ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনিস্টিটিউটে (আইবিএ) প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন নিজ ক্যাম্পাসের ছাত্রীকে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহা।
জাবির সাবেক এক ছাত্রী গত ২৩ মার্চ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। তার অভিযোগের ব্যাপারে সব প্রমাণ নিয়ে ঈদের পর লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি নিয়োগ বোর্ডে যখন সাজু সাহাকে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়, তখনও ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন বোর্ডের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তিনি বলেন, ‘এখন যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়, তাহলে বিষয়টি আমলে নেয়া হবে।’
সাবেক ছাত্রীর কী অভিযোগ
অধ্যাপক সাজু সাহা কাউন্সেলিং করানোর নামে তাকে নিপীড়ন করেছেন উল্লেখ করে সাবেক ওই ছাত্রী বলেন, ‘তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছেন। আমাকে তার সঙ্গে হুক-আপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। উনার প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য রেস্টুরেন্টে আমার পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছেন। এ সবের ট্রমায় আমি এক সেমিস্টার ক্লাসেও নিয়মিত হতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘এসব আমি এতোদিন উপস্থাপন করার সাহস পাইনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকার ঘটনার পর আমি এগুলো সামনে আনার সাহস পাই।’
সাবেক ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘সাজু সাহা ভয়ে আছেন; আমার অভিযোগের ব্যাপারে। কারণ, তিনি তো জানেন, তিনি আমার সাথে এসব করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও উনি নিশ্চিত একই কাজ করবেন নারী শিক্ষার্থীর সাথে। উনার বিচার নিশ্চিত করেই ছাড়বো আমি, শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
যা বললেন জাবির মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফুল হক বলেন, ‘বিষয়টা আমরা জেনেছি। এটা নিয়ে আমরা সভাও করেছি। সেই শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে। আমরা তার পরিবারের সাথেও কথা বলেছি। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।’
ছাত্রীর বক্তব্য
লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিষয় ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি গিয়েছিলাম। যেহেতু লিখিত অভিযোগ দিতে হবে, আর এর সাথে অভিযোগের স্বপক্ষে সব প্রমাণ সংযুক্ত করতে হবে, এসব প্রমাণ সংযুক্ত করা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার তাই– স্যারের কাছ থেকে একটু সময় নিয়েছি। আমি ঈদের পর এসেই অভিযোগ দেব।’
যা জানা গেল শিক্ষক সাজু সম্পর্কে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিবিএতে তার রেজাল্ট ছিল পঞ্চম, আর এমবিএতে তিনি যৌথভাবে প্রথম। অর্থাৎ আরও তিন শিক্ষার্থীর সমান নম্বর তিনি পেয়েছিলেন। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে তার ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট নামের একটি কোর্সে ইমপ্রুভমেন্ট আছে।
২০১৭ সালের নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন সাজু সাহা। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হন সহকারী অধ্যাপক। প্রভাষক থাকা অবস্থায় একবার (২০১৯) আর সহকারী অধ্যাপক হওয়ার পর আরও দুইবার (২০২১ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২২ সালের জুলাই) তিনি ঢাকা মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক পদে আবেদন করেছিলেন। প্রতিবারই তিনি তার রেজাল্টের কারণে বাদ পড়েছেন। আর এবার তিনি এই রেজাল্ট দিয়েই নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন আইবিএতে।
কর্তৃপক্ষ যা বলছে
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আপনি যার কথা বলছেন তিনি (সাজু সাহা) আমার ছাত্র। আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় দুইবার তার আবেদন জমা পড়েছিল। তার রেজাল্টের কারণে সর্বসম্মতিক্রমে দুইবারই তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। শুনেছি, এরপর আরও একবার তিনি আবেদন করেন। সেবারও তিনি বাদ পড়েন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য এক অধ্যাপক বলেন, ‘আইবিএতে সাধারণত এই ইনস্টিটিউটের ডিগ্রি ছাড়া কাউকে নিয়োগ করা হয় না। তবে কারও যদি বিদেশি কোনো উচ্চতর ডিগ্রি থাকে সেক্ষেত্রে তারাও সুযোগ পায়। আইবিএর কোন ডিগ্রি বা বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি না থাকার পরও সাজু সাহা একটি রাজনৈতিক দলের পদধারী হওয়ায় সিলেক্ট হয়েছেন।’
যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে এই শিক্ষক বলেন, ‘আইনের চোখে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগে সবাই নির্দোষ। তবে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় এই ধরনের কোনো অভিযোগই অনেক গুরুতর। তাই আমার মত হলো, যে অভিযোগ উঠেছে সেটি তদন্ত করে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। এমনও হতে পারে তিনি দোষী না। আবার যদি তিনি সত্যি সত্যিই দোষী হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু এই কালিমা আমার প্রাণের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়েই লাগবে।’
নিয়োগ প্রক্রিয়া
সোমবার বিকেল তিনটায় আইবিএর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম বোর্ড অফগভরন্যান্সের সভায় এই নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এই বিষয়ে বোর্ড অফ গভরন্যান্সের সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আইবিএর ডিগ্রি থাকার যে প্রথার কথা বলা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়। এমনকি বর্তমান আইবিএর পরিচালকেরই কোনো আইবিএ ডিগ্রি নেই। আর সাজু সাহার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে সেটি আমি শুনিনি। এখন যেহেতু এসেছে বোর্ড অফ গভরন্যান্সে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে বোর্ড অফ গভরন্যান্সের সদস্য সচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. মোমেনকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি কোনো সাড়া না দেয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
অভিযুক্ত যা বলছেন
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহাকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে সামনাসামনি বসে কথা বললে আমার তথ্য উপাত্ত দিতে সহজ হবে, আর আপনার নিউজটাও সমৃদ্ধ হবে। আমি এখনই আপনার ক্যাম্পাসে এসে কথা বলছি।’
এর কয়েকঘণ্টা পরও অধ্যাপক সাজু সাহা না আসায় ফের তাকে কয়েকবার ফোন দেয়া হয়, কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্যও জানা যায়নি
উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য যা বললেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘সেই নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের যেসব তথ্য তোমার কাছে আছে সব ডকুমেন্টস তুমি নিয়োগ বোর্ডের প্রধান প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছারকে দিয়ে দাও। উনি সোমবার সভায় সেগুলো উত্থাপন করবেন। আর আমিও জেনে রাখলাম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘যেহেতু যৌন হয়রানির মতো একটা অভিযোগ উঠেছে উনার বিরুদ্ধে সেহেতু উচিত হচ্ছে বিজি (বোর্ড অব গভর্ন্যান্স) বোর্ডে এই নিয়োগ পাস না করা। এটিকে আপাতত স্থগিত রেখে যাচাই-বাছাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে।’
ফেসবুকে কী অভিযোগ তুলেছেন সেই ছাত্রী
অভিযোগের বিষয় উল্লেখ করে গত ২৩ মার্চ ফেসবুক পোস্টে এই শিক্ষার্থী লেখেন, অনেকদিন চুপচাপ বসে ছিলাম। যে মানুষের ডিপার্টমেন্টে ক্লাসমেটদের সাথে এতো সমস্যা থাকার পরেও কখনো অ্যাটেন্ডেন্সে ৯ এর নিচে আসেনি, তার শেষের দিকে কেন অ্যাটেন্ডেন্সে ০ আসলো এটা কেউ প্রশ্ন করেনি। আমি চাই, আমার সাথে যে অন্যায়টা হয়েছে এটা আর কারো সাথে না হোক।
পোস্টে এই শিক্ষার্থী আরও লেখেন, উনি আমাকে ডিরেক্টলি বলেছেন, আমি ওনার সাথে হুক-আপ করলে উনি আমাকে ক্যারিয়ার, ডিপার্টমেন্ট, বাইরে যাওয়া নিয়ে হেল্প করবেন। আগেও বলেছিলেন এক সাথে পড়াশোনা করে বাইরে যাবেন। আমাকে বলছিলেন, ‘তোমার বিএফ রাগ করবে না?’ আমার বুঝতে বুঝতে একটু দেরিই হয়ে গেছে।
তার ভাষায়–‘এই লোক আমাকে ডিরেক্টলি বলছেন, ‘আমি ভুল মানুষকে চুজ করেছি। আমি ভেবেছিলাম তুমি লিবারাল। তুমি হুক-আপ কালচারে বিশ্বাস করো। কিন্তু তুমি দেখি কনজারভেটিভ।’
এই শিক্ষার্থী বলেন, আমার বিচার লাগবে না। আমি অ্যাশিওরেন্স চাই উনি যে উনি যেন এমনটা আর কারো সাথে করার সাহস না পান।
পোস্টে এই শিক্ষার্থী লেখেন, ওনার এত কনফিডেন্স যে আমি কিছু প্রমাণ করতে পারব না। কারণ উনি প্রমাণ রাখার মত কিছু রাখেন নাই। তবে যা আছে, তা ওনার দোষ প্রমাণ করতে যথেষ্ট। আমি বুঝতে এত দেরি করে ফেলেছি যে উনি আসলেই মুখোশধারী। উনি ছাড়াও আমার আরও দুইজন শিক্ষিকা আমার মানসিক সমস্যায় সাহায্য করেছেন অনেক আন্তরিকভাবে। তার মানে কি এই মানুষগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ থাকার অর্থ আমার তাদেরকে সুযোগ দেয়া!!
