসম্পত্তির উৎস কী?- এমন প্রশ্নে আব্দুর রাজ্জাক বলন, ‘ঢাকার নওয়াবদের জমিজমা এসেছে প্রধানত একটি সূত্রে থেকে। ঢাকার স্থানীয় মুসলমানরা কোনো কোনো সম্পত্তি নওয়াব আবদুল গণি ও আহসানউল্লাহকে ওয়াক্‌ফ করে দিয়ে যেত। ঢাকার নবাবদের জমির উৎস এই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহর জমিতে নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল। ফাইল ছবি

‘তা-ও বেশ কিছু জায়গাজমি নয়। এটার ভেরিফিকেশন তো সোজা। ইন্টারেস্টেড যে কেউ ঢাকা কালেক্টরেটে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। কাজেই নবাব পরিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জমি দেবে, এমন জমি কোথায় ছিল? আহসান মঞ্জিলের কোনো জমি ছিল না।’

ভিন্ন মত, তবে তথ্য সুনির্দিষ্ট নয়

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মনে করেন, সলিমুল্লাহ জমি দান করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল যে ক্যাম্পাস, সেটা ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এ জমিকে সুরক্ষা দিতে পারেনি। কাঁটাবনে যে মসজিদটি আছে, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা৷ এটি জবরদখল করা জায়গা৷

‘জবরদখল জায়গা হওয়ার জন্যই এখানে কোনো জুমার নামাজ হতে পারে না। এলিফ্যান্ট রোডের দোকানদাররা ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়বে বলে একটা বেড়ার ঘর বানিয়ে নামাজ পড়েছিল৷ তারপর এটিকে জামায়াতে ইসলামী দখল করে মিশন মসজিদ বানিয়ে ফেলেছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাহস হয়নি ওদের উৎখাত করার৷

‘বেইলি রোড, মিন্টো রোড, এখন যেখানে মন্ত্রী-সচিবরা থাকেন, এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড়িগুলো ছিল। ’৪৭-এ এগুলোও বেহাত হয়ে যায়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কখনো সাহস হয়নি এগুলো দখল করার।’

তবে সলিমুল্লাহর জমি দানের তথ্যটি কোথায় পেয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি এই অধ্যাপক।

আর জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাসের যে অনুসন্ধান, সে বিষয়ে প্রশ্ন করার আগেই ‘ধন্যবাদ’ বলে ফোন রাখেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

আরও পড়ুন:
‘গৌরবগাথা নিয়ে শতবর্ষ পাড়ি ঢাবির’
ঢাবির পরিবহন ও আবাসিক ফি মওকুফ
ঢাবি থেকে ডিগ্রি পেলেন ৫৫ গবেষক
ছাত্রলীগের অবস্থান: ঢাবির ২ হলে মধ্যরাতে প্রশাসনের অভিযান
মাদক: ঢাবি থেকে পাঁচ বহিরাগত আটক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফ্যাক্ট চেক
If the health of the institution is not good the education system of the country will not improve the VC of the National University in Jamalpur

প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য যদি ভালো না হয় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবেনা; জামালপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য যদি ভালো না হয় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবেনা; জামালপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সত্তুর শতাংশ উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য যদি ভালো না হয় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবে না।
জামালপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত জামালপুর শেরপুর জেলার কলেজ সমূহের অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষকগণের সাথে শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের মিলনায়তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর এ এস এম আমানুল্লাহ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মো: নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আফসানা তাসলিম। এ সময় তিনি আরো বলেন, উন্নত দেশগুলোতে যেখানে মোট জিডিপির তিন থেকে পাঁচ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশে মাত্র এক দশমিক পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয় যা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য খুবই অপ্রতুল। এখান থেকে বিশ্বমানের নাগরিক গড়ে তোলা সম্ভব নয়। শিক্ষাব্যবস্থায় মোট জিডিপির পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। এ ছাড়াও তিনি প্রাইমারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেন না। মত বিনিময় সভায় জামালপুর শেরপুর জেলার কলেজসমূহের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
National University Vice Chancellor is working to build skilled human resources to address challenges

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে স্নাতকে (অনার্স) তথ্য প্রযুক্তি ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আধুনিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে গতকাল বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের এটুআই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এসব কথা বলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাক্রমের আইসিটি বিষয়ের ‘টিচিং, লার্নিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক এ কর্মশালার প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর।

উপাচার্য বলেন, কলেজগুলোতে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষাদানে শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সব টেকনিক্যাল কলেজ ও কম্পিউটার কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের কলেজ শিক্ষার্থীদের মেধার ঘাটতি নেই। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তারা সহজেই তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, সময়োপযোগী ও কর্মমুখী তথ্য প্রযুক্তি পাঠ্যক্রম প্রণয়নে সরকারের এটুআই প্রোগ্রাম ও শিক্ষাবিদদের প্রতি আহ্বান জানান অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।

কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন কলেজের ৮টি বিভাগের ৪০ জন তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. নাজমা তারা এবং মির্জা মোহাম্মদ দিদারুল আনাম।

এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
The High Court order is suspended on September 7 the Daksu elections

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই থাকছে, ৯ সেপ্টেম্বরই ডাকসু নির্বাচন

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই থাকছে, ৯ সেপ্টেম্বরই ডাকসু নির্বাচন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতই রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো বাধা রইল না।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে রায়ে বলা হয়েছে।

এদিন আদালতে ঢাবির পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির, রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং ডাকসুর জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদের পক্ষে ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী শুনানি করেন।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এ রিট দায়ের করেন।

রিটে অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন— এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

এরপর গেল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে কোন প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং ভোটের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া কী— এ বিষয়েও জানতে চান চাওয়া হয়।

তবে তার এক ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের আদালত ওই স্থগিতাদেশ দেন।

ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় পুনরায় মামলাটির বিষয়ে গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন নিয়ে চেম্বার জজ আদালতে গেলে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুনানির জন‍্য মামলার দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।

জানা গেছে, নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ২১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Ali Hussein who threatened to rape expelled from Dabi

ধর্ষণের হুমকি দেওয়া আলী হুসেনকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

ধর্ষণের হুমকি দেওয়া আলী হুসেনকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে এক নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আলী হুসেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বাসিন্দা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ ও হুমকি দেওয়ার ঘটনায় আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত প্রক্টরিয়াল সত্যানুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এটি বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারে প্রদত্ত প্রক্টরের এখতিয়ারভুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে আলী হুসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিটিতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Private teacher employee ordered the allowance within 6 months of retirement

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরের ৬ মাসের মধ্যে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরের ৬ মাসের মধ্যে ভাতা দেওয়ার নির্দেশ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৩ পৃষ্ঠার এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশ করেছেন।

রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসরকালীন সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের সময় হাইকোর্ট বলেন, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকরা রিটায়ারমেন্ট (অবসরকালীন) বেনিফিট (সুবিধা) পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এ জন্য তাদের অবসরভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।

সেদিন রায়ের পর আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, সারাদেশে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় ৫ লাখের বেশি শিক্ষক কর্মচারী অবসরকালীন সুবিধা পেতে ২০১৯ সালে একটি রিট দায়ের করেছিলাম। রিটে আমরা ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে ৬ শতাংশ কেটে নেওয়া হতো। সেই কর্তনকৃত টাকাসহ সুবিধান অবসরের পর দেওয়া হতো। এই অবস্থায় ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তে নেয়। ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও ৬ শতাংশের যে সুবিধা দেওয়া হতো সেটাই বহাল রাখা হয়। যে কারণে আমরা রিট দায়ের করে বলেছি, যাতে ১০ শতাংশের সুবিধা দেওয়া হয়। এরপর এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে আদালত বলেছেন, ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হলেও তাদের যেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অবসরের ৬ মাসের মধ্যে যেন অবসরকালীন সুবিধা প্রদান করা হয়।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার বিধানগুলো সংশোধনপূর্বক ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ করে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ কাটার পরিবর্তে ৪ শতাংশ এবং ৬ শতাংশ কাটার বিধান করা হলেও ওই অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোনো বাড়তি আর্থিক সুবিধার বিধান করা হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিল ২০১৯ মাসের বেতন হতে ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

ফলে অতিরিক্ত অর্থ কাটার বিপরীতে কোনো আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করেই শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা কাটার আদেশের কারণে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত অর্থ কাটার আদেশ বাতিল করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তারা বিভিন্ন সময়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষক ও কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Daksu Election Case today is number one in the Appellate Division

ডাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা আজ আপিল বিভাগে কার্যতালিকার এক নম্বরে

ডাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা আজ আপিল বিভাগে কার্যতালিকার এক নম্বরে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানি আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে সোমবার হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন। তবে বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ওই আদেশ স্থগিত করেন।

তাৎক্ষণিক হাতে লেখা আপিল আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব চেম্বার কোর্টে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

চেম্বার আদালত একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল আবেদন করে। পরে চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।

সোমবার হাইকোর্ট বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেন।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ডাকসু জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানিতে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

হাইকোর্ট আদেশে রিটকারী ও ডাকসু নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Soon the stagnation of the educational institution will end Education adviser

শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থার অবসান হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থার অবসান হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে অচলাবস্থা চলছে, শিগগিরই সে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে অচলাবস্থা চলছে, তা দুঃখজনক। এজন্য মন্ত্রণালয়ও উদ্বিগ্ন। তবে আলোচনা করেই এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। শিগগিরই এসব ঘটনার সমাধান হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি কারও কাম্য নয়। তবে সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।

চলমান সমস্যাগুলো দ্রুততম সময়ে সমাধান করা হবে এবং এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন উপদেষ্টা।

মন্তব্য

p
উপরে