× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
গল্প গান সিনেমায় বেঁচে থাকা নয় বছর
google_news print-icon

গল্প, গান, সিনেমায় বেঁচে থাকার ৯ বছর

গল্প-গান-সিনেমায়-বেঁচে-থাকার-৯-বছর
হুমায়ূন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
হুমায়ূন আহমেদ তার এক বইয়ে লিখে গেছেন, ‘রাজা যায়, রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজা আসে। কিছুই টিকে থাকে না। ক্ষুধার্ত সময় সবকিছু গিলে ফেলে, তবে গল্প গিলতে পারে না। গল্প থেকে যায়।’

তাকে জাদুকর বলেন পাঠকেরা। তিনি কথার জাদুকর। গল্প-উপন্যাসে এমন ঘোর লাগানো সব কাহিনি বলেছেন যে, পাঠকরা মাত হয়ে গেছেন তার লেখায়।

তিনি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ১৯ জুলাই তার মৃত্যুবার্ষিকী। নয় বছর ধরে তিনি নেই। কিন্তু কে বলবে তিনি নেই। তার লেখাতেই এখনও মাতোয়ারা পাঠক-দর্শক।

গল্প, উপন্যাস ছাড়াও হুমায়ূনের পদচারণা ছিল নাটক-গান ও সিনেমায়ও। তাই শিল্প-সাহিত্যের সব অংশেই তিনি বেঁচে আছেন না থেকেও।

করোনা দেশে সংক্রমিত হওয়ার পর যখন সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল, তখন থেমে গিয়েছিল নাটক নির্মাণ। বাংলাদেশ টেলিভিশন তখন হুমায়ূন আহমেদের লেখা নাটক কোথাও কেউ নেইসহ আরও কিছু নাটক প্রচার করেছে।

শুধু তাই নয়, পুরোনো ও নতুন দর্শকরা নক্ষত্রের রাত, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি নামের নাটকগুলোর যেগুলো ইউটিউবে পাচ্ছে, সেগুলো দেখে নিচ্ছে আগ্রহ নিয়ে।

গল্প, গান, সিনেমায় বেঁচে থাকার ৯ বছর
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তার আত্মজীবনীমূলক বইয়ের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে পাঠকের। সেখানে হুমায়ূনের জীবনে ঘটে যাওয়া গল্প-কাহিনি পাঠককে আরও বিমোহিত করেছে।

তারপরও হুমায়ূনের সৃষ্টি চরিত্রগুলো যেন বারবার ফিরে আসে পাঠকের মনে। হিমু, রুপা, মিসির আলী, শুভ্ররা যেন পাঠকের অনেক কাছের।

আর হুমায়ূনের জীবনীমূলক গ্রন্থে আড্ডা আর গল্প করার প্রচুর ঘটনা পাওয়া যায়। তার সঙ্গে কাজ করা প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীই এ কথাটি স্বীকার করেন।

আসাদুজ্জামান নূর, রিয়াজ, জাহিদ হাসান তাদের স্মৃতিচারণায় এমন অনেক গল্প বলেছেন একাধিকবার।

গল্প, গান, সিনেমায় বেঁচে থাকার ৯ বছর
কথাসাহিত্যিক, নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

হুমায়ূনের গল্প, উপন্যাসের বিভিন্ন ছোট ছোট উক্তি পাঠকের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।

যেমন বাদশাহ নামদারে লিখেছেন, ‘রাজা যায়, রাজা আসে। প্রজাও যায়, নতুন প্রজা আসে। কিছুই টিকে থাকে না। ক্ষুধার্ত সময় সবকিছু গিলে ফেলে, তবে গল্প গিলতে পারে না। গল্প থেকে যায়।’

‘এই পৃথিবীতে চোখের জলের মতো পবিত্র তো আর কিছু নেই। এই পবিত্র জলের স্পর্শে সব গ্লানি- সব মালিন্য কেটে যায়।’- কুহক

রজনীতে লিখেছেন, ‘মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে যেতে পারে না। তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও সে ভালমতো জানে না।’

