× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
google_news print-icon

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস

৩০-বছর-পর-মুখোমুখি-হ্যানিবল-ও-ক্ল্যারিস
সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস সিনেমার দৃশ্যে হ্যানিবল লেক্টর ও ক্ল্যারিস
সাইকোলজিক্যাল হরর ছবি সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুখোমুখি বসেছিলেন এই বিখ্যাত সিনেমার দুই প্রধান শিল্পী অ্যানথনি হপকিন্স ও জোডি ফস্টার।

সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস সিনেমাকে বলা হয় ইতিহাসের অন্যতম সেরা সাইকোলজিক্যাল হরর সিনেমাগুলোর একটি। সিরিয়াল কিলার হ্যানিবল লেকটারের চরিত্রটি ৩০ বছর পরেও মানুষ স্মরণ করে সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ সিরিয়াল কিলার হিসেবে।

সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯১ সালের ৩০ জানুয়ারি। সে বছর সিনেমাটি জিতে নেয় পাঁচটি অস্কার পুরস্কার। সেরা অভিনেতা ও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ছিনিয়ে নেন দুই মূল অভিনয়শিল্পী অ্যানথনি হপকিন্স ও জোডি ফস্টার।

অ্যানথনি হপকিন্স অভিনয় করেছিলেন সিরিয়াল কিলার হ্যানিবল লেকটারের চরিত্রে। অস্কারজয়ী এ অভিনেতাকে যখন সিনেমার চিত্রনাট্য দেয়া হয়, নাম পড়ে তিনি ধারণা করেছিলেন এটা কোনো শিশুতোষ গল্প। কিন্তু যখন পড়া শুরু করলেন, এক শ্বাসে পড়ে ফেললেন। বাকিটা ইতিহাস।

জোডি ফস্টার অভিনয় করেন এফবিআই প্রশিক্ষণরত তরুণীর চরিত্রে, যে হ্যানিবল লেকটারের চিন্তাভাবনা অনুসরণ করে অন্য আরেক সিরিয়াল কিলারকে ধরার চেষ্টায় থাকে।

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস সিনেমার দুই চরিত্র হ্যানিবল লেক্টর ও ক্ল্যারিস

জনাথন ডেমি পরিচালিত এ আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল হরর সিনেমাটির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ দুই প্রধান অভিনয়শিল্পী অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইট-এর একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে। সাক্ষাৎকারটি আয়োজন করে অ্যামাজন স্টুডিও।

কথোপকথন জুড়ে তাদের মধ্যে এমন একাত্মতা ছিল, যেন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিচয় হওয়া দুই বন্ধু।

আগামী অস্কারেও তাদের দেখা হতে পারে। ফ্লোরিয়ান জেলারের দ্য ফাদার সিনেমায় হপকিন্স অভিনয় করেছেন অ্যানথনি চরিত্রে, যে ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত। কেভিন ম্যাকডোনাল্ডের দ্য মরিটানিয়ান সিনেমায় ফস্টার অভিনয় করেছেন একজন প্রতিরক্ষা আইনজীবীর চরিত্রে, যে তার নির্দোষ মক্কেলকে গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে চায়।

জোডি ফস্টার: আপনার সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমি অনেক উচ্ছ্বসিত। আপনার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল দ্য ফাদার সিনেমা দেখার পরে, কী অসাধারণ একটা সিনেমা। এর জন্য আপনাকে নিশ্চই অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।

ডিমেনশিয়ার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। আমার মা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন এবং অনেক বছর ধরে আমরা তার চিকিৎসা করিয়েছি। মানুষের মস্তিষ্ক ও আত্মা সম্পর্কে তিনি অনেক কিছু শিখিয়েছেন। প্রথম থেকেই তিনি লড়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু একটা সময় এলো, যখন তিনি মেনে নিলেন তার সঙ্গে যা ঘটছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।

কোনটা বাস্তব কোনটা অবাস্তব বলে নিজেকে প্রশ্ন করা, নিজেকে এমন জায়গায় কল্পনা করা, এই অবস্থা নিয়ে আমার মনে হয় আপনি কথা বলতে চাইবেন।

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
দ্য ফাদার সিনেমায় অ্যানথনি হপকিন্স

