× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
What happened throughout the day around the rally in the capital
google_news print-icon

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

সমাবেশ-ঘিরে-দিনভর-যা-ঘটে-গেল-রাজধানীতে
কোলাজ: নিউজবাংলা
বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে ব্যাপক সংঘর্ষে কাকরাইল, নয়াপল্টন, বিজয়নগর ও সংশ্লিষ্ট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হন। যুবদল নেতা নিহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। সাংবাদিক, পুলিশ, বিএনপি নেতাকর্মীসহ আহত শতাধিক। পুলিশ বক্স, যাত্রীবাহী বাসসহ কমপক্ষে ২০টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের একজন কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। সংঘের্ষে যুবদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পৃথক সমাবেশ ঘিরে সৃষ্ট সংঘাত-সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশ, সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাকর্মীসহ শতাধিক। এ সময় পুলিশ বক্স, যাত্রীবাহী বাসসহ কমপক্ষে ২০টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। রাতেও কয়েকটি জায়গায় বাসে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের জের ধরে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সমাবেশে আসার পথে ঢাকা সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীও একই দিন দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. পারভেজ। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় শনিবার বিকেল ৪টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ডিএমপির উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহত পুলিশ সদস্য দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় দায়িত্বরত অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছিলেন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু হয়। তার মাথায় কোপানো হয়েছে। মারধরে তার ইউনিফর্মও ছিঁড়ে গেছে।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘মৃত অবস্থাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। আমরা ইসিজি করার পর নিশ্চিত হয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেছি।’

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষকালে শামীম মোল্লাহ নামে যুবদলের নেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গনি চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘শামীম মোল্লার বাবার নাম ইউসুফ মোল্লা। তিনি মুগদা থানা যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি। সমাবেশ চলার এক পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় পুলিশ তাকে গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সংলগ্ন পুলিশ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।’

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

তবে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি জিয়াউল হায়দার নিউজবাংলাকে বলেন, নয়াপল্টন মসজিদ গলিতে শামীম পড়ে ছিলেন। তিনি তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন।

‘পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবু বিষয়টি নিয়ে যাতে বিতর্ক না হয় সেজন্য ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সমাবেশের কর্মসূচি থাকায় শনিবার সকাল থেকেই ঢাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইলে দলটির কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ বাধে।

এক পর্যায়ে তা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তা নয়াপল্টন, ফকিরাপুল ও রাজারবাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

সংঘর্ষ চলাকালেই কাকরাইল চার্চের সামনে একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেয়া হয়। কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পুলিশ, সাংবাদিক এবং বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আহত হন অনেকে।

ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কে এন রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংঘর্ষে মধ্যে আহত প্রায় অর্ধশত পুলিশ সদস্যকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে শনিবার সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন নয়াপল্টনে।

সমাবেশ মঞ্চে বেলা ১১টার পর জাসাসের কর্মীরা সংগীত পরিবেশন শুরু করেন। পরে নির্ধারিত সময়ের আগেই দুপুর পৌনে ১টার দিকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

সংঘর্ষ শুরু যেভাবে

বিএনপির সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয় ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল বক্তব্য দেয়ার সময় কাকরাইল মোড়ের কাছে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল নিক্ষেপের শব্দ শোনা যায়। এ সময় বিএনপির মঞ্চের সামনে থাকা নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে যান। তারা স্লোগান দিতে থাকেন।

এরপর বেলা আড়াইটার দিকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। তার বক্তব্য চলাকালেই পুলিশের একটি দল সাঁজোয়া যানসহ এগিয়ে আসতে থাকে নয়াপল্টনের দিকে। সেখানে টিয়ার শেল ছোড়া হয়।

আমীর খসরুর বক্তব্যের পরপরই সভা মঞ্চের মাইক বন্ধ হয়ে যায় এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা বসে পড়েন।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

এর ১০ মিনিটের ব্যবধানে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের তোপের মুখে পুরো এলাকা নেতাকর্মীশূন্য হয়ে পড়ে। বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নেমে যান মঞ্চ থেকে। আর তখনই সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপি নেতারা মঞ্চ ত্যাগ করার পর সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায় এবং কাকরাইল ও নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। এ সময় ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকেও ইট-পাথর ছোড়া হয়।

