রাজধানীর নয়াপল্টনে শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের একজন কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। সংঘের্ষে যুবদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পৃথক সমাবেশ ঘিরে সৃষ্ট সংঘাত-সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশ, সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাকর্মীসহ শতাধিক। এ সময় পুলিশ বক্স, যাত্রীবাহী বাসসহ কমপক্ষে ২০টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। রাতেও কয়েকটি জায়গায় বাসে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের জের ধরে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সমাবেশে আসার পথে ঢাকা সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীও একই দিন দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে।
নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. পারভেজ। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় শনিবার বিকেল ৪টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ডিএমপির উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহত পুলিশ সদস্য দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় দায়িত্বরত অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছিলেন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু হয়। তার মাথায় কোপানো হয়েছে। মারধরে তার ইউনিফর্মও ছিঁড়ে গেছে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘মৃত অবস্থাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। আমরা ইসিজি করার পর নিশ্চিত হয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেছি।’
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষকালে শামীম মোল্লাহ নামে যুবদলের নেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গনি চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘শামীম মোল্লার বাবার নাম ইউসুফ মোল্লা। তিনি মুগদা থানা যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি। সমাবেশ চলার এক পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় পুলিশ তাকে গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সংলগ্ন পুলিশ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।’
তবে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি জিয়াউল হায়দার নিউজবাংলাকে বলেন, নয়াপল্টন মসজিদ গলিতে শামীম পড়ে ছিলেন। তিনি তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন।
‘পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবু বিষয়টি নিয়ে যাতে বিতর্ক না হয় সেজন্য ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সমাবেশের কর্মসূচি থাকায় শনিবার সকাল থেকেই ঢাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইলে দলটির কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ বাধে।
এক পর্যায়ে তা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তা নয়াপল্টন, ফকিরাপুল ও রাজারবাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালেই কাকরাইল চার্চের সামনে একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেয়া হয়। কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পুলিশ, সাংবাদিক এবং বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আহত হন অনেকে।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কে এন রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংঘর্ষে মধ্যে আহত প্রায় অর্ধশত পুলিশ সদস্যকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে শনিবার সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন নয়াপল্টনে।
সমাবেশ মঞ্চে বেলা ১১টার পর জাসাসের কর্মীরা সংগীত পরিবেশন শুরু করেন। পরে নির্ধারিত সময়ের আগেই দুপুর পৌনে ১টার দিকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
সংঘর্ষ শুরু যেভাবে
বিএনপির সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয় ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল বক্তব্য দেয়ার সময় কাকরাইল মোড়ের কাছে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল নিক্ষেপের শব্দ শোনা যায়। এ সময় বিএনপির মঞ্চের সামনে থাকা নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে যান। তারা স্লোগান দিতে থাকেন।
এরপর বেলা আড়াইটার দিকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। তার বক্তব্য চলাকালেই পুলিশের একটি দল সাঁজোয়া যানসহ এগিয়ে আসতে থাকে নয়াপল্টনের দিকে। সেখানে টিয়ার শেল ছোড়া হয়।
আমীর খসরুর বক্তব্যের পরপরই সভা মঞ্চের মাইক বন্ধ হয়ে যায় এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা বসে পড়েন।
এর ১০ মিনিটের ব্যবধানে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের তোপের মুখে পুরো এলাকা নেতাকর্মীশূন্য হয়ে পড়ে। বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নেমে যান মঞ্চ থেকে। আর তখনই সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি নেতারা মঞ্চ ত্যাগ করার পর সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায় এবং কাকরাইল ও নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। এ সময় ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকেও ইট-পাথর ছোড়া হয়।
বিকেল ৪টার দিকে নয়াপল্টনের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপি কর্মীরা। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারসেল ছুড়তে থাকে। কাঁদানে গ্যাস থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের আগুন জ্বালাতে দেখা যায়।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শনিবার সকালে বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে শান্তিনগর ও কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। সে সময় সড়কে পিকআপ ভ্যানে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা পিকআপ ঘিরে ফেললে লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এরপর উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে কিছুক্ষণ। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুপুরে পুরো পল্টন ও কাকরাইল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। কাকরাইল চার্চের সামনে একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেয়া হয়। বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি কর্মীরা। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী একটি বাস ও দুটি পিকআপে হামলা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।
