বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের ন্যূনতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। অথচ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩৬টি বিভাগের মধ্যে ৩১টিই এই মানদণ্ড অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
সবশেষ পরিসংখ্যানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ হাজার ৯৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৪০৫ জন শিক্ষক। এই সমীকরণে প্রতি ৩৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এর আগে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে এই অনুপাত ছিলো ১:৪১। তা থেকে কিছুটা উত্তরণ ঘটলেও তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড থেকে এখনও অনেক দূরে।
সরেজমিনে বিভাগগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, মোট ৪০৫ জন শিক্ষকের মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জনেরও বেশি শিক্ষক আছেন শিক্ষা ছুটিতে। এছাড়া শিক্ষাছুটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও ১০ জনের বেশি শিক্ষকের।
তুলনামূলকভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এই অনুপাত কম থাকায় ক্লাস, পরীক্ষা, গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিভাগে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর ফলে অধিকাংশ বিভাগেই শিক্ষার্থীরা সেশনজটের কবলে পড়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইবির মোট ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগ ও একটি ইনস্টিটিউট রয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সমাজকর্ম বিভাগ। এ বিভাগে ৫টি শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত ৩৮৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন মাত্র ৩ জন সহকারী অধ্যাপক। সে হিসাবে এই বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১:১২৯।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে একই অনুষদের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ। বিভাগের ৬টি শিক্ষাবর্ষের ৪৪৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন মাত্র ৪ জন শিক্ষক। বর্তমানে এই বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১১২।
এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে আইন অনুষদভুক্ত ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগটি।
স্নাতকোত্তরসহ ৫টি শিক্ষাবর্ষের মোট ৪৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য এখানে আছেন মাত্র ৪ জন শিক্ষক। তাদের একজন আবার শিক্ষা ছুটিতে আছেন। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বর্তমান অনুপাত ১:১১০।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগটির অবস্থান চার নম্বরে। বিভাগে ৫টি শিক্ষাবর্ষের ৩৯৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য আছেন ৪ সহকারী অধ্যাপক। বর্তমান অনুপাত ১:৯৯।
তবে যৌথভাবে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। তাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৯৮।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৬টি শিক্ষাবর্ষের ৪৯১ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৫টি শিক্ষাবর্ষের ৩৯১ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৩ জন সহকারী অধ্যাপক ও ১ জন প্রভাষক।
পরের অবস্থানে রয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত মার্কেটিং বিভাগটি। চলমান ৬টি শিক্ষাবর্ষের ৪৭২ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। বর্তমান অনুপাত ১:৯৪।
সাত নম্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ১:৭৭ অনুপাত নিয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের মোট ৩৮৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৪ জন শিক্ষক।
ঠিক পরের অবস্থানেই ১:৭২ অনুপাত নিয়ে আছে ফার্মেসি বিভাগটি। পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের ২৮৬ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে থাকেন ৪ জন শিক্ষক। তবে দুজন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ছুটিতে আছেন।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগটির সার্বিক চিত্রও সন্তোষজনক নয়। স্নাতকোত্তরসহ ৬টি শিক্ষাবর্ষের ৪৯৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৭ জন। বর্তমান অনুপাত ১:৭১।
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটির সারচিত্রও বলতে গেলে একই। চলমান ৫টি শিক্ষাবর্ষের ২৬৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র ৪ জন। আনুপাতিক হিসাবে ১:৬৭। জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ৫টি শিক্ষাবর্ষের ২৫৮ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ৪ সহযোগী অধ্যাপক। তাদের মাঝে একজন আছেন শিক্ষা ছুটিতে। বর্তমান অনুপাত ১:৬৫।
এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ৩২ জন শিক্ষার্থীর জন্য নিজস্ব কোনো শিক্ষকই নেই। অন্য বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দুই কর্মকর্তা পরিচালনা করছেন ক্লাস কার্যক্রম।
চারুকলা বিভাগের ৩টি শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত ৯২ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন নিজস্ব ৪ জন শিক্ষক। বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইংরেজি বিভাগের একজন অধ্যাপক। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২৩।
একই চিত্র বিরাজমান কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া স্বয়ং সভাপতি হিসেবে পালন করছেন অতিরিক্ত দায়িত্ব। এ বিভাগের ২টি শিক্ষাবর্ষের ৬৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য আছেন মাত্র ২জন প্রভাষক। ফলে সমীকরণ দাঁড়িয়েছে ১:৩১।
এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে পিছিয়ে রয়েছে ইবির আরও ১৭ টি বিভাগ। সেগুলোর মধ্যে আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ (১:৫৪), লোকপ্রশাসন (১:৪১), আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ (১:৩৫), আইন (১:৩৪), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (১:৩৪), আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ (১:৩৩), অর্থনীতি (১:৩৩) এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগ (১:৩২) অন্যতম।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল (১:১৫), ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক (১:১৬), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (১:১৯), ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (১:১৯) এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (১:১৯)।
