× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
চুক্তি ছাড়া গান ইউটিউবে টাকা পাবে কে?
google_news print-icon

চুক্তি ছাড়া গান ইউটিউবে, টাকা পাবে কে?

চুক্তি-ছাড়া-গান-ইউটিউবে-টাকা-পাবে-কে?
ক্যাসেট ও সিডির পর ইউটিউব গান প্রকাশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। ছবি: সংগৃহীত
দেশের একজন জনপ্রিয় শিল্পী ২০১৯ অক্টোবর মাসে ১৬০০ ডলার পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ইউটিউবে গান প্রকাশের মাধ্যমে শিল্পীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাই এ দিকে বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের।

গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘আমার রচিত অথবা সুর করা প্রায় তিন শতাধিক গান নামমাত্র মূল্যে শুধু মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে সাউন্ডটেক থেকে ক্যাসেট ও সিডি ফরমেটে বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে অসংখ্য গান বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল।

‘প্রায় এক দশক ধরে আমার সৃষ্টি এই গানগুলো ইউটিউব, রিংব্যাক টোনসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু আমি প্রতিষ্ঠান থেকে একটি কানাকড়িও পাইনি।

‘আমার গানগুলো বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ জানায় আমার সৃষ্ট গানগুলো সাউন্ডটেক কর্তৃক সর্বস্বত্ব অধিকার সংরক্ষিত এবং এই মর্মে কপিরাইট অফিস আমাকে আপত্তি জানিয়েছে।’

এমন অভিযোগ আরও অনেক রয়েছে। ক্যাসেট, সিডি বা ডিভিডির আমলে মৌখিকভাবে অনেক গান তৈরি হয়েছে, সেগুলো জনপ্রিয় হয়েছে এবং সেই গান ও অ্যালবাম ব্যাবসা সফলও হয়। এসব গান বাবদ এককালীন টাকাও পেয়েছেন শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করার পর। এসময় এসে কপিরাইট, রয়েলিটির নানা বিষয় নিয়ে সচেতেন হয়েছেন অনেকে। ইউটিউব থেকে অর্থপ্রাপ্তি শুরু হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আরও ব্যাপকভাবে নড়েচড়ে বসেছেন কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও গীতিকারেরা।

অভিযোগ উঠছে দেশের বড় বড় অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অনেকের অভিযোগ অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা করছেন কিন্তু তাদের টাকা দিচ্ছেন না। এর অর্থ, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যে গানগুলো ইউটিউবে দিয়ে ব্যবসা করছেন, সেই গানে কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকারের নাম ব্যবহার করছেন অর্থাৎ রাইট দিচ্ছেন কিন্তু টাকা দিচ্ছেন না অর্থাৎ রয়েলিটি দিচ্ছেন না।

আবার অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বলছে, গান ও অ্যালবাম সংশ্লিষ্টদের নির্দিষ্ট সেই গান বা অ্যালবামের জন্য টাকা প্রদান করা হয়েছে। এখন আর কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও গীতিকারের টাকা পাওয়ার কোনো অধিকার নেই।

তাহলে পুরনো যে গানগুলো এখন ইউটিউবে শোনা যাচ্ছে এবং সেখান থেকে যে টাকা টাকা পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো কে পাবে? বিষয়টি পরিস্কার করেছেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মৌখিক কোনো বিষয় আসলে কোনো প্রমাণ বা চুক্তির মধ্যে পরে না। তবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান টাকা দিয়ে গান গাওয়ানোর জন্য একটি চুক্তি করেন, কিন্তু সেখানে চুক্তির সময় বা মেয়াদ উল্লেখ নেই। তাহলে আইন অনুযায়ী চুক্তি সম্পাদনের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর চুক্তির মেয়াদ ধরে নেয়া হবে।’

এ তো গেল আইনের কথা। কিন্তু জাফর রাজা চৌধুরী জানালেন, সমস্যা এখন অন্যখানে। এখনকার অভিযোগের ধরন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্যাসেট-সিডির আমলে যখন মৌখিক চুক্তি হতো, তখন অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শুধু ক্যাসেটের জন্য বা সিডি তৈরির জন্য কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও গীতিকারদের টাকা দিতেন। কিন্তু সেই গান তো ইউটিউবে, সিনেমায় বা অন্য কোনো জায়গায় ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের টাকা দেয়া হয়নি।’

