× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Victory march over the fall of dictatorship in Babi
google_news print-icon

ববিতে স্বৈরাচার পতন বিজয় মিছিল

ববিতে-স্বৈরাচার-পতন-বিজয়-মিছিল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার স্বৈরাচার পতনের বিজয় মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক থেকে বিজয় মিছিল শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভোলা রোড প্রদক্ষিণ করে ভিসি গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। মিছিলে ছাত্র-জনতার ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) স্বৈরাচার পতনের বিজয় মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ অংশ নেন।

বুধবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক থেকে বিজয় মিছিল শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ভোলা রোড প্রদক্ষিণ করে ভিসি গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গিয়ে মিছিল শেষ করেন তারা। মিছিলে ছাত্র-জনতার ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।

এই ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম কোটা আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আন্দোলনের নানা মোড় ঘুরে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন শুরু হয়। সবশেষ ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন ঘটে।

আরও পড়ুন:
চলে গেলেন গুলিবিদ্ধ জবি শিক্ষার্থী সাজিদ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আন্দোলনে হত্যার বিচার সম্ভব
ববিতে রাজনীতির পক্ষ নেয়া সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগ
সন্ধ্যার মধ্যে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রধান বিচারপতির

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Human chain in DU demanding withdrawal of Teknaf OC
অস্ত্র মামলায় শিশু কারাগারে

টেকনাফের ওসি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন

টেকনাফের ওসি প্রত্যাহার চেয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধনে ডুসাট সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, টেকনাফ থানা পুলিশ ১৪ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে অস্ত্র মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি টেকনাফ থানার ওসির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

বাবাকে না পেয়ে ১৪ বছরের এক শিশুকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষার্থীরা শনিবার ক্যাম্পাসে রাজু ভাস্কর্যে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ উখিয়া-টেকনাফ (ডুসাট)’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে ডুসাটের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘টেকনাফ থানা পুলিশ ১৪ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে অস্ত্র মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, শিশুটির বাবাকে না পেয়ে তাকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

‘আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রশাসনের প্রতি সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এবং তদন্তের স্বার্থে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘উখিয়া-টেকনাফ প্রশাসনের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ‌এবং পাহাড়, বন, নদী, খাল ও সরকারি খাস জমি দখলকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

‘টেকনাফে নাফ নদে জেলেদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। সর্বোপরি টেকনাফ-উখিয়ার শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে, শিক্ষার মাধ্যমে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’

সংগঠনের আরেক সদস্য ফারজানা আক্তার বলেন, ‘আমরা আর শেখ হাসিনার ওসি প্রদীপের যুগে ফিরে যেতে চাই না। আমরা উখিয়া ও টেকনাফের মানুষের নিরাপত্তা চাই।’

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দশটি দাবি উত্থাপন করেন। সেগুলো হলো:

১. সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফিকে অস্ত্র দিয়ে গ্রেপ্তারের বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করতে হবে এবং তদন্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দিতে হবে।

২. টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তদন্তের স্বার্থে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে প্রত্যাহার করতে হবে।

৩. উখিয়া ও টেকনাফে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এবং কোস্টগার্ডে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।

৪. সন্ত্রাস, মাদক, অপহরণ এবং চাঁদাবাজি নির্মূলে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

৫. প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনতে হবে এবং একজন অফিসার এক বছরের বেশি যেন দায়িত্বে না থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. উখিয়া ও টেকনাফে আগে নিয়োজিত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭. উখিয়া ও টেকনাফের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

৮. প্রশাসনের কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৯. রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান করতে হবে।

১০. কাউন্সিলর একরামসহ বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ড তদন্তের উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ ওঠে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। আদালত ওই শিশুর জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাউসিফুল করিম রাফি উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (২) রেজাউল করিমের ছেলে এবং হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় তার বাবাকেও আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার ধরনবিষয়ক কমিটির কার্যক্রম শুরু
আওয়ামী লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
ঢাবি ছাত্রদল থেকে ৬ নেতাকে অব্যাহতি
ঢাবিতে হাসিনা কাদের ইনু মেননের প্রতীকী ফাঁসি
ঢাবিতে হামলা: শেখ হাসিনাসহ ৩৯১ জনের নামে মামলা

মন্তব্য

শিক্ষা
Students lock the office to demand the resignation of Bobby Vice Chancellor

ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালা

ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তালা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
জুলাই-বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ না করা এবং বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করার অভিযোগ তুলে বুধবার শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেন। এজন্য তারা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেন।

আল্টিমেটামে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্য কার্যালয়ের লোকজনকে বের করে দিয়ে দুটি কলাপসিবল গেট তালবদ্ধ করে রাখেন।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপাচার্যের নামফলক তুলে দিয়ে কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে দেন শিক্ষার্থী। এ সময় তারা বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