অ্যানথনি হপকিন্স: আমার অভিভাবকদের কেউ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন না, তাই আমার এমন অভিজ্ঞতা নেই। ফ্লোরিয়ান জেলার আমাকে চরিত্রটা দিয়েছে এবং এরপর আমি চিত্রনাট্যকার ক্রিসটোফার হ্যাম্পটনের সঙ্গে দেখা করি। এখন যেহেতু আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি, চেষ্টা করি পুরো প্রক্রিয়াটাকে সহজ করে তুলতে।

আমি খুব বেশি বিশ্লেষণ করি না। আর একটা ভালো চিত্রনাট্য মানে পুরো রাস্তার মানচিত্র। আমি শুধু সেই দেখিয়ে দেয়া পথে হেঁটে যাই। আমাকে বুড়ো হওয়ার অভিনয়ও করতে হয় না, কারণ আমি বাস্তবেই বুড়ো। ৮৩ বছর বয়স আমার। এখন আমার হাঁটুতে ব্যথা, কোমরে ব্যথা হয়।

ফস্টার: আপনি কোন ধরনের গবেষণা করেছেন?

হপকিন্স: দুটি চিত্রনাট্য আমাকে তাৎক্ষণিক প্রভাবিত করেছিল। একটা সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস এবং আরেকটি দ্য ফাদার। খুবই পরিষ্কার করে লেখা। আমাকে কোনো গবেষণাই করতে হয়নি। আমি নিজেকে সে লেখার মধ্যে ফেলতে পেরেছি। শুনতে হয়তো খুব আবেগী মনে হবে, কিন্তু জীবন যে কত মূল্যবান, তা আমি এখন বুঝতে শিখেছি। যেভাবে আমরা নিজেদের এই রহস্যময় জগতের মধ্যে আটকে রাখি, তা বিস্ময়কর।

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস সিনেমার পোস্টার

জীবন আমার কাছে স্বপ্নের মতো, পুরোটাই একটা মায়া। তবে এ চিন্তা আমাকে অন্য আরেকটি বিষয়ে সচেতন করেছে। তা হলো, জীবনটাকে আমরা যতটুকু বুঝি, বা আমাদের নাগালের মধ্যে মনে করি, জীবন তার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষমতাশালী। আমাদের গভীরে এমন কিছুর অস্তিত্ব আছে, যা আমাদের বোঝার সাধ্য নেই।

ফস্টার: সিনেমার যে দিকটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, তা হলো, এটা আপনার অভিনীত মনুষ্যত্বের সবচেয়ে কাছাকাছি চরিত্র।

হপকিন্স: শুটিংয়ের প্রথম দিনের কথা আমার মনে আছে, যেদিন অলিভিয়া কোলম্যানের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়। আমি অবাক হলাম, যখন বুঝলাম আমার বাবার প্রতিফলন আমি নিজের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। প্রতিনয়ত আমি ওকে (অলিভিয়া কোলম্যান) বিরক্ত করে যাচ্ছিলাম।

আমার বাবা তার মৃত্যুর আগে এমনই আচরণ করেছিল, কারণ সে ভয় পাচ্ছিল। শুধু একরোখাই নয়, ভীত। এটা দেখা প্রচণ্ড কষ্টের। আমি জানতাম কেমন করে এ চরিত্রকে খেলা যায়, কারণ ৪০ বছর আগে আমি আমার বাবাকে এর মধ্যে দিয়ে যেতে দেখেছি। হতাশা, শূন্যতা আর কষ্ট আমরা কেউই এর মধ্যে থেকে বেঁচে ফিরতে পারি না।

ফস্টার: আমি জানি না এটা সম্ভব কিনা, কিন্তু আমার মনে হয় আপনার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাজের দক্ষতাও বেড়েছে। আপনার কী মনে হয় যে, আপনি এই বয়সে এসে এমন কিছুর সন্ধান পেয়েছেন যা তরুণকালে হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল?

হপকিন্স: হ্যাঁ, আমি একমত। কারণ আমার বয়সের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতাও এখন বাড়ছে। তবে এটাকে আমি বড় করে দেখি না। কিন্তু এখনও অনেক কিছু আমার শেখা বাকি। আমি লেখাটা পড়ি, তারপর নিজের মতো তাকে তৈরি করি। আমার কাছে লেখাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যখন তুমি শিখে ফেল, তখন এটা শিম খাওয়ার মতোই সহজ। পুরো ধারণাটাকে নিজের মধ্যে গ্রাস করে ফেলতে হবে এবং নিজের মতো গড়ে নিতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত বিষয়টা সত্যি মনে হয়।

দ্য মরিটানিয়ান সম্পর্কে আমাকে বল, কখন এটা করলে?

