কামার আহমাদ সাইমন। ছবি: সংগৃহীত
‘বার্লিনালে স্পটলাইট: ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড’ শিরোনামে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশে (ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশ) একসঙ্গে অনলাইনে প্রথমবারের মতো একটি প্রদর্শনী হচ্ছে। আয়োজন করেছে বাংলাদেশের গ্যাটে ইনস্টিটিউট।
কামার আহমাদ সাইমনের সঞ্চালনায় হতে যাচ্ছে বার্লিনের ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড (ডব্লিউসিএফ) বিজয়ী ছবির একটি বিশেষ অনলাইন প্রদর্শনী।
‘বার্লিনালে স্পটলাইট: ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড’ শিরোনামে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশে (ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশ) একসঙ্গে অনলাইনে প্রথমবারের মতো একটি প্রদর্শনী করা হচ্ছে। আয়োজন করেছে বাংলাদেশের গ্যাটে ইনস্টিটিউট।
প্রথম সারির আন্তর্জাতিক উৎসবগুলোতে আলোচিত বা পুরস্কৃত মোট চারটি ছবি অনলাইনে দেখা যাবে চার মাসে। প্রায় দুইশ ছবি থেকে এই চারটি ছবি প্রদর্শনীর জন্য বাছাই করেছেন প্রযোজক সারা আফরীন।
কামার আহমাদ সাইমন তার নির্মিতব্য শিকলবাহা সিনেমার জন্য বার্লিন থেকে পেয়েছিলেন ডব্লিউসিএফ। শিকলবাহার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ চলছে।
চলতি মাসের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মিসরীয় নির্মাতা তামের আল সাইদের আখের আয়াম এল মদিনা (ইন দ্য লাস্ট ডেইজ অফ দ্য সিটি) দিয়ে উদ্বোধন হবে এই আয়োজন।
বার্লিনে ক্যালগারি ফিল্ম প্রাইজ ও বুয়েনস আইরেসে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতা তামেরের সঙ্গে ছবির শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে লাইভ আড্ডা দেবেন কামার আহমাদ সাইমন।
এ বিষয়ে কামার বলেন, ‘নানা দেশের সমসাময়িক আর্ট হাউজ নির্মাতাদের সঙ্গে লাইভ আড্ডা দেয়ার সুযোগ শুনেই আমি হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম।’
আয়োজকটির কিউরেটর সারা আফরীন জানান, তিনি ছবি বাছাই করেছেন সিনেম্যাটিক ব্রিলিয়ান্স আর দেশে দেশে মানুষের কথা মাথায় রেখে।
জয় বাংলা কনসার্টের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
কনসার্ট না হলেও ৭ মার্চ নিয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক করেছেন বিশেষ পরিকল্পনা। তিনি লিখেছেন, ‘৭ মার্চের জন্য যে বিশেষ পরিকল্পনা করেছি তার বিস্তারিত জানার জন্য ইয়াং বাংলার পেজে চোখ রাখুন।’
গত ছয় বছর ধরে নিয়মিতই হয়ে আসছে জয়বাংলা কনসার্ট। ঐতিহাসিক ৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ও স্বাধীনতা চেতনা যুব সমাজের মধ্যে পুনরুজ্জীবিত করতে আয়োজনটি করে আসছে ইয়াং বাংলা।
তরুণ প্রজন্মের কাছে তুমুল জনপ্রিয় এই কনসার্ট এ বছর হচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘এবার কনসার্ট হবে না, তবে আমরা আশা করছি ২০২২ সালে আবার ফিরে আসব। যে কোনো সময়ের চেয়ে বড় পরিসরে ও আরও সরবভাবে।’
কনসার্ট না হলেও ৭ মার্চ নিয়ে রাদওয়ান মুজিব করেছেন বিশেষ পরিকল্পনা।
তার আভাস দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘৭ মার্চের জন্য যে বিশেষ পরিকল্পনা করেছি তার বিস্তারিত জানার জন্য ইয়াং বাংলার পেজে চোখ রাখুন।’
২০১৫ সাল থেকে শুরু হয় জয়বাংলা কনসার্ট। সিআরআই এর উদ্যোগে প্রতিবছর আর্মি স্টেডিয়ামে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
গতবছর জয়বাংলা কনসার্টে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
ছয় জন নারী নির্মাতা। ছবি: সংগৃহীত
৬ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন দুপুর ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তনে চলবে সিনেমা প্রদর্শনী।
ছয় নারী নির্মাতার সিনেমা নিয়ে শুরু হচ্ছে ‘জয়িতা চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১’। মুজিব শতবর্ষ ও আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী এই উৎসব আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্ট।
এ উৎসবে প্রদর্শিত হবে কোহিনুর আক্তার সুচন্দার হাজার বছর ধরে, নারগিস আক্তারের মেঘলা আকাশ, সামিয়া জামানের রানী কুঠির বাকি ইতিহাস, মৌসুমীর কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, শাহনেওয়াজ কাকলীর উত্তরের সুর ও নানজিবা খানের দা ওয়ান্টেড টুইন সিনেমা।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্টের সভাপতি দিলদার হোসেন জানান, চলচ্চিত্র উৎসবটি প্রয়াত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
