× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

ফ্যাক্ট চেক
উগান্ডার প্রেসিডেন্ট লকডাউন নিয়ে কী বলেছেন?
google_news print-icon

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট লকডাউন নিয়ে কী বলেছেন?

উগান্ডার-প্রেসিডেন্ট-লকডাউন-নিয়ে-কী-বলেছেন?
উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি কাগুতা মুসেভেনি একটি কথিত আবেগময় ভাষণ ভাইরাল করেছেন বাংলাভাষী ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। ছবি। সংগৃহিত
কোভিড ১৯ নিয়ে প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি জাতির উদ্দেশে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচটি ভাষণ দিয়েছেন। এই ভাষণের তারিখগুলো হলো, গত বছরের ৪ জুন, ২০ মে, ১৪ এপ্রিল, ২৫ মার্চ ও ১৮ মার্চ। এর বাইরে গত বছরের ২৭ আগস্ট তিনি জাতির উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লেখেন। এছাড়া, করোনাভাইরাস ইস্যুতে বিভিন্ন গাইডলাইন তুলে ধরে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন সাত বার।

কোভিড ১৯ মোকাবিলায় নাগরিকদের ঘরের ভেতরে থাকার আহ্বান জানিয়ে উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি কাগুতা মুসেভেনি একটি আবেগময় ভাষণ দিয়েছেন, এমন একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এ গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়া এই পোস্টে দাবি করা হয়, মুসেভনি জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে কোভিড ১৯ এর সংক্রমণকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বাংলায় অনূদিত এই ‘ভাষণে’ মুসেভেনিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘সৃষ্টিকর্তার অনেক কাজ আছে— পুরো দুনিয়াটা দেখভাল করার দায়িত্ব তাঁর। তিনি শুধুমাত্র উগান্ডার বোকা মানুষদের দেখাশুনার জন্যে এখানে বসে নেই।

‘যুদ্ধাবস্থায় কেউ কাউকে ঘরের মধ্যে বসে থাকতে বলে না। আপনি ঘরে থাকলে সেটা আপনার নিজের চয়েস। সত্যি কথা বলতে কী, আপনার যদি একটা বেজমেন্টও থাকে নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্যে তাহলে যুদ্ধের ধ্বংসলীলা যতদিন না শেষ হয় ততদিন আপনি সেখানেই লুকিয়ে থাকবেন।’

এই পোস্টে মুসেভেনিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘যুদ্ধের সময় স্বাধীনতা খর্ব হয়। আপনি ইচ্ছে করেই স্বাধীনতাকে বিসর্জন দেন শুধুমাত্র নিজের বেঁচে থাকার জন্যে। এ সময় আপনি ক্ষুধার জন্যে কারো কাছে নালিশ করেন না। এ সময় আপনি কায়মনোবাক্যে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্যে, বেঁচে থাকলে খেতে পারবেন।

‘যুদ্ধের সময় আপনি আপনার ব্যবসা খোলা রাখার জন্যে তর্ক করেন না। আপনি আপনার দোকান বন্ধ করে দেন (তবে সেই সময়টুকু যদি আপনি পান), এবং জীবন বাঁচানোর জন্যে দৌড়ে পালান। আপনি সারাক্ষণ প্রার্থনা করেন যেন যুদ্ধটা তাড়াতাড়ি শেষ হয় এবং আপনি আপনার ব্যবসাটা আবার চালু করতে পারেন, যদি না আপনার দোকানের সমস্ত মালপত্র লুট হয়ে যায় বা মর্টারের আঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।’

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট লকডাউন নিয়ে কী বলেছেন?

বাংলাভাষী ফেসবুক ব্যবহারকারী অনেকে এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন

করোনার সময় সব কিছু বন্ধ রাখার বিষয়ে মুসেভেনিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘যুদ্ধের সময় একটি দিন বেঁচে থাকতে পারলে আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। এ সময় আপনার সন্তানরা স্কুলে যেতে পারলো না বলে আপনি দু:খ করেন না। আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন যাতে সরকার আপনার সন্তানদেরকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্যে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত না করে এবং তাদের স্কুলমাঠেই (যেটি এখন সেনা ক্যাম্প) তাদেরকে প্রশিক্ষণের জন্যে নিয়ে না যায়।

