× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Women dont have to be witches to be successful This is the best dialogue of Muskan Bandhan
google_news print-icon

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন

মুসকান-জুবেরী-হয়ে-ওঠার-গল্প-শোনালেন-বাঁধন
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি ওয়েব সিরিজে মুসকান জুবেরী চরিত্রে বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত
‘আমি আমাদের দেশের রাইটার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের কাছে খুবই গ্রেটফুল এই জন্য যে, এ রকম একটা পাওয়ারফুল নারী চরিত্র সে ভেবেছে। যদিও এটা কাল্পনিক চরিত্র। কিন্তু বিভিন্ন লেয়ারে লেয়ারে মুশকানকে দৃঢ় করে তোলা হয়েছে।’

দেশের লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের থ্রিলার উপন্যাস ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ অবলম্বনে একই নামে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছেন কলকাতার নামকরা পরিচালক সৃজিত।

১৩ আগস্ট ভারতীয় ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচইতে মুক্তি পেয়েছে সিরিজটি। এতে মুসকান জুবেরী নামের এক রহস্যময়ী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ দেশের বাঁধন।

সিরিজটি মুক্তি পাওয়ার পর কেমন সাড়া পাচ্ছেন অভিনেত্রী? কোন কোন বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা?

নিউজবাংলার সঙ্গে সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আজমেরী হক বাঁধন।

  • রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি ওয়েব সিরিজটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই লিখছেন। আপনার চোখে কি পড়েছে?

ওয়েব সিরিজটা যেহেতু এখন স্ট্রিমিং হচ্ছে হইচইতে, ওটা মানুষ দেখেছেন। ভালো রিভিউ আসছে আমার কাছে। আমি দেখতে চাচ্ছিলাম যে আসলে কে কী বলছেন। কেউ কেউ আবার যেসব ত্রুটির কথা বলছেন আমি সেটাও লক্ষ্য করছি; কে কোন জায়গাটার কথা বলছেন।

এক ধরনের মাইন্ডসেট তো আমাদের থাকে। আমরা সব সময়ই আমাদের মাইন্ডসেট থেকে বের হতে পারি না। এটা আমাদের আসলে সামাজিক সমস্যা। যার কারণে নতুন কিছু গ্রহণ করার প্রবণতা কম।

এটা এমন একটি চরিত্র যে চরিত্রটা মানুষ অলরেডি জানেন। কারণ এটা তো একটা উপন্যাসের চরিত্র। এই ধরনের চরিত্র করা কিন্তু কঠিন। কারণ আমরা যখন একটা বই পড়ি তখন আমাদের মাথায় ওই চরিত্রকে আমরা দেখি। সেটার সঙ্গে যখন ভিজ্যুয়ালি মিল পাব না তখন আমার কাছে ভালো নাও লাগতে পারে।

আমি এটা মেনে নিতে চাই। কারণ আমি সবাইকে খুশি করতে পারব না। যাদের ভালো লেগেছে তারা তো খুবই ভালো বলছেন, স্পেশালি আমি এটা উল্লেখ করতে চাই যে কলকাতার দর্শক আমার কাজের প্রশংসা করছেন। এটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

এর কারণ নতুন কাউকে গ্রহণ করাটা কিন্তু অনেক বড় একটা ব্যাপার এবং সেটা তারা অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে করেছেন। কলকাতা থেকে আমি অনেক রেসপন্স পেয়েছি। আমাদের এখানকার যারা আমার পরিচিত বা পরিচিতর পরিচিত বা যারা ফেসবুকে লিখছেন তারা আমাকে অনেক ভালো ফিডব্যাক দিচ্ছেন।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
মুসকান জুবেরী চরিত্রে বাঁধন। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

  • দর্শকরা কোন ত্রুটিগুলোর কথা বলছেন?

