× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
The protests of teachers and students in Jabi are signed
google_news print-icon
‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি

জাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, গণস্বাক্ষর

জাবিতে-শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের-বিক্ষোভ-গণস্বাক্ষর
‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সরকার একটি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশে এখন গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা আছে তেমনটা মনে করার কোনো কারণ অবশিষ্ট নেই। সরকারকে বলতে চাই- যে ভয়ের সংস্কৃতি দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন সেটিতে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। সত্য স্বীকার করতে শিখুন, ভুল স্বীকার করতে শিখুন।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা ও গুমের প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকও এই কর্মসিূচিতে অংশ নিয়েছেন।

বুধবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদ ভবন সংলগ্ন মহুয়া মঞ্চের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক, নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা।

এরপর একই স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লিয়নসহ গ্রেপ্তারকৃত সব শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর করেন।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সরকার একটি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশে এখন গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা আছে তেমনটা মনে করার কোনো কারণ অবশিষ্ট নেই।

‘আজ পর্যন্ত এতো নির্মমতা, এতো হত্যাকাণ্ড, এতো নির্যাতন, এতো নিপীড়নের পরও কোনো প্রকার দায়-দায়িত্ব স্বীকার করেনি সরকার। অথচ আমরা স্পষ্ট দেখেছি যে এই সহিংসতা ছড়ানোর পেছনে একজন মন্ত্রীর কী পরিমাণ দায়দায়িত্ব রয়েছে। তিনি একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই সংঘর্ষ ছড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই আন্দোলন এখন আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলন হয়ে গেছে। একটি রাষ্ট্র যখন সংকটে পতিত হয়, একটি রাষ্ট্রের যখন আমূল পরিবর্তনের দরকার হয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সৃষ্টিই হয়েছে রাষ্ট্রকে পথ দেখানোর জন্য। রাষ্ট্রের যে ড্যামেজ তা পুনঃনির্মাণ করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। সরকারকে বলতে চাই- যে ভয়ের সংস্কৃতি দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করতে চেয়েছিলেন সেটিতে আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা সত্য স্বীকার করতে শিখুন, ভুল স্বীকার করতে শিখুন। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করুন।’

নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী বলেন, ‘সরকার আশা করছিল, কোটা সংস্কার আন্দোলনের জবাব হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে যখন রায় হবে, হল যখন বন্ধ থাকবে ততক্ষণে সবকিছু শান্ত করে ফেলা যাবে।

‘বাস্তবতা হচ্ছে, পুরো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কতগুলো উস্কানি দেয়ার কারণে। নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুতে বাংলাদেশের এমন কোনো বর্গ নেই যেখানে একান্তে মানুষ হাহাকার না করছে। কান পাতলেই সরকার ও সরকারপন্থী গায়েনরা এসব কথা শুনতে পারতেন- মানুষজন কিভাবে শোক করছে।

‘সরকার যেমন গোয়ার্তুমি করে নো-রিটার্নে গেছে; আমাদেরকেও হকের জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য, স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য পয়েন্ট অফ নো-রিটার্নে যেতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিহা বলেন, ‘যারা আজকে আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে, যারা জনগণের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেচে খেতে চায়।

‘আমরা বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোনো একক দলের চেতনা নয়। স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সাম্যের চেতনা সারা বাংলার মানুষের চেতনা।’

সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম করে মানুষের ওপর স্বৈরশাসন চালাবেন, দুঃশাসন চালাবেন, গুলি চালাবেন, তাহলে জনগণ আপনাকে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্মের নাম করে তারা জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল। আর এখন আপনারা স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম করে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম রিহানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শামীম হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী অমর্ত্য রায় প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
‘শিক্ষার্থীরাই এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশি বাধা
চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ, উত্তেজনা
বরিশালে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১৫
সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Exiled one fascist not to give another a chance Sargsyan

এক ফ্যাসিস্টকে দেশছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দিতে নয়: সারজিস

এক ফ্যাসিস্টকে দেশছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দিতে নয়: সারজিস টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে বৃহস্পতিবার শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভা করেন সমন্বয়করা। ছবি: নিউজবাংলা
রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ করে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘যারা সাধারণ মানুষের কথা বলবেন তারাই রাজনীতি করবেন। কেউ কোনো ধরনের চাঁদাবাজি করলে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজকের পর থেকে সব চাঁদাবাজি, সব সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘পুলিশ বাহিনীকে বলে দিতে চাই যে আপনারা হুঁশিয়ার হয়ে যান; যদি মনে করেন যে কিছু হবে না তাহলে তা হবে ভুল ধারণা। আর যারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন তারা ভাইবেন না যে এক ফ্যাসিস্টকে দেশছাড়া করার পর আরেক ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় বসাব।’

টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে বৃহস্পতিবার বিকেলে গণঅভ্যুত্থান প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ করে সারজিস আলম বলেন, ‘আপনারা রাজনীতি করবেন; তবে যোগ্য হয়ে আসবেন, যাতে করে কেউ আপনাদের কটু কথা না বলে। এমন লোক আসবেন যারা সঠিক কথা বলবেন। যারা সাধারণ মানুষের কথা বলবেন তারাই রাজনীতি করবেন।

‘একটি বিষয় মনে রাখবেন, কেউ কোনো ধরনের চাঁদাবাজি করলে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজকের পর থেকে সব চাঁদাবাজি, সব সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম আইনি, মোবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, মিতু আক্তার, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, এলমা খন্দকার এ্যানী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাকিবুল হাসান।

তারা বলেন, ‘প্রশাসনে আওয়ামী লীগের যেসব প্রভুর বসে আছেন তারা হারুনের দিকে তাকান; তাহলেই বুঝতে পারবেন। সাবধান হয়ে যান।

ছাত্ররা যখন মাঠে নামে খালি হাতে ফেরে না। ১৯৫২ সালে তারা ফেরেনি। ১৯৯০ সালেও শাসক গদি থেকে নেমেছিলে। এবারও ছাত্র-জনতা মাঠে নামার পর ফ্যাসিস্ট হাসিনা নেমে গেছেন।’

তারা আরও বলেন, ‘আগামীতে যদি কেউ ফ্যাসিস্ট সরকার হতে চায় তাহলে ছাত্র-জনতা কঠিনভাবে তা মোকাবিলা করবে। আমরা মাঠ থেকে সরে যাইনি। আমরা ট্রাফিকের কাজ করেছি, ক্লিনের কাজ করেছি, বন্যায় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।’

আরও পড়ুন:
সময় এসেছে মানুষের আস্থার প্রতিদান দেয়ার: সমন্বয়ক সারজিস
আওয়ামী লীগ নিজ কর্মফল ভোগ করছে: সারজিস

মন্তব্য

শিক্ষা
Two professors of DU are members of UGC

ইউজিসির সদস্য হলেন ঢাবির দুই অধ্যাপক

ইউজিসির সদস্য হলেন ঢাবির দুই অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। কোলাজ: নিউজবাংলা
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পূর্ণকালীন নিয়োগ পাওয়া দুজন হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পূর্ণকালীন দুজন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। নিয়োগ পাওয়া দুজন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখার উপ-সচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ, ১৯৭৩ এর সংশোধিত আইন, ১৯৯৮-এর ৪ (১) (বি) ধারা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তাদের এই নিয়োগের মেয়াদ হবে চার বছর। তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দায়িত্ব থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দিতে পারবে।

আরও পড়ুন:
ইউজিসির নতুন চেয়ারম্যান এসএমএ ফায়েজ
অসুস্থতার কথা জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
ইউজিসির সদস্য হলেন জবি অধ্যাপক জাকির হোসেন

মন্তব্য

শিক্ষা
BUETs new VC Professor Dr Badruzzaman

বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান

বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামানকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক।

একই দিনে বুয়েটে উপ-উপাচার্যও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ দেও হয়। এতে সই করেছেন উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম।

উপাচার্যকে নিয়োগ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৬১-এর ১১(১) এবং (২) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামানকে বুয়েটের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হলো।

তাকে নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, যোগদানের তারিখ থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে। আগামী চার বছর তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় তার নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

তাছাড়া উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন। বিধি অনুযায়ী তিনি অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক তিনি ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

প্রথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি (সংশোধিত) অ্যাক্ট, ২০০১-এর ৩ নং অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১-এর ১২ (এ) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে বুয়েটের উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হলো।

তিনি আগামী চার বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় তার নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাবেক শিক্ষার্থীদের ওয়েবিনার যুক্তরাষ্ট্রে
বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বুয়েটের ছাত্রলীগমনা ২১ শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি
রাজনীতিমুক্ত বুয়েটের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ছাত্রদলের সংহতি প্রত্যাখ্যান করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

মন্তব্য

শিক্ষা
Protest of the published news and statement of the reporter

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদে যেসব শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।

‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়’ শিরোনামে ৮ সেপ্টেম্বর নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদের অংশবিশেষের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ববি শাখা ছাত্রদলের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদিকা জান্নাতুল নওরিন উর্মি এবং ববি ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সদস্য মো. আরিফ হোসাইন শান্ত ও শেরে বাংলা হলের রিফাত মাহমুদ।

গত ৯ সেপ্টেম্বর আরিফ হোসাইন শান্ত স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘প্রকাশিত সংবাদে যেসব শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সংবাদে শেরে বাংলা হলের ২০০৭ নম্বর কক্ষে রিফাত মাহমুদকে সিট বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। হলে কোনো শিক্ষার্থীকে সিট বরাদ্দের কোনো এখতিয়ার অন্য কোনো শিক্ষার্থীর নেই, এটি হল প্রশাসনের এখতিয়ারভুক্ত। রিফাত মাহমুদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক আগে থেকেই ওই কক্ষে অবস্থান করে লেখাপড়া চালিয়ে আসছেন এবং তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

নিউজবাংলা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এ বিষয়ে বলেন, রিফাত মাহমুদ শেরে বাংলা হলের বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থী নন। তিনি ২০০৭ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা রাজু মোল্ল্যার সিটে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন এবং কক্ষটিতে তার নামে কোনো আসন বরাদ্দও নেই। এর সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে বিদ্যমান।

অবৈধভাবে অবস্থান করায় কতিপয় শিক্ষার্থী রিফাত মাহমুদকে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে ওই কক্ষ থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।

রিফাত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন শান্তর অনুসারী ও সক্রিয় কর্মী। আর আরিফ হোসেন শান্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ছাত্রী-বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মির অনুসারী।

এই সংবাদ প্রকাশের আগে জান্নাতুল নওরিন উর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিফাত মাহমুদকে হল থেকে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু রিফাত হল থেকে নামেননি।’

আরও পড়ুন:
ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ববির দায়িত্বে অধ্যাপক মুহসিন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রক্টরসহ ১৯ জনের পদত্যাগ

মন্তব্য

শিক্ষা
17 injured in the clash between Dhaka College and Ideal College students

ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৭

ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৭ সংঘর্ষে আহত এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা চিকিৎসা নিতে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে পাঁচটার মধ্যে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে আসে। তাদের অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বাকি কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

রাজধানীর ধানমণ্ডি ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর সৃষ্ট এই সংঘর্ষে ১৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আহতরা হলেন- ঢাকা কলেজের মশিউর রহমান, আব্দুল্লাহ, তৌহিদুর রহমান তানভীর, বাদল, সামির, তাহমিদ সালেহ, আব্দুল্লাহ, আরিফ, শামীম, বখতিয়ার, শামীম, নিশাত, হুজাইফা ও ইয়াসিন একং আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী উসাইব, মুসা ও আব্দুল্লাহ।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা বের হলে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে তাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়।

অপরদিকে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে এসে ভাঙচুর করে ও প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। এর জের ধরে তাদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে তাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা চিকিৎসা নিতে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে পাঁচটার মধ্যে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে আসে। তাদের অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বাকি কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
তুচ্ছ ঘটনার জেরে শেরপুরে সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ১০
চাঁদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫০
অভ্যুত্থানে নিহত হাজারের বেশি, চোখ হারিয়েছেন চার শতাধিক
সচিবালয় এলাকায় আনসার-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, আহত ৩৮
নগরকান্দায় বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ১০

মন্তব্য

শিক্ষা
Tejgaon polytechnic students road block heavy traffic

তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট দাবি আদায়ে সোমবার রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় এলাকায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: সংগৃহীত
‘টেকনিক্যাল স্টুডেন্ট মুভমেন্ট’-এর ব্যানারে ছয় দফা দাবি আদায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্লাকার্ড নিয়ে তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে আশপাশের এলাকাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে আশপাশের এলাকাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।

‘টেকনিক্যাল স্টুডেন্ট মুভমেন্ট’-এর ব্যানারে ছয় দফা দাবি আদায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে ফার্মগেট থেকে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত বাস, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাসহ সব ধরনের গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান ইউএনবি-কে বলেন, ‘অবরোধের কারণে সড়কের দুপাশে যানবাহন আটকা পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সড়ক অবরোধকালে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া সব ‘বিতর্কিত’ কারুশিল্প প্রশিক্ষককে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান থেকে অবিলম্বে বদলি করা, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি সেমিস্টার পূর্ণ মেয়াদের অর্থাৎ ছয় মাসের করা।

তারা আরও দাবি করেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে (দশম গ্রেড) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ব্যতীত অন্য কেউ আবেদন করতে পারবেন না এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংস্কার করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত কোনো জনবল থাকতে পারবে না।

শিক্ষক সংকট দূর করতে শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সব শূন্য পদে কারিগরি জনবল নিয়োগের দাবি জানান।

এছাড়াও উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন নিশ্চিত করার দাবি তাদের।

আরও পড়ুন:
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি ছাত্রদের অবরোধ
কোটা বাতিল দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
খুলনা-ফরিদপুর মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি
প্রক্টর প্রভোস্টকে অব্যাহতির আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
Flood Damage to educational institutions in Feni is Tk 38 crore 72 lakh

বন্যা: ফেনীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার

বন্যা: ফেনীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছবি: বাসস
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইসরাত নুসরাত সিদ্দিকা জানান, ৩৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০৬টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর আসবাবপত্র, ভবন, সীমানা প্রাচীর ও মাঠসহ ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

ভয়াবহ বন্যায় জেলায় ৮৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা দপ্তরের ৩৮ কোটি ৭২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করে নষ্ট হয় বই ও আসবাবপত্র। বানের জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোটর পাম্প, কম্পিউটার ও প্রিন্টারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে ১০ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত পানিবন্দি থাকায় মেঝে ও বারান্দায় গর্তের সৃষ্টি হয়। আবার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতিতে গত ২০ আগস্ট থেকে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায় জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ৯২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৫৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৩টি, মাদ্রাসা ১২৮টি, কলেজ ৩০টি, কারিগরি, ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট ১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিস ও আওতাধীন প্রায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গিয়ে আনুমানিক আট কোটি ৭১ লাখ ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ছাগলনাইয়ায় আনুমানিক এক কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ফেনী সদর উপজেলায় ১ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, দাগনভূঞা উপজেলায় ১ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ফুলগাজী উপজেলায় ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০০ টাকার, পরশুরামে ২৭ লাখ টাকার এবং সোনাগাজী উপজেলায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জানান, বন্যায় উপজেলার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। দপ্তরের বিভিন্ন সরঞ্জাম পানিতে ডুবে আনুমানিক ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সব মিলিয়ে বন্যায় জেলার প্রাথমিক শিক্ষা খাতে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় জেলার ৩৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাও কলেজ পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বই, আসবাবপত্র, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে আনুমানিক ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দোলন কৃষ্ণ সাহা বলেন, বন্যায় কলেজের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এখন সবকিছু পরিষ্কার করে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফীউল্লাহ জানান, বন্যায় জেলার ৩৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাও কলেজ প্লাবিত হয়। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে এরই মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দ্রুত পরিচ্ছন্নতা শেষে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইসরাত নুসরাত সিদ্দিকা জানান, ৩৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০৬টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর আসবাবপত্র, ভবন, সীমানা প্রাচীর ও মাঠসহ ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুন:
বন্যা: ফেনীতে মৃত বেড়ে ২৮
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখের বেশি মানুষ
ফেনীতে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ২৩
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রোহিঙ্গারা
বন্যা: ফেনীতে প্রাণিসম্পদের ক্ষতি ৩৯৬ কোটি টাকার

মন্তব্য

p
উপরে