× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
What happened throughout the day around the rally in the capital
google_news print-icon

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

সমাবেশ-ঘিরে-দিনভর-যা-ঘটে-গেল-রাজধানীতে
কোলাজ: নিউজবাংলা
বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে ব্যাপক সংঘর্ষে কাকরাইল, নয়াপল্টন, বিজয়নগর ও সংশ্লিষ্ট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হন। যুবদল নেতা নিহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। সাংবাদিক, পুলিশ, বিএনপি নেতাকর্মীসহ আহত শতাধিক। পুলিশ বক্স, যাত্রীবাহী বাসসহ কমপক্ষে ২০টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের একজন কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। সংঘের্ষে যুবদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পৃথক সমাবেশ ঘিরে সৃষ্ট সংঘাত-সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশ, সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাকর্মীসহ শতাধিক। এ সময় পুলিশ বক্স, যাত্রীবাহী বাসসহ কমপক্ষে ২০টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। রাতেও কয়েকটি জায়গায় বাসে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের জের ধরে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সমাবেশে আসার পথে ঢাকা সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীও একই দিন দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

নিহত পুলিশ সদস্যের নাম মো. পারভেজ। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় শনিবার বিকেল ৪টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ডিএমপির উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহত পুলিশ সদস্য দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় দায়িত্বরত অবস্থায় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়েছিলেন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু হয়। তার মাথায় কোপানো হয়েছে। মারধরে তার ইউনিফর্মও ছিঁড়ে গেছে।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘মৃত অবস্থাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। আমরা ইসিজি করার পর নিশ্চিত হয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেছি।’

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষকালে শামীম মোল্লাহ নামে যুবদলের নেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গনি চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘শামীম মোল্লার বাবার নাম ইউসুফ মোল্লা। তিনি মুগদা থানা যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি। সমাবেশ চলার এক পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় পুলিশ তাকে গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সংলগ্ন পুলিশ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।’

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

তবে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি জিয়াউল হায়দার নিউজবাংলাকে বলেন, নয়াপল্টন মসজিদ গলিতে শামীম পড়ে ছিলেন। তিনি তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন।

‘পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবু বিষয়টি নিয়ে যাতে বিতর্ক না হয় সেজন্য ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সমাবেশের কর্মসূচি থাকায় শনিবার সকাল থেকেই ঢাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইলে দলটির কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ বাধে।

এক পর্যায়ে তা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তা নয়াপল্টন, ফকিরাপুল ও রাজারবাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

সংঘর্ষ চলাকালেই কাকরাইল চার্চের সামনে একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেয়া হয়। কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে পুলিশ, সাংবাদিক এবং বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আহত হন অনেকে।

ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কে এন রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংঘর্ষে মধ্যে আহত প্রায় অর্ধশত পুলিশ সদস্যকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে শনিবার সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন নয়াপল্টনে।

সমাবেশ মঞ্চে বেলা ১১টার পর জাসাসের কর্মীরা সংগীত পরিবেশন শুরু করেন। পরে নির্ধারিত সময়ের আগেই দুপুর পৌনে ১টার দিকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

সংঘর্ষ শুরু যেভাবে

বিএনপির সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয় ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল বক্তব্য দেয়ার সময় কাকরাইল মোড়ের কাছে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল নিক্ষেপের শব্দ শোনা যায়। এ সময় বিএনপির মঞ্চের সামনে থাকা নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে যান। তারা স্লোগান দিতে থাকেন।

এরপর বেলা আড়াইটার দিকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। তার বক্তব্য চলাকালেই পুলিশের একটি দল সাঁজোয়া যানসহ এগিয়ে আসতে থাকে নয়াপল্টনের দিকে। সেখানে টিয়ার শেল ছোড়া হয়।

আমীর খসরুর বক্তব্যের পরপরই সভা মঞ্চের মাইক বন্ধ হয়ে যায় এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা বসে পড়েন।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

এর ১০ মিনিটের ব্যবধানে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের তোপের মুখে পুরো এলাকা নেতাকর্মীশূন্য হয়ে পড়ে। বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নেমে যান মঞ্চ থেকে। আর তখনই সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপি নেতারা মঞ্চ ত্যাগ করার পর সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায় এবং কাকরাইল ও নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। এ সময় ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকেও ইট-পাথর ছোড়া হয়।

