ঈদে বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য থাকছে বলিউড চমক। দেশের দর্শকরা দেখতে পাবেন বলিউড ভাইজান সালমান খান অভিনীত সিনেমা। হ্যাঁ, ঈদ উপলক্ষ্যে ভাইজানের রাধে-ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই সিনেমাটি দেখতে পাবেন এদেশের দর্শক।
তবে সিনেমা হলে নয়। রাধে সিনেমাটি ঈদ উপলক্ষ্যে মুক্তি পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জিফাইভে। ১৩ মে সিনেমাটি আন্তর্জাতিক মুক্তির দিন থেকেই দেশের জিফাইভ গ্রাহকরা সিনেমাটি দেখতে পাবেন।
জিফাইভের ফেসবুক পেজে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি জিফাইভের পেজ থেকে রাধের পোস্টার ও ভিডিও প্রকাশ করার মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টার ও ভিডিও পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। জিভাইভের সঙ্গে উদযাপন করুন আপনার ঈদ।’
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য বিশেষ কম্বো অফার দিয়েছে জিফাইভ। অফারটি হলো- ৭২০ টাকায় রাধেসহ পুরো এক বছর কনটেন্ট দেখার সুযোগ।
ঈদ মানেই সালমান খানের সিনেমা। আর ভাইজানের সিনেমা মানেই ধামাকা আর বক্স অফিসে ঝড়। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর থেকে সালমানের কোনো সিনেমাই মুক্তি পায়নি। তাই দর্শকরা মুখিয়ে আছেন সালমান খানের সিনেমা দেখার জন্য।
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জিফাইভ গ্লোবাল’র চিফ বিজনেস অফিসার অর্চনা আনন্দ বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে সমাদৃত সালমান খানের সিনেমা। দেশজুড়ে ভক্তরা অপেক্ষায় রয়েছেন এ সিনেমাটি দেখার জন্য। ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য জিফাইভে ছবিটি মুক্তি দিতে পেরে এবং ঘরে বসে নিরাপদে সুপারস্টার সালমানের সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা দেখার সুযোগ দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশ আমাদের কাছে সব সময় অগ্রাধিকার পায়। আমাদের লক্ষ্য সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার এবং সেরা অফার নিয়ে দেশের প্রত্যেক অনলাইন স্ক্রিনে পৌঁছানো, যাতে মানুষ এ কনটেন্ট উপভোগ করতে পারে।’
সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশে সিনেমা হলে মুক্তির পর জিফাইভে দেখা যাবে রাধে। একমাত্র বাংলাদেশেই সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে ডিজিটালি।
প্রভু দেবা পরিচালিত সিনেমাটি প্রযোজনাও করেছেন সালমান খান। রাধে-দ্য মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই সিনেমাটি নিয়ে বড় বাজি ধরেছেন সালমান খান। সিনেমাটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন জি স্টুডিওর কাছে। স্যাটেলাইট, ভারত ও ভারতের বাইরে থিয়েট্রিক্যাল রিলিজ, ডিজিটাল এবং মিউজিক স্বত্বসহ সিনেমাটি বিক্রি হয়েছে ২৩০ কোটি রুপিতে।
প্রথমে রাধে-দ্য মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই সিনেমাটি প্রদর্শনের দায়িত্ব নেয়ার কথা ছিল যশরাজ ফিল্মসের। প্রতিষ্ঠানটি কমিশন সিস্টেমে ভারত ও ভারতের বাইরে সিনেমাটির ডিস্ট্রিবিউশন করে দিত। কিন্তু এখন আর তা হচ্ছে না। ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব এখন জি স্টুডিওর।
রাধে-দ্য মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই সিনেমাতে নারী কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিশা পাটানি। খল চরিত্রে আছেন রানদিপ হুদা এবং পুলিশের চরিত্রে জ্যাকি শ্রোফ।
১৩ মে ভারতসহ ৪০টি দেশে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সিনেমাটি।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রমকে সহজলভ্য করার মাধ্যমে প্রচুর সময় ও অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব। এই সেবা যারা পেয়েছেন তাদের ৯০ ভাগ মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আদালতের তুলনায় ১০ ভাগের একভাগ কম সময়ে তারা এই সেবা পাচ্ছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডিআর : রোল অব ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এইড কমিটিস ইন ইমপ্লিমেন্টিং নিউ লেজিসলেশন্স’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন,বিচারপ্রত্যাশী মানুষের সময়, শ্রম এবং অর্থ বাঁচাতে সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লিগ্যাল এইডের কাজ চলমান থাকবে। তিনি বলেন, এক টাকা পরিমাণ অর্থ অনুদান না পেলেও আমরা বসে থাকব না, যতদিন মেয়াদ অবশিষ্ট আছে আমরা কাজ করে যাব এবং এমন ব্যবস্থা করে যাব, যেন আমরা চলে গেলেও মানুষ এর উপকার পান।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ কাজে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা না থাকলেও আপনারা ভবিষ্যতে এ মহৎ কাজ চালিয়ে যাবেন।’
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান,আইন ও বিচার বিভাগ সচিব শেখ আবু তাহের, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. মাইকেল মিলার এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আজাদ সুবহানী।
এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হাটহাজারীর হালদা নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
