× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
হয়ত জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে
google_news print-icon

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’

হয়তো-জীবনের-ব্যর্থতাই-আমাকে-নির্মাতা-বানিয়েছে
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার গল্পকার ও পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। ছবি: সংগৃহীত
রাজিব মহাজন এই প্রশ্নোত্তরে বলছেন, চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে পরিচালকের নোট, যা সাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সহায়তা করবে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশ-বিদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে মেইলে প্রশ্ন এসেছিল। আমরা সেগুলোকে কম্বাইন্ড করে প্রশ্ন প্রস্তুত করেছি। আমাদের নিজেদের অল্প কিছু প্রশ্ন আছে। এভাবে পুরো বিষয়টি প্রস্তুত করা হয়েছে। একা কেউ ইন্টারভিউটি নেয়নি।

বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা রেহানা মরিয়ম নূর। সিনেমাটির গল্পকার ও পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ।

সাদ ও তার সিনেমা নিয়ে সংবাদমাধ্যমসহ দর্শকের মধ্যে আগ্রহ আছে। আর তাই রেহানা মরিয়ম নূর এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের যাত্রা নিয়ে সাদের ব্যক্তিগত মতামত ও চিন্তাভাবনা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পাঠিয়েছেন সিনেমাটির সহ-প্রযোজক রাজিব মহাজন।

রাজিব মহাজন এই প্রশ্নোত্তরকে বলছেন, চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে পরিচালকের নোট, যা সাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সহায়তা করবে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশ-বিদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে মেইলে প্রশ্ন এসেছিল। আমরা সেগুলোকে কম্বাইন্ড করে প্রশ্ন প্রস্তুত করেছি। আমাদের নিজেদের অল্প কিছু প্রশ্ন আছে। এভাবে পুরো বিষয়টি প্রস্তুত করা হয়েছে। একা কেউ ইন্টারভিউটি নেয়নি।’

ইংরেজিতে লেখা সেই সাক্ষাৎকারটি নিউজবাংলার পক্ষ থেকে অনুবাদ করে পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।

প্রথম সিনেমা লাইভ ফ্রম ঢাকা থেকেই আপনার সিনেমায় গুরুত্ব পেয়েছে চরিত্রগুলোর ব্যক্তিগত জীবনের যাত্রা এবং তাদের নৈতিক ও অস্তিত্বের সংকট। এই রকম গল্পে উৎসাহী হলেন কী করে?

এসব গল্পের প্রতি আমার আগ্রহের শুরু কীভাবে, নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে হয়তো এ কারণে যে, আমি সব সময় জটিল লোকজনের সঙ্গে সংযোগ অনুভব করি, যারা তাদের জীবনে নেয়া কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

রেহানা মরিয়ম নূর-এর অনুপ্রেরণা কী?

আমার মনে হয়, এ সিনেমার পেছনে আমার বড় তিন বোন এবং তাদের গভীর প্রভাবই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি, আমি আমার ভাগনিদের বড় হতে দেখেছি এবং এই বড় হয়ে ওঠার সময়ে আমার মনে অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে বা নানা প্রশ্ন ভাবিয়েছে। এই বিষয়গুলোই আমি বের করে আনার চেষ্টা করেছি রেহানা চরিত্র এবং তার জীবনের যাত্রার মধ্য দিয়ে।

এ ছাড়া নারী ও পুরুষের মধ্যে বিন্যাস এবং তারা একে অপরকে কীভাবে দেখে, সেই বিষয়গুলোতেও আমি আগ্রহী।

আপনার কাজের পদ্ধতি বা আপনার সেটে কাজের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাই। ছোটখাটো বিষয়ও বলবেন।

যদিও দীর্ঘদিন ধরেই আমি নিজেকে একটি চেম্বার ড্রামার জন্য প্রস্তুত করেছি, কিন্তু বাস্তবে দেখলাম একটা বদ্ধ জায়গায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে কাজ করা কত কঠিন। একই জায়গায় দিনের পর দিন শতাধিক দৃশ্য ব্লকিং করার সমস্যা সমাধান করা কঠিন বলে মনে হলো। সমস্যার আরেকটা কারণ হলো, আমি আমার নিজের ও টিমের জন্য কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিলাম। যেমন, আমরা পুরো সিনেমার দৃশ্যধারণ করেছি শুধু ৫০ মিলিমিটার লেন্স দিয়ে। প্রত্যেকটা দিন আমার জন্য ছিল অঙ্ক পরীক্ষা দেয়ার মতো।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার পোস্টারে অভিনেত্রী বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

আজমেরি হক বাঁধনের অভিনয়কে কীভাবে পরিচালনা করেছেন? আপনারা কি প্রচুর মহড়া করেছেন?