একেকজন একেক রকম। আমি আসলে ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। কিন্তু ব্যাপারটা এ রকম না যে, আমি সেগুলো দেখিনি। সেগুলো জানাটাও আমার জন্য ভীষণ জরুরি বলে আমি মনে করি। কোন জায়গাগুলোতে মানুষ মনে করছেন যে, হয়তো আরেকটু বেটার হতো।

কিন্তু আমি যেটা বলছিলাম যে মাইন্ডসেট অনেক বড় একটা ব্যাপার। ওই জায়গা থেকে বের হয়ে যারা দেখেছেন, তারা ভালো বলেছেন। আর যারা বের হতে পারেননি কিংবা অন্য কাউকে ভেবে রেখেছিলেন এই চরিত্রে, তাদের জন্য একটু ডিফিকাল্ট হয়েছে।

আমার চরিত্র নিয়ে মানে মুসকান জুবেরীকে নিয়ে বেশির ভাগ রিভিউ ভালো এসেছে।

  • সাহিত্যের চরিত্র ও পর্দার চরিত্রের যে পার্থক্য, আপনি কি সেটার কথা বলছেন?

এটা খুবই স্বাভাবিক। এটা আসলে হবেই। বই পড়ার একটা সুবিধা হচ্ছে যে আমরা আমাদের মতো করে তা ভাবতে পারি বা দেখতে পারি। কিন্তু যখন আমরা একটা ওয়েব সিরিজ দেখব বা ফিল্ম দেখব, তখন সেটা দেখতে হবে পরিচালক যেভাবে দেখাতে চাচ্ছেন সেভাবে।

  • এই সিরিজকে থ্রিলার বলা হয়। কিন্তু মুসকানের কণ্ঠে- ‘নারীর সফল হতে হলে ডাইনি বা বেশ্যা হতে হয় না’- এই ধরনের একটি সংলাপ শুনে মনে হয় নারীর দৃঢ়তা যেন থ্রিলারকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।

প্রথমত, এই ধরনের নারী চরিত্র যে হয় এটা কিন্তু আমাদের এখানে আসলে দেখে না কেউ। আমি আমাদের দেশের রাইটার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের কাছে খুবই গ্রেটফুল এই জন্য যে, এ রকম একটা পাওয়ারফুল নারী চরিত্র সে ভেবেছে।

যদিও এটা কাল্পনিক চরিত্র। কিন্তু বিভিন্ন লেয়ারে লেয়ারে মুশকানকে দৃঢ় করে তোলা হয়েছে।

আপনি যে লাইনের কথা বলছেন, আমি মনে করি এটা আমার দেয়া সিরিজের সবচাইতে বেস্ট ডায়লগ। আমি এই ডায়লগটা ভালোবেসেছি এবং আমি খুবই পছন্দ করেছি যে এ রকম একটা ডায়লগ আসলে মুসকান বলেছে।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: নিউজবাংলা

  • পুরো সিরিজে শাড়ি ছিল মুসকানের কস্টিউম। কেন? আর শাড়িগুলো কোথাকার?

শাড়িগুলো কিন্তু আমাদের এখানকার। আমি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছি। লিনা নামের একজনকে আমি চিনি, ওর পরিচিত অনলাইন পেজ জায়া থেকে শাড়িগুলো নিয়েছি। প্রায় সব শাড়ি তার কাছ থেকে নেয়া, আমার ছিল একটা-দুটো।

এখান থেকে শাড়িগুলো নিয়ে গিয়েছিলাম কারণ ঢাকার জামদানি কলকাতায় খুব একটা পাওয়া যায় না; পাওয়া গেলেও সেগুলোর অনেক দাম। কলকাতা থেকে আমাকে অনুরোধ করা হয়েছিল যে, আমি যেন আমারগুলো নিয়ে যাই।

আমরা মুসকানকে এভাবেই পোর্ট্রেট করতে চেয়েছিলাম যে সে সব সময় ঢাকাই জামদানি পরে।

  • পুরো সিরিজেই মুসকানের উপস্থিতি মানেই একটা ভালোলাগার আবেদন তৈরি করে। সেটা উপন্যাসেও এবং সিরিজেও। এটাকে আপনি আবেদন বলবেন না ব্যক্তিত্ব বলবেন?