সোমবার (২৫ অগাস্ট) দুপুরের দিকে দক্ষিন মাদার্শা ইউনিয়নস্থ হালদা নদীর শাখা খাল কাটাখালির মুখ থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, হালদা নদীর উল্লেখিত স্থানে সোমবার দুপুরের দিকে একটি মৃত ডলফিন ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। নৌ পুলিশকে খবর দিলে দায়িত্বরত নৌ পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ওই ডলফিনটি উদ্ধার করে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার শওকত আলি বলেন, হালদা নদী থেকে প্রায় ৫৯ ইঞ্চির একটা মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হযেছে। যার ওজন ৩৭ কেজি। ডলফিনের দেহটি পচে যাওয়ায় দক্ষিণ মার্দাশা রাম দাস মুন্সির হাট এলাকায় সবার উপস্থিতিতে মাটিচাপা দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মনজুরুল কিবরীয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা করে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি হয়। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকাল পাঁচটার পর পর উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি হয়। উভয় পক্ষ থেকে প্রায় শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানা যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার বিকেল পাঁচটার পর পর ৫/৬টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন নদীতে মহড়া শুরু করে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। ক্যাম্পের কাছাকাছি জায়গায় এসে প্রথমে ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরবর্তীতে ট্রলার থেকে পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে ডাকাত দলের সদস্যরা। আত্মরক্ষার্তে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় ডাকাতদের পক্ষ থেকে প্রায় ১০০ রাউন্ড এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ রাউন্ডের মতো গুলিবর্ষণ করা হয়। আধা ঘন্টার বেশি সময় ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে বিকাল পৌণে ছয়টার দিকে ট্রলার নিয়ে মতলবের দিকে চলে যায় হামলাকারীরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' পিয়াসের নেতৃত্বে ৫/৬টি ট্রলার নিয়ে অন্তত পক্ষে ৩০/৩৫জন নৌ ডাকাত পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে তারা। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে আমরাও পজিশন ঠিক করে সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য করে গুলি করতে থাকি। আমাদের দিক থেকে ১৯ রাউন্ডের মতো গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের কোনো পুলিশ সদস্য আহত হয়নি তবে কোন সন্ত্রাসী আহত হয়েছে কিনা তা আমি বলতে পারব না'।
বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, ' নৌ ডাকাতরা সম্ভবত চাঁদা তোলার উদ্দেশ্যে নদীতে নেমেছিল। পুলিশ থাকার কারণে তারা সুবিধা করতে পারেনি। উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কোন পুলিশ সদস্য আহত হয়নি। নৌ ডাকাতের মধ্যে কেউ আহত হয়েছে কিনা আপনারা খবর নিয়ে দেখেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামনে আরো কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ'।
প্রসঙ্গতঃ গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়ায় সক্রিয় কয়েকটি নৌ ডাকাত দল। অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, নৌযানে চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন কারণে গত কয়েক মাসে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস ও লালু বাহিনীর হাতে খুন হয় ডাকাত সর্দার বাবলা,স্যুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। ওই এলাকায় নৌ ডাকাতদের অপতৎপরতা কমাতে ২২ আগস্ট ইউনিয়নটির জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়। এদিকে প্রথম থেকে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের বিরোধিতা করে আসছিল নৌ ডাকাত গ্রুপগুলো।
নির্বাচনে পিআর পদ্ধতিকে ‘মানুষকে বিভ্রান্ত করার কৌশল’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ও ধর্ম ব্যবসায়ী এ প্রক্রিয়াকে সামনে এনে জনমনে ভুল ধারণা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এ ধরনের কৌশল উপমহাদেশের কোথাও নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির নামে ষড়যন্ত্র করছে, নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায় বা বন্ধ করতে চায় তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে। দৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, এখন অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। বিএনপি একদিকে দাঁড়িয়েছেন, আর বাংলাদেশের সকল ষড়যন্ত্রকারী দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধের শক্তি, বিদেশি প্রভুদের দালাল এজেন্টরা একদিকে।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী বাড়ি থেকে আরাফাত রহমান কোকো ও তারেক রহমানসহ বেগম খালেদা জিয়াকে হানাদার বাহিনী গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে যান। সেখানে তিনি বন্দি ছিলেন।
দ্বি-বার্ষিক এ সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমিন-অর রশিদ ইয়াছিন। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাকারিয়া তাহের সুমন।
বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু,সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র্যাবের অভিযানে মাইক্রোবাসে মিললো ২৫ বস্তা ভারতীয় চকলেট। এসময় ৩ জন চোরা কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় ভৈরব শহরের নাটাল বাংলো সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
আটকৃতরা হলেন, মাইক্রোবাস চালক সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার আলমনগর এলাকার মনা মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া (৩৯), একই এলাকার ইসলামপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন জাকির (৪৬), ফজলুর রহমানের ছেলে দুলাল মিয়া (৩৫) ।
জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ভৈরব প্রান্তে শহরের নাটালের মোড় এলাকায় সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ২৫ বস্তা ভারতীয় কিটকিটা, ক্যাটভেরিসহ বিভিন্ন চকলেট জব্দ করা হয়। এসময় ৩ জনকে আটক করেছে ভৈরব র্যাব ক্যাম্প সিপিসি -২, র্যাব-১৪।
