× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
চার্চে না গেলেও আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী সোফিয়া লরেন
google_news print-icon

চার্চে না গেলেও আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী: সোফিয়া লরেন

চার্চে-না-গেলেও-আমি-ঈশ্বরে-বিশ্বাসী-সোফিয়া-লরেন
আমি নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘সোফিয়া, তুমি জীবন থেকে কী চাও?’ উত্তর পেলাম, আমি চাই সুন্দর একটা পরিবার। যেটা তখন আমার ছিল। আমি চাই দুটি সন্তান। সেটাও তখন আমার ছিল। কিন্তু আমি তো ওদের দেখা পাই না। তখন আমি নিজেকে বললাম, ‘এখন হয়ত সময় এসেছে কিছুটা ধীর স্থির হওয়ার।’

অস্কারজয়ী ইতালিয়ান অভিনেত্রী সোফিয়া লরেনের নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। ইতালীয় ভাষার সিনেমার নাম দ্য লাইফ আহেড

মাঝে ১০ বছরের বিরতি। যে পরিবারের জন্য সিনেমা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন, সেই পরিবারের টানেই আবারো ফিরেছেন রুপালি পর্দায়।

ছোট ছেলে এলডোরাডো পন্টির গল্প ও পরিচালনায় সোফিয়া লরেন অভিনয় করেছেন দ্য লাইফ আহেড-এ।

এলডোরাডোর নির্দেশনায় তৃতীয়বারের মতো অভিনয় করলেন সোফিয়া। দ্য লাইফ আহেড-এ মাদাম রোজা নামের এক চরিত্র সোফিয়ার, যিনি একজন হলোকাস্ট সারভাইবার।

মোমো নামের একজন সেনেগাল অনাথ শিশুকে ঘরে আশ্রয় দেন মাদাম রোজা। গল্পের শুরুতে তাদের মধ্যে দূরত্ব থাকলেও ধীরে ধীরে তৈরি হয় নিবিড় সম্পর্ক।

এই সিনেমা ও নিজের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সোফিয়া লরেন কথা বলেছেন ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করা হয়েছে নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

প্রশ্ন: ১৯৮০ সাল থেকে আপনি কাজের মাত্রা কমিয়ে আনেন। তখন এলডোরাডোর বয়স সাত ও তার ভাই কার্লো জুনিওরের বয়স ১২। কাজ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণ কী ছিল?

সোফিয়া: সেই সময়ে আমি নিজেকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘সোফিয়া, তুমি জীবন থেকে কী চাও?’ উত্তর পেলাম, আমি চাই সুন্দর একটা পরিবার। যেটা তখন আমার ছিল। আমি চাই দুটি সন্তান। সেটাও তখন আমার ছিল। কিন্তু আমি তো ওদের দেখা পাই না।

তখন আমি নিজেকে বললাম, ‘এখন হয়ত সময় এসেছে কিছুটা ধীর স্থির হওয়ার।’ কিন্তু দেখা গেল, আমি ধীর স্থির হওয়ার বদলে কাজ করাই বন্ধ করে দিলাম। কাজের প্রতি ভালোবাসা কমে যায়নি কখনো, তবে আমি আমার পরিবারকে জানতে চেয়েছি, কারণ এর আগে আমি বেশিরভাগ সময় স্টুডিওতেই কাটাতাম।

খুব অবাক হয়েছি যখন আমার মনে এই কথাটা এসেছে, ‘সোফিয়া, এখন অভিনয় করা বন্ধ করে দেয়াটাই তোমার জন্য ভালো। তুমি কিছু পরে আবার ফিরে যেও।’

দীর্ঘ সময় আমি সিনেমায় কাজ করা থেকে দূরে ছিলাম। কিন্তু খুব খুশি ছিলাম যে, আমার সন্তানদের বড় হতে দেখেছি, তাদের বিয়ে দেখেছি, তাদের সন্তানও হতে দেখেছি। (২০০৭ সালে ৫০ বছর বয়সে সোফিয়ার স্বামী কার্লো পন্টি মারা যান।)

চার্চে না গেলেও আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী: সোফিয়া লরেন
দ্য লাইফ আহেড চলচ্চিত্রে মাদাম রোজা চরিত্রে সোফিয়া লরেন

প্রশ্ন: এখন আপনি কোন ধরনের স্ক্রিপ্ট পান?

