× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Green HR Professionals got a special award in India for making people interested in reading books
google_news print-icon

বই পড়ায় আগ্রহী করায় ভারতে বিশেষ সম্মাননা পেল গ্রীন এইচ আর প্রফেশনালস

বই-পড়ায়-আগ্রহী-করায়-ভারতে-বিশেষ-সম্মাননা-পেল-গ্রীন-এইচ-আর-প্রফেশনালস
আইএসটিডি’র কনফারেন্সে অংশগ্রহণকৃত ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রীন এইচ আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট  রওশন আলি বুলবুল এবং তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।

জ্ঞানভিত্তিক পেশাদারিত্ব, ট্রেনিং এবং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগ, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করার অনন্য কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে গ্রীন এইচ আর বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ট্রেইনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএসটিডি) কলকাতা চ্যাপ্টারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ রিজিওনাল কনফারেন্সে ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ভারতের কলকাতা শহরের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় এই কনফারেন্স।

১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত আইএসটিডি এশিয়ান সাবকন্টিনেন্টে প্রতি বছর বিভিন্ন কনফারেন্স আয়োজন করে আসছে। এ বছরের কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘লেভারেজিং সাসট্যানেবিলিটি থ্র টেকনোলজি ফর এজাইল অরগানাইজেশন”।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।

গ্রীন এইচ আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট রওশন আলি বুলবুল এবং তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।

রওশন আলি বুলবুল বলেন, ‘আমরা বই পড়ার, শেখার ও শেখানোর যে আন্দোলন শুরু করেছি তা আমাদেরকে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে। ভালো কাজ তৃপ্তিদায়ক। আর তার জন্যে স্বীকৃতি পাওয়া আরও বেশি আনন্দের কারণ আমাদের ভালো কাজকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আইএসটিডিকে বিশেষ ধন্যবাদ।"

গ্রীন এইচ আর প্রফেশনালস বাংলাদেশ সংগঠন ছিলো কনফারেন্সের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার।

এতে বাংলদেশ থেকে গ্রীন এইচ আর প্রফেশনালস বাংলাদেশের ১৩ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। সদস্যরা হলেন রওশন আলী বুলবুল, মোহাম্মাদ ইকরাম হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, শোয়েব মাহমুদ রিয়াদ, মো. এমরান হোসেন, মো. মামুনুর রশিদ, রাহিদুল ইসলাম, মোশতারী বেগম, সুজিত কুমার দাস ও ফারজানা কাদের সহ অনেকে।

গ্রীন এইচ আর প্রফেশনালস বাংলাদেশের সদস্যরা ব্যক্তিপর্যায়ে নিজেদের এবং প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধির জন্যে এসব কনফারেন্সে নিয়মিতই অংশ নিয়ে থাকেন। সংগঠনটি ইতিমধ্যে তাদের বিষয়ভিত্তিক সরাসরি পাঠচক্রের ২২৮ তম সপ্তাহ শেষ করেছে।

গ্রীন এইচ আর প্রফেশনালস বাংলাদেশের সদস্যরা ব্যক্তিপর্যায়ে নিজেদের এবং প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধির জন্যে এসব কনফারেন্সে নিয়মিতই অংশ নিয়ে থাকেন। সংগঠনটি ইতিমধ্যে তাদের বিষয়ভিত্তিক সরাসরি পাঠচক্রের ২২৮ তম সপ্তাহ শেষ করেছে।

দুইদিন ব্যাপী এই কনফারেন্সে প্রথমদিন মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রঞ্জন কুমার মহাপাত্র, এক্সেকিউটিভ ডিরেক্টর এন্ড হেড অব ইন্ডিয়ান অয়েল ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোলিয়াম ম্যানেজমেন্ট।

এছাড়াও কনফারেন্সে ৬ টি প্যানেল ডিসকাশন, ১০ টি পেপার প্রেজেনটেশন এবং স্পিরিচুয়ালিটি এন্ড ওয়েলনেস এর উপর ২ টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

