× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Whoever is born in the lightning fire of freedom does not die Jaya
google_news print-icon

‘স্বাধীনতার বজ্র আগুনে যার জন্ম, তার মৃত্যু নেই’

স্বাধীনতার-বজ্র-আগুনে-যার-জন্ম-তার-মৃত্যু-নেই
জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় শোক দিবসে এক স্ট্যাটাসে জয়া লেখেন, ‘একদল নিষ্ঠুর ঘাতক তার বুকে গুলি চালিয়ে ভেবেছিল, তাকে হত্যা করা যাবে। স্বাধীনতার বজ্র–আগুনে যার জন্ম, তার মৃত্যু নেই।’

জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেছেন, স্বাধীনতার বজ্র আগুনে জন্ম নেয়া নেতার মৃত্যু নেই।

নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্ট্যাটাসের সঙ্গে জাতির পিতার ছবি যুক্ত করে জয়া লেখেন, ‘তার মৃত্যু নেই। স্বাধীনতা ছিল তার জীবনের ধ্রুবতারা। মানুষের স্বাধীনতার পথে বড় সময় পার করেছেন জেলে, তোয়াক্কা করেননি মৃত্যুর। আমাদের মনে তিনি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার লেলিহান আকাঙ্ক্ষা। পৃথিবীর বুকে জন্ম দিয়েছিলেন নতুন এক স্বাধীন দেশ।’

তিনি আরও লেখেন, ‘একদল নিষ্ঠুর ঘাতক তার বুকে গুলি চালিয়ে ভেবেছিল, তাকে হত্যা করা যাবে। স্বাধীনতার বজ্র-আগুনে যার জন্ম, তার মৃত্যু নেই।’

সেই সঙ্গে তার পোস্ট করা বঙ্গবন্ধুর আঁকা ছবিটির শিল্পীর নামও জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘শিল্পী; উদীয়মান আঁকিয়ে আরিশা তাহনী।’

১৯৭৫ সালের এ দিনে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নিহত হওয়ার দিনটি শোক দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হয়ে আসছে।

১৯৭৫ সালের এ দিনে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসায় আক্রমণ করে। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ছাড়াও হত্যা করা হয় তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে।

এ ছাড়া বেইলি রোডে সরকারি বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবি সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত ও আবদুল নঈম খান রিন্টুকে। আরেক বাসায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণিকে।

সেদিন দেশে না থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারা সে সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে।

সেদিন দেশে না থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারা সে সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন:
এখনই তাকে দরকার ছিল সবচেয়ে বেশি: জয়া
এই ত্যাগের অর্থ যেন তখন আরও গভীর: জয়া
প্রাণীগুলোর মৃত্যুর কারণ স্রেফ অবহেলা: জয়া
জয়াকে ঘিরে রহস্য
স্তব্ধ জয়া

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
He who does not respect Bangabandhu is not a good son Kader Siddiqui

বঙ্গবন্ধুকে যে সম্মান করে না, সে সুসন্তান নয়: কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবন্ধুকে যে সম্মান করে না, সে সুসন্তান নয়: কাদের সিদ্দিকী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান কাদের সিদ্দিকী। ছবি: নিউজবাংলা
‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের কেউ নন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা, বিএনপির পিতা, জাতীয় পার্টির পিতা, জামায়াতেরও পিতা। যে সন্তান পিতাকে সম্মান করতে পারে না, সে সুসন্তান হতে পারে না।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের একার কেউ নন বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলের কট্টর সমালোচক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সব দলের, সবার জাতির পিতা। যে সন্তান পিতাকে সম্মান করতে জানে না, সে সুসন্তান নয়।

মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান কাদের সিদ্দিকী। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এই মন্তব্য করেন।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিবেদিতে ফুল দিয়ে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা এবং ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন কাদের সিদ্দিকী। এ সময় তার দ‌লের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদেরিয়া বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি বাহিনীর ত্রাসে পরিণত হওয়া এই বীর যোদ্ধা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেও অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। তবে জাতির পিতার দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে মতভেদে ১৯৯৮ সালে দল ছাড়েন। গঠন করেন নিজের দল।

এরপর থেকে নানা সময় শেখ হাসিনার সমালোচনা করে আসলেও বরাবর বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার আনুগত্য বরাবর প্রশ্নাতীত।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের কেউ নন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা, বিএনপির পিতা, জাতীয় পার্টির পিতা, জামায়াতেরও পিতা। যে সন্তান পিতাকে সম্মান করতে পারে না, সে সুসন্তান হতে পারে না।’