এই সমস্যা সমাধানের জন্য দেড় মাস আগে কপিরাইট অফিসের বোর্ড মিটিংয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কপিরাইট অফিস ও সংগীত সংশ্লিষ্টরা।

জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘যে গানের কোনো চুক্তি নাই, কিন্তু কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকারের রাইট আছে এমন গান ইউটিউবে উঠলে এবং সেখান থেকে অর্থপ্রাপ্তি হলে প্রযোজক, কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও গীতিকারের মধ্যে সমানভাগে টাকা ভাগ হবে।’

এই নিয়মের যুক্তি খণ্ডাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সিডি বা ক্যাসেট তৈরি করার সময় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অর্থ বিনিয়োগ করেছে। অন্যরাও টাকা পেয়েছে। কিন্তু ইউটিউবে সেই গান তুলতে প্রযোজকের নতুন করে বিনিয়োগ করতে হয়নি, কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও গীতিকারেরও নতুন করে মেধা খরচ করতে হয়নি। তাই অর্থ ভাগের বেলায় সবাই সমান ভাগ পাবেন।’

উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘যদি এক মাসে কোনো গান থেকে ১০ ডলার আয় হয়, তাহলে সবাই আড়াই ডলার করে পাবেন। আবার কেউ যদি মনে করেন, তিনি এভাবে অপেক্ষা করে টাকা নেবেন না, তিনি এককালীন একটা টাকা নিয়ে নেবেন, সংশ্লিষ্টরা রাজি থাকলে সেটাও তিনি নিয়ে নিতে পারবেন।’

জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, এই নিয়মে আমরা অনেকের সমস্যা সমাধান করেছি। বোর্ড থেকে নীতিটি পাস হয়ে গেছে।’

এক উদাহরণ দিয়ে জাফর রাজা চৌধুরী জানান, দেশের একজন জনপ্রিয় শিল্পী ২০১৯ অক্টোবর মাসে ১৬০০ ডলার পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ইউটিউবে গান প্রকাশের মাধ্যমে শিল্পীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাই এ দিকে বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের। কেউ চাইলে তার ইউটিউব সম্পর্কিত নানা সেবা দিতেও প্রস্তুত আছেন তারা। একইসঙ্গে কপিরাইট ও রয়েলিটির বিষয় নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে নানা পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন:
সুখবর দিলেন ন্যান্সি
কাঙালিনীর বাসায় কুদ্দুস
‘মৃত্যুর দিন গুনছি’ কথাটি সিরিয়াসলি নেবেন না: সুমন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Chiri river in Joypurhat filled again in 3 years of excavation

খননের ৩ বছরেই ফের ভরাট জয়পুরহাটের চিরি নদী

নদী খননের সুফল পাচ্ছেন না দুইপাড়ের মানুষরা
খননের ৩ বছরেই ফের ভরাট জয়পুরহাটের চিরি নদী