তিনি লেখেন, উনি যে রেস্টুরেন্টে বসে তার অন্যায় প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য আমার পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছেন, এর কি প্রমাণ আমি দেব?? উনি যে রিকশায় আমার গায়ে জোর করে হাত দিয়েছেন, তার কি প্রমাণ আমি দেব? রিকশাওয়ালাকে খুঁজে নিয়ে আসব? এটা কি আদৌ সম্ভব!শেষ পর্যন্ত উনি বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস তুমি কাউকে কিছু বলবা না।’
পোস্টে ভুক্তভোগী আরও লেখেন, আমার সাথে এই ঘটনার পর উনি (সাজু সাহা) অনেকদিন আমাকে বলেছেন ডিপার্টমেন্ট থেকে রিজাইন দিয়ে দেবেন। এই ক্যাম্পাসে থাকবেন না। ওনার নাকি আমাকে ফেইস করার মুখ নেই। অথচ উনি ঠিকই শিক্ষকতা করছেন। ..আমি যদি আগে একটুও বুঝতাম, আমি চেষ্টা করতাম ওনার কৃতকর্মের প্রমাণ রাখার। তবে যা আছে তা আমি রেখে দিচ্ছি। কেউ আমাকে অ্যাকিউজ করার আগে আমার কাছে সেগুলো চেয়ে নেবেন।
নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা এবং বাঙালিয়ানার ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ উদ্যাপন করল পহেলা বৈশাখ ১৪৩২। রাজধানীর প্রগতি সরণি, বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম এভিনিউতে অবস্থিত সিটি ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন এই প্রাণবন্ত উৎসবে। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল বৈশাখী রঙে রাঙানো আলোকসজ্জা, মুখরিত পরিবেশ এবং বৈশাখী পোশাকে সজ্জিত মানুষের উপস্থিতি।
আয়োজনের মধ্যে ছিল সংগীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি, হস্তশিল্প প্রদর্শনী, ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল, নৃত্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বৈশাখী সাংস্কৃতিক পটভূমির ওপর আলোচনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফত, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক, উপ-উপাচার্য ড. জি ইউ আহসান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ এস এম জি ফারুক এবং বিভাগীয় প্রধানরা।
পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে এবং এক অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়। সাংস্কৃতিক মনোরম পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোডম্যাপ অনুযায়ী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে তা রোডম্যাপে উল্লেখ নেই।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই রোডম্যাপ এর কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন মনে করে, ডাকসু প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদেরও ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সে কারণেই বর্তমান প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি সংবলিত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হলো।
গণমাধ্যমে পাঠানো রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।
একই মাসে ডাকসু সংশোধিত গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে তা ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এর আগে এ বিষয়ে ছয়টি সভা করা হয়। এই গঠনতন্ত্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।
রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে ‘ডাকসু ইলেকশন কোড অব কনডাক্ট রিভিউ কমিটি’ করা হয়। তারা সাতটি সভা করে। এটিও চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন তা সিন্ডিকেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, মে মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। একই সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সেস), ‘বি’ ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ), ‘সি’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) এবং ‘ডি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, শাখা পরিবর্তন) ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবিবার দুপুরে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’ ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রত্যেক শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে নিজ নিজ ফলাফল দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.jnu.ac.bd অথবা https://jnuadmission.com অথবা www.admission.jnu.ac.bd -এ জানা যাবে।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উল্লিখিত ওয়েবসাইটে (www.admission.jnu.ac.bd) লগইন করে বিষয় পছন্দ (Subject Choice) দিতে পারবেন।
‘এ’ ইউনিটের তিন শিফটে মোট আসন ৮৬০টি। সবগুলো আসন বিজ্ঞান বিভাগের জন্য।
প্রথম শিফটে মোট আসন ২৮৪টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৮৭টি। তৃতীয় শিফটে মোট আসন ২৮৯টি।
এ ইউনিটে ৮৬০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসেন ৪৪ হাজার ২২৩ জন।
‘বি’ ইউনিটের তিনটি শিফটে আসন ৭৮৫টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিকে ২১৬, বাণিজ্যে ৩৭, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪১টি।
দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯২টি, যার মধ্যে মানবিকে ২১৮, বাণিজ্যে ৩৫ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৩৯টি।
তৃতীয় শিফটে মোট আসন ১৯৯টি, যার মধ্যে মানবিকে ১২৪, বাণিজ্যে ১০ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৫টি।
