× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
None of the 31 categories in EB have international standards
google_news print-icon

ইবিতে ৩১টি বিভাগেরই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নেই

ইবিতে-৩১টি-বিভাগেরই-আন্তর্জাতিক-মানদণ্ড-নেই-
কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা মোটেও কাম্য নয়। আমি আসার পর এমনও দেখেছি যে দুই বছর পর্যন্ত বিভাগে শিক্ষকই নেই। এতো বাধার ভেতরে আমি কেমন করে কী করবো?’

বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের ন্যূনতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। অথচ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩৬টি বিভাগের মধ্যে ৩১টিই এই মানদণ্ড অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

সবশেষ পরিসংখ্যানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ হাজার ৯৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৪০৫ জন শিক্ষক। এই সমীকরণে প্রতি ৩৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এর আগে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে এই অনুপাত ছিলো ১:৪১। তা থেকে কিছুটা উত্তরণ ঘটলেও তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড থেকে এখনও অনেক দূরে।

সরেজমিনে বিভাগগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, মোট ৪০৫ জন শিক্ষকের মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জনেরও বেশি শিক্ষক আছেন শিক্ষা ছুটিতে। এছাড়া শিক্ষাছুটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও ১০ জনের বেশি শিক্ষকের।

তুলনামূলকভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এই অনুপাত কম থাকায় ক্লাস, পরীক্ষা, গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিভাগে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর ফলে অধিকাংশ বিভাগেই শিক্ষার্থীরা সেশনজটের কবলে পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইবির মোট ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগ ও একটি ইনস্টিটিউট রয়েছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সমাজকর্ম বিভাগ। এ বিভাগে ৫টি শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত ৩৮৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন মাত্র ৩ জন সহকারী অধ্যাপক। সে হিসাবে এই বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১:১২৯।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে একই অনুষদের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ। বিভাগের ৬টি শিক্ষাবর্ষের ৪৪৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন মাত্র ৪ জন শিক্ষক। বর্তমানে এই বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১১২।

এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে আইন অনুষদভুক্ত ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগটি।

স্নাতকোত্তরসহ ৫টি শিক্ষাবর্ষের মোট ৪৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য এখানে আছেন মাত্র ৪ জন শিক্ষক। তাদের একজন আবার শিক্ষা ছুটিতে আছেন। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বর্তমান অনুপাত ১:১১০।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগটির অবস্থান চার নম্বরে। বিভাগে ৫টি শিক্ষাবর্ষের ৩৯৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য আছেন ৪ সহকারী অধ্যাপক। বর্তমান অনুপাত ১:৯৯।

তবে যৌথভাবে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। তাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৯৮।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৬টি শিক্ষাবর্ষের ৪৯১ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৫টি শিক্ষাবর্ষের ৩৯১ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৩ জন সহকারী অধ্যাপক ও ১ জন প্রভাষক।

পরের অবস্থানে রয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত মার্কেটিং বিভাগটি। চলমান ৬টি শিক্ষাবর্ষের ৪৭২ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। বর্তমান অনুপাত ১:৯৪।

সাত নম্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ১:৭৭ অনুপাত নিয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের মোট ৩৮৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৪ জন শিক্ষক।

ঠিক পরের অবস্থানেই ১:৭২ অনুপাত নিয়ে আছে ফার্মেসি বিভাগটি। পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের ২৮৬ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে থাকেন ৪ জন শিক্ষক। তবে দুজন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ছুটিতে আছেন।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগটির সার্বিক চিত্রও সন্তোষজনক নয়। স্নাতকোত্তরসহ ৬টি শিক্ষাবর্ষের ৪৯৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৭ জন। বর্তমান অনুপাত ১:৭১।

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটির সারচিত্রও বলতে গেলে একই। চলমান ৫টি শিক্ষাবর্ষের ২৬৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র ৪ জন। আনুপাতিক হিসাবে ১:৬৭। জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ৫টি শিক্ষাবর্ষের ২৫৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৪ সহযোগী অধ্যাপক। তাদের মাঝে একজন আছেন শিক্ষা ছুটিতে। বর্তমান অনুপাত ১:৬৫।

এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ৩২ জন শিক্ষার্থীর জন্য নিজস্ব কোনো শিক্ষকই নেই। অন্য বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দুই কর্মকর্তা পরিচালনা করছেন ক্লাস কার্যক্রম।

চারুকলা বিভাগের ৩টি শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত ৯২ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন নিজস্ব ৪ জন শিক্ষক। বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইংরেজি বিভাগের একজন অধ্যাপক। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২৩।

একই চিত্র বিরাজমান কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া স্বয়ং সভাপতি হিসেবে পালন করছেন অতিরিক্ত দায়িত্ব। এ বিভাগের ২টি শিক্ষাবর্ষের ৬৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য আছেন মাত্র ২জন প্রভাষক। ফলে সমীকরণ দাঁড়িয়েছে ১:৩১।

এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে পিছিয়ে রয়েছে ইবির আরও ১৭ টি বিভাগ। সেগুলোর মধ্যে আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ (১:৫৪), লোকপ্রশাসন (১:৪১), আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ (১:৩৫), আইন (১:৩৪), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (১:৩৪), আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ (১:৩৩), অর্থনীতি (১:৩৩) এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগ (১:৩২) অন্যতম।

শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল (১:১৫), ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক (১:১৬), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (১:১৯), ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (১:১৯) এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (১:১৯)।

শিক্ষক সংকটে ভোগা এসব বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষার সমস্যাটি বরাবরের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সেশন জটের কবলে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না শিক্ষাবর্ষ।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতিক হার অধিক হওয়ায় মানসম্মত শিক্ষা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। এটা আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে বৈশ্বিক অঙ্গনেও বেশ পিছিয়ে আছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, প্রতিষ্ঠাকাল হিসাবে ইবি অনেক পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় হলেও শিক্ষার মান ও ভৌগোলিক অবস্থানে বরাবরই পিছিয়ে। শিক্ষক স্বল্পতা এই ঘাটতিকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে।

এ বিষয়ে ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আক্তার আশা বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতটা অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত হওয়া উচিত। তবে মানসম্মত শিক্ষাটা একাডেমিক কো-অর্ডিনেশন দক্ষতার ওপরও নির্ভর করে। বর্তমানে আমাদের বিভাগে কোনো ধরনের সেশন জট নেই। তবে আমাদের বিভাগে আইন এবং আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকরা ক্লাস নিয়ে থাকেন। আমরা চাই আমাদের নিজস্ব শিক্ষক। আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম আরও সুন্দর হোক।’

সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শ্যাম সুন্দর সরকার বলেন, ‘মানসম্মত গ্র্যাজুয়েট তৈরির পূর্বশর্ত হলো একটি বিভাগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক, ক্লাসরুম, সমৃদ্ধ সেমিনার ও লাইব্রেরি থাকা। আমারও এই একই প্রত্যাশা। আমাদের অবশ্যই আরও শিক্ষক দরকার। প্রশাসন বলেছে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে নিশ্চিতভাবে কিছু বলেনি। বিষয়টি এখন আমাদের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মতো অনেক বিভাগ রয়েছে যাদের শিক্ষক প্রয়োজন।’

শিক্ষক সংকটের বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা মোটেও কাম্য নয়। আমি আসার পর এমনও দেখেছি যে দুই বছর পর্যন্ত বিভাগে শিক্ষক নেই। এতো বাধার ভেতরে আমি কেমন করে কী করবো? কেউ দেখাতে পারবে না আমার কাছে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো একটি ফাইল দুই ঘণ্টাও পড়ে ছিল। যদি দেখাতে পারে তাহলে আমি জবাবটি আরও ভালো দিতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে বিভাগগুলোই শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফার্মেসির মতো বিভাগ দুজন সহকারী অধ্যাপক দিয়ে চলছে। তবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দেখা যাক কী হয়। এরপর থেকে যেখানে খালি সেখানে শিক্ষক দেয়ার চেষ্টা করব।’

আরও পড়ুন:
ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবি’র ৫ ছাত্রী স্থায়ী বহিষ্কার
ইবি’তে ব্যাংক কর্মকর্তার গলায় ছুরি বসিয়ে দিল নারী
ইবির চিকিৎসা কেন্দ্রে ৮০ টাকায় করানো যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ইবিতে প্রতি সোমবার অনলাইন ক্লাস
ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির ৫ ছাত্রীকে যথাযথ সাজা দেয়ার নির্দেশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Zabirs fifth treasurer is Professor Humayun Kabir

জবির পঞ্চম কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুমায়ূন কবির

জবির পঞ্চম কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক হুমায়ূন কবির অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবির। ছবি: নিউজবাংলা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মঙ্গলবার এ নিয়োগ দেয়া হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পঞ্চম কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবির। তিনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মঙ্গলবার এ নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ১২ (১) ধারা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীকে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হলো।

আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ধারা ১২-এর উপধারা ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ অনুসারে তিনি ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করবেন। ট্রেজারার পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর জারিকৃত ২৬৭ নম্বর প্রজ্ঞাপন অনুসারে ট্রেজারার পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ অর্থ সম্মানী হিসেবে পাবেন।

এ ছাড়াও বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিকম (অনার্স) এবং এমকম মার্কেটিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি জাপানের ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ভোক্তা আচরণে মার্কেটিংয়ে এমবিএ এবং পিএইচডি করেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ তার মেয়াদ শেষ করেন।

আরও পড়ুন:
মেঘনা গ্রুপে জবির মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর’
জবির সেই খাদিজার জামিন, মুক্তিতে নেই বাধা
সংবাদ প্রকাশের পর জবি শিক্ষার্থীদের আইডি দিতে তোড়জোড়
আড়াই মাসেও পরিচয়পত্র পাননি জবি শিক্ষার্থীরা
উপাচার্যের মৃত্যুতে জবিতে তিন দিনের শোক, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

মন্তব্য

শিক্ষা
Kubi student Yadav got a job in Amazon

অ্যামাজনে চাকরি পেলেন কুবি ছাত্র যাদব

অ্যামাজনে চাকরি পেলেন কুবি ছাত্র যাদব
যাদব সূত্রধর। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীর সাফল্যে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এ রকম সাফল্য প্রতিটি শিক্ষকের নিকট সবচেয়ে বড় পাওয়া।’

বিশ্বের বৃহত্তম ইকমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি পেয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের যাদব সূত্রধর।

চাকরি পাওয়ার বিষয়টি তিনি মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন।

যাদব সূত্রধর কুবির ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেটে অবস্থিত অ্যামাজনের হেড কোয়ার্টারে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

চাকরির পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাহারিসি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ডিস্টেন্স এডুকেশনে প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। এর আগে তিনি বাংলাদেশের একটি কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ছিলেন।

অ্যামাজনে চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে যাদব সূত্রধর বলেন, ‘সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অ্যামাজনে নিয়োগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অ্যামাজনের নির্বাচন প্রক্রিয়া কঠিন ছিল, তবে সফল হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক ও পেশাগত অভিজ্ঞতা অ্যামাজনে চাকরি পেতে সহায়তা করেছে। আজকের এ পর্যায়ে আসতে পেরে আমার মেন্টর, সহযোগী এবং শিক্ষামূলক পৃষ্ঠভূমির প্রতি অসীম কৃতজ্ঞ।’

শিক্ষার্থীর সাফল্যে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এ রকম সাফল্য প্রতিটি শিক্ষকের নিকট সবচেয়ে বড় পাওয়া। শিক্ষকদের সঠিক পাঠদান ও গাইডলাইনে এ অর্জন সম্ভব। সারা বিশ্বে মেধার দক্ষতা দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরছে আমাদের শিক্ষার্থীরা।’

আরও পড়ুন:
কুবির ক্যাফেটেরিয়া চলে মান্নুর খুশিতে
ভূমিকম্পে কুবির তিন হলে ফাটল
সাদা ইঁদুরে বাড়তি আয় কুবির দুই কর্মচারীর
ক্রীড়ায় পিছিয়ে নেই কুবির মেয়েরা
কুবির দুই স্কলারশিপের তালিকা স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
Seminar at AIUB on Challenges of Online Journalism

অনলাইন সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ বিষয়ে এআইইউবিতে সেমিনার

অনলাইন সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ বিষয়ে এআইইউবিতে সেমিনার
সেমিনারে ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে মাল্টিটাস্কিং শেখার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন আর আগের মতো শুধু রিপোর্টিং, এডিটিং বা শুধু ক্যামেরার কাজ জানাটা যথেষ্ট নয়। আজকের যুগের সাংবাদিকদেরকে এগুলো সবই একসঙ্গে জানতে হবে। নইলে, অনলাইনের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।’

সাংবাদিকতায় বৈশ্বিক ও দেশীয় প্রবণতা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোকে মোকাবিলা করার উপায় নিয়ে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে (এআইইউবি) একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ‘দ্য ট্রেন্ডস অব কনটেম্পরারি জার্নালিজম: লোকাল গ্লোবাল ইন্টারঅ্যাকশন’ শীর্ষক শিরোনামের এ সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগ।

সেমিনারের মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- এআইইউবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম এবং মিডিয়া ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাসুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা সোমা।

গণমাধ্যমের ওপর প্রযুক্তির প্রভাবের গুরুত্ব তুলে ধরে এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এ পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে। এজন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে নতুন নতুন প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

সেমিনারের বক্তা কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী মিডিয়ার রূপান্তর এবং সাংবাদিকদের নতুন দক্ষতা বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ধীরে ধীরে দর্শক এবং পাঠকের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ মিডিয়া, মাল্টিমিডিয়া স্টোরি টেলিং এবং ডিজিটাল স্টোরি টেলিং এখন জায়গা করে নিচ্ছে।

ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন শিল্পে প্রযুক্তি কীভাবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে- সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে মাল্টিটাস্কিং শেখার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন আর আগের মতো শুধু রিপোর্টিং, এডিটিং বা শুধু ক্যামেরার কাজ জানাটা যথেষ্ট নয়। আজকের যুগের সাংবাদিকদেরকে এগুলো সবই একসঙ্গে জানতে হবে। নইলে, অনলাইনের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।’

আরও পড়ুন:
‘বাণিজ্য বাদেও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব রাখতে মরিয়া চীন’

মন্তব্য

শিক্ষা
DU admission fee increased by Tk 50 application starts on 18 December

ঢাবিতে ভর্তি ফি বাড়ল ৫০ টাকা, আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর

ঢাবিতে ভর্তি ফি বাড়ল ৫০ টাকা, আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ মার্চ এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। আবেদনের শেষ সময় ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এ ছাড়া গতবারের চেয়ে ৫০ টাকা বাড়িয়ে এবার আবেদন ফি করা হয়েছে ১০৫০ টাকা।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটে ভর্তির তারিখও চূড়ান্ত করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক এ.এস.এম মাকসুদ কামাল সভার সভাপতিত্ব করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট; বিজ্ঞান ইউনিট; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিট।

সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ মার্চ এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

সকল ইউনিটের পরীক্ষা সকাল এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ইউনিট ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রসমূহ হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।

ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২১ সন পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৩ সনের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য এ যোগ্যতা ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং চারুকলা ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
Bus drivers attack Victoria College students

ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর বাসচালকদের হামলা

ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর বাসচালকদের হামলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
আহত ১৫ ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কারো মাথা ফাটা, কারো শরীরে কোপের চিহ্ন দেখা গেছে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদের শাসনগাছা বাস টার্মিনালের চালক ও হেলপারদের বিরুদ্ধে ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে৷ এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় শাসনগাছা বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ১৫ ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কারো মাথা ফাটা, কারো শরীরে কোপের চিহ্ন দেখা গেছে।

আহতরা হলেন- পরিসংখ্যান দ্বিতীয়বর্ষের শাকিল, রসায়ন তৃতীয়বর্ষের হাসান ও আরাফাত, বাংলা বিভাগের চতুর্থবর্ষের হাবিব, অর্থনীতি বিভাগের প্রথমবর্ষের ইমরান, ইসলামের ইতিহাস তৃতীয়বর্ষের কাহহার, গণিত চতুর্থবর্ষের রতন, রাষ্টবিজ্ঞান চতুর্থবর্ষের জামশেদ, ব্যবস্থাপনা দ্বিতীয়বর্ষের আরমান, অর্থনীতি চতুর্থ বর্ষের নিলয়, রাষ্টবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের সাকিব এবং রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সানি।

আহত আব্দুল কাহহার জানান, সোমবার বিকেলে রাস্তা পারাপারের সময় তাকে বাস চাপা দেয়। এতে তিনি আহত হয়ে চালককে সাবধানে গাড়ি চালাতে বলেন। এ সময় সঙ্গে থাকা অপর ছাত্ররা তর্কে জড়িয়ে পড়েন বাসচালক ও হেলপাররা। এ সময় ওই দুই ছাত্রকে বাস স্ট্যান্ডে আটকে রাখে চালক ও হেলপাররা।

পরে আটকে থাকা ছাত্ররা সহপাঠীদের জানালে সহপাঠীরা তাদের উদ্ধার করতে যান। এদিকে বাস চালক ও হেলপাররা ছাত্রদের প্রতিহত করতে রাস্তায় দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে অবস্থান নেয়। ছাত্ররা বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে আহত ছাত্রদের আনতে গেলে অতর্কিত হামলা করে বাসের চালক ও হেলপাররা।

সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, আহত ৯ ছাত্র কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে বর্তমানে সেবা নিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি। পাশেরর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ৫ জন।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ উপাধক্ষ্য মৃণাল কান্তি গোস্বামী বলেন, ‘আমাদের ১৫ ছাত্রের চিকিৎসা চলছে। একজনের মাথায় ১২টি সেলায় লেগেছে। কেউ হাতে, কেউ বা পায়ে মারাত্মক ব্যাথা পেয়েছে।’

কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন জানান, ঘটনা শুনে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।

মন্তব্য

শিক্ষা
Accountability practices are essential for sustainable corporate interests

টেকসই করপোরেটের স্বার্থে জবাবদিহিতার অনুশীলন আবশ্যক

টেকসই করপোরেটের স্বার্থে জবাবদিহিতার অনুশীলন আবশ্যক আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে প্রধান অতিথি সিইউবির বোর্ড অফ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা
সেমিনারে বক্তারা করপোরেট টেকসই এবং জবাবদিহিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। যেখানে ক্যাপিটাল মার্কেট, করপোরেট গভর্ন্যান্স, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশগত দায়বদ্ধতা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর তথ্য ও উপদেশ তাদের বক্তব্যে উঠে আসে।

টেকসই করপোরেট নিশ্চিত করার স্বার্থে জবাবদিহিতার অনুশীলন এবং অন্তযোগাযোগ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার বিকেল ৩টায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) অডিটোরিয়ামে ‘টেকসই করপোরেট ও জবাবদিহিতা অনুশীলন’বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ মতামত দেন। সেমিনারটি সিইউবি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটন ও সিইউবির বিশিষ্ট শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইউবির বোর্ড অফ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। সভাপতিত্ব করেন সিইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গিয়াস ইউ আহসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত সেমিনারে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজকের এত সুন্দর এই আয়োজনের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই ডিএসই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটনের সিনিয়র লেকচারার ড. আইনুল ইসলাম ও ড. ইয়িনকা মোসেসসহ উপস্থিত সম্মানিত অতিথিদের।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই অংশগ্রহণ এবং মূল্যবান বক্তব্য উপস্থিত লেকচারার ও শিক্ষার্থীদের অবশ্যই টেকসই করপোরেট ও জবাবদিহিতা অনুশীলনের জন্য দারুণ ভূমিকা রাখবে। গ্লোবালাইজেশনের এ যুগে এমন আয়োজন সত্যি একে অন্যের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তসম্পর্কগুলোও বৃদ্ধি করবে। এমন সেমিনারের ফলে আপনাদের দক্ষতা এবং জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এ খাতে টেকসই উন্নয়নও করানো সম্ভব হবে।’

টেকসই করপোরেটের স্বার্থে জবাবদিহিতার অনুশীলন আবশ্যক
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিএসই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড.এ টি এম তারিকুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটনের সিনিয়র লেকচারার ড. আইনুল ইসলাম ও ড. ইয়িনকা মোসেস, অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক মামুন, পিএইচডি, প্রধান পরামর্শক, বোর্ড অফ ট্রাস্টি; এম নাসির উদ্দিন, পিএইচডি, অধ্যাপক/গবেষণা পরিচালক, এনআইসিইউ ফেলোশিপ, টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি।

সেমিনারে বক্তারা করপোরেট টেকসই এবং জবাবদিহিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। যেখানে ক্যাপিটাল মার্কেট, করপোরেট গভর্ন্যান্স, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশগত দায়বদ্ধতা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর তথ্য ও উপদেশ তাদের বক্তব্যে উঠে আসে।

বক্তারা বলেন, ‘টেকসই করপোরেট কালচারের সঙ্গে টেকসই উন্নয়নও সম্পৃক্ত। আর উন্নয়ন মানে একটি দেশের জিডিপিতে অবদান রাখা এবং সেই দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়া। একেকটি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট, মডার্ন, এডুকেটেড, ভিশনারি, প্রো-অ্যাকটিভ- এককথায় সুযোগ্য কর্মীবাহিনী দিয়ে সাজাতে ও তাদের ধরে রাখতে হলে কোম্পানিকেই সবার আগে উদ্যোগী হতে হবে। ফলে টেকসই করপোরেট চর্চা লাগবে।’

