বাংলাদেশের আকাশে মিথেন গ্যাসের বিশাল আস্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। একটি প্রতিবেদনে, ঢাকার মাতুয়াইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আর্বজনার ভাগাড়কে মিথেন গ্যাস নিঃসরণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কানাডার মন্ট্রিলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিএইচজিস্যাটের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন জার্মেইনের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লমবার্গ জানায়, মাতুয়াইল ভাগাড় থেকে ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার কেজি মিথেন গ্যাসের নিঃসরণ ঘটছে। প্রতি ঘণ্টায় ১ লাখ ৯০ হাজার গাড়ি যে পরিমাণ বায়ুদূষণ ঘটায়, তার সমান দূষণ ঘটাচ্ছে মাতুয়াইলের মিথেন।
মিথেন বর্ণহীন, গন্ধহীন একটি গ্রিনহাউস গ্যাস। পরিবেশবিদদের মতে, গত ২০ বছরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে পরিবেশের ৮০ গুণ বেশি ক্ষতি করেছে মিথেন। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে এই গ্যাস।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে প্যারিসভিত্তিক কেয়রোজ এসওএস নামের প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, চলতি বছর মিথেন নিঃসরণকারী শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ১৩তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনের তথ্য গুরুত্ব পেয়েছে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও। তবে মাতুয়াইল ভাগাড় থেকে বিপুল মিথেন নিঃসরণের বিষয়টি মানতে রাজি নন বিশেষজ্ঞরা। সিটি করপোরেশনেরও দাবি, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন ‘অতিরঞ্জিত’। এমন অবস্থায় মাতুয়াইলের ভাগাড়ের প্রকৃত চিত্র ঘুরে দেখেছে নিউজবাংলা।
মাতুয়াইলে প্রতিদিন ২৮০০ টন বর্জ্য
অবিভক্ত ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ১৯৮৯ সালে মাতুয়াইল ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে স্থাপন করা হয় আবর্জনার ভাগাড়। ২০০৬ সালে আরও ৫০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে ভাগ হওয়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ধারণক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় পরে আরও জমি অধিগ্রহণ করা হয়। মাতুয়াইলের মতোই আরেকটি আবর্জনার ভাগাড় রয়েছে আমিন বাজারের বলিয়ারপুরে, তবে এটির নিয়ন্ত্রণ উত্তর সিটি করপোরেশনের।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের নিউজবাংলাকে জানান, মাতুয়াইলে এখন সব মিলিয়ে ১৮১ একর জমিতে দিনে প্রায় ২৮০০ টন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।
এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে, আর্বজনার স্তূপের পর স্তূপ তৈরি করে রীতিমতো ময়লার পাহাড় বানিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিদিন নতুন স্তূপের নিচে চাপা পড়ছে শ শ টন পুরোনো আর্বজনা।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক বা ভ্যানে আবর্জনা আনা হয় এই দুটি ভাগাড়ে। ভাগাড়ে পৌঁছানোর পর একের পর এক আবর্জনা আনলোড করেন গাড়িচালকেরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেলে দেয়া আবর্জনা ভেকু মেশিনের মাধ্যমে ওলোট-পালট করা হচ্ছে। আর সেসব থেকে প্লাস্টিক, লোহাজাতীয় দ্রব্য কুড়াচ্ছেন দরিদ্র কিছু মানুষ।
