× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Instruction to open educational institutions from Sunday
google_news print-icon

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ

রোববার-থেকে-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-খোলার-নির্দেশ
স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
আদেশে বলা হয়, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগ।

উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অনুরূপ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ১৮.০৮.২০২৪ তারিখ রোববার হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।’

আরও পড়ুন:
ঢাকাসহ বেশ কিছু জেলার হাই স্কুল-কলেজ বন্ধ শনিবার
বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও
তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত
মৃত্যুর আগে সঞ্চয়ের টাকায় গড়া স্কুলটির এমপিওভুক্তি চান রেখা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
The decision to abolish public rooms in Dhabir Hall

ঢাবির হলে গণরুম বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত

ঢাবির হলে গণরুম বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হলের একটি গণরুম। ফাইল ছবি
হলের গেমস রুমকে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে গণরুম বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

হলের গেমস রুমকে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চালুর বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয় এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রভোস্টবৃন্দকে নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
পুরো ক্যাম্পাস নয়, ঢাবির নির্দিষ্ট স্থানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
ঢাবির নতুন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়েমা হক
ঢাবি উপাচার্যকে সদ্য সাবেকের অভিনন্দন
ঢাবির প্রক্টর হলেন সাইফুদ্দীন আহমদ

মন্তব্য

শিক্ষা
Tejgaon polytechnic students road block heavy traffic

তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট দাবি আদায়ে সোমবার রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় এলাকায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: সংগৃহীত
‘টেকনিক্যাল স্টুডেন্ট মুভমেন্ট’-এর ব্যানারে ছয় দফা দাবি আদায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্লাকার্ড নিয়ে তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে আশপাশের এলাকাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে আশপাশের এলাকাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।

‘টেকনিক্যাল স্টুডেন্ট মুভমেন্ট’-এর ব্যানারে ছয় দফা দাবি আদায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে ফার্মগেট থেকে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত বাস, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাসহ সব ধরনের গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান ইউএনবি-কে বলেন, ‘অবরোধের কারণে সড়কের দুপাশে যানবাহন আটকা পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সড়ক অবরোধকালে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া সব ‘বিতর্কিত’ কারুশিল্প প্রশিক্ষককে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান থেকে অবিলম্বে বদলি করা, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি সেমিস্টার পূর্ণ মেয়াদের অর্থাৎ ছয় মাসের করা।

তারা আরও দাবি করেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে (দশম গ্রেড) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ব্যতীত অন্য কেউ আবেদন করতে পারবেন না এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংস্কার করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত কোনো জনবল থাকতে পারবে না।

শিক্ষক সংকট দূর করতে শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সব শূন্য পদে কারিগরি জনবল নিয়োগের দাবি জানান।

এছাড়াও উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন নিশ্চিত করার দাবি তাদের।

আরও পড়ুন:
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি ছাত্রদের অবরোধ
কোটা বাতিল দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
খুলনা-ফরিদপুর মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি
প্রক্টর প্রভোস্টকে অব্যাহতির আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
The debut of the National Citizen Committee in realizing the expectations of the movement

আন্দোলনের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ

আন্দোলনের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে রোববার সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
সংগঠনটির ঘোষণা করা ৫৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখপাত্র সামান্থা শারমিন। বাকি ৫৩ জন সদস্য। কমিটির প্রাথমিক কাজ হিসেবে আটটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ওই সফল গণঅভ্যুত্থানের পর সমাজের বিভিন্ন স্তরের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মঞ্চ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’।

রোববার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে এই কমিটির ঘোষণা আসে। আত্মপ্রকাশের দিনেই সংগঠনটির ৫৬ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সংগঠনের পক্ষে কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পাটোয়ারী এই কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ছিলেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন গত বছর গঠিত বিকল্প ছাত্র প্লাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পেছন থেকে অগ্রণী ভূমিকা ছিল আখতারের। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৭ জুলাই তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত তিনি বন্দি ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী সামান্থা শারমিনকে কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে।

কমিটি গঠন উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সামান্থা জানান, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তারা কাজ শুরু করেছেন।

সংগঠনটির নেতারা বলেন, অতি শিগগিরই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।

মুখপাত্র বলেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত এই কমিটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা ছাত্র অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করব এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করব।’

৫৬ সদস্যের এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ৫৩ জন। তারা হলেন- আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরি, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃ, সাগুফতা বুশরা মিশমা।

আরও রয়েছেন- সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস. এম. শাহরিয়ার, মানজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, তানজিল মাহমুদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, এস.এম. সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির ও আকরাম হুসেইন।

কমিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির প্রাথমিক কাজ কী হবে সে সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কমিটির প্রাথমিক কাজ আটটি। সেগুলো হলো-

১। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা।

২। ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা।

৩। রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা।

৪। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা।

৫। দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা।

৬। জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা।

৭। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৮। গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কাজের পরিধি ও পদ্ধতি সাপেক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে নিজ নিজ এলাকায় সংঘবদ্ধ থাকার আহ্বান করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা রক্ষার চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অচিরেই জেলা ও উপজেলা, এলাকাভিত্তিক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Students demand ban on party politics in certain places in DU campus

পুরো ক্যাম্পাস নয়, ঢাবির নির্দিষ্ট স্থানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব

পুরো ক্যাম্পাস নয়, ঢাবির নির্দিষ্ট স্থানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবনা তুলে ধরে ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস নয়, শুধু আবাসিক ও একাডেমিক স্থানগুলোতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিসহ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আট দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইউআরআই)।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস নয়, শুধু আবাসিক ও একাডেমিক স্থানগুলোতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিসহ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আট দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইউআরআই)।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলেও থাকতে পারবে। তবে সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মুখপাত্র শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আদনান মুস্তারি এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা।

সংগঠনটির পক্ষে আদনান মুস্তারি আটটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।

প্রস্তাবনাগুলো হলো-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক স্থান (হল, হোস্টেল প্রভৃতি) ও একাডেমিক স্থানে (অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট প্রভৃতি) সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি (সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, সম্মেলন, শোভাযাত্রা, শোডাউন প্রভৃতি) নিষিদ্ধ করা হবে।

২. কোনো প্রকার রাজনৈতিক পরিচয় বা সংশ্লিষ্টতা ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী উল্লিখিত স্থানগুলোতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, কোনো সুযোগ-সুবিধা আদায় বা বিশেষ বিবেচনালাভের প্রচেষ্টা চালাতে পারবে না।

৩. কোনো শিক্ষার্থী যদি উল্লিখিত কর্মকাণ্ডগুলোতে জড়িত হয় তবে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং এই মর্মে সিন্ডিকেটে আইন পাস করতে হবে।

৪. উল্লিখিত স্থানগুলোতে কোনো দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের প্রচেষ্টা ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত পরিসরে কেউ কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করলে বা নিজস্ব মত প্রকাশ করলে তাকে কোনো শাস্তির আওতাভুক্ত করা হবে না।

৫. দ্রুততম সময়ের মধ্যে হল ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বৈধ শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটার হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। স্নাতক পর্যায়ের বৈধ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ভর্তি হওয়ার সেশন থেকে বর্তমান শিক্ষাবর্ষের পার্থক্য ছয়ের বেশি হবে না। যেমন- ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ ধরে নিয়ে ২০১৭-১৮ সেশনের সব বৈধ শিক্ষার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একইভাবে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভর্তি সেশনের সঙ্গে বর্তমান সেশনের পার্থক্য দুইয়ের বেশি হতে পারবে না।

৭. ডাকসু বা হল সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। সব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে নিজস্ব ইশতেহার ঘোষণা করতে হবে। কোনো প্যানেল হিসেবে কেউ নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

৮. ছাত্র-শিক্ষক সমন্বয়ে অভিজ্ঞ প্যানেল তৈরি করে ডাকসুর সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার সুপারিশমালা প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের সংশোধনী বাস্তবায়ন করতে হবে।

হলে রাজনৈতিক মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নে আদনান মুস্তারি বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। আমরা কারও সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত করার পক্ষে না। রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন। তবে সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী তামিম মুনতাসির, ফজলুল হক মুসলিম হলের আনোয়ার ইব্রাহীম বিপ্লব, বিজয় একাত্তর হলের জোবায়ের হোসেন শাহেদ, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের রেদওয়ানুল হাসান শান্ত প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
ঢাবির নতুন ট্রেজারার অধ্যাপক জাহাঙ্গীর
ঢাবি উপাচার্য হিসেবে নিয়াজ আহমেদ খানকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
ত্রাণ রাখার জায়গা নেই টিএসসিতে, সংগ্রহের নতুন স্থান ঢাবি জিমনেসিয়াম
গণত্রাণ: বন্যার্তদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছে টিএসসি
ঢাবি অধিভুক্ত তিন কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ

মন্তব্য

শিক্ষা
The Chhatra Dals occupation of the hall is a favor to the Chhatra League
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়

ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের কয়েকটি কক্ষ দখল করেছেন। অবৈধভাবে দখলে নিতে অপর পক্ষকে কক্ষ থেকে নামিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। আধিপত্য বিস্তার করতে ছাত্রলীগকেও কাছে টানছেন তারা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল অবৈধভাবে দখল করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী।