হ্যাঁ, প্রচুর মহড়া করা হয়েছে, আমরা ৯ মাস মহড়া করেছি, পাশাপাশি রেহানা চরিত্রটি নিয়ে বাঁধনের সঙ্গে আলোচনা করেছি প্রচুর।

বাঁধন প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটি নিয়ে কমিটেড ছিলেন। আক্ষরিক অর্থেই তিনি সিনেমাটির জন্য জীবনের সবকিছু সরিয়ে রেখেছিলেন। আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন সবকিছু।

সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন তামিজুলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? তিনি আপনার দুটি সিনেমাই ক্যামেরাবন্দি করেছেন। আপনার চরিত্রগুলো উনি যেভাবে হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরায় তুলেছেন, আপনার সিনেমায় ক্যামেরার কাজ চরিত্রগুলোর মনোজগতের মতোই একটা অস্থিরতাকে ধারণ করে।

আমরা বাস্তবেও খুব ভালো বন্ধু। সিনেমার গল্প যখন লেখা শুরু করি, তখন থেকেই আমরা এর গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করতে থাকি। এমন একটি চ্যালেঞ্জিং প্রোডাকশনের জন্য তুহিন এক বছরের বেশি সময় ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। আমি যদিও নিখুঁত কম্পোজিশন ও ব্লকিংয়ের ব্যাপারে অবসেসড, কিন্তু তুহিন জানে যে, শেষ পর্যন্ত তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো তাৎক্ষণিকতা এবং ক্যামেরার সামনে অভিনয়টিকে ধারণ করা।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার নানান দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

আপনার সিনেমার চরিত্রগুলোকে চলমান দেখা যায়, একটা উতলা ভাব ও উদ্বেগের মধ্যে। মনের এই অবস্থা দৃশ্য ধারণে কীভাবে কাজ করেন আপনি?

সাধারণভাবে, দৃশ্যের শুরুতেই আমি আমার ব্লকিংয়ের সব খুঁটিনাটি এবং জটিলতা সিনেমাটোগ্রাফার ও অভিনয়শিল্পীদের খুলে বলি না। যখন তারা একটা সিকোয়েন্সের অচ্ছেদ্য উপকরণগুলো বুঝে যায়, তখন আমি একটু একটু করে বিভিন্ন পজিশন ও স্তর যুক্ত করতে থাকি। শারীরিকভাবে এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং তাদের জন্য। কিন্তু এটাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমি গভীরতা, আবেগ ও কম্পোজিশন ধারণ করতে পারি।

লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমার রুক্ষ মনোক্রোম থেকে রেহানা মরিয়ম নূর-এর শীতলতা, আপনি আপনার কাজের টোন এবং টেকচার কীভাবে ঠিক করেন?

রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমার ক্ষেত্রে এটা ব্যাখ্যা করা খুব শক্ত। আমার ধারণা, ক্লস্ট্রোফোবিয়া বা রেহানার ভেতরে চাপা থাকা ক্রোধ ধারণ করার জন্য শীতল টোনটিই সবচেয়ে উপযুক্ত।

লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমার বেলায় ব্যাপারটা আলাদা ছিল, সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়াটা ছিল সহজ, যেহেতু ঢাকা আমার কাছে সব সময়ই সাদা-কালো, সেটা কেন আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না। লাইভ ফ্রম ঢাকা সিনেমাটি মনোক্রোমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তববাদী ছিল, কেননা এতে খরচ কম পড়েছে। আর আমি ও আমার টিমকে তখন যে রিসোর্সের স্বল্পতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল, আমাদের ওপর চাপ কম পড়েছে এতে।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত

আপনার এডিটিং স্টাইল, বিশেষ করে ট্রানজিশন বা কোনো দৃশ্যের সমাপ্তি প্রায়শই কর্কশ, এমনকি পাশবিকও। আপনার ক্ষেত্রে এডিটিং কি ন্যারেটিভের প্রয়োজন সিদ্ধ করে নাকি ব্যাপারটা শুধু ছন্দের?

