× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
হয়ত জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে
google_news print-icon

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’

হয়তো-জীবনের-ব্যর্থতাই-আমাকে-নির্মাতা-বানিয়েছে
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার গল্পকার ও পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। ছবি: সংগৃহীত
রাজিব মহাজন এই প্রশ্নোত্তরে বলছেন, চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে পরিচালকের নোট, যা সাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সহায়তা করবে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশ-বিদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে মেইলে প্রশ্ন এসেছিল। আমরা সেগুলোকে কম্বাইন্ড করে প্রশ্ন প্রস্তুত করেছি। আমাদের নিজেদের অল্প কিছু প্রশ্ন আছে। এভাবে পুরো বিষয়টি প্রস্তুত করা হয়েছে। একা কেউ ইন্টারভিউটি নেয়নি।

বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা রেহানা মরিয়ম নূর। সিনেমাটির গল্পকার ও পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ।

সাদ ও তার সিনেমা নিয়ে সংবাদমাধ্যমসহ দর্শকের মধ্যে আগ্রহ আছে। আর তাই রেহানা মরিয়ম নূর এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের যাত্রা নিয়ে সাদের ব্যক্তিগত মতামত ও চিন্তাভাবনা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পাঠিয়েছেন সিনেমাটির সহ-প্রযোজক রাজিব মহাজন।

রাজিব মহাজন এই প্রশ্নোত্তরকে বলছেন, চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে পরিচালকের নোট, যা সাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সহায়তা করবে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশ-বিদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে মেইলে প্রশ্ন এসেছিল। আমরা সেগুলোকে কম্বাইন্ড করে প্রশ্ন প্রস্তুত করেছি। আমাদের নিজেদের অল্প কিছু প্রশ্ন আছে। এভাবে পুরো বিষয়টি প্রস্তুত করা হয়েছে। একা কেউ ইন্টারভিউটি নেয়নি।’

ইংরেজিতে লেখা সেই সাক্ষাৎকারটি নিউজবাংলার পক্ষ থেকে অনুবাদ করে পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।

প্রথম সিনেমা লাইভ ফ্রম ঢাকা থেকেই আপনার সিনেমায় গুরুত্ব পেয়েছে চরিত্রগুলোর ব্যক্তিগত জীবনের যাত্রা এবং তাদের নৈতিক ও অস্তিত্বের সংকট। এই রকম গল্পে উৎসাহী হলেন কী করে?

এসব গল্পের প্রতি আমার আগ্রহের শুরু কীভাবে, নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে হয়তো এ কারণে যে, আমি সব সময় জটিল লোকজনের সঙ্গে সংযোগ অনুভব করি, যারা তাদের জীবনে নেয়া কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

রেহানা মরিয়ম নূর-এর অনুপ্রেরণা কী?

আমার মনে হয়, এ সিনেমার পেছনে আমার বড় তিন বোন এবং তাদের গভীর প্রভাবই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি, আমি আমার ভাগনিদের বড় হতে দেখেছি এবং এই বড় হয়ে ওঠার সময়ে আমার মনে অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে বা নানা প্রশ্ন ভাবিয়েছে। এই বিষয়গুলোই আমি বের করে আনার চেষ্টা করেছি রেহানা চরিত্র এবং তার জীবনের যাত্রার মধ্য দিয়ে।

এ ছাড়া নারী ও পুরুষের মধ্যে বিন্যাস এবং তারা একে অপরকে কীভাবে দেখে, সেই বিষয়গুলোতেও আমি আগ্রহী।

আপনার কাজের পদ্ধতি বা আপনার সেটে কাজের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাই। ছোটখাটো বিষয়ও বলবেন।

