বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের মুম্বাই পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পর্নো সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে তা মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
মুম্বাই প্রশাসনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে প্রশাসনের সাইবার অপরাধ দমন শাখায় পর্নো ছবি তৈরি এবং কিছু অ্যাপের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়া নিয়ে একটি মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই রাজ কুন্দ্রাকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রশাসন আরও জানিয়েছে, ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী রাজ। সে সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে মু্ম্বাই পুলিশের হাতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের আগে অর্থ পাচার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তলব করে রাজকে।
২০১৩ সালে মৃত গ্যাংস্টার ইকবাল মির্চির সঙ্গে অর্থ পাচার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল রাজের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার তদন্তে শিল্পার স্বামীকে সমন পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।
ভৈরবে রেলপথ অবরোধ।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলার দাবিতে রেলওয়ে জংশন স্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জনতা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অবরোধ থাকা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যেতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় কয়েকজন ট্রেনের যাত্রী আহত হয়েছে। পরে ১১টা ৪০ মিনিটে ভৈরব স্টেশন ছেড়ে যাই ট্রেন। এসময় রেলওয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। বর্তমানে ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে ভৈরবকে জেলার দাবিতে বেশ কিছু দিন যাবত উত্তাল ভৈরব। এরই অংশ হিসাবে সোমবার সকাল ১০টায় শহরের ভৈরব রেলওয়ের স্টেশনে প্লাটফর্মে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রোডের রেল যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনকে ভৈরব রেলওয়ের স্টেশনে আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে রেলের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট যাবত ট্রেনটি আটকে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, সকালে ট্রেন আটকিয়ে অবরোধ চলাকালীন সময়ে শেষ মুহূর্তের হঠাৎ কতিপয় কিশোর আটকিয়ে থাকা ট্রেনে ইটপাটকেল মারতে থাকেন। এসময় আমরা সবাই আতংকিত হয়ে উঠি।
স্টেশনে থাকা ট্রেন যাত্রী সোহান মিয়া বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে জনতা স্টেশনে জেলার দাবিদে আন্দোলন করছিল। কখন যে হুট করে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়ে গেলো কেউ টের পায়নি।
ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বলেন, স্টেশন থেকে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার মুহুর্তে হঠাৎ আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হন।
এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তাদের নিদের্শনা পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান ।
আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কমনওয়েলথ ইলেকটোরাল সাপোর্ট সেকশনের প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পিআইডি
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে কমনওয়েলথ ইলেকটোরাল সাপোর্ট সেকশন এর প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা জানান।
দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কমনওয়েলথ (ইএসএস) এর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ন্যান্সি কানিয়াগো। আরও উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথ (ইএসএস) এর এক্সিকিউটিভ অফিসার ম্যাডোনা লিঞ্চ। এসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনমুখী এবং এজন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় আট লাখ সদস্য এতে দায়িত্ব পালন করবে। তাছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল সদস্যদের জন্য নির্বাচনী মহড়া ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের সঙ্গে সুষ্ঠু ও সময়োপযোগী যোগাযোগের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় ‘নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ স্থাপন করা হবে। প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা (সম্ভব হলে) এবং কর্তব্যরত পুলিশের জন্য বডি ওর্ণ ক্যামেরা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে গণমাধ্যম অবাধে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে অনুমতি দেওয়া হবে। তাছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মোবাইল টিম এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ করা হবে।
কমনওয়েলথ এর সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সুসম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি ন্যান্সি কানিয়াগো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই কমনওয়েলথ এর সদস্যপদ লাভ করে। তিনি বলেন, কমনওয়েলথ এর নির্বাচন পর্যবেক্ষক গ্রুপ রয়েছে। বাংলাদেশ আমন্ত্রণ জানালে কমনওয়েলথ নির্বাচন পর্যবেক্ষক গ্রুপ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচন পরিচালনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন দেশে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে এসেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ এর কাছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংক্রান্ত সহযোগিতার চেয়ে আর্থিক সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন। কমনওয়েলথ চাইলে আমাদেরকে সিসিটিভি, বডি ওর্ণ ক্যামেরা ও নির্বাচন সংক্রান্ত সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে। কমনওয়েলথ প্রতিনিধি এ সময় জানান, তারা পুলিশ সদস্যদের মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করতে পারে।
