দুবাইতে ড্যান্সবারের আড়ালে নারীপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট তুষার রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
নিউজবাংলাকে অমিত দাশ গুপ্ত বলেন, ‘আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। তবে এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বরাবর নোট দেয়া হয়েছে। জামিন ঠেকাতে আপিল করা হবে।’
গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর সিআইডি জানিয়েছিল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ড্যান্সবারে কাজ দেয়ার নামে নারীপাচারের অভিযোগে নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগকে আটক করা হয়।
সঙ্গে আরও আটক করা হয় আজম খানসহ নারীপাচারকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে। এদের মধ্যে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগের নাম বলেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট তাকে আটক করে।
এরপর ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ইভানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে পাঠান হয়। রিমান্ড শেষে ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় এই অঞ্চলে সংযোগ স্থাপনে অবদান রাখার বিষয়টি আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
শনিবার ঢাকায় দ্বাদশ ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) মিলিত হয়ে দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ আলোচনা করেন।
বিআরআইয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতেও আগ্রহ দেখিয়েছে দুপক্ষ। এ সময় অনলাইনে জুয়া ও মাদক পাচারের মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকটসহ বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক বিষয়েও আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। বৈঠকের পর কোনো পক্ষই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করে নিয়মিত কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে চীনা ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং ১০ বছর পর বাংলাদেশ সফর করছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে এ দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অর্জন হয়েছে বলে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। দুই দেশের প্রতিনিধিদল পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ‘এক চীননীতি’তে অব্যাহত সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন। সাম্প্রতিকালে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সফর বিনিময়ের দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও গভীর করেছে বলে উল্লেখ করে দেশটির প্রতিনিধিদল।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে সহায়তা পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন।
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে বলে মনে করেন চীনের ভাইস মিনিস্টার। তিনি পাইলট প্রজেক্টের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মিয়ানমারে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসা এবং বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগের প্রশংসা করেছে চীনের প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় চীনের টিকা সহায়তার জন্য বাংলাদেশ আবারও ধন্যবাদ জানায়। দুই পক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। এ সময় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগের মতো মেগা প্রকল্পের আসন্ন উদ্বোধনকে স্বাগত জানায় চীন। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে কয়েকটি অতিরিক্ত প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া গত বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে চীনে রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে বেইজিংয়ের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন ফল বিশেষ করে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা এবং হিমায়িত খাবার আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করে চীন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধার আওতায় শাকসবজি, ওষুধ, কাঁচা চামড়া, ফুটওয়্যার, পোশাক ইত্যাদি রপ্তানি আইটেম অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়।
চীনের ভাইস মিনিস্টার চট্টগ্রামে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তার দেশের কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আশ্বাস দেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-গুয়াংজু সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর জন্য চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সময়মতো আলোচনার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দুই পক্ষ নিয়মিত কনস্যুলার পরামর্শ চালু করতে সম্মত হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজিতে উদ্ভাবনের বিষয়ে চীনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে দুই পক্ষ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করে। উভয়পক্ষ বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে নিয়মিত স্টাফ পর্যায়ের আলোচনা ও বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আবহাওয়া স্যাটেলাইটের তথ্য শেয়ার করার জন্য বাংলাদেশ চীনকে ধন্যবাদ জানায়।
