× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
হয়ত জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে
google_news print-icon

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’

হয়তো-জীবনের-ব্যর্থতাই-আমাকে-নির্মাতা-বানিয়েছে
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার গল্পকার ও পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। ছবি: সংগৃহীত
রাজিব মহাজন এই প্রশ্নোত্তরে বলছেন, চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে পরিচালকের নোট, যা সাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সহায়তা করবে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশ-বিদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে মেইলে প্রশ্ন এসেছিল। আমরা সেগুলোকে কম্বাইন্ড করে প্রশ্ন প্রস্তুত করেছি। আমাদের নিজেদের অল্প কিছু প্রশ্ন আছে। এভাবে পুরো বিষয়টি প্রস্তুত করা হয়েছে। একা কেউ ইন্টারভিউটি নেয়নি।

বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা রেহানা মরিয়ম নূর। সিনেমাটির গল্পকার ও পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ।

সাদ ও তার সিনেমা নিয়ে সংবাদমাধ্যমসহ দর্শকের মধ্যে আগ্রহ আছে। আর তাই রেহানা মরিয়ম নূর এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের যাত্রা নিয়ে সাদের ব্যক্তিগত মতামত ও চিন্তাভাবনা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পাঠিয়েছেন সিনেমাটির সহ-প্রযোজক রাজিব মহাজন।

রাজিব মহাজন এই প্রশ্নোত্তরকে বলছেন, চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে পরিচালকের নোট, যা সাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সহায়তা করবে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশ-বিদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে মেইলে প্রশ্ন এসেছিল। আমরা সেগুলোকে কম্বাইন্ড করে প্রশ্ন প্রস্তুত করেছি। আমাদের নিজেদের অল্প কিছু প্রশ্ন আছে। এভাবে পুরো বিষয়টি প্রস্তুত করা হয়েছে। একা কেউ ইন্টারভিউটি নেয়নি।’

ইংরেজিতে লেখা সেই সাক্ষাৎকারটি নিউজবাংলার পক্ষ থেকে অনুবাদ করে পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।

প্রথম সিনেমা লাইভ ফ্রম ঢাকা থেকেই আপনার সিনেমায় গুরুত্ব পেয়েছে চরিত্রগুলোর ব্যক্তিগত জীবনের যাত্রা এবং তাদের নৈতিক ও অস্তিত্বের সংকট। এই রকম গল্পে উৎসাহী হলেন কী করে?

এসব গল্পের প্রতি আমার আগ্রহের শুরু কীভাবে, নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে হয়তো এ কারণে যে, আমি সব সময় জটিল লোকজনের সঙ্গে সংযোগ অনুভব করি, যারা তাদের জীবনে নেয়া কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

রেহানা মরিয়ম নূর-এর অনুপ্রেরণা কী?

আমার মনে হয়, এ সিনেমার পেছনে আমার বড় তিন বোন এবং তাদের গভীর প্রভাবই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি, আমি আমার ভাগনিদের বড় হতে দেখেছি এবং এই বড় হয়ে ওঠার সময়ে আমার মনে অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে বা নানা প্রশ্ন ভাবিয়েছে। এই বিষয়গুলোই আমি বের করে আনার চেষ্টা করেছি রেহানা চরিত্র এবং তার জীবনের যাত্রার মধ্য দিয়ে।

এ ছাড়া নারী ও পুরুষের মধ্যে বিন্যাস এবং তারা একে অপরকে কীভাবে দেখে, সেই বিষয়গুলোতেও আমি আগ্রহী।

আপনার কাজের পদ্ধতি বা আপনার সেটে কাজের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাই। ছোটখাটো বিষয়ও বলবেন।

যদিও দীর্ঘদিন ধরেই আমি নিজেকে একটি চেম্বার ড্রামার জন্য প্রস্তুত করেছি, কিন্তু বাস্তবে দেখলাম একটা বদ্ধ জায়গায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে কাজ করা কত কঠিন। একই জায়গায় দিনের পর দিন শতাধিক দৃশ্য ব্লকিং করার সমস্যা সমাধান করা কঠিন বলে মনে হলো। সমস্যার আরেকটা কারণ হলো, আমি আমার নিজের ও টিমের জন্য কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিলাম। যেমন, আমরা পুরো সিনেমার দৃশ্যধারণ করেছি শুধু ৫০ মিলিমিটার লেন্স দিয়ে। প্রত্যেকটা দিন আমার জন্য ছিল অঙ্ক পরীক্ষা দেয়ার মতো।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার পোস্টারে অভিনেত্রী বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

আজমেরি হক বাঁধনের অভিনয়কে কীভাবে পরিচালনা করেছেন? আপনারা কি প্রচুর মহড়া করেছেন?

