× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Yesterday the anti quota activists left Shahbagh again announcing their position
google_news print-icon

কাল ফের অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন কোটাবিরোধীরা

কাল-ফের-অবস্থানের-ঘোষণা-দিয়ে-শাহবাগ-ছাড়লেন-কোটাবিরোধীরা
চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে বুধবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। ছবি: নিউজবাংলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেবো। আপিল বিভাগ থেকে আমাদের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’

চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ফের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। এর আগে বিকেল পৌনে ৪টা থেকে টানা দেড় ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেবো। আপিল বিভাগ থেকে আমাদের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল থাকবে কি না, এ বিষয়ে বৃহস্পতবার আপিল বিভাগে চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে বুধবার বিকেল পৌনে ৪টায় শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেয়া শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পরে তাদের এই অবস্থানে মিছিল সহকারে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে এই মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বর, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে এলে শিক্ষার্থীরা এই মোড়ে বসে পড়েন।

এর আগে সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ। তবে অবরোধের সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের কোনো ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষ হয়নি।

এর আগে মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা?, মেধা মেধা’, ‘হাইকোর্টের রায় মানি না মানব না’, ‘কোটা বাতিল কর, বাতিল কর’, ‘ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা–সুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।

আরও পড়ুন:
শাহবাগ মোড় অবরোধ কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের
কোটা আন্দোলনকারীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ
কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহাল দাবিতে কাল গণপদযাত্রা
চাকরিতে কোটার প্রতিবাদে ববিতে বিক্ষোভ
কোটা বাতিল দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Symbolic hanging of Hasina Quader Inu Menon in DU

ঢাবিতে হাসিনা কাদের ইনু মেননের প্রতীকী ফাঁসি

ঢাবিতে হাসিনা কাদের ইনু মেননের প্রতীকী ফাঁসি
প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করার আগে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভাই তার বোন হারিয়েছেন, পিতা তার সন্তান হারিয়েছেন, মা তার ছেলেকে হারিয়েছেন। তারা কেউ কি আর কখনও ফিরে আসবে? তাহলে আওয়ামী লীগ কোন যুক্তিতে ফিরে আসতে পারে?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার জোটসঙ্গী দলের প্রধানদের প্রতীকী ফাঁসি দেয়া হয়েছে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী নেতা ওবায়দুল কাদের, জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় পার্টির জি এম কাদের।

‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে টিএসসির পায়রা চত্বরে সোমবার দুপুরে ‘ছাত্র-জনতার ফাঁসির মঞ্চ বানিয়ে করে এই প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ পরিষদের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করার আগে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেউ পা হারিয়েছেন, হাত হারিয়েছেন আর কেউ চোখ হারিয়েছেন। ভাই তার বোন হারিয়েছেন, পিতা তার সন্তান হারিয়েছেন, মা তার ছেলেকে হারিয়েছেন। তারা কেউ কি আর কখনও ফিরে আসবে? তাহলে আওয়ামী লীগ কোন যুক্তিতে ফিরে আসতে পারে?’

তিনি বলেন, ‘আমরা এই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের যেসব নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ঢাবিতে হামলা: শেখ হাসিনাসহ ৩৯১ জনের নামে মামলা
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ৪ নভেম্বর থেকে, পরীক্ষা শুরু ৪ জানুয়ারি
রাজু ভাস্কর্যের নারীমূর্তিতে হিজাব তদন্তে কমিটি
ঢাবিতে সাকিবের কুশপুত্তলিকা দাহ

মন্তব্য

শিক্ষা
Show cause to the coordinator Haseeb Al Islam

সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামকে শো-কজ

সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামকে শো-কজ সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসিব আল ইসলাম বেসরকারি টেলিভিশনের এক টক-শোতে মেট্রো রেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার আপত্তিকর মন্তব্যের যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হলো।

‘মেট্রো রেলে আগুন না দিলে কিংবা পুলিশ হত্যা না করা হলে এতো সহজে বিপ্লব অর্জন করা যেত না’ মন্তব্য করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামকে শো-কজ করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসিব আল ইসলাম (সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) বেসরকারি টেলিভিশনের এক টক-শোতে মেট্রো রেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

