× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
The bride had a liquor license however
google_news print-icon

পরীমনির মদের লাইসেন্স ছিল, তবে...

পরীমনির-মদের-লাইসেন্স-ছিল-তবে
পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মদের বোতল। ছবি: নিউজবাংলা
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন। তার বাসায় একটি মিনি বারও রয়েছে। তিনি বাসায় নিয়মিত মদের পার্টি করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ পরীমনির বাসায় এসব মাদক সাপ্লাই (সরবরাহ) করতেন।’

পরীমনির বাসায় তার একটি মদের লাইসেন্সের কপি পেয়েছে র‍্যাব। তবে সেটি আইনসিদ্ধ ছিল না বলে জানিয়েছেন এলিট বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে র‍্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইনসিদ্ধ পদ্ধতিতে গতানুগতিক নিয়ম অনুযায়ী পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়। যা একটি লাইসেন্সে কাভার করে না। পাশাপাশি তার বাসায় লাইসেন্সের একটি কপি পেয়েছি, তবে তা আইনসিদ্ধ নয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল।’

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন। তার বাসায় একটি মিনি বারও রয়েছে। তিনি বাসায় নিয়মিত মদের পার্টি করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ পরীমনির বাসায় এসব মাদক সাপ্লাই (সরবরাহ) করতেন।’

পরীমনির মদের লাইসেন্স ছিল, তবে...
পরীমনিকে আটকের বিষয়ে ব্রিফিংয়ের পর তাকে বনানী থানায় নিয়ে যায় র‌্যাব। ছবি: নিউজবাংলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Dont know about Shakib Awami League member moving to another party Who

সাকিব আওয়ামী লীগের সদস্য, অন্য দলে যাওয়ার বিষয়ে জানি না: কাদের

সাকিব আওয়ামী লীগের সদস্য, অন্য দলে যাওয়ার বিষয়ে জানি না: কাদের ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি
নির্বাচনের আগে সাকিবের বিএনএমে যোগদানের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘নমিনেশন এর জন্য পার্টির কাছে যাওয়ার সময় সে দলের প্রাথমিক সদস্য হয়েছে। তার আগে তো সাকিব আমাদের দলের কেউ ছিল না। নমিনেশন দেয়ার সময় প্রাথমিক সদস্য পদ দিতে হয়। এর আগের বিষয়টা জানি না।’

আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হওয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের অন্য কোনো দলে যোগ দেয়া নিয়ে তাদের কাছে তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘দলের মনোনয়ন নেয়ার আগে প্রাথমিক সদস্য হয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। অন্য দলে যাওয়ার বিষয়ে কিছু জানি না।’

রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার ওবায়দুল কাদের কথা বলেন।

নির্বাচনের আগে ক্রিকেটার সাকিবের বিএনএমে যোগদানের বিষয়ে সম্প্রতি একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।

ওই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি বিষয়টি মিডিয়ায় দেখেছি। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা ছিল না। এখন সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করেছে, জয়লাভও করেছে।

‘নমিনেশন এর জন্য পার্টির কাছে যাওয়ার সময় সে দলের প্রাথমিক সদস্য হয়েছে। তার আগে তো সাকিব আমাদের দলের কেউ ছিল না। নমিনেশন দেয়ার সময় প্রাথমিক সদস্য পদ দিতে হয়। এর আগের বিষয়টা জানি না।’

গত জাতীয় নির্বাচনে কিংস পার্টির সৃষ্টি নিয়ে সরকারের ভূমিকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের এখানে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এ সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আমরা প্রত্যেককে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখি। নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন দেয়।’

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপিকে ভাঙার অভিযোগ নিয়ে এক বিএনপি নেতার বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে আমরা কেন ভাঙতে যাব? আমাদের কি কোনো দুর্বলতা আছে, যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের বহু লোক। গত নির্বাচনে দেখেছেন প্রার্থিতা ফরম নিতে কত ভিড়। আওয়ামী লীগে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ। এ অবস্থায় গালিগালাজ করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। দলটি এখন ইফতার পার্টির নামে সরকারের অন্ধ সমালোচনা করছে। এটাকে ইফতার পার্টি বলব নাকি গিবত পার্টি বলব?’

বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া নিয়ে বিএনপির এক নেতার বক্তব্যর বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা বন্ধু রাষ্ট্র বলতে ভারতকে বুঝিয়েছে। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। নির্বাচনও হয়েছে। বিএনপির বন্ধুপ্রতিম দেশের কাছে সাহায্য চাওয়ার অর্থ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।’

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মানদণ্ড নিয়ে মার্কিন নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের দেশের গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদের একটা মানদণ্ড আছে। পৃথিবীর কেউ পারফেক্ট নয়। আমরাও সেই দাবি করি না। আমেরিকার এক সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমি নির্বাচিত না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে।’ এটা কোনো গণতন্ত্র? নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেয়নি।”

এ সময় ২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে তিনি জানান, সরকারের বেধে দেয়া কিছু পণ্যের দাম এরই মধ্যে কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকারের চেষ্টার কোনো কমতি নেই।

আরও পড়ুন:
এমন কোনো সংকট নেই, যার জন্য সংলাপ প্রয়োজন: কাদের
বিএনপি জনগণকে স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না: কাদের
সংযম না করে কর্মসূচি পালন করলে জনবিচ্ছিন্ন হবে বিএনপি: কাদের
বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন: কাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে কাদের

মন্তব্য

বিনোদন
The air in Dhaka is unhealthy and advice is to wear a mask outside

ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, বাইরে মাস্ক পরার পরামর্শ

ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, বাইরে মাস্ক পরার পরামর্শ মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা। ফাইল ছবি
এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আইকিউএয়ার চারটি পরামর্শ দিয়েছে। এক, বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করা; দুই, বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা যেন দূষিত বায়ু ঘরে প্রবেশ না করতে পারে; তিন, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং চার, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা।

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অবস্থান পঞ্চম।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৭ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।

একই সময়ে যথাক্রমে ১৯৮ ও ১৮৪ স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল চীনের চিয়াং মাই ও নেপালের কাঠামান্ডু।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দুপুরে ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ গুণ বেশি।

এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আইকিউএয়ার চারটি পরামর্শ দিয়েছে। এক, বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করা; দুই, বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা যেন দূষিত বায়ু ঘরে প্রবেশ না করতে পারে; তিন, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং চার, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা।

আজ বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৬৭। এর মানে হলো ওই সময়টাতে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

আরও পড়ুন:
কর্মচঞ্চল ঢাকায় ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস
ছুটির দিনে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস, নিম্ন মানে ষষ্ঠ
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, নিম্ন মানে সপ্তম
ছুটির দিনে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস, নিম্ন মানে পঞ্চম
দ্বিতীয় রোজায় ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস, তালিকায় চতুর্থ

মন্তব্য

বিনোদন
Death toll rises to 11 in Gazipur cylinder blast

গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১১

গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১১
চিকিৎসাধীন ১৭ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। চারজন বার্ন রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

গাজীপুরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ বছর বয়সী তাওহীদের মৃত্যুতে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাাঁড়াল ১১ জনে।

ইনস্টিটিউটের হাইডিফেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা গেছে। তার শরীরে ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

তাওহীদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানা এলাকায়। তার বাবা সজল মিয়া গাড়ি চালক। শিশুটি বাবা মায়ের সঙ্গে কালিয়াকৈর তেলিরচালা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরে দগ্ধ তৌহিদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। রোববার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোতালেব, জহিরুল, মো. সোলায়মান ও রাব্বি মারা যান। এ পর্যন্ত নারী শিশুসহ ১১ জন মারা গেলেন।

তিনি জানান, চিকিৎসাধীন ১৭ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। চারজন বার্ন রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়।

তেলিরচালার টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছিলেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে।

