× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা
google_news print-icon

যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা

যে-কারণে-বিটিএস-এ-বছরও-সেরা-
বিটিএস ব্যান্ডের সদস্যরা
সেরা অ্যালবাম। সেরা গান। সবচেয়ে বড় ভার্চুয়াল শো, যার টিকেট বিক্রি হয়েছে ১০ লাখ। করোনার কালে কোরিয়ান মিউজিক ব্যান্ড বিটিএস যা অর্জন করেছে, তা আর কারো পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।

অক্টোবরের শেষ সময়ে, সোফায় বসে সুগা গিটারে সুর তুলছে। খালি পা। চোখের উপর লম্বা সরু চুলগুলো এসে পড়ছে। গিটারের কর্ডগুলো পরীক্ষা করতে করতে নিজের মনে কথা বলছে, কানের রুপালি দুল সূর্যের আলোয় ঝলকানি দিচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে।

‘আমি কয়েক মাস আগেই শিখতে শুরু করেছি।’-বললেন সুগা। ‘এটা খুব আন্তরিক একটা মুহূর্ত, যেমন মুহূর্ত আপনি পার করেন কলেজের ডর্মরুমে, কাছের মানুষটার সঙ্গে রকস্টার হওয়ার স্বপ্ন ভাগাভাগি করে নেয়ার সময়।’

কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বিটিএস-এর সাত সদস্যের মধ্যে একজন সুগা। তাদের জনপ্রিয়তার কথা বোঝাতে তিনি বললেন, ‘লাখ লাখ ভক্ত যারা আমাদের দেখেন, তাদের মধ্যে আমি মাত্র একজন।’

বিটিএস শুধু সেরা গানগুলোর চার্টে কে-পপের প্রতিনিধি নয়, দিনে দিনে তারা পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ডে। কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশ করে, মিউজিক বিষয়ক সব ধরনের রেকর্ড ভেঙ্গে এবং ২০২০ সাল জুড়ে আকস্মিক কিছু লাইভ অনুষ্ঠান করে পপ সংগীত জগতের জনপ্রিয়তার চূড়ায় আছে বিটিএস। এ সব কিছু তারা অর্জন করেছে একটি মাত্র বছরে, যে বছর সবাই একটা দীর্ঘ বিরতির মধ্য দিয়ে পার করেছে, নিজেদের মধ্যে সংযোগ হারিয়েছে।

যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা
বিটিএস ব্যান্ড

অন্য তারকারা যেখানে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে, সে সময়ও, ‘দ্য আর্মি’ নামে পরিচিত বিটিএসের আন্তর্জাতিক ভক্তরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। সুগা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ম্যাগাজিন টাইমকে বলেন, ‘মাঝে মধ্যে আমি পেছনে ফিরে যাই এবং অবিশ্বাস্য কিছু মুহূর্তের কথা ভাবি। কিন্তু এর ঠিক পরেই আমি নিজেকে প্রশ্ন করি, আমরা যদি কাজটা না করতাম, তাহলে আর কে করত?’

বিটিএস আজ একটি মাল্টিবিলিয়ন-ডলার ব্যবসা। কয়েক দশক ধরে সংগীত জগতের রক্ষীরা যেমন, পশ্চিমা রেডিও জগতের মুঘল, মিডিয়া জগতের মানুষ ও যারা এসব সংখ্যার হিসেব রাখে, তারা এ বিষয়টিকে অভিনব ঘটনা হিসেবে দেখছে।

কোরিয়ান পপ সংগীত বা কে-পপের ঐতিহ্য অনুসরণ করে বিটিএস তাদের যাত্রা শুরু করে। অর্থাৎ আকর্ষণীয় পোশাক, মন মাতানো নাচ এবং চকচকে ভিডিও। কিন্তু চাকচিক্য তারকা জীবনের পাশাপাশি ভক্তদের সামনে তারা তাদের কঠিন পরিশ্রমের গল্পগুলোও ভাগ করে নিয়েছে।

যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা
সুগা, জিন ও আরএম

বিটিএস-এর গানগুলো যে কোনো ধরনের প্লে লিস্টের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়। প্রাচ্যের ব্যান্ডগুলোর মধ্যে বিটিএস একমাত্র ব্যান্ড নয়, যারা তাদের জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে।

তবে তারা আলাদা কেন? কারণ ভক্তদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক রাখতে হয় এবং মিউজিককে কীভাবে গ্রহণ করতে হয়, তাতে এক সমুদ্র পরিমাণ পরিবর্তন এনে তারা এ সাফল্য পেয়েছে। ভক্তরা ৭.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শেয়ারে তাদের অ্যালবামগুলো কিনে নেয় যা ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ প্রতিবাদে বিটিএসের দশ লাখ ডলার অনুদানের সঙ্গে যোগ হয়।