এতে আরও বলা হয়, হাসিব আল ইসলামকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার আপত্তিকর মন্তব্যের যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির ‘প্রযত্নে বাংলাদেশ’ টক-শোতে অংশ নিয়ে হাসিব এমন মন্তব্য করেন। টক-শোতে হাসিব আল ইসলামের পাশাপাশি বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনি অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন:
সমন্বয়কের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বহিষ্কার: সারজিস

মন্তব্য

শিক্ষা
Jatiya Party was the main broker of fascism Chhatra Dal Secretary

জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদের মুখ্য দালাল ছিল: ছাত্রদল সেক্রেটারি

জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদের মুখ্য দালাল ছিল: ছাত্রদল সেক্রেটারি ছবি: নিউজবাংলা
নাছির উদ্দীন বলেন, ‘জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের দুষ্কর্মের সহযোগী হওয়ার কারণে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত হয়েছে। তবে আমরা জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা জানাই। আর নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করে সেই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত।’

নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করে জনগণের হাতে সেই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির৷

রোববার চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও দর্শনা সরকারি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্ররাজনীতি বিষয়ে মতবিনিময়কালে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক এই মন্তব্য করেন৷

জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদের মুখ্য দালাল ছিল মন্তব্য করে নাছির উদ্দীন বলেন, জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের দুষ্কর্মের সহযোগী হওয়ার কারণে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দীর্ঘায়িত হয়েছে। তবে আমি জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা জানাই।

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই মুহুর্তে মব কালচার সৃষ্টি করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এবং বাংলাদেশ বিরোধী বিদেশি গোষ্ঠীগুলোর পাতানো ফাঁদে পা দেয়াটা হবে অদূরদর্শী আচরণ।’

মতবিনিময় সভায় ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল কোনো দখলদারত্ব, নির্যাতন, গেস্টরুম কালচার, খুন, ধর্ষণের রাজনীতি প্রশ্রয় দেবে না। ছাত্রদল একুশ শতকের উপযোগী মেধাভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘ছাত্রদলের রাজনীতিতে নারী শিক্ষার্থীদের যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমরা রাজনীতিতে অধিক হারে নারীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’

তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ছাত্রীদের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে।

মতবিনিময় শেষে নাসির উদ্দীন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও দর্শনা সরকারি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন৷

আরও পড়ুন:
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে ছাত্রদল
শাহবাগে ছাত্র আন্দোলন ও শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান

মন্তব্য

শিক্ষা
The outcome of the US vote will not affect the Dhaka Washington relationship

‘যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের ফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না’

‘যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের ফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না’ এফডিসিতে শনিবার বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে বিতার্কিকদের সঙ্গে আমন্ত্রিত অতিথি ও বিচারকবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক দুই পার্টিরই সিনিয়র লিডারদের খুব ভালো সম্পর্ক। তার বন্ধু দু’দলের মধ্যেই আছেন। সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে ব্যক্তিগত অ্যাটাচমেন্টের ওপর।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যে-ই বিজয়ী হোন না কেন ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা কোনো চ্যালেঞ্জ হবে না।

শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রভাব নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক দুই পার্টিরই সিনিয়র লিডারদের খুব ভালো সম্পর্ক। তার বন্ধু দু’দলের মধ্যেই আছেন। সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে ব্যক্তিগত অ্যাটাচমেন্টের ওপর।

‘ড. ইউনূস একজন গ্লোবাল লিডার। তাই যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যে-ই বিজয়ী হোন না কেন তা আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো চ্যালেঞ্জ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের (বাংলাদেশের) সম্পর্ক ভালো। আমরা চাচ্ছি তাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তাতে আমরা সারা বিশ্বের সাপোর্ট পেয়েছি। পতিত স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে ভারত থাকা সত্ত্বেও তা কোনো কাজে আসেনি। জনগণ জেগে উঠলে কোনো অপশক্তিই টেকে না।’