বিকেল ৪টার দিকে নয়াপল্টনের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপি কর্মীরা। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারসেল ছুড়তে থাকে। কাঁদানে গ্যাস থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের আগুন জ্বালাতে দেখা যায়।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শনিবার সকালে বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে শান্তিনগর ও কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। সে সময় সড়কে পিকআপ ভ্যানে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা পিকআপ ঘিরে ফেললে লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এরপর উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে কিছুক্ষণ। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুপুরে পুরো পল্টন ও কাকরাইল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনাস্থলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। কাকরাইল চার্চের সামনে একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেয়া হয়। বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি কর্মীরা। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।

এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী একটি বাস ও দুটি পিকআপে হামলা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।

বাস ভাঙচুরের পর দুপুর পৌনে ১টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনের এলাকায় আরেক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি কয়েকটি ব্যানার নিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। কাকরাইল মোড়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এ সময় কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, মগবাজারের দিক থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পিকআপে গুলিস্তানের দিকে যাওয়ার সময় কাকরাইল থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত রাস্তায় আগে থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। এতে পিকআপটি গুলিস্তানের দিকে যেতে পারেনি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষে অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা দেখা যায়। এরপর ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে রাখা একটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

মাঠে নামে বিজিপি

বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে সাতটি পিকআপে করে বিজিবি সদস্যরা কাকরাইল এলাকায় আসেন। এরপর সেখান থেকে হেঁটে তারা নয়াপল্টনের দিকে যান। ওই সময় নয়াপল্টনের দিক থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ছোট ছোট লাঠি হাতে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। বিভিন্ন গলির মুখে অবস্থান নিয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। সড়ক বিভাজনের পাশাপাশি সড়ক লাগোয়া দোকানপাটও ভাংচুর করে তারা।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, মহাসমাবেশ স্থলে দুই প্লাটুন আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। দুইটার দিকে আরও দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য সেখানে যায়। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে বিজিবির আরও আট প্লাটুন সদস্য রয়েছে।’

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

বিএনপির হরতালের ডাক

সংঘর্ষের জের ধরে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কাকরাইল মোড়ে সংঘর্ষের জের ধরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি।

শনিবার দুপুরে সমাবেশস্থল থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের এই ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।

এদিকে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের একই সময়ে বায়তুল মুকাররম এলাকায় সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। আর জামায়াতের নেতাকর্মীরা আরামবাগ এলাকায় জড়ো হন সমাবেশের জন্য।

জামায়াতের দাবি, সমাবেশ চলার সময় আরামবাগ এলাকায় গুলিতে তাদের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। নায়েব আলী শেখ নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে জামায়াত কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘দুপুরে আরামবাগে পুলিশের ব্যারিকেড অতিক্রম করার সময় পুলিশ ছররা গুলি ছুড়লে তার ডান পায়ে গুলি লাগে।’

নায়েব আলীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, ‘আহত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

রাতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

এদিকে সকাল থেকে চলা এই সংঘর্ষের জের চলতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পরও অন্তত ৫টি গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।

আরও পড়ুন:
সারাদেশে রোববার শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
কাকরাইল মোড়ে বাসে আগুন
গান গেয়ে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা মমতাজের
১০ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে সমাবেশে শামীম ওসমান
ধোঁয়া দেখে আওয়ামী লীগের সমাবেশে আতঙ্ক, হুড়োহুড়ি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Renewable fuel will play a role in the formation of a fair city DNCC Administrator

ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ডিএনসিসি প্রশাসক

ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ডিএনসিসি প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। শুধু সরকার বা সিটি কর্পোরেশন নয়, নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে ন্যায্য নগর প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আজ সোমবার গুলশানের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর যৌথ আয়োজনে ‘ন্যায্য নগর গঠনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা’ শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রশাসক।