সোফিয়া: আমি এখনও অনেক স্ক্রিপ্ট পাই কিন্তু কোনটাই দ্য লাইফ আহেড এর মতো আমাকে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেনি। এ কারণে গত ১০ বছর কাজ করিনি। আমি এমন একটা চরিত্রের অপেক্ষায় ছিলাম যেটা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে, একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করবে।

মাদাম রোজা এমনই একটা চরিত্র। শুধু তার চরিত্রের বৈচিত্র্যের জন্য নয়; সিনেমাটি সহনশীলতা, ভালোবাসা ও যূথবদ্ধতার যে বার্তা দেয়, সেই বিষয়টা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।

প্রশ্ন: কিছু সময় আপনি নিজেকে একজন ‘পারফেকশনিস্ট’বলে পরিচয় দিয়েছেন। দ্য লাইফ আহেড এলডোরাডোর সঙ্গে আপনার করা তৃতীয় কাজ, তার নির্দেশনায় কাজ করাটা কি আপনার জন্য সহজ?

সোফিয়া: আমার মতো সেও একজন পারফেকশনিস্ট। এলডোরাডো আমাকে নিরাপত্তার অনুভব দেয়। আমি আমার সেরা কাজটা তাকে না দেয়া পর্যন্ত সে হার মানে না। সে খুব ভালো করেই জানে আমার থেকে আমার সেরা কাজটা আদায় করতে হলে তাকে কী করতে হবে।

সিনেমা শুটিংয়ের সময় এলডোরাডো যখন বলে, ‘দিস ইজ ইট’ তখনি আমি বুঝতে পারি- আমার যে অভিনয়ের জন্য সে এতক্ষণ অপেক্ষা করেছিল, সেটা ও পেয়ে গেছে। এটা একজন অভিনেত্রীর জন্য ভীষণ দারুণ, কারণ তখন সে আসলে বুঝতে পারে সে কী করছে।

প্রশ্ন: ভিত্তোরিও দে সিকার মতো পরিচালকের থেকে আপনি কী শিখেছেন?

সোফিয়া: দে সিকা আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে কোনো একটা প্রবণতার পেছনে না দৌড়ে নিজের সহজাত স্বভাবকে অনুসরণ করতে হয়, নিজের প্রতি নিষ্ঠ থাকতে হয়। কোনো কাজ করার চেয়ে বলা সহজ, কিন্তু কাজটি করাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

১৭ বছর বয়সে দে সিকার সঙ্গে আমার দেখা। (১৯৫৪ সালে দে সিকার পরিচালনায় দ্য গোল্ড অব নেপেলস সিনেমায় অভিনয় করেন) দে সিকা আমার কাছে একজন পবিত্র মানুষ, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিচালক।

তিনি আমাকে দেখে বলেছিলেন, ‘ওহ তুমি তো নেপলস থেকে এসেছ। তোমার জন্য আমার কাছে কিছু আছে।’ এভাবেই ভিত্তোরিও দে সিকার সঙ্গে সিনেমায় আমার অভিনয় জীবনের শুরু।

প্রশ্ন: বাস্তব জীবনে বা সিনেমা থেকে পরিচয় হওয়া চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকাটা আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

সোফিয়া: যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমায় কাজ করার সময় এটা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য শিক্ষণীয় ছিল, কিন্তু সেটা পুরোপুরি একটা বিদেশি অভিজ্ঞতা।

২২ বছর বয়সে, আমি ক্যারি গ্র্যান্ট ও ফ্র্যাঙ্ক সিনান্ট্রার সঙ্গে কাজ করি, তখনো আমি বাচ্চা। (১৯৫৭ সালে প্রাইড অ্যান্ড প্যাশন সিনেমায়) তখনো আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে ইংরেজি ভাষায় কাজ করায় অনেক সুযোগ আছে, এমনকি ভাঙা ইংরেজিতেও তা কাজ করে। যেহেতু ইংরেজি আমার ভাষা নয়।

