× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Women dont have to be witches to be successful This is the best dialogue of Muskan Bandhan
google_news print-icon

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন

মুসকান-জুবেরী-হয়ে-ওঠার-গল্প-শোনালেন-বাঁধন
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি ওয়েব সিরিজে মুসকান জুবেরী চরিত্রে বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত
‘আমি আমাদের দেশের রাইটার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের কাছে খুবই গ্রেটফুল এই জন্য যে, এ রকম একটা পাওয়ারফুল নারী চরিত্র সে ভেবেছে। যদিও এটা কাল্পনিক চরিত্র। কিন্তু বিভিন্ন লেয়ারে লেয়ারে মুশকানকে দৃঢ় করে তোলা হয়েছে।’

দেশের লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের থ্রিলার উপন্যাস ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ অবলম্বনে একই নামে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছেন কলকাতার নামকরা পরিচালক সৃজিত।

১৩ আগস্ট ভারতীয় ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচইতে মুক্তি পেয়েছে সিরিজটি। এতে মুসকান জুবেরী নামের এক রহস্যময়ী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ দেশের বাঁধন।

সিরিজটি মুক্তি পাওয়ার পর কেমন সাড়া পাচ্ছেন অভিনেত্রী? কোন কোন বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা?

নিউজবাংলার সঙ্গে সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আজমেরী হক বাঁধন।

  • রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি ওয়েব সিরিজটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই লিখছেন। আপনার চোখে কি পড়েছে?

ওয়েব সিরিজটা যেহেতু এখন স্ট্রিমিং হচ্ছে হইচইতে, ওটা মানুষ দেখেছেন। ভালো রিভিউ আসছে আমার কাছে। আমি দেখতে চাচ্ছিলাম যে আসলে কে কী বলছেন। কেউ কেউ আবার যেসব ত্রুটির কথা বলছেন আমি সেটাও লক্ষ্য করছি; কে কোন জায়গাটার কথা বলছেন।

এক ধরনের মাইন্ডসেট তো আমাদের থাকে। আমরা সব সময়ই আমাদের মাইন্ডসেট থেকে বের হতে পারি না। এটা আমাদের আসলে সামাজিক সমস্যা। যার কারণে নতুন কিছু গ্রহণ করার প্রবণতা কম।

এটা এমন একটি চরিত্র যে চরিত্রটা মানুষ অলরেডি জানেন। কারণ এটা তো একটা উপন্যাসের চরিত্র। এই ধরনের চরিত্র করা কিন্তু কঠিন। কারণ আমরা যখন একটা বই পড়ি তখন আমাদের মাথায় ওই চরিত্রকে আমরা দেখি। সেটার সঙ্গে যখন ভিজ্যুয়ালি মিল পাব না তখন আমার কাছে ভালো নাও লাগতে পারে।

আমি এটা মেনে নিতে চাই। কারণ আমি সবাইকে খুশি করতে পারব না। যাদের ভালো লেগেছে তারা তো খুবই ভালো বলছেন, স্পেশালি আমি এটা উল্লেখ করতে চাই যে কলকাতার দর্শক আমার কাজের প্রশংসা করছেন। এটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

এর কারণ নতুন কাউকে গ্রহণ করাটা কিন্তু অনেক বড় একটা ব্যাপার এবং সেটা তারা অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে করেছেন। কলকাতা থেকে আমি অনেক রেসপন্স পেয়েছি। আমাদের এখানকার যারা আমার পরিচিত বা পরিচিতর পরিচিত বা যারা ফেসবুকে লিখছেন তারা আমাকে অনেক ভালো ফিডব্যাক দিচ্ছেন।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
মুসকান জুবেরী চরিত্রে বাঁধন। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

  • দর্শকরা কোন ত্রুটিগুলোর কথা বলছেন?