হ্যাঁ, প্রচুর মহড়া করা হয়েছে, আমরা ৯ মাস মহড়া করেছি, পাশাপাশি রেহানা চরিত্রটি নিয়ে বাঁধনের সঙ্গে আলোচনা করেছি প্রচুর।

বাঁধন প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটি নিয়ে কমিটেড ছিলেন। আক্ষরিক অর্থেই তিনি সিনেমাটির জন্য জীবনের সবকিছু সরিয়ে রেখেছিলেন। আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন সবকিছু।

সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন তামিজুলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? তিনি আপনার দুটি সিনেমাই ক্যামেরাবন্দি করেছেন। আপনার চরিত্রগুলো উনি যেভাবে হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরায় তুলেছেন, আপনার সিনেমায় ক্যামেরার কাজ চরিত্রগুলোর মনোজগতের মতোই একটা অস্থিরতাকে ধারণ করে।

আমরা বাস্তবেও খুব ভালো বন্ধু। সিনেমার গল্প যখন লেখা শুরু করি, তখন থেকেই আমরা এর গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করতে থাকি। এমন একটি চ্যালেঞ্জিং প্রোডাকশনের জন্য তুহিন এক বছরের বেশি সময় ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। আমি যদিও নিখুঁত কম্পোজিশন ও ব্লকিংয়ের ব্যাপারে অবসেসড, কিন্তু তুহিন জানে যে, শেষ পর্যন্ত তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো তাৎক্ষণিকতা এবং ক্যামেরার সামনে অভিনয়টিকে ধারণ করা।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার নানান দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

আপনার সিনেমার চরিত্রগুলোকে চলমান দেখা যায়, একটা উতলা ভাব ও উদ্বেগের মধ্যে। মনের এই অবস্থা দৃশ্য ধারণে কীভাবে কাজ করেন আপনি?

সাধারণভাবে, দৃশ্যের শুরুতেই আমি আমার ব্লকিংয়ের সব খুঁটিনাটি এবং জটিলতা সিনেমাটোগ্রাফার ও অভিনয়শিল্পীদের খুলে বলি না। যখন তারা একটা সিকোয়েন্সের অচ্ছেদ্য উপকরণগুলো বুঝে যায়, তখন আমি একটু একটু করে বিভিন্ন পজিশন ও স্তর যুক্ত করতে থাকি। শারীরিকভাবে এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং তাদের জন্য। কিন্তু এটাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমি গভীরতা, আবেগ ও কম্পোজিশন ধারণ করতে পারি।

লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমার রুক্ষ মনোক্রোম থেকে রেহানা মরিয়ম নূর-এর শীতলতা, আপনি আপনার কাজের টোন এবং টেকচার কীভাবে ঠিক করেন?

রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমার ক্ষেত্রে এটা ব্যাখ্যা করা খুব শক্ত। আমার ধারণা, ক্লস্ট্রোফোবিয়া বা রেহানার ভেতরে চাপা থাকা ক্রোধ ধারণ করার জন্য শীতল টোনটিই সবচেয়ে উপযুক্ত।

লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমার বেলায় ব্যাপারটা আলাদা ছিল, সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়াটা ছিল সহজ, যেহেতু ঢাকা আমার কাছে সব সময়ই সাদা-কালো, সেটা কেন আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না। লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমাটি মনোক্রোমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তববাদী ছিল, কেননা এতে খরচ কম পড়েছে। আর আমি ও আমার টিমকে তখন যে রিসোর্সের স্বল্পতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল, আমাদের ওপর চাপ কম পড়েছে এতে।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত

আপনার এডিটিং স্টাইল, বিশেষ করে ট্রানজিশন বা কোনো দৃশ্যের সমাপ্তি প্রায়শই কর্কশ, এমনকি পাশবিকও। আপনার ক্ষেত্রে এডিটিং কি ন্যারেটিভের প্রয়োজন সিদ্ধ করে নাকি ব্যাপারটা শুধু ছন্দের?