মাতুয়াইল আবর্জনা ভাগাড়ের দায়িত্বরত কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিদিন প্রায় সাড়ে সাত শ ট্রাক আর্বজনা নিয়ে আসে এখানে। বর্তমানে উত্তর দিক দিয়ে ভরাট করে সামনে এগোচ্ছে। আবর্জনার স্তূপের চাপে ভরাট অংশের বেশির ভাগই কঠিন অবস্থায় রয়েছে। জলাভূমি বা পচনশীল পরিবেশ কম থাকায় গ্যাস নির্গমণের সুযোগ তেমন নেই।
আবর্জনার এই ভাগাড় থেকে পরিত্যক্ত সামগ্রী সংগ্রহ করে জীবিকা চালান, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। ভাগাড় থেকে কোনো ধরনের গ্যাস নিঃসরণের বিষয়টি চোখে পড়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তারা।
আব্দুল আলিম নামের একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক মাস আগে এইখানে আবর্জনার মধ্যে দুইবার আগুন ধরছে। এতে সবাই ভাবছে কি না কি হইছে। এইডা নিয়া শুনলাম বিদেশে রিপোর্ট হইছে। গুজব ছড়াইছে।’
তিনি বলেন, ‘আসলে গ্যাসের কোনো ঘটনা না। ঘটনা হইলো কয়েক মাস আগে সিটি করপোরেশন মাতুয়াইলের এইখানে টোকাই পোলাপাইন ঢোকা নিষেধ করছিল। গেট দিয়ে আনসাররা ভিতরে ওগো ঢুকতে দেয় নাই। এর লাইগা পোলাপাইন রাগ হইয়া শয়তানি কইরা আগুন লাগাইছিল। আগুন লাগার পরে ঘটনা হাতড়াইতে হাতড়াইতে বিষয়ডা আমরা ট্যার পাইছি।’
তিনি বলেন, ‘এইখানে যেসব পোলাপাইন কামকাজ করে, বোতল প্লাস্টিক টোকায় হ্যারা খুবই বিটলা। রাতের বেলা ঢুইকা বিড়িবুড়ি খাইয়া আগুন ধরাইয়া দিছিল। ভেতরে এমন অবস্থা যে, কেউ বিড়ি খাইয়া ফেললেও আগুন ধইরা যাইব। আর এক জায়গায় আগুন ধরলে আস্তে আস্তে ছড়ায়ে পড়ে, কারণ সব তো পলিতে (পলিথিন) ভরা।’
দিলরুবা আক্তার নামের আরেকজন বলেন, ‘এখানে গ্যাস-ট্যাস কইত্তে আইব! আমরা হারা (সারা) বছর কাম করি, কই কিছুই তো দেহি না। মানুষ খাইয়া কাম পায় না, আজগুবি কথা ছড়ায়।’
অল্প কিছু জায়গায় বুদবুদ দেখিয়ে দিলরুবা বলেন, ‘ওইগুলো তো ময়লার গাদ। বুদবুদিগুলারে যদি গ্যাস কইয়া থাকে তাইলে গ্যাস। যেইহানে ময়লা-আর্বজনা পানির মইধ্যে পড়ছে সেইহানে ময়লাগুলা পইচ্চা গাদ হইছে। আর ওগুলা থেইক্কা বুদবুদ বাইর হয়। অন্য কিচ্ছু না। হেরম কিছু হইলে আমরা এইহানে টিকতে পারতাম?’
দিলারা খাতুন নামের এক নারী বলেন, ‘এখানে আইলে এমনতি গন্ধ লাগে। লাগবই তো। আর্বজনার মধ্যে আইলে কি সেন্ট (সুগন্ধ) পাইব? কিন্তু আমাগো এখন আর গন্ধ লাগে না, রোগ–বালাইও হয় না। এখানে যারা কাম করে খোঁজ নিয়া দ্যাহেন কারো ঘা-পাচড়াও নাই।’
স্থানীয় চা-দোকানি ফাহাদ আলী ইমরান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আট বছরের মধ্যে এই ভাগাড়ের মধ্যে কখনো কোনো দুর্ঘটনা দেখি নাই, আবার শুনিও নাই। তয় হঠাৎ হঠাৎ বিরাট দুর্গন্ধ আসে। প্রতিদিন পচা-পাইচকো ফেললে ওগুলার তো একটা তেজ আছে। মনে হয় ওই তেজটাই বের হয়।’
স্থানীয় একজন প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘এখানে (মাতুয়াইল) যদি মিথেন গ্যাস বের হতো, তাহলে তো আমিন বাজারের বলিয়ারপুরেরও আর্বজনার ভাগাড়েরও একই অবস্থা হওয়ার কথা। বলিয়ারপুর তাহলে কেন হটস্পট হলো না?’