আওয়ামী লীগ বিরোধীরাও বঙ্গবন্ধুতে সম্মান ও শ্রদ্ধা করেন বলেও জানান জনতা লীগ নেতা। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সম্পত্তি নয়। বিএনপিসহ সকল দল ও সকল মানুষের সম্পত্তি। আওয়ামী লীগ করলেই বঙ্গবন্ধুর প্রেমিক, না করলে বঙ্গবন্ধুর বিরোধী- এটা ঠিক না।

আরও পড়ুন:
আমি গাধা, তাই ঐক্যফ্রন্টে গিয়েছি: কাদের সিদ্দিকী
বিএনপির সংলাপে আসা উচিত: কাদের সিদ্দিকী
হাসপাতালে ভর্তি কাদের সিদ্দিকী

মন্তব্য

বিনোদন
Be patient with us Nasrul Hamid

ধৈর্য ধরে আমাদের সঙ্গেই থাকুন: নসরুল হামিদ

ধৈর্য ধরে আমাদের সঙ্গেই থাকুন: নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার ঊর্ধ্বমুখী, তার কারণে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। এ বছরের শেষ নাগাদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে আশা করছি।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ধৈর্য ধরে আমাদের সঙ্গেই থাকুন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর কমলে বাংলাদেশে তা সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার ঊর্ধ্বমুখী, তার কারণে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। এ বছরের শেষ নাগাদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে আশা করছি।’

সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস ও দূরদর্শিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করলে আমরা দ্রুত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। রূপকল্প ২০৪১ নির্ধারিত সময়ের আগেই বাস্তবায়ন করতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই।

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সব সামরিক স্বৈরশাসকরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দিকে নজর দেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলেন তখন থেকে ভঙ্গুর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করল। তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিলেন। যার ফলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতে পারছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট শেল অয়েল থেকে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে দেশীয় কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হয়। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে এবং জ্বালানির জোগানের ক্ষেত্রে এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো বিশাল অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা সন্নিবেশ করে জাতির পিতা বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন এক অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন।’

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

আরও পড়ুন:
পাম্পের তেলে স্টার্ট নিচ্ছে না বাইক, সন্দেহে মিলল পানিও
রুশ তেল আমদানি ইস্যুতে বিশেষজ্ঞ দল আসছে
‘জ্বালানির দাম বাড়ানো কেন অবৈধ নয়’
রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আনতে চান প্রধানমন্ত্রী
তেলের দাম কমানোর দাবিতে ২৫ আগস্ট হরতাল

মন্তব্য

বিনোদন
Meeting in memory of Bangabandhu at Buet

বুয়েটে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে সভা

বুয়েটে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে সভা বুয়েটে সোমবার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণসভা করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে সভা শুরু হয়। যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিয়াত রিজওয়ানা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ নিয়ে স্মৃতিচারণ পড়েন। এরপর বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ থেকে ১৯৫২ সালের একটি ঘটনা পড়ে শোনান ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাসমিয়া আফরিন তাসমীন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণসভা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও শোক দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা এই শোকসভার আয়োজন করেন।

সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।

শিক্ষার্থীরা দুপুরে পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন। আসরের নামাজের পর বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল হয়।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর স্মরণ সভা।

যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়াত রিজওয়ানা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ নিয়ে স্মৃতিচারণ পড়েন।

এরপর বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ থেকে ১৯৫২ সালের একটি ঘটনা পড়ে শোনান ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাসমিয়া আফরিন তাসমীন।

বক্তব্য দেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. মো. আশিকুর রহমান।

বাংলাদেশ আইসিটি ডিভিশনের নির্মাণ করা মুজিব আমার প্রেরণা শিরোনামের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

অনুষ্ঠান আয়োজকদের মধ্য থেকে রাফিয়াত রিজওয়ানা বলেন, ‘আমাদের হাতে সময় কম ছিল, এই সময়ের মধ্যে আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাইনি।’

এ বিষয়ে জানতে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন:
নূর চৌধুরীকে নিয়ে কানাডার আদালতে জিতেছি: আইনমন্ত্রী
শোক দিবসে বঙ্গভবনে মিলাদ
শোক দিবসে পথশিশুরা পেল শিক্ষা উপকরণ
অসাম্প্রদায়িক-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু চর্চা বাড়ানোর আহ্বান
শোক দিবসে ক্রিকেটারদের শ্রদ্ধা

মন্তব্য

বিনোদন
A day for Bengalis to cry

বাঙালির কাঁদবার দিন

বাঙালির কাঁদবার দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অলঙ্করণ: মামুন হোসাইন
পশ্চিম জার্মানির নেতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী উইলি ব্রানডিট বলেছিলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে, তারা যেকোনো জঘণ্য কাজ করতে পারে।

আজ বাঙালির কাঁদবার দিন, শোকাবহ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী।

১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের ঘৃণ্যতম এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ৪৭ বছর আগে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।