স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী এর সভাপতিত্বে পলিসি ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকা শহরের বেশ কিছু পরিকল্পিত এলাকা আছে যেখানে বিল্ডিংগুলোর উচ্চতা কাছাকাছি, ফলে সেই বিল্ডিংগুলোর সোলার ক্লিয়ারেন্স অনেক বেশি। সেই এলাকাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের উদ্ধারকৃত নদীর পাড়কে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব। তিনি জানান, রুফটপ সোলার প্যানেল ব্যবহারকারীদের হোল্ডিং ট্যাক্স এর ওপর ৫ শতাংশ কর রেয়াত দেয়ার কথা ভাবছে সিটি কর্পোরেশন।

পলিসি ডায়ালগের মূল প্রবন্ধে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, জীবনের মান সূচকে ঢাকা শহর শেষ দিক থেকে ৪র্থ, বিশ্বের সবচেয়ে ধীর গতির শহর, বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে, দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ, বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকার ১ম সারিতে, বিশ্বে যানজটের সূচকে ৫ নম্বরে, পৃথিবীর ৪র্থ ঘনবসতিপূর্ণ শহর, শব্দ দূষণেও শীর্ষে ঢাকা এবং স্বাস্থ্যসেবার সূচকে শেষের দিকে। আর এই দূষণগুলো থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন ও শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটি সুস্থ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।

ডায়ালগে আরও অংশ নেন ডিএনসিসি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান ড. এম. শহীদুল ইসলাম, (বিআইপি) এর উপদেষ্টা বোর্ডের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন ড. ইজাজ হোসে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্রের (সিথ্রিইআর) সমন্বয়ক (অপারেশনস) মিসেস রৌফা খানম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, (ডব্লিউবিবিটি) এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার, ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ, ইয়ুথনেট গ্লোবাল এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর রিসার্চ লিড ইঞ্জি. মারজিয়াত রহমান, ব্রাইটার্সের চেয়ার ফারিহা সুলতানা অমি, ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক শামীম আহমেদ মৃধা, ন্যাকমের পরিচালক রাশিদুজ্জামান আহমেদ, পিওর আর্থ বাংলাদেশের কনসালটেন্ট আহমেদ শামীম আল রাজি, সাসটেইনেবল রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের (এসআরসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জুবায়ের, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের গবেষণা ও বাস্তবায়ন প্রধান মো. ইকবাল ফারুক, ও. ক্রিডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাত হোসেন, সচেতন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার কামরুজ্জামান সাগর, ইকিউএমএস কনসাল্টিংয়ের টেকনিক্যাল ম্যানেজার (টেস্টিং) আহমেদ জুবায়ের, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, অ্যাকশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার হামিদুল ইসলাম এবং মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।

ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ডিএনসিসি প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। শুধু সরকার বা সিটি কর্পোরেশন নয়, নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে ন্যায্য নগর প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আজ সোমবার গুলশানের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর যৌথ আয়োজনে ‘ন্যায্য নগর গঠনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা’ শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রশাসক।

স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী এর সভাপতিত্বে পলিসি ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকা শহরের বেশ কিছু পরিকল্পিত এলাকা আছে যেখানে বিল্ডিংগুলোর উচ্চতা কাছাকাছি, ফলে সেই বিল্ডিংগুলোর সোলার ক্লিয়ারেন্স অনেক বেশি। সেই এলাকাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের উদ্ধারকৃত নদীর পাড়কে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব। তিনি জানান, রুফটপ সোলার প্যানেল ব্যবহারকারীদের হোল্ডিং ট্যাক্স এর ওপর ৫ শতাংশ কর রেয়াত দেয়ার কথা ভাবছে সিটি কর্পোরেশন।

পলিসি ডায়ালগের মূল প্রবন্ধে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, জীবনের মান সূচকে ঢাকা শহর শেষ দিক থেকে ৪র্থ, বিশ্বের সবচেয়ে ধীর গতির শহর, বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে, দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ, বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকার ১ম সারিতে, বিশ্বে যানজটের সূচকে ৫ নম্বরে, পৃথিবীর ৪র্থ ঘনবসতিপূর্ণ শহর, শব্দ দূষণেও শীর্ষে ঢাকা এবং স্বাস্থ্যসেবার সূচকে শেষের দিকে। আর এই দূষণগুলো থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন ও শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটি সুস্থ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।