খননের ৩ বছর না পেরোতেই আবারও ভরাট হয়ে যাচ্ছে জয়পুরহাটের চিরি নদী। প্রায় ২২ কিলোমিটার এ নদীর কোথাও কোথাও ভরে গেছে কচুরিপানায়। নদীর কোনো কোনো স্থানে পানি থাকলেও আবার অনেক স্থানে পানি নেই। এতে নদী খননের পর যে সুফল পাওয়ার আশা ছিল তা পাচ্ছেন না নদীর দুইপাড়ের মানুষরা। এতে উপকারের চেয়ে অপকারই হচ্ছে বেশি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নদী আন্দোলনের নেতারা জানান, অপরিকল্পিত খননে বালু ও মাটি আবারও নদীতে মিশে যাওয়া, বর্জ্য ফেলা ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আবারও ভরাট হচ্ছে এই নদী। তাই নদীর নাব্য টিকিয়ে রাখতে শুধু খনন করলেই হবে না, প্রয়োজন এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে ৪টি নদী। এর মধ্যে আক্কেলপুর থেকে সদর পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার রয়েছে চিরি নদী। এটি শাখা নদী হিসেবে পরিচিতি। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রায় ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি নদীর খননকাজ শুরু হয়, যা শেষ হয় ২০২২ সালের জুন মাসে। নদী খননের প্রকল্পের উদ্দেশ্যে ছিল জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সারা বছর সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা, পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বন্যার ঝুঁকি কমিয়ে আনা, পুনঃখননের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করা, নৌচলাচলের মাধ্যমে সহজ যোগাযোগ নিশ্চিত করা, পরিবেশ ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা। কিন্তু চিরি নদীতে এসব বেশিরভাগ উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদী খননের ফলে সারা বছর পানি থাকার আশা থাকলেও শুকনো মৌসুমে কোথাও পানি থাকছে, কোথাও থাকছে না। নদী খনন করার সময় বাঁধের ওপর রাখা মাটি আবারও নদীতে মিশে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও নদী ভরে আছে কচুরিপানায়। কোথাও পানি থাকলেও ময়লার কারণে হয়ে পড়েছে ব্যবহার অযোগ্য। এতে দিন দিন নদীটি নাব্য হারিয়ে ফেলছে। নদী রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সচেতন মহলের।

সদর উপজেলার খঞ্জনপুর এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, ‘নদী খনন করার আগে আমাদের বাড়ির কাছে চিরি নদীতে কিছু পানি থাকত। আমরা প্রতিদিনের কাজে পানি ব্যবহার করতাম। কিন্তু খননের পর আর পানি থাকছে না। নদী সংস্কার করেই আমাদের অসুবিধা হয়ে গেছে। পানি পাচ্ছি না, আবার কচুরিপানায় ভরে গেছে।’

একই এলাকার রমজান আলী বলেন, ‘ছোটবেলায় নদীতে অনেক মাছ ধরা হতো। মনে হয়েছিল নদী খনন করার পর নাব্য ফিরে আসবে। কিন্তু এখন তা দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলেও বেশিরভাগ জায়গায় পানি নেই। আগে মাছ ধরা হতো। এখন পানি না থাকার কারণে মাছ ধরা যায় না। গোসল করা যায় না। নদী আমাদের কোনো উপকারে আসছে না।’

সদরের কুঠিবাড়ী ব্রিজ এলাকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদী খনন করা হলো, পানি থাকবে বলে। কিন্তু নদীতে কোনো পানি নেই। উপকারের জন্য খনন করা হলো এখন উপকারের চেয়ে অপকারই হচ্ছে বেশি।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের জয়পুরহাট জেলার সমন্বয়ক লুৎফুল্লাহিল কবির আরমান বলেন, ‘চিরি নদী খনন করা হয়েছে পুরোপুরি অপরিকল্পিতভাবে। নদী খননের সময় মাটি ও বালু নদীর পাড়ের ওপর রাখা হয়েছিল। পরে বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে আবার নদীতে পড়ে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে কোনো সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদী খনন করে কোনো লাভই হয়নি। নদী রক্ষাসহ পরিবেশ রক্ষা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও আমাদের সবার সচেতন হতে হবে।’

জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াদুল ইসলাম বলেন, ‘১২০ কোটি ৬৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয়ে জয়পুরহাটের ৪টি নদীর খননকাজ করা হয়েছে। এ থেকে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। নদীগুলো খনন করায় বন্যার ঝুঁকি একেবারে কমে গেছে। তবে নদীগুলো বড় কোনো নদীর সঙ্গে সংযুক্ত না থাকার কারণে পানি কম থাকে। আর চিরি নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে বা কচুরিপানা জমে গেছে এ বিষয়ে আমাদের কেউ জানায়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে কচুরিপানা সরানো বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে।’

মন্তব্য

বিনোদন
Due to the active movement of village courts the case entanglement has also reduced