‘পৃথিবীতে এখন একটি যুদ্ধ চলছে — এমন একটি যুদ্ধ যেখানে বন্দুক ও গুলির ব্যবহার নেই, যে যুদ্ধের কোনো সীমানা নেই, যে যুদ্ধ কোনো সীমানা নিয়েও বাধে নাই, কোনো পবিত্র ভূমি নিয়েও না। এই যুদ্ধে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিও নেই; এ যুদ্ধ থামানোর জন্যে কোনো জাতিসংঘও নেই।

‘এই যুদ্ধের সৈন্যদের কোনোপ্রকার দয়ামায়া নেই। শিশু, মহিলা বা প্রার্থনার স্থান, কোনোকিছুর প্রতিই এই সৈন্যদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। কোনো শাসকগোষ্ঠীকে পরিবর্তন করার ইচ্ছা এদের নেই। মাটির নিচের মূল্যবান খনিজসম্পদ লুন্ঠনের কোনো খায়েশ এদের নেই। ধর্ম, গোষ্ঠী বা আদর্শগত প্রভুত্ব বিস্তারের কোনো লিপ্সাও এদের নেই। ’

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা প্রসঙ্গে ফেসবুক পোস্টে মুসেভেনিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘শুধু একটাই খায়েশ এদের, আর তা হলো মৃত্যু ঘটানো, মৃতদের আত্মা নিয়ে তাদের ঘরে তোলা, যেমন করে কৃষক ফসল ঘরে তোলেন। এরা ততক্ষণ পর্যন্তু তাদের এ মহোৎসবে মেতে থাকবে যতক্ষণ না পুরো পৃথিবীটা একটা মৃত্যুকূপে পরিণত হবে। এদের উদ্দেশ্য সাধনের ক্ষমতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই। কোনোরকম যুদ্ধাস্ত্র ছাড়াই পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে এরা ঘাঁটি গেড়েছে। এদের গতিবিধি বা আক্রমণ কোনো রীতিনীতি বা প্রটোকল দ্বারা আবদ্ধ নয়। এ যুদ্ধের সৈনিকরাই হচ্ছে করোনা ভাইরাস যাকে আমরা সংক্ষেপে কোভিড ১৯ বলি।

‘তবে আশার কথা হচ্ছে, এই সৈন্যদেরও একটা দুর্বলতা আছে এবং এদেরকে হারানো সম্ভব। এর জন্যে যা দরকার তা হলো — আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নিয়মনুবর্তিতা এবং ধৈর্য। কোভিড ১৯ সামাজিক এবং শারিরীক দূরত্বে টিকে থাকতে পারে না। এটা সংস্পর্শ/সংঘর্ষকে পছন্দ করে। এটি আমাদের সামাজিক বা শারিরীক দূরত্বের কাছে পরাজয় বরণ করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কাছেও হার মানে। আপনার হাত জীবাণুমুক্ত থাকলে এরা একেবারেই অসহায়।

‘আসুন আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি এবং কোভিড ১৯-কে পরাজিত করি। কষ্ট হলেও একটু ধৈর্যধারণ করি। বেশিদিন লাগবে না আমরা আবার স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারব, আমাদের মন যা চায় তা করতে পারব! এই জরুরি মুহূর্তে আমরা জরুরি সেবা প্রদানে রত থাকি এবং অন্যদেরকে ভালোবাসি!’

ফ্যাক্ট চেক

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি কাগুতা মুসেভেনি জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এসব বলেছেন বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টে। তবে ওই ভাষণের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যসূত্র নেই। প্রতিটি পোস্টের শেষে ‘সংগৃহিত’ শব্দের উল্লেখ আছে।

বাংলাভাষী ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মূল পোস্টের লেখা কপি করে তাদের নিজস্ব টাইমলাইনে শেয়ার করছেন।

এই ‘ভাষণ’ এর সত্যতা যাচাইয়ে উগান্ডাসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের গত কয়েক মাসের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করেছে নিউজবাংলা। এতে দেখা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম দফায় দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি। পরে কয়েক দফা বাড়িয়ে ২ জুন পর্যন্ত ছিল এ অবস্থা। তবে এরপর আর্থিক বিপর্যয় সামাল দিতে শিথিল করা হয় বিধিনিষেধ। এমনকি উগান্ডার অর্থনীতির অন্যতম উৎস পর্যটন খাতেও বিধিনিষেধ এখন অনেকটাই শিথিল

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট লকডাউন নিয়ে কী বলেছেন?

উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এখন লকডাউনের কোনো নির্দেশনা নেই

উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৭৫১ জন, মারা গেছেন ৩৩৫ জন। উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কোনো নির্দেশনাতেও নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়নি।

তাহলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি কাগুতা মুসেভেনির এই ভাষণটি কবেকার? অথবা আদৌ কি তিনি এ ধরনের কোনো ভাষণ দিয়েছেন?

এর অনুসন্ধানে প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি কাগুতা মুসেভেনির নামেই একটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পেয়েছে নিউজবাংলা। yowerikmuseveni.com নামের ওই ওয়েবসাইটে ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মুসেভেনি ও তার দল দ্য ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্টের (এনআরএম) দৈনন্দিন সব ধরনের কর্মকাণ্ডের সংকলন রয়েছে।

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট লকডাউন নিয়ে কী বলেছেন?
প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি কাগুতা মুসেভেনির নামে আছে একটি ওয়েবসাইট

এই ওয়েবসাইটে জাতির উদ্দেশে মুসেভেনির দেয়া ভাষণসহ সব ধরনের বক্তব্যও রয়েছে। এতে দেখা গেছে, উগান্ডায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোভিড ১৯ ইস্যুতে মোট ১৩টি বক্তব্য ও ভাষণ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এরপর সুনির্দিষ্টভাবে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য বা ভাষণ দেননি।

কোভিড ১৯ নিয়ে প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি জাতির উদ্দেশে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচটি ভাষণ দিয়েছেন। এই ভাষণের তারিখগুলো হলো, গত বছরের ৪ জুন, ২০ মে, ১৪ এপ্রিল, ২৫ মার্চ ও ১৮ মার্চ। এর বাইরে গত বছরের ২৭ আগস্ট তিনি জাতির উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লেখেন। এছাড়া, করোনাভাইরাস ইস্যুতে বিভিন্ন গাইডলাইন তুলে ধরে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন সাত বার।

কোভিড ১৯ নিয়ে প্রেসিডেন্ট মুসেভেনির মোট ১৩টি ভাষণ ও বক্তব্য বিশ্লেষণ করেছে নিউজবাংলা। তবে এর কোনোটিতেই বাংলাভাষী ফেসবুক ব্যবহারকারীরা যে কথিত ভাষণের অনুবাদ দিয়েছেন, সে ধরনের কোনো কথা নেই।

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট লকডাউন নিয়ে কী বলেছেন?
প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি কাগুতা মুসেভেনির নামের এই ওয়েবসাইটে তার সব ভাষণ ও বক্তব্য সংকলিত আছে

ইদি আমিনকে উৎখাত করে উগান্ডার ক্ষমতায় আসা মুসেভেনি গত বছরের ৪ মে একটি বক্তব্য দেন, যার সঙ্গে ফেসবুকে ভাইরাল কথিত ভাষণের সামান্য কিছু মিল রয়েছে। মুসেভেনি সেই বক্তব্যে বলেন, ‘আমি বিষয়টি বুঝি কারণ আমি আমিনবিরোধী (ইদি আমিন) যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছি। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধে লড়েছি। ১৯৮৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আর বিদ্রোহীদের উৎখাতের লড়াইয়েও অংশ নিয়েছি।’

মুসেভেনি বলেন, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে বাড়ি না ফিরে বাজারেই আশ্রয় নেয়া বিক্রেতা নারীদের ছবিটি দেখেছি আমি। আমার মনে পড়ে গেছে আশির দশকের যুদ্ধের সময় ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে বন-জঙ্গল আর মরু অঞ্চলে তাঁবু খাটিয়ে থাকা লুয়েরো ট্রায়াঙ্গলের ১০ লাখ অসহায় মানুষের কথা। ১৯৮৬ সালের যুদ্ধ জয়ের আগ পর্যন্ত নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারেননি তারা। লুয়েরো ট্রায়াঙ্গলের যুদ্ধের সেই স্মৃতি, সেই আত্মত্যাগ আর স্বেচ্ছাসেবার উদ্দীপনাকে আবারও জাগিয়ে তোলার জন্য, সুযোগসন্ধানী ও স্বার্থপরতার সংস্কৃতিকে লজ্জায় ফেলে দেয়ার জন্য স্বাগত জানাচ্ছি।’