এ বিষয়ে সিপিসি ২ র্যাব- ১৪, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
মোঃ মুহিত কবির সেরনিয়াবাত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে একটি মাইক্রোবাস যোগে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চকলেট সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রাজধানী শহরে যাচ্ছে। পরে সেতুর ভৈরব প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২৫ বস্তা ভারতীয় চকলেটসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নীলফামারীর পলাশবাড়ি ইউনিয়নের নটখানায় অবস্থিত ডেনিশ বাংলাদেশ লেপ্রসি মিশন (ডিবিএলএম) হাসপাতালের বর্হিবিভাগে দালালদের উৎপাত বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার (২৫আগস্ট) দুপুরে ডিবিএলএম হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা মতিবুল ইসলাম তুফান, দেলোয়ার হোসেন, তৈয়বুর রহমান, ফয়জুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, “ডিবিএলএম এর বর্হিবিভাগে শুধু নীলফামারী জেলা নয় আশপাশ এলাকা থেকেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন রোগীরা। কিন্তু দালালের উৎপাতের কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা বিভ্রান্তির মুখে পড়ছেন। আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতালে নিয়ে রোগীর পকেট খালি করা হচ্ছেন। এতে ডিবিএলএময়ে কম খরচে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।”
মানববন্ধনে অংশ নেয়া মতিবুল ইসলাম তুফান বলেন, “গেল বুধবার সৈয়দপুরের চৌমুহী এলাকা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা তমিজ উদ্দিনকে ভুল বুঝিয়ে একটি ক্লিনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। ডিবিএলএম খোলা থাকলেও তাকে কেন অন্যত্র নেয়া হলো এনিয়ে পরে জলিল ও তমিজ উদ্দিনের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শুধু তমিজ উদ্দিনই এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে। ডিবিএলএমকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দালালমুক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র চাই।”
অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে আব্দুল জলিল জানান, “আমি নটখানায় একটি প্রাইভেট চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করি। আমার নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমার নামে যেসব অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে তা মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।” এ ব্যাপারে ডিবিএলএম এর সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডা. পবর রোজারিও জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং বর্হিবিভাগে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
রংপুরে বাল্যবিয়ে নিরসনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিসহ অংশীজনদের মতামত নিয়ে তৈরী নির্দেশিকা ‘অ্যাডভোকেসি টুলকিট’ এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে আরডিআরএস বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন করেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার। মালালা ফান্ডের সহযোগিতায় পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন (বিডিওএসএন) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানে সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবি, ধর্মীয় নেতা, কাজী, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পপি’র কনসোর্টিয়াম কো-অর্ডিনেটর কাজী আব্দুল্লাহ রিজভান জানান, সরকারী জরিপ অনুযায়ী রংপুর বিভাগে বাল্যবিয়ের হার ৫৭ দশমিক ৯ ভাগ। বাল্যবিয়ের জন্য চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে- দারিদ্রতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, জেন্ডার অসমতা ও বৈষম্যমূলক মনোভাব, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ও হয়রানির আশংঙ্কা, যৌতুক নির্ভর বিয়ে ও সৌন্দর্য সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা, উপযুক্ত পাত্র হারানোর ভয়, সাংষ্কৃতিক ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা, আইনী বিধান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, ডিজিটাল মাধ্যমের কুফল, আইনের ফাঁকফোকর ও দূর্বল প্রয়োগ, সমাজকর্মী ও সহায়তা সেবার অভাব, গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সীমিত অংশগ্রহণ, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পারিবারিক অবহেলা ও চাপ, বিয়ে নিবন্ধকের স্বল্পতা, সমন্বয় ও নজরদারীর অভাব, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলা বা নিস্ক্রিয়তা। এ থেকে উত্তরণে অ্যাডভোকেসি টুলকিটে দেয়া নির্দেশিকা অনুসারে একজন সচেতন নাগরিক বাল্যবিয়ে রোধ করতে পারে। সেই সাথে বাল্যবিয়ে রোধে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এক সাথে কাজ করতে হবে। আরডিআরএসের অ্যাডমিন ও জেনারেল সার্ভিস বিভাগের প্রধান নজরুল গণি’র সভাপতিত্বে বাল্যবিয়ে রোধে নানা সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আইনজীবি আফরোজা শারমিন কনা, স্বর্ণ নারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুশ্রী সাহা, সমাজকর্মী খ.ম. সম্রাট, কুড়িগ্রাম সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহা. হুমায়ুন কবীর, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সীডের প্রধান নির্বাহী সারথী রানী সাহা, রংপুর মডেল মসজিদের ইমাম জাহিদুল ইসলাম, শিক্ষক উত্তম চক্রবর্তী, সাংবাদিক শফি খান, মেরিনা লাভলী, ফরহাদুজ্জামান ফারুকসহ অন্যরা।
মন্তব্য