গুণী অভিনেত্রী অপি করিম অভিনীত নতুন সিনেমা সুবর্ণ রেখা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অভিনেতা ও পরিচালক আফজাল হোসেন। সিনেমাটি প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।
তবে সিনেমাটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এর প্রযোজক শহীদুল আলম সাচ্চু। সিনেমায় অপি করিমের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন নিজেও। কিন্তু এ নিয়ে কেন যেন মুখ বন্ধ সবার।
১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সংবাদ সম্মেলন। আয়োজনে দেয়া সিনেমা পরিচিতি বইতে সুবর্ণ রেখা সিনেমাটি নিয়ে যাবতীয় তথ্য দেয়া আছে।
সিনেমাটির গল্প শুরু হয় জয়নাল ও রেখা দম্পতির গল্প দিয়ে। সুখী এ দম্পতি একসঙ্গে সময় কাটাতে নেপাল ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। নেপালে রওনা হওয়ার রাতেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় রেখার।
মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জয়নাল। প্রতিটি মুহূর্ত তার রেখার কথা মনে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে জয়নালের বোন তাকে নেপাল পাঠিয়ে দেয় মানসিক পরিবর্তনের জন্য।
নেপালের রাস্তায় জয়নালের সঙ্গে দেখা হয় বীথি ও শামিম দম্পতির। তাদের সঙ্গে জয়নালের ভালো সময় কাটতে থাকে। একটা সময় জয়নাল কিছু সত্য আবিষ্কার করে শামিম সম্পর্কে যা জয়নালকে নতুন করে তার পরিস্থিতি ভাবতে শেখায়।
সুবর্ণ রেখা সিনেমার গল্প লিখেছেন পান্থ শাহরিয়ার। প্রযোজনা করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) জুলাই ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে অঙ্কিত বিশেষ গ্রাফিতি “জুলাই বীরত্ব” ও “জুলাই আত্মত্যাগ” এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব), মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার, সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, পদ্মা সেতু সাইট অফিসের কর্মকর্তাগণ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয় গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদকে। তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
জুলাই পুনর্জাগরণ ও তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তের ম্যুরাল চত্বরে জুলাই বিপ্লবের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে মূল উপজীব্য করে ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান-এর নির্দেশনা এবং মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী-এর পরামর্শ অনুযায়ী গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। এজন্য তিনি মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়কে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং গ্রাফিতি অঙ্কন শিল্পিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, এই প্রজন্ম ও আগামীর প্রজন্মকে জানতে হবে-জুলাইয়ের সেই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন নয়, বরং ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ছাত্রজনতার নেতৃত্বে সেই আন্দোলন গণমানুষের প্রত্যাশাকে একত্রিত করে জাতিকে নতুন দিশা দিয়েছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ ধরণের উদ্যোগ তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করবে সত্য, ন্যায়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনায় উজ্জীবিত হতে।
তিনি আরও বলেন যে আমাদের দায়িত্ব হবে তাঁদের এ ত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা এবং একইসাথে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের আদর্শকে ধারণ করা। শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি সকলকে আহবান জানান, যেই বাংলাদেশে থাকবে ন্যায়, সমতা ও মানবিকতার অবিচল প্রতিশ্রুতি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। আমরা সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গড়ে উঠেছি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, নির্বাচনের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্য বিএনপি প্রস্তুত।
মির্জা ফখরুল বলেন, একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল, এমনকি যাদের কালকে জন্ম হয়েছে তারাও বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে, কিন্তু এই দল (বিএনপি) হলো ফিনিক্স পাখির মতো, এ দলকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, যেকোনো নেতার নামে স্লোগান নয়, স্লোগান হবে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা বিনোদ চৌধুরীর বাড়ির পাশে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটি ১০ ফুট লম্বা বার্মিজ প্রজাতির অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য আমির হোসাইন শাওন জানান, সাপটি বসতবাড়ির পাশে ঘেরা দেওয়া জালে আটকা পড়েছিল। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জাল কেটে সাপটিকে উদ্ধার করেন।
সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট এবং ওজন আনুমানিক ৮-৯ কেজি। জালে আটকা পড়ার কারণে সাপটি কিছুটা আহত হয়েছে। উদ্ধারের পর সাপটিকে সুস্থ করে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে।
আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগরীর ১৩১টি পূজামণ্ডপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে নগদ বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর ধর্মসাগর পাড়স্থ কুমিল্লা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উপহার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপহার বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিন।
অনুষ্ঠানে মহানগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে উপহার গ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারি আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিউর রাজিব, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকসহ মহানগর ও ওয়ার্ড বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় দেশের মানুষের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই মন্ত্রে বিশ্বাস করে বিএনপি। শারদীয় দুর্গাপূজা হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির একটি বড় অংশ। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দলের পক্ষ থেকে প্রতিবারই বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।
হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন বলেন, “তারেক রহমান সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের প্রতি সমান সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা পোষণ করেন। কুমিল্লার ১৩১টি পূজামণ্ডপে আজকের এই উপহার প্রদান তারেক রহমানের আন্তরিক ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি বিশ্বাস করে—একটি সুস্থ ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতেই হবে।”
অনুষ্ঠান শেষে পূজামণ্ডপ প্রতিনিধিরা বিএনপি ও তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ উৎসবকে আরও আনন্দঘন করে তোলে।
বন্যা ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে চলতি মাসেই ৩টি নদী ও ১০টি সংযোগ খালের - পুনঃখনন কাজ শুরু হচ্ছে। এ কাজের জন্য ১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী ৩টি নদীর ৮২ কিলোমিটার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ১০টি সংযোগ খালের ৩১ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে।
কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে হরি নদীর ভবদহের ২১ ভেন্ট সুইস গেট থেকে উজানে ৭ কিলোমিটার ও ভাটিতে হরি নদীর খর্ণিয়া ব্রিজ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার, খর্নিয়া ব্রিজ থেকে তেলিগাতি ঘ্যাংরাইল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার, হরি নদীর শাখা আপার ভদ্রার কাশিমপুর থেকে মঙ্গলকোট ব্রিজ পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বড়েঙ্গার তিন নদীর মোহনায় জিরো পয়েন্ট থেকে কেশবপুর মনিরামপুর হয়ে রাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত হরিহর নদীর ৩৫ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে। এছাড়া নদীর ১০টি সংযোগ খালের মধ্যে নুরানিয়া ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার, বাদুড়িয়া ৩ কিলোমিটার, বুড়ি ভদ্রার শাখা খালের ৫ কিলোমিটার, গরালিয়া ১ দশমিক ৩৫০ কিলোমিটার, কন্দর্পপুর ১ কিলোমিটার, কাশিমপুর ১ কিলোমিটার, ভায়না ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বিল খুকশিয়া ৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, বুড়ুলি ৩ কিলোমিটার ও পাথরা খাল ১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে নদীর সিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীও নদীগুলি পরিদর্শন করেছেন। পাউবো আরও জানায়, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার বর্ষার অতিরিক্ত পানি হরি নদীর শাখা দেলুটি দিয়ে শিবশা নদী হয়ে সাগরে পতিত হয়। এসব নদীর সংযোগ খালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসংখ্য পোল্ডার ও ৯১টি লুইস গেট রয়েছে। বিল খুকশিয়া ৮ ভেন্ট সুইস গেটের সাথে ছোট বড় ২৭ টি বিল, নূরনিয়া ৪ ভেন্ট সুইস গেটের সাথে ১২টি বিল, ভবদহের ২১ ও ৯ ভেন্ট লুইস গেটের সাথে ছোট বড় ৫২টি বিল ও কোনো কোনো রেগুলেটরের সাথে একাধিক বিল যুক্ত আছে। যা পোল্ডারে আবদ্ধ থাকায় দু'পাশ পলিতে ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পোল্ডারের কারণে প্লাবনভূমির সঙ্গে নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বর্তমানে হরিনদীসহ অন্যান্য নদীতে জোয়ার উঠে না। ফলে নদীগুলো বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়ে থাকে।
এছাড়া শুধুমাত্র কেশবপুরের বিভিন্ন বিলের মধ্যে ৫৯টি সরকারি খাল রয়েছে যা মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা দখল করে তাদের ঘেরের সাথে যুক্ত করে মাছ চাষ করে আসছে। এসব খাল দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩টি নদী ও ১০টি খাল পুনঃখননে সরকার ১৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩টি নদীর পুনঃখনন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করা হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী নদী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসব নদী-খাল খনন সম্পন্ন হলে এলাকা বন্যা ও জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর অভিভাবকের সঙ্গে অত্যন্ত অশালীন ভাষা ব্যবহার ও দুর্ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ঘটা এই ঘটনার একটি বিতর্কিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, চিকিৎসক আবুল কাশেম চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা ও স্বজনদের উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ, অপমানজনক ও হুমকিমূলক ভঙ্গিতে কথা বলছেন।
স্থানীয় ভাষায় তাকে বলতে শোনা যায়— ‘ ‘হাসপাতালডাক তোমরা চিড়িয়াখানা পাইছ, চিড়িয়াখানার মতো ভর্তি হবার আইসো, কোনঠে সাংবাদিক আইসো, দেউনিয়া-মদ্দিনা আইসো, এলাকাবাসী আইসো, পুরুষ-মহিলা আইসো, ছোট-বড় আইসো, এইটা হরিবোল, হরিবোল দেওয়ার জায়গা নাকি? এই ছুটি বাড়ি যাও, আইজকে বিস্তিবার (বৃহস্পতিবার) আর কোথায় রাখব? তোমরা মামলা করলে করো, না করলে…(অশ্লীল ভাষায় কিছু বলেন)।’
এদিকে, বিতর্কিত ভিডিওটি সিভিল সার্জনের নজরে আসার পর রাতেই অভিযুক্ত চিকিৎসক আবুল কাশেমকে শনিবারের (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যে ঘটনার কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, কী ঘটেছিল এবং কেন রোগীর পরিবারের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে, তার সঠিক জবাব চেয়ে নোটিশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় শনিবারের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু আলোচিত, তাই জবাব পাওয়ার পর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে, উপজেলার খলিশাকুণ্ডি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা রাস্তার ওপর গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সটি থামিয়ে, অস্ত্রের মুখে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্ট্রোকের রোগী লিটনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে পিপুলবাড়িয়া মাঠের কাছে যাত্রীছাউনির সামনে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে পাঁচ-ছয়জনের এক ডাকাত দল। দেশীয় অস্ত্র হাতে তারা অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও ভেতরে থাকা চারজনকে জিম্মি করে অর্থ ছিনিয়ে নেয়।
অ্যাম্বুলেন্স চালক রতন আহমেদ জানান, রাত ১টার দিকে রোগীকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ডাকাতেরা গাড়ি আটকে আমার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়। তারা কাউকে কিছু না বলতে কড়া হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
রোগীর এক স্বজন জালাল বলেন, আমরা চালককে কাতলামারী হয়ে না যেতে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি ওই পথেই যান। পথে এই ঘটনা ঘটে এবং আমাদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে লিটন নামে একজন রোগী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পথে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য