× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
CHUBBY JOURNALIST BEHIND INQUIRY COMMITTEE
google_news print-icon

চবিতে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা তদন্তে কমিটি

চবিতে-সাংবাদিককে-মারধরের-ঘটনা-তদন্তে-কমিটি
মারধরে আহত মোশাররফ শাহকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়। ফাইল ছবি
শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়াকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. আহসানুল কবীর পলাশকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ ও শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রকিবা নবীকে সদস্য করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশাররফ শাহর ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার রাতে গঠিত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ জানান, মোশাররফ শাহ-এর ওপর বর্বরোচিত হামলা, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান তুষারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাদিকুর রহমান সাগরকে আহত করার পৃথক তিনটি ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়াকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. আহসানুল কবীর পলাশকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ ও শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রকিবা নবীকে সদস্য রাখা হয়েছে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে রোববার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে দ্বিতীয় কলা অনুষদের সামনে হামলার শিকার হন মোশাররফ শাহ।

মোশাররফের ভাষ্যমতে, মারধরকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ও সিএফসি গ্রুপের কর্মী।

তিনি বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম বক্তব্য নেয়ার জন্য। এ সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী আমাকে আটকায়। আমাকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখান থেকে রব হলে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফা মারধর করে।’

তিনি আরও বলেন, “মারধরের সময় নেতা–কর্মীরা পরবর্তীতে আর ছাত্রলীগ নিয়ে প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তারা বলেন, 'আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।”

এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের একাংশের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘আমি এ ঘটনা শুনেছি। খোঁজ খবর নিচ্ছি৷ যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমি ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র গিয়েছি। তাকে চিকিৎসা জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাংবাদিকের ওপর চবি ছাত্রলীগের হামলা এ প্রথম নয়। গত ১৯ জুন রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে চায়ের দোকানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে চবিসাস সদস্য ও ঢাকা স্টেটের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদকে মারধর করেন চবি শাখা ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, উপদপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জুন অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বহিষ্কার হওয়ার পরও ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যাম্পাসে কর্মরত দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে হেনস্থা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনা কেন্দ্র থেকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মারুফ ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন:
কানের পর্দা ফেটে গেছে সাংবাদিক মোশাররফের
অছাত্রদের চবির হল ত্যাগের নির্দেশ
সজ্জন ও সচ্চরিত্রবানদের দিয়ে হবে চবি ছাত্রলীগের কমিটি : ইনান
চবির আরও দুই হলে তল্লাশি, বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
জাবিতে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ছাত্রলীগের বাধা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Kubis cafeteria runs to Mannus happiness

কুবির ক্যাফেটেরিয়া চলে মান্নুর খুশিতে

কুবির ক্যাফেটেরিয়া চলে মান্নুর খুশিতে প্রশাসনের আশ্বাসের পরও শনিবার বন্ধ কুবির ক্যাফেটেরিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
বন্ধ রাখার বিষয় জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মান্নু মজুমদার বলেন, ‘এটা নতুন কি? এটা অনেক আগে থেকে এভাবে পরিচালনা করে আসছি। শনিবারে ক্লাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের খাবারের চাহিদা অনেক কম থাকে। দেশের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখলে লোকসান হয়। তাই আমি শনিবারের বন্ধ রাখি। এ বিষয়ে প্রশাসন অবগত আছে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া নিয়মিত চালু না রাখার অভিযোগ উঠেছে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালকের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের কথা না ভেবে নিজের সুবিধা মতো ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবগত থাকলেও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

কুবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখার বিধান না থাকলেও সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার দুপুরের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত পরিচালক মান্নু ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখেন। এতে বাধ্য হয়ে খাবারের জন্য বাইরের হোটেলগুলোর দিকে ঝুঁকতে হয় শিক্ষার্থীদের।

যার ফলে অতিরিক্ত সময় এবং অর্থ ব্যয় হয় বলে জানান তারা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক সময় উচ্চ মূল্যে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ আছে বাইরের হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে।

এ ছাড়াও পচা, বাসি ও মানহীন খাবার পরিবেশন, পোড়া তেলে পচা মাছ ভাজা, নিম্নমানের চাল, পোকা খাওয়া সবজি ও বাসি তরকারিসহ খাবারের প্লেটে পোকা-মাকড় পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মান্নুর বিরুদ্ধে।

এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফারহান বলেন, ‘ক্যাফেটেরিয়ার নানান সমস্যার বিষয়ে আমরা অনেক আগে থেকে বলে আসছি অথচ এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা যায় না। আমরা বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের উপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে যদি তাদের খেয়াল খুশি মতো ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখে দিনশেষে আমাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শনিবারেও খোলা রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি।’

নিয়মিত ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার খায় এমন আরেক শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কখনো খাবারে চুল, পোকা, বাসি খাবারও পরিবেশন করছে এ ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক। অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবেশ কখনো শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশের অংশ হতে পারে না। যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।’

বন্ধ রাখার বিষয় জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মান্নু মজুমদার বলেন, ‘এটা নতুন কী? এটা অনেক আগে থেকে এভাবে পরিচালনা করে আসছি। শনিবারে ক্লাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের খাবারের চাহিদা অনেক কম থাকে। দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখলে লোকসান হয়। তাই আমি শনিবারের বন্ধ রাখি। এ বিষয়ে প্রশাসন অবগত আছে।’

শনিবারে ক্লাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের চাপ কম থাকলেও পাঁচ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীর একটা অংশ এ ক্যাফেটেরিয়ার উপর নির্ভর করে থাকে। এমতাবস্থায় ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখাটা স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না শিক্ষার্থীরা।

বন্ধের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবগত আছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমি মান্নুকে বলে দিব যেন শনিবারে ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখে।’

এ কথা বলার পরও এ শনিবার আসলেও আগের চিত্র দেখা গেছে, বরাবরের মতই তালা ঝুলছে কুবির ক্যাফেটারিয়া।

মন্তব্য

শিক্ষা
Want to work with everyone with honesty and devotion Job Vice Chancellor

সবাইকে নিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে চাই: জবি উপাচার্য

সবাইকে নিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে চাই: জবি উপাচার্য উপাচার্যের সভাকক্ষে শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নবনিযুক্ত উপাচার্য। ছবি: নিউজবাংলা
অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নানাক্ষেত্রেই সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমি বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত আছি। আমার দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে নিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে চাই। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে (জবি) সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে সবাইকে নিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

উপাচার্যের সভাকক্ষে শনিবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নানাক্ষেত্রেই সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমি বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত আছি। আমার দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে নিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যেতে চাই। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সদ্য প্রয়াত উপাচার্যের অকাল মৃত্যুর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কাজ পিছিয়ে আছে। সেগুলো দ্রুত সময়ে শেষ করে কাজে গতিশীলতা আনার জন্য শনিবারেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকদের ভূমিকা থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষ সাংবাদিক তৈরি করতে আমি সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। যাতে তারা আরও বেশি দক্ষ হয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে পারে।’

উপাচার্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আস সাইফ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে প্রশাসনের সঙ্গে সাংবাদিকরা একযোগে কাজ করে যাবে বলে জানান।

এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মুজাহিদ বিল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউছুব ওসমান, দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, অর্থ সম্পাদক রিদুয়ান ইসলামসহ সংগঠনটির অন্য নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে গাছ, বই ও কলম উপহার দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় অধিশাখার উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ষষ্ঠ ও প্রথম নারী উপাচার্য।

মন্তব্য

শিক্ষা
The principal did not come to see the crack in Muhsin Hall of DU which was enlarged by the earthquake

ভূমিকম্প বড় করেছে ঢাবির মুহসীন হলের ফাটল

ভূমিকম্প বড় করেছে ঢাবির মুহসীন হলের ফাটল ঢাবির মুহসীন হলে ভূমিকম্পে ফাটা দেয়াল। ছবি: নিউজবাংলা
খসে পড়েছে ছাদের বিভিন্ন আস্তরণ, ভেঙে পড়েছে রিডিং রুমের দরজার উপরে থাকা কাঁচের জানালা। তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে কিছু শিক্ষার্থীর হাত-পা ছিলে গেছে। ভয়ে এক শিক্ষার্থী তিনতলা থেকে নিচে লাফ দিয়েছেন।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুভূত হওয়া ৫ দশমিক ৬ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্প ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের দেয়ালের ফাটল বড় করেছে।