দৃশ্যের ছন্দ নিয়ে আমি সব সময় উদ্বিগ্ন থাকি। আমি মনে করি, এডিটিংয়ের চয়েসের ক্ষেত্রে খুব বেশি সেন্টিমেন্টাল এবং ব্যাখ্যামূলক হওয়া আমার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ কারণেই সেগুলোকে কর্কশ মনে হয় হয়তো। আরেকটি কারণ হলো, আমার সম্পাদনার স্টাইল চরিত্রগুলোর যাপিত জীবনের হুবহু প্রতিফলন, সেই জীবন কঠিন, কঠোর আর লাবণ্যহীন।

আপনার চলচ্চিত্রের একটা মজার দিক হলো আমরা যদি ভালো করে রেহানাকে দেখি, দেখব ও আসলে এক রকম না। কারণ, ও আসলে ততটা সাদা-কালো না, যেমনটা ওর কর্মকাণ্ডে ওকে মনে হয়। এই যে অস্পষ্টতা কিংবা ধোঁয়াশা, এটা সত্যিকার মানবিক অবস্থা তুলে ধরে। আপনি কী মনে করেন?

আমি আপনার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। মানুষের চরিত্রের এই অস্পষ্টতা আমাকে সব সময় টানে। আমরা যে সব সময় কারও ব্যাপারে ভালোমন্দ সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ বোধ করি, সে কারণেই সবকিছু কঠিন হয়ে যায়। হয়তো, যদি আমরা এই অস্পষ্টতা বোঝার চেষ্টা করি, পৃথিবী আরও সহনশীল এবং বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার দৃশ্যে অভিনেত্রী বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

যেহেতু রেহানা ন্যায়বিচার পাওয়ার বাসনায় পরিচালিত হয়, এটা অতীতে তার মধ্যে গড়ে ওঠা প্যারানোইয়া (আবসেশন) হতে পারে। ও কি একটা নীতিমান চরিত্র?

এটা একটা মজার ব্যাখ্যা। নিশ্চয়ই আরও অনেক ব্যাখ্যাই আছে। তবে আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলতে পারব না, ও নীতিমান কি না। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে, আমার কাজটি ছিল রেহানা চরিত্রের সমস্ত লেয়ার উপস্থাপন করা, আমার কাছে যেসব প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় মনে হয়েছে, তা তুলে ধরা এবং দর্শকদের নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দেয়া, যেন তারা নিজেদের মতো করে ভেবে নিতে পারে।

রেহানার দুর্দশা (ডিলেমা) বাংলাদেশি সমাজের একটা ক্ষুদ্র সংস্করণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একটা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার মধ্যে কীভাবে তার জন্য একটা ‘জায়গা’ খুঁজে পাওয়া যাবে?

আমি সক্রিয়ভাবে কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করছি না। দুর্নীতি আমার আগ্রহের বিষয় না। আমি এটা সাংবাদিকদের কাছেই ছেড়ে দিতে চাই। আমি জানি না, রেহানার মতো কারও পক্ষে এই দুনিয়ায় সত্যি কোনো জায়গা খুঁজে বের করা সম্ভব কিনা। আমি খুব আশাবাদী লোক না। কিন্তু সত্য হলো রেহানাকে আপনি সবখানে খুঁজে পাবেন, তারা তাদের জায়গা খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করছে এবং ব্যর্থ হচ্ছে।

দৃশ্যে যে শব্দ তৈরি হয় সেটিই আপনি সিনেমায় ব্যবহার করেন, আলাদা সাউন্ডট্র্যাক করেন না। এর কারণ কী?