শিক্ষক সংকটে ভোগা এসব বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষার সমস্যাটি বরাবরের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সেশন জটের কবলে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না শিক্ষাবর্ষ।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতিক হার অধিক হওয়ায় মানসম্মত শিক্ষা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। এটা আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে বৈশ্বিক অঙ্গনেও বেশ পিছিয়ে আছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, প্রতিষ্ঠাকাল হিসাবে ইবি অনেক পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় হলেও শিক্ষার মান ও ভৌগোলিক অবস্থানে বরাবরই পিছিয়ে। শিক্ষক স্বল্পতা এই ঘাটতিকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এ বিষয়ে ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আক্তার আশা বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতটা অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত হওয়া উচিত। তবে মানসম্মত শিক্ষাটা একাডেমিক কো-অর্ডিনেশন দক্ষতার ওপরও নির্ভর করে। বর্তমানে আমাদের বিভাগে কোনো ধরনের সেশন জট নেই। তবে আমাদের বিভাগে আইন এবং আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকরা ক্লাস নিয়ে থাকেন। আমরা চাই আমাদের নিজস্ব শিক্ষক। আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম আরও সুন্দর হোক।’
সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শ্যাম সুন্দর সরকার বলেন, ‘মানসম্মত গ্র্যাজুয়েট তৈরির পূর্বশর্ত হলো একটি বিভাগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক, ক্লাসরুম, সমৃদ্ধ সেমিনার ও লাইব্রেরি থাকা। আমারও এই একই প্রত্যাশা। আমাদের অবশ্যই আরও শিক্ষক দরকার। প্রশাসন বলেছে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে নিশ্চিতভাবে কিছু বলেনি। বিষয়টি এখন আমাদের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মতো অনেক বিভাগ রয়েছে যাদের শিক্ষক প্রয়োজন।’
শিক্ষক সংকটের বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা মোটেও কাম্য নয়। আমি আসার পর এমনও দেখেছি যে দুই বছর পর্যন্ত বিভাগে শিক্ষক নেই। এতো বাধার ভেতরে আমি কেমন করে কী করবো? কেউ দেখাতে পারবে না আমার কাছে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো একটি ফাইল দুই ঘণ্টাও পড়ে ছিল। যদি দেখাতে পারে তাহলে আমি জবাবটি আরও ভালো দিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে বিভাগগুলোই শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফার্মেসির মতো বিভাগ দুজন সহকারী অধ্যাপক দিয়ে চলছে। তবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দেখা যাক কী হয়। এরপর থেকে যেখানে খালি সেখানে শিক্ষক দেয়ার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন:নতুন বছর, নতুন সম্ভাবনা এবং বাঙালিয়ানার ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ উদ্যাপন করল পহেলা বৈশাখ ১৪৩২। রাজধানীর প্রগতি সরণি, বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম এভিনিউতে অবস্থিত সিটি ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন এই প্রাণবন্ত উৎসবে। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল বৈশাখী রঙে রাঙানো আলোকসজ্জা, মুখরিত পরিবেশ এবং বৈশাখী পোশাকে সজ্জিত মানুষের উপস্থিতি।
আয়োজনের মধ্যে ছিল সংগীত পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি, হস্তশিল্প প্রদর্শনী, ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল, নৃত্য, শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বৈশাখী সাংস্কৃতিক পটভূমির ওপর আলোচনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফত, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক, উপ-উপাচার্য ড. জি ইউ আহসান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ এস এম জি ফারুক এবং বিভাগীয় প্রধানরা।
পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে এবং এক অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়। সাংস্কৃতিক মনোরম পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোডম্যাপ অনুযায়ী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে তা রোডম্যাপে উল্লেখ নেই।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই রোডম্যাপ এর কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন মনে করে, ডাকসু প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদেরও ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সে কারণেই বর্তমান প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি সংবলিত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হলো।
গণমাধ্যমে পাঠানো রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।
একই মাসে ডাকসু সংশোধিত গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে তা ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এর আগে এ বিষয়ে ছয়টি সভা করা হয়। এই গঠনতন্ত্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।
রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে ‘ডাকসু ইলেকশন কোড অব কনডাক্ট রিভিউ কমিটি’ করা হয়। তারা সাতটি সভা করে। এটিও চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন তা সিন্ডিকেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, মে মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। একই সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সেস), ‘বি’ ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ), ‘সি’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) এবং ‘ডি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, শাখা পরিবর্তন) ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবিবার দুপুরে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’ ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রত্যেক শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে নিজ নিজ ফলাফল দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.jnu.ac.bd অথবা https://jnuadmission.com অথবা www.admission.jnu.ac.bd -এ জানা যাবে।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উল্লিখিত ওয়েবসাইটে (www.admission.jnu.ac.bd) লগইন করে বিষয় পছন্দ (Subject Choice) দিতে পারবেন।
‘এ’ ইউনিটের তিন শিফটে মোট আসন ৮৬০টি। সবগুলো আসন বিজ্ঞান বিভাগের জন্য।