খসে পড়েছে ছাদের বিভিন্ন আস্তরণ, ভেঙে পড়েছে রিডিং রুমের দরজার উপরে থাকা কাঁচের জানালা। ভেঙে পড়া এই কাঁচের উপর দিয়ে রিডিং রুম থেকে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে কিছু শিক্ষার্থীর হাত-পা ছিলে গেছে।
ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বাঁচতে একজন শিক্ষার্থী তিন তলা থেকে নিচে লাফ দিয়েছেন। তবে তিনি আহত হননি।

এদিকে এত কিছুর পরও এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিতে হলে আসেননি হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান। এটা আরও বেশি ক্ষুব্ধ করে তুলেছে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো জগন্নাথ হলের অক্টোবর ট্রাজেডি চান না। অবিলম্বে হল সংস্কার বা নতুন হল নির্মাণের দাবি তাদের। একইসঙ্গে তারা শিক্ষার্থীবান্ধব প্রাধ্যক্ষ এবং হাউজ টিউটর চান।

এর আগে ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর প্রাচীন জগন্নাথ হলের একটি আবাসিক ভবনের ছাদ ধসে সংঘটিত হয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারান ৩৯ জন ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি। এরপর থেকেই প্রতি বছর দিনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এটি জগন্নাথ হল ট্রাজেডি নামেও পরিচিত।

আহমেদ উল্লাহ সিয়াম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নতুন করে আর জগন্নাথ হলের মতো মুহসীন হল ট্রাজেডি দেখতে চাই না। প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গবে কবে? কোটি কোটি টাকা অপব্যয় করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বেষ্টিত মল চত্বরকে নষ্ট করা হচ্ছে। অথচ মুহসীন হলের শিক্ষার্থীদের জীবন কখন নাই হয়ে যায় তা বলা মুশকিল। এটা নিয়ে আশ্বাসের পর আশ্বাসই দেয়া হয়েছে। কোনো প্রকার দৃশ্যমান কাজ হয়নি। অথচ শিক্ষকদের, কর্মচারীদের জন্য ভবন তৈরী হলে তা ৬ মাস, ১ বছর, ২ বছরেই দৃশ্যমান হয়।’

তিনি বলেন, ‘এটা প্রকাশ্যে বৈষম্য, অবহেলা। অবিলম্বে বিল পাশ করে মুহসীনসহ সকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিপরীতে নতুন ভবন তৈরী করা হোক। না হয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হোক। কারণ লেখাপড়ার চেয়ে জীবনের দাম অনেক বেশি।’

ফেসবুক আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, হুট করে মুহসীন হল ট্রাজেডিতে একজনকেও হারিয়ে শোক পালন করতে চাই না। সকলে নিরাপদে থাকুক এটা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতেই হবে। এটা আমাদের মৌলিক অধিকার। বাজেট স্বল্পতার অজুহাতে এ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না করা হোক। না হলে কিন্তু ঘাতক প্রশাসনের ঘুম হারাম করে দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তবে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানের দাবি তিনি হলে এসেছেন। কিছু শিক্ষার্থী তাকে নাও দেখতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘আমি এবং হলের হাউজ টিউটররা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে রাত-দিন পরিশ্রম করছি। কোনো ঘটনা ঘটলেই এগুলোর সমাধান করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করি। আজকে ঘটনা ঘটার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়াররা আমার হল পরিদর্শন করেছেন। আমরা তৎপর না হলে কি এতো দ্রুত কেউ রেসপন্স করে?’

হলের প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘আমার হলের যে পলেস্তারা খসে পড়ার ছবি শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে পোস্ট করছে এগুলো অনেক আগের। এগুলো ঠিক করার জন্য কয়েকমাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করেছি। খুব দ্রুত এগুলোর ঠিক করা হবে। আর শিক্ষার্থীদের তাড়াহুড়ো করে বের হওয়ার কারণেই রিডিং রুমের দরজার উপর থাকা কাঁচের জানালা ভেঙে পড়েছে। খুব দ্রুত এগুলোর সংস্কার করা হবে। আমরাও চাই না কোন শিক্ষার্থীর জীবন ঝুঁকিতে থাকুক।’

তবে প্রাধ্যক্ষকের হলে আসার দাবির বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, উনি মিথ্যা কথা বলছে। উনি আসেনি সেটা হান্ড্রেড পারসেন্ট সত্য। হলের একজন নিরাপত্তাকর্মীও জানিয়েছেন তিনি এখন পর্যন্ত হলের প্রাধ্যক্ষকে দেখেননি।

