× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফ্যাক্ট চেক
মিথেনের হটস্পট মাতুয়াইল সত্যি নাকি অতিরঞ্জন?
google_news print-icon

মিথেনের ‘হটস্পট’ মাতুয়াইল: সত্যি নাকি অতিরঞ্জন?

মিথেনের-হটস্পট-মাতুয়াইল-সত্যি-নাকি-অতিরঞ্জন?
মাতুয়াইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আর্বজনার ভাগাড়কে মিথেন গ্যাস নিঃসরণের হটস্পট হিসেবে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যম। ছবি: নিউজবাংলা
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনের তথ্য গুরুত্ব পেয়েছে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও। তবে মাতুয়াইল ভাগাড় থেকে বিপুল মিথেন নিঃসরণের বিষয়টি মানতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। সিটি করপোরেশনেরও দাবি, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন ‘অতিরঞ্জিত’। এমন অবস্থায় মাতুয়াইলের ভাগাড়ের প্রকৃত চিত্র ঘুরে দেখেছে নিউজবাংলা।

বাংলাদেশের আকাশে মিথেন গ্যাসের বিশাল আস্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। একটি প্রতিবেদনে, ঢাকার মাতুয়াইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আর্বজনার ভাগাড়কে মিথেন গ্যাস নিঃসরণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কানাডার মন্ট্রিলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিএইচজিস্যাটের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন জার্মেইনের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লমবার্গ জানায়, মাতুয়াইল ভাগাড় থেকে ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার কেজি মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ ঘটছে। প্রতি ঘণ্টায় ১ লাখ ৯০ হাজার গাড়ি যে পরিমাণ বায়ুদূষণ ঘটায়, তার সমান দূষণ ঘটাচ্ছে মাতুয়াইলের মিথেন।

মিথেন বর্ণহীন, গন্ধহীন একটি গ্রিনহাউস গ্যাস। পরিবেশবিদদের মতে, গত ২০ বছরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে পরিবেশের ৮০ গুণ বেশি ক্ষতি করেছে মিথেন। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে এই গ্যাস।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে প্যারিসভিত্তিক কেয়রোজ এসওএস নামের প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, চলতি বছর মিথেন নিঃসরণকারী শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ১৩তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনের তথ্য গুরুত্ব পেয়েছে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও। তবে মাতুয়াইল ভাগাড় থেকে বিপুল মিথেন নিঃসরণের বিষয়টি মানতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। সিটি করপোরেশনেরও দাবি, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন ‘অতিরঞ্জিত’। এমন অবস্থায় মাতুয়াইলের ভাগাড়ের প্রকৃত চিত্র ঘুরে দেখেছে নিউজবাংলা।

মিথেনের ‘হটস্পট’ মাতুয়াইল: সত্যি নাকি অতিরঞ্জন?

মাতুয়াইলে প্রতিদিন ২৮০০ টন বর্জ্য

অবিভক্ত ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ১৯৮৯ সালে মাতুয়াইল ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে স্থাপন করা হয় আবর্জনার ভাগাড়। ২০০৬ সালে আরও ৫০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে ভাগ হওয়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ধারণক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় পরে আরও জমি অধিগ্রহণ করা হয়। মাতুয়াইলের মতোই আরেকটি আবর্জনার ভাগাড় রয়েছে আমিন বাজারের বলিয়ারপুরে, তবে এটির নিয়ন্ত্রণ উত্তর সিটি করপোরেশনের।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের নিউজবাংলাকে জানান, মাতুয়াইলে এখন সব মিলিয়ে ১৮১ একর জমিতে দিনে প্রায় ২৮০০ টন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।

এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে, আর্বজনার স্তূপের পর স্তূপ তৈরি করে রীতিমতো ময়লার পাহাড় বানিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিদিন নতুন স্তূপের নিচে চাপা পড়ছে শ শ টন পুরোনো আর্বজনা।

রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক বা ভ্যানে আবর্জনা আনা হয় এই দুটি ভাগাড়ে। ভাগাড়ে পৌঁছানোর পর একের পর এক আবর্জনা আনলোড করেন গাড়িচালকেরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেলে দেয়া আবর্জনা ভেকু মেশিনের মাধ্যমে ওলোট-পালট করা হচ্ছে। আর সেসব থেকে প্লাস্টিক, লোহাজাতীয় দ্রব্য কুড়াচ্ছেন দরিদ্র কিছু মানুষ।

মাতুয়াইল আবর্জনা ভাগাড়ের দায়িত্বরত কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিদিন প্রায় সাড়ে সাত শ ট্রাক আর্বজনা নিয়ে আসে এখানে। বর্তমানে উত্তর দিক দিয়ে ভরাট করে সামনে এগোচ্ছে। আবর্জনার স্তূপের চাপে ভরাট অংশের বেশির ভাগই কঠিন অবস্থায় রয়েছে। জলাভূমি বা পচনশীল পরিবেশ কম থাকায় গ্যাস নির্গমণের সুযোগ তেমন নেই।

আবর্জনার এই ভাগাড় থেকে পরিত্যক্ত সামগ্রী সংগ্রহ করে জীবিকা চালান, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। ভাগাড় থেকে কোনো ধরনের গ্যাস নিঃসরণের বিষয়টি চোখে পড়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তারা।

আব্দুল আলিম নামের একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক মাস আগে এইখানে আবর্জনার মধ্যে দুইবার আগুন ধরছে। এতে সবাই ভাবছে কি না কি হইছে। এইডা নিয়া শুনলাম বিদেশে রিপোর্ট হইছে। গুজব ছড়াইছে।’

তিনি বলেন, ‘আসলে গ্যাসের কোনো ঘটনা না। ঘটনা হইলো কয়েক মাস আগে সিটি করপোরেশন মাতুয়াইলের এইখানে টোকাই পোলাপাইন ঢোকা নিষেধ করছিল। গেট দিয়ে আনসাররা ভিতরে ওগো ঢুকতে দেয় নাই। এর লাইগা পোলাপাইন রাগ হইয়া শয়তানি কইরা আগুন লাগাইছিল। আগুন লাগার পরে ঘটনা হাতড়াইতে হাতড়াইতে বিষয়ডা আমরা ট্যার পাইছি।’

তিনি বলেন, ‘এইখানে যেসব পোলাপাইন কামকাজ করে, বোতল প্লাস্টিক টোকায় হ্যারা খুবই বিটলা। রাতের বেলা ঢুইকা বিড়িবুড়ি খাইয়া আগুন ধরাইয়া দিছিল। ভেতরে এমন অবস্থা যে, কেউ বিড়ি খাইয়া ফেললেও আগুন ধইরা যাইব। আর এক জায়গায় আগুন ধরলে আস্তে আস্তে ছড়ায়ে পড়ে, কারণ সব তো পলিতে (পলিথিন) ভরা।’

দিলরুবা আক্তার নামের আরেকজন বলেন, ‘এখানে গ্যাস-ট্যাস কইত্তে আইব! আমরা হারা (সারা) বছর কাম করি, কই কিছুই তো দেহি না। মানুষ খাইয়া কাম পায় না, আজগুবি কথা ছড়ায়।’

অল্প কিছু জায়গায় বুদবুদ দেখিয়ে দিলরুবা বলেন, ‘ওইগুলো তো ময়লার গাদ। বুদবুদিগুলারে যদি গ্যাস কইয়া থাকে তাইলে গ্যাস। যেইহানে ময়লা-আর্বজনা পানির মইধ্যে পড়ছে সেইহানে ময়লাগুলা পইচ্চা গাদ হইছে। আর ওগুলা থেইক্কা বুদবুদ বাইর হয়। অন্য কিচ্ছু না। হেরম কিছু হইলে আমরা এইহানে টিকতে পারতাম?’