প্যানেল আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- ফিউচার অফ ওয়ার্ক, ব্যালেন্সিং অটোমেশন এন্ড হিউমান ক্যাপিটাল, আনলিশিং দি পাওয়ার অফ হিউমান ক্যাপিটাল থ্র এনালাইটিক্স, দি চ্যালেঞ্জ অফ এডুকেটিং দি নেক্সট জেনারেশন অফ লিডার, মার্শালিং কাটিং এজ টেকনোলজি ফর টুমোরোস ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এসব আলোচনায় ২৪ জনের মতো অভিজ্ঞ এইচআর ব্যক্তিত্ব, স্পেশালিষ্ট এবং ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ছিলেন গ্রীন এইচ আর বাংলাদেশের উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেন, প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানি এবং ইউসুফ ইফতি।

মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দিক নির্দেশনা ও তথ্যভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ গ্রীন এইচ আর-এর সদস্যদের অনুপ্রাণিত করেছে যার মাধ্যমে তাঁরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কৌশলগত অবদান রাখতে পারবেন। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান তথা দেশের মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনা আরো এগিয়ে যাবে। গ্রীন এইচ আর বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এই সম্মেলনকে এক অনন্য মাত্রা দিয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Legal action on misinformation about National Curriculum NCTB

জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচারে আইনি ব্যবস্থা: এনসিটিবি

জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচারে আইনি ব্যবস্থা: এনসিটিবি এনসিটিবি ভবন। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়, ‘শিক্ষাক্রমের কোনো ত্রটিবিচ্যুতি থাকলে তা আমাদের জানালে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিমার্জন করব, কিন্তু অপপ্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শিক্ষাক্রমে ত্রুটিবিচ্যুতি থাকলে তা সংশোধন করা হবে জানিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, এ নিয়ে যেকোনো ধরনের অপপ্রচার করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি রোববার এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

এনসিটিবির সচিব নাজমা আখতার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রাক প্রাথমিক হতে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের মানসম্পন্ন শিক্ষা উন্নয়ন ও প্রসারে এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা লক্ষ করছি স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী সম্প্রতি নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনমনে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে বা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পরিপন্থি কাজকে শিক্ষাক্রমের কাজ বলে প্রচার করা হচ্ছে।

‘নবীর ছবি আঁকতে বলা হয়েছে লিখে মিথ্যাচার করছে। হিন্দি গানের সাথে স্কুলের পোশাক পরা কিছু ছেলেমেয়ে ও ব্যক্তির অশ্লীল নাচ আপলোড করে বলা হচ্ছে শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা, যা সর্বৈব মিথ্যা। কিছু লোক ব্যাঙের লাফ বা হাঁসের ডাক দিচ্ছে, এমন ভিডিও আপলোড করে বলা হচ্ছে এটা নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণের অংশ, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। নতুন শিক্ষাক্রমে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়, ‘আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে বিকশিত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে বিপন্ন করার প্রচেষ্টা যারা করছেন, তাদের এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।

‘শিক্ষাক্রমের কোনো ত্রটিবিচ্যুতি থাকলে তা আমাদের জানালে আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিমার্জন করব, কিন্তু অপপ্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমতাবস্থায় সর্বসাধারণকে মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এনসিটিবি অনুরোধ জানাচ্ছে এবং এরূপ মিথ্যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড, শেয়ার বা কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
নবম শ্রেণির তিন বইয়ের ভুল সংশোধন
মাধ্যমিকে ৩ লাখ শিক্ষকের প্রশিক্ষণ
স্কুলে ৪ শ্রেণিতে এবার নতুন শিক্ষাক্রম
স্কুলে নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণ ডিসেম্বরেই
নতুন শিক্ষাক্রমের চূড়ান্ত অনুমোদন

মন্তব্য

শিক্ষা
Helal Uddin from Shahpari Island joined Lakers School and College

লেকার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদান শাহপরীর দ্বীপের হেলাল উদ্দিনের