মন্তব্য

শিক্ষা
Kubirs three halls were cracked in the earthquake

ভূমিকম্পে কুবির তিন হলে ফাটল

ভূমিকম্পে কুবির তিন হলে ফাটল ভূমিকম্পে কুবির হলে ফাটল। কোলাজ: নিউজবাংলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানতাম না, আপনার থেকে শুনেছি। যদি স্ট্রাকচারাল কোনো সমস্যা হয় তবে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) তিনটি আবাসিক হলের দেয়ালে ভয়ংকর ফাটল দেখা দিয়েছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, বাংলাদেশের রামগঞ্জের আট কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

ওই সময় কুবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের দেয়ালে ফাটক দেখা দেয়। এ ছাড়াও মেয়েদের শেখ হাসিনা হলের রিডিং রুমেও হালকা ফাটল দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু হলের পাঁচতলার দক্ষিণ পাশের ব্লকের ৫০৪ নম্বর কক্ষের সামনের করিডরের মেঝের দুটি টাইলস উঠে গেছে। একই তলায় নতুন ও পুরাতন ব্লকের সংযোগস্থলের করিডরে ফাটল দেখা গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ২০৪ ও ২০৫ নম্বর কক্ষের মাঝের সংযোগস্থলে পুরো পাঁচতলাব্যাপী ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়া ২০৯ নম্বর কক্ষেও ফাটল দেখা যায়।

এ ছাড়া নজরুল হলের দোতলার ২০৭ নম্বর কক্ষের দেয়ালে, টিভি রুমের সামনের পিলারের সংযোগস্থলে নতুন ফাটল দেখা গেছে। ফয়জুন্নেছা হলের পাঁচতলার ৫১১ নম্বর কক্ষে, ৫০৩ নম্বর কক্ষের ফাটল এবং চারতলার ৪০৩ নম্বর সামনের করিডরে ফাটল দেখা গেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫১৯ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এমরান হোসেন বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় আমরা নিচে নামতে পারিনি। কম্পন থামলে দক্ষিণ ব্লকে পাশাপাশি দুটি টাইলস উপরের দিকে হালকা উঠে থাকতে দেখা যায়।’

কাজী নজরুল ইসলাম হলের ২০৭ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র এহসান বলেন, ‘প্রথমে আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। ঝাঁকুনির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা সবাই দৌড়ে বাইরে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর রুমে এসে দেখি দেয়ালে ছোট-বড় কিছু ফাটল তৈরি হয়েছে।’

নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের আবাসিক ছাত্রী সুমাইয়া চৌধুরী আনিকা বলেন, ‘প্রথমে ছোটোখাটো কম্পন ভেবেছিলাম। ফয়জুন্নেছার পাশে কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য বড় বড় মালবাহী গাড়ি যাওয়াতে মাঝে মাঝে বিল্ডিং হালকা কেঁপে উঠে। পরে বুঝেছি ভূমিকম্প।’

হল প্রভোস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

যোগাযোগের পর বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট সরেজমিনে ফাটলগুলো পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে কথা বলবেন বিষয়টি দেখার জন্য।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানতাম না, আপনার থেকে শুনেছি। যদি স্ট্রাকচারাল কোনো সমস্যা হয় তবে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

‘যদি সত্যিই ভূমিকম্পের কারণে স্ট্রাকচারাল কোনো সমস্যা হয়, তবে তা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। এই বিষয়ে আমরা নিজেরা খোঁজ নিয়ে এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন:
নয় মাসেও কমিটি নেই কুবি ছাত্রলীগের
বিনা ছুটিতে সাত মাস ফ্রান্সে, বরখাস্ত কুবির অফিস সহকারী
৭ শিক্ষক থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ফেরাল কুবি প্রশাসন
কুবির ফটকে তালা ছাত্রদলের
হলি আর্টিজানে হত্যাকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে: হাইকোর্ট

মন্তব্য

শিক্ষা
Nil Dal again leads the DU Teachers Association without elections

বিনা নির্বাচনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে ফের নীলদল

বিনা নির্বাচনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে ফের নীলদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়ে নীল দলের পুরো প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির ২০২৪ সালের কার্যকরি পরিষদের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। ফলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় বিনা নির্বাচনেই জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়ে নীল দলের পুরো প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ইকবাল রউফ মামুন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় ছিল। আমাদের কাছে ১৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। সবই নীল দলের প্রার্থীদের। আর কোনো প্যানেল বা স্বতন্ত্র হিসেবে কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। যেহেতু নীল দলের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না, আমরা তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছি।’