মিথেনের ‘হটস্পট’ মাতুয়াইল: সত্যি নাকি অতিরঞ্জন?

দিলারা খাতুন নামের এক নারী বলেন, ‘এখানে আইলে এমনতি গন্ধ লাগে। লাগবই তো। আর্বজনার মধ্যে আইলে কি সেন্ট (সুগন্ধ) পাইব? কিন্তু আমাগো এখন আর গন্ধ লাগে না, রোগ–বালাইও হয় না। এখানে যারা কাম করে খোঁজ নিয়া দ্যাহেন কারো ঘা-পাচড়াও নাই।’

স্থানীয় চা-দোকানি ফাহাদ আলী ইমরান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আট বছরের মধ্যে এই ভাগাড়ের মধ্যে কখনো কোনো দুর্ঘটনা দেখি নাই, আবার শুনিও নাই। তয় হঠাৎ হঠাৎ বিরাট দুর্গন্ধ আসে। প্রতিদিন পচা-পাইচকো ফেললে ওগুলার তো একটা তেজ আছে। মনে হয় ওই তেজটাই বের হয়।’

স্থানীয় একজন প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘এখানে (মাতুয়াইল) যদি মিথেন গ্যাস বের হতো, তাহলে তো আমিন বাজারের বলিয়ারপুরেরও আর্বজনার ভাগাড়েরও একই অবস্থা হওয়ার কথা। বলিয়ারপুর তাহলে কেন হটস্পট হলো না?’

সিটি করপোরেশনের দাবি, প্রতিবেদন ‘অতিরঞ্জিত’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্লুমবার্গের রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবতা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা আমাদের কাছে একটা ফলস ইনফরমেশন মনে হচ্ছে। বিষয়টি যাচাই করতে আমরা বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিটিং করছি। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মাতুয়াইল একটি আবর্জনার ভাগাড়। আর তাই সেখান থেকে মিথেন গ্যাস একেবারেই যে নিঃসরণ হয় না, তা নয়। তবে রিপোর্টটা যেভাবে হয়েছে, সেটা সত্য না।’

মিথেনের ‘হটস্পট’ মাতুয়াইল: সত্যি নাকি অতিরঞ্জন?

মো. বদরুল আমিন বলেন, ‘এক-দেড় মাস আগে একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেটা হলো, ওখানে যারা কাজ করে অর্থাৎ প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্র কুড়ায়, সীমানাপ্রাচীর দেয়ার পর আমরা তাদের ভাগাড়ে ঢুকতে নিষেধ করেছিলাম। কারণ, ময়লা-আর্বজনার মধ্যে অনেক কিছু পাওয়া যায়, যেগুলো থেকে সিটি করপোরেশনের একটা আয় আসতে পারে। সে জন্য স্পটটিকে আমরা ইজারা দিতে চেয়েছিলাম।

‘এ জন্য ওখানে যে দুই আড়াই শ লোক আবর্জনা কুড়ায় তাদের ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছিল। এতে তারা ওখানে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানতে পেরেছি।’

প্রতিবেদনের দাবির সঙ্গে ভিন্নমত বিশেষজ্ঞদের

বুয়েট অধ্যাপক ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিথেন গ্যাস নির্গত হচ্ছে সেটা আমরা জানতাম। কিন্তু ওটা এত ব্যাপকভাবে উঠে যে একটা ক্লাউড তৈরি করতে পারে, সেটা আমাদের ধারণাতে ছিল না। এটা শতভাগ যৌক্তিক বা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে আরও অনুসন্ধান করা দরকার।’

ভিন্নমতের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘মিথেন গ্যাস যে শুধু ময়লার স্তূপ থেকে হয় বিষয়টি এমন না। বর্জ্য থেকে তো এমনিতেই বের হয় মিথেন। এর বাইরে গরুর গোবর থেকে হয়, গাড়ি থেকে একটা অংশ বের হয়, ধান ক্ষেত থেকে বের হয়।

