× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
CUBs fall 2023 semester admission process has started
google_news print-icon

সিইউবির ২০২৩ সেমিস্টারের ফল সেশনের ভর্তি শুরু

সিইউবির-২০২৩-সেমিস্টারের-ফল-সেশনের-ভর্তি-শুরু
ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cub.edu.bd) পাওয়া যাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফোন করা যাবে ০১৭০৭০৭০২৮০-৮৪ নম্বরে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) এ বছরের ফল সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চাইলে অনলাইনেও ভর্তি হতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা। ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন এই লিংকে- https://www.cub.edu.bd/apply.php

সিইউবিতে বর্তমানে তিনটি অনুষদে ভর্তি চলছে- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাণিজ্য এবং কলা ও সমাজবিজ্ঞান। এ তিনটি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।

সিইউবিই দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে রয়েছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্সে পড়ালেখার সুযোগ।

বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষকগণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই ও ইইই বিভাগে শিক্ষাদান করেন। এ ছাড়াও অন্যান্য বিভাগেও রয়েছে নিয়মিত ও যোগ্য শিক্ষকমণ্ডলী।

এ ছাড়া আধুনিক গবেষণাপোযোগী শিক্ষা ব্যাবস্থা, অনলাইন লাইব্রেরি, মুট কোর্ট, ডিবেট ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে টিউশন ফির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি দিয়ে থাকে সিইউবি। এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় যাদের জিপিএ-৫ রয়েছে, তারা প্রথম এক বছর টিউশন ফি’তে শতভাগ ছাড় পাবেন।

এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় যাদের সর্বমোট জিপিএ–৯.৫, তারা প্রথম সেমিস্টারে টিউশন ফিতে ৭০ শতাংশ এবং উভয় পরীক্ষায় যাদের সর্বমোট জিপিএ–৯, তারা প্রথম সেমিস্টারে টিউশন ফিতে ৫০ শতাংশ স্কলারশিপ পাবেন।

এ ছাড়া স্নাতক পর্যায়ের সকল প্রোগ্রামে রয়েছে ৪০ শতাংশ ছাড়। মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড লজিস্টিকস-এ ভর্তিতে রয়েছে ২৫ শতাংশ ছাড়। তাছাড়াও ৫০ শতাংশ ছাড়ে ভর্তি হওয়া যাবে ইইই (স্নাতক), এমবিএ (রেগুলার) প্রোগ্রামে এবং ৬০ শতাংশ ছাড়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে ইএমবিএ (এক্সিকিউটিভ) প্রোগ্রামে।

তিন বা ততোধিক ছাত্র/ছাত্রী একসঙ্গে ভর্তি হলে টিউশন ফি’তে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।

‘We care for the career of our students’ মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে চাকরি ক্ষেত্রে উপযোগী করে প্রস্তুত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cub.edu.bd) পাওয়া যাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফোন করা যাবে ০১৭০৭০৭০২৮০-৮৪ নম্বরে। উক্ত নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করেও চ্যাট করা যাবে সিইউবির ভর্তি-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন রয়েছে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ঠিকানা: প্লট-খ, ২০১/১, প্রগতি সরণী, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:
সিইউবিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত
সিইউবিতে শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম সায়েন্সে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Kabir Young Columnist Forum led by Rajeev Masum

রাজীব-মাসুমের নেতৃত্বে কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরাম

রাজীব-মাসুমের নেতৃত্বে কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরাম মোহাম্মদ রাজিব ও মাসুম আল হোসাইন। কোলাজ: নিউজবাংলা
তরুণ লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন হয়েছে। নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

তরুণ লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজীবকে সভাপতি এবং ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল মাসুম হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। তরুণ লেখকদের পরামর্শ দেয়া, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করাসহ লেখালেখি বিষয়ক সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।

বর্তমানে দেশের সরকারি, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সংগঠনের কার্যক্রম চলমান।

আরও পড়ুন:
উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে কুবির দায়িত্বে অধ্যাপক জাকির ছায়াদউল্লাহ
কুবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
কুবিতে গায়েবানা জানাজায় ইমামের ‘না’
কুবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
কুবি শিক্ষার্থীদের অবরোধে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

মন্তব্য

শিক্ষা
Principals bathroom service to two BCL leaders
রাবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে প্রাধ্যক্ষের ‘বাথরুম-সেবা’