আমি যখন বইটি পড়ি, তখনই আমার মুশকানকে অনেক অ্যাটার্কটিভ মনে হয়েছে। এর অন্যতম কারণ তার চরিত্রের দৃঢ়তা এবং কনফিডেন্স। আমার কাছে মনে হয়েছে যে মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং শারীরিক গঠন অনেকভাবে প্রভাবিত হয় মানুষের মানসিক গঠন এবং তার ব্যক্তিত্ব দিয়ে, তার আত্মবিশ্বাস দিয়ে। মুসকানের তো সেটা প্রখর।

তবে আমার কাছে সব মানুষই দেখতে ভালো। সবাই তার তার জায়গা থেকে সুন্দর।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
মুসকান জুবেরী চরিত্রে বাঁধন। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

  • সিরিজে মুসকানের অভিনয় ও সংলাপের পরিমিতিবোধের কথা ভালোভাবে উল্লেখ করেছেন অনেকে। এই পরিমিতিবোধের মধ্য দিয়ে অভিনয়শিল্পীর যাওয়াটা কি সাধারণ জীবন-যাপনের মতো, নাকি শিখতে হয়?

আমার জন্য অভিনয়টা মাত্র শুরু হয়েছে। আমি অভিনয় নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে পারি না। কারণ হচ্ছে, অভিনয়ের যে টেকনিক আছে বা মঞ্চ থেকে আসলে বা প্রশিক্ষণ থাকলে বা যারা অলরেডি প্রমাণিত অভিনেতা-অভিনেত্রী তারা ভালো করে বলতে পারবেন।

আমি যেটা করেছি সেটা আমি রেহানা মরিয়ম নূরের ক্ষেত্রে করেছি এবং মুসকানের ক্ষেত্রে করেছি, সেটা হলো আমার পরিচালক যেভাবে চেয়েছেন আমি সেভাবে কাজ করেছি।

আমি খুব গুড লার্নার, আমি ভালো স্টুডেন্ট হিসেবে টিচারদের খুব পছন্দের ছিলাম। মেডিক্যালে যখন পড়েছি, সবাই আমাকে চিনত গুড স্টুডেন্ট হিসেবে।

সৃজিত যেভাবে বলেছেন আমি সেটা ভালো করেছি। আমি হয়তো কিছু জায়গায় মুশকান থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলাম, পরিচালক সেগুলো আমাকে ধরিয়ে দিয়েছেন।

  • আর সংলাপ

প্রত্যেকটা সংলাপ মুসকান কেন বলছে সেটা নিয়েও আমাদের বিশ্লেষণ হয়েছে। তখন আমি সেভাবে অ্যাডাপ্ট করেছি এবং প্রচুর রিহার্সেল হয়েছে।

এখান থেকে তো আমি সংলাপ পড়ে গেছিই, ওখানে গিয়েও বিভিন্নভাবে পড়েছি। ওখানে আমি হোটেলে ছিলাম। ওখানে তো আমাকে কেউ চেনে না। আমি ব্রেকফাস্টে যাচ্ছি, জিমে যাচ্ছি আর স্ক্রিপ্ট পড়ছি। ওরা মনে করেছে আমার পরীক্ষা।

সৃজিত আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। সৃজিত আমার সহশিল্পীর সংলাপ বলতেন আর আমি আমারটা।

আমি আমার জায়গা থেকে যা যা করতে পারি সেগুলো করে রাখার চেষ্টা করেছি। আর চরিত্র বা সংলাপের যে পরিমিতিবোধ, কোন সংলাপ কখন কীভাবে বলব, সেগুলো পরিচালক আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: নিউজবাংলা

  • সিরিজে আপনাকে মেডিক্যাল স্টুডেন্ট বলে একটি দায়িত্ব দেয়া হয়। আপনি বাস্তবজীবনেও মেডিক্যাল স্টুডেন্ট। সিরিজের যুক্তিটা নিয়ে কি বলবেন? মেডিক্যাল সায়েন্স কী বলে?

আপনি জানেন নিশ্চয়ই এই ঘটনাটা কিন্তু হয়েছে। এই অ্যাক্সিডেন্টটা হয়েছে এবং এই মানুষগুলো এভাবেই সারভাইব করেছে। এই ঘটনা নিয়ে মুভিও হয়েছে। এমন ঘটনা পৃথিবীতে এক্সিস্ট করে কোথাও কোথাও।

  • সিরিজের কিছু দৃশ্য খুবই বীভৎস। সেসব দৃশ্য পর্দায় আসার আগে স্ক্রলে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপরও এগুলো প্রতীকী রূপে দেখালে ভালো হতো বলে লিখেছেন কেউ কেউ। আপনি কী বলবেন?