এমন আরও অনেক ধরনের উক্তি তার আছে। প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে লেখা এমন কিছু কথা পাঠকের কাছে বেশি জনপ্রিয়।

সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান হুমায়ূন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক, কাদির স্মৃতি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক লাভ করেন তিনি।

আর চলচ্চিত্রে ১৯৯২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার ও শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে তিনি মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার পেয়েছেন।

গল্প, গান, সিনেমায় বেঁচে থাকার ৯ বছর
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

২০১১ সালে সেপ্টেম্বেরে তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই নিউ ইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যু হয় হুমায়ূন আহমেদের।

বাবার কোনো এক মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘বাবার কোন স্মৃতি বেশি মনে পড়ে’ প্রশ্নের উত্তরে মেয়ে শীলা আহমেদ বলেছিলেন, ‘বাবার মুখ আমার বেশি মনে পড়ে না, মনে পড়ে বাবার কফিনটা।’

আরও পড়ুন:
হাজারো মোমবাতিতে হুমায়ূন স্মরণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
NCPs Hannan Masood confessed wrong

ভুল স্বীকার করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ

ভুল স্বীকার করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ

রাজধানীর ধানমন্ডি থানা থেকে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আটক তিন ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে আনার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেওয়া কারণ দর্শানোর অভিযোগে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে হান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল এনসিপি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তিনি কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত ও মৌখিক জবাব ‘রাজনৈতিক পর্ষষের’ কাছে পেশ করেন।

নোটিশের জবাবে হান্নান ধানমন্ডির কর্মকাণ্ড ভুল ছিল বলে স্বীকার করেন এবং আগামীতে এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না মর্মে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

পাশাপাশি থানায় আটক হওয়া ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে হান্নানের সম্পৃক্ততা না থাকায় রাজনৈতিক পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার ওপর আরোপিত কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিপি।

এর আগে হান্নানকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয় বলা হয়, ২০ মে ধানমন্ডি থানার আওতাভুক্ত একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিনজন ব্যক্তিকে আটক করে থানা-পুলিশ।

এই তিনজনের অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে নৈতিকতা স্খলনের কারণে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তা সত্ত্বেও আবদুল হান্নান মাসউদ সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হয়ে আটক তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়েছেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হান্নান মাসউদকে ব্যাখ্যা এবং তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত বিবরণ তিন দিনের মধ্যে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেয় দলটি।

মন্তব্য

বিনোদন
Japan will take 1 lakh workers from Bangladesh

বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ শ্রমিক নেবে জাপান

বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ শ্রমিক নেবে জাপান

ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত এক লাখ শ্রমিক নিয়োগের কথা জানিয়েছে জাপানি কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা।

আজ বৃহস্পতিবার টোকিওতে ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জাপানে বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব কিছু করবে।’

তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ও প্রেরণার দিন। এটি শুধু কাজ করার জন্য নয়, বরং জাপানকে জানারও দ্বার উন্মোচন করবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য।’

সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা দুটি সমঝোতা স্মারকের সাক্ষী হন। প্রথমটি বাংলাদেশের ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) ও কাইকম ড্রিম স্ট্রিট (কেডিএস)-এর মধ্যে, যার একটি জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ; দ্বিতীয়টি বিএমইটি ও জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কোঅপারেটিভস (জাপানে ৬৫টির বেশি কোম্পানির একটি ফেডারেশন) এবং জেবিবিআরএ (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি)-র মধ্যে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটি একটি দ্বার উন্মোচনের প্রতীক।’ তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ ১৮ কোটি মানুষের দেশ, যার অর্ধেকই ২৭ বছরের নিচে।

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাজ হলো তাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া।’

শিজুওকার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সমবায়ের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থার প্রতিনিধি পরিচালক মিতসুরু মাতসুশিতা বলেন, ‘অনেক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশিদের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি মেধাবীদের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের প্রতিভা লালন করা আমাদের দায়িত্ব।’

এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করেন যে প্রায় ১৪ বছর আগে অধ্যাপক ইউনূস জাপানে এসেছিলেন এবং ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে নারীদের সহায়তার গল্প বলেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ফেডারেশন তরুণ ও দক্ষ শ্রমিকের জন্য বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় উৎস হিসেবে দেখছে। তারা উভয় দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে আমরা এক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে জানান, বাংলাদেশে তাদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুল প্রতিবছর ১৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়, এবং তারা এই সংখ্যা ৩০০০-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারীরা জাপানের চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।’

জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিল্ড ওয়ার্কার কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (জেইটিসিও) চেয়ারম্যান হিরোআকি ইয়াগি জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে।

জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (এমএইচএলডব্লিউ) প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং সে কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা প্রয়োজন হবে।’

তিনি বলেন, ‘এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, জাপানের জন্যও একটি আশাব্যঞ্জক দিক হতে পারে।’

স্বাগত বক্তব্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারে

মন্তব্য

বিপৎসীমার ওপর দক্ষিণের চার নদীর পানি, তলিয়ে যাচ্ছে লোকালয়

বিপৎসীমার ওপর দক্ষিণের চার নদীর পানি, তলিয়ে যাচ্ছে লোকালয়

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে বরিশাল বিভাগের নদ-নদীর পানি। এরই মধ্যে এ বিভাগের চারটি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি কীর্তনখোলাসহ অন্য নদীর পানিও এখন বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। ফলে উপকূলের লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে পানি।

গতকাল বুধবার বিকালে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি অনুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ৬টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে বিষখালী নদীর পানি বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলায় মেঘনা নদীর তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর বাইরে ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলীয়া নদী, বরিশালের কীর্তনখোলা, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা এবং বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে বুড়িশ্বর নদীর পানিও বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। আশা করা যাচ্ছে অল্প কদিনের মধ্যে পানি স্বাভাবিক স্তরে চলে আসবে। পানি বৃদ্ধিতে বেড়িবাঁধ, মাছের ঘের, ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও মনে করেন তিনি।

বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. মিলন হাওলাদার বলেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালসহ তার আশপাশ অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তা ছাড়া সন্ধ্যা থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য পায়রা সমুদ্র বন্দরকে-৩ ও নদী বন্দরে-১ নম্বর সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Employees of the Secretariat

সচিবালয়ে কর্মচারীদের এক ঘণ্টার কর্মবিরতি

সচিবালয়ে কর্মচারীদের এক ঘণ্টার কর্মবিরতি

‘সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। পূর্ব ঘোষণার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করা হয়।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি এবং ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর ইউএনবিকে জানান, ‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আমাদের কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।’

বুধবার (২৮ মে) সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মচারীরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন। একই সঙ্গে তারা মাঠপর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সব দপ্তরে একই সময়ে এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

ঐক্য ফোরামের নেতারা আরও জানান, দাবি পূরণ না হলে ৩১ মে পরবর্তী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

অধ্যাদেশের প্রেক্ষাপটে শাস্তির বিধান

এদিকে, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর আওতায় চারটি বিষয়কে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তিনটি শাস্তি দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এসব শাস্তি হলো—বরখাস্ত, অব্যাহতি এবং বেতন ও পদের গ্রেড কমিয়ে দেওয়া।

অধ্যাদেশে যেসব অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করা হবে সেগুলো হলো: অনানুগত্য দেখানো ও কাজে বাধা দেওয়া, একক বা সমবেতভাবে কাজে অনুপস্থিত থাকা, কাউকে কাজ থেকে বিরত থাকতে উসকানি দেওয়া এবং কাউকে কাজ করতে বাধা দেওয়া।

এছাড়া, সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধান অনুযায়ী—যদি কোনো সরকারি কর্মচারী এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল, অন্য কোনো কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে, শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে অথবা কাজে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে সেটি অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।