গ্রাম আদালত সক্রিয়, নড়াইলে মামলা জটও কমে গেছে

গ্রাম আদালত সক্রিয়, নড়াইলে মামলা জটও কমে গেছে

ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা করার আগ্রহ দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছে সমাজের মানুষ। সরকার গ্রাম আদালত গঠন করার কারণে ফৌজদারি আদালতে মামলা জটও কমে গেছে। গ্রামের মানুষ এখন সময় এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। গ্রাম আদালত উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে বেশিরভাগ বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকেন। যে কারণে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান গতকাল বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়} প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে হবে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে জন সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বেশি করে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের স্বচ্ছতা এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানান। তিনি গ্রাম আদালতের কার্যক্রম এবং অংশীজনদের আপোস-মীমাংশার বিষয়বন্তু পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভূক্তির দাবি জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার তিনটি উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে চলতি বছরের (২০২৫) জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৪১৭টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে উভয় পক্ষের আলোচনা ও সর্বসম্মতিতে ৩৯১টি মামলা শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংশা হয়েছে। এসব ঘটনায় ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ও হয়েছে।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সমাজসেবা কার্যালয়েরে উপ-পরিচালক জেড, এম মিজানুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী রানী মজুমদার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, গ্রাম আদালতের ব্যবস্থাপক জেনারুল ইসলাম জিন্নাহ, নড়াইল সদর উপজেলা সমন্বয়কারি মো. ওমর ফারুক, লোহাগড়া উপজেলা সমন্বয়কারি রেজমিন সুলতান অনেকে বক্তব্য দেন।

সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা,সাংবাদিক, আইনজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বিনোদন
Torch procession of farmers party in protest against the rehabilitation of Awami League in Faridpur

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে কৃষক দলের মশাল মিছিল

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে কৃষক দলের মশাল মিছিল

ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একে আজাদ এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ও সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের চেষ্টার প্রতিবাদে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাতে মহানগর কৃষক দলের উদ্যোগে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে হেলিপোর্ট বাজারে গিয়ে শেষ হয়।

উক্ত মশাল মিছিলে ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির সহ মহানগর কৃষক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাট করে এখন ভারতে পালিয়েছে। কিন্তু ফরিদপুরে তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। একজন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা একে আজাদ ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন শুরু করতে চাচ্ছেন। তিনি ফরিদপুরের আমাদের নেত্রী চৌধুরী নায়াব ইউসুফকে নিয়েও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। ফরিদপুর মহানগর কৃষক দল বেঁচে থাকতে তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দেবে না।

মন্তব্য

বিনোদন
Children and teenagers are getting addicted to online gaming in Dhobaura

ধোবাউড়ায় অনলাইন গেমিংয়ে আসক্ত হচ্ছে শিশু-কিশোর

ধোবাউড়ায় অনলাইন গেমিংয়ে আসক্ত হচ্ছে শিশু-কিশোর

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিশু এবং কিশোররা। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে ভবিষৎ প্রজন্ম। পড়াশোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক। অনেকটা অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে শিশুরা। এতে পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মোবাইলে আসক্ত এসব শিশু-কিশোররা মানছেন না শিক্ষকের নির্দেশনাও। উপজেলার আশেপাশে বিভিন্ন নির্জন স্থানে, রাস্তার মোড়ের পাশে শিশুরা-কিশোররা দলবেঁধে মাটিতে বসে স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইন গেম খেলতে দেখা যাচ্ছে। যাদের বয়স ৮-৯ বছর এবং চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী। এই বয়সে যাদের খেলাধুলা এবং আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠার কথা তারাই আজ স্মার্টফোন ও অনলাইন গেমে আসক্ত। এতে পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। ইতোমধ্যে পাবলিক পরিক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে ধোবাউড়ায় ব্যাপক ধস নেমেছে। অনলাইন গেমে শিশু-কিশোররা আসক্ত হয়ে পড়ায় সামাজিকবন্ধন থেকে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। যা আগামী দিনে আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।