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে প্রাধ্যক্ষের ‘বাথরুম-সেবা’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাড়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য কমন বাথরুম রয়েছে ২৮টি। এর ২৭টিই পুরনো এবং জীর্ণ দশা। তবে বাকি বাথরুমটি দুই লাখ টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক করে দেন সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ। কারণ সেটি ব্যবহার করেন শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাড়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য কমন বাথরুম রয়েছে ২৮টি। এর ২৭টিই পুরনো এবং জীর্ণ দশা। কেবল একটি বাথরুমের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সম্পূর্ণ টাইলস করা এবং বেসিন ও কমোডসহ বেশ কিছু অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে বাথরুমটিতে। প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে গত বছর নতুন করে এসব সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। অত্যাধুনিক ফিটিংস দিয়ে সাজানো বাথরুমটি ব্যবহার করতেন শাখা ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। তাই স্বপ্রণোদিত হয়ে বাথরুমটি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেন হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠিত হয় ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর। কমিটি গঠনের পর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু এই হলের ২৩০ নম্বর কক্ষে এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ২২৮ নম্বর কক্ষে থাকা শুরু করেন। তারা দুজন হলের ২৩৪ নম্বর বাথরুমটি ব্যবহার করতেন।

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে প্রাধ্যক্ষের ‘বাথরুম-সেবা’
বাথরুমের আধুনিকীকরণ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে প্রাধ্যক্ষ শায়খুলের লেখা আবেদনপত্রের অনুলিপি।

নেতাদের তুষ্ট করতে বাথরুমটি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেন তৎকালীন প্রাধ্যক্ষ। তিনি বাথরুমটি আধুনিকীকরণ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী বরাবর ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর একটি আবেদনপত্র পাঠান। এই আবেদনপত্রের একটি কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

আবেদনপত্রটিতে বলা হয়েছে, ‘...জরুরি ভিত্তিতে বাথরুমটি আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য যে, উক্ত বাথরুমটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি ব্যবহার করে থাকেন।’

এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর বাথরুমটি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘হল প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাথরুমটি আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেই। এ কাজে আনুমানিক দুই লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘বিষয়টিকে মোটেও ভালোভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের শিক্ষার্থীরা হলগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করে। যেখানে অন্য বাথরুমগুলোর অবস্থা খারাপ সেই পরিস্থিতিতে দুজন বিশেষ ছাত্রনেতার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করে বিশেষ সুযোগ দেয়া অন্যায় এবং বৈষম্য। কারণ এই টাকাগুলো কারও ব্যক্তিগত না; বরং শিক্ষার্থীদের ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।’

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ হিসেবে তাদেরকেই নিয়োগ দেয়া হতো, যারা ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারবেন। ছাত্রলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও ছাত্রলীগের রাজত্ব বজায় রাখতে পারবেন।

‘বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ শায়খুল কখনোই ছাত্রদের জন্য কিছু করেননি। উল্টো বিভিন্ন সময় ছাত্রদেরকে বিপদে ফেলেছেন তিনি। এমন বাথরুম-সেবা ছাড়াও তিনি সবসময় ছাত্রলীগকে নানামুখী সেবা দিয়ে গেছেন। এমন একজন ব্যক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার কোনো অধিকার নেই।’

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ শাইখুল ইসলাম মামুন জিয়াদ বলেন, ‘ওরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছিল। এখানে আমার কিছু করার ছিল না।’

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক শায়খুল হল প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:
রাবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান
রাবির ২৫তম উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব
রাবিতে আবারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৭ সদস্যের কমিটি  
যৌথ অভিযানে চার ঘণ্টা পর মুক্ত রাবি উপাচার্য
রাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর কার্যক্রম স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
Adviser Nahid and Asifs student organization activities suspended

উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফের ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত

উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফের ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির লোগো। ছবি: সংগঠনের ফেসবুক পেজ
এমন এক সময়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি তাদের কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করেছে, যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সরব অবস্থানের পর উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

সংগঠনটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে থেকে শনিবার ভোরে দেয়া স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানানো হয়।

শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, পরিসর ও সংস্কৃতি নির্মাণ, শিক্ষার্থী কল্যাণ, ছাত্র-নাগরিক রাজনীতি নির্মাণ ও রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে গত বছরের ৪ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ছিলেন এ সংগঠনের সদস্য সচিব। অন্যদিকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ছিলেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক।

৩১ সদস্যের এ কমিটির অনেকেই বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক পদে আছেন।

এমন এক সময়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি তাদের কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করেছে, যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।

শিক্ষার্থীরা শুক্রবার ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আট দফা বা ৯ দফার অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, কিন্তু সেই কথাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। সমন্বয়কদের অনেকেই এখন ছাত্র রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আমরা এটি মেনে নেব না।’

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে ক্যাম্পাস থেকে রাজনীতি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার কথা জানান ওই শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:
সচিবালয় এলাকার পরিস্থিতি ছাত্রসমাজ মোকাবিলা করেছে: আসিফ নজরুল
ভারত পূর্ব-সতর্কবার্তা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়েছে: নাহিদ
বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আলটিমেটাম
আসিফের পুম্বার খোঁজ দিলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার
বই ছেঁড়া ধ্বংসাত্মক, আসিফ মাহতাব পারিশ্রমিক পাবেন: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

