× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
রসবোধপূর্ণ অসাধারণ মানুষ শিক্ষক
google_news print-icon

রসবোধপূর্ণ অসাধারণ মানুষ, শিক্ষক

রসবোধপূর্ণ-অসাধারণ-মানুষ-শিক্ষক
নাট্যকার ও নাট্য নির্দেশক মাসুম রেজা জানান, পর্দায় খল চরিত্রে অভিনয় করলেও এটিএম শামসুজ্জামান খুবই সাধারণ এবং সরল মানুষ ছিলেন ছিলেন। পর্দায় যেমন অভিনয় করতেন, তেমনি রসবোধের অভাব ছিল না বাস্তব জীবনেও।

বরেণ্য অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনে। কিংবদন্তি এই অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকারকে নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে স্মৃতিচারণা করেছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, নাট্যকার ও নাট্য নির্দেশক মাসুম রেজা।

এটিএম শামসুজ্জামানের বিষয়ে মাসুম রেজা বলেন, ‘এক অসাধারণ মানুষ এবং শিক্ষক। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখার কৌশল আমি এটিএম ভাইয়ের কাছ থেকে শিখেছি। মোল্লাবাড়ির বৌ লেখার সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘‘সিনেমার স্ক্রিপ্ট তুমি লিখবা, স্ক্রিপ্ট তোমার হাতে কিন্তু সিনেমার সাফল্য দর্শকের হাতে। দর্শককে নতুন কোনো কিছু দিতে না পারলে সে স্ক্রিপ্ট লিখবা না।’' এটা আমার জীবনে একটা বিরাট শিক্ষা।'

মাসুম রেজা জানান, পর্দায় খল চরিত্রে অভিনয় করলেও এটিএম শামসুজ্জামান খুবই সাধারণ এবং সরল মানুষ ছিলেন। পর্দায় যেমন অভিনয় করতেন, তেমনি রসবোধের অভাব ছিল না বাস্তব জীবনেও।

‘তিনি সিগারেট খেতেন, ধূমপান করতেন। কিন্তু তিনি সিগারেটটা প্যাকেট থেকে বের করে টিপে টিপে সেটাকে নরম করতেন এবং দুই-তিন বার দোয়া পড়ে ফুঁ দিয়ে তারপর সিগারেটটা ধরাতেন।

‘ঢাকার একজন পীরের ভক্ত ছিলেন তিনি। হঠাৎ একদিন সকালে আমার বাসায় এসে বললেন, ‘‘মাসুম চলো, অফিসে যেয়ে তোমাকে একটা গান লিখতে হবে। আমি বললাম কীসের গান। উনি বললেন, আমার পীরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটা গান লিখতে হবে।’' আমি সে গানও লিখে দিলাম।।'

পাঁচ দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন এটিএম শামসুজ্জামান। এ ছাড়া একুশে পদকসহ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি।

এ ছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক হিসেবেও এটিএম শামসুজ্জামান দুর্দান্ত ছিলেন জানিয়ে মাসুম বলেন, ‘উনি কিন্তু শুধু অভিনেতা না, উনি প্রায় ১০০-এর ওপরে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন। ডাক্তার বাড়ি সিনেমা পরিচালনা করেছেন।’

গুণী এ অভিনেতার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন মাসুম। বলেন, ‘আমার সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা শেখাটা একদম এটিএম ভাইয়ের কাছ থেকে। উনি আমাকে আর সালাহউদ্দিন লাভলুকে টেলিভিশন থেকে সিনেমায় টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন।’

অভিনয়জীবনের শেষ দিকটায় চলচ্চিত্রের চেয়ে টেলিভিশনেই বেশি সময় দিয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামান। এ বিষয়ে মাসুম রেজা বলেন, ‘টেলিভিশনে যখন তিনি আসেন তখন সিনেমার খরা চলছিল। অনেক পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী সিনেমা ছেড়ে দিচ্ছিলেন। সেই সময় উনি টেলিভিশনে আসলেন। আমারই একটা নাটক ছিল। সাদা মেঘের বৃষ্টি বলে সাত পর্বের একটা নাটকে উনি অভিনয় করলেন।

রসবোধপূর্ণ অসাধারণ মানুষ, শিক্ষক

‘এরপর রঙের মানুষ। রঙের মানুষ করতে গিয়ে তিনি আমাকে বললেন, দেখ আমার একটা মন্দ মানুষের ইমেজ আছে কিন্তু তোমার এই ‘বস্তানি শা’ চরিত্র আমাকে একটা আলাদা পরিচিতি দিচ্ছে, ভালো লাগছে।’