‘ব্লুমবার্গ যেটা করছে বলে জানতে পেরেছি সেটা তো স্যাটালাইটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ। আমাদের তো তেমন সাপোর্ট নেই। সেই সাপোর্ট থাকলে আমরা এখনই বিষয়টা নিয়ে খোলসা হতে পারতাম।’

তবে মাতুয়াইলে বিজ্ঞানসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরেও জোর দিচ্ছেন ড. ইজাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা মাতুয়াইলকেন্দ্রীক একটা প্রকল্প করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম সরকারকে। যেখানে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ওয়েস্টেজ ম্যানেজ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সিটি করপোরেশন রাজি হয়নি, কারণ তাদের ওখান থেকে বড় একটা আয় আসে হয়ত।

‘আমার ধারণা আমাদের এখানে আর্বজনা ওপেন ডাম্পিং হয় বলে বিদেশি সংস্থা এমন কিছু বলার সুযোগ পেয়েছে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে হলে হয়ত এমনটা নাও শোনা যেতে পারত।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম জানান, ময়লা থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হবে, এমনটাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, ‘যে সংবাদটা এসেছে সেটা যে প্রমাণিত সত্য তা বলা যাবে না। তবে এটাকে স্যাম্পল হিসেবে ধরে কারিগরি কমিটি করে সরকারিভাবে আর্ন্তজাতিক স্ট্যান্ডার্ডে আমাদের যাচাই-বাছাই করতে হবে। কারণ দূষণ যে হয় সেটা তো আমরা অস্বীকার করি না, কিন্তু বাড়াবাড়ি ধরনের কোনো অপবাদ নেয়া ঠিক হবে না।’

ড. শামসুল আলমও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনকে ‘অতিরঞ্জন’ মনে করছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে দূষণের ব্যাপারটা যে আছে বা হচ্ছে সেটা তো কারও অজানা না। কিন্তু ব্লুমবার্গ যে তথ্য দিচ্ছে সেটা আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। মাতুয়াইলকে হটস্পট বলাটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’

এ ধরনের আলোচনা এড়াতে ছোট ছোট ওয়েস্টেজ ডিসপোজাল ইউনিট বসিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘এটা করা গেলে দূষণও ঠেকানো যাবে, আবার আর্বজনাকেও কাজে লাগানো যাবে।’

আরও পড়ুন:
লকডাউনে সমুদ্রে কমেছে শব্দদূষণ: গবেষণা
বিষাক্ত মিথেনের কালো ছায়ায় বাংলাদেশ
ঢাকার চেয়ে বেশি বায়ুদূষণ মানিকগঞ্জে
কর্ণফুলী দূষণে চিন হুং ফাইবার্সকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
ঢাকার প্রবেশমুখে পানি ছিটাবে ফায়ার সার্ভিস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফ্যাক্ট চেক
Air pollution still improves Lahore Dhaka in the top five

বায়ুদূষণে আজও শীর্ষ পাঁচে লাহোর, ঢাকার উন্নতি

বায়ুদূষণে আজও শীর্ষ পাঁচে লাহোর, ঢাকার উন্নতি

বেশ কয়েকদিন পর গতকাল সকালে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোর। তবে এক দিন পরই বায়ুমানে ফের অবনতি হয়েছে শহরটির। অন্যদিকে, কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে ঢাকার বাতাসের।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় লাহোরের বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ১৫৩, দূষণের এই মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত।

কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

দীর্ঘদিন একিউআই স্কোর ১৫০ বা তার ওপরে থাকা লাহোরের বাতাসের মান গতকাল সকালে ১২৪-এ নামে। সেইসঙ্গে দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকেও বের হতে সক্ষম হয় শহরটি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তা আবারও পুরনো জায়গায় ফিরে গেছে পাকিস্তানের এই শহর।

আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ শহর হয়েছে লাহোর। ১৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তার ঠিক উপরে রয়েছে মিসরের কায়রো। আর ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে চিলির সান্তিয়াগোতে।