একেকজন একেক রকম। আমি আসলে ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। কিন্তু ব্যাপারটা এ রকম না যে, আমি সেগুলো দেখিনি। সেগুলো জানাটাও আমার জন্য ভীষণ জরুরি বলে আমি মনে করি। কোন জায়গাগুলোতে মানুষ মনে করছেন যে, হয়তো আরেকটু বেটার হতো।

কিন্তু আমি যেটা বলছিলাম যে মাইন্ডসেট অনেক বড় একটা ব্যাপার। ওই জায়গা থেকে বের হয়ে যারা দেখেছেন, তারা ভালো বলেছেন। আর যারা বের হতে পারেননি কিংবা অন্য কাউকে ভেবে রেখেছিলেন এই চরিত্রে, তাদের জন্য একটু ডিফিকাল্ট হয়েছে।

আমার চরিত্র নিয়ে মানে মুসকান জুবেরীকে নিয়ে বেশির ভাগ রিভিউ ভালো এসেছে।

  • সাহিত্যের চরিত্র ও পর্দার চরিত্রের যে পার্থক্য, আপনি কি সেটার কথা বলছেন?

এটা খুবই স্বাভাবিক। এটা আসলে হবেই। বই পড়ার একটা সুবিধা হচ্ছে যে আমরা আমাদের মতো করে তা ভাবতে পারি বা দেখতে পারি। কিন্তু যখন আমরা একটা ওয়েব সিরিজ দেখব বা ফিল্ম দেখব, তখন সেটা দেখতে হবে পরিচালক যেভাবে দেখাতে চাচ্ছেন সেভাবে।

  • এই সিরিজকে থ্রিলার বলা হয়। কিন্তু মুসকানের কণ্ঠে- ‘নারীর সফল হতে হলে ডাইনি বা বেশ্যা হতে হয় না’- এই ধরনের একটি সংলাপ শুনে মনে হয় নারীর দৃঢ়তা যেন থ্রিলারকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।

প্রথমত, এই ধরনের নারী চরিত্র যে হয় এটা কিন্তু আমাদের এখানে আসলে দেখে না কেউ। আমি আমাদের দেশের রাইটার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের কাছে খুবই গ্রেটফুল এই জন্য যে, এ রকম একটা পাওয়ারফুল নারী চরিত্র সে ভেবেছে।

যদিও এটা কাল্পনিক চরিত্র। কিন্তু বিভিন্ন লেয়ারে লেয়ারে মুশকানকে দৃঢ় করে তোলা হয়েছে।

আপনি যে লাইনের কথা বলছেন, আমি মনে করি এটা আমার দেয়া সিরিজের সবচাইতে বেস্ট ডায়লগ। আমি এই ডায়লগটা ভালোবেসেছি এবং আমি খুবই পছন্দ করেছি যে এ রকম একটা ডায়লগ আসলে মুসকান বলেছে।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: নিউজবাংলা

  • পুরো সিরিজে শাড়ি ছিল মুসকানের কস্টিউম। কেন? আর শাড়িগুলো কোথাকার?

শাড়িগুলো কিন্তু আমাদের এখানকার। আমি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছি। লিনা নামের একজনকে আমি চিনি, ওর পরিচিত অনলাইন পেজ জায়া থেকে শাড়িগুলো নিয়েছি। প্রায় সব শাড়ি তার কাছ থেকে নেয়া, আমার ছিল একটা-দুটো।

এখান থেকে শাড়িগুলো নিয়ে গিয়েছিলাম কারণ ঢাকার জামদানি কলকাতায় খুব একটা পাওয়া যায় না; পাওয়া গেলেও সেগুলোর অনেক দাম। কলকাতা থেকে আমাকে অনুরোধ করা হয়েছিল যে, আমি যেন আমারগুলো নিয়ে যাই।

আমরা মুসকানকে এভাবেই পোর্ট্রেট করতে চেয়েছিলাম যে সে সব সময় ঢাকাই জামদানি পরে।

  • পুরো সিরিজেই মুসকানের উপস্থিতি মানেই একটা ভালোলাগার আবেদন তৈরি করে। সেটা উপন্যাসেও এবং সিরিজেও। এটাকে আপনি আবেদন বলবেন না ব্যক্তিত্ব বলবেন?