এটা পরিচালক ভালো বলতে পারবেন। পরিচালক যেভাবে দেখাতে চেয়েছেন, আমি সেখানে অ্যাক্ট করেছি। আমার কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সবার মেন্টাল স্ট্রেন্থ তো এক রকম নয়। সে জন্য দৃশ্যগুলো স্ক্রিনে আসার আগে স্ক্রলে বলে দেয়া হয়েছে।

  • ‘বইয়ের চেয়ে উপাদেয় খাবার আর নেই’ এমন একটি সংলাপ রয়েছে সিরিজে। হোটেল/রেস্ট্রুরেন্ট তো পুড়ে গেল। সেখানে একটা লাইব্রেরি করার অনুরোধ করেছে মুসকান। এটা কি সেকেন্ড সিজনের ইঙ্গিত দেয়?

সেকেন্ড বইটা তো আছেই। সেখানে রেস্ট্রুরেন্টের জায়গায় একটা লাইব্রেরি হওয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু আমি জানি না যে সেকেন্ড সিজন হবে কি না।

যারা পড়েননি তারা পড়ে নিতে পারেন। তবে যেহেতু বই পড়ে সিরিজ দেখলে অসুবিধা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে আসলে বইটা আগেই পড়ে ফেলাটা ঠিক হবে কি না, এ বিষয়ে সাজেশন দিতে পারছি না।

তবে আমি নিজেকে ভীষণ লাকি মনে করছি এই কারণে যে, আমি এ রকম একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।

মুসকান জুবেরী হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাঁধন
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: নিউজবাংলা

  • আপনার কাছে দর্শকের এখন প্রত্যাশা বাড়ছে। আপনি কী কাজ করবেন, সেদিকে নজর আমাদের সবার।

আমাকে তো তিন বছর সময় অনেকেই পাগল বলেছে, বলেছে যে মাথা খারাপ আমার, কী করছি।

এই কাজগুলোই তো করছি তিন বছর ধরে। আমার পরিকল্পনাতেই ছিল এভাবে কাজ করা বা এই কাজগুলো করা।

এখানে আমার যদি একটা ভুল হয়ে যেত, তাহলে হয়তো বলত যে এটা কেন করলা, আবার এখন আমি ঠিক করছি বলে বলছে যে হ্যাঁ, খুব ভালো করেছ, এরপর সব ভালো করবা।

ব্যাপারটা কিন্তু একেবারে এ রকম না। আমি একজন মানুষ, আমি ভুল করবই এবং সেটা এখন বা পরেও হতে পারে। আমার এত বড় বড় সাকসেসের পরেও আমার ভুল হতে পারে এবং এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা।

সব ভালো কাজ আমি এখন করতে পারব এটা ভাবার মতো ইমপ্র্যাকটিক্যাল মানুষ আমি না। আমি খুবই মাটিতে থাকার মতো মানুষ। আমি বাস্তবতা জানি এবং মেনে নিয়ে চলতে চাই।

আর ভালো কাজের সুযোগ তো আমার পেতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে, এই সুযোগটা পাওয়ার পরে সেটা আমি কাজে লাগাতে নাও পারি। আমার এখন যে মেন্টাল স্ট্রেন্থ, সেটা নাও থাকতে পারে। আগাম কিছুই বলতে পারছি না।

আমি চেষ্টা করব আমার যে কাজগুলো করার ইচ্ছা, সেগুলো আমি টাকার জন্য করব না। মানে মিনিমাম যে টাকাটা নিতে হয় সেটা নেব। আর কিছু কাজ আমাকে তো সারভাইভ করার জন্য করতে হচ্ছে, হবে। সেটাও আমি করব।

  • পরবর্তী কাজ কী?

