সরকারের যে মহাপরিকল্পনার কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেটে ফেলা হচ্ছে শতাধিক পুরানো গাছ, কী আছে সেই মহাপরিকল্পনায়? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিকল্পনায় কোনো রেস্তোরাঁ নেই। আছে কফি শপ ধরনের হালকা স্থাপনা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে।
এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ২৩ বছরের মুক্তিসংগ্রাম ও ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে ভাস্কর্য, ইন্দিরা মঞ্চ, জলাশয় ও ফোয়ারা, ভূগর্ভস্থ ৫০০ গাড়ির পার্কিং ও শিশুপার্ক। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য পুরো উদ্যানজুড়ে সাতটি ফুড কোর্ট ও টয়লেট নির্মাণ করা হবে। আর মনোরম পরিবেশের জন্য বানানো হবে নান্দনিক ওয়াকওয়ে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাঠামোগত কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার নিউজবাংলাকে বলেন, তৃতীয় পর্যায়ের আওতার সাতটি ভাস্কর্য স্থাপনের জায়গাগুলোতে নকশার কাজ চলছে।
উদ্যানের নির্দিষ্ট সাতটি জায়গায় নান্দনিক ওয়াকওয়ে ও পানির ফোয়ারা থাকবে।
রেস্টুরেন্ট ও টয়লেটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেস্টুরেন্ট যে অর্থে বলা হচ্ছে, আসলে তেমনটা না। সাতটি ভাস্কর্য এলাকায় একটি করে ছোট কফি শপের মতো ফুড কোর্ট থাকবে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেহেতু বড় এলাকা, এখানে তো দর্শনার্থীদের জন্য টয়লেট লাগবেই।
যেসব গাছ কাটা হচ্ছে, তার বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় আরও ১ হাজার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সেগুলো কোথায় এবং কখন রোপণ করা হবে জানতে চাইলে শামিম আখতার বলেন, ‘গাছগুলো উদ্যানের ফাঁকা জায়গায় লাগানো হবে। তবে নিয়ম হলো, প্রকল্পের সব কাজ শেষ হলে তারপর গাছ লাগানো হয়, সে অনুযায়ী প্রকল্প কাজ শেষ হলে আমরা গাছগুলো লাগাব।’
প্রকল্পটি ২০২২ সালে শেষ হবে বলে জানান শামিম আখতার।
রেস্তোরাঁ, টয়লেট পরিকল্পনায় ছিল না
২০১০ সালের হাইকোর্টের রায়ের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে নেয়া হয় মহাপরিকল্পনা। তখন আদালতের নির্দেশে দেশবরণ্য শিক্ষক, স্থপতি, পরিবেশবিদ ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কীভাবে সাজানো হবে, সেই কমিটি তার একটি পরিপল্পনা করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে দিয়েছিল। পরিকল্পনায় রেস্তোরাঁ ও টয়লেট নির্মাণের কোনো বিষয় ছিল না বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছে কমিটির একাধিক সদস্য।
ওই কমিটিতে যারা ছিলেন, তাদের একজন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে কমিটির গৃহীত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল। সেখানে কোনো রেস্তোরাঁ বা টয়লেট আমরা রাখিনি। পরিকল্পনাটি মন্ত্রণালয়ে জমা হবার পর সেটা কী হল তা আমার জানা নাই।’
সে সময় নিরীক্ষা কমিটির সদস্য ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের ডিজাইনে কোনো খাবার দোকান বা টয়লেট ছিল না। আদালত সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে, সাতটি জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হোক এবং অন্যান্য সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হোক। আমরা সেভাবেই নকশা করেছিলাম। সেখানে খাবার দোকান টয়লেট রাখার প্রশ্নই আসে না।’
পরিকল্পনায় বদল ঘটল কীভাবে জানতে চাইলে ইকবাল হাবিব বলেন, ‘আমরা নকশা ডিজাইন করে দিয়েছি। এরপর মন্ত্রণালয় কীভাবে কী করেছে, তা জানা নাই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর পর থেকে দুর্বৃত্তায়ন শুরু হয়েছে। উদ্যানের ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংরক্ষণ করে তা মানুষের সামনে উপস্থাপনের বদলে প্রকল্পের খরচ বাড়িয়ে অপ্রয়োজনীয় ফুড কোর্টসহ নানান স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। আঁকাবাকা ওয়াকওয়ে করা হচ্ছে গাছ কেটে। কিন্তু গাছগুলো রেখেই ওয়াকওয়ে করা যেত। এই কর্মকাণ্ড পরিবেশ ও উদ্যান আইনের পরিপন্থি।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনার নকশার তদারকি করছেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া।
পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো একটা কারণে আগের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছিল। এরপর আমি ও আমার টিমের দায়িত্ব পাই। আমরা বুঝতে পারছি না, এতো কিছু থাকতে হঠাৎ উদ্যানের ফুড কোর্ট ও টয়লেট নিয়ে সমালেচনা হচ্ছে কেন? আমাদের টার্গেট হলো, আমরা দেশি-বিদেশি পর্যটক এখানে নিয়ে আসব। সে অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা দিয়ে উদ্যানটি সাজানোর চেষ্টা করেছি।
‘এখানে ফুড কোর্ট যে অর্থে বলা হচ্ছে, বিষয়টা তেমন না। পুরো উদ্যানে সাতটি আলাদা স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সাতটি স্পটকে দৃষ্টিনন্দন করতে যতটা করা দরকার, ততটাই করা হয়েছে, কোনো বাড়াবাড়ি করা হয়নি। সাতটি স্পটে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে, সেখানে মানুষের বসার ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশেই একটি করে শেড নির্মাণ করা হবে যেন বৃষ্টির সময় মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। আর ওই শেডের নিচেই টয়লেট ও ছোট কফি শপের মতো থাকবে, যেখানে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য।’
