বিশ্বে পপ সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ রেকর্ডিং আর্টস অ্যান্ড সাইন্সেস আয়োজিত এই পুরস্কারের এটি ছিল ৬৩তম আসর।
এবারের গ্র্যামির সেরা দুই পুরস্কার অ্যালবাম অফ দ্য ইয়ার ও রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার জিতেছেন টেইলর সুইফট ও বিলি আইলিশ। আর পপ সম্রাজ্ঞী বিয়ন্সে নোওলস জিতে নেন তার ২৮তম গ্র্যামি।
ট্রেভর নোয়াহর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন হ্যারি স্টাইলস, টেইলর সুইফট, ডুয়া লিপা, বিটিএস, বিলি আইলিশ, পোস্ট মালনসহ ২২ জন শিল্পী।
এবারের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসে বিজয়ীদের মধ্যে এগিয়ে ছিলেন নারী শিল্পীরা।
টেইলর সুইফট জেতেন তার তৃতীয় অ্যালবাম অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার। এই বছর তার ফোকলোর অ্যালবাম এর জন্য জেতেন তিনি। তিনি সবমিলিয়ে চতুর্থ ও প্রথম নারী শিল্পী যিনি তিন বার এই পুরস্কার জিতলেন।
পপ তারকা বিওয়ন্সে নোওলস ইতিহাস গড়েন ২৮তম গ্র্যামি পুরস্কার জিতে। তার ব্ল্যাক প্যারেড গানটি জিতে নেয় বছরের সেরা আরএনবি গানের ট্রফি।
বিলি আইলিশ জিতে নেন রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার এভরিথিং আই ওয়ান্টেড গানের জন্য।
সং অফ দ্য ইয়ার পান এইচ. ই. আর তার আই কান্ট ব্রিথ গানের জন্য। বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবাম পুরস্কার পায় ডুয়া লিপার ফিউচার নস্টালজিয়া।
বেস্ট নিউ আর্টিস্ট পুরস্কার পান মেগান থ্রি স্ট্যালিয়ন। বিয়ন্সের সঙ্গে গাওয়া তার র্যাপ গান স্যাভেজ র্যাপ সং অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার পায়।
৬৩তম গ্র্যামি পুরস্কার দেয়া হয় ৮৩টি বিভাগে। সেরা ১২টি বিভাগের পুরস্কার বিজয়ীদেরা হলেন:
অ্যালবাম অফ দ্য ইয়ার: ফোকলোর (টেইলর সুইফট)
সং অফ দ্য ইয়ার: আই কান্ট ব্রিথ (এইচ. ই. আর.)
রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার: এভরিথিং আই ওয়ান্টেড (বিলি আইলিশ)
বেস্ট নিউ আর্টিস্ট: মেগান থ্রি স্ট্যালিয়ন
বেস্ট আরএনবি পারফরম্যান্স: ব্ল্যাক প্যারেড (বিয়ন্সে)
বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবাম: ফিউচার নস্টালজিয়া (ডুয়া লিপা)
বেস্ট র্যাপ সং: স্যাভেজ (বিয়ন্সে ও মেগান থ্রি স্ট্যালিয়ন )
বেস্ট পপ সোলো পারফরম্যান্স: ওয়াটারমেলন সুগার (হ্যারি স্টাইলস)
বেস্ট কান্ট্রি অ্যালবাম: ওয়াইল্ড কার্ড (মিরান্ডা ল্যাম্বার্ট)
বেস্ট রক অ্যালবাম: দ্য নিউ অ্যাবনরমাল (দ্য স্ট্রোকস)
বেস্ট রক সং: স্টে হাই (ব্রিটানি হাওয়ার্ড)
বেস্ট মেটাল পারফরম্যান্স: বাম রাশ (বডি কাউন্ট)
আরও পড়ুন:Congrats to @taylorswift13 who took home the massive Album Of The Year win for 'folklore' at the 2021 #GRAMMYshttps://t.co/iTzp0g0VHP
— Recording Academy / GRAMMYs (@RecordingAcad) March 15, 2021
রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের রংপুর চাকঘর থেকে তারাগঞ্জের চিকলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। ওই সড়কে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম দেওয়া হয়েছে বলে সত্যতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল।
বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরিচালিত একটি নিয়মিত টহল দল লেফটেন্যান্ট নাজমুলের নেতৃত্বে সিটি মোড় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে সড়কের গঠন ও ব্যবহৃত উপকরণ পরিমাপে অনিয়মের প্রমাণ পায় সেনাবাহিনী।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। রাস্তাটিতে প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি। তবে রাস্তা নির্মাণে কেন এরকম অনিয়ম হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে তার কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি প্রকৌশলী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ সেতু এবং তকনাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটিসহ সংস্কারকাজে বরাদ্দ হয় ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৬ টাকা।
৪ ফেব্রুয়ারি এই সড়কের সংস্কারকাজ পায় ডন এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০ কিলোমিটার সড়কে ডিবিএসটি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। অক্টোবরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সেনা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের শর্ত থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি করে। তার মানে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডন এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্ট অনুযায়ী প্রতি স্কয়ারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর টেস্ট করার পর আমরা ১৮ কেজি পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো সড়ক ও জনপথের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ করছি। বেশি জায়গা না, মাত্র ৮০০ মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম হয়েছে। আমরা এটা আবার রিপেয়ার (সংস্কার) করে দেব।’