আজ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালনের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, নিকটাত্মীয়সহ ২৬ জনকে ওই রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছাত্র অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামী নেতা। ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ছয় দফার প্রণেতা। সত্তরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এ দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত করেন। পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ষাটের দশক থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কে পরিণত হন।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উত্তাল সমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এই ঘোষণায় উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত জাতি স্বাধীনতার মূলমন্ত্র পাঠ করে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা। জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানব, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয়, শত বছরের ঘোর নিশীথিনীর তিমির বিদারী অরুণ, ইতিহাসের বিস্ময়কর নেতৃত্বের কালজয়ী স্রষ্টা, বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালি জাতির পিতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্নসারথি।

বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর গোটা বিশ্বে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। হত্যাকারীদের প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল ঘৃণার বিষবাষ্প। পশ্চিম জার্মানির নেতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী উইলি ব্রানডিট বলেছিলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে, তারা যেকোনো জঘণ্য কাজ করতে পারে।

বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসিত হতে থাকে। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানা উদ্যোগ নেয়। শাসকদের রোষানলে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও যেন নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল মোশতাক সরকার। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হলে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করা হয়। বিচার শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের চূড়ান্ত রায় অনুযায়ী ওইদিন মধ্যরাতের পর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশে পলাতক থাকায় কয়েকজন খুনির সাজা এখনও কার্যকর করা যায়নি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাধীনতার স্থপতিকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনের পথ সুগম হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হতে থাকে। দিনটিকে সরকারি ছুটির দিনও ঘোষণা করা হয়। তবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে এ ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটে। তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন বাতিল করে দেয়। পরে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ফলে জাতীয় শোক দিবস পালনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

আজ সরকারি ছুটি। সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয়ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া দেশের সব সরকারি হাসপাতালে দিবসটি উপলক্ষে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ ছাড়া পোস্টার, সচিত্র বাংলাদেশের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে।

রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি: আজ সকাল সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অফ অনার প্রদর্শন করবে। এ সময় বিশেষ মোনাজাত ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য শহীদের কবরে এবং দুপুর ১২টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এ সময় ফাতেহা পাঠ ও সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অফ অনার প্রদানসহ বিশেষ মোনাজাত এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসন আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে এবং ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল, দুপুর ১২টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত এবং বাদ জোহর দেশব্যাপী মসজিদ-মাদ্রাসায় মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল যা কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা সভা। মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে (রাত ১২:০১ মিনিট) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে (৩/৭-এ সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর-১০) মোমবাতি প্রজ্বলন ও বিশেষ প্রার্থনা, সকাল ৯টায় তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল-বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করবে।

দুপুরে অসচ্ছল, দুস্থ মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। আর বাদ আসর মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে শোকসভা।

এ ছাড়া সিপিবি, গণফোরাম, জাসদ, ন্যাপ ও গণতন্ত্রী পার্টি এবং আওয়ামী লীগের সব সহযোগী ও ভ্রাতপ্র্রতিম সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও ভ্রাতপ্রতিম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধুর ৪ স্মৃতি জাতীয় জাদুঘরে
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব খুঁজতে এ বছরই কমিশন চালুর আশা
বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার মামলায় শিক্ষককে এক বছরের দণ্ড
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কেন নয়: হাইকোর্ট

মন্তব্য

বিনোদন
Bangladesh is far ahead Education Minister

বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে: শিক্ষামন্ত্রী

বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে: শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: নিউজবাংলা
ডা. দীপু মনি বলেন,‘দেশের মানুষ এখন উন্নয়নের ছোঁয়ায় প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক মন্দার মাঝে অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। তাই রাস্তায় কেউ হারিকেন নিয়ে নামলেই দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে না।’

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বাংলাদেশ তুলনামূলক অনেক এগিয়ে আছে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম ‘অশ্রুঝরা আগস্টে শোকসঞ্জাত শক্তির অন্বেষা’ শিরোনামে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি ড. মীজানুর রহমান।

প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা। বঙ্গবন্ধুকে শোষিত মানুষের পক্ষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তাই তাকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র হয়।’

দেশ আগের তুলনায় অনেক ভালো চলছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন উন্নয়নের ছোঁয়ায় প্রতিনিয়ত নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে।

‘ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেড়ে ওঠা নেতৃত্ব দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিদ্যুতের সংকটকে সামনে এনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে। অথচ ২০০৮ সালের আগে দেশের মানুষ দুই-তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেয়েছে কিনা মনে করতে পারবে না। তাই রাস্তায় কেউ হারিকেন নিয়ে নামলেই দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে না।’

সেমিনারে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জাতীয় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদ আসকারী সহ ফোরামের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সিনিয়র সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