আরও পড়ুন:যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচারের সময় এক পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)।
শনিবার দুপুরে বেনাপোলের খলশী সীমান্ত থেকে ২ কেজি ৮২৯ গ্রাম ওজনের ১৭টি স্বর্ণের বারসহ মিকাইল হোসেন নামের ওই পাচারকারী আটক হন।
৩০ বছর বয়সী মিকাইল হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার বারোপোতা গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।
বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এ তথ্য জানান। জব্দকৃত স্বর্ণের মূল্য ২ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি।
লে. কর্নেল জামিল বলেন, ‘সীমান্তের খলশী বাজার এলাকা দিয়ে স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে জানতে পেরে ৪৯ ও ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ দুটি টহল দল সীমান্তের খলশী বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পাচারকারী। তবে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে।
‘পরে ক্যাম্পে নিয়ে তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে বাধা অবস্থায় ১৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি।’
আটক মিকাইলকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জব্দকৃত স্বর্ণ কাস্টমসের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী অংশ নেবে না বলে আনু্ষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে দাঁড়ানো একাধিক নেতা-নেত্রী।
তুমুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি আমার প্রাণের সংগঠন। যে সংগঠনকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছি, সেই সংগঠনের ক্ষতি হোক আমি এটা চাই না। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’
বরিশালেও দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিএনপির পাঁচজন মেয়র প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয় না। তবে সিটি নির্বাচনের শুরু থেকেই নেতা-কর্মীদের নির্বাচনে কোনোভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কথা বলছে বিএনপি। এমনকি নির্বাচনে অংশ নিলে দল থেকে আজীবন বহিষ্কারেরও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
সেসব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই বরিশাল সিটিতে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে নাছোড়বান্দা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন দলটির ১৬ নেতা-নেত্রী। তাদের মধ্যে ৭ জন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। অপর ৯ জন ওয়ার্ড বিএনপির পদধারীসহ সাবেক নেতা।
এদের মধ্যে মেয়র পদে বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা আহসান হাবীব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রুপনও রয়েছেন। তিনি নিজেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সদস্য হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। নির্বাচনী লিফলেটেও তিনি নিজেকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবিরের দাবি, রুপন বিএনপির কেউ নন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করবে না। এ সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে পালন করা হবে। গাজীপুরে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এখানেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সবার জন্য একই ব্যবস্থা- আজীবন বহিষ্কার।’
বিসিসি নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি নেতারা হলেন- নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশিদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মো. আমিনুল ইসলাম, মহানগর কমিটির সদস্য ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাহানারা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সেলিনা বেগম ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রাশিদা পারভীন।
এছাড়াও রয়েছেন- নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ওয়ার্ড শাখার সদস্য সচিব জিয়াউল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম এবং ছাত্রদলের সাবেক জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের আব্দুল্লাহ সাদি।
পদ না থাকলেও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও ওই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ফারুক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইউনুস, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফরিদউদ্দিন হাওলাদার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ন কবির ও সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহিলা দল নেত্রী মজিদা বোরহান।
আরও পড়ুন:ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নরসিংদী সদর মডেল থানার এসআই অভিজিৎ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন নরসিংদী শহরতলির চিনিশপুরে বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলিতে প্রাণ হারান ছাত্রদল নেতা ৩২ বছর বয়সী সাদেকুর রহমান ও ২০ বছরের আশরাফুল ইসলাম।