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামতের শুরু থেকেই অনিয়ম করে আসছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিবাদ করলেও কেউ কর্ণপাত করেনি। সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ভালো কাজ করেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, রাস্তাটি ভালোভাবে মেরামত হলে সবারই উপকার হবে।
লেফটেন্যান্ট নাজমুল জানান, রাস্তা মেরামতে অনিয়ম হচ্ছে—এমন খবর পেয়েই তারা অভিযান চালান। এটি তাদের নিয়মিত অভিযানের মধ্যেই পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ডিজাইনে ছিল ২৩ কেজি, সেখানে ১৮ কেজি পেয়েছে। আমাদের দেখভাল করার লোকজন রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘ একটা এলাকা, কমবেশি হতে পারে। সেটা অবশ্যই আমরা ঠিক করে দেব।’
"আমি শিশু, আমার কেন বৈষম্য?", "পরীক্ষা আমার ন্যায্য অধিকার!"—এমন নানা দাবিতে প্রখর রোদে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা সংগঠকরা।
পঞ্চগড়ে সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে পঞ্চগড় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে পঞ্চগড় জেলা কিন্ডারগার্টেন সোসাইটি ও শিক্ষক কল্যাণ সংস্থা। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকরাও অংশ নেন।
প্ল্যাকার্ডে ছিল: “জুলাই বিপ্লবের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই!” “প্রাথমিক বৃত্তিতে বৈষম্য কেন?” “আমার বন্ধুর সাথে আমার কোনো বৈষম্য নাই” “শিশুর অধিকার নিয়ে খেলবেন না” “পরীক্ষা আমার ন্যায্য অধিকার”
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে জারি করা পরিপত্রে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হলেও কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাইরে রাখা হয়েছে, যা স্পষ্ট বৈষম্য।
বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, “২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এবং সর্বশেষ ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণ করে দুর্দান্ত ফলাফল অর্জন করেছিল। অথচ এবার সেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না—এটা শুধু বৈষম্য নয়, বরং শিশুদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার নামান্তর।”
তারা আরও বলেন, “বৃত্তি মানে শুধু টাকা নয়—এটা আত্মবিশ্বাস, সামাজিক স্বীকৃতি, একধরনের অনুপ্রেরণা। যখন একজন শিশু দেখবে তার বন্ধু বৃত্তি পাচ্ছে অথচ সে পাচ্ছে না, শুধুমাত্র তার প্রতিষ্ঠানের ধরন ভিন্ন হওয়ার কারণে—তখন সেই শিশু মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
পঞ্চগড় জেলা কিন্ডারগার্টেন সোসাইটির সভাপতি মো. সোয়েব আলী সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. তোজাম্মেল হক বলেন, “জুলাই বিপ্লবের শহীদরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশে কিন্ডারগার্টেনের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন আবারো বৈষম্যের শিকার না হয়। আমরা চাই সরকার এই বৈষম্যমূলক পরিপত্রটি বাতিল করে সকল শিক্ষার্থীকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করুক।”
তারা আরও বলেন, ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র বাতিল করতে হবে, ২০২৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় শিক্ষানীতির ‘সমতার নীতি’ বাস্তবায়নে সবধরনের প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে একটি স্মারকলিপিও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন সংগঠনটি।
আমার নিজ নামীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স পরীক্ষার মূল সনদ যার রোল- ২৮৬৭, পাশের সন- ১৯৭৬, বিভাগ- প্রাণীবিদ্যা, হল- ফজলুল হক এবং অনার্স পরীক্ষার মূল সনদ যার রোল- ৩৩৭২, পাশের সন-১৯৭৫, বিভাগ- প্রাণীবিদ্যা, হল- ফজলুল হক আমার বাসা থেকে হারিয়েছে। যা অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি। এই মর্মে গুলশান থানা, ডিএমপি-এর জিডি নম্বর- ১৭৭৪, তারিখ- ২৪/০৭/২০২৫ইং।
নুরুল ইসলাম
বঙ্গোপসাগরে আবারও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে চার বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে আজ বিকাল ৫টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী (ঘণ্টায় ৪৪–৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলাগুলোর পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিজনিত অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।
নদীবন্দরের জন্য সতর্কতা
এদিকে, লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সাতটি অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, আজ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫–৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সারাদেশের আবহাওয়ার কি অবস্থা?
