× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
High schools and colleges in several districts including Dhaka are closed on Saturday
google_news print-icon

ঢাকাসহ বেশ কিছু জেলার হাই স্কুল-কলেজ বন্ধ শনিবার

ঢাকাসহ-বেশ-কিছু-জেলার-হাই-স্কুল-কলেজ-বন্ধ-শনিবার-
ফাইল ছবি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়।

দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শনিবার বেশ কিছু জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার; ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার; চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর; রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে থাকা ছুটি শেষে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে। তবে কিছু জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে।

এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো রোববার থেকে খুলবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Two leaders of the EB Chhatra League came to the campus and faced the cannon

ক্যাম্পাসে এসে তোপের মুখে ইবি ছাত্রলীগের দুই নেতা

ক্যাম্পাসে এসে তোপের মুখে ইবি ছাত্রলীগের দুই নেতা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সোমবার পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে পড়া দুজন হলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর পাশা এবং নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক আল আমিন সুইট। তারা পুলিশ হেফাজতে আছেন।

সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা। পরে শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন।

আটক দু’জন হলেন- ইবি ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর পাশা এবং নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক আল আমিন সুইট। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বুধবার আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। ছাত্রলীগের ওই দুই পদধারী নেতা পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকরা তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা বাধা হয়ে দাঁড়ান। পরে শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দুই নেতাকে তাদের হেফাজতে নেন। বিকেল ৩টার দিকে প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাদেরকে ইবি থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘আজ এই সেমিস্টারের সবশেষ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে না পারলে ক্ষতি হয়ে যেত। আমাদের ভুল হয়েছে বিভাগের শিক্ষকদের না জানিয়ে এসে। তবে আমাদের পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ওপর যাতে মব জাস্টিস না হয় সেটাকে গুরুত্ব দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা মিলে তাদেরকে নিরাপদে থানায় সোপর্দ করেছি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাদের আসার কথা জানতে পেরেই স্লোগান শুরু করে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের আইন নিজের হাতে না তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রক্টরের সহযোগিতায় তাদের পুলিশ সোপর্দ করা হয়েছে।’

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, ‘তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই পরীক্ষা দিতে আসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করেন। তারা আমাদের হেফাজতে আছেন।’

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা ভারতে পালানোর সময় নওগাঁয় আটক
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
ইবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক নকীব নসরুল্লাহ
বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি ছাত্রলীগের
ইবিতে উপাচার্য নিয়োগে আল্টিমেটাম, সড়ক অবরোধ

মন্তব্য

শিক্ষা
There are 26 lakh unemployed people including 8 lakh university degree holders in the country

দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারী ৮ লাখসহ মোট বেকার ২৬ লাখ

দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারী ৮ লাখসহ মোট বেকার ২৬ লাখ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘দেশে মোট সার্টিফিকেটধারী বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ ৮২ হাজার। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কর্মহীন থাকছেন প্রায় আট লাখ তরুণ।

দেশে মোট সার্টিফিকেটধারী বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ ৮২ হাজার। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা বেকার রয়েছেন প্রায় আট লাখ।

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘দেশে মোট সার্টিফিকেটধারী বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ ৮২ হাজার। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কর্মহীন থাকছেন প্রায় আট লাখ তরুণ।

‘এই বেকারত্বের হার দেখে বোঝা যায় যে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে পেটেন্ট বা কপিরাইট তৈরির মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারছে না। আবার বিদ্যমান বা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে যুগের প্রয়োজনে যে ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতার চাহিদা তৈরি হচ্ছে, তা বর্তমানে চালু গতানুগতিক বিষয় ও কোর্সগুলো ঠিকমতো পূরণ করতে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘উদ্ভূত বাস্তবতায় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘ তাত্ত্বিক আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট কোর্সের পরিবর্তে মডিউলার অ্যাপ্রোচে প্রয়োগমুখী মাইক্রো-ক্রেডেনসিয়াল কোর্স চালু করা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় এ ধরনের কোর্সে পারদর্শিতা অর্জনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীর বিজ্ঞানসহ সব বিষয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ মৌলিক যোগ্যতা অর্জন জরুরি হয়ে পড়েছে।’

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন আরও বলেন, ‘পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে উচ্চশিক্ষার প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এসব কলেজের শিক্ষার মান ও পাঠ্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতার ওপর বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য বিলোপের আহ্বান জানান।

এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন এডুকেশন ওয়াচের আহ্বায়ক ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাহিনুর আল আমিন, লালমাটিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আকমল হোসেন প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার, কমেছে নারী বেকার
বেকারত্ব কোথায়, প্রশ্ন সালমান এফ রহমানের

মন্তব্য

শিক্ষা
Full committee of DU camp released

ঢাবি শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ

ঢাবি শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম আগেই জানানো হয়েছিল। এবার প্রকাশ করা ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আটজন ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ হয়েছে। যদিও এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের ফেসবুক পেজ থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ১৪ জনের নাম রয়েছে।

কমিটিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তিনজন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আটজন এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

এর আগে প্রকাশ্যে এসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি আবু সাদিক কায়েম ও সেক্রেটারি এসএম ফরহাদের নাম।

আবু সাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর এসএম ফরহাদ সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রকাশিত ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক পদে হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক পদে ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক পদে আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে হামিদুর রশিদ জামিল।

এছাড়া সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল আমিনের নাম রয়েছে।

কমিটির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, ‘অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এজন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি-নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রমগুলো তদারকি করে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই কমিটি গত জানুয়ারি মাসেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।’

আরও পড়ুন:
‘রগ কাটার সব নথি ছাত্রলীগের, শিবিরের পাবেন না’
এবার প্রকাশ্যে এলো চবি শিবির
শিবিরের সঙ্গে ঢাবি প্রশাসনের বৈঠকের কারণ জানালেন প্রক্টর
ঢাবি শিবির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে, চাঞ্চল্য

মন্তব্য

শিক্ষা
48 hours ultimatum for Mahmudur Rahmans release

মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবিতে মঙ্গলবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন পালিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন থেকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। অন্যথায় আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মঙ্গলবার আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন থেকে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার, এসব মামলায় হওয়া রায় বাতিল, তার ওপর হামলায় জড়িত পুলিশ যাকে প্রমোশন দেয়া হয়েছে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়।

মানববন্ধনকালে শিক্ষার্থীরা ‘সাহসের অপর নাম, মাহমুদুর রহমান’; ‘জেলের তালা ভাঙবো, মাহমুদ ভাইকে আনবো’; ‘মাহমুদ ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’; ‘মাহমুদ ভাই ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ইসলাম হাদী বলেন, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপোষহীন মাহমুদুর রহমানকে যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দেয়া হয়, তার বিরুদ্ধে আনীত মামলাগুলো যদি আইন উপদেষ্টার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে বাতিল না করা হয় তাহলে আগামী রোববার আমরা ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবো। আমরা সেদিন প্রয়োজনে রক্তাক্ত হবো। কিন্তু মাহমুদুর রহমান মুক্ত না হলে আমরা কেউ বাসায় ফিরবো না।’

এর আগে শরীফ ইসলাম হাদী বলেন, মাহমুদুর রহমান প্রথম ব্যক্তি যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারকে নৈতিকতার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি একজন সাংবাদিক হিসেবে, একজন সম্পাদক হিসেবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। মাহমুদুর রহমানই প্রথম লিখেছেন ‘শাহবাগে ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি’। তিনি একাই একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন৷

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান ভাই যখনই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লেখা শুরু করলেন ঠিক তখনই তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের পক্ষ থেকে মামলা দেয়া শুরু হয়। আমরা আজকের মানববন্ধন থেকে মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে আতিফ হোসাইন বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান ফ্যাসিবাদ বিলোপের অন্যতম অগ্রনায়ক। এই দ্বিতীয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রবক্তা এই মাহমুদুর রহমান। আর সেই মাহমুদ ভাইকে যদি দুই মিনিটের জন্য জেলে রাখা হয় তাহলে বুঝতে হবে বাংলাদেশকেও দুই মিনিটের জন্য জেলে রাখা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানে মুক্তি চাই।’

মানববন্ধনে আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, সাংবাদিক আবদুল আনোয়ার ঠাকুর, জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে আতিক মুজাহিদ, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য ও ঢাবি শিক্ষার্থী ফাতিমা তাসনিম, ঢাবি শিক্ষার্থী মাসুদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:
আত্মসমর্পণের পর মাহমুদুর রহমান কারাগারে
মাহমুদুর রহমান কাল আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন
শতাব্দীর পর শতাব্দী বিপ্লবের আইকন থাকবে আবু সাঈদ: মাহমুদুর রহমান

মন্তব্য

শিক্ষা
35 aspirants protest in front of Yamuna in tearshell

যমুনার সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের বিক্ষোভ, টিয়ারশেল

যমুনার সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের বিক্ষোভ, টিয়ারশেল চাকরিতে প্রবেসের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে সোমবার যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বছর নির্ধারণের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিণ্টো রোডে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে তারা শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করেন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে যান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে। সেখানে শিক্ষার্থীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার প্রজ্ঞাপন না নিয়ে অবস্থান ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দেন।

যমুনার সামনে আন্দোলনকালে শিক্ষার্থীদের চারদিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। উত্তেজনা বাড়তে থাকলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড নিক্ষেপ ছোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় দুজন আন্দোলনকারী আহত হন।

ইলিয়াস কাঞ্চনের একাত্মতা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিকে সমর্থন দিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এই দাবি মেনে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

সড়ক নিরাপদ করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন দেশ গড়ার পরও এমন দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে ভাবিনি।’

সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে তিনি এ কথা বলেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা ৩৫ করার দাবি মেনে নিন। কারও যদি চাকরির বয়স এক বছরও বাকি থাকে, তাহলেও তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

‘আমি মনে করি এখানে বয়স মূল বিষয় না। একজন ছাত্র তার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে চাকরি অর্জন করবে। তারা তো চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছে না, তারা কারও কাছে কোনো সহানুভূতি চায় না। তারা চায় শুধু তাদের অধিকার।

এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ (শর্তসাপেক্ষে উন্মুক্ত)’ ব্যানারে এ সমাবেশ শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়। এ সময় তারা চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

আরও পড়ুন:
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা হচ্ছে: উপদেষ্টা
চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ

মন্তব্য

শিক্ষা
University Teachers Networks Open Letter to Principal Advisers

প্রধান উপদেষ্টাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের খোলা চিঠি

প্রধান উপদেষ্টাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের খোলা চিঠি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাবে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে খোলা চিঠি পাঠ করেন অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন। ছবি: নিউজবাংলা
খোলা চিঠি পাঠকালে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত আমরা লক্ষ্য করছি। সেসব জমায়েত থেকে অপছন্দের গোষ্ঠী ও দলের বিরুদ্ধে কেবল হিংসাত্মক কথাবার্তাই বলা হচ্ছে না, ক্ষেত্রবিশেষে হামলাও চালানো হচ্ছে।’

দেশব্যাপী অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষী আচরণের বিষয়ে সরকারের নীতির ‘অস্পষ্টতা’ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বরাবর খোলা চিঠি দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক (ইউটিএন)। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই চিঠি পাঠানো হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টা ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাকে চিঠির অনুলিপি দেয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় শিক্ষক নেটওয়ার্কের হয়ে এই খোলাচিঠি পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

খোলা চিঠি পাঠকালে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, ‘পরিতাপের বিষয়, অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত আমরা লক্ষ্য করছি। সেসব জমায়েত থেকে অপছন্দের গোষ্ঠী ও দলের বিরুদ্ধে কেবল হিংসাত্মক কথাবার্তাই বলা হচ্ছে না, ক্ষেত্রবিশেষে সেসব মানুষের ওপর হামলাও চালানো হচ্ছে।

‘তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ হিংস্রতায় নিহত হয়েছেন তিনজন। অপরাধীদের ধরতে গিয়ে একজন সেনা কর্মকর্তা হামলায় নিহত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ভিন্ন জাতিসত্তার মানুষকে।’

গীতি আরা নাসরিন আরও বলেন, ‘রাস্তায় ও পর্যটন অঞ্চলে নারীদের ওপর হামলা, নিগ্রহ এবং চরম হেনস্তা করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিগৃহীত করেছে মালিক পক্ষের গুণ্ডারা। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও দপ্তরে ছোট ছোট অজস্র হিংস্রতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। মাজার, মন্দির, শিল্প-স্থাপনা ভাঙচুর থেকে শুরু করে বাউল এবং আহমদিয়াদের ওপরও আক্রমণ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনা সমাজের মধ্যকার দীর্ঘদিনের নানাবিধ অমীমাংসা ও গণতন্ত্রহীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে আমরা মনে করি। এভাবে চলতে থাকলে নাগরিকদের নিরাপত্তাবোধের অভাব তীব্রতর হবে এবং সংকট উত্তরণে সরকারকে আরও বেগ পেতে হবে। আমরা দু-একদিনের মধ্যেই এই চিঠি পাঠাব।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সায়েদ ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা সরকারকে সময় না দিয়ে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছি। মালিক পক্ষের গুন্ডারা শ্রমিকদের অত্যাচার করছে। মাজার, মন্দির ও বিভিন্ন শিল্প স্থাপনা ভাঙচুর করা হচ্ছে।

‘আমরা দেখেছি, একটা গোষ্ঠী আমাদের অনেক শিক্ষককে ইসলামবিদ্বেষী বলে ট্যাগ দিচ্ছে। আমাদের যোগ্যতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে কেন এসব ট্যাগ দিয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা করা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-রাজনীতি কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু সেখানে গণতন্ত্র থাকতে হবে। রাজনীতির নামে কেউ চাঁদাবাজি, হল দখল, সিট দখল করলে সেটা তো কোনো রাজনীতি নয়।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী প্রমুখ এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ‘নতুন বাংলাদেশের’ সঙ্গে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হোন
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কী থাকছে
শেখ হাসিনা অপরাধী হলে দেশে এনে বিচার করা উচিত: ড. ইউনূস
মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
সংস্কার ও ভোটার তালিকা তৈরির পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

মন্তব্য

শিক্ষা
Textbook Revision and Revision Committee Abolished

পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটি বাতিল

পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটি বাতিল
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এনসিটিবি প্রণীত এবং মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।

পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ইয়ানুর রহমানের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের গত ১৫ সেপ্টেম্বরের স্মারকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত এবং মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।

মন্তব্য

p
উপরে