ডায়ালগে আরও অংশ নেন ডিএনসিসি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান ড. এম. শহীদুল ইসলাম, (বিআইপি) এর উপদেষ্টা বোর্ডের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন ড. ইজাজ হোসে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্রের (সিথ্রিইআর) সমন্বয়ক (অপারেশনস) মিসেস রৌফা খানম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, (ডব্লিউবিবিটি) এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার, ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ, ইয়ুথনেট গ্লোবাল এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর রিসার্চ লিড ইঞ্জি. মারজিয়াত রহমান, ব্রাইটার্সের চেয়ার ফারিহা সুলতানা অমি, ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক শামীম আহমেদ মৃধা, ন্যাকমের পরিচালক রাশিদুজ্জামান আহমেদ, পিওর আর্থ বাংলাদেশের কনসালটেন্ট আহমেদ শামীম আল রাজি, সাসটেইনেবল রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের (এসআরসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জুবায়ের, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের গবেষণা ও বাস্তবায়ন প্রধান মো. ইকবাল ফারুক, ও. ক্রিডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাত হোসেন, সচেতন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার কামরুজ্জামান সাগর, ইকিউএমএস কনসাল্টিংয়ের টেকনিক্যাল ম্যানেজার (টেস্টিং) আহমেদ জুবায়ের, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, অ্যাকশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার হামিদুল ইসলাম এবং মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।

মন্তব্য

শিক্ষা
Autorickshaw workshop charging station
ডিএনসিসি প্রশাসক

অটোরিকশার ওয়ার্কশপ-চার্জিং স্টেশনে শিগগিরই অভিযান

অটোরিকশার ওয়ার্কশপ-চার্জিং স্টেশনে শিগগিরই অভিযান শনিবার রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে ডিএনসিসি ও ডিএমপি যৌথভাবে কাজ করছে। ঢাকা শহরের ভিতরে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।

তিনি জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা করেছে। শিগগিরই রাতে অভিযান করে এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএনসিসির ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকায় ৭টি প্যাকেজে মোট ২০ কিলোমিটার রাস্তা, ৩৪ কিলোমিটার নর্দমা ও ১৫ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকার বাড়ির মালিক সমিতিকে অনুরোধ করব আপনারা আপনাদের এলাকায় অবৈধ অটোরিকশা ঢুকতে দেবেন না। আপনাদের আবাসিক এলাকাগুলো যে পরিকল্পনা করে করা হয়েছে, সেই পরিকল্পনার বাহিরে কিছু করতে দেবেন না। আবাসিক এলাকায় কোনো বাণিজ্যিক কাজ করতে দেবেন না। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আপনারা স্থানীয় কমিউনিটি সোচ্চার হলে অবৈধ অটোরিকশা, অবৈধ হকার বন্ধ করা সহজ হবে।’

নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি থেকে প্লট কেনার আগে মৌজা ম্যাপ চেক করে দেখবেন জলাধার কিনা। জলাধার হলে দয়া করে সেই প্লট কিনবেন না। জলাধার হলে পরবর্তী সময় সেই প্লট পেতে ঝামেলা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সবাই একসময় ভাবতেন পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় কোনোদিন পাকা রাস্তা হবে না। এই এলাকায় শুধু গোডাউন ভাড়া দেওয়া হতো একসময়। পরিকল্পিতভাবে মাঠের জায়গা রাখা হয়নি, কোনো গাছ লাগানো হয়নি। ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভিতর দিয়ে খাল ছিল। আমরা নাগরিক সমাজ আন্দোলন করেছি সেই খাল উদ্ধারের জন্য, মামলা পর্যন্ত করা হয়েছিল। ৭টি প্যাকেজের নির্মাণকাজ শেষ হলে এই এলাকার যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে এবং জলাবদ্ধতাও দূর হবে।’