এমন অপরাধের জন্য পদ বা বেতন গ্রেড অবনমিতকরণ, চাকরি থেকে অপসারণ এবং এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে।

এছাড়া, যদি কেউ একক বা দলবদ্ধভাবে ছুটি ছাড়া বা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই কাজে অনুপস্থিত থাকেন, অথবা এ ধরনের কাজ করতে কাউকে উসকানি দেন কিংবা কাউকে কাজ করতে বাধা দেন, তাহলে তার জন্যও একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আসলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি অভিযোগ গঠন করে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাও নোটিশ দেবেন। নোটিশের জবাব পেলে সেটি বিবেচনা করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে কিংবা তাকে কেন দণ্ড দেয়া হবে না সেজন্য নোটিশ জারির সাত কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কারণ দর্শাও নোটিশ চান।

এরপর, অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি কারণ ব্যাখ্যা করে জবাব দেন, তবে সেটি বিবেচনা করে অথবা জবাব না দিলে অধ্যাদেশে উল্লিখিত যেকোনো শাস্তি দেওয়া যাবে।

কোনো কর্মচারীকে দণ্ড দেয়া হলে তিনি ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন, তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত কর্মচারী আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন এবং রাষ্ট্রপতি যেভাবে মনে করবেন, সেভাবে আদেশ দিতে পারবেন।

মন্তব্য

প্রেমের জেরে স্বামী-স্ত্রী খুন, প্রেমিক আটক 

প্রেমের জেরে স্বামী-স্ত্রী খুন, প্রেমিক আটক 

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে প্রেমের জেরে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, স্ত্রীর প্রেমিক এই জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িত। নিহতরা হলেন- পাপ্পু (৩৬) ও তার স্ত্রী দোলন আক্তার দোলা (২৮)।

হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গাউস (৩৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক গাউসের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায়। নিহত দোলা ও পাপ্পুর বাড়ি বরগুনায়।

গতকাল বুধবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মিরপুর-১১ নম্বরের বি ব্লকের ৩৫ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পল্লবী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক ও রক্তমাখা ছুরি জব্দ করে। মরদেহ উদ্ধারের করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক যুবক গাউস মিয়া সৌদিপ্রবাসী। তিনি সৌদি আরবে থাকার সময় নিহত দোলার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রায়ই ফোনে কথা হতো। গাউস মিয়া গত জানুয়ারি মাসে দেশে আসেন। তিনি দোলার বাসার কাছেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করেন। পরে বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে গাউস মিয়ার দেখা করতেন। কিন্তু তিনি জানতেন না দোলা বিবাহিতা। গাউস মিয়া গতকাল সকালে দোলা ও পাপ্পুকে এক সঙ্গে এক রিকশায় যেতে দেখনে। পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানকে পারেন, দোলার সঙ্গে থাকা ব্যক্তি তার স্বামী। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বাসায় ফিরে যান। পরে বাসা থেকে ছুরি নিয়ে এসে দোলা ও তার স্বামী পাপ্পুকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বিস্তারিত তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।

মন্তব্য

বিনোদন
Mutual Global Confidence Threatening Professor Yunus in Nikkee Forum

পারস্পরিক বৈশ্বিক আস্থা হুমকির মুখে: নিক্কেই ফোরামে প্রফেসর ইউনূস

পারস্পরিক বৈশ্বিক আস্থা হুমকির মুখে: নিক্কেই ফোরামে প্রফেসর ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্ব বর্তমানে চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক আস্থা হুমকির মুখে।

তিনি আজ টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে অনুষ্ঠিত ৩০তম নিক্কেই ফোরাম ‘ফিউচার অব এশিয়া’র উদ্বোধনী অধিবেশনের মূল বক্তব্যে এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বৈশ্বিক আস্থা এখন হুমকির মুখে। জাতির মধ্যে, সমাজের অভ্যন্তরে, এমনকি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও আস্থা হ্রাস পাচ্ছে।’