মন্তব্য

শিক্ষা
Organized public wedding at Dhabir Hall

ঢাবির হলে গণবিয়ের আয়োজন

ঢাবির হলে গণবিয়ের আয়োজন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে গণবিয়ের আয়োজন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পাত্রকে অবশ্যই এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হতে হবে। উপস্থিত রাখতে হবে দুই পরিবারের অভিভাবকদের। ২০ সেপ্টেম্বর হল প্রাঙ্গণে এই গণবিয়ের আয়োজন করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে গণবিয়ের আয়োজন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পাত্রকে অবশ্যই এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হতে হবে। আর উপস্থিত রাখতে হবে দুই পরিবারের অভিভাবকদের।

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর হল প্রাঙ্গণে এই গণবিয়ের আয়োজন করা হবে। আয়োজকরা বলছেন, সমাজে বিয়ের বিষয়টিকে সহজ করতে তাদের এই আয়োজন। সেদিন যারা সব শর্ত পূরণ করে বিয়ে করতে চাইবেন তাদের সেদিনের খরচ বহন করবেন হলের অন্য শিক্ষার্থীরা।

এদিকে জহুরুল হক হলের এমন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ধুম পড়ে গেছে পাত্রপাত্রী খোঁজার। তবে এখানেও সতর্ক বার্তা দিয়েছেন আয়োজকরা।

আয়োজকদের অন্যতম একজন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন সরকার ফেসবুক গ্রুপে লিখেছেন, ‘হঠাৎ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়াটাকে নিরুৎসাহিত করছি আমরা। বিয়ে জীবনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তাই আবেগের বশে কেউ প্ররোচিত হবেন না, আশা করছি। তবে কাউকে নিষেধও করছি না আমরা।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই গণবিবাহের মূল টার্গেট, ক্যাম্পাসে প্রেমিক যুগলদের সম্পর্কটাকে হালাল এবং সামাজিক স্বীকৃতি প্রদান করা।’

যোগাযোগ করা হলে আল আমিন সরকার বলেন, ‘এটা আমাদের প্রতীকী প্রতিবাদ, যেন সমাজে বিয়ে বিষয়টিকে আরেকটু সহজ করা হয়। ছেলের চাকরি থাকতেই হবে- এরকম বাধ্যবাধ্যকতা যেন বন্ধ করা হয়।’

এই আয়োজনের পরিকল্পনা কীভাবে এসেছে জানতে চাইলে আল আমিন সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে আমাদের সবাই একটা ট্রমাটাইজ পরিস্থিতি অতিবাহিত করছি। তাই আগামী ২০ তারিখ আমরা একটা ভোজের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেই। এখানে আমাদের হলের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।

‘পরে মাথায় এলো আমাদের হলের অনেক ভাই প্রেম করেন। বিয়ে বিষয়টিকে অনেক জটিল করে রাখায় অনেকে বিয়ে করতে পারছেন না। তাই গণবিয়ের সিদ্ধান্তটা নেই। তবে পাত্রকে অবশ্যই আমাদের হলের হতে হবে। পাত্রী যে কেউ হতে পারেন। আর অবশ্যই এই বিয়ে হবে দুই পরিবারের অভিভাবকদের অনুমতি এবং উপস্থিতিতে।’

তিনি বলেন, বিষয়টি প্রথমে আমি আমাদের হলের গ্রুপে পোস্ট দেই। ভালো সাড়া পাওয়ার পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে পোস্ট দিয়েছি।’

এখন পর্যন্ত কতজন যুগল আগ্রহ দেখিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্য হলের অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না পাওয়ায় আমরা সেদিকে যাচ্ছি না। তবে আমাদের হলের দুই ভাইয়ের বিয়ে কনফার্ম। ওনারা পারিবারিকভাবে বিয়েটা করবেন আর ঘরোয়াভাবে এটির আয়োজন আমরা হলে করব।’

এদিকে জহুরুল হক হলের এমন আয়োজনের পর হাফসাতুল জান্নাত চৈতী নামের এক শিক্ষার্থী সব পাত্রীকে হাতে মেহেদী লাগিয়ে দেয়া এবং সাজিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্যকে সদ্য সাবেকের অভিনন্দন
ঢাবির প্রক্টর হলেন সাইফুদ্দীন আহমদ
ঢাবি উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ
ঢাবির নতুন ট্রেজারার অধ্যাপক জাহাঙ্গীর
ঢাবি উপাচার্য হিসেবে নিয়াজ আহমেদ খানকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

মন্তব্য

শিক্ষা
BUETs new VC Professor Dr Badruzzaman

বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান

বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামানকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক।

একই দিনে বুয়েটে উপ-উপাচার্যও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ দেও হয়। এতে সই করেছেন উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম।