মন্তব্য

শিক্ষা
Workers road blockade in Tejgaon on charges of the Prophet peace be upon him

মহানবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে তেজগাঁওয়ে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

মহানবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে তেজগাঁওয়ে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান সড়ক অবরোধ করে রেখে প্রতিবাদ করছেন কোহিনুর ক্যামিকেল কোম্পানির কারখানার শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে সড়কটি বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছুটে এসেছেন। কিন্তু এখনো পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।

কারখানার কসমেটিকস বিভাগের বাবু নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে শ্রমিকরা প্রতিবাদ করেন।পরে তারা প্রধান সড়কে নেমে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শতশত মানুষ। মহাখালী থেকে আসা যাওয়ার সড়কটি বন্ধ হয়ে গেছে।

শ্রমিকদের দাবি হচ্ছে, সেই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছুটে এসেছেন। তাদের মধ্য থেকে একজন তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছেন। বারবার তাদের আশ্বাস দিচ্ছেন। কিন্তু এখনো পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।

তারা আরও বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ঠিক বিপরীত পাশে সড়কে কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানির অবস্থান। সেই কারখানাটির গেটের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিটে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার এসে তাদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তাকে বলতে শোনা যায়, কারখানাটির কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন। সেই ব্যক্তিকে চাকরি থেকে অপসারণের পাশাপাশি আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

এমন বিষয় জানানোর পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারখানাটির সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন ভাঙচুর বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মহাখালী জোনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (ট্রাফিক) দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তা ব্লকের কারণে তেজগাঁও সাত রাস্তাসহ আশেপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Environment adviser

ঢাবিকে শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

ঢাবিকে শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

সাধারণ মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করারও আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘ভর্তুকি মূল্যে পাটের ব্যাগ দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা হবে।’

শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয় সংক্রান্ত সেমিনার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পাটের ব্যাগ ব্যবহারে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রচার কার্যক্রম চালানো হবে। পাটের ব্যাগ তৈরির সঙ্গে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। টেকসই ব্যবস্থার জন্য জেডিপিসি, এসএমইএফ, জয়িতা ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’

‘প্লাস্টিকের বিকল্প নেই—এই ধারণা ঠিক নয়। সরকারের সব উদ্যোগ রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তবে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে,’ বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। অ

নুষ্ঠানে বক্তব্য দেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি; ঢাকা নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান মারিয়ান রাবে ক্নাভেলসরুদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ; ইউনিডোর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকি উজ জামান; ঢাকা মেডিকেল কলেজের ড. আফিয়া শাহনাজ; বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।

সময় পরিবেশ উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

শিক্ষা
DMPs message arrested on Chhatra League procession

ছাত্রলীগের মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা, গ্রেপ্তার ৬

ছাত্রলীগের মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা, গ্রেপ্তার ৬

রাজধানীতে পরিচালিত পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এসব সংগঠনের সাম্প্রতিক ঝটিকা মিছিল নিয়ে সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে ডিএমপি। বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগ ও তাদের সমভাবাপন্ন বিভিন্ন সংগঠন ঝটিকা মিছিল করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা পুলিশের গতিবিধি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে দুয়েক মিনিট মিছিল করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে এসব মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।

তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের মধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানায় ডিএমপি। পৃথক অভিযানে রাজধানীতে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ছয় সদস্য হলেন- পল্লবী থানা ছাত্রলীগের ৫ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নাইম, যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন হোসেন ফাহিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. সোহেল, বাড্ডা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল রানা, বাড্ডা থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়ামিন ও বাড্ডা ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশার খান।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পল্লবী থানার বাউনিয়া এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম নাইমকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগ।

অন্যদিকে, মহানগর গোয়েন্দা সাইবার বিভাগের বিভাগের একটি দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. রিপন হোসেন ফাহিমকে গ্রেফতার করে। ডিবি-ওয়ারী বিভাগ কদমতলী থানাধীন মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে শেখ মো. সোহেলকে গ্রেফতার করে।