‘উত্তাল বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে।

ইউনূস বলেন,‘আমরা এক গভীর অনিশ্চিত সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্বকে প্রত্যক্ষ করছি যেখানে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে, উত্তেজনা বাড়ছে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা সবসময় নিশ্চিত থাকছে না।’

অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, এশিয়া ও তার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে এবং শান্তি দিন দিন অধরা হয়ে উঠছে।

‘ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে দিচ্ছে’, বলেন প্রফেসর ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ এক নির্মম রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প দেশটির গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা কোটি কোটি টাকা যুদ্ধের পেছনে ব্যয় করছি, অথচ লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে বা ন্যূনতম চাহিদার জন্য লড়াই করছে।’

অধ্যাপক ইউনূস যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সহাবস্থানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও নতুন নতুন নৈতিক প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে।’

প্রফেসর ইউনূস বলেন, বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ বেড়ে যাওয়ায় মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থার ভিত্তি চ্যালেঞ্জের মুখে এবং আর্থিক বৈষম্য সমাজে বেড়েই চলেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভাজনের কারণে অসন্তোষ ও অস্থিরতা দেখা গেছে, যা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ডেকে এনেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থার সাম্প্রতিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত বছর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে একটি পরিবর্তন ঘটেছে এবং এরপর তাঁর সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে, ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এটি আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করার, নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার সুযোগ।’

বহুমুখী অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, প্রফেসর ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাসস্থল এশিয়া অনিশ্চয়তার কেন্দ্রস্থলে, একই সঙ্গে সম্ভাবনারও কেন্দ্রে।’

‘আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো বিশাল, কিন্তু আমাদের সম্মিলিত শক্তিও বিশাল। এ বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার সামনে একটি সুযোগ, এমনকি একটি দায়িত্ব রয়েছে ভিন্ন পথ দেখানোর: শান্তির, সংলাপের, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের। শুধু সংখ্যাগত নয়, মানুষের কল্যাণ, আস্থা ও আশার উন্নয়ন,’ তিনি বলেন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলোর মুখে অসহায় নই। বরং, আমরা ইতিহাসের একটি সন্ধিক্ষণে আছি। আজকের সিদ্ধান্তগুলো নির্ধারণ করবে আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য কেমন পৃথিবী রেখে যাব। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, কেবল সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্যে নয়, বরং সমাধান খুঁজে পেতে।’

তিনি বলেন, ‘এই সমাধানগুলো যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য এবং মানবিকতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।’

প্রফেসর ইউনূস প্রায়ই উল্লেখ করা নিজের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘অর্থ উপার্জন আনন্দের বিষয়। কিন্তু মানুষকে সুখী করা, সেটিই প্রকৃত আনন্দ।’

তিনি বলেন,‘আমাদের মনোযোগ সরাতে হবে, ব্যক্তিগত মুনাফা থেকে সমষ্টিগত কল্যাণে। স্বল্পমেয়াদি অর্জন থেকে দীর্ঘমেয়াদী স্বপ্নের দিকে।’

তিনি বলেন, ‘তাঁর নিজের জীবনের যাত্রায় গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা থেকে শুরু করে দরিদ্র নারীদের ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া এবং সারা বিশ্বে সামাজিক ব্যবসার ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত, তিনি একটি বিষয় স্পষ্টভাবে শিখেছেন; মানুষ কষ্ট পাওয়ার জন্য জন্মায়নি।’

‘মানুষ সীমাহীন সম্ভাবনা নিয়ে জন্মায়। আমাদের শুধু তাদের সঠিক সুযোগটি দিতে হবে,’ তিনি বলেন।

‘তিনটি শূন্য’- শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব, শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ - এই তত্ত্ব উপস্থাপন করে ড. ইউনূস বলেন, এটি কোনো স্বপ্ন নয়, বরং একটি দিকনির্দেশনা।