কিন্তু ইংরেজি ভাষা ও গান আমার খুব ভালো লাগে। আমি সঙ্গে সঙ্গেই সেটা শিখে ফেলি। ডিজায়ার আন্ডার দ্য এল্মস, হাউজবোট আমার করা পছন্দের ইংরেজি সিনেমা।

চার্চে না গেলেও আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী: সোফিয়া লরেন

প্রশ্ন: সমসাময়িক সিনেমা বা টেলিভিশন কি দেখা হয়?

সোফিয়া: টেলিভিশনে আমি শুধু খবর দেখি। তবে ‘দ্য ক্রাউন’ আমার বেশ ভালো লেগেছে।

প্রশ্ন: আপনার আত্মজীবনী ইয়েস্টারডে, টুডে অ্যান্ড টুমোরো তে আপনি অভিনয় জীবনকে ব্যাখ্যা করেছেন ‘ইতালিয়ান সিনেমার অসাধারণ সময়কে প্রথম থেকেই খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ ও অভিজ্ঞতা হয়েছে’। বর্তমান সময়ের ইতালিয়ান সিনেমা ও পরিচালনা কি আপনাকে আকৃষ্ট করে না?

সোফিয়া: আমি খুব বেশি সিনেমা বা সিরিজ এখন দেখি না। তবে মাত্তেও গারোনে ও পাওলো সরেন্তিনোর কাজ খুব ভালো, এবং তারা দুজনেই নেপলিয়ন!

প্রশ্ন: নিজেকে কি একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করেন?

সোফিয়া: অবশ্যই আমি ধর্মপ্রাণ। চার্চে না গেলেও আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। বাসায় প্রার্থনা করি।

প্রশ্ন: বয়স বেড়ে যাওয়া নিয়ে কি আপনি চিন্তিত?

সোফিয়া: তুমি যদি বয়স বেড়ে যাওয়াকে মেনে নাও আর বর্তমানকে নিয়ে বেঁচে থাকো, তাহলে লাবণ্যের সঙ্গেই তোমার বয়স বাড়বে।

প্রশ্ন: আপনি ড্যানিয়েল ডে-লুইসের দারুণ ভক্ত বলে জানিয়েছিলেন, যার সঙ্গে নাইন-এ কাজ করেছেন। এখন তিনি অবসরে, বর্তমান সময়ে আপনি কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে আপনার পছন্দ?

সোফিয়া: আমি এখনও ড্যানিয়েল ডে-লুইসের ভক্ত, তিনি কাজ করুন বা না-ই করুন। মেরিল স্ট্রিপকেও পছন্দ করি। দারুণ একজন অভিনেত্রী সে।

প্রশ্ন: তরুণ অভিনয় শিল্পীদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?

সোফিয়া: এখানে বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। ভালোলাগা থেকে আপনি অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে এমন কিছু করতে হবে যা আপনার মনের গভীর থেকে আসছে। যা আপনি পছন্দ করেন। তবে আপনার মন আপনাকে যা শিখায় তাই করতে হবে, নিজেকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলতে হবে যেখানে আপনি নিজেকে কেবলই একজন অভিনেতা হিসেবে ভাবতে পারেন। তারপরে বুঝতে পারবেন, আপনি উপযুক্ত কিনা। জীবন কেবল একটি মাত্রায় আবদ্ধ নয়; এটি অনেকগুলো মাত্রা এবং কখনও কখনও একসঙ্গে সমস্ত কিছুর যোগফল।

প্রশ্ন: নিজের সিনেমাগুলো আবার দেখেন?