এটিএম শামসুজ্জামানের আলোতে নিজেও আলোকিত হয়েছেন জানালেন মাসুম রেজা। বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ার যখন শুরু, এটিএম ভাই তখন তার ক্যারিয়ারের চূড়ান্তে, ওপরে, উজ্জ্বলতায়। তার আলোতেই আমি অনেক অনেক পথ হেঁটেছি। আমার ভবের হাট নাটকে উনি হুমায়ুন ফরিদীর অভিনয় অত্যন্ত পছন্দ করতেন। দুই জন একই ধারার চরিত্রে অভিনয় করতেন, তবুও কখনও ঈর্ষা করেননি।

‘আজকের জন্য আমার প্রার্থনা, জাগতিক জীবনে উনি যেভাবে বেঁচে ছিলেন, আমাদের অন্তরেও যেন তিনি সেভাবেই বেঁচে থাকেন এবং থাকবেন।’

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত বুধবার তিনি হাসপাতালে যান। শুক্রবার বিকেলে সেখান থেকে সূত্রাপুরের বাসায় ফেরেন তিনি। শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এটিএম শামসুজ্জামান। ২০১৫ সালে ভূষিত হন একুশে পদকসহ নানা সম্মাননায়।

১৯৪১ সালে পুরান ঢাকায় জন্ম নেয়া এই অভিনেতা চলচ্চিত্রে পা রাখেন ১৯৬৮ সালে, নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘এতটুকু আশা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। নিজ অভিনয়গুণে বাংলা চলচ্চিত্রের অনেক খল ও কমেডি চরিত্রকে অমর করে গেছেন তিনি।

আরও পড়ুন:
শূন্য খাঁচা রেখে উড়ে গেল শামসুজ্জামানের প্রিয় ময়না
এটিএম শামসুজ্জামান বেঁচে থাকবেন হৃদয়ে: প্রধানমন্ত্রী
এটিএম শামসুজ্জামানের প্রয়াণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
July 7 Chhatra Leagues attack on quota reform movement

১৫ জুলাই ’২৪ : কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, রণক্ষেত্র ঢাবি

১৫ জুলাই ’২৪ : কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, রণক্ষেত্র ঢাবি

২০২৪ সালের ১৫ জুলাই (সোমবার) সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

ছাত্রলীগের এই হামলায় সারাদেশে চার শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আহত হন ২৯৭ জন শিক্ষার্থী। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এদিন হাসপাতালে গিয়েও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

আগের দিন ১৪ জুলাই বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলে কটুক্তি করেন। এ কটুক্তির প্রতিবাদে রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রাত ১১টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলসহ প্রায় প্রতিটি আবাসিক হল থেকে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে মিছিল নিয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন শত শত শিক্ষার্থী।

পরের দিন ১৫ জুলাই ধানমন্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তার আত্মস্বীকৃত রাজাকার, গত রাতে নিজেদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। এর জবাব ছাত্রলীগই দেবে।’

সেদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা নিজেদের ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান দিয়েছে, তাদের শেষ দেখে ছাড়বেন বলে হুমকি দেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

এই দুইজনের এমন বক্তব্যের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর স্বশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

১৫ জুলাই বেলা ১২টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত সাত কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়ার দিকে মিছিল নিয়ে যান। সেখানে ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। বিজয় একাত্তর হলের সামনে সংঘর্ষের সূচনা হয়। তখন আশপাশের হল ও মধুক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এসে মল চত্বরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। ছাত্রলীগের হামলার মুখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ভিসি চত্বর এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রড, হকিস্টিক, রামদাসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের ভেতর আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও তাদের মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়।

ছাত্রলীগের হামলায় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগ্বিদিক চলে যান। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ, মহানগর শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মহড়া দেয়। এ হামলায় অনেক নারী শিক্ষার্থীসহ প্রায় তিনশ’ শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নেন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হন।

এদিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটেও আহত শিক্ষার্থীদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হলের সামনে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করা হয়েছে। আহতদের মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে। ককটেল নিক্ষেপ করেছে। পুলিশ কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি। আমাদের ওপর এ হামলা পরিকল্পিত। এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

ক্যাম্পাসের সহিংসতার ঘটনায় করণীয় ঠিক করতে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের প্রাধ্যক্ষদের নিয়ে বেঠক করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

বৈঠক শেষে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের প্রাধ্যক্ষরা রাতভর হলে অবস্থান করবেন।’

সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় পুলিশ। সন্ধ্যার পরপরই ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

১৫ জুলাই রাত ১০টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মোবাইল তল্লাশি ও মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। স্যার এ এফ রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল, মাস্টারদা সূর্যসেন হল ও শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক হলে এমন ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলন যুক্ত কি না, তা যাচাই করতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল তল্লাশি করা হয়। আন্দোলনে সম্পৃক্ততা পেলেই মারধর করা হয়।

এদিন রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাধা ও মারধর করেকলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীরা। শিক্ষার্থীরা যাতে আন্দোলনে যেতে না পারে, সেজন্য কলেজের গেটে তালা দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তালা ভেঙে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে যান।

কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে শেখ হাসিনার কটুক্তির প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাধা অতিক্রম করে পুরান ঢাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এসে বিক্ষোভে যোগ দেন। এর আগে জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলে দফায় দফায় হামলা করে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক আবদুর রশিদ জিতুসহ ১৫ জন আহত হন।

এর আগে ১৪ জুলাই মধ্যরাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। রাত সাড়ে ১২টার দিকে শতাধিক বহিরাগত নিয়ে এ হামলা চালানো হয়। এতে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। পরে তারা ভিসির বাসভবনে আশ্রয় নেন।

১৫ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দুই দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও কাটাপাহাড় সড়কে আন্দোলনকারীদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও চট্টগ্রাম শহরেও কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। এতে সাংবাদিক ও পুলিশসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

এদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ বাম ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। যশোরে এম এম কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করে ছাত্রলীগ। দুপুুরে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায়। এদিন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর নতুন বাজার, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুর থেকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

এছাড়া রাজধানীর বাইরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।

১৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দেওয়াকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও লাগে না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজাকারের পক্ষে স্লোগান রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান। এটি সরকার বিরোধী নয়, এটি রাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান।’

এদিকে কোটা আন্দোলনে যারা নিজেদেরকে রাজাকার বলে স্লোগান দিচ্ছে, তাদেরকে ‘এ যুগের রাজাকার’ বলে অভিহিত করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি, ওই যুগের রাজাকারদের মতোই হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় দেশব্যাপী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল এবং এই আন্দোলনে দেশের সাধারণ মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

এদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং নিন্দা জানাই। তার এমন বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।’

মন্তব্য

বিনোদন
Elections are possible even though the law is challenging

আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব

বিবিসি বাংলাকে সিইসি
আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন ঠিক কবে হবে—এই প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে সন্দেহ, সংশয় তৈরি হয়েছে। এমন পটভূমিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

নির্বাচন কবে হবে সেটা কি এখন আপনি বলতে পারবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ইটস ভেরি ডিফিকাল্ট ফর মি টু রেসপন্ড, বিকজ আই মাইসেলফ ওন্ট নো এক্স্যাক্ট ডেট (সুনির্দিষ্ট তারিখ)। পোলিং ডেটটা জানি না। এপ্রিলে ফার্স্ট হাফে (প্রথমার্ধে) বলা হচ্ছে। দ্যাট কাইন্ড অফ থিং, উইল বি কমিউনিকেট টু আস, উইথ সাম আইডিয়া দ্যাট– প্লিজ গো অ্যাহেড- দিস ইজ দ্য রেঞ্জ।

সরকার নির্বাচন কমিশনকে ভোটের তারিখ জানিয়েছে কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনি যেমন জানেন, আমিও তেমনি জানি যে আইদার ফেব্রুয়ারি, মানে রমজান মাসের আগে অথবা এপ্রিলে। যেটা সব সময় উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলে আসছেন। সেটাই জানি, যেটা আপনি জানেন, দেশবাসী জানে, তার বক্তব্য থেকে। সেটা আমিও জানি।

সরকার ইসিকে কিছু বলেনি যে কবে নির্বাচন হতে পারে বা কোন সময়ের মধ্যে ভোট হতে পারে— এমন পশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, না সেরকম বলে নাই। আমরা ধরে নিচ্ছি, ইট ইজ আওয়ার অ্যাসাম্পশন (আমাদের ধারণা) যে বর্তমানে যে টাইম ফ্রেম বলা হচ্ছে, আইদার আর্লি ফেব্রুয়ারি বিফোর রমাদান, অর ইট মে বি সাম টাইম ইন দ্য ফার্স্ট হাফ অব এপ্রিল। হতে পারে, এপ্রিলের প্রথম দিকে হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই ডিসেম্বরকে টার্গেট করে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কারণ তখন তিনি ডিসেম্বর টু জুন বলেছিলেন। এজন্য আমরা ডিসেম্বরকে টার্গেট করে— ফ্রম ডে ওয়ান উই স্টার্টেড প্রিপেয়ারিং আওয়ারসেলভ।