প্রথম শিফটে মোট আসন ২৮৪টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৮৭টি। তৃতীয় শিফটে মোট আসন ২৮৯টি।
এ ইউনিটে ৮৬০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসেন ৪৪ হাজার ২২৩ জন।
‘বি’ ইউনিটের তিনটি শিফটে আসন ৭৮৫টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিকে ২১৬, বাণিজ্যে ৩৭, এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪১টি।
দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯২টি, যার মধ্যে মানবিকে ২১৮, বাণিজ্যে ৩৫ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৩৯টি।
তৃতীয় শিফটে মোট আসন ১৯৯টি, যার মধ্যে মানবিকে ১২৪, বাণিজ্যে ১০ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৫টি।
‘সি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন ৫২০টি।
প্রথম শিফটে মোট আসন ২৩০টি, যার মধ্যে শুধু বাণিজ্য বিভাগে ২৩০টি।
দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯০টি, যার মধ্যে বাণিজ্যে ২৩১, মানবিকে ১৬ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৪৪টি।
‘ডি’ ইউনিটের দুটি শিফটে মোট আসন ৫৯০টি।
প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিকে ১৯২, বাণিজ্যে ৩৩ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৯টি।
দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯৬টি, যার মধ্যে মানবিকে ১৯৩, বাণিজ্যে ৩২ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৭১টি।
এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট, ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মলচত্বর, ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।
মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদদ দেবে, তারা যেই হোক না কেন, ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।
ঢাবির ছাত্রী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেবে না ছাত্রসমাজ।
যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র নাইমুর রহমান সীমান্তের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মৃত্যু হয় তার।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জানান তার সহপাঠীরা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুমাইয়া ফারাহ খান বলেন, ‘আজ ভোর ৫টায় সীমান্ত শ্যামলীতে কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা যতটুকু জেনেছি গত দুই দিন আগে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়।
‘গতকাল ওর একটা সাজার্রি করার কথা ছিল। ওর বাবা কিছুদিন আগে মারা গেছে। মা এবং বোন আছে। বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ওদের পরিবার ঢাকাতেই থাকে। তবে ওকে দাফনের জন্য কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
সীমান্তের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এ তালিকায় চিহ্নিত অনেক হামলাকারীর নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী।
বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১২৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই তালিকায় রয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান ও ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ আরও অনেকে।
তালিকায় নাম নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবি জুবায়ের বলেন, ‘তানভীর হাসান সৈকত, ইউনুসসহ স্পষ্ট ফুটেজ থাকা অনেক সন্ত্রাসীর নামই লিস্টে নাই। কাদের ইশারায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনকে তা স্পষ্ট জানাতে হবে। অপূর্ণাঙ্গ এই লিস্ট আমরা মানি না।’
সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ লিখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা ১২৮ জনের লিস্ট কারা তৈরি করছে, এইটা আমরা জানতে চাই। চোখের সামনে আমাদের যারা জসীম উদ্দীন হলের মাঠে ফেলে আমাকে আর হামজা ভাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটানো মেহেদী হাসান শান্তের নাম নাই। আমার বোনদের যারা ভিসি চত্বরে পেটাল, তাদের নাম আসে নাই।’
তিনি লিখেন, ‘সবচেয়ে মজার ব্যাপার হইলো একটা সিঙ্গেল নারীকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার করে নাই। অথচ নির্যাতনের মাত্রা হিসাব করলে এরা পুরুষ ছাত্রলীগের থেকেও ভয়ংকর ছিল। নারী ছাত্রলীগার সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে?’
স্মৃতি আফরোজ সুমি লিখেন, ‘বহিষ্কৃতদের তালিকা করার তদন্তের দায়িত্ব কি কোনো লীগারকে দেওয়া হয়েছিলো? লিস্ট দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। না হলে স্পষ্ট ফুটেজ, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রতি হল থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের নাম বাদ পড়ে কীভাবে?’
সুমাইয়া ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সবচেয়ে অমানবিক কাজ ছিল ঢাকা মেডিক্যালে হামলা। সেই হামলায় বেশির ভাগ হামলাকারী ছিল জগন্নাথ হলের। অথচ জগন্নাথ হল থেকে মাত্র দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রিভু মন্ডল, রাজিব বিশ্বাসের মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও বাদ পড়ে গেল!’
এদিকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন এবি জুবায়ের।
১২৮ জনের তালিকায় দুইজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই ছিলেন না, এমন নামও এসেছে।
তাদের কীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এসবসহ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ১৬ মার্চ (রবিবার) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ‘একজন প্রাক্তন উপাচার্য ও অধ্যাপকের মৃত্যুতে পরিবারের সম্মতিক্রমে জানাজার সময় ও স্থান সম্পর্কে সকলকে অবহিত করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে মাইকিং, শোকবার্তা প্রকাশ, কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত সকল প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে।
‘উল্লেখ্য, পরিবারের সিদ্ধান্তক্রমেই অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অসুস্থ হয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার পরের দিন ৭ মার্চ শুক্রবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান হাসপাতালে তাকে দেখতে যান এবং তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
‘ইন্তেকালের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রশাসনের অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মরহুমের জানাজা ও দাফন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং দাফন প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য