দৃশ্যের ছন্দ নিয়ে আমি সব সময় উদ্বিগ্ন থাকি। আমি মনে করি, এডিটিংয়ের চয়েসের ক্ষেত্রে খুব বেশি সেন্টিমেন্টাল এবং ব্যাখ্যামূলক হওয়া আমার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ কারণেই সেগুলোকে কর্কশ মনে হয় হয়তো। আরেকটি কারণ হলো, আমার সম্পাদনার স্টাইল চরিত্রগুলোর যাপিত জীবনের হুবহু প্রতিফলন, সেই জীবন কঠিন, কঠোর আর লাবণ্যহীন।

আপনার চলচ্চিত্রের একটা মজার দিক হলো আমরা যদি ভালো করে রেহানাকে দেখি, দেখব ও আসলে এক রকম না। কারণ, ও আসলে ততটা সাদা-কালো না, যেমনটা ওর কর্মকাণ্ডে ওকে মনে হয়। এই যে অস্পষ্টতা কিংবা ধোঁয়াশা, এটা সত্যিকার মানবিক অবস্থা তুলে ধরে। আপনি কী মনে করেন?

আমি আপনার সঙ্গে পুরোপুরি একমত। মানুষের চরিত্রের এই অস্পষ্টতা আমাকে সব সময় টানে। আমরা যে সব সময় কারও ব্যাপারে ভালোমন্দ সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ বোধ করি, সে কারণেই সবকিছু কঠিন হয়ে যায়। হয়তো, যদি আমরা এই অস্পষ্টতা বোঝার চেষ্টা করি, পৃথিবী আরও সহনশীল এবং বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার দৃশ্যে অভিনেত্রী বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

যেহেতু রেহানা ন্যায়বিচার পাওয়ার বাসনায় পরিচালিত হয়, এটা অতীতে তার মধ্যে গড়ে ওঠা প্যারানোইয়া (আবসেশন) হতে পারে। ও কি একটা নীতিমান চরিত্র?

এটা একটা মজার ব্যাখ্যা। নিশ্চয়ই আরও অনেক ব্যাখ্যাই আছে। তবে আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলতে পারব না, ও নীতিমান কি না। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে, আমার কাজটি ছিল রেহানা চরিত্রের সমস্ত লেয়ার উপস্থাপন করা, আমার কাছে যেসব প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় মনে হয়েছে, তা তুলে ধরা এবং দর্শকদের নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দেয়া, যেন তারা নিজেদের মতো করে ভেবে নিতে পারে।

রেহানার দুর্দশা (ডিলেমা) বাংলাদেশি সমাজের একটা ক্ষুদ্র সংস্করণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একটা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার মধ্যে কীভাবে তার জন্য একটা ‘জায়গা’ খুঁজে পাওয়া যাবে?

আমি সক্রিয়ভাবে কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করছি না। দুর্নীতি আমার আগ্রহের বিষয় না। আমি এটা সাংবাদিকদের কাছেই ছেড়ে দিতে চাই। আমি জানি না, রেহানার মতো কারও পক্ষে এই দুনিয়ায় সত্যি কোনো জায়গা খুঁজে বের করা সম্ভব কিনা। আমি খুব আশাবাদী লোক না। কিন্তু সত্য হলো রেহানাকে আপনি সবখানে খুঁজে পাবেন, তারা তাদের জায়গা খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করছে এবং ব্যর্থ হচ্ছে।

দৃশ্যে যে শব্দ তৈরি হয় সেটিই আপনি সিনেমায় ব্যবহার করেন, আলাদা সাউন্ডট্র্যাক করেন না। এর কারণ কী?