বিএনপির ছাত্রসংগঠনটির নেতারা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের কয়েকটি কক্ষ দখল করেছেন। অবৈধভাবে দখলে নিতে অপর পক্ষকে কক্ষ থেকে নামিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। আধিপত্য বিস্তার করতে ছাত্রলীগকেও কাছে টানছেন তারা।

এদিকে হল দখল করা নিয়ে ছাত্রদলের একাধিক পক্ষের আধিপত্য বিস্তার ও বিভাজনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসছে৷ এর একটি পক্ষের নেতৃত্বে ববি শাখার সভাপতি মো. রেজা শরীফ। পর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ববি শাখার ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন ঊর্মি।

ছাত্রদলের উভয় গ্রুপের বিরুদ্ধেই আবাসিক হলে অবৈধভাবে কক্ষ দখল ও ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতোদিন ছাত্রলীগ আধিপত্য বিস্তার করে রাখা কক্ষগুলো ছাত্রদল দখলে নিতে শুরু করেছে।

শেরে বাংলা হলের ২০০৬, ৫০২০, ২০০৭ নম্বরসহ আরও কিছু কক্ষের সিট দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে ছাত্রলীগের সহায়তা নিয়েই ছাত্রদলের নেতারা কক্ষগুলো দখলে নেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন তাদেরকেও সহায়তার প্রমাণ মিলেছে ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, আধিপত্য বিস্তার করতেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন ছাত্রদল নেতারা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। তারপরও হল দখলে নিয়ে ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন ছাত্রদল নেতারা।

মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাত্রদলের এই কমিটি গঠিত হয় ২০২১ সালের এপ্রিলে। এই কমিটির অধিকাংশ নেতারই ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। বিগত দুই থেকে তিন বছর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কোন অস্তিত্ব ও কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

ছাত্রদল নেতা বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম, আরিফ হোসেন শান্ত ও সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে কক্ষ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিনহাজুল শেরে বাংলা হলের ২০০৬ ও ৫০২০ নম্বর কক্ষ দখল করেন। ২০০৬ নম্বর কক্ষটি বৃহস্পতিবার রাতেই ছেড়ে দিলেও ৫০২০ নম্বর কক্ষ তার এক অনুসারীকে দিয়ে দখলে রেখেছেন।

তবে কক্ষ দখলের খবরটি ভিত্তিহীন দাবি করে মিনহাজুল বলেন, ‘ছাত্রদলের সদস্য মোশাররফের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের শিহাব-মঞ্জু রুম ভেঙে দখলের চেষ্টা করে। আমি সেটা প্রতিহত করি।’

অপরদিকে জান্নাতুল নওরিন ঊর্মির অনুসারী ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন শান্ত ২০০৭ নম্বর কক্ষে এক শিক্ষার্থীকে উঠান। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সভাপতি রেজা শরিফের অনুসারী শান্তর লোককে জোরপূর্বক নামিয়ে নিজের লোক উঠানোর চেষ্টা করেন।

সাব্বির হোসেন ও আরিফ হোসেন শান্ত একে অপরের বিরুদ্ধে কক্ষ দখলের অভিযোগ করেছেন।

সাব্বির ছাত্রদলের কোন সদস্য না হলেও সভাপতির অনুসারী পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন ক্যাম্পাসে। মো. মোশাররফ হোসেন ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা হলেও ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত তার ছাত্রলীগের মূল ধারার নেতাদের সঙ্গে সখ্য ছিলো।

এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে নওরিন ঊর্মি বলেন, ‘আমার অবস্থান স্পষ্ট। যদি কেউ আমার নাম ভাঙিয়ে হল দখলসহ কোনো ধরনের দখলদারত্ব করতে যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর আমাদের মধ্য কোনো বিভাজন নেই, আমরা এক আছি।’

ছাত্রদল ববি শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান আল হাসিব বলেন, ‘আমাদের কাছে হল দখলের এমন সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ছাত্রলীগ কর্মীরা এখন ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করছে কতিপয় নেতার প্রশ্রয়ে। আমরা তাদের ব্যাপারে খোঁজ রাখছি। প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রেজা শরীফ বলেন, ‘ছাত্রদলের নাম করে ক্যাম্পাসে কেউ দখলদারি শুরু করলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেব। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না৷ ছাত্রলীগের নির্যাতনকারী নেতাকর্মীদের যদি ছাত্রদলের কেউ প্রশ্রয় দেয় তাহলে প্রমাণ পেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীনের কাছে হল দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না। তবে এমন কিছু হয়ে থাকলে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

আরও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল ছাত্রদলের, কক্ষে তালা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ববির দায়িত্বে অধ্যাপক মুহসিন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রক্টরসহ ১৯ জনের পদত্যাগ
উপাচার্যের পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান ববি শিক্ষার্থীদের

