ইংল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশনের (ডিএফই) নতুন সংগীত পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম সং ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’।
ভারতীয় সংগীতের যে বৈচিত্র্যময়তা সেটা বোঝাতেই বেশ কয়েকটি গানের সঙ্গে ‘দাবাং’ সিনেমার এই গানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিশোরী আমোনকারের ‘সহেলি রে’, অনুষ্কা শঙ্করের ‘ইন্ডিয়ান সামার’, এআর রাহমানের ‘জয় হো’।
সংগীতের উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে এই গানগুলো পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইর বরাদ দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সেখানকার স্থানীয় গণমাধ্যম।
বিশ শতকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম প্রধান কণ্ঠশিল্পী ছিলেন কিশোরী আমনকার।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কাছে, এটি (সংগীত) আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কথোপকথন, যা এই বিশ্ব চরাচরের সঙ্গে সূত্র স্থাপনে সাহায্য করে।’
রবি শঙ্কর এবং অনুষ্কা শঙ্করের যন্ত্রসংগীতও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই স্কুলের নির্দেশিকায়।
২০১০ সালে বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ছিল ‘দাবাং’। এটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান। সিনেমাটির সঙ্গে সঙ্গে এটির গানগুলোও পায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গানটির দৃশ্যায়নে ছিলেন মালাইকা অরোরা।
এই গানের অন্তর্ভুক্তি কেন করা হলো সেই সম্পর্কে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘বলিউডের সিনেমায় আইটেম গানের গুরুত্ব আছে।’
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে সংগীতের দ্রুত লয়, মনভোলানো দৃশ্যপট ও লাস্যময়ী নাচের জন্য এই গানটি দর্শকদের মনে গেঁথে গিয়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহলে বলিউডি গান বোঝাতে ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’-কে বেছে নেয়ায় বেজায় উচ্ছ্বসিত মালাইকা অরোরা।
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হলগুলোর ডাইনিংয়ের খাবারের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে প্রভোস্ট কমিটির নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার থেকে হলের খাবারের দাম এক লাফে ১০ টাকা বৃদ্ধি করে ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা এবং সেহরি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা করা হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এছাড়া শুক্রবার দুপুরে হলের খাবার বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা ।
এই অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় খাবারের মূল্য সমন্বয় করতে বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রভোস্টবৃন্দ। সভায় হলের খাবারের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপাচার্য সার্বিকভাবে বিষয় বিবেচনা করে আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আপাতত হলের ডাইনিংয়ের মূল্যবৃদ্ধি করছি না। আগে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। আগের মূল্যেই খাবার মিলবে।’
দ্বিতীয় রোজা ও সরকারি ছুটির দিনে আইকিউএয়ারের তালিকায় চরম অবনতি না হলেও বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষ দশে রয়েছে ঢাকা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে শনিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে নবম অবস্থানে ছিল ঢাকা। আগের দিন শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে শহরগুলোর মধ্যে ১১তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
আজ সকালের ওই সময়ে বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে শীর্ষে ছিল উত্তর থাইল্যান্ডের বৃহত্তম শহর চিয়াংমাই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল তাইওয়ানের কাউসিউং ও ঘানার আক্রা।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, শনিবার সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৩ গুণ বেশি। একই সময়ে চিয়াংমাইয়ের বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৮ দশমিক ৬ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৪০। এর মানে হলো সে সময়টাতে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল রাজধানীর বাতাস। একই সময়ে চিয়াংমাইয়ের বাতাসের স্কোর ছিল ২০৩। এর অর্থ হলো ওই সময়ে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় চিয়াংমাইবাসীকে।
রমজানের শুরুতেই ফরিদপুরের সবচেয়ে ব্যস্ততম আলিমুজ্জামান বেইলি ব্রিজে মেরামত কাজ শুরু হওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব ধরনের চলাচল। এতে শহরবাসী নিদারুণ দুর্ভোগে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্রিজটির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে জনগণের স্বার্থেই সেখানে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে।
আগামী চার থেকে পাঁচদিন চলবে এ কাজ। এতে এ কয়েকদিন শহরবাসীর যাতায়াতে একটু সমস্যা পোহাতে হবে। শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি স্থায়ীভাবে নির্মাণ করে জনসাধারণের পাশাপাশি যান চলাচল শুরুর দাবি দীর্ঘদিনের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমার নদের এই বেইলি ব্রিজে সবধরনের চলাচল বন্ধ করে সেখানে মেরামত কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। আর ব্রিজটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শহরের মানুষ হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারে যেতে আলীপুর-গোয়ালচামট পথে আলীমুজ্জামান বড় ব্রিজ কিংবা পূর্ব খাবাসপুর-রথখোলা পথের জোড়া ব্রিজ ব্যবহার করছে।
শহরের ঝিলটুলীর বাসিন্দা মোজাম্মেল হক মিঠু বলেন, ‘ব্রিজটি দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকায় মাছ বাজারে যেতে আমাদের অনেক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। আর শহরের মধ্যে একমাত্র মাছ বাজার ব্রিজটি হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারেই স্থাপিত।’
কুমার নদের উপরে মুজিব সড়কে স্থাপিত ব্রিজটির এক প্রান্তে ফরিদপুরের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজার এবং অন্য প্রান্তে নিউ মার্কেট ও তিতুমীর বাজার এলাকা। শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কুমার নদের এই ব্রিজটি একসময় যান ও জনচলাচল করলেও ৮৮ এর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে বন্ধ করে দেয়া হয় যানবাহন চলাচল।
এরপর শুধু হেটেই চলাচল হচ্ছে ব্রিজটি দিয়ে। এরপর সেখানে আবার একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করার পর ২০১২ সালে সেটি দুর্ঘটনায় ধসে যায়। ফরিদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে কুমার নদের উপর ৯১ মিটার দৈর্ঘ্য আলিমুজ্জামান বেইলি ব্রিজটি সংস্কার করে জনচলাচলের ব্যবস্থা করে। তবে শুধুমাত্র হেটেই ব্রিজটিতে চলাচল করা যেত। শহরের মানুষ নিত্য প্রয়োজনে এই পথে চলাচল করে।
শহরের সাধারণ বাসিন্দাদের দাবি, এই বেইলি ব্রিজটি অপসারণ করে সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রীজ নির্মাণ করা হোক।
শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার বাসিন্দা শামীম হোসেন, মুন্সিবাজারের সোহেল আহমেদ বলেন, ‘ফরিদপুরের এই বেইলি ব্রিজটি তুলে সেখানে স্থায়ীভাবে পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হলে শুধু চলাচলেরই সুবিধা হবেনা। বরং হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারে প্রবেশমুখ হতে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কে যানজট নিরসন হবে।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘বেইল ব্রিজটি সরিয়ে সেখানে বড় ব্রিজ করে ওয়ানওয়ে করে দেয়া উচিত। তাতে করে র্যাফেলস ইন মোড় থেকে জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত হবে এবং মানুষের যাতায়াত সহজতর হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ফরিদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, প্যানেলে জং পড়ে গেছে।
এ ছাড়া আরও কিছু সংস্কার কাজ করতে হবে। চার পাঁচদিন লাগবে কাজ শেষ হতে। শহরবাসীর নিত্যদিনের যাতায়াতের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত এই ব্রিজটি ১৯৩৫ সালে নির্মিত। তৎকালীন জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান চৌধুরী শহরের বুকে কুমার নদের উপর সর্ব প্রথম কোনো সেতু হিসেবে এই সেতুটি নির্মাণ করেন। লোহার পিলারের ওপরে পাথরের ঢালাইয়ের এই সেতুটি ১৯৮৮ সালের বন্যায় ধসে যায়।
আরও পড়ুন:আগামী নির্বাচন নিয়ে মতামত দিতে বিএনপিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সেটি আকস্মিক নয় বলে দাবি করেছেন কমিশনার মো. আহসান হাবিব।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিকভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বিএনপিকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।’
এ কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আলোচনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। ইসি মনে করে বিএনপির মতো নিবন্ধিত অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হতেই পারে।
‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যাবে। তাই আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় এবং আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ।’
সিইসির চিঠি
আলোচনা ও মতবিনিময়ের জন্য বিএনপিকে ২৩ মার্চ চিঠি দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
চিঠিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলীয় অন্য নেতা এবং প্রয়োজনে সমমনা দলগুলোর নেতাসহ আমন্ত্রণ জানানো হয়।
চিঠিতে সিইসি লিখেন, ‘২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন করে আসছি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংসদ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আসছে।’
চিঠিতে বর্তমান ইসি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বর্তমান কমিশনের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আপনারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও আপনাদের এমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশলের বিষয়ে কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই।’
চিঠিতে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হলেও কমিশন মনে করে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা বা মতবিনিময় হতে পারে। আপনাদের নির্বাচন কমিশনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সদয় সম্মত হলে দিনক্ষণ আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন:গণহত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।
এসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে এক মিনিট আলো বন্ধ রেখে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে, তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনাগুলো এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। খবর বাসসের।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাসহ সারা দেশে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে দিনটিকে ‘জাতীয় জেনোসাইড দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা হবে। সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা হবে।
ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জোহরের নামাজের পর বা সুবিধাজনক সময়ে দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন:দেশের পরিস্থিতি চিন্তা করে রমজান মাসেও দলের কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ক্লাবে ওলামা-মাশায়েখ এবং এতিমদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে শুক্রবার তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই রমজান মাসেও যেসব কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখব। যদিও রমজান মাসে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয়ার কথা নয়।’
বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নানা ঘটনার প্রতিবাদে এবং পূর্বঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, আমরা বাধ্য হয়েছি এ রমজান মাসেও সাধারণ মানুষকে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যে আন্দোলন তা চলমান রাখতে এ কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা আশা করব, সেই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ অংশ নেবে।’
মির্জা ফখরুল ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো- ১ এপ্রিল সারা দেশের সব মহানগর ও জেলায় বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি; ৮ এপ্রিল সারা দেশের সব মহানগরের থানা পর্যায়ে ও জেলার উপজেলা পর্যায়ে বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি; ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় শহরগুলোতে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশের সব ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচারপত্র বিলি ও মানববন্ধন করা হবে।
এর মধ্যে ৯ এপ্রিল রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগ, ১০ এপ্রিল রাজশাহী ও সিলেট বিভাগ, ১১ এপ্রিল খুলনা ও কুমিল্লা বিভাগ, ১২ এপ্রিল ঢাকা ও বরিশাল বিভাগ, ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ ছাড়া ২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের সব জেলা/মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, দুস্থ, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তাসহ বিভিন্ন গণসংযোগমূলক কর্মসূচিতে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করবেন।
ইফতারে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন:রাজধানীর তুরাগে মাদক মামলার আসামি ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে তুরাগের ফুলবাড়িয়া বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত তুরাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ৪৫ বছর বয়সী শাহিনুর রহমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ফুলবাড়িয়া এলাকার একটি বাসায় রাত সাড়ে সাতটার দিকে মাদক মামলার আসামি রশিদকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আসামির ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন এসআই শাহিনুর। তিনি বুক এবং পেটের মাঝামাঝি স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
ওসি জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আসামি রশিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য