‘সি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন ৫২০টি।
প্রথম শিফটে মোট আসন ২৩০টি, যার মধ্যে শুধু বাণিজ্য বিভাগে ২৩০টি।
দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯০টি, যার মধ্যে বাণিজ্যে ২৩১, মানবিকে ১৬ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪৪টি।
‘ডি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন ৫৯০টি।
প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিকে ১৯২, বাণিজ্যে ৩৩ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৯টি।
দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯৬টি, যার মধ্যে মানবিকে ১৯৩, বাণিজ্যে ৩২ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৭১টি।
এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট, ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মলচত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।
মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যেই হোক না কেন, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।
ঢাবির ছাত্রী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।
যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র নাইমুর রহমান সীমান্তের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মৃত্যু হয় তার।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জানান তার সহপাঠীরা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়।
‘গতকাল ওর একটা সাজার্রি করার কথা ছিল। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
সীমান্তের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এ তালিকায় চিহ্নিত অনেক হামলাকারীর নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী।
বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই তালিকায় রয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান ও ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ আরও অনেকে।
তালিকায় নাম নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবি জুবায়ের বলেন, ‘তানভীর হাসান সৈকত, ইউনুসসহ স্পষ্ট ফুটেজ থাকা অনেক সন্ত্রাসীর নামই লিস্টে নাই। কাদের ইশারায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনকে তা স্পষ্ট জানাতে হবে। অপূর্ণাঙ্গ এই লিস্ট আমরা মানি না।’
সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ লিখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা ১২৮ জনের লিস্ট কারা তৈরি করছে, এইটা আমরা জানতে চাই। চোখের সামনে আমাদের যারা জসীম উদ্দীন হলের মাঠে ফেলে আমাকে আর হামজা ভাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটানো মেহেদী হাসান শান্তের নাম নাই। আমার বোনদের যারা ভিসি চত্বরে পেটাল, তাদের নাম আসে নাই।’
তিনি লিখেন, ‘সবচেয়ে মজার ব্যাপার হইলো একটা সিঙ্গেল নারীকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করে নাই। অথচ নির্যাতনের মাত্রা হিসাব করলে এরা পুরুষ ছাত্রলীগের থেকেও ভয়ংকর ছিল। নারী ছাত্রলীগার সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে?’
স্মৃতি আফরোজ সুমি লিখেন, ‘বহিষ্কৃতদের তালিকা করার তদন্তের দায়িত্ব কি কোনো লীগারকে দেওয়া হয়েছিলো? লিস্ট দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। না হলে স্পষ্ট ফুটেজ, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রতি হল থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের নাম বাদ পড়ে কীভাবে?’
সুমাইয়া ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সবচেয়ে অমানবিক কাজ ছিল ঢাকা মেডিক্যালে হামলা। সেই হামলায় বেশির ভাগ হামলাকারী ছিল জগন্নাথ হলের। অথচ জগন্নাথ হল থেকে মাত্র দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রিভু মন্ডল, রাজিব বিশ্বাসের মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও বাদ পড়ে গেল!’
এদিকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন এবি জুবায়ের।
১২৮ জনের তালিকায় দুইজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই ছিলেন না, এমন নামও এসেছে।
তাদের কীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এসবসহ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ১৬ মার্চ (রবিবার) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘একজন প্রাক্তন উপাচার্য ও অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের সম্মতিক্রমে জানাজার সময় ও স্থান সম্পর্কে সকলকে অবহিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মাইকিং, শোকবার্তা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত সকল প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে।
‘উল্লেখ্য, পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমেই অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরের দিন ৭ মার্চ শুক্রবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
‘ইন্তেকালের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রশাসনের অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মরহুমের জানাজা ও দাফন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং দাফন প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য