সারাদেশের সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হতে পারে।
তাছাড়া, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এর প্রভাবে আজ রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময় ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে—তা কমতে পারে।
অন্যদিকে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অসুস্থ বাচ্চাকে দেখতে গিয়ে পথিমধ্যে নাটোরে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নারীসহ ৮ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের নব্বই বছর বয়সি মহাম্মদ মােল্লার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন (৭৫) ছোট মেয়ে সিমা খাতুন (৪০) বড় মেয়ে শেলি বেগম (৫৬)ও জামাতা জাহিদুল ইসলাম (৬০) এবং অন্যরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের আন্না খাতুন (৬০), মাইক্রোচালক শাহাবুদ্দীন (৩৮), আঞ্জোয়ারা খাতুন (৫০) ও প্রাগপুর গ্রামের ইতিয়ারা খাতুন (৪১)।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে, বড়াইগ্রাম উপজেলার তরমুজ পাম্প এলাকায়, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে। পরবর্তীতে নিহতদের মরদেহ নিজ গ্রামে এসে পৌছালে কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বজনেরা। গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। নিহতদের মধ্যে আন্জুয়ারা,সিমা খাতুন,ইতি আরা ও মাইক্রোচালক সাহাবুদ্দিনের সকালের দিকে দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি ৪ জনের দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে।
বয়স্ক বৃদ্ধ মহাম্মদ আলী বলেন, পাঁচ বছর পূর্বে আমার স্ট্রোকজনিত কারনে এক পাশ পড়ে যায়। সেই থেকে আমাকে সেবা যত্ন করে আমাকে বাচিয়ে রেখেছিল। আমার স্ত্রী আন্জুয়ারা। আর প্রতি সপ্তাহে আমাকে এসে দেখে যেতো আমার দুই মেয়ে ও জামাই। আমাকে বিছানা থেকে নেমে হুইল চেয়ারে বসতে হলে তার সাহায্য লাগতো। এখন আমার কি হবে?আমাকে কে দেখবে? আমি কিভাবে বেচে থাকবো। আল্লাহ্ আমার এই দৃশ্য দেখার আগে আমার মৃত্যু হলো না কেনো। গতকাল বুধবার সকালে আমার দুনিয়ায় সব কিছুই ছিলো। আর আজ আমি সবকিছুই হারিয়ে ফেললাম। আমি এই অসুস্থ শরীর নিয়ে কবর গুলোকেও দেখতে যেতে পারবো না।
মহাম্মদ আলীর ভাইয়ের ছেলে মন্জু বলেন, আমার আংকেল স্ট্রোকজনিত কারনে দির্ঘদিন অসুস্থ হয়ে বিছানা গত ছিলেন। সেই অসুস্থর পরে থেকে আন্টি সেবা যত্ন দিয়ে সুস্থ করে তুলছেন। তিনি এখন হুইল চেয়ারে করে চলাফেরা করে। গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় এই পরিবারের চারজন নয়। আমার চাচা সব হারিয়ে বতর্মানে জীবিত থেকেও মৃত হয়ে গেছে। তাকে দেখার মত আর কেও নেই।
ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুটি বাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের করিমপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ((অ্যাডিশনাল এসপি) মো. মারুফ হোসেন হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুর থেকে মাগুরাগামী একটি লোকাল বাসের সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন নিহত হন।
তিনি আরও জানান, আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কানাইপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে বলেও জানান মো. মারুফ হোসেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব অস্বীকার করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেছেন, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অনেকেই না বুঝে এসব গুজব বিশ্বাস করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের বিষয়ে কোনো তথ্য গোপন করার ইচ্ছে নেই। ঘটনার পরপরই কোনো পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত সাড়া দিয়েছে। যেমনটি সব সময় করে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি নিজে এবং আইএসপিআর টিম সরাসরি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।’
গতকাল বুধবার আইএসপিআর-এর পরিচালক গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আইএসপিআরের পরিচালক হিসেবে আমি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি- যে কোনো গণমাধ্যম চাইলেই এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। সেনাবাহিনীসহ যে কাউকে বা সংশ্লিষ্ট যে কোনো স্থান পরিদর্শন করতে পারে। আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি। পাশাপাশি আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করব।’
মন্তব্য