যদিও দীর্ঘদিন ধরেই আমি নিজেকে একটি চেম্বার ড্রামার জন্য প্রস্তুত করেছি, কিন্তু বাস্তবে দেখলাম একটা বদ্ধ জায়গায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে কাজ করা কত কঠিন। একই জায়গায় দিনের পর দিন শতাধিক দৃশ্য ব্লকিং করার সমস্যা সমাধান করা কঠিন বলে মনে হলো। সমস্যার আরেকটা কারণ হলো, আমি আমার নিজের ও টিমের জন্য কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিলাম। যেমন, আমরা পুরো সিনেমার দৃশ্যধারণ করেছি শুধু ৫০ মিলিমিটার লেন্স দিয়ে। প্রত্যেকটা দিন আমার জন্য ছিল অঙ্ক পরীক্ষা দেয়ার মতো।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার পোস্টারে অভিনেত্রী বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

আজমেরি হক বাঁধনের অভিনয়কে কীভাবে পরিচালনা করেছেন? আপনারা কি প্রচুর মহড়া করেছেন?

হ্যাঁ, প্রচুর মহড়া করা হয়েছে, আমরা ৯ মাস মহড়া করেছি, পাশাপাশি রেহানা চরিত্রটি নিয়ে বাঁধনের সঙ্গে আলোচনা করেছি প্রচুর।

বাঁধন প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটি নিয়ে কমিটেড ছিলেন। আক্ষরিক অর্থেই তিনি সিনেমাটির জন্য জীবনের সবকিছু সরিয়ে রেখেছিলেন। আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন সবকিছু।

সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন তামিজুলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? তিনি আপনার দুটি সিনেমাই ক্যামেরাবন্দি করেছেন। আপনার চরিত্রগুলো উনি যেভাবে হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরায় তুলেছেন, আপনার সিনেমায় ক্যামেরার কাজ চরিত্রগুলোর মনোজগতের মতোই একটা অস্থিরতাকে ধারণ করে।

আমরা বাস্তবেও খুব ভালো বন্ধু। সিনেমার গল্প যখন লেখা শুরু করি, তখন থেকেই আমরা এর গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করতে থাকি। এমন একটি চ্যালেঞ্জিং প্রোডাকশনের জন্য তুহিন এক বছরের বেশি সময় ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। আমি যদিও নিখুঁত কম্পোজিশন ও ব্লকিংয়ের ব্যাপারে অবসেসড, কিন্তু তুহিন জানে যে, শেষ পর্যন্ত তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো তাৎক্ষণিকতা এবং ক্যামেরার সামনে অভিনয়টিকে ধারণ করা।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার নানান দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

আপনার সিনেমার চরিত্রগুলোকে চলমান দেখা যায়, একটা উতলা ভাব ও উদ্বেগের মধ্যে। মনের এই অবস্থা দৃশ্য ধারণে কীভাবে কাজ করেন আপনি?

সাধারণভাবে, দৃশ্যের শুরুতেই আমি আমার ব্লকিংয়ের সব খুঁটিনাটি এবং জটিলতা সিনেমাটোগ্রাফার ও অভিনয়শিল্পীদের খুলে বলি না। যখন তারা একটা সিকোয়েন্সের অচ্ছেদ্য উপকরণগুলো বুঝে যায়, তখন আমি একটু একটু করে বিভিন্ন পজিশন ও স্তর যুক্ত করতে থাকি। শারীরিকভাবে এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং তাদের জন্য। কিন্তু এটাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমি গভীরতা, আবেগ ও কম্পোজিশন ধারণ করতে পারি।

লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমার রুক্ষ মনোক্রোম থেকে রেহানা মরিয়ম নূর-এর শীতলতা, আপনি আপনার কাজের টোন এবং টেকচার কীভাবে ঠিক করেন?

রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমার ক্ষেত্রে এটা ব্যাখ্যা করা খুব শক্ত। আমার ধারণা, ক্লস্ট্রোফোবিয়া বা রেহানার ভেতরে চাপা থাকা ক্রোধ ধারণ করার জন্য শীতল টোনটিই সবচেয়ে উপযুক্ত।

লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমার বেলায় ব্যাপারটা আলাদা ছিল, সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়াটা ছিল সহজ, যেহেতু ঢাকা আমার কাছে সব সময়ই সাদা-কালো, সেটা কেন আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না। লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমাটি মনোক্রোমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তববাদী ছিল, কেননা এতে খরচ কম পড়েছে। আর আমি ও আমার টিমকে তখন যে রিসোর্সের স্বল্পতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল, আমাদের ওপর চাপ কম পড়েছে এতে।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত

আপনার এডিটিং স্টাইল, বিশেষ করে ট্রানজিশন বা কোনো দৃশ্যের সমাপ্তি প্রায়শই কর্কশ, এমনকি পাশবিকও। আপনার ক্ষেত্রে এডিটিং কি ন্যারেটিভের প্রয়োজন সিদ্ধ করে নাকি ব্যাপারটা শুধু ছন্দের?

দৃশ্যের ছন্দ নিয়ে আমি সব সময় উদ্বিগ্ন থাকি। আমি মনে করি, এডিটিংয়ের চয়েসের ক্ষেত্রে খুব বেশি সেন্টিমেন্টাল এবং ব্যাখ্যামূলক হওয়া আমার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ কারণেই সেগুলোকে কর্কশ মনে হয় হয়তো। আরেকটি কারণ হলো, আমার সম্পাদনার স্টাইল চরিত্রগুলোর যাপিত জীবনের হুবহু প্রতিফলন, সেই জীবন কঠিন, কঠোর আর লাবণ্যহীন।

আপনার চলচ্চিত্রের একটা মজার দিক হলো আমরা যদি ভালো করে রেহানাকে দেখি, দেখব ও আসলে এক রকম না। কারণ, ও আসলে ততটা সাদা-কালো না, যেমনটা ওর কর্মকাণ্ডে ওকে মনে হয়। এই যে অস্পষ্টতা কিংবা ধোঁয়াশা, এটা সত্যিকার মানবিক অবস্থা তুলে ধরে। আপনি কী মনে করেন?

আমি আপনার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। মানুষের চরিত্রের এই অস্পষ্টতা আমাকে সব সময় টানে। আমরা যে সব সময় কারও ব্যাপারে ভালোমন্দ সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ বোধ করি, সে কারণেই সবকিছু কঠিন হয়ে যায়। হয়তো, যদি আমরা এই অস্পষ্টতা বোঝার চেষ্টা করি, পৃথিবী আরও সহনশীল এবং বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার দৃশ্যে অভিনেত্রী বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

যেহেতু রেহানা ন্যায়বিচার পাওয়ার বাসনায় পরিচালিত হয়, এটা অতীতে তার মধ্যে গড়ে ওঠা প্যারানোইয়া (আবসেশন) হতে পারে। ও কি একটা নীতিমান চরিত্র?

এটা একটা মজার ব্যাখ্যা। নিশ্চয়ই আরও অনেক ব্যাখ্যাই আছে। তবে আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলতে পারব না, ও নীতিমান কি না। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে, আমার কাজটি ছিল রেহানা চরিত্রের সমস্ত লেয়ার উপস্থাপন করা, আমার কাছে যেসব প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় মনে হয়েছে, তা তুলে ধরা এবং দর্শকদের নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দেয়া, যেন তারা নিজেদের মতো করে ভেবে নিতে পারে।

রেহানার দুর্দশা (ডিলেমা) বাংলাদেশি সমাজের একটা ক্ষুদ্র সংস্করণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একটা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার মধ্যে কীভাবে তার জন্য একটা ‘জায়গা’ খুঁজে পাওয়া যাবে?

আমি সক্রিয়ভাবে কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করছি না। দুর্নীতি আমার আগ্রহের বিষয় না। আমি এটা সাংবাদিকদের কাছেই ছেড়ে দিতে চাই। আমি জানি না, রেহানার মতো কারও পক্ষে এই দুনিয়ায় সত্যি কোনো জায়গা খুঁজে বের করা সম্ভব কিনা। আমি খুব আশাবাদী লোক না। কিন্তু সত্য হলো রেহানাকে আপনি সবখানে খুঁজে পাবেন, তারা তাদের জায়গা খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করছে এবং ব্যর্থ হচ্ছে।

দৃশ্যে যে শব্দ তৈরি হয় সেটিই আপনি সিনেমায় ব্যবহার করেন, আলাদা সাউন্ডট্র্যাক করেন না। এর কারণ কী?