ফস্টার: আমরা গত বছর এটা করেছি। ফেব্রুয়ারিতে, করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানার সময়েই আমরা এটা শেষ করেছি। কেপটাউনে শুটিং করেছি। এরপর আট মাস পার হয়ে গেল, আমি জানি না এই আট মাসে কী হয়েছে। এখনও মনে হয় এইতো সেদিন শুটিংটা শেষ করলাম।

হপকিন্স: তোমরা সবাই দারুণ অভিনয় করেছ। কিন্তু দেখতে কষ্ট লেগেছে। গুয়ানতানামোর পরিস্থিতি…

ফস্টার: মোহামেদৌয়ের (ঔলোদ সালাহি) গল্পটা অসাধারণ। অনেক কারণেই সিনেমা করা হয়, কিন্তু খুব কম সময়েই শুধুমাত্র চরিত্রটার জন্য আমরা সিনেমা করি। কারণ সে চরিত্রটা তোমাকে নিজের সম্পর্কে আরও নতুন কিছু শেখায়। আমরা সবাই ওর পাশে ছিলাম। ওর সঙ্গে যা ঘটেছে, এমন কাউকে চেনা, তোমার অপরাধ সম্পর্কে কোনো কিছু না জেনেই একটা কারাগারে ১৫ বছর পার করে দেয়া, অপর একটা দেশ যখন নিজের ঘর থেকে কোনো কারণ ছাড়া অপহরণ করে নিয়ে যায়। এত বছরের মানসিক অত্যাচার ও নিঃসঙ্গতার পর সে যখন একজন স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করে, নিজের উপর আস্থা রাখে, সেটা সত্যিই আনন্দদায়ক।

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
দ্য মরিটানিয়ান সিনেমায় জোডি ফস্টার

হপকিন্স: নেলসন ম্যান্ডেলার মতো, ছাড়া পাওয়ার পর যার মধ্যে শুধু ক্ষমা ছিল।

ফস্টার: সে যখন কারাগারে ছিল, প্রায় ৮০ বারের মতো দ্য বিগ লেবস্কি সিনেমাটি দেখেছে। গুয়ানতানামোর ২০ বছর বয়সী দেহরক্ষীর থেকে সে ইংরেজী শিখেছে। তার কথা বলার ধরন অনেকটা ডুডের মতো। ন্যান্সি হল্যান্ডারের যে চরিত্রটি আমি করেছি, সেও বেশ আসাধারণ। নাগরিক অধিকারের পক্ষে লড়া আইনজীবী, যে বেশির ভাগ সময়েই দোষী ব্যক্তিদের মামলা লড়েছে। আইনের শাসন ও সংবিধানের প্রতি তার আস্থা আছে।

হপকিন্স: দারুণ!

ফস্টার: আমি কখনও বাস্তব জীবনের কোনো চরিত্রে অভিনয় করিনি। ওহ, একবার করেছিলাম (অ্যানা এন্ড দ্য কিং) কিন্তু সে ২০০ বছর ধরে মৃত, তাই বিষয়টা সহজ ছিল।

হপকিন্স: আপনি কি এর আগে বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচের সঙ্গে কাজ করেছেন?

ফস্টার: না, তার চরিত্রগুলো থেকে বাস্তবে তিনি খুব একটা আলাদা নন। তিনি খুব প্রাণোচ্ছ্বল একজন ইংলিশম্যান।

হপকিন্স: গুয়ানতানামো বে কারাগারের ক্যান্টিনে বিয়ার খাওয়ার অভিজ্ঞতা, যখন আপনি সেই টেবিলটায় বসে ছিলেন…

ফস্টার: এসব সত্যি! আপনি জানেন, গুয়ানতানামোতে একটা গিফট শপ আছে, যেখানে ওরা ছোট ছোট গুয়ানতানামো স্নো গ্লোব বিক্রি করে।