মন্তব্য

শিক্ষা
Jabir took the students out and locked the Chhatra Dal room

শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল ছাত্রদলের, কক্ষে তালা

শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল ছাত্রদলের, কক্ষে তালা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নজরুল ইসলাম হলের ১০৪ নম্বর কক্ষ দখল করে তালা দিয়েছে ছাত্রদল। ছবি: নিউজবাংলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন অপুর নেতৃত্বে শুক্রবার শহীদ নজরুল ইসলাম হলের ১০৪ নম্বর কক্ষে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে কক্ষ দখল করে তালা দেয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শহীদ নজরুল ইসলাম আবাসিক হলের একটি কক্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে কক্ষ দখলে নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বাকি কক্ষগুলোও দখলে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন অপুর নেতৃত্বে শুক্রবার শহীদ নজরুল ইসলাম হলের ১০৪ নম্বর কক্ষে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে কক্ষ দখল করে তালা দেয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এরপর হলটিতে অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা নিজেদের অর্থ ব্যয় করে হলটি বসবাসযোগ্য করে তোলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা গ্রুপের নেতাকর্মীরা এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের রুম থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় শাখা ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন অপুর নেতৃত্বে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর রহমান দুর্জয়, মাশফিকুর রাইন ও মনিরুজ্জামান; ১১ ব্যাচের শামীম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের মাহমুদুল হাসান নাইম, বাংলা বিভাগের ১৮ ব্যাচের আশরাফুল, ১৭ ব্যাচের ফাইনান্স বিভাগের সৈকত মাহমুদসহ ১৫/২০ জন নেতাকর্মী হল দখল করেন। পরে ১০৪ নম্বর কক্ষটি দখলে নিয়ে তারা তালা দেন। বাকি কক্ষগুলোও ছাত্রদল দখল করবে বলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন তারা। হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাইরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো ঠাঁই নেই বলেও হুঁশিয়ারি দেন হল দখলকারীরা।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ১০৪ নম্বর কক্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের হাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে জিনিসপত্রসহ বের করে দেন।

ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারা এত বেশি এগ্রেসিভ ছিল যে ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলার পরিবেশ ছিল না। আমি সিনিয়র হলেও তারা জুনিয়র নিয়ে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বই-খাতা, টেবিল ও চৌকি বাইরে বের করে দেয়।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রায়হান হোসেন অপু বলেন, ‘রুম ফাঁকা ছিল, ওখানে কেউ ছিল না। এজন্য কয়েকজনকে তুলে দিয়েছি। রুম থেকে কাউকে বের করে দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাকি সব অভিযোগ মিথ্যা।’

শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই। ফেসবুকে এমন একটা পোস্ট দেখলাম। শুনেছি ওখানে একজন ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে হলটা কন্ট্রোল করে। বাস্তবেই ছাত্রদলের কেউ এমনটা করে থাকলে আমরা সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

মন্তব্য

শিক্ষা
Two advisers are concerned about attacks on journalists

সাংবাদিকদের ওপর হামলায় দুই উপদেষ্টার উদ্বেগ

সাংবাদিকদের ওপর হামলায় দুই উপদেষ্টার উদ্বেগ উপদেষ্টা নাহিদ হাসান ও আসিফ মাহমুদ আহত সাংবাদিকদের খোঁজখবর নিতে শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে যান। ছবি: নিউজবাংলা
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ হাসান বলেন, ‘ছাত্র-জনতা বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান করেছে। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। দ্রুতই আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

রাজধানীর বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও জাগোনিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক নাহিদ সাব্বিরের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা।

শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে আহত দুই সাংবাদিকের খোঁজ নিতে এসে এই উদ্বেগ জানান সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ হাসান ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুতই আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন নাহিদ ও আসিফ।

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ হাসান বলেন, ‘ছাত্র-জনতা বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান করেছে। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি গণঅভ্যুত্থান সফল করার পেছনে এক বিরাট ভূমিকা পালন করেছে।’

তিনি বলেন, সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্য সংবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা প্রকাশ করে গিয়েছেন। তাদের সহযোগিতা ছাড়া ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানে সফলতা পাওয়া কঠিন হয়ে যেত। সাংবাদিকদের ওপর এই হামলার ঘটনায় দ্রুতই আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেটে হামলার শিকার হন সাংবাদিক আল সাদী ভূঁইয়া ও নাহিদ সাব্বির। তাদেরকে সাবেক কাউন্সিলর চামেলীর অনুসারীরা হাতুড়ি, রড, জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তারা এখনও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

ওই হামলার ঘটনায় বিএনপির ২০ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম স্বপন, শাহবাগ থানার ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলির স্বামী আবুল হোসেন টাবু, বিএনপির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মাসুদ ইউসুফকে আসইম করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

মন্তব্য

p
উপরে