কখনও কখনও এটি আমাকে গল্পের কনটেক্সট তৈরিতে সাহায্য করে এবং আমার চরিত্রগুলোর জন্য সাধারণ ও মামুলি বাস্তবতা তৈরি করে। অন্য সময় এটি আমাকে আরও সূক্ষ্ম উপায়ে এক্সপোজিশন ও ন্যারেটিভ বলতে সাহায্য করে।

সিনেমায় আপনি কাদের দ্বারা প্রভাবিত এবং তারা কীভাবে রেহানাকে ফুটিয়ে তুলতে আপনার ওপর প্রভাব ফেলেছে?

অনেকের প্রভাব আছে! এই মুহূর্তে আমি হয়তো মাইকেল হানেকি, এডওয়ার্ড ইয়্যাং এবং দার্দেন ব্রাদার্সের নাম বলব। তবে আমি মনে করি আমি রেহানাকে ফুটিয়ে তুলেছি সারা জীবন আমি যা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি, তা দিয়ে।

লাইভ ফর্ম ঢাকা সিনেমাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম কুড়িয়েছে। সিনেমাটির সাফল্য বাংলাদেশে পরিচালক হিসেবে আপনার জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন এনেছে?

খুব বেশি না, আসলে। আমি আমার দ্বিতীয় সিনেমা বানিয়েছি এমন বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে, যাদের ওপর আমি সর্বান্তকরণে আস্থা রাখতে পারি। আগের সিনেমাটির নির্মাণপ্রক্রিয়ার সঙ্গেরেহানা মরিয়ম নূর সিনেমার নির্মাণপ্রক্রিয়ার অনেক মিল।

কান চলচ্চিত্রে রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমাটি নির্বাচন হওয়া আপনার কাছে কী অর্থ বহন করে?

এটা একটা বিরাট অনুপ্রেরণা। নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান লাগছে। আমার প্রযোজক কিস্টিয়ান জুয়েনকে অনেক ধন্যবাদ।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত

রেহানা মরিয়ম নূর বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা যেটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিবেশ কেমন? আপনার নিজের প্রোডাকশনের কী অবস্থা?

অনেক রকম সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের এখানে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতার সংখ্যা বাড়ছে। রেহানা মরিয়ম নূর কানে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হলেও আমরা শেষ এক দশক ধরে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটে থাকছি।

আমার ক্ষেত্রে, আমি আমার ঘণিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সিনেমা বানাতে পছন্দ করি। আমার বেশি কিছুর দরকার নেই, তাদের ডেডিকেশন এবং ত্যাগ আমার জন্য যথেষ্ঠ।

আপনি তো সিনেমা নির্মাণ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকবাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না, কীভাবে চলচ্চিত্র নির্মাতা হলেন?

আমি সত্যি জানি না, কীভাবে চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়ে উঠলাম। এমন না যে আমি ছোটবেলা থেকে ফিল্মমেকার হতে চেয়েছি। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখার চল ছিল না আমার পরিবারে। হয়তো, জীবনে সবকিছুতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এবং সেটার মধ্য দিয়েই আমার মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্তা গড়ে উঠেছে। একটা পর্যায়ে আমার মনে হয়েছে, আমি এটা পারব, হয়তো আমার পক্ষে চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন:
কান উৎসবে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে বাঁধনরা
বড় বোনদের প্রভাব থেকেই রেহানা মরিয়ম নূর: সাদ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Free seeds and fertilizer distribution