সিটি করপোরেশনের দাবি, প্রতিবেদন ‘অতিরঞ্জিত’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্লুমবার্গের রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তবতা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা আমাদের কাছে একটা ফলস ইনফরমেশন মনে হচ্ছে। বিষয়টি যাচাই করতে আমরা বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিটিং করছি। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মাতুয়াইল একটি আবর্জনার ভাগাড়। আর তাই সেখান থেকে মিথেন গ্যাস একেবারেই যে নিঃসরণ হয় না, তা নয়। তবে রিপোর্টটা যেভাবে হয়েছে, সেটা সত্য না।’
মো. বদরুল আমিন বলেন, ‘এক-দেড় মাস আগে একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেটা হলো, ওখানে যারা কাজ করে অর্থাৎ প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্র কুড়ায়, সীমানাপ্রাচীর দেয়ার পর আমরা তাদের ভাগাড়ে ঢুকতে নিষেধ করেছিলাম। কারণ, ময়লা-আর্বজনার মধ্যে অনেক কিছু পাওয়া যায়, যেগুলো থেকে সিটি করপোরেশনের একটা আয় আসতে পারে। সে জন্য স্পটটিকে আমরা ইজারা দিতে চেয়েছিলাম।
‘এ জন্য ওখানে যে দুই আড়াই শ লোক আবর্জনা কুড়ায় তাদের ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছিল। এতে তারা ওখানে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানতে পেরেছি।’
প্রতিবেদনের দাবির সঙ্গে ভিন্নমত বিশেষজ্ঞদের
বুয়েট অধ্যাপক ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিথেন গ্যাস নির্গত হচ্ছে সেটা আমরা জানতাম। কিন্তু ওটা এত ব্যাপকভাবে উঠে যে একটা ক্লাউড তৈরি করতে পারে, সেটা আমাদের ধারণাতে ছিল না। এটা শতভাগ যৌক্তিক বা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় না। এ ব্যাপারে আরও অনুসন্ধান করা দরকার।’
ভিন্নমতের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘মিথেন গ্যাস যে শুধু ময়লার স্তূপ থেকে হয় বিষয়টি এমন না। বর্জ্য থেকে তো এমনিতেই বের হয় মিথেন। এর বাইরে গরুর গোবর থেকে হয়, গাড়ি থেকে একটা অংশ বের হয়, ধান ক্ষেত থেকে বের হয়।
‘ব্লুমবার্গ যেটা করছে বলে জানতে পেরেছি সেটা তো স্যাটালাইটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ। আমাদের তো তেমন সাপোর্ট নেই। সেই সাপোর্ট থাকলে আমরা এখনই বিষয়টা নিয়ে খোলসা হতে পারতাম।’
তবে মাতুয়াইলে বিজ্ঞানসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরেও জোর দিচ্ছেন ড. ইজাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা মাতুয়াইলকেন্দ্রীক একটা প্রকল্প করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম সরকারকে। যেখানে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ওয়েস্টেজ ম্যানেজ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সিটি করপোরেশন রাজি হয়নি, কারণ তাদের ওখান থেকে বড় একটা আয় আসে হয়ত।
‘আমার ধারণা আমাদের এখানে আর্বজনা ওপেন ডাম্পিং হয় বলে বিদেশি সংস্থা এমন কিছু বলার সুযোগ পেয়েছে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে হলে হয়ত এমনটা নাও শোনা যেতে পারত।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম জানান, ময়লা থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হবে, এমনটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, ‘যে সংবাদটা এসেছে সেটা যে প্রমাণিত সত্য তা বলা যাবে না। তবে এটাকে স্যাম্পল হিসেবে ধরে কারিগরি কমিটি করে সরকারিভাবে আর্ন্তজাতিক স্ট্যান্ডার্ডে আমাদের যাচাই-বাছাই করতে হবে। কারণ দূষণ যে হয় সেটা তো আমরা অস্বীকার করি না, কিন্তু বাড়াবাড়ি ধরনের কোনো অপবাদ নেয়া ঠিক হবে না।’
ড. শামসুল আলমও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনকে ‘অতিরঞ্জন’ মনে করছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে দূষণের ব্যাপারটা যে আছে বা হচ্ছে সেটা তো কারও অজানা না। কিন্তু ব্লুমবার্গ যে তথ্য দিচ্ছে সেটা আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। মাতুয়াইলকে হটস্পট বলাটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’
এ ধরনের আলোচনা এড়াতে ছোট ছোট ওয়েস্টেজ ডিসপোজাল ইউনিট বসিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘এটা করা গেলে দূষণও ঠেকানো যাবে, আবার আর্বজনাকেও কাজে লাগানো যাবে।’
আরও পড়ুন:কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবি বাস্তাবায়নের দাবিতে ফুঁসে ওঠেছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীর ও বাসচালকরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— প্রভাবশালী গোষ্ঠী কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে প্রকৌশল পেশায় প্রবেশের পথ সংকুচিত করছে। এ ছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল, তাদের পদবি পরিবর্তন ও সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করা।
২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল ও বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তি বাতিল, উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু এবং ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা।
উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে নিম্নপদে নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবলকে কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিষিদ্ধ ও আইনানুগভাবে নিশ্চিত করা।
এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন।
উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁওয়ের নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।
সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দূষিত বায়ুদূষণ বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫ বছর ৫ মাস কমিয়ে দিচ্ছে। বিষাক্ত বায়ুর এই প্রভাব রাজধানী ঢাকায় বিশেষভাবে তীব্র। বায়ুদূষণ এই শহরের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস কমিয়ে দেয়।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গত সপ্তাহের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশকে বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ হলো আয়ুর জন্য সবচেয়ে বড় বহিরাগত হুমকি। বাংলাদেশে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ।
রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের সবাই এমন এলাকায় বাস করে, যেখানে বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট দূষণের বার্ষিক গড় মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) এবং দেশের জাতীয় সীমা (৩৫ মাইক্রোগ্রাম) উভয়ই ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় এই মাত্রা ৭৬ মাইক্রোগ্রামের ওপরে দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে চললে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫.৫ বছর বেশি হতে পারে।’
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছে।
ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। আমার সন্দেহ আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী আছে কিনা।’
তিনি বলেন, ‘এখানে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি খালি চোখেই দেখা যায়।’
বাংলাদেশের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ‘ধোঁয়াশা’ একটি নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রায় প্রতিদিন সকালেই তাদের ঢেকে রাখে এই ‘ধোঁয়াশা’। কিন্তু আরও বিপজ্জনক হলো, দূষণ যেগুলো চোখ দেখতে পায় না: কণা পদার্থ, PM2.5 — ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম প্রশস্ত বায়ুবাহিত ক্ষুদ্র কণা- এগুলো ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে মারত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে PM2.5-এর মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ই কেবল এই মাত্রা কমেছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা স্থায়ী হয়নি।
ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘গত বছরের AQLI রিপোর্টে, আমাদের গড় আয়ু ৪.৮ বছর কমেছে, এবং এই বছর তা ৫.৫ বছর হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এটি দেখায় যে, রাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেনি, যার অর্থ বাংলাদেশ সরকারও এই প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র এখানে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’
দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে তালিকাভুক্ত করেন, বিশেষত ইটের জন্য কয়লা বা কাঠ পোড়ানো।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ১ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলোর অনেকগুলো যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই চলে। এটি বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণও আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। খোলা জায়গায় পোড়ানোসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও একটি বড় কারণ।’
সর্বশেষ বায়ুদূষণ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বছরের শেষ নাগাদ তার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবুও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান ব্যবস্থাপনার পরিচালক ড. জিয়াউল হক স্বীকার করেছেন, ‘বায়ু দূষণের প্রতিটি উৎস’ বাংলাদেশের পরিবেশে বিদ্যমান।
তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা থেকে ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই খাতে আমরা এখনো কোনো সাফল্য দেখতে পাচ্ছি না।’
ড. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, আমরা তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনব। তাদের কারখানার চুল্লিতে একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে এবং আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্গমনের ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করব। ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বায়ু’ প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’
যদিও দূষণের সমস্ত উৎস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু উৎস এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত দূষণ ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার ৩৫ শতাংশ বায়ু দূষণ দেশের বাইরে থেকে আসে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকার বায়ু দূষণের ২৯ শতাংশই বর্জ্য এবং জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কারণে হয়। আমরা এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা সেখানেই আছে।’
সূত্র: আরব নিউজ
রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।
বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।
বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য