হপকিন্স: কী অদ্ভুত একটা দুনিয়া।

ফস্টার: প্রায় ৩০ বছর হয়ে গেল আমরা সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস করেছি, বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। সে সিনেমার, শুটিংয়ের, পিটসবার্গের অনেক স্মৃতি আমার কাছে জমা হয়ে আছে। এবং জনাথন ডেমি, আমাদের ছেড়ে চলে গেল, যাকে আমরা দুজনেই ভালবাসতাম।

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস সিনেমার দৃশ্যে হপকিন্স ও ফস্টার

হপকিন্স: হ্যাঁ, আমার মনে আছে, ১৯৮৯ সালে আমি লন্ডনে মিস্টার বাটারফ্লাই নামে একটা নাটকের কাজে ছিলাম। আমার এজেন্ট আমাকে স্ক্রিপ্টটা দেয়। সে বলে, ‘এটা পড়ে দেখ। নাম সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস । আমি বললাম, ‘এটা কি বাচ্চাদের গল্প?’ এক গরমের দুপুরে স্ক্রিপ্টটা এলো এবং আমি পড়া শুরু করলাম। ১০ পৃষ্ঠা যাওয়ার পর আমি আমার এজেন্টকে ফোন করে বললাম, ‘এটা কি আসলেই আমাকে অফার করা হয়েছে? আমি জানতে চাই। এটা আমার পড়া সেরা লেখাগুলোর একটা।’

আমি বাকিটা পড়ে শেষ করলাম। তারপর এক শনিবার বিকেলে জনাথন ডিনারে আসলো। আমি ওকে প্রশ্ন করলাম, ‘তুমি কি আসলেই এটা বানাবে?’ সে বলল, ‘হ্যাঁ’। আমি জবাব দিলাম, ‘ঠিক আছে’। তার সঙ্গে কাজ অদ্ভুত ভালো লাগা তৈরি করেছে। আমি আমার ভাগ্যকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমার তোমার সঙ্গে কথা বলতে ভয় হচ্ছিল। আমার মন হচ্ছিল, ‘ও মাত্রই একটা অস্কার জিতেছে।’

ফস্টার: সামনাসামনি স্ক্রিপ্ট পড়ার আগে আমাদের তেমন কথা হয়নি। আমরা দূর থেকে এক জন আরেকজনকে হাত নেড়েছিলাম তারপর টেবিলে বসে পড়েছি। আপনি যখন হ্যানিবল লেকটারের মধ্যে ঢুকে পড়লেন, ঘরজুড়ে একটা ছমছমে ভাব আমি নিজের মধ্যে অনুভব করেছি। তারপর থেকে কোনো এক কারণে আমরা দুইজনই একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেতাম।

হপকিন্স: ওরা পোশাকের ট্রায়াল করেছিল এবং আমি জানতাম না আমার সেখানে কথা বলার জায়গা ছিল কিনা। কিন্তু সেই ডিজাইনার আমাকে একটা কমলা রঙয়ের কারাবন্দীর পোশাক পরিয়ে দেয়। আমি তখন বললাম যে, ‘না, আমি আলাদাভাবে তৈরি করা পোশাক চাই।’

আমি জানতাম চরিত্রটা দেখতে কেমন হবে। ওর কণ্ঠটা স্ক্রিপ্ট পড়ার প্রথম দিনেই আমি শুনতে পাই। জনাথন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল। আমি বলেছিলাম, ‘ও (হ্যানিবল লেকটার) একটা মেশিনের মত। ২০০১: স্পেস অডিসি-এর হ্যাল কম্পিউটারের মতো, ‘গুড ইভিনিং, ডেভ।’ নির্বাক হাঙ্গর মাছের মতো ওর বিচরণ।

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
হ্যানিবল লেক্টর

ফস্টার: অদ্ভুত।

হপকিন্স: প্রথম দিন যখন তুমি কারাগারের করিডোরে এলে, অনেকগুলো অদ্ভুত লোক (কারাগারে থাকা অন্যান্য বন্দীরা, যখন ক্ল্যারিস হ্যানিবলের সঙ্গে দেখা করতে যায়)। জনাথন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘তুমি নিজেকে কীভাবে দেখাতে চাও? বই পড়া বা ছবি আঁকতে থাকা অবস্থায়, নাকি শুয়ে থাকবে?’ আমি বললাম, ‘আমি দাঁড়িয়ে থাকব। করিডোরে হেঁটে আসার মুহূর্তে আমি ওর ঘ্রাণ পেয়েছি।’