আমি যখন বইটি পড়ি, তখনই আমার মুশকানকে অনেক অ্যাটার্কটিভ মনে হয়েছে। এর অন্যতম কারণ তার চরিত্রের দৃঢ়তা এবং কনফিডেন্স। আমার কাছে মনে হয়েছে যে মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং শারীরিক গঠন অনেকভাবে প্রভাবিত হয় মানুষের মানসিক গঠন এবং তার ব্যক্তিত্ব দিয়ে, তার আত্মবিশ্বাস দিয়ে। মুসকানের তো সেটা প্রখর।

তবে আমার কাছে সব মানুষই দেখতে ভালো। সবাই তার তার জায়গা থেকে সুন্দর।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
মুসকান জুবেরী চরিত্রে বাঁধন। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

  • সিরিজে মুসকানের অভিনয় ও সংলাপের পরিমিতিবোধের কথা ভালোভাবে উল্লেখ করেছেন অনেকে। এই পরিমিতিবোধের মধ্য দিয়ে অভিনয়শিল্পীর যাওয়াটা কি সাধারণ জীবন-যাপনের মতো, নাকি শিখতে হয়?

আমার জন্য অভিনয়টা মাত্র শুরু হয়েছে। আমি অভিনয় নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে পারি না। কারণ হচ্ছে, অভিনয়ের যে টেকনিক আছে বা মঞ্চ থেকে আসলে বা প্রশিক্ষণ থাকলে বা যারা অলরেডি প্রমাণিত অভিনেতা-অভিনেত্রী তারা ভালো করে বলতে পারবেন।

আমি যেটা করেছি সেটা আমি রেহানা মরিয়ম নূরের ক্ষেত্রে করেছি এবং মুসকানের ক্ষেত্রে করেছি, সেটা হলো আমার পরিচালক যেভাবে চেয়েছেন আমি সেভাবে কাজ করেছি।

আমি খুব গুড লার্নার, আমি ভালো স্টুডেন্ট হিসেবে টিচারদের খুব পছন্দের ছিলাম। মেডিক্যালে যখন পড়েছি, সবাই আমাকে চিনত গুড স্টুডেন্ট হিসেবে।

সৃজিত যেভাবে বলেছেন আমি সেটা ভালো করেছি। আমি হয়তো কিছু জায়গায় মুশকান থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলাম, পরিচালক সেগুলো আমাকে ধরিয়ে দিয়েছেন।

  • আর সংলাপ

প্রত্যেকটা সংলাপ মুসকান কেন বলছে সেটা নিয়েও আমাদের বিশ্লেষণ হয়েছে। তখন আমি সেভাবে অ্যাডাপ্ট করেছি এবং প্রচুর রিহার্সেল হয়েছে।

এখান থেকে তো আমি সংলাপ পড়ে গেছিই, ওখানে গিয়েও বিভিন্নভাবে পড়েছি। ওখানে আমি হোটেলে ছিলাম। ওখানে তো আমাকে কেউ চেনে না। আমি ব্রেকফাস্টে যাচ্ছি, জিমে যাচ্ছি আর স্ক্রিপ্ট পড়ছি। ওরা মনে করেছে আমার পরীক্ষা।

সৃজিত আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। সৃজিত আমার সহশিল্পীর সংলাপ বলতেন আর আমি আমারটা।

আমি আমার জায়গা থেকে যা যা করতে পারি সেগুলো করে রাখার চেষ্টা করেছি। আর চরিত্র বা সংলাপের যে পরিমিতিবোধ, কোন সংলাপ কখন কীভাবে বলব, সেগুলো পরিচালক আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: নিউজবাংলা

  • সিরিজে আপনাকে মেডিক্যাল স্টুডেন্ট বলে একটি দায়িত্ব দেয়া হয়। আপনি বাস্তবজীবনেও মেডিক্যাল স্টুডেন্ট। সিরিজের যুক্তিটা নিয়ে কি বলবেন? মেডিক্যাল সায়েন্স কী বলে?

আপনি জানেন নিশ্চয়ই এই ঘটনাটা কিন্তু হয়েছে। এই অ্যাক্সিডেন্টটা হয়েছে এবং এই মানুষগুলো এভাবেই সারভাইব করেছে। এই ঘটনা নিয়ে মুভিও হয়েছে। এমন ঘটনা পৃথিবীতে এক্সিস্ট করে কোথাও কোথাও।

  • সিরিজের কিছু দৃশ্য খুবই বীভৎস। সেসব দৃশ্য পর্দায় আসার আগে স্ক্রলে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপরও এগুলো প্রতীকী রূপে দেখালে ভালো হতো বলে লিখেছেন কেউ কেউ। আপনি কী বলবেন?