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদ নয়জন সংখ্যালঘু মারা যাওয়ার বিষয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে তা বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় এখানে রিলিজিয়াস মোটিভেশনের চেয়ে পলিটিক্যাল অ্যাফিলিয়েশন বা অন্য কোনো কারণ ছিল। লবিস্টরা হয়তো এ বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়নি।’

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বক্তব্য ভোটের রাজনীতির কৌশল। কমলা হ্যারিস ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আমেরিকায় অবস্থানরত ভারতীয়রা বেশিরভাগই কমলাকে সমর্থন দেয়ায় ট্রাম্প ভারতীয় হিন্দুদের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য এ ধরনের মন্তব্য করেছেন।’

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘আগামী মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না’ শীর্ষক ছায়া সংসদে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, প্রফেসর ড. এ কে এম মাজহারুল ইসলাম, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম হাসিব, আশিকুর রহমান অপু ও মো. আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।

মন্তব্য

শিক্ষা
The students of seven colleges are again protesting for cancellation of affiliation

অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে ফের কর্মসূচি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের

অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে ফের কর্মসূচি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শনিবার ঢাকা কলেজের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের মূল দাবি থেকে সরে আসব না। সাত কলেজের সমন্বয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দাবি, সেটি আমাদের থাকবেই। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে যে কমিটি করেছে তা সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছে।’

রাজধানী ঢাকার সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রেখেই আলাদা প্রশাসন ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

ঢাবির অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠনের দাবিতে ফের দু’দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার ঢাকা কলেজের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারী সাগর।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের মূল দাবি থেকে সরে আসব না। সাত কলেজের সমন্বয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দাবি, সেটি আমাদের থাকবেই। মন্ত্রণালয় সাত কলেজের বিষয়ে যে কমিটি করেছে, সে কমিটি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছে।’

দ্রুত সময়ের মধ্যে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি যুক্ত করার কথাও বলেন এই শিক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাত কলেজ নিয়ে যেকোনো ধরনের চক্রান্ত প্রতিরোধ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের ‘অবিবেচক’ বক্তব্য প্রত্যাহার, কমিটি বাতিল, কমিশন গঠন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি যুক্ত করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

একইসঙ্গে সাত কলেজের সব ক্যাম্পাসে দাবির পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান যে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তই থাকছে। তবে তাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে তাদের বিষয়টা আলাদাভাবে দেখা হবে।

তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে সাত কলেজের প্রতিনিধিরা কথা বলেছেন। তাদের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই সাত কলেজের প্রশাসনিক কাজ আলাদাভাবে করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘সাত কলেজের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার ও ডেডিকেটেড কর্মকর্তা থাকবেন। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলে করা হবে।’

এ বিষয়ে শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বস্তুত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপদেষ্টাদের বৈঠকে সাত কলেজের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রেস সচিবের এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Seven colleges will continue to be affiliated to DU but with separate arrangements for maintenance

সাত কলেজ ঢাবি অধিভুক্তই থাকবে, তবে দেখভালে আলাদা ব্যবস্থা

সাত কলেজ ঢাবি অধিভুক্তই থাকবে, তবে দেখভালে আলাদা ব্যবস্থা বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে এই সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই একটি জায়গা ঠিক করা হবে, যেখানে সাত কলেজের প্রশাসনিক কাজকর্মগুলো করা যায়।

রাজধানী ঢাকার বড় সাতটি কলেজ দেখভালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ আলাদা একটি ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে আলাদা রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তবে এ কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তই থাকবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে এই সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন, কথা বলেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই একটি জায়গা ঠিক করা হবে, যেখানে সাত কলেজের প্রশাসনিক কাজকর্মগুলো করা যায়।

তিনি বলেন, তাদের বিষয়টি আলাদাভাবে দেখা হবে। আলাদা রেজিস্ট্রারসহ সুনির্দিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

শফিকুল আলম বলেন, সরকার আশা করছে এ সিদ্ধান্তের ফলে আন্দোলন আজ থেকে শেষ হয়ে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই সাতটি সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়।

এর আগে কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত ছিল। সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্তোর কথা জানানো হলো।

আরও পড়ুন:
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার
কাল ফের অবরোধের ঘোষণা ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় দাবিতে নীলক্ষেত ও সায়েন্স ল্যাব অবরোধ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের

মন্তব্য

শিক্ষা
Highway blockade demanding justice for Bobby student killed in bus accident

বাসচাপায় ববি শিক্ষার্থী নিহত, বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

বাসচাপায় ববি শিক্ষার্থী নিহত, বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ মাইশা ফৌজিয়া মিম (বাঁয়ে) বাসচাপায় নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল করে মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা৷ সকাল ১০টায় অবরোধ করে ৮ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টায় অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১১টার মধ্যে বাসচালক ও মালিক গ্রেপ্তার না হলে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন তারা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম বাসচাপায় নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ক্যাম্পাস। যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও দায়ীদের বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা৷

সকাল ১০টায় অবরোধ করে ৮ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টায় অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১১টার মধ্যে বাসচালক ও মালিক গ্রেপ্তার না হলে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন তারা।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে মহাসড়কেই মাইশা ফৌজিয়া মিমের জানাজা আদায় করেন শিক্ষার্থীরা। জানাজায় নিহত মাইশার বাবা-মামাসহ পরিবারের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভাগীয় কমিশনার ও বরিশালের জেলা প্রশাসক কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক ছাড়তে রাজি হননি।

বাসচাপায় ববি শিক্ষার্থী নিহত, বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের দশটি দাবির একটিও পূরণ হয়নি। এখন পর্যন্ত খুনি বাসচালককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি প্রশাসন। বাস মালিককেও হাজির করতে পারেননি তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মহাসড়ক ছাড়ব না।’

অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের একজন রুবেল মোল্ল্যা বলেন, ‘আমাদের বোন নিহত হয়েছে গতকাল। কিন্তু প্রশাসন এখন পর্যন্ত ঘাতক বাসচালককে আটক করতে পারেনি। বাস মালিককেও আনতে পারেনি। এমনকি ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থাও হয়নি।

‘এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা মহাসড়ক অবরোধ করেছি। আর যেন এভাবে কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ সড়কে না ঝরে সে জন্য ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণসহ আমরা সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান চাই।’

নিহত ছাত্রীর বাড়ি নেত্রকোনায়। তিনি মা-বাবার একমাত্র সন্তান। বড় হয়েছেন ঢাকায় মায়ের সঙ্গে মামাদের তত্ত্বাবধানে। মাইশার বাবা মোহাম্মদ আলী সবার কাছে তার সন্তানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চান এবং এই হত্যার যথাযথ বিচার দাবি করেন।

জানাজা শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ‘জানাজা নামাজ শেষে দুপুর ১২টার পর নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া দশ দফা দাবি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে আমরা অধিকাংশ দাবি আদায় করেছি। কিছু দাবির কাজ চলমান। শিক্ষার্থীদের আমরা আশ্বস্ত করেছি সব দাবি আমরা পূরণ করব অতি দ্রুত।’

বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের করা দাবি অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট গাড়ির চালককে আটক করতে বুধবার রাত থেকেই আমাদের পুলিশ কমিশনার তৎপর আছেন। আমরা আজ রাতের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করব। স্পিডব্রেকার দেয়ার কাজ চলমান রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি আমারও দাবি। আমি গতকাল রাত থেকেই দাবিগুলো পূরণে কাজ করছি। ইতোমধ্য কিছু কাজ আমরা করেছি৷

‘বিআরটিএ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। সড়কে স্পিড ব্রেকার নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বাসচালক ও সহকারীকে ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে আটক করা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই না এভাবে আর কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ সড়কে ঝরুক। তার জন্য যা করার প্রয়োজন আমি করব।’

জানা গেছে, ঢাকায় পারিবারিকভাবে মামাদের তত্ত্বাবধানে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভোলা রোডে পুলিশ বক্সের পাশে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক পার হওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলসের একটি পরিবহন মাইশাকে চাপা দেয়। শেরে বাংলা মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন:
ছুটি শেষে রোববার খুলছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় 

মন্তব্য

p
উপরে