দর্শনার্থীদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকলে তারা প্রয়োজনে কোথায় যাবে প্রশ্ন রেখে স্থপতি আসিফুর রহমান বলেন, ‘যারা রেস্তোরাঁ আর টয়লেট নিয়ে সমালোচনা করছেন, তারা না জেনে না বুঝেই করছেন। টয়লেট আর ফুড কোর্ট তো কোনো বাড়তি স্থাপনা না, বরং এটা উদ্যানের অনুষঙ্গ। এখানে কোনো অসঙ্গতি থাকলে প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের অনুমোদন দিতেন না।’
গাছ কাটা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসিফুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো স্থপতিই গাছ কাটতে চান না, আমার ক্ষেত্রেও তাই। আমরা একটি আধুনিক সবুজ উদ্যান বানাতে চাইছি। আমরা অনেক হিসেব-নিকেশ করে এক একটি গাছ কাটছি। যেটা একবারেই রাখা সম্ভব নয়, শুধু সেটাই কাটছি। আমাদের কাজ শেষ হলে দেশের বোটানি বিশেষজ্ঞরা উদ্যানে গাছ লাগানোর বিষয়ে কাজ করবেন। তাই উদ্যানকে ধ্বংস করা হচ্ছে এই দাবি একদমই অমূলক।’
এ বিষয়ে জানতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
অমান্য হচ্ছে আদালতের নির্দেশনা
রেসকোর্স ময়দান বা বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক স্থানসমূহকে চিহ্নিত করা এবং সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০০৯ সালের ২৫ জুন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বাদী হয়ে জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেছিলেন।
২০১০ সালের ৭ জুলাই রায় প্রকাশ করা হয়, যাতে রায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক সাতটি স্থানকে চিহ্নিত করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। স্থানগুলো হলো: ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম গর্ভনর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ভাষণের স্থান, ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের স্থান, ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ দল থেকে জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের স্থান, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণের স্থান, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরের স্থান, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ প্রদানের স্থান এবং ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণ প্রদানের স্থান।
হাইকোর্ট সেই রায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে অংশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, সেটিকে ‘স্বাধীনতা চত্বর বা লিবার্টি স্কয়ার’ নামকরণ করার জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিল।
সেইসাথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে সকল প্রকার স্থাপনা অপসারণ এবং স্থাপনা অপসারণের পর চিহ্নিত স্থানগুলোতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও বিবেচনাপ্রসূত দৃষ্টিনন্দন ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ এবং সংরক্ষণের নির্দেশও দিয়েছিল হাইকোর্ট।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আলাদতের পরিষ্কার নির্দেশনা ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাতটি চিহ্নিত জায়গায় স্মৃতি ভাস্কর্য ছাড়া অন্য কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। এমনকি উদ্যানের জায়গা থেকে শিশুপার্ক ও শাহবাগ থানাকেও উচ্ছেদের কথা বলা হয়েছিল। সে জায়গায় নতুন করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর রেস্টুরেন্ট টয়লেট বানাবে এটা তো আদালত অবমাননা করা হচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে আইনি নোটিশ দেব।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, এসব নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই, ভালোভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। এজন্য আপনাদের (সাংবাদিক) সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে রাকসু ও চাকসু নির্বাচন-২০২৫ উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি রাকসু ও চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা দেশের সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, শুধু দেশেই না বিদেশেও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত । যারা ভোট দেবে তারাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত।
তিনি বলেন, ‘তাদের অভিজ্ঞতা আজ শেয়ার করলাম। যেহেতু আমাদের একটা জাতীয় নির্বাচন আছে ফেব্রুয়ারিতে, এই নির্বাচনগুলো দেখে আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সেটা আমরা জাতীয় নির্বাচনে কীভাবে প্রয়োগ করতে পারবো সেজন্য আজকে বসেছিলাম।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা আজ ভালো ভালো সাজেশন দিয়ে গেছে। সেই সাজেশন আমরা ভবিষ্যতে কাজে লাগাবো। একইসঙ্গে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় তাদেরও উপকার হয়েছে। যেহেতু দুইটা নির্বাচন হয়েছে। সেখানে নির্বাচনে কী করতে হবে, ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি থাকলে সেগুলো কীভাবে সমাধান করা হবে, এসব নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সভায় তারা কোনো ধরনের শঙ্কার কথা জানায়নি।