ন্যান্সি কানিয়াগো নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নতুন নিয়োগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনের জন্য নতুন করে ১০ হাজার ২৬৪ জন পুলিশ, ২ হাজার ১৪৫ জন আনসার ও ভিডিপি, ৫ হাজার ৫১৩ জন বিজিবি, ৬৩৪ জন কোস্টগার্ড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কমনওয়েলথ প্রতিনিধি জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারে জুলাই শহীদ পরিবারগুলোর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, আইন মন্ত্রণালয় চাইলে এ বিষয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারে। তবে জুলাই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা এ সময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে জনগণ অবাধে, নির্ভয়ে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সূত্র: বাসস
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। ফাইল ছবি
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে।
তিনি বলেন, “সংসদ নির্বাচন পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।”
আজ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ‘হল অব প্রাইড’-এ অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবি প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরা, সকল পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরা। এছাড়া সকল জেলা পুলিশ সুপার সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অতীতে পুলিশের বিরুদ্ধে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটি বড় সুযোগ আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।”
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে আইজিপি পুলিশের লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দেন। তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার সম্পর্কে প্রচারণা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন।
আইজিপি চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন। তিনি জেলা পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে বলেন, “কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি গুম কমিশনে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্বসহ তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন এবং মামলা তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এবং অনলাইনে সংযুক্ত জেলা পুলিশ সুপারগণ প্রশাসনিক ও অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সূত্র: বাসস
নেত্রকোনায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল।
নেত্রকোনায় গণভোট, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেত্রকোনা জেলা শাখা। গত রোববার বিকাল ৩ টায় নেত্রকোনা কালেক্টরেট মাঠ প্রাঙ্গনে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা জামায়াত। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বদরুল আমিনের সঞ্চালণায় ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চল টিম সদস্য, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও নেত্রকোনা -২ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও পূর্বধলা আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা, ময়মনসিংহ মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেত্রকোনার -৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার,জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. জহিরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ও নেত্রকোনা-৩ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক খায়রুল কবির নিয়োগী, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, নেত্রকোনা-১ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবুল হাসিম, নেত্রকোনা পৌর জামায়াতের আমীর মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেত্রকোনা জেলা সভাপতি ইয়াসিন মাহমুদ রাসেল, আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন নেতারা। বক্তারা বলেন, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট দিতে হবে। জুলাই সনদের আইনে ভিত্তি দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কোনো কোনো জায়গায় একটি দল আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে। আমরা বলতে চাই, এটি বন্ধ করুন। আওয়ামী লীগের মত ফ্যাসিস্ট হইয়েন না। তাহলে জনগণ আপনাদের সাথেও আওয়ামী লীগের মতোই আচরণ করবে। জেলা জামায়াতের আমীর সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষ যেনতেন কোনো নির্বাচন মেনে নিবে না। প্রশাসনকে বলবো নিরপেক্ষ আচরণ করুন। কোন দলের প্রতি আনুগত্য দেখাবেন না। এরপর মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে জামায়াতের ২ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
গজারিয়ায় অবৈধ বালুমহাল।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীতে অবৈধ একটি বালুমহাল চালু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন অবৈধ বালুমহাল পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। প্রয়োজন পড়লে প্রতিদিন সেখানে অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।