‘যেখানে একটি লক্ষ্যে সরকার, ব্যবসা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যক্তি একযোগে কাজ করতে পারে,’ তিনি বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন এমন একটি নতুন ধরনের অর্থনীতি, যা প্রতিযোগিতার ওপর নয়, সহানুভূতির ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। শুধু ভোগের ওপর নয়, অন্যের কল্যাণ হয় এমন অর্থনীতি হবে। এখানেই আমাদের ভবিষ্যৎ।’

নিক্কেই ফোরাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফিউচার অব এশিয়া’ একটি আশাবাদের মঞ্চ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নিক্কেই এমন একটি পরিসর তৈরি করেছে যেখানে সংলাপ সমাধানে রূপ নেয়, এবং যেখানে আস্থা কেবল একটি শব্দ নয়, বরং একটি লক্ষ্য—যার দিকে আমরা একসাথে এগিয়ে যাই।’

তিনি বলেন, ‘এশিয়ার ভবিষ্যৎ কেবল অর্থনীতি বা ভূরাজনীতির বিষয় নয়, এটি মানুষের, ভাবনার এবং সাহসের বিষয়।’

ইউনূস বলেন,‘চলুন, আমাদের চারপাশের অস্থিরতা দেখে ভীত না হয়ে এটিকে একটি আহ্বান হিসেবে নিই—নতুন করে ভাবার, পুনর্গঠনের এবং একসাথে জাগরণের আহ্বান।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভয়ের দ্বারা নয়, সম্ভাবনার দ্বারা; শক্তির দ্বারা নয়, উদ্দেশ্যের দ্বারা পরিচালিত হই। চলুন, একটি উত্তম বিশ্বের কল্পনা করতে সাহসী হই। চলুন, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখি। চলুন, শুধু প্রয়োজনীয়তার কারণে নয়, বরং আন্তরিক ইচ্ছে থেকে একে অপরকে সহযোগিতা করি।’

তিনি বলেন, ‘এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনো লেখা হয়নি—আমরাই তা একসঙ্গে লিখব।’

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ ও জাপান একসঙ্গে কাজ করে এশিয়ার ভাগ্য এমনকি বিশ্বের ভাগ্যও পুনর্লিখন করতে পারে।’

মন্তব্য

বিনোদন
In the five countries officially start exporting mango

পাঁচ দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আম রপ্তানি শুরু

পাঁচ দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আম রপ্তানি শুরু

দেশের মানুষ এখনও ভালোভাবে আম খাওয়ার সুবিধা না পেলেও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে আম রপ্তানির কার্যক্রম। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সৌদি আরব, কাতার ও বাহরাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হয়। এসব দেশে ১৩ টন আমের চালান পাঠানো হয়েছে। গতকাল প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আম রপ্তানি উদ্বোধন করেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত আম রপ্তানির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, আম রপ্তানি বাড়াতে সরকার কাজ করছে। কারণ বিদেশে বাংলাদেশের আমের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

উপদেষ্টা এ সময় বলেন, আমের উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়াতে প্রকল্পের মাধ্যমে আম উৎপাদন করা হচ্ছে। আম চাষীদের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হবে। স্বল্প মূল্যে হর্টিকালচার সেন্টার থেকে কৃষকরা উন্নত জাতের আমের চারা পাবেন। প্রণোদনার মাধ্যমে হর্টিকালচার সেন্টারে আমের চারার উৎপাদন বাড়াতে উপদেষ্টা এ সময় নির্দেশ দেন।

কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কৃষক যাতে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পান সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

দেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমলেও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সুবাদে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। আম চাষের ক্ষেত্রেও উৎপাদন বাড়ানোর প্রযুক্তি ও জাত উন্নয়নে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোর দিতে হবে বলে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন। আম চাষি ও রপ্তানিকারকগণ বাগানে আমের ব্যাগিং, প্যাকিং, পরিবহন, প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানালে উপদেষ্টা বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করার আশ্বাস দেন।

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে