দীর্ঘ ৮ বছর পর আগামী ১৬ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিনেট নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু হাসান বৃহস্পতিবার তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের সাময়িক ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২৪ সেপ্টেম্বর। সাময়িক ভোটার তালিকার ব্যাপারে আপত্তি জমার সময় ২৬ সেপ্টেম্বর। এ ছাড়া চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ২৭ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ২ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৪ অক্টোবর ও বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে ৫ অক্টোবর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ অক্টোবর ও ৯ অক্টোবর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অফিসার ক্লাবে ভোটগ্রহণ হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। দীর্ঘদিন নির্বাচন না হলেও এখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
‘ভোটগ্রহণে যতটুকু প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা নেয়া হবে। নির্বাচনের দিন যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ১৯(১)(জে) ধারা অনুযায়ী সিনেট সদস্য হিসেবে ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়ে থাকে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদ তিন বছর হলেও পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচিত সব সদস্য সিনেটর হিসেবে বহাল থাকেন।
২০১৫ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ জাবির সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছিল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে ফুয়াদ আল খতিবের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চায় পরিবার। শনিবার বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পর হল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সহপাঠিরা।
ফুয়াদ আল খতিবের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামে। তিনি চাপাদহ এতিমখানা দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট আমিনুল ইসলামের ছেলে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন ফুয়াদ। তিনি থাকতেন শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর সিঙ্গেল কক্ষে। তার মাস্টার্সের পরীক্ষা চলছে।
ফুয়াদ আল খতিবের এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ মা-বাবাসহ পুরো পরিবার। তারা ফুয়াদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চান।
ফুয়াদের চাচা গাইবান্ধা শহরের আদর্শ দ্বি-মুখী আলিম মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এরকম একটি আকস্মিক মৃত্যুরে খবরে আমরা হতবিহ্বল অবস্থার মধ্যে আছি। গতকালই (শনিবার) ছেলেটা বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এরপর আমরা ওর মৃত্যুর খবর পাই।’
তিনি জানান, ফুয়াদ শুক্রবার অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা দেয়ার জন্য বাড়িতে এসেছিলেন। পরীক্ষা দিয়ে পরদিন শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
ধোপাডাঙ্গা গ্রামে ফুয়াদের এক বন্ধুর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের চ্যাটিংয়ের বরাত দিয়ে রুহুল আমিন বলেন, ‘ফুয়াদ ওর বন্ধুকে শনিবার রাত ১২টার দিকে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানায় যে ওর প্রাইমারির নিয়োগ পরীক্ষা ভাল হয়েছে। ওই ম্যাসেজ আমি দেখেছি। ফুয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে চ্যাটিং করছিল।’
এক প্রশ্নের জবাবে চাচা রুহুল আমিন বলেন, ‘ফুয়াদ অত্যন্ত নরম ও শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। বাড়িতে আসার পর ওর মাঝে কোনো অস্বাভাবিকতা আমরা দেখিনি। আত্মহত্যা করতে পারে- এমন ঘটনা আছে বলে আমাদের মনে হয় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শুনেছি ওর (ফুয়াদ) মুখ দিয়ে নাকি লালা-রক্ত পড়েছে। শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি না। শুনেছি তদন্ত হচ্ছে। আমরা ওর মৃত্যুর প্রকৃত কারণটা জানতে চাই।’
শনিবার বাড়ি থেকে ফিরে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে মশারি টানিয়ে সিঙ্গেল রুমে ঘুমিয়ে পড়েন ফুয়াদ। আগের দিন জার্নি করে ফেরায় সকালে তার রুমে তাকে কেউ ডাকতে যায়নি। রোববার দুপুর পর্যন্ত ঘুম থেকে না উঠলে পাশের কক্ষের এক বন্ধু ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে তিনি ফুয়াদের শরীর ধরে নাড়া দেন। এ সময় তিনি দেখতে পান যে ফুয়ালের মুখ দিয়ে লালা পড়ছে এবং পুরো শরীর কালো হয়ে গেছে। পরে কয়েক বন্ধু মিলে বিকেল ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় ফুয়াদকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান যে ফুয়াদ কয়েক ঘণ্টা আগেই মারা গেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের (২০২২-২৩ সেশন) শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম সশরীরে শুরুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন হয়।
এসময় শ্রেণী কার্যক্রম সশরীরে শুরুর পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার ও ২০২৩-২৪ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা দ্রুত নেয়ার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগি সামিয়া বলেন, ‘অনলাইনে পাঠদানের কারণে শিক্ষার গুণগত মান নেমে গেছে। নেটওয়ার্কের দুর্ভোগ, ইন্টারনেট খরচ বহন করার সামর্থ্য দেশের সব শিক্ষার্থীর নেই। জাবির নবীনতম শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস শুরু তাদের পড়াশোনার গুণগত মান হারাবে।
‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগে থেকেই বলেছে নতুন ছয়টি হল তৈরি হয়ে গেলে আর গণরুম থাকবে না। দুর্ভাগ্যবশত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীদেরকে এখনও গণরুমে থাকতে হচ্ছে। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের গণরুমের মাধ্যমেই সশরীরে ক্লাস শুরু করতে হয়েছে। আর এখন ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থীদের ছয় মাস ঘরে বসিয়ে রেখে অনলাইনে ক্লাস শুরু করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ ভালো গবেষক তৈরি করা, শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। কিন্তু জাবি প্রশাসন অর্থ উপার্জনের উপায় খোঁজা নিয়েই ব্যস্ত। এই অথর্ব প্রশাসন বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তোড়জোড় করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে। অথচ তারা ভর্তি পরীক্ষার পর ছয় মাস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ঘরে বসিয়ে রেখেছে।’
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অনেক আনন্দ নিয়েই নতুন হলগুলো উদ্বোধন করলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলগুলো এখনও চালু করতে পারেনি। প্রশাসন নিজের স্বার্থের জন্য যেকোনো কাজে যুক্ত হতে পারে। এই প্রশাসনের মাথায় তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে গাছ কেটে নতুন ভবন নির্মাণ করা যায় ও অর্থ লুটপাট করা যায় সে বুদ্ধি আসে। কিন্তু এটা আসে না যে কীভাবে দ্রুততম সময়ে সশরীরে ক্লাস শুরু করা যায়।’
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা অতি দ্রুত গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্বের নেতাদের কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এ ছাড়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবির পাশাপাশি গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আমজাদ আলী বলেন, ‘আজকে যখন বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করার কথা তখন আমরা পালন করছি মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলন। শুধু নিজেদের অধিকার চাওয়ায় গাজায় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করছে ইসরায়েল, কিন্তু বিশ্ব এখন কী করছে?
‘অথচ সর্বদা মানবাধিকারের কথা বলা যুক্তরাষ্ট্র সাপোর্ট করছে ইসরায়েলকে। এই হচ্ছে আমেরিকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার।’
শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘আরব রাষ্ট্র থেকে সম্পদ চুরি করে সেই সম্পদ দিয়ে অস্ত্র তৈরি করে তা বিক্রি করে আমেরিকা যে ত্রাস পুরো পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছে আমরা এর ধিক্কার জানাই। আজকে আমেরিকা গোটা বিশ্বের মানবাধিকার হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রহিম বলেন, ‘১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর যখন জাতিসংঘে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র ঘোষিত হয়েছিল তখন এর মূল ছিল আমেরিকা। কিন্তু আমরা যদি দেখি তারাই এখন মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। জাতিসংঘ যখন যুদ্ধ বন্ধের জন্য দাবি তুলছে তখন আমেরিকা সেখানে ভেটো দিচ্ছে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে এই ধরনের গণহত্যা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আজকে নিষ্ঠুরভাবে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে ১৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩টি রাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘এ পর্যন্ত যাদের হত্যা করা হয়েছে তার ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু। আজকে সেখানে (গাজায়) যারা মানবতার পক্ষে লিখছে, কথা বলছে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।
‘১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের আগে যেমন করে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল ঠিক তেমনি এখন সেখানেও এভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হচ্ছে। আগামী দিনের যারা সম্ভাবনা শিশু ও নারী তাদের হত্যা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী দুটি রাষ্ট্রকেই স্বীকার করে নেয়া হোক অন্যথায় সেখানে কোনোভাবেই শান্তি আসা সম্ভব না। আমরা এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাই পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র যাতে তার অস্তিত্ব ফিরে পায় তার আহ্বান জানাই।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা অতি দ্রুত গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্বের নেতাদের কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এ ছাড়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবির পাশাপাশি গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আমজাদ আলী বলেন, ‘আজকে যখন বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করার কথা তখন আমরা পালন করছি মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলন। শুধু নিজেদের অধিকার চাওয়ায় গাজায় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করছে ইসরায়েল, কিন্তু বিশ্ব এখন কী করছে?
‘অথচ সর্বদা মানবাধিকারের কথা বলা যুক্তরাষ্ট্র সাপোর্ট করছে ইসরায়েলকে। এই হচ্ছে আমেরিকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার।’
শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ‘আরব রাষ্ট্র থেকে সম্পদ চুরি করে সেই সম্পদ দিয়ে অস্ত্র তৈরি করে তা বিক্রি করে আমেরিকা যে ত্রাস পুরো পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছে আমরা এর ধিক্কার জানাই। আজকে আমেরিকা গোটা বিশ্বের মানবাধিকার হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রহিম বলেন, ‘১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর যখন জাতিসংঘে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র ঘোষিত হয়েছিল তখন এর মূল ছিল আমেরিকা। কিন্তু আমরা যদি দেখি তারাই এখন মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। জাতিসংঘ যখন যুদ্ধ বন্ধের জন্য দাবি তুলছে তখন আমেরিকা সেখানে ভেটো দিচ্ছে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে এই ধরনের গণহত্যা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ফিলিস্তিনে আজকে নিষ্ঠুরভাবে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে ১৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩টি রাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘এ পর্যন্ত যাদের হত্যা করা হয়েছে তার ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু। আজকে সেখানে (গাজায়) যারা মানবতার পক্ষে লিখছে, কথা বলছে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।
‘১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের আগে যেমন করে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল ঠিক তেমনি এখন সেখানেও এভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হচ্ছে। আগামী দিনের যারা সম্ভাবনা শিশু ও নারী তাদের হত্যা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী দুটি রাষ্ট্রকেই স্বীকার করে নেয়া হোক অন্যথায় সেখানে কোনোভাবেই শান্তি আসা সম্ভব না। আমরা এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাই পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র যাতে তার অস্তিত্ব ফিরে পায় তার আহ্বান জানাই।’
বাংলার শীত সংস্কৃতিকে উদযাপনের মাধ্যমে শীতের কুয়াশাকে বরণ করে নিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বরাবরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ উৎসব অনুরাগী বিভিন্ন পেশার মানুষের সার্বিক অংশগ্রহণে আগামী ১০ ও ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হচ্ছে কুয়াশা উৎসব-১৪৩০।
উৎসব-বন্ধু নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবারও উৎসব-বন্ধুদের অর্থায়নে আয়োজন করা হচ্ছে ভিন্নধর্মী এই উৎসব।
মৈমনসিংহ গীতিকার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এবারের কুয়াশা উৎসব-১৪৩০ উৎসর্গ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনুষ্ঠানের আয়োজনে সংশ্লিষ্টরা।
এ আয়োজনের প্রথমদিন থেকেই থাকছে চিত্রকলা, চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী; রাগ সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, আবৃত্তি, সাহিত্য আলোচনা, রম্য বিতর্ক, নাট্য ও নৃত্য পরিবেশনা, রস উৎসব, পিঠা পার্বণ, পালাসহ আরও নানা আয়োজন।
উৎসবের দুই দিন গান পরিবেশন করতে আসছে ব্যান্ড দল সহজিয়া, মাদল, গঞ্জে ফেরেশতা। এছাড়াও গান পরিবেশন করবে মুয়ীয মাহফুজ ও কফিল আহমেদ।
কুয়াশা উৎসব আয়োজকরা যেমন বাংলার লোক সংস্কৃতিতে শীতের প্রভাবকে উদযাপন করে, তেমনি সংস্কৃতির বিবর্তন আর ভিন্নতার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চান। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংস্কৃতির প্রাণশক্তিকে আহ্বান জানিয়ে এবারের কুয়াশা উৎসবের স্লোগান- হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নতুন সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আগামী দুই বছরের জন্য তাকে মনোনীত করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত শনিবারের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৮০ (সংশোধিত আইন- ২০১০)-এর ১৯ (১) (চ) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও ১৯ (১) (ঙ) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক কামরুন্নাহার এবং ১৯ (২) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হাবিবুর রহমানকে মনোনীত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নতুন সিন্ডিকেট সদস্য ও ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে যে দায়িত্ব প্রদান করেছেন, সে জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন:ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিনা বিচারে প্রায় ১৫ মাস কারাগারে আটক থাকার পর চলতি বছরের ২০ নভেম্বর মুক্তি পান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা।
কারামুক্ত হলেও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকটা কষ্টেই দিন পার করছেন তিনি। এখনও ঠিক হয়নি মানসিক অবস্থাও, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে নিয়মিত হয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে শিক্ষকরাও দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাস।