নিয়োগকালে নির্বাচনের টাইমফ্রেম বা সময়সীমা নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়া হয়েছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, না দেওয়া হয় নাই। বাট আমি ধরে নিয়েছি যে ইলেকশন তো একটা হবে। আমি প্রথমে আমার অফিসারদের সঙ্গে বসেছি, একটা ইলেকশন করতে গেলে কী কী দরকার, কী কী কাজ আমাদের করতে হবে, কী কী কাজ বাকি আছে, তারা আমাদের একটা চার্ট করে দেবেন এবং কোন কাজ করতে কতদিন লাগে সেটা দেবেন। তখন তো আমরা জানি না ডিসেম্বর বা অন্য কোনো টাইমলাইন তো তখনও আসে নাই।

ডিসেম্বরকে লক্ষ্য করে আপনার প্রস্তুতি কবে থেকে শুরু করলেন- এই প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেন; সম্ভবত গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর তিনি যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন, তখন আমি মৌলভীবাজারে ছিলাম। ওখানে বসেই আমি শুনলাম যে ‘আইদার ইট উইল বি ইন ডিসেম্বর, অর ইন জুন’- এটা শুনলাম তার বক্তব্যের মধ্যে।

শোনার পর ভাবলেন কি না যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ, এইটা শোনার পরে প্রস্তুতি বাড়িয়ে দিলাম আমরা, ডিসেম্বরকে ধরে ব্যাক ক্যালকুলেশন করে। কারণ ইলেকশনের ডেট থেকে অন্তত দুই মাস আগে আমাদের শিডিউল ঘোষণা করতে হয় আমাদের আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অনুসারে।

তিনি বলেন, কারণ তফসিল ঘোষণ থেকে ভোটের তারিখ পর্যন্ত যে কর্মকাণ্ডগুলো দরকার, তাতে অন অ্যাভারেজ দুই মাস না হলে পারা যায় না। যেমন ধরেন, নমিনেশন ফাইল করার জন্য সময় লাগে।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে সরকারের কাছ থেকে কোনো গাইডেন্সও নাই, পরামর্শও নাই, আদেশও নাই, নির্দেশও নাই, নাথিং। আমরা অ্যাবসোলিউটলি ইন্ডিপেনডেন্টলি এই প্রস্তুতি নিচ্ছি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে কী কথা হয়েছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ছিল মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎকার। কোনো এজেন্ডাভিত্তিক আলোচনার জন্য আমি যাইনি। আমি প্রেসে বলেছিলাম, সৌজন্য সাক্ষাৎ অর্থ এই নয় যে সালাম দিয়ে বসে থাকলাম ৪৫ মিনিট। তারপর আবার চলে আসলাম ওয়ালাইকুম আস সালাম দিয়ে। ইট ডাজ নট মিন দ্যাট।

তিনি আরও বলেন, অভিয়াসলি, উনি হেড অব দ্য গভমেন্ট, তার জন্য একটা নির্বাচন সামনে আছে, নির্বাচনটা আমাকে ডেলিভার করতে হবে, ইসিকে ডেলিভার করতে হবে। অভিয়াসলি, নির্বাচনটা আলোচনার মধ্যে এসে গেছে। শুধু তিনি জানতে চেয়েছেন যে আমাদের প্রিপারেশনের অবস্থা কী, স্ট্যাটাসটা কী, আমরা কতদূর এগিয়েছি, প্রস্তুত কী রকম।

উনি জানতে চেয়েছিলেন, আমি তাকে ডিটেইল জানিয়েছি, আমি কী কী করেছি, কী কী করতেছি, কী কী বাকি আছে বা আমাদের টাইমলাইনটা কী, কখন আমরা শেষ করতে পারব। আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কিত একটা ব্রিফ (ধারণা) তাকে (প্রধান উপদেষ্টাকে) আমি দিয়েছি। কারণ এটা ছিল মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎকার।

