× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
The head teacher is angry after publishing the news of corruption in the school
google_news print-icon

বিদ্যালয়ের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষেপেছেন প্রধান শিক্ষক

বিদ্যালয়ের-দুর্নীতির-সংবাদ-প্রকাশ-করায়-ক্ষেপেছেন-প্রধান-শিক্ষক
সুনামগঞ্জ সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ফটক। ইনসেটে প্রধান শিক্ষক হাফিজ মো. মাশহুদ চৌধুরী। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে বলেন, ‘এই প্রধান শিক্ষককে নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে আর্থিক দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা তিনি ফেরতও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে টিফিনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।’

সরকারি বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে সাংবাদিকদের গালাগাল করলেন সুনামগঞ্জ সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের বেয়াদব, কুলাঙ্গার, ভূখা-নাঙ্গা, জামায়াত প্রেমিক ও সংবাদপত্রকে টিস্যু পেপার উল্লেখ করে ফেসবুকে বিদ্যালয়ের পেজ থেকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক হাফিজ মো. মাশহুদ চৌধুরী। বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে করা পোস্টটি তিনি আবার তার ব্যক্তিগত আইডি থেকেও শেয়ার করেছেন।

সুনামগঞ্জের শিক্ষাঙ্গণের সবচেয়ে বির্তকিত প্রধান শিক্ষক হাফিজ মো. মাশহুদ চৌধুরী। গত কয়েক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অনুপস্থিতি, ভর্তি বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়, অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এসব সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তিনি সব সময় ফেসবুকে সাংবাদিকদের গালাগাল দিয়ে লেখালেখি করেন। এর প্রতিকার চেয়ে ইতোপূর্বে মৌখিকভাবে জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

সম্প্রতি সাড়ে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দে বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকে তোরণ নির্মাণ করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সরকারি বরাদ্দ থাকার পরও তোরণ নির্মাণের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৩০০ টাকা চাঁদা উত্তোলন করেন তিনি। এ নিয়ে অভিভাবকরাও ক্ষোভ জানান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

সংবাদ প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে পোস্ট করেন প্রধান শিক্ষক মাশহুদ চৌধুরী। ঐতিহ্যবাহী সরকারি বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে সকল অনিয়মের তদন্তের দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ বিষয়ে আরটিভি ও দৈনিক আমাদের সময়ের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার বলেন, ‘একটি স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থেকে ঢালাওভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ও আক্রমণাত্মক কথাবার্তা প্রচার করা মোটেও কাম্য নয়। গণমাধ্যম বা এর কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে প্রেস কাউন্সিল বা প্রচলিত আইনে প্রতিকার না চেয়ে এভাবে বিষেদাগার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা করি।’

সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে আর্থিক দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা তিনি ফেরতও দিয়েছেন। সম্প্রতি ফটক নির্মাণের কথা বলে আবার নির্লজ্জভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় শুরু করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে টিফিনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য না দিয়ে সাংবাদিকদের গালিগালাজ করে কী ম্যাসেজ দিতে চান তিনি?

‘আসলে তার লজ্জ্বা-শরম কম, এজন্য এমন করতে পারছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে যাবেন।’

বিটিভির সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি সচেতন নাগরিক কমিটির (টিআইবি) সভাপতি অ্যাডভোকেট আইনুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা কোনো অবস্থাতেই গালিগালাজ করে পোস্ট দিতে পারেন না। সংবাদে ভুল থাকলে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে।’

দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক বিজন সেন রায় বলেন, ‘প্রকাশিত সংবাদে ভুল থাকলে তিনি প্রতিবাদ বা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারতেন। তিনি সেটা না করে বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালিগালাজ করেছেন, যা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ হতে পারে না। এরকম হলে শিক্ষকদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা কমে যাবে। বিষয়টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ মো. মাশহুদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সুনামগঞ্জের কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে তিনি কথা বলতে চান না বলে মন্তব্য করেন। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পেজ থেকে গালিগালাজ করে প্রতিষ্ঠান প্রধান এমন পোস্ট দিতে পারেন কি না- জানতে চাইলে, ‘পারি বলেই দিয়েছি’ বলে উত্তর দেন তিনি।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রোববার ডিসি অফিসে আমাদের সমন্বয় কমিটির সভা ছিল। সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা শিগগিরই কমিটি করে বিষয়টি দেখব।’

জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা উনার ব্যক্তিগত স্ট্যাটাস। এর দায়-দায়িত্ব আমার নয়। আমরা আমাদের মতো করে ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন:
এক মাসের মধ্যে বিয়ে করতে সহকারী শিক্ষককে নোটিশ
শিশুর চোখে বেতের আঘাত, ২ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নিউজবাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর সেই প্রকৌশলীকে বদলি
ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় পেটালেন সেই প্রকৌশলী
অর্থ আত্মসাতের মামলায় অধ্যক্ষসহ চারজন কারাগারে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Use of electronic devices 18 candidates detained in Dinajpur

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার: দিনাজপুরে ১৮ পরীক্ষার্থী আটক

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার: দিনাজপুরে ১৮ পরীক্ষার্থী আটক ফাইল ছবি
আটককৃত ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ রয়েছেন।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে দিনাজপুরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ১৮ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা সদরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।

দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ওসি ফরিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন- বিরল উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. আজহারুল ইসলামের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মো. কামরুজ্জামান, একই উপজেলার রানীপুর গ্রামের আবুল কাদেরের স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী রাহেনা খাতুন; বীরগঞ্জ উপজেলার এলেঙ্গা গ্রামের প্রদীপ রায়ের স্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী শেফালী রায়, একই উপজেলার পশ্চিম কালাপুকুর গ্রামের তাশদিকুল আলমের ছেলে ৩০ বছর বয়সী মো. মনিরুজ্জামান, কগিরপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ৩১ বছর বয়সী জামিল বাদশা ও বনগাঁও গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ২৮ বছর বয়সী মো. রাকিব; দিনাজপুর সদর উপজেলার মুরাদপর গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী ২৮ বছর বয়সী মুসলিমা খাতুন, একই উপজেলার দাইনুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ২৮ বছর বয়সী শরিফুল আলম, ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল সালামের মেয়ে ২৮ বছর বয়সী উম্মে সালমা ও খানপুর গ্রামের সুলতান মাহমুদের মেয়ে ২৯ বছর বয়সী নাসরিন জাহান; চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের ২৭ বছর বয়সী কবিতা রানী রায়, একই উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের যতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে ৩৪ বছর বয়সী সবজ চন্দ্র রায়; হাকিমপুর উপজেলার মাধবপাড়ার গোলাম বিকরিয়ার স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী জাকিয়া ফেরদৌস; বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দায়োরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মহিদুল ইসলাম; নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা গ্রামের আবু তালেব সরকারের মেয়ে ৩১ বছর বয়সী তানিয়া মোশতাবী; বোচাগঞ্জ উপজেলার শহিদপাড়ার আব্দুল গফুর মোল্যার ছেলে ২৯ বছর বয়সী সায়েম মোল্যা তন্ময়; ফরিদপুর জেলার নগরবান্দা থানার দফা গ্রামের ফারুক মাতব্বরের মেয়ে ২০ বছর বয়সী উর্মিলা আক্তার এবং ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে ২৭ বছর বয়সী সুজন আলী।

ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্মকর্তারা ১৮ জনকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে আটক করেন। পরে তাদেরকে পুলিশে কাছে সোপর্দ করেন তারা। আটককৃত ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ রয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
গাইবান্ধায় প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায়: আটক ৩৫
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: প্রথম গ্রুপের পরীক্ষা সম্পন্ন
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর অপেক্ষা
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: তিন বিভাগের পরীক্ষা আজ

মন্তব্য

শিক্ষা
Simultaneous resignation of 30 teachers of Khukribi

খুকৃবির ৩০ শিক্ষকের একযোগে পদত্যাগ

খুকৃবির ৩০ শিক্ষকের একযোগে পদত্যাগ
এসব শিক্ষকদের দাবি, খুকৃবির চলমান সঙ্কট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হয়। ওই নির্দেশনা মেনে নিয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই নির্দেশনা হুবহু না মেনে নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ৩৮ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে গেছে।

বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন খুকৃবির (খুকৃবি) ৩০ জন শিক্ষক। এর মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বিভাগীয় প্রধান, চারজন হল প্রাধ্যক্ষ এবং তিনজন আইকিউএসি সেলের প্রধান।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষক সমিতির কাছে তারা নিজেদের পদত্যাগের বিষয়টি অবহিত করেন। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্রগুলো জমা দিতে যান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি থেকে সবার পদত্যাগপত্র নিয়ে আসা হয়েছিল। এতগুলো পদত্যাগপত্র নিতে ঝামেলা হওয়ায় একটি ফরোয়াডিং লেটার দিয়ে পদত্যাগপত্রগুলো পাঠাতে বলা হয়েছে।’

মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। এ নিয়ে শিক্ষকদের দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয়। এর আগে গত অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দ্রুত পাওয়ার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন করেছিলেন তারা। এবার শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

শিক্ষকদের দাবি, খুকৃবির চলমান সঙ্কট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হয়। ওই নির্দেশনা মেনে নিয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই নির্দেশনা হুবহু না মেনে নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ৩৮ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে গেছে।

খুকৃবির শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুৎ মাতুব্বর বলেন, ‘৩২ জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মানায় বিভিন্ন পদের ৩০ জনই শিক্ষক সমিতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ওই পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে- এমন অভিযোগে ৭৩ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তের প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়। গত জুন মাসে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নিয়োগের ব্যাপারটি পুনরায় তদন্ত করার জন্য আবেদন করেন শিক্ষকরা। আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৬ নভেম্বর পুনরায় তদন্তের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ওই নির্দেশনা পরিপালন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মধ্যে ছিল- খুকৃবির প্রথম ও সাবেক উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৬ স্বজনের নিয়োগ বাতিল করা। এর মধ্যে একজন শিক্ষক এবং ৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের জন্য আগের যে নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে শুধু সাবেক উপাচার্যের মেয়ে ছাড়া সবার ক্ষেত্রে তা স্থগিত করা হয়। তবে নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল হলেও ২৪ শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত ও এক শিক্ষকের পদোন্নতি বাতিল, একজন শিক্ষকের পদাবনতি করা হয়। আর অন্য ৪৬ জন শিক্ষক ও ৩ কর্মচারীর নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।

যে ২৪ জন শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত রাখা হয়, তার মধ্যে রয়েছেন ২০ জন প্রভাষক ও ৪ জন সহকারী অধ্যাপক। ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্টিকেলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমপক্ষে একটি আর্টিকেল প্রথম লেখক হিসেবে প্রকাশ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা পুরোপুরি পরিপালন করার দাবি করছেন শিক্ষকরা।

খুকৃবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা পরিপালনের জন্য তা সিন্ডিকেটের ১৪তম সভায় তোলা হয়। গত ১৮ নভেম্বর ওই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় যাদের চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল তারা উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন। এ কারণে ওই ব্যাপারটি নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। নির্দেশনার অন্য দুটি সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট সভা নিজেদের মতো করে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হলো, কোনো কিছু পাস করতে হলে তা সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মধ্যে চারটি ধারা ও চারটি উপধারা ছিল। যে নির্দেশনায় চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল, মামলা থাকায় সেখানে সিন্ডিকেট সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। দুটি নির্দেশনা বাদে অন্য সবগুলো নির্দেশনা হুবহু পরিপালন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুল আলমের পদাবনতির ব্যাপারটিতে তদন্তের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কারণে তিনি সব শিক্ষকদের বুঝিয়ে পদত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’

খুকৃবির প্রথম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। তার চার বছর মেয়াদে অনুমোদন পাওয়া ৪৪৭ পদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে, শ্যালক, ভাতিজাসহ ৪২৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বাড়াতে চার বছরে পাঁচ অনুষদের ৪৩ বিভাগ চালু করা হয়।

নিয়োগে অনিয়ম দেখে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য। চিঠিতে তারা লিখেছিলেন, ‘খুকৃবিতে নিয়োগের শুরু থেকেই অস্বচ্ছতা ও আত্মীয়করণ দেখা যাচ্ছে। বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অদক্ষ জনবল ও আত্মীয়করণের হাত থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’

নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালের নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি করে ইউজিসি। এক বছরের বেশি সময় পর তদন্ত কমিটি ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩ আগস্ট উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৯ স্বজন ও ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এর আগে অনিয়ম হওয়ায় কয়েক দফা নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি।