এটা পরিচালক ভালো বলতে পারবেন। পরিচালক যেভাবে দেখাতে চেয়েছেন, আমি সেখানে অ্যাক্ট করেছি। আমার কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সবার মেন্টাল স্ট্রেন্থ তো এক রকম নয়। সে জন্য দৃশ্যগুলো স্ক্রিনে আসার আগে স্ক্রলে বলে দেয়া হয়েছে।

  • ‘বইয়ের চেয়ে উপাদেয় খাবার আর নেই’ এমন একটি সংলাপ রয়েছে সিরিজে। হোটেল/রেস্ট্রুরেন্ট তো পুড়ে গেল। সেখানে একটা লাইব্রেরি করার অনুরোধ করেছে মুসকান। এটা কি সেকেন্ড সিজনের ইঙ্গিত দেয়?

সেকেন্ড বইটা তো আছেই। সেখানে রেস্ট্রুরেন্টের জায়গায় একটা লাইব্রেরি হওয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু আমি জানি না যে সেকেন্ড সিজন হবে কি না।

যারা পড়েননি তারা পড়ে নিতে পারেন। তবে যেহেতু বই পড়ে সিরিজ দেখলে অসুবিধা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আসলে বইটা আগেই পড়ে ফেলাটা ঠিক হবে কি না, এ বিষয়ে সাজেশন দিতে পারছি না।

তবে আমি নিজেকে ভীষণ লাকি মনে করছি এই কারণে যে, আমি এ রকম একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: নিউজবাংলা

  • আপনার কাছে দর্শকের এখন প্রত্যাশা বাড়ছে। আপনি কী কাজ করবেন, সেদিকে নজর আমাদের সবার।

আমাকে তো তিন বছর সময় অনেকেই পাগল বলেছে, বলেছে যে মাথা খারাপ আমার, কী করছি।

এই কাজগুলোই তো করছি তিন বছর ধরে। আমার পরিকল্পনাতেই ছিল এভাবে কাজ করা বা এই কাজগুলো করা।

এখানে আমার যদি একটা ভুল হয়ে যেত, তাহলে হয়তো বলত যে এটা কেন করলা, আবার এখন আমি ঠিক করছি বলে বলছে যে হ্যাঁ, খুব ভালো করেছ, এরপর সব ভালো করবা।

ব্যাপারটা কিন্তু একেবারে এ রকম না। আমি একজন মানুষ, আমি ভুল করবই এবং সেটা এখন বা পরেও হতে পারে। আমার এত বড় বড় সাকসেসের পরেও আমার ভুল হতে পারে এবং এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা।

সব ভালো কাজ আমি এখন করতে পারব এটা ভাবার মতো ইমপ্র্যাকটিক্যাল মানুষ আমি না। আমি খুবই মাটিতে থাকার মতো মানুষ। আমি বাস্তবতা জানি এবং মেনে নিয়ে চলতে চাই।

আর ভালো কাজের সুযোগ তো আমার পেতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে, এই সুযোগটা পাওয়ার পরে সেটা আমি কাজে লাগাতে নাও পারি। আমার এখন যে মেন্টাল স্ট্রেন্থ, সেটা নাও থাকতে পারে। আগাম কিছুই বলতে পারছি না।

আমি চেষ্টা করব আমার যে কাজগুলো করার ইচ্ছা, সেগুলো আমি টাকার জন্য করব না। মানে মিনিমাম যে টাকাটা নিতে হয় সেটা নেব। আর কিছু কাজ আমাকে তো সারভাইভ করার জন্য করতে হচ্ছে, হবে। সেটাও আমি করব।

  • পরবর্তী কাজ কী?