লেকার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদান শাহপরীর দ্বীপের হেলাল উদ্দিনের লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে মঙ্গলবার সকালে যোগ দেন হেলাল উদ্দিন। ছবি: নিউজবাংলা
হেলাল উদ্দিন শাহপরীর দ্বীপের হাজি বশির আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন। ২০১৩ সালে কক্সবাজার কমার্স কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও ২০১৯ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন।

রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনী পরিচালিত লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মার্কেটিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের হেলাল উদ্দিন।

মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে কলেজে যোগ দেন তিনি। ওই সময় তাকে কলেজের অধ্যক্ষ ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

হেলাল উদ্দিন শাহপরীর দ্বীপের হাজি বশির আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন। ২০১৩ সালে কক্সবাজার কমার্স কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও ২০১৯ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন।

শাহপরীর দ্বীপের ডাংগরপাড়ার প্রয়াত আবদুল মোতালেবের ছেলে হেলাল উদ্দিন।

শিক্ষক হিসেবে যোগদানের বিষয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস যেমন ভালোবাসায় পূর্ণ, তেমনি বিশ্বাসকে সংহত রাখতে আমি কখনোই আপস করিনি। শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সোনার বাংলা গড়ার এই অভিযাত্রায় যুক্ত হওয়ার তীব্র ইচ্ছে আমার এবং আমার পরিবারের।’

হেলালের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত টেকনাফের অনেক বাসিন্দা। তিনি যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছেন, সেখানকার শিক্ষক ফযেজ উল্লাহ বলেন, ‘কলেজের শিক্ষক হওয়া মধুর প্রাপ্তি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সে পেশাদারত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলবে, এ কামনা করি আমরা সবাই।

‘লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে তার এই অগ্রযাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।’

আরও পড়ুন:
শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, যাতায়াত সমস্যায় চবি শিক্ষকরাও
স্ত্রীর অভিযোগে শিক্ষককে ক্লাস-প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মাদারীপুরে মাদ্রাসার ৪ ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ
শিক্ষক সংকটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষকের বেতের আঘাতে শিশুর চোখ নষ্ট, ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

মন্তব্য

শিক্ষা
Digital Lottery Result Released for School Admission

স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ

স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ ফাইল ছবি
মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

লটারির এ অনুষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ফেসবুক পেজ এবং টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

মাউশি থেকে জানা যায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৬৫৮টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর। এই প্রক্রিয়া চলমান ছিল ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

এ প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ৩ হাজার ৮৪৬টি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার নয়টি শূন্য আসনের চাহিদা পাওয়া যায়। শূন্য আসনের বিপরীতে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

আরও পড়ুন:
৫০০ রুপির লটারিতে অটোচালক জিতলেন ২৫ কোটি
কাঁঠাল বেচতে লটারি
আমেরিকায় ভিসার লটারি ভুয়া, তিনজন কারাগারে
সাবধান, আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের লটারির নামে প্রতারণা
দক্ষিণ সিটির তিন মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লটারি

মন্তব্য

শিক্ষা
Girls advance in Rajshahi Board pass and GPA 5
জিপিএ ৫- এ সেরা বগুড়া

রাজশাহী বোর্ডে এগিয়ে মেয়েরা, কমেছে পাস ও জিপিএ ৫

রাজশাহী বোর্ডে এগিয়ে মেয়েরা, কমেছে পাস ও জিপিএ ৫ এ বছরে এইচএসসি পাস করা এক ছাত্রীকে মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার রাজশাহী বোর্ডে মোট পাস করেছে এক লাখ ৮হাজার ৫৮০জন। পাসের হার ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে ছাত্রদের চেয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৫৫ ভাগ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রীর সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৩ জন। আর জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৪৫ জন।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ২৫৮ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি গতবারের চেয়ে কমেছে।

গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিলো ২১ হাজার ৮৫৫জন। এ বছর শতভাগ পাশ করেছে ৩৭ টি কলেজের শিক্ষার্থীরা। শতভাগ ফেল করেছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪টি।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, এবার রাজশাহী বোর্ডে মোট পাস করেছে এক লাখ ৮হাজার ৫৮০জন। পাসের হার ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে ছাত্রদের চেয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৫৫ ভাগ। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রীর সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৩ জন। আর জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৪৫ জন।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় বিভাগের আট জেলায় এবার পরীক্ষার্থী ছিলো ১ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জন। এর মধ্যে পরীক্ষা দেয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯০জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭৩ হাজার ২২৩ জন আর ছাত্রী ৬৫ হাজার ১৬৭জন। বিভাগের আট জেলার ৭৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী ২০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

পাসের হারে এগিয়ে রাজশাহী জেলা, জিপিএ-৫ এ বগুড়া সেরা

পাসের হার বিবেচনায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সেরা হয়েছে রাজশাহী জেলা। তবে জিপিএ -৫ এ রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সবার উপরে আছে বগুড়া জেলা।

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম এসব

তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা যায, রাজশাহী জেলাতে পাস করেছে ২৩ হাজার ৮৫ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৬২৫ জন, পাসের হার ৮৩ দশমিক ৩৯। চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাস করেছে ৭ হাজার ৩৫৯ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪৩১ জন, পাসের হার ৭১ দশমিক ৫৬।

নাটোরে পাস করেছে ৯ হাজার ২৯ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৫৮৪ জন, পাসের হার ৭৮ দশমিক ০৯। নওগাঁয় পাস করেছে ৯ হাজার ৮৬০ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩৯৮ জন, পাসের হার ৭৬ দশমিক ৪৭। পাবনায় পাস করেছে ১৪ হাজার ২৪৩ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১হাজার ৩৭ জন, পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩৩।

সিরাজগঞ্জে পাস করেছে ১৮ হাজার ২৫৪ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১ হাজার ২১৪ জন, পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭৪। বগুড়া জেলায় পাস করেছে ২১ হাজার ৮৭৪ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৬ জন, পাসের হার ৮৩ দশমিক ২৩, জয়পুরহাট জেলায় পাস করেছে ৪ হাজার ৮৭৬ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২৮৩ জন, পাসের হার ৭৩ দশমিক ৮৫।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল: শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
সিলেটে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
দিনাজপুরের ১৬ কলেজে ৪৬ পরীক্ষার্থী, সবাই ফেল
বরিশালে পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৫, এবারও মেয়েরা এগিয়ে
কুমিল্লায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা

মন্তব্য

শিক্ষা
Faridpur HSC exam failure Student commits suicide

ফরিদপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল: শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ফরিদপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল: শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
সদরপুর থানা ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় সাদিয়া আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

রোববার দুপুরে উপজেলা সদর ইউনিয়নের সতারো রশি গ্রামে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাদিয়া আক্তার উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের আলী হোসেনের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সাদিয়া সদরপুর সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরিক্ষা অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে জেনে নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয় সাদিয়া। পরে প্রতিবেশীরা তাকে সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে সদরপুর থানা ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
সিলেটে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
দিনাজপুরের ১৬ কলেজে ৪৬ পরীক্ষার্থী, সবাই ফেল
বরিশালে পাসের হার ৮০ দশমিক ৬৫, এবারও মেয়েরা এগিয়ে
কুমিল্লায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা
এইচএসসিতে পাসের হার কমেছে

মন্তব্য

শিক্ষা
Pass rate and GPA 5 decreased in Sylhet

সিলেটে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

সিলেটে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫ সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল বোববার বিকেলে ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল বলেন, ‘ইংরেজিতে খারাপ করা ও গ্রামাঞ্চলের কলেজগুলো ভালো ফলাফল করতে না পারায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। এ ছাড়া গত তিন বছর সীমিত পরিসরে পরীক্ষা হওয়ায় পাসের হার বেশি ছিলো। এবার সম্পূর্ণ সিলেবাস ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হওয়ায় ফলাফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।’

চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। এবার বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