৬ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন দুপুর ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তনে চলবে সিনেমা প্রদর্শনী।
শনিবার সকাল ১১ টায় শিল্পকলা একাডেমিতে উৎসবের উদ্বোধন করবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
বাঁ থেকে- অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী সায়ন্তিকা। ছবি: সংগৃহীত
বাঁকুড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ‘নাকাব’ সিনেমায় শাকিব খানের সহশিল্পী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদ্যা সিনহা মিমের ‘ব্ল্যাক’ সিনেমার সহশিল্পী সোহম চক্রবর্তী দাঁড়াচ্ছেন চণ্ডীপুর থেকে।
টালিউডে এখন রাজনীতির আমেজ। তারকাদের টানছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলীয় পতাকা হাতে তারকাদের ছবি এখন অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমেও।
শুক্রবার ২৯১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় স্থান পেয়েছেন কলকাতার বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ প্রার্থী হচ্ছেন আসানসোল দক্ষিণে। সায়নী রাজকাহিনী সিনেমায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসানের সহশিল্পী হিসেবে।
পরিচালক রাজ চক্রবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ব্যারাকপুর থেকে। রাজের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন এ দেশের অভিনেত্রী পূজা চেরি।
কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সি দাঁড়াবেন রাজারহাট-গোপালপুর আসনে।
আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের প্রার্থী টিভি অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তী।
বাঁকুড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাকাব সিনেমায় শাকিব খানের সহশিল্পী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিদ্যা সিনহা মিমের ব্ল্যাক সিনেমার সহশিল্পী সোহম চক্রবর্তী দাঁড়াচ্ছেন চণ্ডীপুর থেকে।
পারব না আমি ছাড়তে তোকে সিনেমার নায়িকা কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে দেখা যাবে কৃষ্ণনগর উত্তরে লড়তে।
সিনেমা ও টিভির নামকরা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে দেয়া হয়েছে উত্তরপাড়ার আসন।
এরা ছাড়াও তৃণমূলে তারকাদের মধ্যে আছেন জুন মালিয়া, মানালি দে, সুদেষ্ণা রায়। তবে তাদের তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়নি। মমতা জানিয়েছেন, ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের প্রার্থী করা হচ্ছে না।
অন্যদিকে বিজেপিতেও যোগ দিয়েছেন টালিউড তারকারা। তাদের মধ্যে রুদ্রনীল ঘোষ, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, পায়েল সরকার অন্যতম।
নুসরাত জাহান ও নিখিল জৈন। ছবি: সংগৃহীত
নিখিল বলেন, ‘আমার ব্যবসায়িক দুটি ব্রান্ডেরই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সমস্ত পোস্টার এবং ফটোশুটের ছবি মুছে দেয়া হয়েছে। সাইবার ক্রাইম বিভাগ জানিয়েছে, টাকার বিনিময়ে কলকাতা থেকেই কেউ এই কাজ করেছে।’
টালিউডের অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সাংসদ নুসরাতের স্বামী নিখিল জৈনের দুটি ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। তবে এটি কোনো ব্যাংকের হিসাব নয়; এটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট।
এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেছেন নিখিল। ঐ দুটি অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশে ব্যবহার করতেন নিখিল। অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হতো শাড়ি ও পোশাক বিক্রির জন্য।
নিখিলের ব্যবসায়িক এই দুই ব্র্যান্ডের প্রধান মুখ ছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরাত। তবে নিখিল জানিয়েছে এবার নতুন নকশা নিয়ে নতুন মুখকে আনা হচ্ছে তার শাড়ির ব্র্যান্ডটিতে।
এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নিখিল বলেছেন, ‘এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। আমার ব্যবসায়িক দুটি ব্র্যান্ডেরই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সমস্ত পোস্টার এবং ফটোশুটের ছবি মুছে দেয়া হয়েছে। আমি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অভিযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে, টাকার বিনিময়ে কলকাতা থেকেই কেউ এই কাজ করেছে। দ্রুতই তার নাম সামনে আসবে।’