জানি না এখনও। আমি একটা কাজের অডিশন দিয়েছি অনলাইনে। সেটা দেশের না বাইরের সেগুলোও এখন বলতে চাচ্ছি না। কাজটি চূড়ান্ত হলে আনন্দ নিয়ে জানাব।

আরও পড়ুন:
পিলে চমকানো সত্য জানাবেন বাঁধন!
‘মুসকানের মতো বাঁধনের প্রেমে পড়াও কঠিন’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
No discussion with the United Nations on the Humanities Corridor Press Secretary

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব ছবি: সংগৃহীত

‘মানবিক করিডর’ নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কক্সবাজার হয়ে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডর’-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, সরকার তথাকথিত মানবিক করিডর নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি।”

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো, জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে যদি মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়, তবে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে আগ্রহী থাকবে।’

তিনি জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তথ্য অনুযায়ী রাখাইন রাজ্যে তীব্র মানবিক সংকট চলছে।

দুর্যোগকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশকে সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারকে সহায়তা প্রদান করা।

প্রেস সচিব সতর্ক করে বলেন, ‘এছাড়াও, আমরা উদ্বিগ্ন যে এ ধরনের মানবিক সংকট দীর্ঘ হলে রাখাইন থেকে আরও মানুষের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে, যা আমরা সামাল দিতে পারব না।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বাস করে যে জাতিসংঘ-সমর্থিত মানবিক সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে এবং শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর বাস্তবসম্মত একমাত্র পথ হলো বাংলাদেশ।

শফিকুল আলম বলেন, এই রুট ব্যবহার করে সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা প্রদানে সম্মত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তবে, রাখাইনে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে আমরা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করব।’

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিশ্বের বড় কোনো শক্তি এই করিডরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে যে প্রতিবেদন করা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রপাগান্ডা বলে তিনি দাবি করেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে আমরা দেখেছি, যা এখনো চলছে। এ ধরণের প্রচারণাও তার ব্যতিক্রম নয়।’

মন্তব্য

বিনোদন
Suicide not to prepare for the threat of war on a regular basis the chief adviser

প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করি যেখানে যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখাটা আত্মঘাতী। এ মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাহিনীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে ছিল বার্ষিক মহড়া। ‘আকাশ বিজয়’ নামে হয় এ বছরের বাৎসরিক মহড়া। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি যুদ্ধবিরোধী মানুষ। পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক এটা আমরা কামনা করি না। যুদ্ধ প্রস্তুতি অনেক সময় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। কাজেই যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়েও একটা ঘোরতর আপত্তি। কিন্তু এমন বিশ্বে আমরা বাস করি, প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। তো সেখানে প্রস্তুতি না নিয়ে থাকা এটা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

‘কাজেই এই পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি না নেয়াটা আত্মঘাতী। প্রস্তুতি নিতে হলে আধা-আধি প্রস্তুতির কোনো জায়গা নাই।’ বলেন তিনি।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে বিমান বাহিনী। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তৎপর থাকতে হবে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে আত্মনির্ভরতার প্রমাণ দিয়েছে বিমান বাহিনী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য সরকার সহযোগিতা করছে বাহিনীটিকে। পেশাগত কারিগরি সক্ষমতা বজায় রাখতে হবে।

দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যুগোপযোগী বিমান বাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, সকালে প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেয়া এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বন্যাকবলিত পরিবারের মাঝে পুনর্বাসনকৃত ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

মন্তব্য

বিনোদন
Air ambulance is being prepared for Khaleda Zia Foreign Advisor

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে আনতে বিএনপির অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরত আনতে বিএনপির পক্ষ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অনুরোধ নিয়ে কাজ করছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হচ্ছে। জানা যায়, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

মন্তব্য

বিনোদন
Modis green signal in an army operation in response to the Kashmir attack

কাশ্মীর হামলার জবাবে সেনা অভিযানে মোদির ‘সবুজ সংকেত’

কাশ্মীর হামলার জবাবে সেনা অভিযানে মোদির ‘সবুজ সংকেত’ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার পর সামরিক জবাবদিহির বিষয়ে সেনাবাহিনীকে ‘পদ্ধতি, লক্ষ্য ও সময় নির্ধারণে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভি গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রতিরক্ষাপ্রধান জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন মোদি।

প্রধানমন্ত্রী মোদি আবারও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক জবাব দেওয়াই আমাদের জাতীয় সংকল্প’ এবং তিনি ভারতের সেনাবাহিনীর প্রতি ‘সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা’ রাখেন।

এই বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শিক অভিভাবক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছন।

সূত্রের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের সবুজ সংকেত দিয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। তখন ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ পরিচালিত প্রশিক্ষণশিবিরে নিখুঁত বিমান হামলা চালিয়েছিল।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত সেই শিবিরগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