নিহত সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন ওই ঘটনায় শুক্রবার রাতে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে চিনিশপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামকে গুলি করা হয়।
ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাদেকুর রহমান মারা যান। আর শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আশরাফুল ইসলাম।
নিহত সাদেকুর রহমান সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে। আর আশরাফুল পৌর শহরের সাটিরপাড়া এলাকার নাজমুল হকের ছেলে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি, মাইনুদ্দিন ভুইয়াকে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের (আংশিক) জেলা কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন সংগঠনের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। এর জের ধরে খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবনে একাধিকবার হামলার ঘটনাও ঘটে। সবশেষ ২৫ মে বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার সময় সংঘর্ষ ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন সেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নামে নিবন্ধন করা সিম কার্ড ব্যবহারের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেটটি বর্তমানে আশুগঞ্জ থানার হেফাজতে রয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছিনতাই হওয়া ওই মোবাইল ফোন সেটের মালিক আশিকুর রহমান। তিনি ভোরের ডাক পত্রিকার আশুগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি। সেট ছিনতাইয়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার আবেদন করা হয়। তাতে বিজয়নগরের ইউএনও-কে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আশুগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শামার একটি ইটভাটার সামনে থেকে আশিকুরের স্যামসাং ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল সেট ছিনতাই হয়। মুখোশ পরা দুষ্কৃতকারীরা মোবাইল সেট ছাড়াও আশিকুরের কাছ থেকে ৫০০ ইউএস ডলার, আনুমানিক সাড়ে ৭ হাজার টাকা, এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ৬ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের আংটিসহ মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আশিকুর। মোবাইল সেটের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করেন আশুগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান। তদন্তে দেখা যায়, ছিনতাই হওয়া ওই মোবাইল সেটে ব্যবহৃত সিম কার্ডটি বিজয়নগরের ইউএনও’র নামে নিবন্ধন করা।
এএসআই মুজিবুর রহমান বলেন, ‘শনাক্ত হওয়ার পর মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত সিম কার্ডে যোগাযোগ করলে বিজয়নগর ইউএনও’র একজন স্টাফ ফোনটি রিসিভ করেন। ফয়সাল নামের ওই স্টাফ তখন স্যারের (ইউএনও) সাথে কথা বলতে বলেন। পরে ইউএনও স্যার ফোন দিয়ে জানতে চান যে মোবাইল সেট ছিনতাই হওয়ার তথ্য-প্রমাণ থানায় আছে কি না। তাছাড়া মোবাইলের সব কাগজপত্র রয়েছে কি না। আমি ইউএনও স্যারকে জানাই যে জিডি কপি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউএনও স্যার তার স্টাফ জালালকে যে সিমটি দিয়েছেন সেটি প্রথমে একটি বাটন ফোনে ছিল। বাটন ফোনটি নষ্ট হয়ে গেলে জালাল তার ব্যক্তিগত ফোন সেটে সিমটি লাগিয়ে ব্যবহার করতে থাকেন। আর জালাল ফোন সেটটি এনেছিলেন ভৈরব থেকে। আর এই ফোন সেটটিই হচ্ছে সাংবাদিক আশিকের ছিনতাই হওয়া সেট।’
মামলার বাদী আশিকুর রহমান বলেন, ‘পরিচিত এক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে ছিনতাই হওয়া সেটটিতে ব্যবহার হওয়া সিমকার্ডধারীর নাম-পরিচয় বের করি। সেখানে এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের ছবিসহ নাম-ঠিকানা পাই। তখনও আমি জানতে পারিনি তিনি বিজয়নগরের ইউএনও। ‘২২ মে বিকেলে ইউএনওর কার্যালয়ের একটি সরকারি নম্বর থেকে ফয়সাল নামে একজন ফোন করেন। তিনি জানান- মোবাইল সেট নিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, সেটটি কেনার রসিদ ও বক্স লাগবে। সে অনুযায়ী পরদিন মোবাইল সেটটি আনতে গেলে তারা টালবাহানা শুরু করে। সে জন্য আদালতে মামলা করেছি।’
ওসি আজাদ রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের এক স্টাফ মোবাইল সেটটি থানায় দিয়ে গেছেন। আর বাদী বলতেই পারেন। তবে আমরা তদন্ত করে দেখব সিম ও সেটটি কার ছিল।’
ইউএনও এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, তার এক কর্মচারী ভৈরব থেকে মোবাইল সেটটি কিনেছিল। ব্যবহার ও যোগাযোগের জন্য তার নিবন্ধিত একটি বাংলালিংক সিম ওই কর্মচারীকে দিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরল বিশ্বাসে স্টাফ জালালকে সিমটি দেয়ায় এমনটা হয়েছে। আমার সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। মোবাইলের মালিকের সঙ্গে আমার এখনও কথা হয়নি। তিনি আমাকে বিপদে ফেলতে ও সম্মান ক্ষুণ্ন করতে এই মামলা করেছেন।’
আরও পড়ুন:জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলা ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে ব্রিটিশ কাউন্সিলে জলবায়ু বিষয়ক চারটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর ফুলার রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ওই প্রামাণ্যচিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়।
বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরি প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ডকল্যাব ও যুক্তরাজ্যের ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় এ প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের অংশ হিসেবে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসরত তৃণমূল জনগোষ্ঠী ও নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষের জীবন ও অভিজ্ঞতাই প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মূল উপজীব্য।
প্রামাণ্যচিত্রগুলো হলো বাংলাদেশের আসমা বীথি পরিচালিত দপ্রুঝিরি ও শামসুল ইসলাম স্বপন পরিচালিত লতিকা এবং যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের ম্যারেড রিস পরিচালিত আওয়ার হোম ও লিলি টাইগার টোনকিন পরিচালিত শি সেলস শেলফিশ।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে প্রামাণ্যচিত্রগুলোর পরিচালক, প্রযোজক ও প্রামাণ্যচিত্রের চরিত্রদের পরিচয়পর্ব ও একটি অংশগ্রহণমূলক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।
এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়াও অতিথি ও দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, গবেষণা, শিক্ষা, পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে সক্রিয়ভাবে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেন, ‘জলবায়ু পরবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সকলকে নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ-কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ ফিল্মসের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো আমাদের কতটা কাছাকাছি, তা দেখতে ও বুঝতে পারছি। এ থেকে উত্তরণে কার্যকর পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করার আশা ব্যক্ত করছি।’
পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে সকলকে উৎসাহিত করাই ছিল এ আয়োজনের লক্ষ্য।
ঢাকা ডকল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ চলচ্চিত্র প্রকল্প। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে চার চলচ্চিত্র নির্মাতা ঢাকা ডকল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পেয়েছেন।
সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রগুলোয় নারীদের সাথে সম্পৃক্ত জলবায়ু পরিবর্তনের গল্প তুলে করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা করা নতুন ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জন্য এই লজ্জা বহন করে এনেছে। এই সরকার বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধক।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এই সমাবেশ হয়। রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এর মাধ্যমে ১৯ মে শুরু হওয়া সারাদেশে মহানগর ও জেলায় চারদিনের যে সমাবেশের কর্মসূচি শুরু হয়েছিল তা শনিবার ১৫ জেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো।
নয়াপল্টনের সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে যে বাংলাদেশে আগামীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে নির্বাচন, তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যারা বাধা দেবে তাদেরকে তারা ভিসা দেবে না। তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
‘এই বাংলাদেশে গণতন্ত্র অথবা জনগণের ভোট এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে যারা বাধা দিয়েছে ও দিচ্ছে তারা হচ্ছে বর্তমান সরকার। আজ আমেরিকা বলেছে যে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদেরকে তারা ভিসা দেবে না। অর্থাৎ তারাও এদেরকে (সরকার) প্রত্যাখ্যান করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আমরা ঘোষণা করেছি যে শেখ হাসিনার অধীনে অতীতে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আমাদের সঙ্গে যারা আন্দোলনে আছে তারাও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
আন্তর্জাতিকভাবেই দাবি উঠেছে যে নির্বাচন হতে হবে অংশগ্রহণমূলক। আমরা যদি নির্বাচনে না যাই তাহলে তা অংশগ্রহণমূলক হবে না। অতএব, এই সরকার যত কথাই বলুক না কেন, এদেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়।’
বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘এ ধরনের স্বৈরাচার সরকার নিজে থেকে আপসে সরে দাঁড়াবে না। এই সরকারকে হটাতে হবে। সেজন্য গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প নেই। দেশের মানুষ প্রস্তুত।
এদেশের মানুষ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচার সরকারকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে হটিয়েছে। তার স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে। পাকিস্তান আমলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইয়ুব খানের মতো স্বৈরাচারকে হটাতে পেরেছে। অচিরেই গণআন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার গায়ের জোরের সরকার। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাদের অন্যায় আবদার, অন্যায় নির্দেশ আপনাদের মানার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অতিউৎসাহী হয়ে যারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছেন, তারা এই অবৈধ সরকারের পক্ষ ত্যাগ করে জনগণের পক্ষে আসুন। আপনাদেরকে কেউ কিছু বলবে না।’
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদল নেতা সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য