ঘটনাচক্রে ঠিক সেই সময়ে নিখিলের অ্যাকাউন্ট দুটি হ্যাক হলো যখন নুসরাতের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে।
কিছুদিন আগে নিখিল গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তার আর নুসরাতের বিচ্ছেদ নিয়ে তিনি মুখ খুলবেন না।
তবে শুক্রবারও সেই প্রসঙ্গ ওঠায় তিনি বলেছেন, ‘যেদিন বিয়ে বিচ্ছেদ হবে, সেদিন আমি ঠিক জানিয়ে দেব। এখনও সেই সময় আসেনি।’
তাপসী পান্নু (বাঁয়ে), অনুরাগ কাশ্যপ। ছবি: সংগৃহীত
আয়কর বিভাগ দাবি করেছে, প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্টরা আয়ের ৩০০ কোটি এবং শেয়ার কেনাবেচার ৩৫০ কোটি রুপির হিসাব দিতে পারছেন না।
ভারতীয় সরকারের আদেশে মুম্বাই ও পুনের বিশটিরও বেশি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর বিভাগ। আর তাতেই ঝামেলায় পড়েছেন জনপ্রিয় পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ এবং অভিনেত্রী তাপসী পান্নুসহ বলিউডের আরও কয়েকজন। তারা সবাই ফ্যান্টম ফিল্মসের সঙ্গে জড়িত।
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফ্যান্টম ফিল্মসের ৬৫০ কোটি রুপির হিসাব মিলছে না। প্রতিষ্ঠানটি বক্স অফিস থেকে যে আয়ের হিসাব দিয়েছে তার সঙ্গে আয়কর বিভাগে জমা দেয়া হিসাবের অনেক পার্থক্য। কারচুপি করা হয়েছে শেয়ার লেনদেনেও।
অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন অনুরাগ কাশ্যপ, তাপসী পান্নু, বিকাশ ভাল, বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে ও মধু মান্টেনা। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফ্যান্টম ফিল্মস বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮ সালে।
আয়কর বিভাগ দাবি করেছে, প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্টরা আয়ের ৩০০ কোটি এবং শেয়ার কেনাবেচার ৩৫০ কোটি রুপির হিসাব দিতে পারছেন না।
তাপসী ও অনুরাগ এখন পুনেতে শুটিং করছেন। সেখানেই আয়কর বিভাগের সঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ নিয়ে সরগরম নেটপাড়া। একপক্ষ বলছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করার কারণে তাপসী, অনুরাগের এই অবস্থা।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, যারা কৃষক আন্দোলনের পক্ষে, তাদের ওপর আক্রমণ চলছে।
বুধবার ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তদন্তকারী সংস্থা তাদের কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালায়। এখানে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নেই।’
তুমি আছো তুমি নেই সিনেমার দুটি পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
সিনেমার কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীঘি। তিনি একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন তার ফেসবুকে। সেখানে অধিকাংশই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘পোস্টারের ডিজাইন আরও উন্নত হওয়া উচিত ছিল। যাই হোক, অভিনন্দন।’
পোস্টার দেখতে ভালো না হলেই যে সিনেমা ভালো হবে না, এমনটা বলা যায় না। করোনার আগের অনেক সিনেমার পোস্টার-ট্রেলার দেখে ফেসবুকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সিনেমাপ্রেমীরা। তবে শেষপর্যন্ত সেসব সিনেমা দর্শকদের ভালো লাগেনি, ফলে ব্যবসা সফলও হয়নি।
অন্যদিকে পোস্টার বা ট্রেলার ভালো হয়নি, কিন্তু সিনেমাটি দেখে দর্শক মুগ্ধ হয়েছেন, এমন উদাহরণও খুব একটা নেই।
সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া তুমি আছো তুমি নেই সিনেমার পোস্টার তেমন মন ভরাতে পারেনি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। ফেসবুকে প্রকাশিত পোস্টারের মন্তব্য পড়ে তেমনটাই ধারণা করা যায়।
তুমি আছো তুমি নেই সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী দীঘি এবং আসিফ ইমরোজ। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ঢাকাই সিনেমার নামকরা পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। স্বাভাবিকভাবেই সবার প্রত্যাশা ছিল বেশি।
ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে প্রকাশ হয়েছে সিনেমার পোস্টার। সেখানে অনেক মন্তব্যের মধ্যে একটি মন্তব্য এমন- ‘পোস্টারের এই অবস্থা। মুভি কেমন হবে.....’