আজকের সভায় কি ধরনের সাজেশন এসেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে তারা বলেছে- কতগুলো সেন্টার হওয়া দরকার, ভোট গণনা কীভাবে হবে, কালি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, এসব নিয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত ফল ঘোষণার জন্যও কি ব্যবস্থা নেয়া যায়, আলোচনা হয়েছে। ভোটারদের ছবিযুক্ত আইডি কার্ড ও ভোটার তালিকা যেন স্বচ্ছ থাকে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, রাকসু ও চাকসু নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দুটি নির্বাচন থেকে অনেক কিছু শনাক্ত হয়েছে। এসব নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো কাজ করেছে বা কোন বিষয়গুলো কাজ করেনি, তার একটি ধারণা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে আমরা এখানে এসেছি। আজকের সভায় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এ দুটি নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আছে। ভালো নির্বাচন হবে বলে আশা করছি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পবিত্র রমজানের কারণে ২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা চলতি বছর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে। মাসব্যাপী এই মেলা শেষ হবে ১৭ জানুয়ারি।
আজ বিকেলে বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা সংক্রান্ত এক সভায় এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংস্কৃতি সচিব মো. মফিদুর রহমান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির সচিব, পরিচালকবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ।
সোনালী আঁশ পাটের আবাদে কয়েক বছর ধরে চাষিরা লোকসানে পড়লেও এ বছর দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মূল্য না পাওয়া, মানসম্মত আঁশ সংগ্রহের প্রতিবন্ধকতা এবং রপ্তানি বাজার সংকটের কারণে কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয়ই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৭ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ও আঁশের মানহানি নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা থামছে না।
কৃষকেরা জানান, মুক্ত জলাশয়ের অভাবে পাট জাগ দিতে হচ্ছে ডোবা বা পুকুরের মতো বদ্ধ জলাশয়ে। এতে আঁশের মান কমে যাচ্ছে। রঙের পার্থক্য ও আঁশের তারতম্যের কারণে বাজারে সবসময় কম দাম পান তারা। ফলে ভালো ফলনের আশার মধ্যেও শংকা রয়েছে ন্যায্যমূল্য নিয়ে।
সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দীন তিন বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখনও এক বিঘার পাটও কাটতে পারিনি। শ্রমিক মজুরি জনপ্রতি ৬০০ টাকা। বাজারে এক মন শুকনো পাটের দাম ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার পাঁচশ টাকা। কৃত্রিম উপায়ে জাগ দিতে গেলে জমিতে পলিথিন বিছাতে হয়, শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে পানি তুলতে হয়। এত খরচ করলে বিক্রির টাকা দিয়ে খরচই ওঠে না। তাই নদীতে জাগ দেওয়ার অনুমতি চাই।’
তেতুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জিয়াউল হকও একই সঙ্কটে আছেন। চার বিঘা জমিতে পাট করেছেন, পাশে চার কাটা জমিতে আমন ধানের চারা রয়েছে। তিনি জানান, ‘সময়মতো পাট কেটে জাগ দিতে না পারলে ধান রোপণ সম্ভব হবে না। আশপাশের পুকুরে পর্যাপ্ত পানি নেই। তাই আমরা নদীতে জাগ দেওয়ার অনুমতি চাই।’
কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, মানসম্মত পাট উৎপাদনে কৃষি বিভাগের তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই। মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা না পাওয়ায় তারা সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। কৃষকের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও লোকসানের শঙ্কায়।
মেহেরপুরের পাট ব্যবসায়ী কাউছার আলী জানান, ‘গত বছরের পাট বিক্রি করতে না পেরে গোডাউনে ভর্তি করে রেখেছি। ভারত কাঁচাপাট আমদানি বন্ধ করায় রপ্তানির পথ বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন বাজার তৈরি না হলে আমাদের বড় ক্ষতি হবে।
আরেক ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, ‘কৃষকেরা এবছর তুলনামূলক ভালো দাম পাচ্ছেন। তবে আমরা গত বছরের তুলনায় বেশি দামে পাট কিনতে বাধ্য হচ্ছি। যদি নতুন বাজার তৈরি না হয়, কৃষকেরা এ চাষ থেকে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন।’
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আ ক ম হারুন কৃষকদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘নদী ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। কৃষকদের মানসম্মত পাট উৎপাদনে আমরা সহযোগিতা করছি এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’
শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মীরগড়ের রসাল মিষ্টান্ন টোপা। খেতে যতটা সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ হওয়ায় বেড়েই চলেছে এর চাহিদা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় টোপা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। রংপুর বিভাগের উত্তরের জেলা হিমালয় কণ্যা পঞ্চগড়। সদর উপজেলার ৮নং ধাক্কামারা ইউনিয়নের মিরগড় বাজার এই জেলার ঐতিহ্যবাহী টোপা তৈরি করে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোজন রসিকরা ভীড় জমান। বিশেষ করে শুক্রবার ও সন্ধার পরে জেলার অন্যান্য জায়গা থেকে খাওয়ার জন্য আসেন অনেকেই। ঐতিহ্যবাহী টোপা প্রতি পিচ মূল্য ১০ টাকা করে। সেখানে চিনি ও গুড়ের তৈরি দুই ধরনের টোপা পাওয়া যায়। টোপা ব্যবসায়ী এনামুল সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমি এই ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছি দীর্ঘদিন থেকে। অন্য কোথাও টোপা তৈরি হয় না শুধু আমাদের এই মীরগড় বাজারের তৈরি হয়, তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে এই টোপা খেতে আসেন ভোজন রসিকরা।’
পর্যটক সুকন্যা দে পুজা তিনি জানান, ‘আমি ঠাকুরগাঁও থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসেছি এরপর জানতে পারলাম মীরগড় বাজারে এই জেলার ঐতিহ্যবাহী টোপা খেতে সুস্বাদু তাই টোপা খেতে এসেছি আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা।’ ক্রেতা মো. ওমর ফারুক বাপ্পির সাথে কথা বললে তিনি জানান, পৌর শহর থেকে টোপা খেতে এসেছি, সময় পেলেই টোপা খেতে এই বাজারে আসি।’
ময়মনসিংহে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিয়োজিত চিকিৎসক, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক মালিকদের নিয়ে ‘স্বাস্থ্য ইউনিটি’ নামের সংগঠন করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে নগরীর চরপাড়া এলাকায় সংগঠনটির প্রথম মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি শামীম আহম্মেদের সভাপতিত্বে জমকালো এই আয়োজনের শুরুতেই অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উপদেষ্টা মনসুর আলম চন্দন। এছাড়া ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাবেক বিভাগীয় সম্পাদক এম.এ মোতালেবসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। নেতারা বলেন, ‘স্বাস্থ্য ইউনিটি’ শুধু একটি সংগঠন নয়, বরং এটি হবে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সংগঠনটি ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আরও বলা হয়, সংগঠনটির লক্ষ্য একত্রে কাজ করা এবং সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য করা। এ জন্য সাংবাদিক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ সবাইকে সাথে নিয়ে সংগঠনের নেতারা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চায়।
এ সময় সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে এবং এই আলোচনার মাধ্যমেই রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে।
ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রেস সচিব ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমেই সবকিছুর সমাধান হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, চলতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেবেন। তিনি স্পষ্ট করেন, এই সফর বাংলাদেশের নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো মধ্যস্থতা বা আলোচনার জন্য নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, ‘তারা সরকারের অংশীদার হিসেবে এ ধরনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অংশ নিচ্ছেন।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫–৩থ-এর অংশ হিসেবে ইনক্যাপ সিরিমনি। বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের ওই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রতিবছর দেশের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। এ বছর বিদেশে বেশ কয়েকটি মহড়া সম্পন্ন হয়েছে, আর এটাই ছিল চলতি বছরের শেষ মহড়া। এ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি অর্জন করা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আমেরিকান বিমান বাহিনীর দেওয়া অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে অপারেশন থিয়েটারের টেবিল, অপারেশন লাইট, এয়ার কন্ডিশন, জেনারেটর, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র এবং অপারেশন থিয়েটারের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর মিশন কমান্ডার মেজর জুদাহ বলেন, ‘আমরা এ কার্যক্রমে বিশেষভাবে নারী ও শিশুস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়েছি। এ অঞ্চলের মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুসেবা আরও উন্নত করতে এসব সরঞ্জাম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে আনোয়ারার মতো একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বেছে নেওয়া নিঃসন্দেহে স্থানীয় মানুষের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এখানে স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সাধারণ মানুষ দ্রুত ও কার্যকর চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র টিমের সিনিয়র সদস্য কার্নেল অ্যান্ড্রু ব্রি, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি মেজর গ্রিন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যসহ দুদেশের বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য