উগান্ডার প্রেসিডেন্ট লকডাউন নিয়ে কী বলেছেন?
প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি গত বছরের ৪ মে এই বক্তব্যটি দিয়েছেন

প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশ্নে বলতে চাই, এনআরএম (ন্যাশনাল রেসিস্ট্যান্স মুভমেন্ট) সব সময় বুদ্ধি দিয়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। আমরা কখনো আত্মঘাতী যুদ্ধ করি না। আত্মঘাতী যুদ্ধ এক ধরনের রাজনৈতিক হঠকারিতা। যে কোনো যুদ্ধে জয়ী হতে হলে সে জয় যেন দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাও নিশ্চিত করতে হয়। আর সে জন্য লড়াই হতে হয় কৌশলী।

‘একই সূত্র করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মহামারি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে আমাদের কৌশল হলো ভাইরাসটির বিস্তার রোধ করা। আর সংক্রমণ এড়াতে হলে জনগণকে সচেতন হতে হবে সবচেয়ে আগে। শুধু এ লক্ষ্যেই ৩৫টি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রমণ এড়ানোর লক্ষ্য অর্জন যেন আত্মঘাতী পদক্ষেপ হয়ে না দাঁড়ায়, তাও খেয়াল রাখা দরকার। গণহারে সংক্রমণ আর আত্মঘাতী হওয়া এক সঙ্গে ঠেকানো কীভাবে সম্ভব?’

ওই বক্তব্যের বাকি অংশে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট মুসেভেনি। আর লকডাউন শিথিলের পর গত বছরের ৪ জুন এ বিষয়ে সবশেষ তিনি যে ভাষণ দেন, সেখানে বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ছিল বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের আহ্বান।

আরও পড়ুন:
চার নারীর ভাইরাল ছবিটি মুক্তিযুদ্ধের নয়
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি অটল টানেলের নয়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ফ্যাক্ট চেক
EC will not yield to any pressure CEC

ইসি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না: সিইসি

ইসি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না: সিইসি

নির্বাচন কমিশন কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত (টিওটি) প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই)-এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য সিইসি এ কথা বলেন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের উদ্দেশে করে বলেন, ‘এই ম্যাসেজটা আপনাদের দিতে চাই যে, আপনারা কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। সম্পূর্ণভাবে আইন অনুযায়ী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনও কারও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। তা ছাড়া আমরাও আপনাদের অন্যায় কোনো আদেশ দেব বা হুকুম দেব না। আপনারা ধরে রাখতে পারেন, রিলেভেন্ট টু ইলেকশন (নির্বাচন সম্পর্কিত) যে আইন প্রচলিত আছে সেই আইন অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা যাবে বা আপনারা সেভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। একটা সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারার চেষ্টা করবেন।’
সিইসি বলেন, আমরা কামনা করি, আপনারা আইনসম্মতভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে (প্রফেশনালি) কাজ করবেন। আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এই দেশের এই দুরবস্থার মূল কারণ হলো, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকা। যে জাতি আইনের প্রতি যতটা শ্রদ্ধাশীল, সেই জাতি তত সভ্য। সভ্য দুনিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। আমাদের এই কালচারটা কাল্টিভেট করতে হবে।’

সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সর্বস্তরের মানুষ আইন মেনে চলবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে এবং সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করবে। যে গন্ডির মধ্যে আমার কাজ থাকবে সেখানেই আমি আইনকে বাস্তবায়ন করব। আমরা চাইব আপনারা আইনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন।’

সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনের মধ্যে সমন্বয়টা একটা বড় জিনিস। আপনারা যেহেতু উপজেলা পর্যায়ে নিয়োজিত আছেন। সমন্বয়ের দায়িত্বটা মূলত আপনাদের উপরে নির্ভর করে। সুতরাং নির্বাচনের সময়ও এই সমন্বয়টা খুবই জরুরি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিসাইডিং অফিসার ও কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের সাথে সমন্বয় করতে হবে। জেলার যে ইলেকশন মনিটরিং সেল থাকবে ওটার সাথে সমন্বয়। এই সার্বিক সমন্বয়টা আপনাদের খুব সিরিয়াসলি করতে হবে। এই দায়িত্বটা আপনাদের কাঁধে নিতে হবে। যেকোনো ক্রাইসিস হলে আপনারা চেষ্টা করবেন শুরুতেই যাতে এটার সমাধান করা যায়।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমানেল মাছউদ, নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ, নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, আমরা সাহসী হব, তবে অতি সাহসী না। অতীতে অতি উৎসাহী হয়ে অনেকে অনেক কিছু করেছেন। এবার এসব করা যাবে না।

তিনি বলেন, আগের প্রশিক্ষণ ভুলে গিয়ে এখন যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেটি নিতে হবে। আগের নির্বাচন আমরা সবাই মিলে নষ্ট করেছি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আপনাদের প্রতি ম্যাসেজ হচ্ছে সামনের নির্বাচন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। সঠিক কাজ করবেন, ইসি আপনাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলক কোনো কাজ করলে সাংঘাতিক পেরেশানিতে পড়বেন। আর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য যা যা সহায়তা লাগে তা আমরা দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। চাকরির মান-মর্যাদা রক্ষার জন্য এবং অস্তিত্বের প্রশ্নে আমাদের না করার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের একটা আবহ সৃষ্টি করতে হবে।’

মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সুশৃঙ্খল পরিবেশ ভালো নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য। মোবাইল কোর্ট আয়নার মতো স্বচ্ছ হতে হবে। পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। এখন থেকে মোবাইল কোর্ট রেগুলার করতে হবে। এই নির্বাচনে যারা ভালো দায়িত্ব পালন করবে তাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন মাঠে যারা আছেন তারা যেন তাদের আচরণবিধি মেনে চলেন। প্রশাসন কঠোরভাবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাবে। এবারের নির্বাচনে সমন্বিতভাবে মাঠ প্রশাসন যে, একটা দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারি তা আমরা দেখিয়ে দেব।’

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Public opinion must be developed to create a tobacco free society primary and mass education advisor

তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত গড়ে তুলতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত গড়ে তুলতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, তামাকমুক্ত সমাজ গঠনে জনমত ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা, ‘তরুণ চিকিৎসকদের ভূমিকা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, একজন ধূমপায়ী চিকিৎসক রোগীকে ধূমপানে বাঁধা দিলে তিনি গ্রহণ করবেন না। তাই চিকিৎসকদেরকে ধূমপান পরিহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও এসেম্বলিতে তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়েও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ সময় উপদেষ্টা তামাকমুক্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কর্মসূচি পরিচালক শেখ মোমেনা মনি, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার সরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, সিটিএফকে, বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. ফারজানা রহমান মুনমুন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
12000 crore loss in Cargo Village fire EAB

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক, বস্ত্রকল, ওষুধ, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে স্পষ্ট যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে কেবল ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানিকারকরা কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তাহীনতা, গুদাম ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনা ও মালামাল চুরির অভিযোগ জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ইএবি বলেছে, ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, ফলমূল, হিমায়িত খাদ্য ও অন্যান্য রপ্তানিকারক খাত এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হতে পারেন, যা ভবিষ্যতে রপ্তানি চুক্তি ও অর্ডারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইএবি সভাপতি বলেন, আগুনের ঘটনাটি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন আর না ঘটে।
এ সময় কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীততাপনিয়ন্ত্রিত গুদাম স্থাপন, নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ ও সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গুদাম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ, গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় আকস্মিকভাবে আগুন লাগে।

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Government ready to hold National Assembly elections in February Home Affairs Adviser

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।

প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Awami League will not be able to participate in the next elections EC Anwarul

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ফাইল ছবি

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।

তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
Formation of a committee to assess the damage caused by fire in Shahjalal

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন ছবি: বাসস

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে।

অন্য সদস্যরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মুঃ রইচ উদ্দিন খান ও মোঃ তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।

কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

ফ্যাক্ট চেক
"National Board of Revenue publishes Authentic English Text of Income Tax Act 2023 in the form of official gazette notification"

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করলো”

গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।

আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।

মন্তব্য

p
উপরে