জানি না এখনও। আমি একটা কাজের অডিশন দিয়েছি অনলাইনে। সেটা দেশের না বাইরের সেগুলোও এখন বলতে চাচ্ছি না। কাজটি চূড়ান্ত হলে আনন্দ নিয়ে জানাব।

আরও পড়ুন:
পিলে চমকানো সত্য জানাবেন বাঁধন!
‘মুসকানের মতো বাঁধনের প্রেমে পড়াও কঠিন’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Mirza Fakhruls best wishes on the occasion of Janmastami

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাতে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি শুধু আনন্দ-উৎসবের দিন নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার এক মহামিলন ক্ষেত্র।

তিনি বলেন, জন্মাষ্টমী সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য অবারিত উৎসবের প্রাঙ্গণ সৃষ্টি করে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হলো ধর্মীয় সম্প্রীতি। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, অশান্তি, হানাহানি, বৈষম্য ও অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব এ সময় দেশবাসীর প্রতি সম্প্রীতি, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বিনোদন
Four drug dealers arrested with yaba in bear

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিশেষ অভিযানে ৪৩ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মডেল থানার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—জামিরদিয়ার মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ সজিব মিয়া (২৬), একই এলাকার মোঃ নাবিল হোসেন নবীর ছেলে মোঃ আলী হোসেন ওরফে নাজমুল (২৫), গাজীপুরের শ্রীপুরের উদয়খালী এলাকার মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৭) এবং ডুমবারিরচালা এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ নাঈম খান (২৫)।

এসময় সময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক নির্মূলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে।

মন্তব্য

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁর আত্রাই নদীর একটি স্থানে কয়েক সেন্টিমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে তালপাতিলা গ্রামসহ আশেপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পানি বন্দী হয়ে পড়েন কয়েকশ পরিবার।

স্থানীয়রা বলছে, এই একই স্থানে গেলো বছর ভেঙ্গে যায়। এরপর মাসখানেক আগে বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু মেরামত করা হয়। কিন্তু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভেঙে গেছে।

বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী। এসময় তিনি উক্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে দেওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোত বাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও নওগাঁর ছোট যমুনা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বিদসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওযায় মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Home Advisor visited Mohammadpur Agricultural Market

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই মার্কেট পরিদর্শন করেন ।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেটে যান। এরপর তিনি কৃষিমার্কেটের বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দোকানিদের পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন এবং পলিথিন ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরেন ।

মন্তব্য

বিনোদন
Case in the case of stone loot in Sylhet All 2000 accused are unknown

সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত

সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও লুটের ঘটনায় মামলা করেছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিএমডি মহাপরিচালক আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা কিছু দুষ্কৃতিকারীর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গেজেভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, পাথর লুটপাটে অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। সরকারের গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে লুট বা চুরি এ ধরনের কর্মকাণ্ড খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২) (ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা ২০১২-এর বিধি ৯৩ (১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মৌখিক নির্দেশনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর ৫ ধারা অপরাধে ও দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩৭৯ নম্বর ধারা ও ৪৩১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় সরকারি স্বার্থে ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় দায়ী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন এবং লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

এরপর সিলেটসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযানে নামে র‌্যাব, পুলিশসহ যৌথবাহিনী। গত তিন দিনে জাফলং ও সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে অবশ্য নারায়ণগঞ্জ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া ৪০ হাজার টন পাথরও রয়েছে।

সর্বশেষ সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন আসাম পাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-৯-এর টহল দল, সাদা পোশাকধারী সদস্য এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসাম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মন্তব্য

বিনোদন
Iman robber arrested with weapons in the army operation in Meherpur

মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ইমান ডাকাত গ্রেফতার

মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ইমান ডাকাত গ্রেফতার

মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মোঃ ইমান আলী ওরফে ইমান ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ইমান আলী শিবপুর গ্রামের মৃত আমির শেখের ছেলে। সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল মোনাখালী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে তার বাড়ি ঘেরাও করে। পরে তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে মার্কিন তৈরি একটি ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

ইমান আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরক ও নাশকতাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
The army has surrounded huge weapons and explosives at the coaching center

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক, ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক, ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম উদ্ধারের পর একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। ওই বাড়িতে থাকা ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাড়িটি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির একটি দল।

অভিযানে সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে জানা গেছে, ডক্টরস ইংলিশ নামের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি বিদেশী এয়ার গান, একটি রিভালবার, একটি কার্তুজ, তিন বক্স ইয়ারগান শিশা, দেশীয় অস্ত্র, জিপিএস, ওয়াকিটকি, বাইনোকুলার, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, মাদকদ্রব্যসহ আরো বহু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কোন তথ্য জানেন না। তবে তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে বিস্তারিত জানানো হবে।

মন্তব্য

p
উপরে