কখনও কখনও এটি আমাকে গল্পের কনটেক্সট তৈরিতে সাহায্য করে এবং আমার চরিত্রগুলোর জন্য সাধারণ ও মামুলি বাস্তবতা তৈরি করে। অন্য সময় এটি আমাকে আরও সূক্ষ্ম উপায়ে এক্সপোজিশন ও ন্যারেটিভ বলতে সাহায্য করে।

সিনেমায় আপনি কাদের দ্বারা প্রভাবিত এবং তারা কীভাবে রেহানাকে ফুটিয়ে তুলতে আপনার ওপর প্রভাব ফেলেছে?

অনেকের প্রভাব আছে! এই মুহূর্তে আমি হয়তো মাইকেল হানেকি, এডওয়ার্ড ইয়্যাং এবং দার্দেন ব্রাদার্সের নাম বলব। তবে আমি মনে করি আমি রেহানাকে ফুটিয়ে তুলেছি সারা জীবন আমি যা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি, তা দিয়ে।

লাইভ ফর্ম ঢাকা সিনেমাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম কুড়িয়েছে। সিনেমাটির সাফল্য বাংলাদেশে পরিচালক হিসেবে আপনার জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন এনেছে?

খুব বেশি না, আসলে। আমি আমার দ্বিতীয় সিনেমা বানিয়েছি এমন বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে, যাদের ওপর আমি সর্বান্তকরণে আস্থা রাখতে পারি। আগের সিনেমাটির নির্মাণপ্রক্রিয়ার সঙ্গেরেহানা মরিয়ম নূর সিনেমার নির্মাণপ্রক্রিয়ার অনেক মিল।

কান চলচ্চিত্রে রেহানা মরিয়ম নূর সিনেমাটি নির্বাচন হওয়া আপনার কাছে কী অর্থ বহন করে?

এটা একটা বিরাট অনুপ্রেরণা। নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান লাগছে। আমার প্রযোজক কিস্টিয়ান জুয়েনকে অনেক ধন্যবাদ।

‘হয়তো জীবনের ব্যর্থতাই আমাকে নির্মাতা বানিয়েছে’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত

রেহানা মরিয়ম নূর বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা যেটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিবেশ কেমন? আপনার নিজের প্রোডাকশনের কী অবস্থা?

অনেক রকম সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের এখানে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতার সংখ্যা বাড়ছে। রেহানা মরিয়ম নূর কানে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হলেও আমরা শেষ এক দশক ধরে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটে থাকছি।

আমার ক্ষেত্রে, আমি আমার ঘণিষ্ঠ বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সিনেমা বানাতে পছন্দ করি। আমার বেশি কিছুর দরকার নেই, তাদের ডেডিকেশন এবং ত্যাগ আমার জন্য যথেষ্ঠ।

আপনি তো সিনেমা নির্মাণ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকবাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না, কীভাবে চলচ্চিত্র নির্মাতা হলেন?

আমি সত্যি জানি না, কীভাবে চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়ে উঠলাম। এমন না যে আমি ছোটবেলা থেকে ফিল্মমেকার হতে চেয়েছি। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখার চল ছিল না আমার পরিবারে। হয়তো, জীবনে সবকিছুতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে এবং সেটার মধ্য দিয়েই আমার মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্তা গড়ে উঠেছে। একটা পর্যায়ে আমার মনে হয়েছে, আমি এটা পারব, হয়তো আমার পক্ষে চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন:
কান উৎসবে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে বাঁধনরা
বড় বোনদের প্রভাব থেকেই রেহানা মরিয়ম নূর: সাদ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
A robbery at a jewelers factory in Pangshay

পাংশায় জুয়েলার্সের কারখানায় দুর্ধর্ষ চুরি

পাংশায় জুয়েলার্সের কারখানায় দুর্ধর্ষ চুরি

রাজবাড়ীর পাংশায় জুয়েলার্সের কারখানায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাংশা পৌরশহরের স্টেশন রোডের কাজী সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ‘সিকদার জুয়েলার্সের কারখানা’তে বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে
কারখানার কারিগররা প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে কারখানা বন্ধ করে চলে যান। গভীর রাতে কোনো একসময় সংঘবদ্ধ চোরের দল জানালার গ্রীল কেটে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে এ চুরি সংঘটিত করে।
বৃহস্পতিবার সকালে কারিগররা দোকান খুলে দেখেন, ড্রয়ারগুলো ভাঙা ও কারখানার সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে দোকান মালিক সঞ্জীব সিকদার পাংশা মডেল থানায় জানান।
সিকদার জুয়েলার্সের মালিক সঞ্জীব সিকদার বলেন, "কারিগররা কাজ শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কারখানা বন্ধ করে চলে যায়। সকালে এসে কারখানা খুলে দেখে সবকিছু এলোমেলো ও কারিগরদের ড্রয়ার ভাঙা।" তিনি আরও জানান, "কারখানা থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৩০ থেকে ৩৫ ভরি রূপা চুরি হয়েছে।"
একই রাতে শহরের অনুপ দত্ত নিউ মার্কেটের ছাদে অবস্থিত মৌচাক রেস্টুরেন্টেও চুরির ঘটনা ঘটে। রেস্টুরেন্টের মালিক নাজমুল আলম বলেন, "রাতে আমার দোকানের জানালা দিয়ে চোর ভিতরে ঢুকে প্রায় ২ হাজার ২ শত টাকার সিগারেট নিয়ে গেছে।"
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার এবং পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার বলেন, “সিকদার জুয়েলার্সের একটি কারখানায় গত রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্ত শুরু করেছি। বাজারের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে পারব।”
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
No compromise on votes Mirza Fakhrul

ভোট নিয়ে কোনো আপোষ নয় : মির্জা ফখরুল

ভোট নিয়ে কোনো আপোষ নয় : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারকে সবাই ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে- যেন নির্বাচন না হয়; ভোট নিয়ে কোনো আপোষ নয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানার হাটে এক সভাতে ইউনিয়নবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে নতুন করে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। সামনের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। বিএনপি ৩১দফায় সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সরকার যা এখন করছে।

তিনি আরও বলোন, কয়েকটা দল পিআর নিয়ে চিৎকার করছে। পিআর বোঝেনা কেউ। ভোট হবে এক ব্যক্তি এক ভোট। যা মানুষ বোঝেনা তা কেনো হবে? সবাই একমত হলে বিএনপি চিন্তা করে দেখবে। দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে নির্বাচিত সংসদে।

মন্তব্য

বিনোদন
NCP will not sign July charter without legal basis

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নাটকীয়তায় অংশ নেবে না এনসিপি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোনো ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য হয়নি। বরং একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো সংস্কারের জন্য হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম।’

এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সনদ স্বাক্ষরের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দিয়ে এ আদেশ প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাক্ষরের আগেই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় দলগুলোর ঐক্যমত হতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টা বিবেচনা করব। আদেশের টেক্সটের খসড়া আমরা আগে দেখতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে সরকার গঠন করেছেন, সেই জায়গা থেকে সেটা প্রেসিডেন্ট নয় বরং সরকার প্রধান হিসেবে তিনি সেটি জারি করবেন।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গণভোট দ্বারা জনগণ সনদের পক্ষে ভোট দিলে পরের সংসদকে কনস্টিটিউট পাওয়ার দেওয়া হবে। সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করতে এই দাবির সঙ্গে মোটামুটি সবাই একমত। এটার সংশোধনী হবে কিনা আমাদের কাছে কিন্তু তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে ৮৪টি সংস্কারের বিষয়ে গণভোট হবে। এতে নোট অব ডিসেন্টের আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের প্রশ্ন কি হবে তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব ও আহ্বায়ক জাবেদ রাসিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

মন্তব্য

বিনোদন
The ministry warned 66 agencies

৬৬টি এজেন্সিকে সতর্ক করলো মন্ত্রণালয়

৬৬টি এজেন্সিকে সতর্ক করলো মন্ত্রণালয়

২০২৬ সালে হজে যেতে ৬৬টি এজেন্সি থেকে ৫৩৭ জন প্রাক-নিবন্ধন করলেও একজনও প্রাথমিক নিবন্ধন করেননি। তাই এই এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ইস্যুতে সম্প্রতি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, সৌদি সরকার ঘোষিত হজের রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৬ সালের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ১২ অক্টোবর শেষ হয়েছে। নিবন্ধনের সময় বিশেষ বিবেচনায় ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু ৬৬টি এজেন্সিতে ৫৩৭ জন প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী থাকা সত্ত্বেও অদ্যাবধি কোনো হজযাত্রীর নিবন্ধন করা হয়নি।

‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’ এর অনুচ্ছেদ ১৩ (১৩) অনুযায়ী একটি এজেন্সি ন্যূনতম ৪৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করবে এবং এজেন্সির যোগ্য তালিকা প্রকাশের পত্রে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ী কোনো এজেন্সি হজ ২০২৬ মৌসুমে যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজযাত্রীর নিবন্ধন (প্রাক-নিবন্ধন নয়) না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় চিঠিতে আরও জানিয়েছে, সংযুক্ত তালিকার ৬৬টি এজেন্সির ৫৩৭ জন প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীর মধ্যে হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন সম্পন্ন বা অন্য এজেন্সিতে স্থানান্তরপূর্বক হজে গমন নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এজেন্সির কারণে কোনো হজযাত্রীর হজে গমন বিঘ্নিত হলে তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে বহন করতে হবে।

মন্তব্য

বিনোদন
HSC Result Fails are more in those three subjects

এইচএসসি ফলাফল : যে তিন বিষয়ে ফেল বেশি

এইচএসসি ফলাফল : যে তিন বিষয়ে ফেল বেশি

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ বছর জিপিএ৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।

এবারের ফলাফলে বিশ্লেষণে দেখা যায়, এইচএসসি পরীক্ষায় এবার শিক্ষার্থীর তিন বিষয়ে বেশি ফেল করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষায় এবার বেশি ফেল করেছেন হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে। এবার এই বিষয়ে ফেল করেছেন ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর ইংরেজিতে ফেল করেছেন ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ। আইসিটিতে ২৭ দশমিক ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফলাফল বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে এ বছর বরাবরই এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। মোট পাস এবং জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন তারা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ছাত্রের চেয়ে ৮৭ হাজার ৮১৪ জন বেশি ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছাত্রের চেয়ে ৫ হাজার ৯৭ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন অংশ নেন। উত্তীর্ণ হন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৩২ হাজার ৫৩ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়ছেন, আর ৩৭ হাজার ৪৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়ছেন।

মন্তব্য

বিনোদন
Obaidul Quaders younger brother arrested

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই গ্রেপ্তার

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত সহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওবায়দুল কাদেরের সহোদর শাহাদাতসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তবে তাদের কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।

মন্তব্য

বিনোদন
The statement of the 16th witness in the case of burning 6 bodies is going on

৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় চলছে ১৬তম সাক্ষীর জবানবন্দি

৬ লাশ পোড়ানোর মামলায় চলছে ১৬তম সাক্ষীর জবানবন্দি

জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোসহ সাতজনকে হত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চলছে ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ।

আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা ৬ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আজ ১৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিচ্ছেন সিআইডির ফরেনসিক শাখার আলোকচিত্র বিশেষজ্ঞ ওমর ফারুক খান। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা করবেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

ট্রাইব্যুনালে আজ প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ। সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার ও সাইমুম রেজা তালুকদার।

গতকাল বুধবার এ মামলায় ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ৯ অক্টোবর দশম দিনে সাক্ষ্য দেন শহীদ ওমর ফারুকের বাবা চান মিয়া। ১৪তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে গত বছরের ৫ আগস্টের বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। পরে তাকে জেরা করেন পলাতক আট আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন— ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল ও কনস্টেবল মুকুল। তবে সাবেক এমপি সাইফুলসহ আটজন এখনও পলাতক রয়েছেন।

গত ২ জুলাই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগের সঙ্গে অন্যান্য তথ্যসূত্র হিসেবে ৩১৩ পৃষ্ঠা, সাক্ষী ৬২, দালিলিক প্রমাণাদি ১৬৮ পৃষ্ঠা ও দুটি পেনড্রাইভ যুক্ত করা হয়। পরে এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ছয় তরুণ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস এ ঘটনার সময় একজন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও বাঁচতে দেননি তারা। পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত মানুষকেই পুড়িয়ে মারা হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে