× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
DB has taken two more coordinators of the quota movement into custody
google_news print-icon

কোটা আন্দোলনের আরও দুই সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

কোটা-আন্দোলনের-আরও-দুই-সমন্বয়ক-ডিবি-হেফাজতে
সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহকেও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ হেফাজতে নিয়েছে। এর আগে শুক্রবার অপর তিন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও নাহিদ ইসলামকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহকেও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ হেফাজতে নিয়েছে।

ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. জুনায়েদ আলম সরকার গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই দুজনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সাম্প্রতিক ঘটনার ব্যাপারে জানার জন্য তাদেরকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার অপর তিন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও নাহিদ ইসলামকে হাসপাতাল থেকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ নেয় ডিবি পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের এবং গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূরের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে কি না তা যাচাই করতে ডিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নূর ও আরও কয়েকজন নেতা এর আগে আমাদের বলেছিলেন যে তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সে কারণেই নূর ও অন্যদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে তা জানতে আমরা তিন সমন্বয়ককে আটক করেছি।’

‘এছাড়া তাদের পরিবার তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তাদের নিরাপদ রাখতে আমরা তাদেরকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি,’ যোগ করেন হারুন অর রশীদ।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ২৯ মামলায় গ্রেপ্তার ৮০৬, অভিযান চলছে
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি হত্যার বিচার: কাদের
আন্দোলনে নজিরবিহীন ‍মৃত্যু সুশাসনের ঘাটতির চিত্র: টিআইবি
পুলিশ মারলে ১০ হাজার, ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার: হারুন
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষকের স্বেচ্ছায় অব্যাহতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Protest of the published news and statement of the reporter

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদে যেসব শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।

‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়’ শিরোনামে ৮ সেপ্টেম্বর নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদের অংশবিশেষের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ববি শাখা ছাত্রদলের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদিকা জান্নাতুল নওরিন উর্মি এবং ববি ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সদস্য মো. আরিফ হোসাইন শান্ত ও শেরে বাংলা হলের রিফাত মাহমুদ।

গত ৯ সেপ্টেম্বর আরিফ হোসাইন শান্ত স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ‘প্রকাশিত সংবাদে যেসব শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

সংবাদে শেরে বাংলা হলের ২০০৭ নম্বর কক্ষে রিফাত মাহমুদকে সিট বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। হলে কোনো শিক্ষার্থীকে সিট বরাদ্দের কোনো এখতিয়ার অন্য কোনো শিক্ষার্থীর নেই, এটি হল প্রশাসনের এখতিয়ারভুক্ত। রিফাত মাহমুদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক আগে থেকেই ওই কক্ষে অবস্থান করে লেখাপড়া চালিয়ে আসছেন এবং তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

নিউজবাংলা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এ বিষয়ে বলেন, রিফাত মাহমুদ শেরে বাংলা হলের বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থী নন। তিনি ২০০৭ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা রাজু মোল্ল্যার সিটে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন এবং কক্ষটিতে তার নামে কোনো আসন বরাদ্দও নেই। এর সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে বিদ্যমান।

অবৈধভাবে অবস্থান করায় কতিপয় শিক্ষার্থী রিফাত মাহমুদকে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে ওই কক্ষ থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।

রিফাত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন শান্তর অনুসারী ও সক্রিয় কর্মী। আর আরিফ হোসেন শান্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ছাত্রী-বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মির অনুসারী।

এই সংবাদ প্রকাশের আগে জান্নাতুল নওরিন উর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রিফাত মাহমুদকে হল থেকে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু রিফাত হল থেকে নামেননি।’

আরও পড়ুন:
ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ববির দায়িত্বে অধ্যাপক মুহসিন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রক্টরসহ ১৯ জনের পদত্যাগ

মন্তব্য

শিক্ষা
17 injured in the clash between Dhaka College and Ideal College students

ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৭

ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৭ সংঘর্ষে আহত এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা চিকিৎসা নিতে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে পাঁচটার মধ্যে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে আসে। তাদের অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বাকি কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

রাজধানীর ধানমণ্ডি ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর সৃষ্ট এই সংঘর্ষে ১৭ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আহতরা হলেন- ঢাকা কলেজের মশিউর রহমান, আব্দুল্লাহ, তৌহিদুর রহমান তানভীর, বাদল, সামির, তাহমিদ সালেহ, আব্দুল্লাহ, আরিফ, শামীম, বখতিয়ার, শামীম, নিশাত, হুজাইফা ও ইয়াসিন একং আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী উসাইব, মুসা ও আব্দুল্লাহ।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা বের হলে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে তাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়।

অপরদিকে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে এসে ভাঙচুর করে ও প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। এর জের ধরে তাদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে তাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা চিকিৎসা নিতে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে পাঁচটার মধ্যে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে আসে। তাদের অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বাকি কয়েকজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
তুচ্ছ ঘটনার জেরে শেরপুরে সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ১০
চাঁদপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫০
অভ্যুত্থানে নিহত হাজারের বেশি, চোখ হারিয়েছেন চার শতাধিক
সচিবালয় এলাকায় আনসার-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, আহত ৩৮
নগরকান্দায় বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ১০

মন্তব্য

শিক্ষা
Tejgaon polytechnic students road block heavy traffic

তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট দাবি আদায়ে সোমবার রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় এলাকায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ছবি: সংগৃহীত
‘টেকনিক্যাল স্টুডেন্ট মুভমেন্ট’-এর ব্যানারে ছয় দফা দাবি আদায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্লাকার্ড নিয়ে তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে আশপাশের এলাকাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে আশপাশের এলাকাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।

‘টেকনিক্যাল স্টুডেন্ট মুভমেন্ট’-এর ব্যানারে ছয় দফা দাবি আদায়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে ফার্মগেট থেকে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত বাস, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাসহ সব ধরনের গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান ইউএনবি-কে বলেন, ‘অবরোধের কারণে সড়কের দুপাশে যানবাহন আটকা পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সড়ক অবরোধকালে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে- ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া সব ‘বিতর্কিত’ কারুশিল্প প্রশিক্ষককে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান থেকে অবিলম্বে বদলি করা, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি সেমিস্টার পূর্ণ মেয়াদের অর্থাৎ ছয় মাসের করা।

তারা আরও দাবি করেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে (দশম গ্রেড) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ব্যতীত অন্য কেউ আবেদন করতে পারবেন না এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংস্কার করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত কোনো জনবল থাকতে পারবে না।

শিক্ষক সংকট দূর করতে শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সব শূন্য পদে কারিগরি জনবল নিয়োগের দাবি জানান।

এছাড়াও উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন নিশ্চিত করার দাবি তাদের।

আরও পড়ুন:
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি ছাত্রদের অবরোধ
কোটা বাতিল দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
খুলনা-ফরিদপুর মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি
প্রক্টর প্রভোস্টকে অব্যাহতির আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
Flood Damage to educational institutions in Feni is Tk 38 crore 72 lakh

বন্যা: ফেনীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার

বন্যা: ফেনীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছবি: বাসস
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইসরাত নুসরাত সিদ্দিকা জানান, ৩৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০৬টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর আসবাবপত্র, ভবন, সীমানা প্রাচীর ও মাঠসহ ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

ভয়াবহ বন্যায় জেলায় ৮৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা দপ্তরের ৩৮ কোটি ৭২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করে নষ্ট হয় বই ও আসবাবপত্র। বানের জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোটর পাম্প, কম্পিউটার ও প্রিন্টারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে ১০ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত পানিবন্দি থাকায় মেঝে ও বারান্দায় গর্তের সৃষ্টি হয়। আবার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতিতে গত ২০ আগস্ট থেকে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায় জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ৯২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৫৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৩টি, মাদ্রাসা ১২৮টি, কলেজ ৩০টি, কারিগরি, ডিপ্লোমা ও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট ১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিস ও আওতাধীন প্রায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গিয়ে আনুমানিক আট কোটি ৭১ লাখ ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ছাগলনাইয়ায় আনুমানিক এক কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ফেনী সদর উপজেলায় ১ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, দাগনভূঞা উপজেলায় ১ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ফুলগাজী উপজেলায় ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০০ টাকার, পরশুরামে ২৭ লাখ টাকার এবং সোনাগাজী উপজেলায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জানান, বন্যায় উপজেলার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। দপ্তরের বিভিন্ন সরঞ্জাম পানিতে ডুবে আনুমানিক ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সব মিলিয়ে বন্যায় জেলার প্রাথমিক শিক্ষা খাতে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় জেলার ৩৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাও কলেজ পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বই, আসবাবপত্র, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে আনুমানিক ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দোলন কৃষ্ণ সাহা বলেন, বন্যায় কলেজের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এখন সবকিছু পরিষ্কার করে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফীউল্লাহ জানান, বন্যায় জেলার ৩৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাও কলেজ প্লাবিত হয়। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে এরই মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দ্রুত পরিচ্ছন্নতা শেষে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইসরাত নুসরাত সিদ্দিকা জানান, ৩৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০৬টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর আসবাবপত্র, ভবন, সীমানা প্রাচীর ও মাঠসহ ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুন:
বন্যা: ফেনীতে মৃত বেড়ে ২৮
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখের বেশি মানুষ
ফেনীতে বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ২৩
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রোহিঙ্গারা
বন্যা: ফেনীতে প্রাণিসম্পদের ক্ষতি ৩৯৬ কোটি টাকার