এ ছাড়া এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮২ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৮৮১ জন। এবার পেয়েছে ১ হাজার ৬৯৯ জন।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল বোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ইংরেজিতে খারাপ করা ও গ্রামাঞ্চলের কলেজগুলো ভালো ফলাফল করতে না পারায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। এ ছাড়া গত তিন বছর সীমিত পরিসরে পরীক্ষা হওয়ায় পাসের হার বেশি ছিলো। এবার সম্পূর্ণ সিলেবাস ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হওয়ায় ফলাফলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। সিলেট ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই মানবিকে পড়ে। অথচ অন্তত ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগে পড়লে শিক্ষার মান অনেক বাড়তো। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ বাড়তো। বিজ্ঞানে শিক্ষার্থী বাড়াতে শিক্ষা বিভাগের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ১২৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৫৯ হাজার ৫৩৬ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৩ হাজার ৯১৬ ছেলে ও ৩৫ হাজার ৬২০ মেয়ে। এর মধ্যে ৮১৯ ছেলে ও ৮৮০ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এবার সিলেটে শতভাগ পাস করেছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে শূন্য পাস নেই কোন প্রতিষ্ঠানেই।

গত বছর এইচএসসিতে সিলেট বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬৬ হাজার ৪৯১ জন। পাস করেছিল ৫৪ হাজার ১৪২ জন। পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর আগের বছর ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।

মন্তব্য

শিক্ষা
All 46 HSC students from 16 colleges in Dinajpur failed

দিনাজপুরের ১৬ কলেজে ৪৬ পরীক্ষার্থী, সবাই ফেল

দিনাজপুরের ১৬ কলেজে ৪৬ পরীক্ষার্থী, সবাই ফেল উত্তর লক্ষিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ফটক। ছবি: নিউজবাংলা
দিনাজপুরে ৬৭১টি কলেজের মধ্যে ১৬টি কলেজের সকলেই অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দিনাজপুরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছর অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার (এইচএসসি) ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে রোববার। এই বোর্ডে ৬৭১টি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১৬টি কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৬ জন। ফলাফলে ১৬টি কলেজের সকলেই অকৃতকার্য হয়েছে।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী এ তথ্য জানান।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে অনুযায়ী, এই শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ৬৭১টি কলেজের মোট ১ লাখ ১২ হাজার ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৮২ হাজার ৫৭৯ জন। এই বোর্ডে পাশের হার ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

তবে, ৬৭১টি কলেজের মধ্যে ১৬টি কলেজের কেউই পাশ করতে পারেনি। এইচএসসি পরীক্ষায় ১৬টি কলেজের মোট ৪৬ জন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন।

কলেজগুলো হলো কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার মোহানগঞ্জ আদর্শ কলেজ (১১ জন), একই জেলার উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল ও কলেজ (৪ জন), রৌমারি উপজেলার দাঁতভাঙ্গা মডেল কলেজ (১ জন), নাগেশ্বরী উপজেলার সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ (১ জন) ও ভুরুঙ্গামারি উপজেলার মেইডাম কলেজ (১ জন), লালমনিহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার বেহলাবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ (৫ জন), একই জেলার আদিতমারি উপজেলার কুমরিরহাট এসসি স্কুল এন্ড কলেজ (২ জন), কালিগঞ্জ উপজেলার দুহুলি এসসি হাই স্কুল ও কলেজ (১ জন), দক্ষিণ ঘানাসিয়াম স্কুল ও কলেজ (১ জন), দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার বেপারিতলা আদর্শ কলেজ (৫ জন) ও ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষিপুর হাই স্কুল ও কলেজ (১ জন), ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়লহাট জনতা স্কুল ও কলেজে (৫ জন), সদর উপজেলার কদমরাসুল হাট স্কুল এন্ড কলেজ (৪ জন) ও পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ আদর্শ কলেজ (১ জন), গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ফকিরহাট মহিলা কলেজ (২ জন), নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গলমুন্ডা আদর্শ কলেজ (১ জন)।

১৬টি কলেজের ফলাফল শূন্যের বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
এইচএসসি ও সমমানে পাস ৭৮.৬৪%
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর
এইচএসসির ফল আজ, জানা যাবে যেভাবে
২৬ নভেম্বর এইচএসসির ফল প্রকাশ
এইচএসসির উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন!

মন্তব্য

p
উপরে