আরও পড়ুন:
শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, যাতায়াত সমস্যায় চবি শিক্ষকরাও
স্ত্রীর অভিযোগে শিক্ষককে ক্লাস-প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মাদারীপুরে মাদ্রাসার ৪ ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ
শিক্ষক সংকটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষকের বেতের আঘাতে শিশুর চোখ নষ্ট, ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

মন্তব্য

শিক্ষা
Sacked teacher for selling math test questions

গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করে বরখাস্ত শিক্ষক

গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করে বরখাস্ত শিক্ষক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল। ছবি: সংগৃহীত
অভিভাবকরা বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অভিভাবকদের ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। আমরা কয়েকজন অভিভাবক ওই নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করি। তখন ৫ শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে গণিতের প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে টুটুল স্যার আমাদের প্রস্তাব দেন।’

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার গণিতের প্রশ্ন ফাঁস করে বিক্রি করার দায়ে ইমাম হোসেন টুটুল নামের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

ইমাম হোসেন টুটুল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের ১১ নম্বর দক্ষিণ বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

এ বিষয়ে অবিভাবক রিনা বেগম ও কুমকুম বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে চারুকারু পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অভিভাবকদের ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। আমরা কয়েকজন অভিভাবক ওই নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করি। তখন ৫ শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে গণিতের প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে টুটুল স্যার আমাদের প্রস্তাব দেন। কয়েকজন টাকা দিয়ে পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যায় (২৫ নভেম্বর) গণিতের প্রশ্ন নেন ওই শিক্ষকের কাছ থেকে। কিন্তু শিক্ষকের এ ধরনের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে আমরা কয়েকজন মিলে এ সংক্রান্ত কয়েকটি কল রেকর্ড টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দেই।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, ‘আমরা ২৫ নভেম্বর রাতেই টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-মামুন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই। পরে ওই রাতেই ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ওই তিন শ্রেণির গণিত প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয় বলে আমরা জানতে পারি।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর নতুন প্রশ্নে ৩ নম্বর ক্লাস্টারের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ওই ক্লাস্টারভূক্ত ২৬টি বিদ্যালয়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছিল।’

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার পর ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে প্রশ্ন বিক্রির সত্যতা মিলেছে। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ধারা ২০১৮-এর ৩ (বি) ধারায় অভিযুক্ত করে শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলকে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলের মোবাইল নম্বরে বারবার কল করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য

শিক্ষা
Nil Dal again leads the DU Teachers Association without elections

বিনা নির্বাচনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে ফের নীলদল

বিনা নির্বাচনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে ফের নীলদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়ে নীল দলের পুরো প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির ২০২৪ সালের কার্যকরি পরিষদের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। ফলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় বিনা নির্বাচনেই জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়ে নীল দলের পুরো প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ইকবাল রউফ মামুন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় ছিল। আমাদের কাছে ১৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। সবই নীল দলের প্রার্থীদের। আর কোনো প্যানেল বা স্বতন্ত্র হিসেবে কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। যেহেতু নীল দলের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না, আমরা তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছি।’

জয়ী হওয়ার ফলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় দায়িত্ব পালন করবেন পুষ্টি ও খাদ্য-বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। এ ছাড়া সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মিজানুর রহমান।

সদস্য হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক ড. নেসার হোসাইন, অধ্যাপক ড. সীমা জামান, অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ এবং অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মোর্শেদ। এই নেতারা আগামী এক বছর শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। দলটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘সাদা দল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি পেশাজীবী সংগঠন। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিশ্বাসী বলে দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফোরামের নির্বাচনে সবসময় অংশ নিয়ে আসছে। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ অনুকূল বলে আমরা মনে করি না।’

লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা চাই না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শিক্ষক সমিতি নির্বাচিত হোক যেটি ভোটাধিকার হরণকারী অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতকে শক্তিশালী করবে।’

আরও পড়ুন:
কক্ষে ডেকে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে
ঢাবির প্রশাসনিক ভবন, মধুর ক্যান্টিন ও ডাকসুতে ছাত্রদলের তালা
রাতভর ছাত্রলীগের পাহারার মধ্যেই ঢাবির বিভিন্ন গেটে ছাত্রদলের তালা