কেমন আছে ঢাকা

এদিকে, বর্ষার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকার বায়ুমান ‘মাঝারি’ অবস্থায় রয়েছে। গতকালও তা-ই ছিল, তবে আজ বাতাসের মানে তার চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে ঢাকার।

আজ সকালে ৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার ৩১তম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা। গতকাল সকালে এই স্কোর ছিল ৭৯।

সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।

এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে গতকাল সকালের মতোই তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ। একই সময়ে দিল্লির বাতাসের সূচক ৮৯ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ২০তম।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Air pollution still improves Lahore Dhaka in the top five

বায়ুদূষণে আজও শীর্ষ পাঁচে লাহোর, ঢাকার উন্নতি

বায়ুদূষণে আজও শীর্ষ পাঁচে লাহোর, ঢাকার উন্নতি

বেশ কয়েকদিন পর গতকাল সকালে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোর। তবে এক দিন পরই বায়ুমানে ফের অবনতি হয়েছে শহরটির। অন্যদিকে, কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে ঢাকার বাতাসের।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় লাহোরের বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ১৫৩, দূষণের এই মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত।

কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

দীর্ঘদিন একিউআই স্কোর ১৫০ বা তার ওপরে থাকা লাহোরের বাতাসের মান গতকাল সকালে ১২৪-এ নামে। সেইসঙ্গে দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকেও বের হতে সক্ষম হয় শহরটি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তা আবারও পুরনো জায়গায় ফিরে গেছে পাকিস্তানের এই শহর।

আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ শহর হয়েছে লাহোর। ১৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তার ঠিক উপরে রয়েছে মিসরের কায়রো। আর ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে চিলির সান্তিয়াগোতে।

কেমন আছে ঢাকা

এদিকে, বর্ষার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকার বায়ুমান ‘মাঝারি’ অবস্থায় রয়েছে। গতকালও তা-ই ছিল, তবে আজ বাতাসের মানে তার চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে ঢাকার।

আজ সকালে ৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার ৩১তম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা। গতকাল সকালে এই স্কোর ছিল ৭৯।

সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।

এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে গতকাল সকালের মতোই তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ। একই সময়ে দিল্লির বাতাসের সূচক ৮৯ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ২০তম।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
The wind of Dhaka is still medium today

ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’

ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’

বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতেই ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার বাতাস যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকর শ্রেণি থেকে বেশ দূরে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল দশটার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, একিউআই সূচকে যা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ।

সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।

এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ ছিল। দিল্লির বাতাসের সূচক ছিল তখন ৯০ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ১৭তম।

তবে অবশেষে আজ দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। একই সময়ে ১২৪ স্কোর নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল শহরটি। বেশ কিছুদিন পর আজ সকালে লাহোরের বায়ুমানে এত উন্নতি হয়েছে। সাধারণত ১৫০-এর নিচে নামে না লাহোরের একিউআই স্কোর।

আজ সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল চিলির সান্তিয়াগো। শহরটির সূচক ছিল ১৬২। ১৬০, ১৫৬ ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে তার পরের তিন শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা, বাহরাইনের মানামা ও কঙ্গোর কিনশাসা। শীর্ষ চার শহরের বায়ুমানই ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের কায়রোর বাতাসের স্কোর ছিল এই সময় ১৩২, অর্থাৎ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Five day hill fruit festivals and fairs are being launched in Dhaka today

ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল উৎসব ও মেলা  শুরু হচ্ছে আজ

ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল উৎসব ও মেলা  শুরু হচ্ছে আজ

পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।

আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।

রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Dhaka South City Corporation approves a budget of Tk

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম কর্পোরেশন সভা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫ (পঁচিশ) জন সদস্য আজ সোমবার নগর ভবনে উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম কর্পোরেশন সভা

