× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Disaster Management Exercise DMX at BUP DMX held on the closing ceremony of 4 0
google_news print-icon

বিইউপিতে ‘Disaster Management Exercise (DMX) 4.0’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বিইউপিতে-Disaster-Management-Exercise-DMX-40-এর-সমাপনী-অনুষ্ঠান-অনুষ্ঠিত

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর বিজয় অডিটোরিয়ামে 'Disaster Management Exercise (DMX) 4.0'-এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিইউপির ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স (ডিএমআর) বিভাগ এ আয়োজন করে, যার বিষয়বস্তু ছিল ‘Earthquake in Bangladesh: Strengthening Urban Preparedness’।

দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি দল সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। তারা ভূমিকম্প মোকাবিলায় কার্যকর প্রস্তুতি ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে মতবিনিময় করে এবং সৃজনশীল ধারণা উপস্থাপন করে। দুই দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে প্যানেল আলোচনা, পোস্টার প্রদর্শনী, এবং টেবিল-টপ এক্সারসাইজ (টিটিএক্স) এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নগর এলাকায় ভূমিকম্প মোকাবিলায় নতুন কৌশল ও নীতিগত প্রস্তাবনা তুলে ধরে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুব-উল আলম, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি। উপাচার্য একটি সহনশীল ও প্রস্তুত জাতি গঠনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষার অপরিহার্যতা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলগুলোর হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিইউপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আমন্ত্রিত অতিথি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
EB Vice Chancellors Survey Average Rating 2

শিক্ষার্থীদের জরিপে ইবি উপাচার্য অকৃতকার্য, গড় রেটিং ২.৪৫

এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বার্ষিক কার্যক্রম নিয়ে জরিপ
শিক্ষার্থীদের জরিপে ইবি উপাচার্য অকৃতকার্য, গড় রেটিং ২.৪৫

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর দায়িত্বগ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তার বার্ষিক কার্যক্রম নিয়ে জরিপ চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে ১০ এর মধ্যে ২.৪৫ নাম্বার পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন বলে দাবি ইবি সংস্কার আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে ইবি সংস্কার আন্দোলন কর্তৃক পরিচালিত এ জরিপের ফল প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করে তারা। জরিপটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩১২ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ অনলাইন ও অফলাইনে এ জরিপ পরিচালনা করে সংগঠনটি।

জরিপ অনুযায়ী প্রতি শিক্ষার্থী সর্বমোট ১০ নম্বরে চার ক্যাটাগরিতে উপাচার্যকে তার গত একবছরের কাজের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করেন। এতে ১-৩ নম্বর খারাপ, ৪-৬ মোটামুটি, ৭-৮ ভালো এবং ৯-১০ অতি ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে উপাচার্য সর্বমোট ৩২১৬ নম্বর পান যা গড় করে ২.৪৫ হয়। এটি রেটিং ক্যাটাগরি অনুযায়ী ১-৩ অর্থাৎ খারাপ ক্যাটাগরিতে পরে।

শিক্ষার্থীরা গত ১ বছর উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ১০টি বিষয় মূল্যায়ন করেছে। এগুলো হলো: ১. সেশনজট নিরসনে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা তদারকি, সেশনজট ও পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট নিরসনে উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা কতটা কার্যকর হয়েছে? ২. সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে উপাচার্য মহোদয় কতটা সফল হয়েছে? ৩. ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও পরিবেশবান্ধব করতে উপাচার্যের পদক্ষেপ কতটা সন্তোষজনক ছিল? ৪. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনে উপাচার্যের ভূমিকা কতটুকু? ৫. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিকীকরণ তথা অনলাইন ব্যাংকিং, ল্যাব, সনদ উত্তোলন ও ওয়েবসাইটের আধুনিকায়নে উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা কতটা উন্নয়নমূলক ছিল? ৬. আবাসিক হলের খাবারের মান বৃদ্ধি ও মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? ৭. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি ও তা সমৃদ্ধ করার জন্য উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? ৮. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে উপাচার্যের ভূমিকা কতটা সন্তোষজনক? ৯. বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা, বিভাগগুলোতে ছাত্রী কমনরুম নিশ্চিত ও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে উপাচার্য মহোদয়ের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট? ১০. পরিবহন সংকট নিরসনে পর্যাপ্ত বাস বরাদ্দ, ফিটনেসবিহীন বাস অপসারণ, দক্ষ চালক নিয়োগ ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?

জরিপকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের জরিপে দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী উপাচার্য সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এমনকি প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে অনেকেই বলেছেন ‘অথর্ব প্রশাসন’। অনেকেই বলেছেন প্রশাসনকে দ্রুতই দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা মনেকরি গত একবছরে উপাচার্য মহোদয় যে কাজ করেছেন তাতে তিনি অকৃতকার্য। গণমাধ্যমে ওঠে এসেছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রয়োজন ১০৮০ জন। কিন্তু আছে মাত্র ৪০০ এর কিছু অধিক শিক্ষক। গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি ১০৮০ জন শিক্ষার্থীকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা স্ক্যান করলে অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীর তথ্য চলে আসে।

জানা যায়, জরিপে ইবির ৮৭৬ জন আবাসিক ও ৪৩৬ জন অনাবাসিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৬ জন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ৮০ জন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১৮১ জন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৩৪৫ জন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ২৯৩ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ২৩৪ জন এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ১৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, জুলাই বিপ্লবের পর গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ইবির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও ইবির আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সংস্কারের উদ্দেশ্যে ১৫ দফা দাবি পেশ করেন এবং ইবি সংস্কার আন্দোলন নামে একটি প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ করেন। সে প্ল্যাটফর্ম থেকেই এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে আজ বুধবার প্রশাসনকে সতর্কতামূক হলুদ কার্ড দেখাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।

মন্তব্য

শিক্ষা
Stanford trustees 2 percent of scientists in DUI

স্ট্যানফোর্ডের বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় ঢাবির ৩৫ শিক্ষক-গবেষক

স্ট্যানফোর্ডের বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় ঢাবির ৩৫ শিক্ষক-গবেষক

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসভিয়ার’ বিশ্বসেরা গবেষক তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ সায়েন্টিস্ট-২০২৫ (ওয়ার্ল্ড টপ টু পারসেন্ট সায়েন্টিস্ট) তালিকায় এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৩৫ জন শিক্ষক ও গবেষক স্থান পেয়েছেন। যা দেশের সর্বোচ্চ বলে জানানো হয়।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, গত বছর এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থান পেয়েছিলেন ১০ জন। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্স, কনসিস্টেন্সি ও সহলেখকদের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণাক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান এবং বৈশ্বিক জ্ঞানচর্চায় ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিফলন হবে বলে জানানো হয়।

স্বীকৃত গবেষক ও তাদের বৈশ্বিক অবস্থান
এম এ খালেক (১৬,২৯৪), মো. মঞ্জুর হাসান (২১,০৫৭), মুহাম্মদ ইব্রাহিম শাহ (৩৮,১২৯), মো. আব্দুল মুকতাদির (৩৮,৪৩৯), মো. রাকিবুল হক (৩৯,৮৭০), মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী (৬২,৭৪২), নেপাল চন্দ্র রায় (৭৭,২৪২), অমিত আবদুল্লাহ খন্দকার (৮০,৩০১), তসলিম উর রশিদ (৯০,৯৫৩), আব্দুস সালাম (৯৪,৫৯৫), মো. নাজমুল হাসান (৯৬,৩৬৯), কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ (৯৯,৫৭৮), মো. শাদ সালমান (১,০৫,৭৬৩), এম রেজাউল ইসলাম (১,০৬,৪১৬), মো. কাওসার আহমেদ (১,১১,৯৯৪), খাদিজা কুবরা (১,১৩,৭১৬), এম এস রহমান (১,১৭,১৭১), তাওসিফুর রহমান (১,১৯,১৬৭), আনিছুর রহমান (১,৩১,৩৫৩), সৈকত মিত্র (১,৩৫,৫২০) ও এম মঈনুল ইসলাম (১,৫২,৫৫৭)।
অন্যরা হলেন মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (১,৫৫,০৯৯), মো. আবু বিন হাসান সুসান (১,৭০,৪৮৩), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (১,৭১,৮১৬), এম ফেরদৌস (১,৭৭,৯৮৮), মো. আব্দুল কুদ্দুস (১,৮২,৪৩৭), মো. মাহমুদুল ইসলাম (২,৩৮,৩৫৫), মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা (২,৪৮,৮২০), মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (৩,০৮,৮২০), মো. রবিউল হাসান (৩,৫৬,৬৪৮), আল সাকিব খান পাঠান (৩৫৭,১৮০), মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩৭১,৬৫৬), অনিমেষ পাল (৩৮১,৫৯৩), শেখ এম এম ইসলাম (৩৯৫,৭৮৫) ও মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ (৪৩৮,২৭১)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শিক্ষক ও গবেষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই স্বীকৃতি শুধু শিক্ষক ও গবেষকদের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরে না, বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার বিকাশ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটায়। এই অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উপাচার্য আরও বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য একটি টেকসই অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক বছর ধরে গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মতো নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Dabi Vice Chancellor meets the JICA delegation