কখনও কখনও এটি আমাকে গল্পের কনটেক্সট তৈরিতে সাহায্য করে এবং আমার চরিত্রগুলোর জন্য সাধারণ ও মামুলি বাস্তবতা তৈরি করে। অন্য সময় এটি আমাকে আরও সূক্ষ্ম উপায়ে এক্সপোজিশন ও ন্যারেটিভ বলতে সাহায্য করে।

সিনেমায় আপনি কাদের দ্বারা প্রভাবিত এবং তারা কীভাবে রেহানাকে ফুটিয়ে তুলতে আপনার ওপর প্রভাব ফেলেছে?

অনেকের প্রভাব আছে! এই মুহূর্তে আমি হয়তো মাইকেল হানেকি, এডওয়ার্ড ইয়্যাং এবং দার্দেন ব্রাদার্সের নাম বলব। তবে আমি মনে করি আমি রেহানাকে ফুটিয়ে তুলেছি সারা জীবন আমি যা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি, তা দিয়ে।

লাইভ ফর্ম ঢাকা সিনেমাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম কুড়িয়েছে। সিনেমাটির সাফল্য বাংলাদেশে পরিচালক হিসেবে আপনার জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন এনেছে?

খুব বেশি না, আসলে। আমি আমার দ্বিতীয় সিনেমা বানিয়েছি এমন বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে, যাদের ওপর আমি সর্বান্তকরণে আস্থা রাখতে পারি। আগের সিনেমাটির নির্মাণপ্রক্রিয়ার সঙ্গেরেহানা মরিয়ম নূর সিনেমার নির্মাণপ্রক্রিয়ার অনেক মিল।

কান চলচ্চিত্রে রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমাটি নির্বাচন হওয়া আপনার কাছে কী অর্থ বহন করে?

এটা একটা বিরাট অনুপ্রেরণা। নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান লাগছে। আমার প্রযোজক কিস্টিয়ান জুয়েনকে অনেক ধন্যবাদ।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত

রেহানা মরিয়ম নূর বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা যেটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিবেশ কেমন? আপনার নিজের প্রোডাকশনের কী অবস্থা?

অনেক রকম সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের এখানে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতার সংখ্যা বাড়ছে। রেহানা মরিয়ম নূর কানে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হলেও আমরা শেষ এক দশক ধরে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটে থাকছি।

আমার ক্ষেত্রে, আমি আমার ঘণিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সিনেমা বানাতে পছন্দ করি। আমার বেশি কিছুর দরকার নেই, তাদের ডেডিকেশন এবং ত্যাগ আমার জন্য যথেষ্ঠ।

আপনি তো সিনেমা নির্মাণ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকবাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না, কীভাবে চলচ্চিত্র নির্মাতা হলেন?

আমি সত্যি জানি না, কীভাবে চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়ে উঠলাম। এমন না যে আমি ছোটবেলা থেকে ফিল্মমেকার হতে চেয়েছি। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখার চল ছিল না আমার পরিবারে। হয়তো, জীবনে সবকিছুতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এবং সেটার মধ্য দিয়েই আমার মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্তা গড়ে উঠেছে। একটা পর্যায়ে আমার মনে হয়েছে, আমি এটা পারব, হয়তো আমার পক্ষে চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন:
কান উৎসবে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে বাঁধনরা
বড় বোনদের প্রভাব থেকেই রেহানা মরিয়ম নূর: সাদ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
The Islamic Movement Bangladesh organized the Ganasatha in Netrokona