সরেজমিনে উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম উপজেলা ডাক বাংলোর পাশেসহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শিশু বসে অনলাইন গেম খেলছে। এমন চিত্র প্রায় প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যাচ্ছে। এমনকি কিশোরদের কেউ কেউ জড়িয়ে যাচ্ছে অনলাইন জুয়াই। ফলে বাড়ছে নানা অপরাধ। সবত্রই স্মার্টফোন ছড়িয়ে থাকায় প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুরাও অনলাইন গেম এবং মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে স্কুল বিমুখ হয়ে যাচ্ছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি স্কুল বিমুখ এবং মোবাইল আসক্ত এক ছাত্রকে স্কুলে ফিরিয়ে এনেছেন উপজেলার পাতাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজহারুল ইসলাম। তৃতীয় শ্রেণির মাহফুজ নামে এক শিক্ষার্থীর হঠাৎ অনুপস্থিত দেখে বাড়িতে খোঁজ নিতে যান তিনি। গিয়ে দেখেন ওই শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্ত হয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি তখন ওই শিক্ষার্থীকে বুঝিয়ে স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক ছাড়াও মাধ্যমিকের অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়াশোনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ধোবাউড়া বহুমুখি মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্কুলেও স্মার্টফোন চলে আসে এবং গেম খেলে, আমাদের নজরে আসলে অভিভাবক ডেকে এনে বিষয়টি অবগত করি, মোবাইল আসক্তিটা চরম আকার ধারণ করেছে, পাড়াশোনার ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।

বিশিষ্ট্য শিক্ষানুরাগী ধোবাউড়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অব. অধ্যক্ষ আ. মোতালেব তালুকদার বলেন, বিদ্যালয় থেকে কোনো কোনো শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ছে সেগুলো চিহ্নিত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে অভিভাবক ডেকে সচেতন করা হলে হয়তো পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শরিফ খান বলেন, আমরা প্রতিটি স্কুলে একযোগে অভিভাবক সমাবেশের পরিকল্পনা করছি, এই সমাবেশে এই বিষয়টি নিয়ে গুরত্বসহকারে উপস্থাপনা করা হবে।