সংগীত জগতের ইতিহাসে বিটিএস মানব সম্পর্কের জন্য একটি শিক্ষণীয় অংশ হয়ে থাকবে। সুগা একবার গিটার রপ্ত করে ফেললে তাদের জন্য জয় করার আর কিছুই বাকি থাকবে না।

ভিন্ন এক জগতে যেখানে কোভিড-১৯ এর অস্তিত্ব নেই, সেখানে বিটিএসের এই বছরটা হয়তো অন্য বছরগুলোর মতোই হতো। দলটি তাদের যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে। কে-পপ ব্যান্ডগুলোর পেছনের মানুষ ও বিগ হিট এন্টারটেইনমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা বাং সি-হাইউক সিউলের আন্ডারগ্রাউন্ড র‍্যাপ থেকে আবিষ্কার করেন ২৬ বছর বয়সী র‍্যাপার আরএমকে। এরপর তার সঙ্গে যোগ দেন ২৮ বছরের জিন, ২৭ বছরের সুগা, ২৬ বছরের জে-হোপ, ২৫ বছরের জিমিন, ২৪ বছরের ভি ও ২৩ বছরের জুং কুক। তাদের নির্বাচন করা হয় নাচ, র‍্যাপ ও গানের ভিত্তিতে।


যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা

বিটিএসের সহকর্মীদের থেকে তাদের শিল্পচর্চার ধরন ভিন্ন। সমাজে যে প্রচলিত ধারণাগুলো আছে, তার বিপরীতে অবস্থান নেয় বিটিএস। এসব চিন্তা-ভাবনা উঠে আসে তাদের কথায়, কাজে, গানে ও সুরে। কে-পপ মিউজিক জগতে বিটিএস আসার আগে এ ধারণা ছিল বিরল। কিন্তু এখন তা ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে।

২০১৩ সালে প্রকাশিত তাদের প্রথম গান ‘নো মোর ড্রিম’ এ তারা কোরিয়ার সামাজিক কিছু প্রচলনের সমালোচনা করে। যেমন, স্কুলপড়ুয়া শিশুদের কাছ থেকে অভিভাবকদের উচ্চাশা। তারা খোলাখোলিভাবে নিজেদের মানসিক দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলেছে সবার সামনে। এটাও জানিয়েছে, তারা এলজিবিটিকিউ অধিকারের পক্ষে। ভক্তদের সামনে নিজেদের প্রকাশ করার সময়েও তাদের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়। সমাজে পুরুষত্বের যে চিহ্নগুলো প্রচলিত, তা থেকে বেরিয়ে আসে বিটিএসের প্রতিটি সদস্য। চুলে পোলাপী বা নীল রঙে মানা নেই তাদের, একে অপরকে জড়িয়ে ধরার মধ্যে যে সহজাত আনন্দ, তাও ফুটে ওঠে তাদের চেহারায়। এ সব কিছুই তাদের আলাদা করে রেখেছে, শুধু কে-পপ জগতেই নয়, বরং সারা বিশ্বে।

যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা
ভি ও জিমিন

মার্চে এ ব্যান্ডটির ওয়ার্ল্ড ট্যুরে যাওয়ার কথা ছিল। করোনা মহামারির কারণে তারা এটি স্থগিত করে। সিউলেই থেকে যায়। দলের সদস্যদের মতে, এই লকডাউন তাদের জন্য ভিন্ন কিছু ছিল না।

ব্যান্ডের আরেক সদস্য জিন বলেন, ‘মাসের ৩০ দিন প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে আমরা একসঙ্গে কাটাই।’

এবার আগস্টে তারা প্রথমবারের মতো ইংরেজি ভাষায় গান প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ডায়নামাইট। এ গানটি কোরিয়ান গান হিসেবে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের গানের তালিকার শীর্ষে অবস্থান নেয়।

তাদের নতুন অ্যালবাম বি একই সপ্তাহে বিলবোর্ডের সেরা অ্যালবামের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে। এরই মাধ্যমে তারা সংগীত জগতের ইতিহাসে রেকর্ড করেছে। বিটিএস একমাত্র ব্যান্ড যারা একই সময়ে বিলবোর্ডের সেরা গান ও সেরা অ্যালবামের তালিকার শীর্ষে ছিল।


যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা

বর্তমানে ডাইনামাইট গানটি রয়েছে ২৪ নম্বরে।

বিটিএস সদস্য আরএম বলেন, ‘আমরা ভাবিনি যে আমরা আরও একটি অ্যালবাম বের করব। জীবন আসলে ভারসাম্য করেই চলে।’

এ বছরটি বিটিএসের জন্য শুধুই যে গানের দিক থেকে সফল তা নয়। অক্টোবরে তারা সময়ের সবচেয়ে বড় ভার্চুয়াল শো আয়োজন করে ১০ লাখ টিকিট বিক্রি করে।

তাদের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সামনে আসে এবং এর প্রতিষ্ঠাতা বাং একজন বিলিওনেয়ার। ব্যান্ডের প্রতিটি সদস্যকে তারা মিলিওনিয়ারে পরিণত করে। তাদের পুরষ্কৃত করা হয় গ্র্যামি মনোনয়নের মাধ্যমে।

ইউটিউবে বিগ হিট লেবেলের চ্যানেল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইব করা ১০টি চ্যানেলের মধ্যে একটি। শুধুমাত্র ২০২০ সালেই তারা ১৩ মিলিয়নের বেশি ভিউ পেয়েছে।

ইউটিউবের ট্রেন্ড ব্যবস্থাপক কেভিন মিনানের মতে, তাদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী তারা নিজেরাই। ‘ডাইনামাইট’ গান প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা ১০১ মিলিয়ন ভিউ হয় ইউটিউবে, যা ইউটিউবের ইতিহাসে প্রথম। কেভিন বলেন, ‘তারা তাদের নিজেদের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলছে।’

যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা
জুংকুক ও জে-হোপ

গৌরব যে একা আসে তা নয়, সঙ্গে অনেক কিছু নিয়েও যায়। যেমন, অবসর। নভেম্বরের শেষের দিকে প্রায় মধ্যরাতেও সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন সুগা। কিছুদিন আগেই তার কাঁধের অপারেশন হয়েছে।

সামনে জিনের জন্মদিনের কথা উঠলেই ভি, জিমিন ও জে-হোপ উচ্চস্বরে গান শুরু করছে। বিটলসের লাভ লাভ লাভ গানের উপযুক্ত ব্যবহার করে জিনের দিকে ফিরে গান গাচ্ছে ও আঙ্গুল দিয়ে হৃদয়ের আকার দেখাচ্ছে।

বিটলসের মতো ব্যান্ড যারা পুরো একটা সময়কে সংজ্ঞায়িত করে, তাদের সঙ্গে বিটিএসের তুলনা হয়েই যায়। উত্তরে ভি বলেন, ‘পার্থক্য শুধু এখানেই যে, আমরা সাতজন ও আমরা নাচ করি। এটা এখন প্রচলিত হয়ে গিয়েছে, যখন ছেলেদের কোনো ব্যান্ড আসে, তখন সবাই বলে, এই আরেকটা বিটলস এলো।’

টাইম-এর প্রতিবেদক বলেন, বিটিএসের সাক্ষাৎকার তিনি পাঁচ বার নিয়েছেন। এটির সদস্যরা প্রত্যেকেই স্বভাবত ভদ্র। আরএম মনে করেন, তাদের সাফল্য ভাগ্য, সঠিকতা আর ইচ্ছার উপর তৈরি হয়েছে। পরমুহূর্তেই বলে ওঠেন, ‘আমি শতভাগ নিশ্চিত নই।’

তারা দিন দিন আরও পরিণত তারকায় রূপ নিচ্ছে, নিজেদের লক্ষ্যের ব্যাপারে সতর্ক। বড় প্রশ্নের জন্য সবসময় প্রস্তুত, এবং ভারি কোনো জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে ইতস্তত।

বিটিএসের সফলতম বছর সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞেস করা হলে জে-হোপ বলে ওঠেন, ‘রোলার-কোস্টার’, আরএম বলেন, ‘খারাপ কিছু ঘটবেই কিন্তু তা ধরে রাখা চলবে না।’


যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা

জিমিন বলেন, ‘এটা এমন একটা বছর ছিল, যেখানে আমরা প্রত্যেকে যুদ্ধ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে আমরা অনেক ভালো আছি, কারণ সংখ্যাই তা বলে দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের নিজেদের অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে।’

বিটিএসের মতো ব্যান্ড যাদের উদ্দেশ্যই ফ্যানদের সঙ্গে থাকা, তাদের জন্য মানুষের সংস্পর্শে না থাকাটা দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করে। তারপরেও তারা এ পরিস্থিতিকে আশানুরূপভাবে দেখাতে সফল হয়েছে।