জয়ী হওয়ার ফলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় দায়িত্ব পালন করবেন পুষ্টি ও খাদ্য-বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। এ ছাড়া সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মিজানুর রহমান।

সদস্য হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক ড. নেসার হোসাইন, অধ্যাপক ড. সীমা জামান, অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ এবং অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মোর্শেদ। এই নেতারা আগামী এক বছর শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। দলটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘সাদা দল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি পেশাজীবী সংগঠন। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিশ্বাসী বলে দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফোরামের নির্বাচনে সবসময় অংশ নিয়ে আসছে। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ অনুকূল বলে আমরা মনে করি না।’

লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা চাই না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শিক্ষক সমিতি নির্বাচিত হোক যেটি ভোটাধিকার হরণকারী অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতকে শক্তিশালী করবে।’

আরও পড়ুন:
কক্ষে ডেকে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে
ঢাবির প্রশাসনিক ভবন, মধুর ক্যান্টিন ও ডাকসুতে ছাত্রদলের তালা
রাতভর ছাত্রলীগের পাহারার মধ্যেই ঢাবির বিভিন্ন গেটে ছাত্রদলের তালা

মন্তব্য

শিক্ষা
Drama Exhibition on Social Development at Port City University

পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সামাজিক উন্নয়ন’ বিষয়ক নাটিকা প্রদর্শনী

পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সামাজিক উন্নয়ন’ বিষয়ক নাটিকা প্রদর্শনী চট্টগ্রামে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উন্নয়ন যোগাযোগ কোর্সের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে নাটিকা প্রদর্শন করে। ছবি: নিউজবাংলা
শিক্ষার্থীদের নিজেদের নির্মিত নাটিকা প্রদর্শনী নিয়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কোর্স শিক্ষক দিলরুবা আক্তার বলেন, ‘উন্নয়ন  যোগাযোগ কোর্সের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নাটিকা নির্মাণ করেছে। প্রত্যেকটি নাটিকা আমাদের  সামাজিক উন্নয়য়ের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। প্রদর্শিত নাটিকাগুলোর মাধ্যমে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে তা সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’
চট্টগ্রামে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘সামাজিক উন্নয়ন’ বিষয়ক সচেতনতামূলক নাটিকা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাটিকা প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজেদের নির্মিত নাটিকা প্রদর্শন করেন।
বিভাগের ২৭ তম ব্যাচের উন্নয়ন যোগাযোগ কোর্সের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দিলরুবা আক্তারের তত্বাবধানে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পৃথক তিনটি দল বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার উপর ভিন্ন ভিন্ন তিনটি বিষয়ে নিজেদের নির্মিত নাটিকা প্রদর্শন করেন। তাদের মধ্যে এক দল সাম্প্রতিককালে ছড়িয়ে পড়া অনলাইন জুয়া নিয়ে নির্মিত নাটিকা প্রদর্শন করেন। ওই নাটিকায় অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়া, আসক্তি, ক্ষতিকর দিক এবং ভয়ঙ্কর এ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে পরিত্রাণের উপায় তুলে ধরা হয়।
শিক্ষার্থীদের আরেকটি দল মাদকের ভয়াবহতা ও নারী শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে নির্মিত নাটিকা প্রদর্শন করেন। অন্য দলটি নাটিকা নির্মাণ করেন বর্তমান প্রজন্মের অনলাইন আসক্তি নিয়ে। ওই নাটিকা প্রদর্শনীতে সব বয়সী মানুষের অনলাইন আসক্তি, তার ভয়াবহতা ও সতর্কতার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
শিক্ষার্থীদের নিজেদের নির্মিত নাটিকা প্রদর্শনী নিয়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কোর্স শিক্ষক দিলরুবা আক্তার বলেন, ‘উন্নয়ন যোগাযোগ কোর্সের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নাটিকা নির্মাণ করেছে। প্রত্যেকটি নাটিকা আমাদের সামাজিক উন্নয়য়ের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। প্রদর্শিত নাটিকাগুলোর মাধ্যমে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে তা সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’
‘তাছাড়া এসব নাটিকা তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতার যেমন বিকাশ ঘটবে তেমনে বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে তারাও ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে।’