মন্তব্য

বিনোদন
After the divorce the rain suddenly disappeared

বিবাহ-বিচ্ছেদের পর হঠাৎ উধাও হয়ে যায় বৃষ্টি

আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে গড়ছিল ভয়াবহ নেটওয়ার্ক
বিবাহ-বিচ্ছেদের পর হঠাৎ উধাও হয়ে যায় বৃষ্টি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের দুর্গম চর পাটগ্রামে নাদিয়া আক্তার বৃষ্টির জন্ম দরিদ্র এক জেলে পরিবারে। বৃষ্টি তার ডাক নাম। দুইবোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে বৃষ্টি সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই দরিদ্র জেলের ঘরে জন্ম নেওয়া বৃষ্টির দিন যেন অন্যান্য পরিবারের ছেলে-মেয়ের মতোই চলছিল হাসি-আনন্দে। অল্প বয়সে হাস্যোজ্জ্বল বৃষ্টি পদ্মার চরাঞ্চলে খেতে খামারে খেলাধুলায় মেতে থাকত প্রতিদিন। দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়ায় লেখাপড়া ততটা এগোয়নি। বাবার অভাবের সংসারে হাসির আড়ালে ভয়ংকর অদৃশ্য ছোবলে বৃষ্টির দিন এলোমেলো হতে শুরু করল বাল্যবিবাহতে। অভাবের সংসারে ছেলে-মেয়েদের ভরণ-পোষণে হিমশিম খেত বৃষ্টির বাবা। বাধ্য হয়ে ছয়-সাত বছর পূর্বে সামাজিকভাবে উঠতি বয়সেই বাল্যবিবাহ যেন ঘোর অন্ধকার নেমে এলো বৃষ্টির জীবনে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ১২-১৩ বছর বয়সে বৃষ্টির বিয়ে দেওয়া হয় একই উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের কাউসারের সাথে। অপ্রাপ্ত বয়সে সংসার আর খুটিনাটি ঝগড়া লেগেই থাকত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে স্বামীর বাড়ির আশপাশের লোকজনের ভাষ্যমতে বৃষ্টি ছিল শান্ত স্বভাবের। এক পর্যায়ে বৃষ্টির বিবাহ-বিচ্ছেদ হয় অন্য কারও সাথে সম্পর্কের অভিযোগে। দেনমোহরের লক্ষাধিক টাকাসহ ৪-৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ করেছে বৃষ্টির শ্বশুর বাড়ির লোকজনরা। বিবাহ-বিচ্ছেদের পর হঠাৎ উধাও হয়ে যায় বৃষ্টি। এমনকি বাবার সংসারের কারওর সাথে নাকি বৃষ্টির কোনো রকম যোগাযোগই ছিল না বলে জানা গেছে। গ্রামে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বৃষ্টির চেহারাসুরুত (শ্যামলা) তেমনটা ভালো ছিল না বলে অনেকেই উপহাস করত। বছর দুয়েক পুর্বে আবার হঠাৎ আন্ধারমানিক ট্রলারঘাট দিয়ে বৃষ্টি চরাঞ্চলে নানির বাড়িতে আসছিল বলে অনেকেই দেখেছেন। তখন বৃষ্টির চেহারাসুরুত আর এমন পরিবর্তন দেখে অনেকেই অবাক। গ্রামের সহজ-সরল বৃষ্টির এমন হঠাৎ পরিবর্তন দেখে অনেকেই চতুর বৃষ্টির নতুন পরিচয় শুরু হয়। এমন হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি কারও কথা শোনত না। এমনকি নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিত। এছারা বৃষ্টির একাধিক ফেসবুক আইডির স্ট্যাটাস থেকে তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, সমাজের প্রতি তার অদৃশ্য কারণ আর ঘৃণার ছবি ভিডিও স্পষ্ট ফুটে উঠেছেন। বৃষ্টির বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি হতে ভালো-খারাপ মিলে মাঝে মধ্যে পোস্ট দেখা যেত। গ্রামের সহজ-সরল দরিদ্র জেলের ঘড়ে জন্ম নেওয়া বৃষ্টি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কবে কখন কীভাবে এমন অন্ধকার জগতে গেল, সেটা সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে।

বৃষ্টির বাবার পাশের বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টি শান্ত-স্বভাবের ছিল। পরিবারের অভাবের কারণে হয়তো এমন হতে পারে বলে তার পরিবার আর অনেকেই ধারণা করছে।

তবে বৃষ্টির শ্বশুর বাড়ির আশপাশের লোকজন এমনকি পরিচিতজনদের মধ্যে শাহিন, হাসেম ,ফরহাদ, নাসির জানান, বৃষ্টি শান্ত-স্বভাবের ছিল। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের সাথে মাঝে মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা চলত। পরকিয়ার অভিযোগে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। এমনকি দেনমোহরের টাকাসহ পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ওপরে শ্বশুর বাড়ির ক্ষতিসাধন করে বলে জানা গেছে। এরপর বৃষ্টিকে এলাকায় কেউ দেখেনি। হঠাৎ উধাও বৃষ্টির ছবি আর নিউজ দেখে অনেকেই চিনতে পারেনি। কারণ বৃষ্টির চেহারা সুরুতের এমন পরিবর্তন আর চলাফেরার ধরনে হতবাক সবাই।

আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত নাদিয়া আক্তার বৃষ্টিসহ বাংলাদেশি যুগলকে গত রোববার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গত রোববার রাত সাতে ৩টার দিকে বান্দরবান জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও বৃষ্টি (২৮)। এর মধ্যে আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামে, আর বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের পাটগ্রাম।

তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে গত সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সিআইডি।