জে-হোপ বলেন, ‘আমি সবসময় এমন একজন শিল্পী হতে চেয়েছি যে তার কাজের মাধ্যমে মানুষকে স্বস্তি, আরাম ও ইতিবাচক শক্তি দেবে। আমাদের প্রত্যেকেরই এমন চিন্তাভাবনাই আমাদের পরিচয় দিয়েছে।’

কোরিয়ান দার্শনিক ও লেখক ডক্টর জিয়ং লি বিটিএসের ভক্তদের আবেগকে সংজ্ঞায়িত করেছেন ‘হরাইজন্টালিটি’ বলে। সমান্তরালতা, যেখানে শিল্পী ও ভক্তের মধ্যে সমান আদান-প্রদান বিদ্যমান।

জে-হোপ বলেন, ‘আমাদের ওপর আমাদের ভক্তদের এবং ভক্তদের ওপর আমাদের প্রভাব অনেক বেশি। গান তৈরি করার পর আমরা ভক্তদের থেকে যে প্রতিক্রিয়া পাই, তা থেকে আমরা শিক্ষা নেই।’


যে কারণে বিটিএস এ বছরও সেরা

বিটিএসের ভক্তরা শুধু যে তাদেরকে প্রথম অবস্থানে নিয়ে গিয়েছে তা নয়, বরং, তাদের ইতিবাচক বার্তা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে।

‘বিটিএস ও এর আর্মি পুরো একটা যুগের চেতনাকে বদলে দিয়েছে, এটা শুধুই এক প্রজন্মের পরিবর্তন নয়,’ বলেন লি।

বিটিএস বিশ্বজুড়ে তরুণদের সক্রিয়তার প্রতীক। এ পরিবর্তন দেখা দেয় যখন ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার প্রতিবাদে তারা ১০ লাখ ডলার অনুদান দেয়। এছাড়াও জাতিসংঘ ও বিভিন্ন বিদ্যালয়কে সাহায্য করার কাজও তারা দীর্ঘ সময় ধরে করে আসছে।

এখন মানবাধিকার রক্ষা করার সময়। জিন বলেন, ‘সেটা রাজনীতি ছিল না। সেটা বর্ণবাদের সঙ্গে যুক্ত ঘটনা ছিল। আমার মনে করি সবাই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। এ কারণেই আমরা সে সিদ্ধান্ত নেই।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
KGF 2 has crossed Rs 600 crore in 7 days

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’ কেজিএফ রকিং স্টার যশ।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু

যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু

ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।

হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।

আরও পড়ুন:
বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

বিনোদন
Kolkata International Film Festival starts on 25th April

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।

আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।

উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি

পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।

এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।

চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।

২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।

চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।

শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।

মন্তব্য

বিনোদন
Priyanka Nicks daughters name is public

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক তারকা দম্পতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের। এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।

সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।

কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।

জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।

সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।

অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।

এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।

মন্তব্য

বিনোদন
Akshay apologized

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয়

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয় বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।

নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।

সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’

ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।

তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’

তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।

আরও পড়ুন:
‘বচ্চন পাণ্ডে’-তে আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক অক্ষয়ের
টুইটারে আবদার, ভক্তের জন্মদিনে অক্ষয়ের শুভেচ্ছা
সূর্যবংশী: ১০ দিনে আয় ছাড়াল ২০০ কোটি  
অক্ষয়ের ‘সূর্যবংশী’র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিলেন কৃষকরা
কিংবদন্তি ইয়ান কার্দোজোকে নিয়ে সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ

মন্তব্য

বিনোদন
Yash wants a heroine in her Bollywood debut

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ ভারতের কন্নড় সিনেমার রকিং স্টার যশ। ছবি: সংগৃহীত
১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।

শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।

আরও পড়ুন:
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

বিনোদন
What is the difference between Southern and Bollywood Sanjay Dutt

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত
সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি।’

বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।

কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।

বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।

‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’

সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।

আরও পড়ুন:
‘সঞ্জু বাবা’র ৬২
মান্যতাই সঞ্জয় দত্তের জীবনের আলো
ক্যান্সারকে হারিয়ে ঠিকই ফিরব: সঞ্জয় দত্ত

মন্তব্য

বিনোদন
Mother is Kajal Agarwal

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য।

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।

এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’

চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল
কাজল আগারওয়াল ও তার স্বামী গৌতম কিসলু। ছবি: ইনস্টগ্রাম

সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’

শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

মন্তব্য

p
উপরে