বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার দশম মাসে এসেও পাওয়া যায়নি কোনো কার্যকর ওষুধ। রোগটি থেকে বাঁচতে সবাই এখন তাকিয়ে করোনার টিকার দিকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকা নিয়েও ছড়িয়ে পড়েছে নানা গুজব।
টিকার মাধ্যমে শরীরে মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়া, ডিএনএ পরিবর্তন ও টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ছড়িয়েছে নানা তথ্য।
বিবিসি এসব তথ্য নিয়ে চালিয়েছিল অনুসন্ধান। এতে দেখা যায়, তথ্যগুলোর অধিকাংশই গুজব বা আংশিক সত্য।
বিল গেটস ও মাইক্রোচিপ
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের বিল গেটসকে যুক্ত করে ছাড়িয়েছে নানা মিথ্যা তথ্য।
বিল গেটসেকে নিয়ে এসব তথ্য ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ জনস্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সময় করা তার নানা কাজ ও করোনার টিকা তৈরির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকা।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ছড়ানো গুজবটি হলো করোনা মহামারি মূলত কিছু নয়। করোনার টিকা দেয়ার নামে আসলে মানুষের শরীরে গোয়েন্দা মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেয়া হবে। আর পুরো পরিকল্পনার পেছনে রয়েছেন বিল গেটস।
এই দাবিগুলো সমর্থন করার মতো কোনো প্রমাণ নেই। বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনও বিবিসিকে জানিয়েছে, তথ্যগুলো সর্বৈব মিথ্যা।
এ নিয়ে চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ৬৪০ জনের ওপর একটি সমীক্ষা চালায় ‘ইউগভ’ নামে একটি সংস্থা। সেখানে দেখা যায়, প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও দেশটির ২৮ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, মানব শরীরে মাইক্রোচিপ বসানোর জন্য টিকা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন বিল গেটস।
ডিএনএ পরিবর্তন
ট্রাম্প-সমর্থক ওয়েবসাইট নিউজম্যাক্সের হোয়াইট হাউজের সংবাদদাতা সম্প্রতি এক টুইটে ফাইজার ও বায়োটেকের টিকার বিষয়ে ‘সাবধান’ থাকতে বলেন।
দুই লাখ ৬৪ হাজার ফলোয়ার থাকা এমারাড রবিনসন টুইটটিতে দাবি করেন, ‘এটি (টিকা) আপনার ডিএনএ পরিবর্তন করে।’
ফেসবুকে আরও কিছু পোস্টে করোনার টিকা ডিএনএতে পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
এ নিয়ে বিবিসি তিন আলাদা বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞাসা করেছিল। তারা বলেছেন, করোনার টিকা মানবদেহের ডিএনএতে কোনো পরিবর্তন করবে না।
জেনেটিক্সের মৌলিক বিষয়ে ভুল ধারণা থেকে এ ধরনের তথ্য ছড়াচ্ছেন অনেকে।
টিকাটিতে ভাইরাসের জিনগত উপাদানের একটি অংশ রয়েছে, যাকে আরএনএ বলা হয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফরি অ্যালমন্ড বলেন, ‘আরএনএর ব্যবহার মানবকোষের ডিএনএতে কোনো পরিবর্তন আনে না।’
ফাইজারের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু উইজার জানান, প্রতিষ্ঠারটির টিকা ‘মানব শরীরের ডিএনএতে কোনো পরিবর্তন আনে না। এটি শুধু শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির নির্দেশনা দেয়।’
চলতি বছরের মে মাসে এ বিষয়ে ছড়িয়ে পড়া জনপ্রিয় একটি ভিডিও নিয়েও তদন্ত করেছে বিবিসি।
তারা জানিয়েছে, ভুল বোঝাবুঝির মূল আসলে টিকা তৈরির ধরন থেকে উদ্ভূত।
ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকায় ‘মেসেঞ্জার আরএনএ’ বা ‘এমআরএনএ’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
টিকাটি করোনাভাইরাসের ত্বকে থাকা একটি প্রোটিন তৈরির জন্য শরীরকে নির্দেশ দেয়। এটি তৈরি হলে শরীর ভাইরাসটি প্রতিরোধ ও অ্যান্টিবডি তৈরির বিষয়ে জানতে পারে।
রবিনসনের টুইটে ‘এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রযুক্তি এর আগে কখনও পরীক্ষা বা অনুমোদিত হয়নি’ বলেও জানানো হয়।
এটি সত্য, এর আগে কোনো এমআরএনএ প্রযুক্তির টিকা অনুমোদন পায়নি। তবে গত কয়েক বছরে এমআরএনএ টিকা নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে।
অধ্যাপক অ্যালমন্ড বলেন, ‘শুধু নতুন প্রযুক্তি বলেই যে আমাদের ভয় করা উচিত, বিষয়টি তেমন নয়।’
নতুন টিকাগুলো কঠোর সুরক্ষা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরই কেবল তা সবার জন্য ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকা নিয়ে ছড়িয়ে পড়া কল্পকাহিনি নিয়ে প্রতিবেদন করা ক্লাইরা ওয়ার্ডেল বলেন, এমআরএনএ প্রযুক্তির নিয়ে ‘তথ্য ঘাটতি’ রয়েছে। সবার জন্য সঠিক তথ্য নিশ্চিত করলেই আর গুজব ছড়াবে না।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
রবিনসনের ওই টুইটে বহুল প্রচলিত আরেকটি গুজব উঠে এসেছে- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
তিনি দাবি করেছেন, টিকার ৭৫ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবীর ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যদিও ফাইজার ও বায়োটেক বলছে, ট্রায়ালে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
লন্ডনের কিংস কলেজের ফার্মাসিউটিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক ড. পেনি ওয়ার্ড বলেন, অন্য টিকার মতো এর (করোনার টিকা) ক্ষেত্রেও ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা, জ্বর, পেশিতে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা ও ক্লান্তির মতো স্বল্পস্থায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
অধ্যাপক ওয়ার্ড আরও জানান, এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জ্বরের টিকা গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রেও হয়। এগুলো খুব সাধারণ। প্যারাসিটামলের মতো ওষুধেই এগুলো সেরে যায়।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫০, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২২৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬৬ ও খুলনা বিভাগে ৯২ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৩৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪, রংপুর বিভাগে ৩১ ও সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩৩ হাজার ৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর পাশাপাশি এই সময়কালে হাসপাতালে ১ হাজার ১৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হলো। আর সারা দেশে মোট ৩২ হাজার ৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ১১৩ জন ঢাকার বাইরে। বাকিরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন হাজার ৪৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে এক হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরের।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই সময়কালে নতুন করে চারজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৫২ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫৮ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৯৩৮ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ শতাংশ নারী।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের মো. মোস্তফা ও গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নাসিমা।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোস্তফা। রোববার রাত ২টার দিকে মারা যান তিনি। অপরদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ভর্তি হয়েছিলেন নাসিমা। তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে মারা যান।’
মহিউদ্দিন খান জানান, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ভর্তি রয়েছেন ৩২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, মহিলা পাঁচজন ও একটি শিশু রয়েছে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম রোববার নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৮ জন। তাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০১ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫২০ জন রোগী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৯ হাজার ৭৮৬ জন। তোদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যুর পাশাপাশি এই সময়কালে নতুন করে ৮৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮৫ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৭৫ জন রোগী।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জনের, যাদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ পুরুষ ও ৫২ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৮ হাজার ৫৬৫ জন। তাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
মন্তব্য