আরও অনেক মন্তব্যের মধ্যে রয়েছে,
‘১৯৭১ সালের পোস্টার’
‘এই পোস্টার দেখে আমি হিরো আলমের ফ্যান হয়ে গেছি’
‘২০২১ সাল চলে পোস্টার দেখলে কে বলবে’
‘সেকেলে ভাব! এখন ২০২১’
‘পোষ্টার দেখেই করোনা পালাইছে’
‘কোন আমলের পোস্টার’
‘২০২১ এ আইসা যদি এইরকম র্থাড ক্লাস মার্কা পোস্টার বানায় হাহা তো দিবই বুঝেন নাই ব্যাপার টা’
সিনেমার কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীঘি। তিনি একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন তার ফেসবুকে। সেখানে অধিকাংশই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মন্তব্যকারীরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বড় পর্দায় অভিষিক্ত হওয়ার জন্য।
তবে একজন ইংরেজিতে লিখেছেন ভিন্ন কথা। বাংলায় তার অর্থ হয়- ‘পোস্টারের ডিজাইন আরও উন্নত হওয়া উচিত ছিল। যাই হোক, অভিনন্দন।’
তুমি আছো তুমি নেই সিনেমাটির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে দীঘির। কিন্তু প্রথম সিনেমার পোস্টার নিয়ে দর্শকদের এমন মন্তব্যে দীঘির কোনো প্রতিক্রিয়া আছে কিনা জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তিনি ফোন ধরেননি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সিনেমার পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পুরনো সময়, নতুন সময় বলে কিছু নেই। পুরনো এই ডিজাইনগুলোই দর্শকরা পছন্দ করে। নতুন ডিজাইনে পোস্টার করলে দর্শক সিনেমা দেখতে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমার গল্প ও নির্মাণে নতুনত্ব আনতে হবে। তাহলে দর্শকরা সিনেমা দেখতে যাবে।’
অনানুষ্ঠানিক আয়োজনে গাইছেন শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত
ব্যান্ড তারকা হামিন আহমেদ বলেন, ‘সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, যখন প্রতিদিন একটি করে মিউজিক ভিডিও রিলিজ হচ্ছে তার পাশাপাশি এটাও হয়তো দর্শক-শ্রোতাদের কোথাও না কোথাও খুব আন্দোলিত করছে।’
ভাইরাল সংস্কৃতির যুগে ইতিবাচক কনটেন্টের চেয়ে বেশি নেতিবাচক কনটেন্টই ভাইরাল হতে দেখা যায়। আবার এর উল্টো চিত্র যে একেবারে দেখা যায় না, তাও না।
সম্প্রতি গান বাংলার ফেসবুক লাইভে একটি অনানুষ্ঠানিক গান আড্ডা ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়। এক সপ্তাহে এক কোটি দর্শক দেখেছেন সেই গান আড্ডা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে গান বাংলা কর্তৃপক্ষ।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত এক টায় গান বাংলার লাইভে আসেন সংগীতশিল্পী তাপস, ব্যান্ড তারকা হামিন আহমেদ, সংগীতশিল্পী মিজান, আরেফিন রুমি, অটামনাল মুন, পারভেজ, অদিত, ঐশী, রেশমি, লুইপা, নাদিয়া ডোরা, দোলা, তাশফি, র্যাপার এবিডি ও শামিম হাসান।
দুটি ভিন্ন পোস্টে কোটি অরগানিক ভিউ হয় অনানুষ্ঠানিক সেই গান আড্ডা। এমন গান আড্ডার শ্রোতাপ্রিয়তাকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এবং ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, জনসংস্কৃতি গবেষক সুমন রহমান।
গান বাংলার এমন আড্ডায় প্রায় নিয়মিতই উপস্থিত থাকেন ব্যান্ড তারকা হামিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দর্শক-শ্রোতাদের দিক থেকে বলতে গেলে, এক সঙ্গে এতজন তারকা শিল্পী ক্যাজুয়ালি বসে গান গাওয়ার এমন দৃশ্য কেউ কখনও দেখেনি। দর্শকরাতো সবসময় সাজানো অনুষ্ঠান দেখে অভ্যস্থ। এখানে সম্পূর্ণ তার বিপরীত ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, যখন প্রতিদিন একটি করে মিউজিক ভিডিও রিলিজ হচ্ছে তার পাশাপাশি এটাও হয়তো দর্শক-শ্রোতাদের কোথাও না কোথাও খুব আন্দোলিত করছে।’
এ প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘মানুষ যে ভালো কিছু চায় এবং তা পেলে সাদরে গ্রহণ করে তা এর মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো। আমাদের জনপ্রিয়তার এমন অবস্থান নিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। দর্শক-শ্রোতাদের জানাই আন্তরিক অভিবাদন।’
গান বাংলা টেলিভিশনের ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠান, কনসার্ট প্রচারিত হয়ে আসছে।
মন্তব্য