ফস্টার: সেটটা খুব ভূতুড়ে ছিল। প্রত্যেকটা বন্দীর বৈশিষ্ট্য আলাদা ছিল, কিন্তু সবাই খুব অন্ধকারের মধ্যে, খুব বিষণ্ন অবস্থায়। তারপর এলো লেকটার: আলোকিত, ফ্লোরেসেন্ট লাইটের মতো এবং দ্বিমাত্রিক।

হপকিন্স: আমি স্বভাবতই অনেক ভীত ছিলাম। আমার মতো একজন ইংলিশম্যান- একজন লাইমি, একজন ওয়েলশম্যান, যে কিনা আমেরিকান একজন সিরিয়াল কিলারের অভিনয় করছে। আমার মনে আছে, জনাথন যখন আমার প্যাক-আপ করল, তখন বলে ওঠে, ‘ওহ মাই গড। দ্যাটস ইট, হপকিন্স। তুমি খুব অদ্ভুত!’। আমি বললাম, ‘কেন, ধন্যবাদ।’

লাইটের মেয়েটাকে ওরা আমার সেলে পাঠিয়েছিল। ওকে দেখে আমি বলি, ‘তুমি আমার সেলে কী করছ?’ জনাথন তখন বলে ওঠে, ‘হা ঈশ্বর!’। আমি জানতাম আমি সঠিক বাটনেই চাপ দিয়েছি। এবং একবার তাতে চাপ দেয়ার পর তুমি সেটা ধরেই এগিয়ে যাবে।

ফস্টার: আমার মনে আছে আপনার কথা বলার আলাদা একটা ধরন, একটা আওয়াজ ছিল, একটা ধাতব কণ্ঠ। ক্রিস নিউম্যান সাউন্ড মিক্সার ছিল এবং সেও ব্যাপারটা খেয়াল করেছে। সে বিষয়টা আরও সুন্দর করেছে। আমার মনে হয় আমরা সবাই বইটা থেকে অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি।

হপকিন্স: দারুণ একটা সময় ছিল। আমার মনে আছে, রয়্যাল অ্যাকাডেমি অফ ড্রামাটিক আর্টের এক শিক্ষক ছিলেন, তার নাম ছিল ক্রিস্টোফার ফেটেস। তার পড়ার বিষয় ছিল আন্দোলন। তার কণ্ঠ খুব ধারালো ছিল, এতই ধারালো যে সেটা তোমাকে কেটে কয়েক টুকরা করে ফেলবে। তুমি আসলে কী করছ, সেটা নিয়ে তার খুব স্পষ্ট ধারণা ছিল; এই পদ্ধতিটা আমার সঙ্গে রয়ে গেছে। আমি যখন হ্যানিবল করছিলাম, আমার মনে হয়েছে, এটাই ক্রিস ফেটেস, এটা ওরই কণ্ঠ। এই মানুষটা নির্দয়।’

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস সিনেমার দৃশ্য

ফস্টার: ওহ।

হপকিন্স: কারাগারের সিনটা আমার মনে আছে। আমি যখন বলেছি, না! ভুল, আবার করি। যে এটা দেখছে, তার কাছে মনে হতে হবে পুরো ব্যাপারটা প্রাণঘাতী, কিন্তু একই সঙ্গে আকর্ষণীয়।

ফস্টার: এত ছোট ছোট বর্ণনা। এ সিনেমা নিয়ে আমি সত্যি খুব গর্ব বোধ করি।

হপকিন্স: ক্ল্যারিসকে নিয়ে বলো। কারণ তোমাকে নিয়ে আমার প্রথম ধারণা হয়, আমি কাজ শুরু করার আগে আমি ডেইলিসে গিয়েছিলাম। সেখানে গ্যারেজের কিছু সিন করা হচ্ছিল এবং অ্যাড স্যাক্সনের মাথা বোতলে ভরা ছিল।

ফস্টার: জারে ভরা ছিল।

হপকিন্স: হ্যাঁ। জনাথন আমাকে কাজের সুবিধার জন্য কিছু ক্লিপ দেখিয়েছিল। এবং আমার মনে আছে, যখন এলিভেটরে বড় বড় এফবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে তোমাকে দেখানো হয়। আমার মনে হচ্ছিল, ‘দুর্দান্ত!’ কারণ তুমি এই পুরুষালি জগতের মধ্যে ছোট একটা মানুষ ছিলে, যে সবার চোখে একজন সাহসী নায়কে পরিণত হয়েছে।

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
ক্ল্যারিস

ফস্টার: আপনার চিন্তায় এমন বিচ্ছিন্ন কিছু কল্পনার দৃশ্য আসতে থাকে, তখন মনে হয়, ‘এই কাজটাই আমি করতে চাই।’

আমার কাছে ক্ল্যারিস গুরুত্বপূর্ণ ওর চিন্তার কারণে। সে ভেড়াগুলোর রক্তক্ষরণের ভয় পেত, তাদের কান্নার শব্দ এবং তাদের সাহায্য করতে সে কিছুই করতে পারছে না। আমার মা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, কেন আমি এমন একটা চরিত্র করতে চাই যে, চুপচাপ আর লাজুক।’

তার মধ্যে এক ধরনের নিস্তব্ধতা ছিল। সামান্য লজ্জা ছিল যে, সে অন্যদের মতো বড় না, শক্তিশালী না। সে যে শরীর নিয়ে জন্মেছিল, তার থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে প্রতিনিয়ত। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, এটাই তার শক্তি। অন্য এক দিক দিয়ে দেখলে, সে বাকি শিকারগুলোর মতোই ছিল- কোনো এক শহরের কোনো এক মেয়ে। অপরাধীদের শিকারগুলোর সঙ্গে সে নিজেকে মেলাতে পেরেছিল এবং এটাই তাকে নায়কে পরিণত করেছে। আমার মনে হয় মানুষ এখনও এসে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি কিছু ভালো সিয়ান্তি পান করতে চাও?’

হপকিন্স: হ্যাঁ আমি এখনও এ প্রশ্ন পাই। ঐ ঘটনা থেকে আমার কোন কথা বেশি মনে পড়ে জান? কারাগারের সেই সিনটা করার পর আমরা সবাই যখন ওয়ারহাউজে খেতে গেলাম।

ফস্টার: ঠিক!

৩০ বছর পর মুখোমুখি হ্যানিবল ও ক্ল্যারিস
সায়লেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস সিনেমার দৃশ্য

হপকিন্স: এবং আমি ভাবছিলাম, ‘কী অসাধারণ! আমরা সবাই একসঙ্গে বসে আছি।’ তখন আমরা খাবার খাচ্ছিলাম আর একে অন্যের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছিলাম- আর এখন এভাবে লাঞ্চ করছি। এসবের আমি অর্থ খুঁজে পাই না। এ কারণেই জীবন একটা মজাদার খেলা। আমরা সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠি, বিভিন্ন জায়গায় যাই, অন্য কারো পোশাক পরি এবং সংলাপ বলি, যার সঙ্গে আমাদের কোনো সংযোগ নেই। তখন তুমি ভাব, ‘পৃথিবীতে আসলেই তুমি কী করছ?’ এটাই জীবনের অপূর্ব, মোহনীয় খেলা।

ফস্টার: আমাদের দুজনের জন্যই সিনেমাটা জীবন বদলে দেয়া একটা অভিযান।

হপকিন্স: ঠিক। পরিচালনা কীভাবে শুরু করলে? কারণ আমি লিটল ম্যান টেট দেখেছি (সিনেমার প্রিমিয়ারে)। আমি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমি তোমাকে হ্যালো বলেছি।

ফস্টার: সবসময়ই আমি পরিচালনা করতে চেয়েছি। ছোটবেলায় আমি একটা টেলিভিশন শো করেছিলাম। একদিন আমি দেখলাম, এক অভিনেতা শোয়ের একটা পর্ব পরিচালনা করছে। তখন বিষয়টা কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকছিল না। আমি ভাবছিলাম, ‘অভিনয়শিল্পীদের পরিচালক হতে দেয়? আমি এটাই করতে চাই।’ আমি সারাজীবন এটা নিজের মধ্যে রেখে দিয়েছি, কারণ আমি তখনও কোনো নারী পরিচালক দেখিনি। তাই আমি জানতাম না এটা আসলে সম্ভব কিনা। তারপর ১২ বা ১৩ বছর বয়সে লিনা বার্টমুলারের সোয়েপ্ট আওয়ে দেখলাম। এরপর নিজেকে বললাম, ‘এই তো একজন নারী পরিচালক।’

আপনি কি পরিচালনা করেছেন?