বাস ভাঙচুরের পর দুপুর পৌনে ১টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনের এলাকায় আরেক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি কয়েকটি ব্যানার নিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। কাকরাইল মোড়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এ সময় কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, মগবাজারের দিক থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পিকআপে গুলিস্তানের দিকে যাওয়ার সময় কাকরাইল থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত রাস্তায় আগে থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। এতে পিকআপটি গুলিস্তানের দিকে যেতে পারেনি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষে অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা দেখা যায়। এরপর ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে রাখা একটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
মাঠে নামে বিজিপি
বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে সাতটি পিকআপে করে বিজিবি সদস্যরা কাকরাইল এলাকায় আসেন। এরপর সেখান থেকে হেঁটে তারা নয়াপল্টনের দিকে যান। ওই সময় নয়াপল্টনের দিক থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ছোট ছোট লাঠি হাতে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। বিভিন্ন গলির মুখে অবস্থান নিয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। সড়ক বিভাজনের পাশাপাশি সড়ক লাগোয়া দোকানপাটও ভাংচুর করে তারা।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, মহাসমাবেশ স্থলে দুই প্লাটুন আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। দুইটার দিকে আরও দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য সেখানে যায়। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে বিজিবির আরও আট প্লাটুন সদস্য রয়েছে।’
বিএনপির হরতালের ডাক
সংঘর্ষের জের ধরে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কাকরাইল মোড়ে সংঘর্ষের জের ধরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি।
শনিবার দুপুরে সমাবেশস্থল থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের এই ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
এদিকে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের একই সময়ে বায়তুল মুকাররম এলাকায় সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। আর জামায়াতের নেতাকর্মীরা আরামবাগ এলাকায় জড়ো হন সমাবেশের জন্য।
জামায়াতের দাবি, সমাবেশ চলার সময় আরামবাগ এলাকায় গুলিতে তাদের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। নায়েব আলী শেখ নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে জামায়াত কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘দুপুরে আরামবাগে পুলিশের ব্যারিকেড অতিক্রম করার সময় পুলিশ ছররা গুলি ছুড়লে তার ডান পায়ে গুলি লাগে।’
নায়েব আলীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, ‘আহত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’
রাতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
এদিকে সকাল থেকে চলা এই সংঘর্ষের জের চলতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পরও অন্তত ৫টি গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন:ঈদুল আজহায় টানা ছুটির মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাস মোটামুটি স্বাস্থ্যকর ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিহীন শুষ্ক পরিবেশ আর ক্রমেই রাজধানীর পুরনো ভিড় বাড়তে থাকায় দূষণও বাড়ছে সমান তালে।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ফের শীর্ষস্থানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। এ সময়ে ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ছিল বাংলাদেশের রাজধানী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য যা অস্বাস্থ্যকর।
এ সময় ১৫৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ দূষিত শহর ছিল ইন্দোনেশিয়ার মেদান। এ ছাড়া ১২৬ ও ১২৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার পরেই ছিল যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও মিসরের কায়রো।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
রাজধানীর উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদের’ এক পরিবেশকের এক কোটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, ‘আব্দুল খালেক নয়ন নগদের একজন পরিবেশক। তিনি উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্লাটে থাকেন। শনিবার সকালে তিনি তার চারজন এমপ্লয়িকে দুইটি মোটরসাইকেলযোগে বাসার পাশেই পরিবেশক অফিসে পাঠাচ্ছিলেন। সাথে এক কোটি টাকার বেশি ছিল।’
‘তাদের বহনকারী মোটরসাইকেল দুটি বারো নম্বর রোড ক্রস করে যখন তেরো নম্বর রোডে ঢুকছিল, তখন ওৎপেতে থাকা একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস তাদের গতি রোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে র্যাবের পোশাক পরিহিত তিন থেকে চারজন নেমে এসে টাকার ব্যাগ বহনকারী মোটরসাইকেল আরোহীদের ধাওয়া করে।’
পুলিশ আরও জানায়, এদের মধ্যে একজন আরোহী দৌড়ে পালিয়ে গেলেও তিনজনকে টাকার ব্যাগসহ তারা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরবর্তীতে তারা উত্তরা সতেরো নম্বর সেক্টরে নগদ মাইক্রোবাস থেকে তাদের ফেলে দিয়ে টাকার ব্যাগ সহ পালিয়ে যায়।
যোগাযোগ করা হলে উত্তরা ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার মইদুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, ‘ঘটনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিসিটিভির ফোটেজ সংগ্রহ করেছেন। ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’
ঈদ উপলক্ষে লম্বা ছুটিতে বেশ কিছুদিন ধরে একপ্রকার ফাঁকা হয়ে গেছে শহর ঢাকা। সড়কগুলোতে নেই যানবাহনের চাপ; স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতও বন্ধ; রাস্তায় লোকজনও হাতেগোনা। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমে গেলেও রাজধানীর বাতাসের মানে খুব বেশি অবনতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল মাত্র ৬৬। আর দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আরও অবাক হওয়ার মতো। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিলেও ঢাকার অবস্থান আজ ৫৫তম।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’। ঢাকার বাতাস আজ মাঝারি হলেও ‘ভালো’ থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
এই সময়ে ৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৫২তম স্থানে ছিল স্পেনের বার্সেলোনা, ৫০তম স্থানে সুইজারল্যান্ডের বেয়ার্ন, ৬৮ স্কোর নিয়ে ৪৯তম স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি, ৭০ ও ৭১ স্কোর নিয়ে ৪৪ ও ৪৩তম স্থানে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসি, ৭৩ স্কোর নিয়ে ৩৮তম স্থানে কানাডার টরেন্টো, ৮০ স্কোর নিয়ে ২৭তম দূষিত শহর শিকাগো, ৯৯ স্কোর নিয়ে ১৫তম স্থানে ইতালির রোম এবং ১২৮ স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে মিলান।
তবে ১৬৮ একিউইউ স্কোর নিয়ে এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল ভারতের দিল্লি। ১৬২, ১৫৬ ও ১৩৭ স্কোর নিয়ে এর পরের তিন দূষিত শহর যথাক্রমে ইরাকের বাগদাদ, পাকিস্তানের লাহোর ও সৌদি আরবের রিয়াদ।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
এডিস মশার বিস্তার রোধে তাৎক্ষণিক ফল পেতে ১৪ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন(ডিএসসিসি) এলাকায় দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এডিস মশার বিস্তার রোধে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও করোনা প্রতিরোধে ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর ওয়াসা ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে (ফগার মেশিন দ্বারা পরিচালিত) বর্তমানে ব্যবহৃত ৩০ লিটার কীটনাশকের পরিবর্তে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থাৎ ৬০ লিটার কীটনাশক প্রতিদিন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠন ও জনবল ঘাটতি পূরণে উদ্যোগসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় মশক কর্মীদের সকাল ও বিকেলে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সঠিক অনুপাতে কীটনাশক প্রয়োগ যাচাই, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং মশক কর্মী দ্বারা বাড়ির ভিতর, আঙিনা ও ছাদের জমানো পানিসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে অঞ্চল ভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া, ডেঙ্গু ও করোনা বিষয়ে ডিএসসিসি সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া ফয়েজকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যে কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে নগর ভবনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিদিনের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের হালনাগাদ তথ্য ডিএসসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। মশক নিধনে জনবল ঘাটতি পূরণে নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ ডেঙ্গু ও করোনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সেলিম (৪৫), রফিক (৪০), সাদ্দাম (৩০), উজ্জ্বল (৩২) ও শামীম (২৫)।
গতকাল সোমবার (৯জুন) মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১জন, মাদক মামলায় ১জন, দূস্যতার মামলায় ১জন এবং অন্যান্য মামলায় ২জন।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর পল্লবী থানার মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত ওই যুবকের নাম রাকিবুল হাসান সানি (২৯)। ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সকাল সাতটার দিকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। পরে মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক বিক্রির আধিপত্য বিস্তার ও দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রাতের আঁধারে হত্যাকারীরা কীভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে; তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিহতের পরিবারের দাবি, সানি একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গেল রমজান মাসেও একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র তার ওপর হামলা চালিয়েছিল।
ঘটনার পর থেকে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং এলাকায় পুলিশ ও সিআইডি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
গতকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে ফের চালু হয়েছে মেট্রোরেল। তবে মেট্রোতে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না।
রোববার সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, আজ (রোববার) প্রতি ৩০ মিনিট পরপর ট্রেন চলছে। আগামীকাল সোমবার থেকে মেট্রোরেল সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে।
গত মঙ্গলবার ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলমের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মেট্রোরেলে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না। মেট্রো স্টেশনের প্রতিটি গেটে যাত্রীদের যথাযথভাবে তল্লাশি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো যাত্রীর কাছে কাঁচা বা রান্না করা মাংস পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তার মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ আটকে দেওয়া হবে। মেট্রোরেলের নিরাপত্তা কর্মীদের এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতেও বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য