সভার শুরুতে ০৫ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কর্পোরেশনের সভার কার্য বিবরণী দৃঢ়ীকরণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অতি. দা.) জনাব আলী মনসুর। পরবর্তীতে, পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন প্রদান করেন।

বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ ও অনুমোদন প্রদান করায় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাজেট কেবল গাণিতিক সংখ্যা নয়। এই বাজেট আমাদের কাছে সম্মানীত করদাতাদের আমানত। এই বাজেট সফলভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করছে আমাদের সবার প্রিয় এই নগরীর ব্যবস্থাপনা এবং আমাদের দৈনন্দিন নাগরিক সমস্যার সমাধান।”

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম কর্পোরেশন সভা

সভায় ১৯৯৮ সাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী নগরবাসীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী ‘আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প-২ পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং বিদ্যমান প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারী এনজিওসমূহের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

পরবর্তীতে, অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত সাময়িক শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৬০০/- (ছয় শত) টাকা হতে ৮০০/- (আট শত) টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, মন্ত্রীপাড়ায় অবস্থিত অস্থায়ী মসজিদটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক একটি তিনতলাবিশিষ্ট নান্দনিক মসজিদে রূপান্তরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয়গণ উপস্থিত ছিলেন।

ফ্যাক্ট চেক
DB was arrested with cash in the robbery

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় নগদ টাকাসহ গ্রেফতার ৩

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় নগদ টাকাসহ গ্রেফতার ৩

রাজধানীর মতিঝিলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র মতিঝিল থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি ও নগদ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. শামিম রহমান (২৯), মো. মিজান রহমান (৫১) ও রবিউল ইসলাম জুয়েল (৪২)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৭-২৯ জুন ঢাকা ও ঝালকাঠিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় শামিমের হেফাজতে থাকা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি, মিজানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও জুয়েলের কাছ থেকে নয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপি’র মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাজধানীর ওয়ারীর নবাবপুরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মো. খলিল মিয়া (২৬) ও ইব্রাহীম হোসেন রিফাত (২৪) নামের দুই ব্যক্তি নগদ ৩০ লক্ষ টাকা মতিঝিল সিটি ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়ার জন্য একটি স্কুটিতে করে রওয়ানা দেন।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছা মাত্রই ৬/৭ জনের একটি দল নিজেদের ডিবি পরিচয়ে তাদেরকে ডিবি লেখা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়।

পরে দুজনকে মারধর করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে হাত-পা বেঁধে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে পালিয়ে যান।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপি’র মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মিজানের নামে ঝালকাঠির রাজাপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানায় আরো দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও লুন্ঠন হওয়া অন্যান্য টাকা উদ্ধারসহ আত্মগোপনে থাকা ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Water tank explosion Hazaribagh burned with two children

পানির ট্যাংক বিস্ফোরণ: হাজারীবাগে দুই শিশুসহ দগ্ধ ৪

পানির ট্যাংক বিস্ফোরণ: হাজারীবাগে দুই শিশুসহ দগ্ধ ৪

রাজধানীর হাজারীবাগের একটি বাসায় পানির ট্যাংক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।

শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় হাজারীবাগের জিগাতলা ট্যানারি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।

আহতরা হলেন- মো. জিয়াউর রহমান (৪৫) ও তার দুই মেয়ে ফারিয়া (৮) ও রাইফা (৪) এবং ট্যাংক পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক বেলাল হোসেন (২৮)।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শাহপরান জানান, চাচার বাসায় বেলাল হোসেন নামের এক শ্রমিক ট্যাংক পরিষ্কার করছিলেন, এ সময় চাচা জিয়াউর রহমান ট্যাংকে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব চালু করার পরই এ বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এমনটা হয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘বেলাল হোসেনের শরীরের ১৭ শতাংশ, জিয়াউর রহমানের ৪ শতাংশ, ফারিয়ার ৫ শতাংশ এবং রাইফার ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’

বর্তমানে তারা সবাই শঙ্কামুক্ত এবং জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে