কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) ফ্যাকাল্টিদের সঙ্গে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সিইউবির নিজস্ব ক্যাম্পাসে শনিবার এই মতিবনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক ড. রিদওয়ানুল হক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানগণ।
এসময় প্রফেসর আতিক দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও শিক্ষা সেবার মান উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে তার পরামর্শ তুলে ধরেন।
তার এই সুচিন্তিত পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে বলে মনে করেন সিইউবির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
চলতি বছরের ২১ মে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মধ্যে একাধিক বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
ওই চুক্তির আওতায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময়, সমন্বিত ক্লাব কার্যক্রম, যৌথ গবেষণা প্রকল্প উন্নয়ন ও প্রকাশনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মানোন্নয়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলমান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পঞ্চম কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবির। তিনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মঙ্গলবার এ নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ১২ (১) ধারা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীকে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হলো।
আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ধারা ১২-এর উপধারা ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ অনুসারে তিনি ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করবেন। ট্রেজারার পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর জারিকৃত ২৬৭ নম্বর প্রজ্ঞাপন অনুসারে ট্রেজারার পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ অর্থ সম্মানী হিসেবে পাবেন।
এ ছাড়াও বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিকম (অনার্স) এবং এমকম মার্কেটিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি জাপানের ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ভোক্তা আচরণে মার্কেটিংয়ে এমবিএ এবং পিএইচডি করেছেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ তার মেয়াদ শেষ করেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বের বৃহত্তম ইকমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি পেয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের যাদব সূত্রধর।
চাকরি পাওয়ার বিষয়টি তিনি মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন।
যাদব সূত্রধর কুবির ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেটে অবস্থিত অ্যামাজনের হেড কোয়ার্টারে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
চাকরির পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাহারিসি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ডিস্টেন্স এডুকেশনে প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। এর আগে তিনি বাংলাদেশের একটি কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ছিলেন।
অ্যামাজনে চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে যাদব সূত্রধর বলেন, ‘সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অ্যামাজনে নিয়োগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। অ্যামাজনের নির্বাচন প্রক্রিয়া কঠিন ছিল, তবে সফল হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক ও পেশাগত অভিজ্ঞতা অ্যামাজনে চাকরি পেতে সহায়তা করেছে। আজকের এ পর্যায়ে আসতে পেরে আমার মেন্টর, সহযোগী এবং শিক্ষামূলক পৃষ্ঠভূমির প্রতি অসীম কৃতজ্ঞ।’
শিক্ষার্থীর সাফল্যে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এ রকম সাফল্য প্রতিটি শিক্ষকের নিকট সবচেয়ে বড় পাওয়া। শিক্ষকদের সঠিক পাঠদান ও গাইডলাইনে এ অর্জন সম্ভব। সারা বিশ্বে মেধার দক্ষতা দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরছে আমাদের শিক্ষার্থীরা।’
আরও পড়ুন:সাংবাদিকতায় বৈশ্বিক ও দেশীয় প্রবণতা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোকে মোকাবিলা করার উপায় নিয়ে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে (এআইইউবি) একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ‘দ্য ট্রেন্ডস অব কনটেম্পরারি জার্নালিজম: লোকাল গ্লোবাল ইন্টারঅ্যাকশন’ শীর্ষক শিরোনামের এ সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগ।
সেমিনারের মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- এআইইউবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম এবং মিডিয়া ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাসুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা সোমা।
গণমাধ্যমের ওপর প্রযুক্তির প্রভাবের গুরুত্ব তুলে ধরে এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এ পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে। এজন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে নতুন নতুন প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
সেমিনারের বক্তা কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী মিডিয়ার রূপান্তর এবং সাংবাদিকদের নতুন দক্ষতা বিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ধীরে ধীরে দর্শক এবং পাঠকের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ মিডিয়া, মাল্টিমিডিয়া স্টোরি টেলিং এবং ডিজিটাল স্টোরি টেলিং এখন জায়গা করে নিচ্ছে।
ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন শিল্পে প্রযুক্তি কীভাবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে- সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে মাল্টিটাস্কিং শেখার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, ‘এখন আর আগের মতো শুধু রিপোর্টিং, এডিটিং বা শুধু ক্যামেরার কাজ জানাটা যথেষ্ট নয়। আজকের যুগের সাংবাদিকদেরকে এগুলো সবই একসঙ্গে জানতে হবে। নইলে, অনলাইনের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। আবেদনের শেষ সময় ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এ ছাড়া গতবারের চেয়ে ৫০ টাকা বাড়িয়ে এবার আবেদন ফি করা হয়েছে ১০৫০ টাকা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটে ভর্তির তারিখও চূড়ান্ত করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক এ.এস.এম মাকসুদ কামাল সভার সভাপতিত্ব করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট; বিজ্ঞান ইউনিট; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিট।
সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ মার্চ এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
সকল ইউনিটের পরীক্ষা সকাল এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ইউনিট ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রসমূহ হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২১ সন পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৩ সনের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য এ যোগ্যতা ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং চারুকলা ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদের শাসনগাছা বাস টার্মিনালের চালক ও হেলপারদের বিরুদ্ধে ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে৷ এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় শাসনগাছা বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ১৫ ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কারো মাথা ফাটা, কারো শরীরে কোপের চিহ্ন দেখা গেছে।
আহতরা হলেন- পরিসংখ্যান দ্বিতীয়বর্ষের শাকিল, রসায়ন তৃতীয়বর্ষের হাসান ও আরাফাত, বাংলা বিভাগের চতুর্থবর্ষের হাবিব, অর্থনীতি বিভাগের প্রথমবর্ষের ইমরান, ইসলামের ইতিহাস তৃতীয়বর্ষের কাহহার, গণিত চতুর্থবর্ষের রতন, রাষ্টবিজ্ঞান চতুর্থবর্ষের জামশেদ, ব্যবস্থাপনা দ্বিতীয়বর্ষের আরমান, অর্থনীতি চতুর্থ বর্ষের নিলয়, রাষ্টবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের সাকিব এবং রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সানি।
আহত আব্দুল কাহহার জানান, সোমবার বিকেলে রাস্তা পারাপারের সময় তাকে বাস চাপা দেয়। এতে তিনি আহত হয়ে চালককে সাবধানে গাড়ি চালাতে বলেন। এ সময় সঙ্গে থাকা অপর ছাত্ররা তর্কে জড়িয়ে পড়েন বাসচালক ও হেলপাররা। এ সময় ওই দুই ছাত্রকে বাস স্ট্যান্ডে আটকে রাখে চালক ও হেলপাররা।
পরে আটকে থাকা ছাত্ররা সহপাঠীদের জানালে সহপাঠীরা তাদের উদ্ধার করতে যান। এদিকে বাস চালক ও হেলপাররা ছাত্রদের প্রতিহত করতে রাস্তায় দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে অবস্থান নেয়। ছাত্ররা বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে আহত ছাত্রদের আনতে গেলে অতর্কিত হামলা করে বাসের চালক ও হেলপাররা।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, আহত ৯ ছাত্র কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে বর্তমানে সেবা নিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি। পাশেরর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ৫ জন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ উপাধক্ষ্য মৃণাল কান্তি গোস্বামী বলেন, ‘আমাদের ১৫ ছাত্রের চিকিৎসা চলছে। একজনের মাথায় ১২টি সেলায় লেগেছে। কেউ হাতে, কেউ বা পায়ে মারাত্মক ব্যাথা পেয়েছে।’
কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন জানান, ঘটনা শুনে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
টেকসই করপোরেট নিশ্চিত করার স্বার্থে জবাবদিহিতার অনুশীলন এবং অন্তযোগাযোগ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোববার বিকেল ৩টায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) অডিটোরিয়ামে ‘টেকসই করপোরেট ও জবাবদিহিতা অনুশীলন’বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ মতামত দেন। সেমিনারটি সিইউবি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটন ও সিইউবির বিশিষ্ট শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইউবির বোর্ড অফ ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। সভাপতিত্ব করেন সিইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গিয়াস ইউ আহসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত সেমিনারে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজকের এত সুন্দর এই আয়োজনের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই ডিএসই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটনের সিনিয়র লেকচারার ড. আইনুল ইসলাম ও ড. ইয়িনকা মোসেসসহ উপস্থিত সম্মানিত অতিথিদের।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই অংশগ্রহণ এবং মূল্যবান বক্তব্য উপস্থিত লেকচারার ও শিক্ষার্থীদের অবশ্যই টেকসই করপোরেট ও জবাবদিহিতা অনুশীলনের জন্য দারুণ ভূমিকা রাখবে। গ্লোবালাইজেশনের এ যুগে এমন আয়োজন সত্যি একে অন্যের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তসম্পর্কগুলোও বৃদ্ধি করবে। এমন সেমিনারের ফলে আপনাদের দক্ষতা এবং জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এ খাতে টেকসই উন্নয়নও করানো সম্ভব হবে।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিএসই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড.এ টি এম তারিকুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটনের সিনিয়র লেকচারার ড. আইনুল ইসলাম ও ড. ইয়িনকা মোসেস, অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক মামুন, পিএইচডি, প্রধান পরামর্শক, বোর্ড অফ ট্রাস্টি; এম নাসির উদ্দিন, পিএইচডি, অধ্যাপক/গবেষণা পরিচালক, এনআইসিইউ ফেলোশিপ, টেক্সাস এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি।