ওই সময় আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের কোনাবাড়ী এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন:
পিরোজপুরে দুই বাইকের সংঘর্ষে মাদ্রাসার শিক্ষকসহ দুজন নিহত
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করা ‘সর্বহারা’ নেতাকে গুলি করে হত্যা
মধ্যরাতে গ্রামবাসীর পিটুনিতে ৪ জন নিহত

মন্তব্য

বিনোদন
DNCC building in Caravanbazar will be demolished after Eid

‘ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে’

‘ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে’ সোমবার মতবিনিময় সভা শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র গাবতলী পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ডিএনসিসি ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। এখানকার ব্যবসায়ীদের দ্রুতই গাবতলিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর কেউ না এলে সেটি নিয়ম অনুযায়ী অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে।’

ঈদের পর কারওয়ান বাজারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। আর এখানকার পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম সোমবার এসব কথা বলেন।

গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির আওতাধীন কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের বিষয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন ডিএনসিসি মেয়র।

এ সময় তিনি বলেন, ‘কারওয়ানবাজার কাঁচাবাজারের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে বহু মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে।

‘এখানকার ব্যবসায়ীদের দ্রুতই গাবতলিতে বরাদ্দ দেয়া হবে। বরাদ্দ দেয়ার পরও যারা আসবেন না তাদের দায় নিজেদেরকেই নিতে হবে। আর বরাদ্দ পাওয়ার পর কেউ না এলে সেটি নিয়ম অনুযায়ী অন্যজনকে বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হবে।’

মতবিনিময় সভার শুরুতে কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ গাবতলীতে ব্যবসায়ীদের স্থানান্তরে ক্ষেত্রে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

মেয়র বলেন, ‘প্রথম ধাপে কারওয়ান বাজার আড়ৎ মার্কেটের প্রথম তলার ৪০০ বর্গফুটের ৬২টি দোকান এবং দ্বিতীয় তলার ১৭০ বর্গফুটের ১১৪টি দোকান অর্থাৎ মোট ১৭৬টি দোকান স্থানান্তর করা হবে।

‘এছাড়াও কারওয়ানবাজারে সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ১৮০টি টিনশেড দোকান আমিনবাজারে পাইকারি কাঁচাবাজারের আশপাশের উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কারওয়ান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেয়া যাবে না। ঈদের পর কারওয়ান বাজারের কাচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিন। আপনাদের জন্য সব সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কারওয়ান বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ৫শ’ বছর আগে। এটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সদরঘাট। পর্যায়ক্রমে ঢাকা গুলিস্তান, মতিঝিল হয়ে অনেকদূর প্রসারিত হয়েছে। তাই কারওয়ান বাজার ঢাকার প্রান্তে স্থানান্তর করার মাধ্যমে স্মার্ট শহর নিশ্চিত করতে হবে। গাবতলীতে বাজার শুরু হলে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সার্বিক ব্যবস্থা নেবে।’

মতবিনিময় সভা শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএনসিসি মেয়র গাবতলী পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন।

আরও পড়ুন:
রামচন্দ্রপুর খালে ওঠা ১০ তলা ভবন ৬০ হাজারে বিক্রি
লাউতলা ও রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধারে ডিএনসিসি, ভাঙা হচ্ছে ১০ তলা ভবনও
দখলদার উচ্ছেদ করে খালের দুপাড় সাজাতে চান ডিএনসিসি মেয়র
বায়ুদূষণ কমাতে গবেষণা করে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ ডিএনসিসির
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে চীন পাশে থাকবে: রাষ্ট্রদূত

মন্তব্য

বিনোদন
It will be ensured that journalists are not harassed

তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সোমবার বিকেলে রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনোভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়েন। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে- আমরা এরকম একটি সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার চিন্তা করে না।’

ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদান করে জেলে নেয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন- এগুলো চিন্তা করেননি এবং এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই পেশাদারত্বের সঙ্গে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।’

নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি এ সময় আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও, বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’

প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, ‘যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদেরকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।’

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া এসিল্যান্ডকে স্ট্যান্ড রিলিজ
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক রানা

মন্তব্য

বিনোদন
Bangabandhu is the beacon of our faith who

বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর: কাদের

বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। রাত দুটোয় ফোন করে তাকে পাওয়া যায়। এটি অবাক করার মতো বিষয়। তিনি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর। এ বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উত্তাল সমুদ্রে, অমানিশায় বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে, সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাব বিজয়ের সোনালি বন্দরে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সোমবার এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সততা মানেন না, জীবন থেকে শিক্ষা নেন না। আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এ দাবি কেন করেন? বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। রাত দুটোয় ফোন করে তাকে পাওয়া যায়। এটি অবাক করার মতো বিষয়। তিনি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন।’

সেতু মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগাসির মৃত্যু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান।

তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

আরও পড়ুন:
বিএনপি জনগণকে স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না: কাদের
সংযম না করে কর্মসূচি পালন করলে জনবিচ্ছিন্ন হবে বিএনপি: কাদের
বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন: কাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে কাদের
খুনিদের দল জননিরাপত্তা নিয়ে কথা বললে জনগণ ভীত হয়: কাদের

মন্তব্য

বিনোদন
Owners association threatens to close all restaurants in the country

দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির

দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। ফাইল ছবি
ইমরান হাসান জানান, ধারাবাহিকভাবে প্রতীকী হিসেবে এক দিনের জন্য সারা বাংলাদেশে রেস্তোরাঁগুলো বন্ধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হবে।

বেইলি রোডে আগুনে প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ করে দেয়া রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ দাবি জানিয়ে সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দাবি না মালে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্থে, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে আগামী ২০ মার্চ মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবে।

ইমরান হাসান জানান, এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতীকী হিসেবে এক দিনের জন্য সারা বাংলাদেশে রেস্তোরাঁগুলো বন্ধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিনকোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে যে নৈরাজ্য চলছে তা, সঠিক নয়। রাজউক যে উদ্দেশে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল, সেইভাবে যদি ভবনটি ব্যবহার না হয় তাহলেও আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ১২ মাসের সময় দিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, রমজানের মধ্যেও শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ অভিযান বন্ধ হয়নি এবং নীতিবাচক প্রচার-প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহক আসা কমে গিয়েছে। ভবন মালিক, রেস্তোরাঁ মালিক, সরকারি সংস্থাগুলো এক সঙ্গে কাজ করতে পারলেই এই সেক্টরটি সঠিকভাবে সুনির্দিষ্ট কম্পালায়েন্স-এর মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব।

তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে হয়রানি বন্ধ করে বন্ধ রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার। কেননা রেস্তোরাঁ শিল্পে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আসন্ন পবিত্র ঈদুলফিতর-এর আগে চলমান মাসের বেতন-ভাতাদি ও বোনাস দিতে হবে। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কিভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতাদি ও বোনাস প্রদান করবে?

ইমরান হাসান বলেন, আইনি নোটিশ, গ্রেপ্তার ও প্রতিষ্ঠান বন্ধের মাধ্যমে রেস্তোরাঁ সেক্টরে যে অবিচার/জুলুম চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে সংকট উত্তোরণের কোন নির্দেশনা না দিয়ে গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ বন্ধের মাধ্যমে কোনো সুফল বয়ে আসবে না।

তিনি বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠন করা যেতে পারে। দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করুন। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে পরামর্শ দিন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সব সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য ব্যাবসায়ীরা দায়ী নয়।

আরও পড়ুন:
রেস্তোরাঁয় অভিযানে গ্রেপ্তার নিয়ে হাইকোর্টের রুল
রেস্তোরাঁ খাত করপোরেটের দখলে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে
ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা

মন্তব্য

p
উপরে