বৃষ্টির বাবার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি যখন জেলে ছিলাম, মাছ মেরে সংসার চালাতাম। তখন বৃষ্টির জন্ম হয়। এখন আমি চায়ের দোকান করি। আমার মেয়ে আমার কথা, পরিবারের কথা শোনেনি কখনো। তাকে মেয়ে পরিচয় দিতে আমার কষ্ট হয়। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে বৃষ্টি বড়। ৫-৬ বছর পূর্বে খালপাড় এলাকার কালার ছেলে কাউসারের বিবাহ হয়। মেয়েকে বলেছিলাম- কষ্ট হলেও সংসার করতে। কিন্ত মেয়ে শোনেনি। অভাবের সংসারে বিবাহ-বিচ্ছেদের পর সমাজের বোঝা মনে হয়তো বৃষ্টি আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছে। কিছুদিন পর স্বামীর সাথে ঝামেলা হয়ে মেয়ে কোথায় গেছে জানি না। আমি আমার মেয়েকে তেজ্য করেছি অনেক আগেই। তাকে আর মেয়ে হিসেবে পরিচয় দেই না।

মন্তব্য

বিনোদন
At night the air is filled with the scent of flowers

রাত হলেই বাতাস ভরে ওঠে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণে

রাত হলেই বাতাস ভরে ওঠে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণে গাছে ফুটেছে ছাতিম ফুল।

প্রকৃতিতে এসেছে হেমন্ত। আলতো রোদ গায়ে মাখতেই পালায় দুপুর। এরপর বিকেল আর সন্ধ্যা তড়িঘড়ি করেই জানান দেয় নিজেদের অবস্থান। অবশ্য কর্মব্যস্ত জীবনে দুপুর কিংবা সন্ধ্যার হদিস রাখার অবসর মেলে না আমাদের। এখন হেমন্তকাল, এই সময়ে জানান দেয় ছাতিম ফুলের তীব্র সুবাস। সকালে পুবের নরম রোদে ফুলগুলো চিকচিক করে আর হেমন্তের সন্ধ্যার বিবরণ পূর্ণাঙ্গ হয় না ছাতিম ফুলের এই তীব্র ঘ্রাণ ছাড়া। ছাতিম যেন হেমন্তেরই গায়ের ঘ্রাণ।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শ্রীমঙ্গল-শমশেরনগর সড়কেরে ভানুগাছ বাজারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ১টি ছাতিম গাছ ও তার ফুলের তীব্র ঘ্রাণই জানিয়ে দেয় হেমন্তের সরব উপস্থিতি। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাতের পুরো সময়টায় এ ঘ্রাণ ছড়ায়। সারা দিনের পরিশ্রম শেষে সন্ধ্যায় প্রকৃতিতে বয়ে বেড়ানো হালকা বাতাসের সঙ্গে থেকে থেকে ভেসে আসে ছাতিম ফুলের এই মিষ্টি ঘ্রাণ। ফুলের সেই সুবাসে মুগ্ধ পথচারীরা।

হেমন্তকালে প্রকৃতিতে সাধারণত তেমন কোনো ফুল ফুটতে দেখা যায় না। প্রকৃতি যখন কিছুটা ফুলশূন্য হয়ে পরে তখন ফোটে ছাতিম। হেমন্তের গোধুলি লগ্ন থেকে রাত অবধি মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে প্রকৃতিকে মাতিয়ে রাখে এই ছাতিম। বাতাসে ছাতিমের সুবাস অন্য ধরনের মাদকতা ছড়ায় হৃদয়ে।

এক সময় গ্রাম কিংবা শহরে সব জায়গায় দেখা মিলতো ছাতিম গাছের, কিন্তু এখন এটি অবাধ নিধনের শিকার। এখন আর সেভাবে দেখা মেলে না এ গাছের। সন্ধ্যার পর পথ চলতে চলতে হঠাৎ নাকে এসে লাগা বুনো সৌরভের ঝাপটা জানান দেয় এই গাছ ও তার ফুলের অস্তিত্ব। তবে দৃষ্টিসীমার চেয়ে খানিকটা উঁচু বলে সাধারণ অবস্থান থেকে গন্ধ বিলানো ছাতিমের ফুল সহজে চোখে পড়ে না। কিছুটা উঁচু জায়গায় উঠলে দেখা যায় গাছ জুড়ে গুচ্ছ গুচ্ছ হালকা ঘিয়ে রঙের ফুল। মনে হবে যেন কেউ অসংখ্য ফুলের স্তবক তৈরি করে রেখেছে।