মন্তব্য

শিক্ষা
Comilla University in teacher shortage

শিক্ষক সংকটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষক সংকটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এর মধ্যে এই বছর আরও কয়েকজন শিক্ষক উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বিদেশে গিয়েছেন। যে সমস্ত শিক্ষক উচ্চশিক্ষার পরেও ফিরে আসছিলেন না, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফিরে আসতে বলি। যারা আসেনি তাদের অনেকের দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করে তাদের ধরে রাখা পদগুলো শূন্য করা হয়েছে আর বাকিদের দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিসহ পদ শূন্য করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ টি বিভাগের মধ্যে অন্যতম একটি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। এ বিভাগের ৮ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪ জন শিক্ষক শিক্ষা ছুটি এবং একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। বাকি ৩ জন শিক্ষক নিয়ে চলছে বিভাগটির কার্যক্রম।

একই অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি ১৭ বিভাগেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ বাদে সব বিভাগেই দুই কিংবা দুইয়ের অধিক শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। ফলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মত অন্য অনেক বিভাগই শিক্ষক সংকট নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ২৬৬ জন। এর মধ্যে শিক্ষা ছুটিতে আছেন ৯৩ জন শিক্ষক। এর মধ্যে গণিত বিভাগে ১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে শিক্ষা ছুটিতে ৬ জন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন, পরিসংখ্যান বিভাগের ১৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ জন, রসায়ন বিভাগে ১৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৯ জন, ফার্মাসি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬ জন, ইংরেজি বিভাগে ১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৭ জন, বাংলা বিভাগের ১৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ২ জন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ২ জন শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন।

এছাড়া একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪ জন, মার্কেটিং বিভাগের ১৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ জন, ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৯ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩ জন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ৯ জন, আইসিটি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ জন, লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৮জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ জন, অর্থনীতি বিভাগের ১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪ জন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬ জন, প্রত্নতত্ব বিভাগের ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩ জন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৮ শিক্ষকের মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং বাকি চারজন শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন।

শিক্ষা ছুটিতে থাকা শিক্ষকের বিপরীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্তর্জাতিক মানদন্ডে পিছিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্বব্যাপী উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের ন্যূনতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। কিন্তু ইউজিসির ৪৮ তম বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬,৩৮৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ২৬৬ জন শিক্ষক রয়েছে। যা অনুপাত হিসাবে ১:২৪।

এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং লোড ক্যালকুলেশন নীতিমালা (সাধারণ) ২০২২ মতে, একজন শিক্ষকের সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৪০ হবে। এই কর্মঘণ্টা কন্টাক্ট আওয়ার এবং নন-কন্টাক্ট আওয়ার সমন্বয়ে পরিপূর্ণ হবে। ৪০ ঘন্টার মধ্যে একজন শিক্ষক গড়ে ১৩ ঘন্টা ব্যয় করবেন কন্টাক্ট আওয়ার হিসাবে। কিন্তু বিভাগ/ইনস্টিটিউটের প্রধানের সাপ্তাহিক কন্টাক্ট আওয়ার ৬ ঘন্টা হবে।

কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকার ফলে কর্মে নিয়োজিত থাকা শিক্ষকদের টিচিং লোড পড়ছে অতিরিক্ত। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনেক শিক্ষক একাধিক কোর্সের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় অল্প ক্লাস নিয়েই শেষ করছেন কোর্সগুলো। ফলে কোর্স শেষ হয়ে গেলেও অজানাই থেকে যাচ্ছে অনেক বিষয়।

এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ছুটির বিষয়ে নির্ধারিত বিধি থাকলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। ফলে শিক্ষক সংকটে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এছাড়া কর্মস্থলে থাকা অন্যান্য শিক্ষকদের উপর চাপ বেশি পড়ছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনার সমস্যা। শিক্ষা ছুটির জন্য আলাদা নিয়ম করার মাধ্যমে এবং ইউজিসি থেকে নতুন পদ সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা উচিত।’

রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে বিভাগের জন্য শিক্ষক নিয়োগ চেয়েছি। কিন্তু ইউজিসি পদ না দেয়ায় প্রশাসনও কোন নিয়োগ দিতে পারছে না। ইউজিসি থেকে পদ পেলে শিক্ষক সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক শিক্ষক ভালো স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন। বিভাগ থেকেও সুপারিশ যায়। তখন শিক্ষক সংকটের কথা বলে সুপারিশ না দিলে শিক্ষকের মধ্যেও এক ধরনের ক্ষোভ কাজ করে। কাজ করতে চায় না। প্রশাসন কিংবা আমাদের কারোই উপায় নেই। এখন নতুন পদ দরকার সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য।’

প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মাহমুদুল হাসান রাজু বলেন, ‘আমাদের বিভাগে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এই শিক্ষক সংকট কাটাতে আমাদের বিভাগে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি করছি আমাদের বিভাগে যেন অতিসত্বর শিক্ষকদের পদ দেয়া হয়। নতুন নিয়োগের মাধ্যমে বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যে অনুপাত সেটাও রক্ষা পাবে।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ইউজিসির কাছে পদ চেয়েছে। ইউজিসি পদ দিলে আশা করি বিভাগ শিক্ষক সংকট কাটিয়ে উঠবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এর মধ্যে এই বছর আরও কয়েকজন শিক্ষক উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বিদেশে গিয়েছেন। যে সমস্ত শিক্ষক উচ্চশিক্ষার পরেও ফিরে আসছিলেন না, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফিরে আসতে বলি। যারা আসেনি তাদের অনেকের দেনাপাওনা নিষ্পত্তি করে তাদের ধরে রাখা পদগুলো শূন্য করা হয়েছে আর বাকিদের দেনা-পাওনা নিষ্পত্তিসহ পদ শূন্য করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর বিদেশে যাওয়া শিক্ষকদের শূন্যতা পূরণের জন্য আমি পদ চেয়ে ইউজিসিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। সেই প্রেক্ষিতে ইউজিসি চলতি মাসে আমাদের সেই ৭ টি পদ দিয়েছে। এজন্য ইউজিসিকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আরও কিছু পদ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত আমরা আরও পদ পাবো। আমি আশা করি দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের পদের যে সঙ্কট তা অনেকখানি লাঘব হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘পদ দিচ্ছে না এমন না। কিছুদিন আগেও পদ দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
শিক্ষকের বেতের আঘাতে শিশুর চোখ নষ্ট, ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
নয় মাসেও কমিটি নেই কুবি ছাত্রলীগের
বিনা ছুটিতে সাত মাস ফ্রান্সে, বরখাস্ত কুবির অফিস সহকারী
নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মহলের ‘হস্তক্ষেপে’ উদ্বেগ জাবির ৫ শতাধিক শিক্ষকের
আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাবির শিক্ষকের বিবৃতি

মন্তব্য

শিক্ষা
The new Vice Chancellor of CUB is Professor Dr Mo Ghiyasuddin Ahsan

সিইউবির নতুন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন আহসান

সিইউবির নতুন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন আহসান রোববার রাজধানীর প্রগতি সরণিতে নিজস্ব ক্যাম্পাসে নতুন উপ-উপাচার্যকে স্বাগত জানান কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। ছবি: নিউজবাংলা
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এ যোগদানের আগে অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দিন আহসান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ১৮ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি) –এর উপ-উপাচার্য (প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর) হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দিন আহসান। রাষ্ট্রপতি ও সিইউবির চ্যান্সেলর আগামী চার বছরের জন্য তাকে এই পদে নিযুক্ত করেছেন।

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সিইউবির নিজস্ব ক্যাম্পাসে রোববার অনুষ্ঠিত এক টাউন হল মিটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত তাকে পরিচয় করিয়ে দেন।

অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দিন আহসান সিইউবিতে যোগদানের আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পদে ১৮ বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া ড. আহসান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একজন একাডেমিক সদস্য এবং গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Primary teacher recruitment exam on December 8

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর ফাইল ছবি।
রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলায় এই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্বে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম পর্বের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৮ ডিসেম্বর। ওইদিন রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলায় এই পরীক্ষা হবে। এই পর্বে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।

মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, ৮ ডিসেম্বর প্রথম পর্বের রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টাব্যাপী এই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
সিলেটের দেড় সহস্রাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ

মন্তব্য

p
উপরে