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে জাইকা প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নে জাইকা ও জেএসটি অর্থায়ন করবে
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে জাইকা প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ঢাকাস্থ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র (জাইকা) গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট শাখার সিনিয়র বিশেষজ্ঞ মি. ইচিরো আদাচির নেতৃত্বে ৮-সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছে। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন মি. হিরোনোরি নিশিকাওয়া, অধ্যাপক ড. কোজো ওয়াতানাবে, মিস মাকিকো ফিজিতা, মি. তোশিয়া সাতো, ড. মাসাহিরো টোকুমুরা, ড. বিজন কুমার মিত্র এবং ড. সুই কানাজাওয়া।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী, আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. ফাতিমা আক্তার এবং মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে জাইকা প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

সাক্ষাৎকালে তাঁরা জাইকা এবং জেএসটি’র অর্থায়নে ‘Implementing Water Quality Monitoring and Purification Technologies to Mitigate Health Risks for Antimicrobial Resistances (AMR) in the Dhaka Metropolitan Area’ শীর্ষক একটি যৌথ সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ব্যাপারে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এই প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশে প্রধান গবেষক (Principal Investigator) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই প্রকল্প গ্রহণের জন্য জাইকা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে জাইকার সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তিনি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
The student body raised serious complaints over the Daksu elections

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ‘গুরুতর’ অভিযোগ তুলল ছাত্রদল

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ‘গুরুতর’ অভিযোগ তুলল ছাত্রদল

ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন দেওয়া হলেও প্রশাসন কালক্ষেপণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত ডাকসুর পরাজিত ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, নির্বাচনে নানারকম জালিয়াতি ঘটেছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় ছাত্রদল প্যানেলের আরো কয়েকজন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

আবিদ বলেন, নির্বাচনে ভোটার চিহ্নিত করার জন্য যে মারকার পেন ব্যবহার করা হয় তা অস্থায়ী হওয়ায় একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছে ছাত্রদল। নির্বাচনের ব্যালট পেপার কোন প্রেস থেকে ছাপা হয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। এ নিয়ে সব অভিযোগ স্পষ্ট। এটাকে আড়াল করার সুযোগ নেই।

নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর ছিল না বলেও অভিযোগ তার।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এই ছাত্রনেতা বলেন, আচরণবিধি সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় পোলিং অফিসাররা সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। পোলিং অফিসারদের দ্বারা বারবার মবের শিকার হয়েছে ছাত্রদলের প্রার্থীরা।

বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইডের সহায়তায় একাধিক বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিয়েছে কিনা তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রদলের এই নেতা।

আবিদুল বলেন, পূর্বের রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ছাত্রদল নতুন সংস্কৃতিতে এসেছে। নির্বাচনের দিন থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত অসামঞ্জস্যতা থাকলেও ছাত্রদল প্যানেল কোনো মিছিল-মিটিং কর্মসূচি করেনি। নির্বাচনে স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহিতায় ফিরে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ তদন্ত করবে বলেও আশা করেন তিনি।