এরপর শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ডিবি সাইবারের একটি টিম রাজধানীর বাড্ডা থানার মধ্য বাড্ডা এলাকা থেকে মো. সোহেল রানা ও মোহাম্মদ ইয়ামিনকে এবং শাহ আলি এলাকা হতে অপর একটি টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে আবুল বাশার খানকে গ্রেফতার করে।

ডিএমপি জানায়, এসব সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় সাধারণ জনগণকে এসব সংগঠনের বিচ্ছিন্ন অপতৎপরতা সম্পর্কে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছে মহানগর পুলিশ।

মন্তব্য

শিক্ষা
DSCC Special Cleaning Expedition on the highway from Jatrabari to signboard

যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কে ডিএসসিসি’র বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কে ডিএসসিসি’র বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান নগর ভবন। ফাইল ছবি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আজ যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত মহাসড়কে এবং যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছয়শত পরিচ্ছন্ন কর্মী এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

সকাল ৬ টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যাত্রাবাড়ী থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত মহাসড়কে ও আইল্যান্ডে জমে থাকা দীর্ঘদিনের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, মহাসড়কে ও মহাসড়কের আইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ময়লা জমে থাকায় বায়ুদূষণসহ পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতি হচ্ছিল। মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন হওয়ায় এখানে সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের সুযোগ নেই।

পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশনায় আজকের এই বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের ময়লা পরিষ্কারের ফলে এই মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা যেমন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন, ঠিক তেমনি পরিবেশ দূষণ রোধ সম্ভব হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি এখন থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে খাল পুনরুদ্ধার ও ড্রেন পরিষ্কাার চলমান রয়েছে।

এছাড়া, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খাল-ড্রেন উদ্ধার ও পরিষ্কারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। ডেঙ্গু মৌসুম মোকাবিলার জন্য মশক কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত ভাবে লার্ভিসাইডিং এবং এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রশাসক নগরবাসীর সচেতনতা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Seven women wardrobe injured in the bus accident in Banani

বনানীতে বাস দুর্ঘটনায় সাত নারী পোশাকশ্রমিক আহত

বনানীতে বাস দুর্ঘটনায় সাত নারী পোশাকশ্রমিক আহত ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট। ছবি: নিউজবাংলা
ঢামেক পুলিশ ক‍্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক জানান, বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের বাস দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের কারও মাথায়, কারও শরীরে এবং পায়ে হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলমান।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

রাজধানীর বনানীতে নৌবাহিনী সদরদপ্তর ও আর্মি স্টেডিয়ামের মাঝামাঝি স্থানে শুক্রবার পোশাকশ্রমিক বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাত নারী আহত হয়েছেন।

তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত সাত শ্রমিক হলেন রাশেদা (২৮), লাকি আক্তার (৩৫), পারভিন বেগম (৩৪), নিলুফা আক্তার (৩০), হোসনেয়ারা (৩৫), রাশেদা আক্তার (৩১)।

আহত নারী শ্রমিকদের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘নারী শ্রমিকরা গাজীপুরের কালীগঞ্জের পূর্বাচল অ্যাপারেল লিমিটেডের পোশাকশ্রমিক। আজ ভোরে ডিউটি শেষ করে সকালে ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আর্মি স্টেডিয়াম ও নৌ বাহিনী সদরদপ্তরের মাঝামাঝি স্থানে বাসটি উল্টে যায়। এতে আহত হয় অনেকে। পরে আমরা খবর পেয়ে আহতদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই।

‘এদের মধ্যে গুরুতর আহত সাতজন শ্রমিককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। তারা এখন চিকিৎসাধীন।’

ঢামেক পুলিশ ক‍্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক জানান, বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের বাস দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের কারও মাথায়, কারও শরীরে এবং পায়ে হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলমান।বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার সময় বাবা-মেয়ে নিহত, আহত মা
রাজশাহীতে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
বাসসের এমডিসহ তিনজনের নামে যুগান্তর সম্পাদকের মামলা
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় দুজন নিহত, আহত ২১
মার্চের ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা

মন্তব্য

p
উপরে