দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয়ের প্রয়োজনে ঢাকা ও কলকাতায় সমানতালে ব্যস্ত থাকেন। এর মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব থাকেন জয়া; ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় সামনে নিয়ে আসেন নিয়মিত।
জয়ার পোস্টগুলোতে কখনো নিজের ছবি, কখনো সিনেমার প্রচার আবার কখনো থাকে মানবিক সাহায্যের আবেদন। এ ছাড়া বিভিন্ন দিবসে থাকে তার অভিমত-সংবলিত পোস্ট।
এবার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের অনুভূতি জানালেন এ অভিনেত্রী।
জয়া লেখেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। দেখছি আর নরকের অতলে নেমে যাচ্ছি মনে হয়। ভেঙে ঝুরঝুরে হয়ে যাওয়া বাড়িঘর। তার ওপরে ভাসছে পাক খাওয়া আগুন। আর সারি বাঁধা তরতাজা লাশ।
‘একটু আগেই তারা হাসছিল, খাচ্ছিল, শিশুটি নিচ্ছিল মায়ের আদর।’
জয়া লেখেন, ‘যারা বেঁচে আছে, তারা রক্তমাখা। আগুনের লেলিহান শিখার নিচে ছুটোছুটি করছে। নিজের জীবন বাঁচাতে নয়, ধংসস্তূপের ঝাঁঝরা ইট সরিয়ে সরিয়ে তারা বের করে আনছে চাপা পড়ে থাকা শিশুদের। ওই কচি বাচ্চাগুলো ডুবে ছিল আলো–বাতাসহীন বিভীষিকার তলায়।’
গাজায় ইসরায়েলের ৯ দিনের হামলায় নিহত হয়েছে ২ শতাধিক মানুষ, যাদের মধ্যে রয়েছে ৬০টির বেশি শিশু।
অবরুদ্ধ উপত্যকার শিশুদের পরিণতি নিয়ে গভীর বেদনা প্রকাশ হয় জয়ার স্ট্যাটাসে।
তিনি লেখেন, ‘একটি শিশুকে উদ্ধার করা হলো। ওর পুরো পরিবার পাঁচ মিনিট আগেও মমতায় ঘিরে রেখেছিল ওকে। পৃথিবীতে এখন সে একেবারে একা। ছোট্ট একটা খুকি। এখনই তার পরিবার নেই, দেশ তো ছিলই না।
‘খবরের কাগজে পড়লাম, গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলের নির্মম হামলায় ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি নাকি শিশু। এ কোন নরক এই পৃথিবীতে! তাদের অসহায়তা আর হাহাকারে কণ্ঠ বুজে আসে।’
হামাসসহ গাজার সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আকুতি ছিল জয়ার ক্যাপশনে।
তিনি লেখেন, ‘এই যুদ্ধ থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের এক চিলতে ঘরে ফিরুক। এক জীবনে কি এটা খুব বড় প্রত্যাশা?’
সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী (মুক্তারপুর সেতু) সেতুর সংগৃহীত টোলের অর্থ জমাকরণের জন্য “বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ” এবং “মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি” এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সচিব, সেতু বিভাগ ও নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব মহোদয় বলেন মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সেতু, টানেল এবং সেতু বিভাগের স্থাপনা হতে আদায়কৃত টোলের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। অনুষ্ঠানে সচিব মহোদয় আরও বলেন, এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে মুক্তারপুর সেতু হতে আদায়কৃত টোলের অর্থ নিরাপদ স্থানে যথাযথ সময়ে জমা হবে ফলে সবাই এর সুফল পাবে। এ বিষয়ে সচিব মহোদয় সবার সহযোগিতা কামনা করেন। ‘বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ’ এর পক্ষে পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) এবং যুগ্মসচিব খন্দকার নূরুল হক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি এর পক্ষে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ জাহিদ হোসেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থকরা একটি পুরোনো ভারতীয় ভিডিয়ো ভাইরাল করে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ নামে মিথ্যাচার করছে।
রোববার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দু’টি কিশোর দলের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ছড়িয়ে দিয়ে এটিকে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ বলে মিথ্যা দাবি করছে।’
ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্কুলের পোশাক পরিহিত কিছু ছাত্র একে অপরকে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছে ও লাথি মারছে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এটি ভারতের কেরালায় ছাত্রদের দু’টি গ্রুপের মারামারির দৃশ্য, বাংলাদেশের নয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘ডিবিসি হিন্দি’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়, এর শিরোনামে লেখা ছিল, ‘কেরালার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক মারামারি ভাইরাল’।
ভিডিওর বর্ণনায়ও এটি কেরালার ছাত্রদের দু’টি গ্রুপের সংঘর্ষের দৃশ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রেস উইংয়ের মতে, ভিডিওটি নতুন নয়, এটি মূলত ২০২৩ সালের।
একই ভিডিও ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস নাও’-এর ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম ছিল-‘কেরালার রাস্তায় ছাত্রদের হতবাক করা মারামারির ভিডিও ভাইরাল। দেখুন।’
টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কেরালার রাস্তায় ছাত্রদের দু’টি পক্ষের সংঘর্ষের একটি হতবাক করা ভিডিও সামনে এসেছে। এতে অন্তত ২০ জন ছাত্র জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্ররা একে অপরকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারছে।’
কেরালার ঠিক কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে, এটা স্পষ্ট যে এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
২০২৩ সালের একটি পুরোনো ভিডিও, যেখানে ভারতের কেরালায় ছাত্রদের সংঘর্ষ যাচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, একে ইন্টারনেটে এমন ভুয়াভাবে ছড়ানো হচ্ছে যেন এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র সহিংসতার উদাহরণ। এর সঙ্গে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা।