খবর নিয়ে জানা যায়, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম-সংলগ্ন নদীতে গত বছর একটি বালুমহাল পরিচালনা করত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর লোকজন। তবে সম্প্রতি ইউনিয়নটির জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ার পর নদীর ওই অংশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন আপাতত বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিভিন্ন সূত্রের খবর গত রোববার রাত থেকে মেঘনা নদীর কালীপুরা- মল্লিকের চর গ্রামের মাঝামাঝি একটি জায়গায় রাতের আঁধারে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছে একটি চক্র। নদীর এই অংশে বৈধ কোনো বালুমহাল নেই। তবে কারা এর সাথে জড়িত তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে নদীর কালীপুরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে কোনো বাল্কহেড বা ড্রেজার নেই। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা
সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই স্থানে ছিল। স্থানীয়রা জানায়, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা মূলত রাতের বেলায় এই এলাকায় আসে। দিনের আলোতে ড্রেজার ও বাল্কহেডগুলো আশেপাশে কোথাও ভেড়ানো থাকে। রাত নামলে সেগুলো বালু উত্তোলনের নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে আসা হয়। রাতভর বালু উত্তোলনের কাজ শেষে ভোরে সেগুলো পূর্বের জায়গায় চলে যায়। দিনের বেলায় বোঝার উপায় থাকে না এখানে কোনো বালুমহাল ছিল।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে মল্লিকের চর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘শুনেছি মল্লিকের চর গ্রামের জসিম মেম্বার গত কয়েকদিন ধরে একটি অবৈধ বালুমহাল চালু করার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছিল। গত রোববার রাতে দেখলাম দেখলাম রাতের আঁধারের অবৈধ একটি মহালটি চালু হয়েছে। জসিম মেম্বারের সাথে আর কে কে আছে তা বলতে পারব না। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মাত্র এ কদিন হয়েছে বালুমহালটি চালু হয়েছে। আরও কয়েকদিন গেলে বুঝতে পারব কারা এর সাথে জড়িত।’
ট্রলারচালক নজরুল বলেন, ‘সোমবার রাতে কয়েকটি ড্রেজার ও বাল্কহেড দেখলাম। কারা এখানে বালু কাটতেছে তা বলতে পারব না। যদি অবৈধভাবে বালু কাটা হয় তাহলে প্রশাসনের প্রতি আবেদন আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম আহমেদ বলেন, ‘নদীর এই অংশে অবৈধ একটি বালুমহাল পরিচালনা করতো নৌ-ডাকাত সর্দার বাবলা। গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের গুলিতে ডাকাত সর্দার বাবলা মারা যাওয়ার পর থেকে নদীর এই অংশে থেকে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করার সাহস পাইনি।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘এ রকম কোনো খবর আমার কাছে নেই। তবে আপনারা যেহেতু বিষয়টি জানিয়েছেন আমি নৌপুলিশকে এ ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেব।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে এ রকম একটি খবর আমিও পেয়েছি তবে কারা এর সাথে জড়িত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সকালে আমরা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে একটি বাল্কহেড ও একটি ড্রেজার আটক করেছি। যদি কেউ রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করার চিন্তা করে থাকে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজন পড়লে প্রতি রাতে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’
প্রসঙ্গত অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা ও নৌযানে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক নৌ-ডাকাত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গত এক বছরে ডাকাত সর্দার বাবলা, শুটার মান্নান, হৃদয় বাঘসহ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। রাতের আঁধারে অবৈধ এসব অবৈধ বালুমহল থেকে কোটি কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হলেও সেখান থেকে কোনো রাজস্ব পায় না সরকার।
সারিয়াকান্দিতে কাঁচামরিচের খেতে এক ব্যক্তি।
বগুড়া সারিয়াকান্দির মরিচের খ্যাতি বাংলাদেশ জুড়ে রয়েছে। এখানে হাইব্রিড জাতের মরিচের হারভেস্টিং শুরু হয়েছে। বীর অঞ্চলের পাশাপাশি চরাঞ্চলের কাঁচামরিচ বাজারে আসতে শুরু করায় বাজারে মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টির জন্য আগাম কাঁচামরিচ বাজারে উঠতে দেরি হলেও, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে মরিচগাছগুলোতে মরিচ ধরতে শুরু করেছে। আগাম কাঁচামরিচ বাজারজাত করে বাজারে ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
গত কয়েকদিন আগেও বগুড়া সারিয়াকান্দির বাজারে ৩০০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারের জন্য সুসংবাদ বয়ে নিয়ে আসছে চরাঞ্চলের উৎপাদিত হাইব্রিড জাতের কাঁচামরিচ। মরিচগুলো বাজারে উঠতে শুরু করেছে। উপজেলার চরাঞ্চলজুড়ে এখন বিভিন্ন জাতের সবুজ মরিচগাছ শোভা পাচ্ছে। এ বছর বন্যা না হওয়ায় কৃষকরা চরাঞ্চলের জমিতে আগামভাবে বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড মরিচ জমিতে আবাদ করেছেন। শুরুতে বৈরী আবহাওয়ায় মরিচগাছ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচগাছগুলো তরতর করে বেড়ে উঠেছে। বেশিরভাগ মরিচ খেতে মরিচ ধরেছে এবং তা পরিপক্ব হতে শুরু করেছে। যা কৃষকরা সবেমাত্র বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। তাই বাজারে কাঁচামরিচের দামও কমতে শুরু করেছে। সারিয়াকান্দির বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে সেখানে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, যা গত কয়েকদিন আগেও দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়েছে। সদর ইউনিয়নের চরবাটিয়ার কৃষক মিঠু মিয়া গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে তিনি তার ১০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচের চারা রোপণ করেছিলেন। গত কয়েকদিন আগে তিনি তার জমির মরিচের প্রথম তোলা দিয়েছেন। প্রথম তোলায় তিনি ৫ মণ মরিচ পেয়েছেন। দু-একদিনের মধ্যেই তিনি দ্বিতীয় তোলা দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। তিনি গত বছরও হাইব্রিড আগাম জাতের মরিচের চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন।
কৃষক মিঠু মিয়া বলেন, প্রথম একেবারেই কম মরিচ হয় গাছে। তার পরের তোলা থেকে প্রচুর পরিমাণে মরিচ জমি থেকে উত্তোলন করা যায়। এ বছর বন্যা না হওয়ায় আগামভাবে মরিচ উৎপাদন করতে পেরেছেন। যা বাজারে বিক্রি করে বেশ ভালো দাম পাচ্ছেন। তাদের চরের মরিচ বাজারে উঠতে শুরু করায় বাজারে মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুরুতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে মরিচগাছ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের চাষিরা হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেছেন। মরিচের ফলন ভালো হওয়ায় দাম একটু কম হলেও সন্তুষ্ট চাষিরা।
সারিয়াকান্দি কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, গত বছর এ উপজেলায় সর্বমোট ৩২০০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এ বছর মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৩১০ হেক্টর। যা ২২৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। যা এখনো চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১,৬০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের আবাদ হয়েছে এবং ৬৭০ হেক্টর জমিতে দেশি উফশী জাতের মরিচ চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ উত্তোলন শুরু হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, যমুনা এবং বাঙালি নদীর অববাহিকায় অবস্থিত সারিয়াকান্দির মাটি বেলে-দোঁআশ। তাই এ মাটি প্রাচীনকাল থেকেই মরিচ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে মরিচ উৎপন্ন হয়। বগুড়া সারিয়াকান্দির মরিচের খ্যাতি বাংলাদেশ জুড়ে রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই কৃষকরা আগাম জাতের কাঁচামরিচ উত্তোলন এবং তা বাজারজাত করতে শুরু করেছেন এবং ভালো দামে বিক্রি করছেন। সারিয়াকান্দির মরিচ বাজারে উঠতে শুরু করায় মরিচের বাজার স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
ইটের খোয়া ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে চারদিকে। বিধ্বস্ত সড়কে পিচ ঢালাইয়ের কোনো চিহ্ন নেই। সড়কের বহু স্থান ভেঙে মিশে গেছে পাশের জমির সঙ্গে। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৩০ ফুট দীর্ঘ একটি কালভার্ট। সেখানে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপার করছেন মানুষজন। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে মদুনা জঙ্গল সড়কের এমন দশা। গত জুলাই মাসের শুরুর দিকে তীব্র বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও হালদা নদীর স্রোতে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাকা সড়ক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩ মাস আগেও ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন। চলাচল করত ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা সবই। সড়কটি চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া এবং উরকিরচর ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। নোয়াপাড়া, উরকিরচর ও হাটহাজারীর মদুনাঘাটের মানুষজন এই সড়ক ব্যবহার করতেন। সড়কটি বিধ্বস্ত হওয়ার তিন মাস পার হলেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। কালভার্টটিও পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভাঙা সড়ক দিয়ে কোনো রকমে হেঁটে চলাচল করেন গ্রামের শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষজন। তবে কালভার্ট ভাঙা থাকায় ওই পথে গাছ ফেলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো। গত সপ্তাহে টানা দুদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে ভাঙা কালভার্টে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে পারাপারের উপযোগী করেছেন স্থানীয় গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী মানুষসহ গ্রামবাসী যাতায়াত করছেন। অসমান খোয়া ছড়ানো সড়কে হেঁটে চলাচলও কষ্টকর। সড়কে কথা হয় মুহাম্মদ ইব্রাহিম নামের স্থানীয় একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভীষণ কষ্টে আছি। বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিশু, নারী এবং বয়স্করা চলাচল করতে ভয় পান। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। একরকম অবরুদ্ধ হয়ে বসবাস করছি আমরা।’ স্বেচ্ছাশ্রমে কালভার্টে বাঁশের সাঁকো বানানোর কাজে অংশ নেন গাউসিয়া কমিটির তানভীর আলম ও মুহাম্মদ জাবেদ। তারা বলেন, ২৫ জন গাউসিয়া কমিটির সদস্য দুদিন কাজ করে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। দীর্ঘ তিন মাস এই সড়কে চলাচল বন্ধ ছিল। নিরুপায় হয়ে নিজেরাই সাঁকো তৈরির কাজে হাত দেন। তাদের কাজে গ্রামের মানুষও বাঁশ, গাছ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।’ সড়কের এই দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী একাধিকবার বিক্ষোভ করেছেন। গত ৩ অক্টোবর দুপুরে কয়েকশ গ্রামবাসী সড়ক সংস্কার ও ভাঙা কালভার্টে সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। তারা বলেছেন, সরকার ১৫ বছরে সড়ক ও সেতুর উন্নয়নে তাদের এলাকায় কিছু করেনি। নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ পারভেজ বলেন, মদুনা জঙ্গল উপজেলার সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত এলাকা। এখানকার সড়কটি উরকিরচর ইউনিয়ন ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। এটি দ্রুত সংস্কার হওয়া জরুরি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা সড়কে আরসিসি ঢালাইসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়েছি। তবে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই মদুনা জঙ্গল সড়কও সংস্কার হয়নি বরাদ্দ অনুমোদন হলে শীঘ্রই সড়কের কাজ শুরু হবে।’
মন্তব্য