মন্তব্য

শিক্ষা
Kubirs girls are not behind in sports

ক্রীড়ায় পিছিয়ে নেই কুবির মেয়েরা

ক্রীড়ায় পিছিয়ে নেই কুবির মেয়েরা বর্তমানে কুবির মেয়েরা ক্রিকেট, ভলি বল, ব্যাডমিন্টনের মত বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করছে। ছবি: নিউজবাংলা
ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক বছর সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে ছেলেদের পাশাপাশি খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশের নারীরাও। এখন খেলাধুলায় আমাদের মেয়েরা ভালো করছে। বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে মেয়েরাও খেলাধুলায় উৎসাহিত হয়ে আন্তঃবিভাগ ও হল কেদ্রিক বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহন করছে। ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের মেয়েরাও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সর্বত্তে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের ভূমিকা কোনো অংশেই কম নয়। ক্রীড়া আঙ্গিনায় নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে। অর্থাৎ শঙ্খচিলের মতো বিশ্বের বুকে নিজেদেরকে মেলে ধরেছে নারীরা।

আর এ ক্ষেত্রে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নারী শিক্ষার্থীরাও কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই। পরীক্ষার খাতায় যেমন নিজেদেরকে প্রথম তালিকায় রেখেছেন, ঠিক তেমনি ক্রীড়া আঙ্গিনায় নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছেন কুবির নারী শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উৎসাহী করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। মেয়েদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ আগ্রহী করতে ব্যাডমিন্টন, কারাম, ভলি বল, ক্রিকেট-ফুটবল সহ নানা রকম উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাব।

সম্প্রতি শেখ হাসিনা হল ও নবান ফয়জুন্নেছা হলে নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্টগুলোতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহী করতে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও ক্রীড়া ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করায় ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ দেয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও খেলাধুলায় আগ্রহী হচ্ছে।

ক্রীড়ায় পিছিয়ে নেই কুবির মেয়েরা

মেয়েরা ক্রিকেট, ভলি বল, ব্যাডমিন্টনের মত বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিম আবিদা নৌশিন বলেন, ‘আমরা সাধারণত দেখি মেয়েরা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ কম করে, স্পোর্টস স্কলারশিপ দিয়ে এই আগ্রহের জায়গাটা মেয়েদের মাঝে আরও প্রবল হয়েছে। আশা করা যায় সামনের দিনগুলোয় এই প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। আরও অনেক মেয়ে নিজ প্যাশন থেকে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে চাইবে।’

সম্প্রতি ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ পাওয়া চৈতি চাকমা বলেন, ‘খেলাধুলায় মেয়েদের আগ্রহী করতে বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি ভাইস চ্যান্সেলর স্পোর্টস স্কলারশিপ প্রদানেরও উদ্যোগ নিয়েছেন উপাচার্য তথা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওনার এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা মনে করি।’

ক্রীড়া কমিটির নারী সদস্য রেইজওয়ানা আফরিন রূম্পা বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি শরীরচর্চা ও খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই প্রথম মেয়েদের খেলাধুলার জন্য ক্রীড়া মেধা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সবগুলো বিভাগ থেকে মেয়েদের ডাকা হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি আমাদের ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও খেলাধুলায় এগিয়ে যাক। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আশা করছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও এগিয়ে যাবে।’

ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক বছর সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে ছেলেদের পাশাপাশি খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশের নারীরাও। এখন খেলাধুলায় আমাদের মেয়েরা ভালো করছে। বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে মেয়েরাও খেলাধুলায় উৎসাহিত হয়ে আন্তঃবিভাগ ও হল কেদ্রিক বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহন করছে। ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের মেয়েরাও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

আরও পড়ুন:
কুবির দুই স্কলারশিপের তালিকা স্থগিত
স্ত্রীর অভিযোগে শিক্ষককে ক্লাস-প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষক সংকটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
নয় মাসেও কমিটি নেই কুবি ছাত্রলীগের
বিনা ছুটিতে সাত মাস ফ্রান্সে, বরখাস্ত কুবির অফিস সহকারী

মন্তব্য

p
উপরে