হপকিন্স: আমি পরিচালনা করেছি। কিন্তু তোমার মতো দক্ষতা আমার নেই। আমি অভিনয়টাই ভালোবাসি। পরিচালনা করার চেয়ে পরিচালিত হতেই ভালো লাগে।

ফস্টার: আমার মনে হয়েছে আমার মধ্যে অভিনয়শিল্পীর স্বভাব নেই। দুঃখজনকভাবে অভিনয়টা স্বভাবত আসে না। এর চেয়ে নিজেকে একজন পড়ুয়া বা চিন্তাশীল মানুষ বলে মনে হয়। আমি চেস মুভার। অভিনয় আমার পরিবার থেকে এসেছে, আমি সেটা করে গিয়েছি। এটা বলতেই হবে, প্রতি সপ্তাহেই আমি বলি, ‘না, আমি আর অভিনয় করব না।’

কিন্তু এটা আকর্ষণ করে। আমার মনে হয়, এটা আমার মতো মানুষদের জন্য খুব ভালো একটা উপায়, যারা নিজেদের মাথার ভিতর থাকতেই পছন্দ করে। মাথা থেকে নিজেকে বের করে শরীরে থাকা – এটা আমাকে মানুষ হিসেবেও গড়েছে।

হপকিন্স: দারুণ। বিদায় ক্ল্যারিস।

ফস্টার: বিদায় টনি, বিদায় ডাক্তার লেকটার। শিগগিরই দেখা হবে।

আরও পড়ুন:
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ অভিনয় করবেন নৃবিজ্ঞানভিত্তিক সিনেমায়
আবার মুখোমুখি গডজিলা ও কিং কং
এক সিনেমায় ডি নিরো, বেল, রামি, মার্গো

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
KGF 2 has crossed Rs 600 crore in 7 days

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’ কেজিএফ রকিং স্টার যশ।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু

যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু

ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।

হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।

আরও পড়ুন:
বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

বিনোদন
Kolkata International Film Festival starts on 25th April

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।

আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।

উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি

পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।

এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।

চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।

২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।

চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।

শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।

মন্তব্য

বিনোদন
Priyanka Nicks daughters name is public

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক তারকা দম্পতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের। এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।

সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।

কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।

জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।

সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।

অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।

এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।

মন্তব্য

বিনোদন
Akshay apologized

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয়

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয় বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।

নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।

সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’

ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।

তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’

তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।

আরও পড়ুন:
‘বচ্চন পাণ্ডে’-তে আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক অক্ষয়ের
টুইটারে আবদার, ভক্তের জন্মদিনে অক্ষয়ের শুভেচ্ছা
সূর্যবংশী: ১০ দিনে আয় ছাড়াল ২০০ কোটি  
অক্ষয়ের ‘সূর্যবংশী’র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিলেন কৃষকরা
কিংবদন্তি ইয়ান কার্দোজোকে নিয়ে সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ

মন্তব্য

বিনোদন
Yash wants a heroine in her Bollywood debut

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ ভারতের কন্নড় সিনেমার রকিং স্টার যশ। ছবি: সংগৃহীত
১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।

শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।

আরও পড়ুন:
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

বিনোদন
What is the difference between Southern and Bollywood Sanjay Dutt

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত
সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি।’

বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।

কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।

বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।

‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’

সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।

আরও পড়ুন:
‘সঞ্জু বাবা’র ৬২
মান্যতাই সঞ্জয় দত্তের জীবনের আলো
ক্যান্সারকে হারিয়ে ঠিকই ফিরব: সঞ্জয় দত্ত

মন্তব্য

বিনোদন
Mother is Kajal Agarwal

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য।

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।

এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’

চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল
কাজল আগারওয়াল ও তার স্বামী গৌতম কিসলু। ছবি: ইনস্টগ্রাম

সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’

শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

মন্তব্য

p
উপরে