মন্তব্য

শিক্ষা
Complete Shutdown blank Rabi campus

চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, ফাঁকা রাবি ক্যাম্পাস

চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, ফাঁকা রাবি ক্যাম্পাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি) শুরু হয়েছে। পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাস পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে পড়েছে, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। প্রশাসন ভবনের সামনে ও বুদ্ধিজীবী চত্বরে বসে সময় কাটাচ্ছেন কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীরা। প্রশাসন ভবনসহ বিভিন্ন দপ্তরে তালা ঝুলছে।
ক্যাম্পাসের বাস চললেও শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি। খাবার দোকানগুলোতে আসন ফাঁকা, বেশিরভাগ দোকান বন্ধ।

গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে সভা শেষে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম। অফিসার সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহন মার্কেট, আমতলা, টুকিটাকি চত্বরসহ জনবহুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই। একজন দোকানি নূর উদ্দীন বলেন, ‘এই সময়ে শিক্ষার্থীরা খাবার খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেন, কিন্তু আজ হাতেগোনা কয়েকজন এসেছেন।’

শিক্ষার্থী রাজু ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দিন ক্যাম্পাসে অনেক ঘটনা ঘটেছে। কালকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হলো। মনে হচ্ছে না যে শীঘ্রই তা শুরু হবে। রাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে ক্যাম্পাসে ছিলাম, এখন মনে হয় না যে নির্বাচন হবে!’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত রাকসু নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল ক্যাম্পাসে। প্রার্থীরা নানা কৌশলে প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। এর মধ্যে সে দিন সন্ধ্যায় বাতিল হয়ে যাওয়া পোষ্য কোটা ১০ শর্তে ফিরিয়ে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পর থেকে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল রোববার শিক্ষক-কর্মকর্তারা লাঞ্ছিতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে এক দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে। আজ থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Decision to suspend quota in Rabis syndicate too

রাবির সিন্ডিকেটেও ‘পোষ্য কোটা’ স্থগিতের সিদ্ধান্ত

পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি
রাবির সিন্ডিকেটেও ‘পোষ্য কোটা’ স্থগিতের সিদ্ধান্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরতদের সন্তানদের ভর্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বা পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। গতকাল রোববার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবের বাসায় এ বিষয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আজ সোমবার থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভা শেষে বিকেল ৫টায় রাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদ সাংবাদিকদের জানান, সিন্ডিকেট প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। এছাড়া শনিবার জুবেরী ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তও হবে।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, শনিবার প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি স্থগিতের যে ঘোষণা হয়েছে, সে বিষয়টি সিন্ডিকেটকে জানানো হয়েছে। সিন্ডিকেট এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় আজ থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা আমরা শুরু করছি না। সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জুবেরী ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল একজন উপউপাচার্য শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। সিন্ডিকেট নিন্দা জানিয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আশা প্রকাশ করেছেন, রাকসু নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং এর জন্য সব পক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নানাভাবে খবর পাচ্ছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকাগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের গোলমাল লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অপচেষ্টার ব্যাপারে আমরা অবগত ছিলাম। এ ব্যাপারে শক্তিশালী একটি তদন্ত কমিটি করেছি। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করা হয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাকসু নির্বাচন যথাসময়েই হবে। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রাকসু নির্বাচন। আশা করছি যথাসময়ে হবে। এখন পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তারা আজ একটি কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু রাকসুর কার্যক্রম এর আওতামুক্ত ছিল। রাকসুর ব্যাপারে সিন্ডিকেট থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই। রাকসু যেন যথাসময়ে হয়, সেজন্য সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

রাবিতে আগে কর্মরতদের সন্তানদের জন্য ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি উপাচার্য এটি বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর তারা দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর জরুরি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামে।

শনিবার বিকেলে উপউপাচার্য মাঈন উদ্দিনসহ তিন কর্মকর্তা জুবেরী ভবনে শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। পরে উপাচার্য মধ্যরাতে ঘোষণা দেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি আপাতত স্থগিত।

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাতেই শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তারা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা না দেওয়ায় তারা কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছেন। তবে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় রাকসু নির্বাচন এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে।

রাবি অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে না দেওয়ায় আমরা হতাশ। আজ থেকে আমরা কমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছি।

মন্তব্য

p
উপরে