উপাচার্যকে নিয়োগ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৬১-এর ১১(১) এবং (২) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামানকে বুয়েটের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হলো।

তাকে নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, যোগদানের তারিখ থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে। আগামী চার বছর তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় তার নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

তাছাড়া উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন। বিধি অনুযায়ী তিনি অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক তিনি ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

প্রথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি (সংশোধিত) অ্যাক্ট, ২০০১-এর ৩ নং অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১-এর ১২ (এ) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে বুয়েটের উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হলো।

তিনি আগামী চার বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় তার নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে সাবেক শিক্ষার্থীদের ওয়েবিনার যুক্তরাষ্ট্রে
বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বুয়েটের ছাত্রলীগমনা ২১ শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি
রাজনীতিমুক্ত বুয়েটের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ছাত্রদলের সংহতি প্রত্যাখ্যান করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

মন্তব্য

শিক্ষা
Students of Matsya Diploma Institute to boycott class examination on 5 point demand

৫ দফা দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের

৫ দফা দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ে বুধবার দুপরে মানববন্ধন করেন কিশোরগঞ্জের মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

পাঁচ দফা দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি শুরু করেছেন কিশোরগঞ্জের মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীরা।

এ দাবিতে বুধবার দুপরে তারা মানববন্ধন করেন।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নির্ধারিত পদগুলোতে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত সনদধারীদের চাকরিতে আবেদনের সুযোগ রহিতকরণ এবং ডিপ্লোমাধারীদের ভর্তির যোগ্যতার সঙ্গে চাকরিতে আবেদনের যোগ্যতার সামঞ্জস্য বিধান, দশম গ্রেডে উপসহকারী মৎস্য কর্মকর্তা পদে ডিপ্লোমাধারীদের দ্রুত একক নিয়োগ প্রদান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমাধারীদের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ইনস্টিটিউটে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ এবং চাকরির ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, সরকারি ও বেসরকারি

বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমাধারীদের নির্দিষ্ট বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং মৎস্য অধিদপ্তর পরিচালিত সমাপ্ত ও চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের জনবল অযৌক্তিকভাবে রাজস্ব না করে মাঠ পর্যায়ে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে মৎস্য খাতের উন্নয়নকে গতিশীল করা।

এসব দাবি আদায়ে বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা কিশোরগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের সামনে মানববন্ধন করেন। এতে বক্তব্য দেন নাইমুর নাসিম, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, মোহাম্মদ শাকিল মিয়া, সাদিকুল ইসলাম, আতোয়ার জাহান নূর, তাহমিনা ইসলাম তোবাসহ অনেকে।

পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:
ভাতিজার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করে বিচার দাবি চাচার
অষ্টগ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ গেল জেলের
মিঠামইনে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ 
বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজন নিহত 

মন্তব্য

শিক্ষা
Chhatra Dal has formed a cell to get justice for the students abused by the Chhatra League

ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার পেতে ছাত্রদলের ‘সেল’

ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার পেতে ছাত্রদলের ‘সেল’
ছাত্রদল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ ও ‘আইনি সহায়তা সেল’ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া বিরোধী মত ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেয়া এবং এসব নির্যাতনের তথ্য সংরক্ষণে পৃথক দুটি সেল গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বুধবার সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এই দুটি সেলের নাম ‘শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ ও ‘আইনি সহায়তা সেল’।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সেল দুটি ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া বিরোধী মত ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে।’

এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছেও ছাত্রদল সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে।

শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেলের সদস্যরা হলেন- আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, এ বি এম ইজাজুল কবির রুয়েল, মনজুরুল আলম রিয়াদ, খোরশেদ আলম সোহেল, আরিফুল ইসলাম, গণেশ চন্দ্র রায় ও নাহিদুজ্জামান শিপন।

আইনি সহায়তা সেলের সদস্যরা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, এইচ এম জাহিদুল ইসলাম, মো. আল আমিন, মো. রফিকুল ইসলাম হিমেল, মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী এবং এস এম সাইফ কাদের রুবাব।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘ছাত্রলীগ ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের জন্য হলে হলে টর্চার সেল গঠন করেছিল। সেখানে প্রতিনিয়ত মুক্ত মতকে বাধাগ্রস্ত করতে ও বিরোধী মত দমনে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মাধ্যমে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সেসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এই সেল গঠন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের এসব নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করে জাতির সামনে উন্মুক্ত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে ছাত্র-রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ন্যূনতম সুযোগ কেউ না পায়।’

আরও পড়ুন:
ঢাবির হলে গণরুম বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত
পুরো ক্যাম্পাস নয়, ঢাবির নির্দিষ্ট স্থানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব
আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে ছাত্রদল

মন্তব্য

p
উপরে