খাদিজার পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন কারাভোগের ফলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন খাদিজা। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই কিডনিতে পাথরসহ মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। কারামুক্তির পর দফায় দফায় ডাক্তার দেখানোর পর চিকিৎসা চললেও এখনও শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। তবে খাদিজাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ করে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।
তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে উন্নত চিকিৎসাসহ মানসিকভাবে শক্ত করে তোলার প্রয়াস চালাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে খাদিজার বড় বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, ‘খাদিজার কিডনিতে পাথর হয়েছে। সে শারীরিকভাবে এখনও অনেক অসুস্থ। আমরা ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা চালাচ্ছি। মানসিকভাবেও সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছি।’
খাদিজার সহপাঠী ও বন্ধুরা জানান, কারামুক্তির দিনই সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় বসেছিলেন খাদিজা। এর পর দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের সব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তার তাত্ত্বিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পড়াশোনাসহ সব বিষয়েই খাদিজাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
স্বাভাবিক পরিবেশ গড়ে তুলে খাদিজাকে মানসিকভাবে শক্ত করে তুলতেও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
খাদিজার বান্ধবি নাসরিন নাইমা বলেন, ‘খাদিজা এখন দ্বিতীয় বর্ষের সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছে আর আমরা তৃতীয় বর্ষে আছি। আমাদের সব বন্ধুরাই তাকে সহযোগিতা করছে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বই, শিটগুলো সংগ্রহ করে দিচ্ছি। আমরা তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয়ারও চেষ্টা করছি।’
এদিকে বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও খাদিজাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন সমস্যাসহ যেকোনো প্রয়োজনে খাদিজার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। খাদিজার স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে বিভাগের পক্ষ থেকে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান শিক্ষকরা।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর বলেন, ‘খাদিজা সবগুলো পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তার বাকি থাকা মিডটার্ম পরীক্ষাগুলো নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাকে শিক্ষকরা যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করছেন।’
অনলাইনে সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রচার ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় আলাদা দুটি মামলা করে পুলিশ।
২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। এর পর থেকে কারাগারে ছিলেন খাদিজা।
দীর্ঘ ১৫ মাস কারাভোগের পর ২০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।
আরও পড়ুন:সেলফি পরিবহনের বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের ৪০ ব্যাচের সাবেক এক ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবহনটির ২০টি বাস আটক করেছেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডের সামনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে জাবির ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুপুর ১২টা থেকে বাস আটক শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম রুবেল পারভেজ। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায়।
রুবেল মানিকগঞ্জের ঝিটকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার (এমটিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্ত্রী ফারজানা, মেয়ে ফারিহা আর মাকে নিয়ে ধামরাইয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রুবেলের মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে তার বন্ধু ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেলফি পরিবহনের বাস আটক করতে শুরু করেন।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী পারভেজকে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে সেলফি পরিবহনের বাস। এই পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মহাসড়কে চলাচল করে। প্রতিনিয়ত তারা মানুষের তাজা প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।
‘আমরা এই মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে চাই। পরিবহন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে বাসগুলো ছাড়া হবে না।’
নিহত রুবেলের বন্ধু তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এসএসসি পাসের পরই ওর বাবা মারা যায়। কলেজ জীবন থেকেই ধামরাইয়ে ভাড়া বাসায় থাকত। ধামরাই সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ছেলেটা সারা জীবন সংগ্রাম করেছে।
‘এখন বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও নিজের পরিবারের জন্য সে কিছু করার সুযোগ পেল না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রনি হোসাইন বলেন, ‘পুলিশ নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। মালিকপক্ষ যেন নিহত রুবেলের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয় এবং সেলফি পরিবহনের লাইসেন্স বাতিল করে, সে বিষয়ে আমরা হাইওয়ে থানা পুলিশের সাথে কথা বলেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবু হাসান বলেন, ‘সেলফি পরিবহনের বাসটি রেখে এর চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য