জুলাই-বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ না করা এবং বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করার অভিযোগ তুলে বুধবার শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেন। এজন্য তারা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর শিক্ষার্থীরা আবার আন্দোলনে নামেন এবং উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেন।

এদিকে উপাচার্য মঙ্গলবার রাত থেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখলেও সাংবাদিকদেরকে তিনি এড়িয়ে চলছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. মোকাব্বেল শেখ বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা ৭টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যের পদত্যাগের আল্টিমেটাম ছিলো। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি। আজকে আমরা তার কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি। দাবি আদায়ে এরপর ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব সংগঠনের সমন্বয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, ‘আল্টিমেটামে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় তার কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি। তিনি দ্রুত পদত্যাগ না করলে এরপর আমরা উপাচার্যের বাংলো ঘেরাও করব।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন ববি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজা শরিফ বলেন, ‘এই উপচার্য আওয়ামী দোসরদের পুর্নবাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সবশেষ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার বিরোধিতা সত্ত্বেও বিতর্কিত ব্যক্তিকে ট্রেজারার হিসেবে যোগদানে সহযোগিতা করেছে উপাচার্য।

‘এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাজই সময়মতো করেন না। তিনি তার নিজের গতিতে চলেন। যার ফলে শিক্ষার্থীরা সময়মতো পরীক্ষার রেজাল্ট পাচ্ছেন না, মেডিক‍্যালে গেলে ‌ওষুধ মিলছে না। সার্বিক বিষয় মিলে আমরা উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলন করছি। আজ আমরা সব শিক্ষার্থী মিলে উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছে। বিষয়টি আমরা অবগত আছি।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

মন্তব্য

শিক্ষা
46th BCS Prelims Result Rerelease Passed 21397

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল পুনঃপ্রকাশ, উত্তীর্ণ ২১৩৯৭

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল পুনঃপ্রকাশ, উত্তীর্ণ ২১৩৯৭
গত ৯ মে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৩৮ জন। সরকার পতনের পর গত ১৮ নভেম্বর পিএসসির নতুন কমিশনের সদস্যরা আগে উত্তীর্ণদের সঙ্গে সমসংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করে লিখিত পরীক্ষায় সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট ২১ হাজার ৩৯৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। অর্থাৎ প্রথম দফা প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীর সঙ্গে নতুন করে ১০ হাজার ৭৫৯ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এই ফল প্রকাশ করে।

পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রার্থীরা এই ফল দেখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান।

গত ৯ মে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৩৮ জন। সরকার পতনের পর গত ১৮ নভেম্বর পিএসসির নতুন কমিশনের সদস্যরা আগে উত্তীর্ণদের সঙ্গে সমসংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করে লিখিত পরীক্ষায় সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সম্ভাব্য বৈষম্য দূর করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানায় পিএসসি।

এদিকে পিএসসির ওয়েবসাইটে সংস্থার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার শাখা) আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতেও ফল প্রকাশের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রার্থীদের পরবর্তী করণীয় উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২৩ এর প্রিলিমিনারি টেস্টে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ৭ এবং ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর জারি করা ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী এসব প্রার্থীকে সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ করা হলো।

লিখিত পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে কমিশনের ওয়েবসাইটে ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফল জানা যাবে যেভাবে

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টের ফল পিএসসির ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে।

টেলিটকের যেকোনো নম্বর থেকে এসএমএস করে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টের ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে PSC46 Registration Number লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: PSC 46 123456 send to 16222।

আরও পড়ুন:
পাঁচ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাচ্ছেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
৪৪তম বিসিএস: ৩৯৩০ জনের মৌখিক পরীক্ষা বাতিল
বিসিএস পরীক্ষায় বসার সুযোগ সর্বোচ্চ চার বার নির্ধারণ
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিতে যোগদান পিছিয়ে ১ জানুয়ারি
৪৩ বিসিএসে ২০৬৪ জনের নিয়োগ, ৯৯ জনের ফল স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
Instructing job students to exercise restraint

জবি শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা

জবি শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা
প্রক্টর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক দিনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উস্কানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে না জড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েক দিনে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উস্কানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক দিনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষ এবং উস্কানিমূলক পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে না জড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

আরও পড়ুন:
শিক্ষককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ
জবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর
কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের
পাঁচ দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

মন্তব্য

শিক্ষা
Students not killed stop spreading misinformation DMP

শিক্ষার্থী নিহত হয়নি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন: ডিএমপি

শিক্ষার্থী নিহত হয়নি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন: ডিএমপি
ডিএমপির ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি। অপপ্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

রাজধানীতে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এমনটা জানিয়ে অপপ্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ১৬ নভেম্বর ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদার ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়। ১৮ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতে তার পরিবার ও কলেজের কিছু শিক্ষার্থী ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।