সোফিয়া: আমি নিজেকে খুব কঠোরভাবে বিচারের প্রবণতা রাখি, তাই নিজের চলচ্চিত্রগুলো না দেখাই আমার পক্ষে ভালো। মাঝেমধ্যে দেখি, বিশেষ করে যখন টেলিভিশনে সেগুলো দেখানো হয় বা আমার বাচ্চাদের সঙ্গে, কারণ সম্ভবত তারা দীর্ঘদিন আগের এসব সিনেমা দেখেনি। এবং এত বছর পর সিনেমাগুলো দেখার সময়ে নিজেকে সম্পূর্ণ অন্য কোনো মানুষ বলে মনে হয়। এটা এক দারুণ অভিজ্ঞতা। আমি খুব পছন্দ করি।

প্রশ্ন: আপনার কোন অভিনয়ের জন্য নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করেন?

সোফিয়া: টু উইমেন এ আমার চরিত্র নিজের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ (১৯৬২ সালে ভিত্তোরিও দে সিকার পরিচালনায় এ সিনেমার জন্য তিনি অস্কার পান), তবে আ স্পেশাল ডে এর চরিত্রও আমার পছন্দের।

এ সব কিছুই সম্ভব হয় যখন ভালো একটা গল্প থাকে, এবং দে সিকার মতো আদর্শ পরিচালক থাকেন। মারচেল্লো মাস্ট্রোয়ান্নি ও দে সিকার সঙ্গে কাজ করে আমি বেশ আনন্দিত।

প্রশ্ন: আপনি কি অভিনয় চালিয়ে যেতে চান?

সোফিয়া: যদি অভিনয় ভালোবাসি, আমি থামব কেন?

সাক্ষাৎকারটি বাংলায় ভাষান্তর করেছেন ক্রিস্টিনা জয়ীতা মুন্সী

আরও পড়ুন: স্বল্প বসনার ছবিতে পোপের ‘লাইক’

আরও পড়ুন:
চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে ট্রাস্ট আইন অনুমোদন
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন ‘৩৩’ শিল্পী
টোকন ঠাকুরের মতো আর কে কে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
KGF 2 has crossed Rs 600 crore in 7 days

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’ কেজিএফ রকিং স্টার যশ।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু

যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু

ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।

হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।

আরও পড়ুন:
বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

বিনোদন
Kolkata International Film Festival starts on 25th April

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।

আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।

উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি

পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।

এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।

চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।

২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।

চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।

শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।

মন্তব্য

বিনোদন
Priyanka Nicks daughters name is public

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক তারকা দম্পতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের। এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।

সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।

কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।

জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।

সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।

অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।

এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।

মন্তব্য

বিনোদন
Akshay apologized

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয়

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয় বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।

নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।

সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’

ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।

তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’

তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।

আরও পড়ুন:
‘বচ্চন পাণ্ডে’-তে আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক অক্ষয়ের
টুইটারে আবদার, ভক্তের জন্মদিনে অক্ষয়ের শুভেচ্ছা
সূর্যবংশী: ১০ দিনে আয় ছাড়াল ২০০ কোটি  
অক্ষয়ের ‘সূর্যবংশী’র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিলেন কৃষকরা
কিংবদন্তি ইয়ান কার্দোজোকে নিয়ে সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ

মন্তব্য

বিনোদন
Yash wants a heroine in her Bollywood debut

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ ভারতের কন্নড় সিনেমার রকিং স্টার যশ। ছবি: সংগৃহীত
১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।

শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।

আরও পড়ুন:
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

বিনোদন
What is the difference between Southern and Bollywood Sanjay Dutt

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত
সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি।’

বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।

কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।

বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।

‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’

সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।

আরও পড়ুন:
‘সঞ্জু বাবা’র ৬২
মান্যতাই সঞ্জয় দত্তের জীবনের আলো
ক্যান্সারকে হারিয়ে ঠিকই ফিরব: সঞ্জয় দত্ত

মন্তব্য

বিনোদন
Mother is Kajal Agarwal

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য।

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।

এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’

চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল
কাজল আগারওয়াল ও তার স্বামী গৌতম কিসলু। ছবি: ইনস্টগ্রাম

সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’

শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

মন্তব্য

p
উপরে