সেমিনারে বক্তারা করপোরেট টেকসই এবং জবাবদিহিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। যেখানে ক্যাপিটাল মার্কেট, করপোরেট গভর্ন্যান্স, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশগত দায়বদ্ধতা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর তথ্য ও উপদেশ তাদের বক্তব্যে উঠে আসে।
বক্তারা বলেন, ‘টেকসই করপোরেট কালচারের সঙ্গে টেকসই উন্নয়নও সম্পৃক্ত। আর উন্নয়ন মানে একটি দেশের জিডিপিতে অবদান রাখা এবং সেই দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়া। একেকটি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট, মডার্ন, এডুকেটেড, ভিশনারি, প্রো-অ্যাকটিভ- এককথায় সুযোগ্য কর্মীবাহিনী দিয়ে সাজাতে ও তাদের ধরে রাখতে হলে কোম্পানিকেই সবার আগে উদ্যোগী হতে হবে। ফলে টেকসই করপোরেট চর্চা লাগবে।’
তারা আরও বলেন, ‘করপোরেট কালচার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে। এটি কোনো আইন পাস বা অফিস অর্ডার ইম্পোজ করার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় না। করপোরেট কালচারের অন্যতম বিষয় হলো প্রফেশনালিজম। বিজনেস গ্রোথ তো প্রতিষ্ঠান অবশ্যই চায়, কিন্তু সাসটেইনেবল গ্রোথ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। যার ফলে অবশ্যই টেকসই করপোরেট চর্চাটা লাগবে।’
সেমিনারে উঠে আসা মূল বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য টেকসই করপোরেট এবং জবাবদিহিতা কেবল সাধারণ শব্দ নয়, বরং একটি সমৃদ্ধ জাতির অপরিহার্য উপাদান। টেকসই অনুশীলন গ্রহণ করে এবং নৈতিক মান বজায় রেখে যে কোনো প্রতিষ্ঠান সবার জন্য আরও সমৃদ্ধ এবং ন্যায়পরায়ণ ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে বলে উপস্থিত বক্তারা মন্তব্য করেন।
এর আগে সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং পরে তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। সেমিনারে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া নিয়মিত চালু না রাখার অভিযোগ উঠেছে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালকের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের কথা না ভেবে নিজের সুবিধা মতো ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবগত থাকলেও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
কুবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখার বিধান না থাকলেও সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার দুপুরের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত পরিচালক মান্নু ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখেন। এতে বাধ্য হয়ে খাবারের জন্য বাইরের হোটেলগুলোর দিকে ঝুঁকতে হয় শিক্ষার্থীদের।
যার ফলে অতিরিক্ত সময় এবং অর্থ ব্যয় হয় বলে জানান তারা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক সময় উচ্চ মূল্যে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ আছে বাইরের হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়াও পচা, বাসি ও মানহীন খাবার পরিবেশন, পোড়া তেলে পচা মাছ ভাজা, নিম্নমানের চাল, পোকা খাওয়া সবজি ও বাসি তরকারিসহ খাবারের প্লেটে পোকা-মাকড় পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মান্নুর বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফারহান বলেন, ‘ক্যাফেটেরিয়ার নানান সমস্যার বিষয়ে আমরা অনেক আগে থেকে বলে আসছি অথচ এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা যায় না। আমরা বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের উপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে যদি তাদের খেয়াল খুশি মতো ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখে দিনশেষে আমাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শনিবারেও খোলা রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি।’
নিয়মিত ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার খায় এমন আরেক শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কখনো খাবারে চুল, পোকা, বাসি খাবারও পরিবেশন করছে এ ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক। অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবেশ কখনো শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশের অংশ হতে পারে না। যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।’
বন্ধ রাখার বিষয় জানতে চাইলে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মান্নু মজুমদার বলেন, ‘এটা নতুন কী? এটা অনেক আগে থেকে এভাবে পরিচালনা করে আসছি। শনিবারে ক্লাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের খাবারের চাহিদা অনেক কম থাকে। দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখলে লোকসান হয়। তাই আমি শনিবারের বন্ধ রাখি। এ বিষয়ে প্রশাসন অবগত আছে।’
শনিবারে ক্লাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের চাপ কম থাকলেও পাঁচ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীর একটা অংশ এ ক্যাফেটেরিয়ার উপর নির্ভর করে থাকে। এমতাবস্থায় ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখাটা স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না শিক্ষার্থীরা।
বন্ধের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবগত আছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমি মান্নুকে বলে দিব যেন শনিবারে ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখে।’
এ কথা বলার পরও এ শনিবার আসলেও আগের চিত্র দেখা গেছে, বরাবরের মতই তালা ঝুলছে কুবির ক্যাফেটারিয়া।
মন্তব্য