নকলায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

নকলায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

শেরপুরের নকলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বসতবাড়ি ও মাঠে চাষযোগ্য জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করেন নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুরসালিন মেহেদী বলেন, বীজ ও সার মাঠে আবাদ না করে যদি কোনো কৃষক বিক্রির উদ্দেশ্যে অসদুপায় অবলম্বন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওই প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২৩০ কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ৯ প্যাকেট করে মোট ২ হাজার ৭০ প্যাকেট সবজির বীজ এবং ৪০৫ কৃষকের মাঝে মাঠে চাষযোগ্য ২০ শতাংশ জমির জন্য লাউ, বেগুন, শসা, মিষ্টিকুমড়াসহ যেকোনো সবজির ১ প্যাকেট করে বীজসহ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।

মন্তব্য

বিনোদন
The Daulatpur border destroys Tk 1 crore illegal nets

দৌলতপুর সীমান্তে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ জাল ধ্বংস

দৌলতপুর সীমান্তে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ জাল ধ্বংস

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ১৪ কোটি টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।

দৌলতপুর সীমান্তে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ জাল ধ্বংস

গত সোমবার সন্ধ্যায় বিজিবি জানায়, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর উপজেলার সীমান্তবর্তী আশ্রায়ণ বিওপির আওতাধীন এলাকায় অভিযানকালে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া ও মদনের ঘাট এলাকায় ৩৫ হাজার কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা। পরে গত সোমবার দুপুরে এসব অবৈধ জাল ধ্বংস করেন পরিচালক (অপারেশন) যশোর সদর দপ্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শিকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ।

মন্তব্য

বিনোদন
In the river Rangamati

রাঙামাটিতে নদীতে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

রাঙামাটিতে নদীতে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

রাঙামাটির বিলাইছড়িতে নদীতে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ হওয়ার দুঘণ্টা পর স্থানয়ীরা মাছের জাল দিয়ে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত নারী হলেন লতা মার্মা (৩৩)। তিনি কেংড়াছড়ি গ্রামের মিলন কান্তি চাকমার স্ত্রী। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বিলাইছড়ি থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত মানস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে কেংড়াছড়ি থেকে নৌকাযোগে বিলাইছড়ি বাজার আসার পথে কেরণছড়ি এলাকায় এসে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মাছের জাল দিয়ে তল্লাশির পর বেলা সারে এগারটায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। নিহতের স্বামী মিলন কান্তি চাকমা জানিয়েছেন তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাদের সংসারে দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Celebrating World Manage Day in Rangpur

রংপুরে বিশ্ব মান দিবস উদযাপন

রংপুরে বিশ্ব মান দিবস উদযাপন

টেকসই ও উন্নত বিশ্ব গঠনে মানের গুরুত্ব অনস্বীকার্য-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রংপুরে উদযাপিত হয়েছে ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস।

“সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে—মান” এই স্লোগানকে ধারণ করে দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও রংপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মজিদ আলী, রংপুর ক্যাবের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোঃ রশিদুস সুলতান বাবলু, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ গোলাম জাকারিয়া পিন্টু, এবং জেলা হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল হক মুন্না। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় অফিসের উপপরিচালক ও অফিস প্রধান (প্রকৌশলী) মুবিন-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে আইএসও’র সদস্যপদ লাভের পর থেকে নিয়মিতভাবে বিশ্ব মান দিবস পালন করে আসছে। বর্তমানে আইএসও’র ১৭৭টি সদস্য দেশের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশও এবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করছে।

তিনি আরও জানান, গত এক বছরে রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সচেতনতা বৃদ্ধি, মান নিয়ন্ত্রণ এবং শিল্পখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিএসটিআই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

বক্তারা বলেন, পণ্য ও সেবার মান বজায় রাখা শুধু শিল্পোন্নয়নের জন্য নয়, বরং ভোক্তা নিরাপত্তা ও জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতির পূর্বশর্ত।

তাঁরা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে মান সচেতনতা বিস্তার এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণই টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি হতে পারে।

অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বিনোদন
There is no work except ultimatum at the university EB Chhatra Dal convener

বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না: ইবি ছাত্রদল আহ্বায়ক

বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না: ইবি ছাত্রদল আহ্বায়ক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ। মঙ্গলবার পূর্বের আল্টিমেটাম দেওয়া দাবির অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর সাথে সাক্ষাৎ এর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির কাছে দুই দফা দাবি দিয়েছিলাম। তার আপডেট জানতে আজ স্যারের সাথে আবারও দেখা করেছি। আমাদের দাবিগুলো হলো, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা করা এবং কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

তিনি বলেন, আমাদের কিছু মৌখিক দাবি ছিল। যেমন, ক্যাম্পাসে একটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া-শান্তিডাঙ্গা এলাকায় যে বিদ্যুৎ সমস্যা আছে তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া। কারণ এখানে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হয়। আমরা আশাবাদী যে প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ করবেন। তবে আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বা বাস্তবায়ন দেখি না।

সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ছাত্রদল যে দাবিগুলো করেছে সেগুলো প্রায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিছু কাজ চলমান। আর কিছু নীতি নির্ধারনী কাজ আছে যেগুলো মাননীয় উপাচার্য আসলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন।

মন্তব্য

বিনোদন
Inauguration of the road renovation work with Jamaat e Jamaat in Kaliganj

কালীগঞ্জে জামায়াতের অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন

কালীগঞ্জে জামায়াতের অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন

“রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থেকেও জামায়াত জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে”- এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. খায়রুল হাসান।

তিনি বলেন, “মানুষের কষ্ট লাঘব করা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা না থাকলেও দলীয়ভাবে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে জামায়াত একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এ সড়ক সংস্কার হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, জামায়াতের উদ্যোগে সড়ক সংস্কার হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আফতাব উদ্দিন, পৌর আমীর মাওলানা আমিমুল এহসান, পৌর নায়েবে আমীর মাওলানা আনোয়ার হোসেন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ও সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, মো. আরিফ, মো. আবু তাহের, মনির হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উপস্থিত নেতারা বলেন, “জামায়াত সবসময় আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জননেতা মো. খায়রুল হাসান সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ ও কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান এবং শিক্ষার প্রসারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এলাকার বাসিন্দারা বলেন, জামায়াতের এ ধরনের অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ স্থানীয় উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
A discussion meeting and prayer was held in Madaripur to commemorate journalist Altaf Hossain

মাদারীপুরে সাংবাদিক আলতাফ হোসেন স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

মাদারীপুরে সাংবাদিক আলতাফ হোসেন স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দেশবরেণ্য সাংবাদিক মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মাদারীপুর পৌরসভার ডিজিটাল সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি শরীফ মোঃ ফায়েজুল কবীর। সঞ্চালনা করেন সংগঠনিটির জেলা শাখার সেক্রেটারী সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ও মাদারীপুর পৌরসভা প্রশাসক হাবিবুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব, জেলা তথ্য কর্মকর্তা বেনজীর আহম্মেদ, মাদারীপুর পৌরসভা সচিব খন্দকার আবু আহম্মেদ ফিরোজ, সংস্থাটির উপদেষ্টা এবং জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুবল বিশ্বাস, নবনির্বাচিত উপদেষ্টা মিজানুর রহমান পিন্টু, সিনিয়র সাংবাদিক আহসান কাজল, জাতীয় রিপোর্টার্স ক্লাব মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি তাজুল মাতুব্বর, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী শরীফ মহিউদ্দিন হাফিজ, জেলা কিন্ডারগার্টেন এর সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট এফ,এইচ কিন্ডারগার্টেন প্রধান শিক্ষক মাহাববুর রহমান রিপন মুন্সী, মানবাধিকার প্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট (অবঃ) আঃ কুদ্দুস পান্না হাওলাদারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের মতো এমন একজন দেশবরেণ্য সিনিয়র সাংবাদিকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজনের জন্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, মাদারীপুর জেলা শাখার নেতারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। পরে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ নবনির্বাচিত উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান পিন্টুকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদানের পাশাপাশি সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

মন্তব্য

p
উপরে