সমকামিতা, নারী শিক্ষার্থী হেনস্তা সহ নানান অভিযোগের কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলাম-কে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটে পাশ হওয়ার পর উপাচার্যের নির্দেশে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। কখন কী করা লাগবে এবং বাকিটা ব্যাখ্যা দিতে পারবেন সিন্ডিকেট।’
অফিস আদেশ সূত্রে, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনাপূর্বক গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬ তম সভার ৪৪ নং প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির (4) i (b) ও (৫) ধারা মোতাবেক তাঁকে বাৎসরিক ০১ (এক) টি ইনক্রিমেন্ট/ধাপ বাতিল করা হয় এবং তাঁকে ১ (এক) বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।
তবে উক্ত সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি ওঠলে এবং বিভাগের সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি পুনরায় ব্যাপক তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে আবারও গত ৩১ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮ তম (সাধারণ) সভার ০৭ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী তদন্তের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে তাঁর এহেন কর্মকান্ড ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির চরম পরিপন্থি বলে প্রমাণিত হয়। পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১) (F) ধারা মোতাবেক তাঁকে ৩১ মে ২০২৫ তারিখ থেকে চাকুরী হতে অপসারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাফিজুল ইসলামের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শিক্ষার্থীরা এই শাস্তিকে অপ্রতুল দাবি করে তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন, যা প্রশাসনের আশ্বাসে সাময়িক স্থগিত হয়। পরে ১৬ মে উচ্চতর তদন্ত কমিটি এসে পুনরায় জবানবন্দি চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে প্রহসন বলে উল্লেখ করেন এবং উপাচার্যের সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
অপর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ কারাগার থেকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর তুহিনের সাত দিন ও শাহে আলম মুরাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এ সময় তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ আদেশ দেন।
গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
তুহিনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান নাসরিনসহ অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতকারীরা শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে।
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি করে স্বাধীন দেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করে।
এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মোতালেব হত্যা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।
এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকানের প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।
৩০ জুন সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
এতে মুরাদ স্টোর, শিহাব স্টোর ও অনু স্টোরের প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল পুড়ে আগুনে ভস্মীভূত হয়।
দোকান মালিকরা জানান, ভোরে ঘুমের ভেতর জানতে পারেন দোকানে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে দ্রুত দোকানে এসে দেখেন আগুন জ্বলছে। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় কোন মালামাল বের করতে পারে নাই। পরে শ্রীবরদী ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে শ্রীবরদী ও পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলা ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। মালামাল ও দোকান ঘর সম্পূর্ণ আগুনে ভস্মীভূত হওয়ায় সবকিছু হারিয়ে পথে বসে গেছেন ব্যবসায়ীরা।
শ্রীবরদী ফায়ার সার্ভিস সাব স্টেশন অফিসার আশরাফ হোসেন জানান, সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়েছিল। খবর পেয়ে শ্রীবরদী ও বকশীগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসে দুটি ইউনিট যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুরের গাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
রবিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় গাছা থানার ঝাজর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— হবিগঞ্জের মাজিশাইল গ্রামের মো. কাউছার মিয়া (৩৫), ময়মনসিংহের চরমদাখালী গ্রামের সাব্বির হোসেন রাজিব (২৫) এবং গাজীপুরের কোমোন গ্রামের শাখাওয়াত ওরফে সৈকত (২৬)।
পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেপ্তার কাউছার ও শাখাওয়াতের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, গত সোমবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গাছা থানাধীন ঈশ্বড্ডা এলাকায় অবস্থিত ‘আপন প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামের একটি কারখানায় ১০–১২ জনের একটি ডাকাত দল হানা দেয়।
ডাকাতরা কারখানাটি থেকে ১১৩ ব্যাগ প্লাস্টিক কাঁচামাল (যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬ লাখ টাকা), প্রায় ২ লাখ টাকার ৪০টি ডাইস, আইপিএস, ব্যাটারি, দুটি বড় স্ট্যান্ড ফ্যান, দুটি গ্রাইন্ডিং মেশিন, নগদ ৫ হাজার টাকা এবং ৩টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও অভিযান চালিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় ঝাজর এলাকা থেকে মামলার তিন আসমিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি আমিনুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য