২০ নভেম্বর পুনরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ৫০০/৬০০ শিক্ষার্থী ওই হাসপাতালে এসে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ সময় প্রতিবাদকারীদের চাপে হাসপাতালের পরিচালক চারজন চিকিৎসক ও দুজন শিক্ষার্থীসহ অভিজিতের চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কিন্তু ওই সময় হাসপাতাল চত্বরে অবস্থানরত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে। সন্ধ্যার পর স্থানীয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে আসে।

এ সময় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা সমঝোতা না মানায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের দুই ছাত্র আহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আরও জানান, রোববার (২৪ নভেম্বর) আনুমানিক দুপুর দুপুর ২টার দিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পুনরায় ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের ১২ থেকে ১৫ হাজার শিক্ষার্থী সোমবার আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। আগে থেকে পুলিশ ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে অবস্থান করে। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল ও মারমুখী শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হয়। যাত্রাবাড়ী মোড়ে পুলিশ পুনরায় বাধা দিলেও তারা বাধা অতিক্রম করে ওই কলেজে পৌঁছে ব্যাপক ভাঙচুর-লুটপাট চালায়।

ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ইউনাইটেড কলেজ অফ বাংলাদেশ (ইউসিবি) নামে একটি ফোরাম গঠিত হয়। অপরপক্ষে রাজধানীর ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি কবি নজরুল কলেজ মিলে সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি জোট রয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ৩৫ কলেজের ফোরাম ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও পরস্পরের প্রতি ঘৃণার মনোভাব সৃষ্টি হয়।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সোমবার সকাল ৭টা থেকে সূত্রাপুর ও ডেমরা এলাকায় পর্যাপ্ত জনবল মোতায়েন করা হয়। মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল ও মারমুখী শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হয়ে ওই কলেজে হামলা চালায়। পুলিশ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তা সত্ত্বেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হামলা ও লুটতরাজে জড়িয়ে পড়ে।

ডিএমপির মুখপাত্র আরও বলেন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের জেরে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লিখিত ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন মর্মে অনেকেই অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা মোটেই সঠিক নয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এরূপ অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন:
আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে রক্তপাত হতো: আসিফ মাহমুদ
তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে বহু আহত, হাসপাতালে ৬৩
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকা ‘রণক্ষেত্র’

মন্তব্য

শিক্ষা
Police case against eight thousand students

আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৭/৮ হাজার শিক্ষার্থী রোববার মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। তারা পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ, জীবননাশের হুমকি দেয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে।

ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের আট হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে রোববার মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সোমবার আদালতে আসে। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এজাহার গ্রহণ করে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

সূত্রাপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখার সাব-ইন্সপেক্টর অনুপ দাস এ তথ্য জানান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৭/৮ হাজার শিক্ষার্থী ২৪ নভেম্বর রোববার বেআইনি জনতাবদ্ধে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। তারা সরকারি অস্ত্রের (পিস্তল) গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত সাঁজোয়া যান বা এপিসি (আর্মার পার্সনেল ক্যারিয়ার) ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি দেওয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে।

এছাড়া পুলিশের এপিসি কার ও ডিউটিরত পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে রক্তপাত হতো: আসিফ মাহমুদ
তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে বহু আহত, হাসপাতালে ৬৩
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকা ‘রণক্ষেত্র’
সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের

মন্তব্য

শিক্ষা
Blood would have flowed if law and order forces had gone into action Asif Mahmood

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে রক্তপাত হতো: আসিফ মাহমুদ

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে রক্তপাত হতো: আসিফ মাহমুদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘শত চেষ্টা ও বসে সমাধান করার আহ্বান জানানোর পরও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়ানো থেকে আটকানো গেল না। শিক্ষার্থীদের অ্যাগ্রেসিভনেস ও প্রস্তুতি দেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও স্ট্রিক্ট অ্যাকশনে যায়নি। কোনও প্রকার অ্যাকশনে গেলেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তপাত হতো।’

রাজধানীতে কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরও রক্তপাত হতো বলে মনে করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেছেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শত চেষ্টা ও বসে সমাধান করার আহ্বান জানানোর পরও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়ানো থেকে আটকানো গেল না। শিক্ষার্থীদের অ্যাগ্রেসিভনেস ও প্রস্তুতি দেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও স্ট্রিক্ট অ্যাকশনে যায়নি। কোনও প্রকার অ্যাকশনে গেলেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তপাত হতো।’

তিনি বলেন, ‘সব পক্ষকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। একত্রে দেশ গড়ার সময়ে সংঘর্ষের মতো নিন্দনীয় কাজে জড়ানো দুঃখজনক। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ৩৫ কলেজের ছাত্রদের ঘেরাও ভাঙচুর
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৩৭ জন ঢামেকে
সাত কলেজকে ঢাবি অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
সায়েন্স ল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

মন্তব্য

p
উপরে