মন্তব্য

শিক্ষা
Students demand ban on party politics in certain places in DU campus

পুরো ক্যাম্পাস নয়, ঢাবির নির্দিষ্ট স্থানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব

পুরো ক্যাম্পাস নয়, ঢাবির নির্দিষ্ট স্থানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবনা তুলে ধরে ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস নয়, শুধু আবাসিক ও একাডেমিক স্থানগুলোতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিসহ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আট দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইউআরআই)।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস নয়, শুধু আবাসিক ও একাডেমিক স্থানগুলোতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিসহ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আট দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইউআরআই)।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলেও থাকতে পারবে। তবে সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মুখপাত্র শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আদনান মুস্তারি এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা।

সংগঠনটির পক্ষে আদনান মুস্তারি আটটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।

প্রস্তাবনাগুলো হলো-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক স্থান (হল, হোস্টেল প্রভৃতি) ও একাডেমিক স্থানে (অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট প্রভৃতি) সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি (সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, সম্মেলন, শোভাযাত্রা, শোডাউন প্রভৃতি) নিষিদ্ধ করা হবে।

২. কোনো প্রকার রাজনৈতিক পরিচয় বা সংশ্লিষ্টতা ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী উল্লিখিত স্থানগুলোতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, কোনো সুযোগ-সুবিধা আদায় বা বিশেষ বিবেচনালাভের প্রচেষ্টা চালাতে পারবে না।

৩. কোনো শিক্ষার্থী যদি উল্লিখিত কর্মকাণ্ডগুলোতে জড়িত হয় তবে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং এই মর্মে সিন্ডিকেটে আইন পাস করতে হবে।

৪. উল্লিখিত স্থানগুলোতে কোনো দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের প্রচেষ্টা ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত পরিসরে কেউ কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করলে বা নিজস্ব মত প্রকাশ করলে তাকে কোনো শাস্তির আওতাভুক্ত করা হবে না।

৫. দ্রুততম সময়ের মধ্যে হল ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বৈধ শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটার হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। স্নাতক পর্যায়ের বৈধ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ভর্তি হওয়ার সেশন থেকে বর্তমান শিক্ষাবর্ষের পার্থক্য ছয়ের বেশি হবে না। যেমন- ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ ধরে নিয়ে ২০১৭-১৮ সেশনের সব বৈধ শিক্ষার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। একইভাবে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভর্তি সেশনের সঙ্গে বর্তমান সেশনের পার্থক্য দুইয়ের বেশি হতে পারবে না।

৭. ডাকসু বা হল সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। সব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে নিজস্ব ইশতেহার ঘোষণা করতে হবে। কোনো প্যানেল হিসেবে কেউ নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

৮. ছাত্র-শিক্ষক সমন্বয়ে অভিজ্ঞ প্যানেল তৈরি করে ডাকসুর সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এটিকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার সুপারিশমালা প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের সংশোধনী বাস্তবায়ন করতে হবে।

হলে রাজনৈতিক মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নে আদনান মুস্তারি বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। আমরা কারও সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত করার পক্ষে না। রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন। তবে সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী তামিম মুনতাসির, ফজলুল হক মুসলিম হলের আনোয়ার ইব্রাহীম বিপ্লব, বিজয় একাত্তর হলের জোবায়ের হোসেন শাহেদ, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের রেদওয়ানুল হাসান শান্ত প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
ঢাবির নতুন ট্রেজারার অধ্যাপক জাহাঙ্গীর
ঢাবি উপাচার্য হিসেবে নিয়াজ আহমেদ খানকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
ত্রাণ রাখার জায়গা নেই টিএসসিতে, সংগ্রহের নতুন স্থান ঢাবি জিমনেসিয়াম
গণত্রাণ: বন্যার্তদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছে টিএসসি
ঢাবি অধিভুক্ত তিন কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ

মন্তব্য

শিক্ষা
The Chhatra Dals occupation of the hall is a favor to the Chhatra League
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়

ছাত্রদলের হল দখল, আধিপত্য বিস্তারে ছাত্রলীগকে প্রশ্রয়
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের কয়েকটি কক্ষ দখল করেছেন। অবৈধভাবে দখলে নিতে অপর পক্ষকে কক্ষ থেকে নামিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। আধিপত্য বিস্তার করতে ছাত্রলীগকেও কাছে টানছেন তারা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল অবৈধভাবে দখল করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী।

বিএনপির ছাত্রসংগঠনটির নেতারা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের কয়েকটি কক্ষ দখল করেছেন। অবৈধভাবে দখলে নিতে অপর পক্ষকে কক্ষ থেকে নামিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। আধিপত্য বিস্তার করতে ছাত্রলীগকেও কাছে টানছেন তারা।

এদিকে হল দখল করা নিয়ে ছাত্রদলের একাধিক পক্ষের আধিপত্য বিস্তার ও বিভাজনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসছে৷ এর একটি পক্ষের নেতৃত্বে ববি শাখার সভাপতি মো. রেজা শরীফ। পর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ববি শাখার ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন ঊর্মি।

ছাত্রদলের উভয় গ্রুপের বিরুদ্ধেই আবাসিক হলে অবৈধভাবে কক্ষ দখল ও ছাত্রলীগকে প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতোদিন ছাত্রলীগ আধিপত্য বিস্তার করে রাখা কক্ষগুলো ছাত্রদল দখলে নিতে শুরু করেছে।

শেরে বাংলা হলের ২০০৬, ৫০২০, ২০০৭ নম্বরসহ আরও কিছু কক্ষের সিট দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে ছাত্রলীগের সহায়তা নিয়েই ছাত্রদলের নেতারা কক্ষগুলো দখলে নেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন তাদেরকেও সহায়তার প্রমাণ মিলেছে ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, আধিপত্য বিস্তার করতেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন ছাত্রদল নেতারা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। তারপরও হল দখলে নিয়ে ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন ছাত্রদল নেতারা।

মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাত্রদলের এই কমিটি গঠিত হয় ২০২১ সালের এপ্রিলে। এই কমিটির অধিকাংশ নেতারই ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। বিগত দুই থেকে তিন বছর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কোন অস্তিত্ব ও কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

ছাত্রদল নেতা বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম, আরিফ হোসেন শান্ত ও সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে কক্ষ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মিনহাজুল শেরে বাংলা হলের ২০০৬ ও ৫০২০ নম্বর কক্ষ দখল করেন। ২০০৬ নম্বর কক্ষটি বৃহস্পতিবার রাতেই ছেড়ে দিলেও ৫০২০ নম্বর কক্ষ তার এক অনুসারীকে দিয়ে দখলে রেখেছেন।

তবে কক্ষ দখলের খবরটি ভিত্তিহীন দাবি করে মিনহাজুল বলেন, ‘ছাত্রদলের সদস্য মোশাররফের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের শিহাব-মঞ্জু রুম ভেঙে দখলের চেষ্টা করে। আমি সেটা প্রতিহত করি।’

অপরদিকে জান্নাতুল নওরিন ঊর্মির অনুসারী ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন শান্ত ২০০৭ নম্বর কক্ষে এক শিক্ষার্থীকে উঠান। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সভাপতি রেজা শরিফের অনুসারী শান্তর লোককে জোরপূর্বক নামিয়ে নিজের লোক উঠানোর চেষ্টা করেন।

সাব্বির হোসেন ও আরিফ হোসেন শান্ত একে অপরের বিরুদ্ধে কক্ষ দখলের অভিযোগ করেছেন।

সাব্বির ছাত্রদলের কোন সদস্য না হলেও সভাপতির অনুসারী পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন ক্যাম্পাসে। মো. মোশাররফ হোসেন ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা হলেও ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত তার ছাত্রলীগের মূল ধারার নেতাদের সঙ্গে সখ্য ছিলো।

এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে নওরিন ঊর্মি বলেন, ‘আমার অবস্থান স্পষ্ট। যদি কেউ আমার নাম ভাঙিয়ে হল দখলসহ কোনো ধরনের দখলদারত্ব করতে যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর আমাদের মধ্য কোনো বিভাজন নেই, আমরা এক আছি।’

ছাত্রদল ববি শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান আল হাসিব বলেন, ‘আমাদের কাছে হল দখলের এমন সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ছাত্রলীগ কর্মীরা এখন ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করছে কতিপয় নেতার প্রশ্রয়ে। আমরা তাদের ব্যাপারে খোঁজ রাখছি। প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রেজা শরীফ বলেন, ‘ছাত্রদলের নাম করে ক্যাম্পাসে কেউ দখলদারি শুরু করলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেব। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না৷ ছাত্রলীগের নির্যাতনকারী নেতাকর্মীদের যদি ছাত্রদলের কেউ প্রশ্রয় দেয় তাহলে প্রমাণ পেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীনের কাছে হল দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না। তবে এমন কিছু হয়ে থাকলে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

আরও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল ছাত্রদলের, কক্ষে তালা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১৫০
উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ববির দায়িত্বে অধ্যাপক মুহসিন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রক্টরসহ ১৯ জনের পদত্যাগ
উপাচার্যের পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান ববি শিক্ষার্থীদের

মন্তব্য

শিক্ষা
Jabir took the students out and locked the Chhatra Dal room

শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল ছাত্রদলের, কক্ষে তালা

শিক্ষার্থীদের বের করে জবির হল দখল ছাত্রদলের, কক্ষে তালা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নজরুল ইসলাম হলের ১০৪ নম্বর কক্ষ দখল করে তালা দিয়েছে ছাত্রদল। ছবি: নিউজবাংলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন অপুর নেতৃত্বে শুক্রবার শহীদ নজরুল ইসলাম হলের ১০৪ নম্বর কক্ষে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে কক্ষ দখল করে তালা দেয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শহীদ নজরুল ইসলাম আবাসিক হলের একটি কক্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে কক্ষ দখলে নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বাকি কক্ষগুলোও দখলে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন অপুর নেতৃত্বে শুক্রবার শহীদ নজরুল ইসলাম হলের ১০৪ নম্বর কক্ষে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে কক্ষ দখল করে তালা দেয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এরপর হলটিতে অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা নিজেদের অর্থ ব্যয় করে হলটি বসবাসযোগ্য করে তোলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা গ্রুপের নেতাকর্মীরা এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের রুম থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় শাখা ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রায়হান হোসেন অপুর নেতৃত্বে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর রহমান দুর্জয়, মাশফিকুর রাইন ও মনিরুজ্জামান; ১১ ব্যাচের শামীম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের মাহমুদুল হাসান নাইম, বাংলা বিভাগের ১৮ ব্যাচের আশরাফুল, ১৭ ব্যাচের ফাইনান্স বিভাগের সৈকত মাহমুদসহ ১৫/২০ জন নেতাকর্মী হল দখল করেন। পরে ১০৪ নম্বর কক্ষটি দখলে নিয়ে তারা তালা দেন। বাকি কক্ষগুলোও ছাত্রদল দখল করবে বলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হুমকি দেন তারা। হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাইরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো ঠাঁই নেই বলেও হুঁশিয়ারি দেন হল দখলকারীরা।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ১০৪ নম্বর কক্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের হাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে জিনিসপত্রসহ বের করে দেন।

ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারা এত বেশি এগ্রেসিভ ছিল যে ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলার পরিবেশ ছিল না। আমি সিনিয়র হলেও তারা জুনিয়র নিয়ে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বই-খাতা, টেবিল ও চৌকি বাইরে বের করে দেয়।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রায়হান হোসেন অপু বলেন, ‘রুম ফাঁকা ছিল, ওখানে কেউ ছিল না। এজন্য কয়েকজনকে তুলে দিয়েছি। রুম থেকে কাউকে বের করে দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাকি সব অভিযোগ মিথ্যা।’

শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই। ফেসবুকে এমন একটা পোস্ট দেখলাম। শুনেছি ওখানে একজন ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে হলটা কন্ট্রোল করে। বাস্তবেই ছাত্রদলের কেউ এমনটা করে থাকলে আমরা সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

মন্তব্য

p
উপরে