শুধু ফুলের সুবাসই নয়, ছাতিম গাছ দেখতেও সুন্দর। এর ওপরের দিকটা ছাতার মতো ছড়ানো। এই গাছ প্রায় ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। একাধিক শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট গাছটির ছাল অসমতল ও ধূসর। এর পাতার ওপরের দিক চকচকে আর তলার দিক ধূসর। ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা পাতা হয়। একই মূলাবর্তে চার থেকে সাতটি পর্যন্ত পাতা থাকে। বছরের এ সময়টায় সারা গাছ ভরে গুচ্ছবদ্ধ, তীব্রগন্ধি ছোট ছোট ফুল ফোটে।

গাছটির সংস্কৃত নাম সপ্তপর্ণী। অঞ্চলভেদে একে ছাতিয়ান, ছাইত্যান, ছাতইনসহ নানা নামে ডাকা হয়। ইংরেজিতে একে ডাকা হয় ডেভিলস ট্রি (Devils tree) নামে। ছাতিমের বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলারিস (Alstonia scholaris)। স্কলারিস শব্দটির সঙ্গে বিদ্যা অর্থাৎ লেখাপড়ার যোগ আছে। এ ধরনের নামকরণের কারণ, ছাতিমের নরম কাঠ থেকে ব্লাকবোর্ড ও পেনসিল তৈরি হয় বলে। এ ছাড়া ছাতিম কাঠ দিয়ে কোথাও কোথাও কফিন বানানো হয়ে থাকে। গাছটি একসময় খুব দেখা গেলেও এখন তেমন একটা দেখা যায় না এটি পরিবেশের জন্য বেশ উপকারী, তাই আমাদের এই গাছকে সংরক্ষণ করা উচিত।

কলেজ ছাত্র প্রান্ত জানায়, বাড়ি যেতে-আসতে দুইবার ছাতিম গাছটি আমাকে বিমোহিত করে। ছাতিম ফুলের তীব্র ঘ্রাণ আমার বেশ ভালো লাগে। প্রাকৃতিক সুগন্ধে ভরপুর ছাতিম গাছ যাতে এলাকা থেকে বিলীন হয়ে না যায় সে ব্যাপারে সবাই সচেষ্ট হবে এমন প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী।

লেখক নির্মল এস পলাশ বলেন, আমাদের বাড়িতে যেতে-আসতে দুইবার ছাতিম গাছ দুটি আমাকে বিমোহিত করে। আমরা সিলেটিরা ছাতনি গাছ বলি। ছাতিম ফুলের তীব্র ঘ্রাণ আমার বেশ ভালো লাগে বিধায় এর একটি গাছের চারা আমার বাড়িতে রোপণ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু শহরের কোনো নার্সারিতে এ গাছের চারা খুঁজে পাইনি। যেহেতু এ গাছটি এখন তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না এবং প্রকৃতিতে এর বেশ উপকারিতা আছে তাই এ গাছটির কিছু চারা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা উচিত। প্রাকৃতিক সুগন্ধে ভরপুর ছাতিম গাছ যাতে এলাকা থেকে বিলীন হয়ে না যায়।

মন্তব্য

বিনোদন
12000 crore loss in Cargo Village fire EAB

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

কার্গো ভিলেজের আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: ইএবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক, বস্ত্রকল, ওষুধ, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডে স্পষ্ট যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে কেবল ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানিকারকরা কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তাহীনতা, গুদাম ব্যবস্থাপনায় অব্যবস্থাপনা ও মালামাল চুরির অভিযোগ জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ইএবি বলেছে, ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, ফলমূল, হিমায়িত খাদ্য ও অন্যান্য রপ্তানিকারক খাত এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হতে পারেন, যা ভবিষ্যতে রপ্তানি চুক্তি ও অর্ডারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইএবি সভাপতি বলেন, আগুনের ঘটনাটি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন আর না ঘটে।
এ সময় কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীততাপনিয়ন্ত্রিত গুদাম স্থাপন, নিরাপদ দূরত্বে রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ ও সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গুদাম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ, গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় আকস্মিকভাবে আগুন লাগে।

মন্তব্য

p
উপরে