তারা আরও বলেন, ‘করপোরেট কালচার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে। এটি কোনো আইন পাস বা অফিস অর্ডার ইম্পোজ করার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় না। করপোরেট কালচারের অন্যতম বিষয় হলো প্রফেশনালিজম। বিজনেস গ্রোথ তো প্রতিষ্ঠান অবশ্যই চায়, কিন্তু সাসটেইনেবল গ্রোথ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। যার ফলে অবশ্যই টেকসই করপোরেট চর্চাটা লাগবে।’

সেমিনারে উঠে আসা মূল বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য টেকসই করপোরেট এবং জবাবদিহিতা কেবল সাধারণ শব্দ নয়, বরং একটি সমৃদ্ধ জাতির অপরিহার্য উপাদান। টেকসই অনুশীলন গ্রহণ করে এবং নৈতিক মান বজায় রেখে যে কোনো প্রতিষ্ঠান সবার জন্য আরও সমৃদ্ধ এবং ন্যায়পরায়ণ ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে বলে উপস্থিত বক্তারা মন্তব্য করেন।

এর আগে সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং পরে তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। সেমিনারে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Kubis cafeteria runs to Mannus happiness

কুবির ক্যাফেটেরিয়া চলে মান্নুর খুশিতে

কুবির ক্যাফেটেরিয়া চলে মান্নুর খুশিতে প্রশাসনের আশ্বাসের পরও শনিবার বন্ধ কুবির ক্যাফেটেরিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
বন্ধ রাখার বিষয় জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মান্নু মজুমদার বলেন, ‘এটা নতুন কি? এটা অনেক আগে থেকে এভাবে পরিচালনা করে আসছি। শনিবারে ক্লাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের খাবারের চাহিদা অনেক কম থাকে। দেশের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখলে লোকসান হয়। তাই আমি শনিবারের বন্ধ রাখি। এ বিষয়ে প্রশাসন অবগত আছে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া নিয়মিত চালু না রাখার অভিযোগ উঠেছে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালকের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের কথা না ভেবে নিজের সুবিধা মতো ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবগত থাকলেও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

কুবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখার বিধান না থাকলেও সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার দুপুরের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত পরিচালক মান্নু ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখেন। এতে বাধ্য হয়ে খাবারের জন্য বাইরের হোটেলগুলোর দিকে ঝুঁকতে হয় শিক্ষার্থীদের।

যার ফলে অতিরিক্ত সময় এবং অর্থ ব্যয় হয় বলে জানান তারা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক সময় উচ্চ মূল্যে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ আছে বাইরের হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে।

এ ছাড়াও পচা, বাসি ও মানহীন খাবার পরিবেশন, পোড়া তেলে পচা মাছ ভাজা, নিম্নমানের চাল, পোকা খাওয়া সবজি ও বাসি তরকারিসহ খাবারের প্লেটে পোকা-মাকড় পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মান্নুর বিরুদ্ধে।

এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফারহান বলেন, ‘ক্যাফেটেরিয়ার নানান সমস্যার বিষয়ে আমরা অনেক আগে থেকে বলে আসছি অথচ এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা যায় না। আমরা বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের উপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে যদি তাদের খেয়াল খুশি মতো ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখে দিনশেষে আমাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শনিবারেও খোলা রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি।’

নিয়মিত ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার খায় এমন আরেক শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কখনো খাবারে চুল, পোকা, বাসি খাবারও পরিবেশন করছে এ ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক। অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবেশ কখনো শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশের অংশ হতে পারে না। যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।’

বন্ধ রাখার বিষয় জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মান্নু মজুমদার বলেন, ‘এটা নতুন কী? এটা অনেক আগে থেকে এভাবে পরিচালনা করে আসছি। শনিবারে ক্লাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের খাবারের চাহিদা অনেক কম থাকে। দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখলে লোকসান হয়। তাই আমি শনিবারের বন্ধ রাখি। এ বিষয়ে প্রশাসন অবগত আছে।’

শনিবারে ক্লাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের চাপ কম থাকলেও পাঁচ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীর একটা অংশ এ ক্যাফেটেরিয়ার উপর নির্ভর করে থাকে। এমতাবস্থায় ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখাটা স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না শিক্ষার্থীরা।

বন্ধের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবগত আছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমি মান্নুকে বলে দিব যেন শনিবারে ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখে।’

এ কথা বলার পরও এ শনিবার আসলেও আগের চিত্র দেখা গেছে, বরাবরের মতই তালা ঝুলছে কুবির ক্যাফেটারিয়া।

মন্তব্য

p
উপরে