কয়েকটি রাজনৈতিক দল বলছে যে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ এখন নেই, এ বিষয়ে আপনার কী মত, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, অ্যাকচুয়ালি রাজনীবিদদের বক্তব্যের বিষয়ে আমরা গাইডেড না। রাজনীতিকরা নানা ধরনের কথাবার্তা বলে। কোনো কোনো দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলে, পরে আবার ব্যাক ট্র্যাক করে বলছে যে সংস্কারের আগে ভোট হতে পারবে না। নানা ধরনের কথা বলে। এইটা হলো রাজনৈতিক বক্তব্য।

আইনশৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতির কথা দলগুলো বলছে, মব ভায়োলেন্স বা দলবদ্ধ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, সেটার কথা বলছে। এর মাঝে নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জিং হবে। বাট ইট ইজ পসিবল। চ্যালেঞ্জিং, কারণ এখন তো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগস্টে যা দেখছিলাম বা গত বছরের ৮ আগস্টে যা দেখছিলাম অনেক ইম্প্রুভ করে গেছে না? অনেক ইম্প্রুভ করছে।

তিনি বলেন, ধরেন নির্বাচন যখন হবে, তখন ওই সময়ের মধ্যে দেখবেন যে সব কিছু শান্ত, অসুবিধা হবে না। বিশেষ করে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ছোট হোক বড় হোক, তারা কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে প্রথম থেকেই। কেউ বলে নাই যে আমি আগের মতো নির্বাচন চাই। জনগণ যদি আপনার সঙ্গে থাকে, কোনো রকমের কোনো মব বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপনাকে তো ক্ষতি করতে পারবে না।

জনগণ তো মব চায় না। কিন্তু সেটা তো নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখন পর্যন্ত। দেখা যাচ্ছে তো এটা হচ্ছে নিয়মিত। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে কী হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কনফিডেন্ট যে ইলেকশন যখন হবে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ব্রিফিং দিয়েছেন, শুধু পুলিশকে নয়, তিনি তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্মি থেকে আরম্ভ করে, আর্মি কীভাবে ডেপ্লয়মেন্ট হবে, বিজিবি কীভাবে হবে ইত্যাদি নানাবিধ প্রশ্ন করেছেন, এই চ্যালেঞ্জেসগুলো সামনে রেখে কিন্তু সরকারের যেমন তার নিজস্ব প্রস্তুতি চলছে, আমাদেরও কিন্তু একই রকম প্রস্তুতি চলছে। এই সব চ্যালেঞ্জগুলো কিন্তু আমাদের মাথায়ও আছে। এগুলো অ্যাড্রেস করার জন্য আমরা প্রস্তুত। সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নেব।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না- জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন: আমি মনে করি যে নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, একটা ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন, সেটার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নট বি প্রবলেম, আমি মনে করি।

মন্তব্য

বিনোদন
The air of Dhaka today is significant improvement

ঢাকার বাতাসে আজ লক্ষণীয় উন্নতি

ঢাকার বাতাসে আজ লক্ষণীয় উন্নতি

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়, এরপর দুই তিন ধরে বৃষ্টির পাশাপাশি মাঝেমধ্যে রোদেরও দেখা মিলেছে। তবে এই পুরোটা সময় জুড়ে ঢাকার বাতাসের মানে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। আজও সকালে ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, এরই মধ্যে শহরটির বাতাসে দেখা গেছে লক্ষণীয় উন্নতি।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৪। যেটি বায়ুমান ‘ভালো’ হয়ে ওঠার খুবই কাছাকাছি। কারণ একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।

গতকাল সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৪৭। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বাতাসের মান নির্ণয়কারী সংস্থা আইকিউএয়ারের শ্রেণি অনুযায়ী এই স্কোর ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।

তবে আজ সকাল হতেই ‘ভালো’ হওয়ার কাছাকাছি চলে গেছে ঢাকার বাতাসের মান। এই উন্নতি নিশ্চিতভাবে রাজধানীবাসীর জন্য স্বস্তিদায়ক। দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ৬৪তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। কখনও কখনও অবনতিও স্বস্তি দেয়, যেমনটা আজ এই তালিকা দিচ্ছে ঢাকাবাসীদের।

এর আগে, টানা কয়েকদিন ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল। যদিও আজ একই পর্যায়ে রয়েছে, তবে স্কোরের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। কারণ একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়।

এদিকে, একই সময়ে ১৭৩ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে কঙ্গোর কিনশাসা। ১৬৬ ও ১৬৫ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ভিয়েতনামের হ্যানয় ও চিলির সান্তিয়াগো। শহরগুলোর বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।