আরও পড়ুন:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার চিন্তা
লুটের রাজনীতিতে বিশ্বাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে: শিক্ষামন্ত্রী
করোনায় শিক্ষায় ক্ষতি পোষাতে পরিকল্পনা অনুমোদন শিগগিরই

মন্তব্য

বিনোদন
Everyone should come forward to implement Delta Plan

‘ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’

‘ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’ খুলনার খালিশপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের শোকসভায় বক্তব্য দেন বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। ছবি: নিউজবাংলা
‘আজ শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খুলনায় আওয়ামী লীগের শোকসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মহানগরীর খালিশপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এই শোকসভার আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর, সম্রাজ্যবাদী শক্তি, খুনিচক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালি জাতির কপালে কালিমা লেপন করেছে।

‘আজ শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে রূপকল্প- ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

মেয়র বলেন, ‘খুনিচক্র এ দেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল, তারা সফল হয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।’

খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শফিউল্লাহ শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন।

বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহসভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুন্না।

অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ১৫ শ্রমিককে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Bangabandhus Tobacco Pipe Pell National Museum

বঙ্গবন্ধুর ৪ স্মৃতি জাতীয় জাদুঘরে

বঙ্গবন্ধুর ৪ স্মৃতি জাতীয় জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহার করা টোব্যাকো পাইপ থাকবে জাতীয় যাদুঘরে। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা নিদর্শনের মধ্যে টোব্যাকো পাইপ ছাড়াও আছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত পাজামা, পাঞ্জাবি ও মুজিবকোর্ট। সংগ্রহে বঙ্গবন্ধুর চশমা একটি থাকায় তা জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা যায়নি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহার করা টোব্যাকো পাইপসহ চারটি স্মৃতি নিদর্শন পেয়েছে জাতীয় জাদুঘর।

শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব নির্দশন হস্তান্তর করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর কতৃপক্ষ।

জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা নিদর্শনের মধ্যে টোব্যাকো পাইপ ছাড়াও আছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত পাজামা, পাঞ্জাবি ও মুজিবকোর্ট। সংগ্রহে বঙ্গবন্ধুর চশমা একটি থাকায় তা জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা যায়নি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান এসব স্মৃতি নিদর্শন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন।

বঙ্গবন্ধুর ৪ স্মৃতি জাতীয় জাদুঘরে
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয় বঙ্গবন্ধুর চারটি স্মৃতি নিদর্শন। ছবি: নিউজবাংলা

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘জাতীয় জাদুঘরের জন্য আজ এক অসাধারণ দিন। বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চারটি জিনিস তারা পেয়েছে। এই অমূল্য সম্পদ টাকা দিয়ে কেনা যাবে না। এসব এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যেন শতবছর পরেও একইভাবে থাকে।

‘শুধুমাত্র জাতির পিতার ব্যবহৃত জিনিস দিয়ে আমরা জাদুঘরে একটা গ্যালারি করবো। ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের আমরা স্ব উদ্যোগে এই গ্যালারি দেখাতে নিয়ে আসবো। প্রতিটি টিমের সাথে একজন গাইড থাকবেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে এ দেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরবেন।’

জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কাছে পাঁচটা জিনিস চেয়েছিলাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর চশমা শুধু একটি আছে, তাই সেটি আমরা পাইনি। একাধিক থাকলে আমরা নিয়ে আসতে পারতাম।

‘এই উপহার জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহশালাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। মানুষ বঙ্গবন্ধুর এসব স্মৃতিচিহ্ন কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবে।’

কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি শুনেছি, জাতীয় জাদুঘরে প্রতিমাসে তিন লাখ মানুষ আসেন। বঙ্গবন্ধুর এসব স্মৃতি নিদর্শন হস্তান্তরের ব্যাপারে তাই আমরা আগ্রহী ছিলাম। কারণ এখানে দিলে বেশি মানুষ তা দেখবে। এসব নির্দশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সারাদেশের মানুষের কাছে জাগরুখ থাকবেন।’

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় জাদুঘরের পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘এগুলো সারা জাতির জন্য অমূল্য সম্পদ। বঙ্গবন্ধু যখন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তখনও এই পাইপটি তার হাতে ছিল। তিনি বেশিরভাগ সময় পাঞ্জাবি, পাজামা পরতেন। এগুলো দেখলেই বোঝা যায় তিনি কতোটা সাদামাটা জীবনযাপন করেছেন।’

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর কাজী আফরিন জাহান ঝুলিসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব খুঁজতে এ বছরই কমিশন চালুর আশা
বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার মামলায় শিক্ষককে এক বছরের দণ্ড
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কেন নয়: হাইকোর্ট

মন্তব্য

p
উপরে