ছয় বছর পর এই হামলার সঙ্গে আবারও পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাদেরই ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

এদিকে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও বলেছে, প্রাপ্ত প্রমাণ আবারও পাকিস্তানকেই ইঙ্গিত করছে।

এই প্রমাণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের প্রতিনিধিদের দেখানো হয়েছে।

ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রথম ধাপে নয়াদিল্লি পাকিস্তানিদের জন্য জারি করা ভিসা বাতিল করে দিয়েছে। তবে পাকিস্তানি হিন্দু ও দীর্ঘমেয়াদি অনুমোদনপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য নয়। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেওয়া ভিসাও বাতিল করা হয়েছে।

গত রোববার সব কার্যকর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে, বিশেষ করে বিখ্যাত আটারি-ওয়াঘা চেকপয়েন্টে পাকিস্তানি নাগরিকদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। সেদিন থেকে প্রায় এক হাজার পাকিস্তানি নাগরিক ভারত ছেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যক্তিগতভাবে রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কূটনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে ভারত ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দাস পানি চুক্তিও স্থগিত করেছে। এই পানি বণ্টন চুক্তির অধীনে পাকিস্তান তার প্রাপ্য মোট পানির প্রায় ৮৫ শতাংশ পেত। এই চুক্তি স্থগিত করাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ ভারতের সব ভিসা বাতিল করেছে ও শত শত ভারতীয়কে বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তান আরও কিছু দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, যেমন ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিও স্থগিত রেখেছে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানের এক শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া এক মন্তব্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, আগামী কয়েক দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পেহেলগামে হামলা নিয়ে নিজের প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তার সরকার সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ পরিকল্পনাকে সফল হতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসের আখ্যানের শেষ চিহ্নও মুছে ফেলার। ১৪০ কোটি মানুষের ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসের প্রভুদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে।’

এরপর তিনি একাধিক শক্ত বার্তা দিয়েছেন, যাতে তিনি বলেন, ভারত সন্ত্রাসকে ভয় পায় না এবং এই ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনাকারীসহ প্রত্যেক জড়িত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

মন্তব্য

বিনোদন
The main adviser

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ দেশের চারটি জেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ঘর বিতরণ করেছেন।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত মোট তিনশটি ঘর ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় বিতরণ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকরা সুবিধাভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

অধ্যাপক ইউনূস ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি চারটি জেলায় অনুষ্ঠিত ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি এবং চট্টগ্রামে ৩০টি ঘর সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে, বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেক দিয়েই সুষ্ঠু ভাবে প্রকল্প শেষ করায় প্রকল্পের সাথে যুক্ত সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই বিশেষ গৃহায়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Corruption at Nuclear Power Center Palaya Limited is banned from departure from 5 people

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি : প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রচ্ছায়া লিমিটেডের আট পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দেশ ত্যাগে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তারা হচ্ছেন: প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বুশরা সিদ্দিক, শেহতাজ মুন্নাসী খান, শহিদ উদ্দিন খান, শাহিন সিদ্দিক, শফিক আহমেদ শফিক, পারিজা পাইনাজ খান, নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা আনজুম।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ যাতে সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে আদালতের আদেশ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মন্তব্য

বিনোদন
No discussion on setting up humanitarian corridors in Rakhine has not yet been discussed Press Secretary

রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে কোনো আলোচনা এখনও হয়নি: প্রেস সচিব

রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে কোনো আলোচনা এখনও হয়নি: প্রেস সচিব

কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ কিংবা অন্যকোনো সংস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইউএনবিকে জানান, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি সরকার।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো— যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে যৌক্তিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) তথ্যমতে, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে চরম মানবিক সংকট বিদ্যমান।

শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশ সবসময়ই সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সহায়তা করে এসেছে, সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পরও সেখানে মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়েছে।

রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার কারণ হতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রেস সচিব।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের দেওয়া মানবিক ত্রাণ সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।’

শফিকুল আলম জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশ। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে যৌক্তিক সহায়তা দিতে সম্মত।

তবে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের সংশ্লিষ্ট স্বত্বভোগীদের (স্টকহোল্ডার) সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

রাখাইন রাজ্যে যোগাযোগের জন্য মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে।

মন্তব্য

p
উপরে