নেত্রকোনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে গনসমাবেশ অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনা জেলা সদরের মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত এক বিশাল গনসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন । প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশব্যাপী চাাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজি, জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই বাংলাদেশ দেখার জন্য আমরা রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়িনাই। এমন কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই, যা দখল করা হয়নি। বিচারালয়গুলোকেও দখল করা হয়েছে। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুগ্ধ জীবন দেয় নাই, আবু সাঈদ তার বুক পেতে দেয় নাই। বাংলাদেশে আমরা আর চাাঁদাবাজ, জুলমবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না। যদি শেখ হাসিনার বুলেটের সামনে, ট্যাঙ্কের সামনে বুক পেতে দিতে পারি, তাহলে আজকেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেনো বুক পেতে দিতে পারবো না? যদি শেখ হাসিনার জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি, তাহলে আজকেও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কেনো কথা বলবো না? তিনি আরও বলেন, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছেন। তাদের শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর মূল কারণ খুঁজতে হবে। দেশ, দল ও নেতা পরিবর্তন করে শান্তি আসবে না, শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি আদর্শের পরিবর্তন আনতে পারবো। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সারা দেশে খুন, লুণ্ঠন ও চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে। মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ্ এবং মুফতি ওমর ফারুক ওফার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন: জতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন পাঠান, ইসলামী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এনামূল হক মুর্শেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সায়েম, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা,জামায়েতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, মুফতি তাজুল ইসলাম কাশেমী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে শায়েখে চরমনোই সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম নেত্রকোনার পাঁচটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন: নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে হযরত মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে জাকির হোসেন সুলতান, নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে হাফেজ মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মুফতি নূরুল ইসলাম হাকিমী।

মন্তব্য

বিনোদন
Six days after the disappearance the body of a young man was recovered from the Meghna river in Bhairab

নিখোঁজের ৫ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের ৫ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বাজিতপুর থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ভৈরবে মেঘনা নদী থেকে রাকিব (২৭) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভৈরবের লুন্দিয়া এলাকায় নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১০ আগস্ট বিকেলে রাকিব বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে একই উপজেলার কুকরাই গ্রামের বন্ধু শাওনের বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় নিহতের ভাই রিয়াজ মিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাজিতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে ভৈরবের মেঘনায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাকে সনাক্ত করি।

এ বিষয়ে ভৈরব নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, লুন্দিয়া এলাকা থেকে রাকিবের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা নদীতে ফেলে দিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
The accused in the robbery case including the murder of Bhairab arrested the accused

ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়া (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে সিপিসি-২, র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।

সে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কালিপুর মধ্যপাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।

শুক্রবার দুপুরের দিকে শহরের কালিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা যায়, সিপিসি-২, র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প এর আভিযানিক দল নরসিংদী জেলার বেলাবো থানা এলাকায় সিএনজি ডাকাতির পর সিএনজি ড্রাইভারকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় নরসিংদীর বেলাবো থানার মামলা নং-০১(০১)১৫, ধারা-৩৯৬/২০১ এর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে শুক্রবার শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহিত কবির জানান, হত্যাসহ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গোলাম হোসেন মিয়াকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
In Kurigram the people of Teesta Para are threatening to break the water even though the water is reduced

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। ফলে কিছুটা স্বস্থিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কৃষকরা। শুক্রবার হঠাৎ করে দুধকুমার নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কমতে শুরু করেছে তিস্তা, ব্রহ্মপূত্রনদসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

এদিকে পানি কমলেও তিস্তা নদী অববাহিকায় ৪টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে পরেছে। জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় লোকজন বাড়ি সড়াতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকেও জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।

বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইয়ুম সর্দার জানান, ভাঙন প্রতিরোধে বজরা ইউনিয়নে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ শুরু না করায় চলতি সপ্তাহে ৬টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকীতে রয়েছে ১০টি বাড়িসহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এরমধ্যে কালপানি বজরা ও সাধুয়াদামারহাট গ্রামের শাহজাদি, আশরাফুল, হান্নান, মুকুল, মজিদা ও রোসনার বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভাঙন আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

ওই এলাকার সাতালষ্কার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ারা জানান, কাল যে রাস্তা দিয়ে স্কুলে গেছি, আজ সেই জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। যে কোন সময় দুটি স্কুল নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।

সাধুয়াদামারহাট গ্রামের ফুলবাবু জানান, নদী আমার ২ বিঘা জমি খেয়ে গেছে। আমার মতো মোফাজ্জল ও আশরাফুলের বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে। সরকারিভাবে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ চাই।

এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার সাহা জানান, আমি ভাঙন কবলিত বজরা ও থেতরাই ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি। জনপ্রতিনিধিদের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে ৩২০টি শুকনা খাবার প্যাকেট রয়েছে। এছাড়াও জিআর’র চাহিদা প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে দুধকুমার নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করা শুরু করেছে। তবে শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে পানি। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি কমলেও জলাবদ্ধতার কারণে নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের কাস ইউনিয়নের ফান্দের চরে ৪ থেকে ৫টি নীচু বাড়িতে পানি উঠেছে বলে স্থানীয়রা জনিয়েছে। একইভাবে ওই উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটি বামনডাঙ্গা চরে নীচু এলাকায় অবস্থিত দুটি বাড়িতে পানি উঠছে বলে স্থানীয় যুবক আশরাফুল ও কাদের জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কিছু নিচু বাড়ি জলবন্দী রয়েছে বলে জেনেছি। তিনি আরও জানান, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ও নদী ভাঙন বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন সরকার জানান, প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের কাছে ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৪৪০ মে.টন জিআর চাল মজুদ রয়েছে। নগদ টাকা রয়েছে ১৪লাখ। তালিকা পেলেই আমরা সাথে সাথে উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দিয়ে দিবো। তারপরও প্রতি উপজেলায় ৩২০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার সরবরাহ করা আছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Jhalakathi TTCs success to achieve third place across the country

ঝালকাঠি টিটিসির সাফল্য: সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন

ঝালকাঠি টিটিসির সাফল্য: সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন

প্রথম থেকে চতুর্থ সাইকেল পর্যন্ত "সামগ্রিক দক্ষতা" মূল্যায়নে সারা দেশের ৬৪টি টিটিসির মধ্যে ঝালকাঠি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) শতকরা ৮৭ শতাংশ দক্ষতা অর্জন করে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক এসেট (ASSET) প্রকল্পের ৫ম সাইকেল সমাপনী ও ৬ষ্ঠ সাইকেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ১৪ আগষ্ট অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিবসহ বিএমইটি'র (BMET) সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠি টিটিসির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামীম হোসাইন বলেন, 'এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জনের জন্য এখানে কর্মরত সকল ট্রেড ইনচার্জ, প্রশিক্ষক, অতিথি প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।'

উল্লেথ্য, 'ঝালকাঠির সরকারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এই জেলার একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি মূলত দক্ষ জনশক্তি তৈরীর জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, ওয়েল্ডিং সহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং নারীরাও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। ঝালকাঠি টিটিসি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Villagers humanitarian demonstration rally to bring drug dealers under the law

মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ

মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের সিংগোয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামটিতে কিছুদিন আগেও মাদক সেবনকারী বা মাদক ব্যবসায়ী ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে হাত বাড়ালেই খুব সহজে মিলছে মাদকদ্রব্য। মাদক সরবরাহকারী একটি চক্র এই এলাকায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মাদকে ছেয়ে গেছে এখানকার বিভিন্ন অলিগলি। এসব মাদকদ্রব্যের বেশির ভাগ ক্রেতাই হচ্ছে বেকার যুবক। এতে এলাকায় বাড়ছে চুরি ও ছিনতাই। অনেকে প্রকাশ্যেই মাদক গ্রহণ করছে এবং বিক্রি করছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যুবসমাজ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না। মাদকের এত ছড়াছড়ি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

দামিহা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, কিছুদিন আগেও কাজলা গ্রামটিতে মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী কেউ ছিল না। কিন্তুু বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যেমন বেড়েছে মাদকসেবী, তেমনি বেড়েছে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

মানবন্ধনে তাসলিমা-হাসেম ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টায় মাদক নির্মূল করা যাবে না। পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করতে হবে, সন্তানদের পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ সমাজ রক্ষা করতে হবে। অন্ধকার গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাবে আগামীর ভবিষ্যৎ। মাদকসেবী একটি মারাত্মক সমস্যা তবে সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান সম্ভব।

মানববন্ধনে শিক্ষক হাসিবুর রহমান, ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল রানা, সাবেক সেনা সদস্য ইসহাক মিয়া, ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও সাবেক ইউপি সদস্য খোকন মিয়া, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

বিনোদন
The interim government is determined to keep the bond of harmony in harmony the chief adviser

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

p
উপরে