বিকেল ৪টার দিকে নয়াপল্টনের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপি কর্মীরা। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারসেল ছুড়তে থাকে। কাঁদানে গ্যাস থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের আগুন জ্বালাতে দেখা যায়।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শনিবার সকালে বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে শান্তিনগর ও কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। সে সময় সড়কে পিকআপ ভ্যানে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা পিকআপ ঘিরে ফেললে লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এরপর উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে কিছুক্ষণ। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুপুরে পুরো পল্টন ও কাকরাইল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনাস্থলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। কাকরাইল চার্চের সামনে একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেয়া হয়। বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি কর্মীরা। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।

এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী একটি বাস ও দুটি পিকআপে হামলা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।

বাস ভাঙচুরের পর দুপুর পৌনে ১টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনের এলাকায় আরেক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি কয়েকটি ব্যানার নিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। কাকরাইল মোড়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এ সময় কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, মগবাজারের দিক থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পিকআপে গুলিস্তানের দিকে যাওয়ার সময় কাকরাইল থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত রাস্তায় আগে থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। এতে পিকআপটি গুলিস্তানের দিকে যেতে পারেনি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষে অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা দেখা যায়। এরপর ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে রাখা একটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

মাঠে নামে বিজিপি

বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে সাতটি পিকআপে করে বিজিবি সদস্যরা কাকরাইল এলাকায় আসেন। এরপর সেখান থেকে হেঁটে তারা নয়াপল্টনের দিকে যান। ওই সময় নয়াপল্টনের দিক থেকে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ছোট ছোট লাঠি হাতে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। বিভিন্ন গলির মুখে অবস্থান নিয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। সড়ক বিভাজনের পাশাপাশি সড়ক লাগোয়া দোকানপাটও ভাংচুর করে তারা।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, মহাসমাবেশ স্থলে দুই প্লাটুন আগে থেকেই মোতায়েন ছিল। দুইটার দিকে আরও দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য সেখানে যায়। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে বিজিবির আরও আট প্লাটুন সদস্য রয়েছে।’

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

বিএনপির হরতালের ডাক

সংঘর্ষের জের ধরে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কাকরাইল মোড়ে সংঘর্ষের জের ধরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি।

শনিবার দুপুরে সমাবেশস্থল থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের এই ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।

এদিকে শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের একই সময়ে বায়তুল মুকাররম এলাকায় সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। আর জামায়াতের নেতাকর্মীরা আরামবাগ এলাকায় জড়ো হন সমাবেশের জন্য।

জামায়াতের দাবি, সমাবেশ চলার সময় আরামবাগ এলাকায় গুলিতে তাদের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। নায়েব আলী শেখ নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে জামায়াত কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘দুপুরে আরামবাগে পুলিশের ব্যারিকেড অতিক্রম করার সময় পুলিশ ছররা গুলি ছুড়লে তার ডান পায়ে গুলি লাগে।’

নায়েব আলীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, ‘আহত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’

সমাবেশ ঘিরে দিনভর যা ঘটে গেল রাজধানীতে

রাতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

এদিকে সকাল থেকে চলা এই সংঘর্ষের জের চলতে থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পরও অন্তত ৫টি গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।

আরও পড়ুন:
সারাদেশে রোববার শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
কাকরাইল মোড়ে বাসে আগুন
গান গেয়ে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা মমতাজের
১০ হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে সমাবেশে শামীম ওসমান
ধোঁয়া দেখে আওয়ামী লীগের সমাবেশে আতঙ্ক, হুড়োহুড়ি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
DMPs 24 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

শিক্ষা
TCBs fair priced products in the capital started selling

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।

ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।

টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।

জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।

দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Two women members of the Dhakkamara Chakra in the capital

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।

তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।

মন্তব্য

শিক্ষা
212 cases in violation of traffic laws in the capital 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

আইসিডিডিআরবির গবেষণা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।

আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ‍যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।

আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।

আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।

এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Arrested two drug dealers with a large amount of Yaba in the capital 

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।

পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Case of traffic law in the capital is 12 12 cases

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ৩,১৯২টি

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ৩,১৯২টি

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

p
উপরে