মন্তব্য

বিনোদন
Magura was killed in a bus collision with a van driver and injured

মাগুরায় বাসের ধাক্কায় ভ্যানচালকসহ নিহত ৩, আহত ১৫

মাগুরায় বাসের ধাক্কায় ভ্যানচালকসহ নিহত ৩, আহত ১৫

মাগুরায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সাগর হোসেন (৩০) নামে এক ভ্যানচালক ও রেশমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মাগুরা ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে ভ্যানচালক সাগর মাগুরা সদর উপজেলার গৌরিচরণপুর গ্রামের আওয়াল মোল্ল্যার ছেলে।

নিহত রেশমা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের দোড়ামতনা গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অপর নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন— তানিয়া (২০), সোহাগ (২৭), সামসুল (৩৪) এবং সামিহা (৩০)। তাদের মাগুরা সদর হাসপাতাল ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল (রবিবার) সকালে মাগুরার আলমখালী বাজার থেকে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান যাত্রী নিয়ে হাটগোপালপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। পথে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের রামনগর এলাকার ঢালব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানচালক সাগর ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

দুর্ঘটনার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে উল্টে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মহাসড়কের গর্ত এড়িয়ে চলতে গিয়ে ভ্যানটি রাস্তার মাঝখানে উঠে যায়, যার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে হাইওয়ে পুলিশ।

এ বিষয়ে রামনগর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসেন জানান, রবিবার সকালে মেহেরপুর থেকে যাত্রীবাহী গোন্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসে। পথে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের রামনগর পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস ব্যাটারিচালিত ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে যায়। পরে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে মাগুরা ও ঝিনাইদহ হাসপাতালে পাঠান।

তিনি আরও জানান, এ দুর্ঘটনায় বাসটিকে পুলিশ আটক করেছে। তাছাড়া, মাগুরা থানায় একটি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসআই মাহবুব।

মন্তব্য

বিনোদন
Posters and postcards were published on the occasion of the anniversary of the mass uprising on July

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। প্রকাশিত ১০টি পোস্টারের সবগুলোই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক।

পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পোস্টকার্ড 'নোটস্ অন জুলাই'-এ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ পোস্টকার্ডে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-সম্পর্কিত স্মৃতি ও মতামত প্রদান করবেন। এসব পোস্টকার্ড গুরুত্বসহকারে সংরক্ষণ করা হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

মাঠপর্যায়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা তথ্য অফিসসমূহ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, পোস্টার বিতরণ ও প্রদর্শনসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির সকল কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা ও মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিনোদন
Armed forces magistracy capacity increase by two months

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দুই মাস বৃদ্ধি

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দুই মাস বৃদ্ধি

সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। যা ১৪ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ (যাদের মধ্যে কোস্ট গার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তারাও অন্তর্ভুক্ত) সারাদেশে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
There is no wrongdoing that the fascist government has not done Nahid Islam

এমন কোনো অপকর্ম নাই যে ফ্যাসিস্ট সরকার করে নাই: নাহিদ ইসলাম

এমন কোনো অপকর্ম নাই যে ফ্যাসিস্ট সরকার করে নাই: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী একটা ফ্যাসিস্ট সরকার, শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটেছিল। স্বৈরাচার সরকার জোর করে ১৬ বছর ক্ষমতায় টিকে ছিল। মানুষের প্রতি এমন কোনো নির্যাতন নাই যে করে নাই। গুম, খুন, নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাট থেকে শুরু করে ভোটাধিকার হরণ, সন্ত্রাস এমন কোনো অপকর্ম নাই যে ফ্যাসিস্ট সরকার করে নাই। তিন-তিনবার দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। ফলে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। সীমাহীন জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল।

জুলাই পদযাত্রার ১৩তম দিনে রোববার জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) পিরোজপুর জেলা শাখার আয়োজনে স্থানীয় শহীদ মিনারে এসব কথা বলেন।

সকাল ১১টায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা পিরোজপুর সার্কিট হাউস থেকে পদযাত্রা শুরু করে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পথসভায় বক্তব্য দেন। পদযাত্রাটি পিরোজপুর শহরের সিও অফিস থেকে সদর রোড সাধনা ব্রিজ ও পিরোজপুর মূল শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে এসে পথসভায় মিলিত হয় ।

পথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা সারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃরা।

পথসভায় অংশগ্রহণ করতে জেলার সাতটি উপজেলা থেকে এনসিপির নেতা-কর্মীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে উপস্থিত হয় এবং বৃষ্টিতে ভিজে কেন্দ্রীয় নেতৃদের বক্তব্য শোনেন।

p
উপরে