× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
British Council comes up with IELTS Ready Premium for IELTS test takers
google_news print-icon

আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য আইইএলটিএস রেডি: প্রিমিয়াম নিয়ে এলো ব্রিটিশ কাউন্সিল

আইইএলটিএস-পরীক্ষার্থীদের-জন্য-আইইএলটিএস-রেডি-প্রিমিয়াম-নিয়ে-এলো-ব্রিটিশ-কাউন্সিল
ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএসে নিবন্ধন করার সময় থেকে শুরু করে পরীক্ষা দেয়ার আগ পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা আইইএলটিএস রেডি: প্রিমিয়ামে বিনা মূল্যে অবাধ প্রবেশাধিকার পাবেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিল সম্প্রতি আইইএলটিএস রেডি: প্রিমিয়াম নামে একটি নতুন সেবা চালু করেছে।

ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য উদ্ভাবনী সহায়তা হিসেবে এই প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে।

ইংরেজি ভাষা শেখানোর ক্ষেত্রে লন্ডনভিত্তিক নেতৃস্থানীয় ডিজিটাল শিক্ষা দানকারী প্রতিষ্ঠান জিইএল প্ল্যাটফর্মটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছে।

নতুন এই প্ল্যাটফর্মে যা যা থাকছে

৪০টি আইইএলটিএস মক টেস্ট, রেকর্ডকৃত ক্লাস ও ইংরেজিভাষী আইইএলটিএস বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা। এতে টাইমড ও আনটাইমড দুই ফরম্যাটের অনুশীলন পরীক্ষার মাধ্যমে আইইএলটিএসের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

পরীক্ষার্থীদের অনুশীলনের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অনুশীলনীগুলোর সব উত্তরের ব্যাখ্যাও থাকবে সেখানে। প্রয়োজনীয় স্কোর অর্জন করতে পরীক্ষকরা যেমন চান, আইইএলটিএস রেডি: প্রিমিয়ামের মাধ্যমে ঠিক সে রকম মডেল উত্তরসহ ইংরেজিতে লেখা অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা।

ইংরেজি পড়া ও শোনার সময় প্রতিটি প্রশ্নের মন্তব্য পাবেন তারা। কোথায় উন্নতি করতে হবে তা চিহ্নিত করে সহযোগিতা করা হবে তাদের। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা পরিচিতিমূলক ভিডিও দেখার সুযোগ পাবেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএসে নিবন্ধন করার সময় থেকে শুরু করে পরীক্ষা দেয়ার আগ পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা আইইএলটিএস রেডি: প্রিমিয়ামে বিনা মূল্যে অবাধ প্রবেশাধিকার পাবেন।

প্ল্যাটফর্মটি পরীক্ষামূলক চলাকালে ব্যবহারকারীদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। ৯৭ শতাংশ ব্যবহারকারী জানান, তারা এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রত্যাশিত স্কোর অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি ৯৮ শতাংশ ব্যবহারকারী এই সেবাকে অন্যদের মাঝে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএসের ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘আমরা বিদেশে পড়াশোনা, কাজ করা বা বসবাসের লক্ষ্য অর্জন করার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের সব রকম সহযোগিতা করতে চাই।

‘স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে তাদের পুরোপুরি প্রস্তুত করে তুলতে ও সর্বোচ্চ সুযোগ তৈরি করতে আইইএলটিএস রেডি: প্রিমিয়াম নিয়ে আসতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।’

আরও পড়ুন:
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটে পাস ৯.৪৩ শতাংশ
গুচ্ছে ভর্তিযুদ্ধ শুরু শনিবার
এমপির নির্দেশে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ, প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সন্তোষ শিক্ষার্থীদের: ঢাবি উপাচার্য
মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১০ মার্চ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Use of electronic devices 18 candidates detained in Dinajpur

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার: দিনাজপুরে ১৮ পরীক্ষার্থী আটক

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার: দিনাজপুরে ১৮ পরীক্ষার্থী আটক ফাইল ছবি
আটককৃত ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ রয়েছেন।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে দিনাজপুরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ১৮ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা সদরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।

দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ওসি ফরিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন- বিরল উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. আজহারুল ইসলামের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মো. কামরুজ্জামান, একই উপজেলার রানীপুর গ্রামের আবুল কাদেরের স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী রাহেনা খাতুন; বীরগঞ্জ উপজেলার এলেঙ্গা গ্রামের প্রদীপ রায়ের স্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী শেফালী রায়, একই উপজেলার পশ্চিম কালাপুকুর গ্রামের তাশদিকুল আলমের ছেলে ৩০ বছর বয়সী মো. মনিরুজ্জামান, কগিরপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ৩১ বছর বয়সী জামিল বাদশা ও বনগাঁও গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ২৮ বছর বয়সী মো. রাকিব; দিনাজপুর সদর উপজেলার মুরাদপর গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী ২৮ বছর বয়সী মুসলিমা খাতুন, একই উপজেলার দাইনুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ২৮ বছর বয়সী শরিফুল আলম, ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল সালামের মেয়ে ২৮ বছর বয়সী উম্মে সালমা ও খানপুর গ্রামের সুলতান মাহমুদের মেয়ে ২৯ বছর বয়সী নাসরিন জাহান; চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের ২৭ বছর বয়সী কবিতা রানী রায়, একই উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের যতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে ৩৪ বছর বয়সী সবজ চন্দ্র রায়; হাকিমপুর উপজেলার মাধবপাড়ার গোলাম বিকরিয়ার স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী জাকিয়া ফেরদৌস; বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দায়োরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মহিদুল ইসলাম; নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা গ্রামের আবু তালেব সরকারের মেয়ে ৩১ বছর বয়সী তানিয়া মোশতাবী; বোচাগঞ্জ উপজেলার শহিদপাড়ার আব্দুল গফুর মোল্যার ছেলে ২৯ বছর বয়সী সায়েম মোল্যা তন্ময়; ফরিদপুর জেলার নগরবান্দা থানার দফা গ্রামের ফারুক মাতব্বরের মেয়ে ২০ বছর বয়সী উর্মিলা আক্তার এবং ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে ২৭ বছর বয়সী সুজন আলী।

ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্মকর্তারা ১৮ জনকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে আটক করেন। পরে তাদেরকে পুলিশে কাছে সোপর্দ করেন তারা। আটককৃত ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ রয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
গাইবান্ধায় প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায়: আটক ৩৫
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: প্রথম গ্রুপের পরীক্ষা সম্পন্ন
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর অপেক্ষা
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: তিন বিভাগের পরীক্ষা আজ

মন্তব্য

শিক্ষা
Primary assistant teacher recruitment exam has started

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: প্রথম গ্রুপের পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: প্রথম গ্রুপের পরীক্ষা সম্পন্ন প্রতীকী ছবি
তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

জেলা পর্যায়ে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত।

তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।

আরও পড়ুন:
আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউতে পাস ৬ হাজার ২২৯ জন
সিলেটের দেড় সহস্রাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ
ইউটিউবারের উদ্যোগে অবশেষে খাসিয়াপুঞ্জিতে বসল প্রাথমিক বিদ্যালয়
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল
২৮ অক্টোবরের বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
Awaiting the commencement of the primary assistant teacher recruitment exam

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর অপেক্ষা

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর অপেক্ষা নিয়োগ পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে শুক্রবার।

জেলা পর্যায়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:
আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউতে পাস ৬ হাজার ২২৯ জন
সিলেটের দেড় সহস্রাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ
ইউটিউবারের উদ্যোগে অবশেষে খাসিয়াপুঞ্জিতে বসল প্রাথমিক বিদ্যালয়
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল
২৮ অক্টোবরের বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
Primary Assistant Teacher Recruitment Three Division Test Today

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: তিন বিভাগের পরীক্ষা আজ

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: তিন বিভাগের পরীক্ষা আজ নিয়োগ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। ফাইল ছবি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা হবে শুক্রবার।

জেলা পর্যায়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:
একই ভবনে স্কুল ও পুলিশ ক্যাম্প, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
ক্রীড়ায় পিছিয়ে নেই কুবির মেয়েরা
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর
আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউতে পাস ৬ হাজার ২২৯ জন
এআই প্রযুক্তি শিক্ষায় ডিজিটালাইজেশনে ভূমিকা রাখবে: পিয়ারসন এডুকেশন

মন্তব্য

শিক্ষা
DU admission fee increased by Tk 50 application starts on 18 December

ঢাবিতে ভর্তি ফি বাড়ল ৫০ টাকা, আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর

ঢাবিতে ভর্তি ফি বাড়ল ৫০ টাকা, আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ মার্চ এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। আবেদনের শেষ সময় ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এ ছাড়া গতবারের চেয়ে ৫০ টাকা বাড়িয়ে এবার আবেদন ফি করা হয়েছে ১০৫০ টাকা।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটে ভর্তির তারিখও চূড়ান্ত করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক এ.এস.এম মাকসুদ কামাল সভার সভাপতিত্ব করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট; বিজ্ঞান ইউনিট; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিট।

সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ মার্চ এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

সকল ইউনিটের পরীক্ষা সকাল এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ইউনিট ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রসমূহ হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।

ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২১ সন পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৩ সনের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য এ যোগ্যতা ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং চারুকলা ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

মন্তব্য

শিক্ষা
What is the logic of failing to change the role after the exam
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসির ফল

পরীক্ষার পর রোল পরিবর্তনে ফেল, যৌক্তিকতা কতটুকু!

পরীক্ষার পর রোল পরিবর্তনে ফেল, যৌক্তিকতা কতটুকু! ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড। ছবি: সংগৃহীত
ফেল করা শিক্ষার্থীদের অনেকের দাবি, প্রবেশপত্রে থাকা রোল নম্বরই তারা পরীক্ষার খাতায় লিখেছিলেন। অথচ ফল প্রকাশের তারা জানতে পারেন যে প্রবেশপত্র ও রোল নম্বর বদলে গেছে। নতুন প্রবেশপত্র অনুযায়ী তাদেরকে ফল নিতে হয়েছে। আর রোল নম্বর পাল্টে যাওয়ায় তাদেরকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ২৮৬টি কলেজের ৭৫ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। পাসের হার ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তবে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশের অভিযোগ, শিক্ষাবোর্ডের প্রযুক্তিগত ত্রুটি বলি হয়েছেন তারা। ফল প্রকাশের আগ মুহূর্তে নতুন করে রোল নম্বর নির্ধারণ করায় তাদের ফল পাল্টে গেছে।

ফেল করা শিক্ষার্থীদের অনেকের দাবি, প্রবেশপত্রে থাকা রোল নম্বরই তারা পরীক্ষার খাতায় লিখেছিলেন। অথচ ফল প্রকাশের তারা জানতে পারেন যে প্রবেশপত্র ও রোল নম্বর বদলে গেছে। নতুন প্রবেশপত্র অনুযায়ী তাদেরকে ফল নিতে হয়েছে। আর রোল নম্বর পাল্টে যাওয়ায় তাদেরকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ৫৬ পরীক্ষার্থী। পাস করেন মাত্র ১৬ জন। তাদের একজন কাকন আক্তার তার নতুন রোল নম্বরে অনলাইনে অনুসন্ধান করে দেখেন, নিজের নামের পরিবর্তে সুসং দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের মাজহারুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর নাম আসে।

একই ঘটনা ঘটেছে ওই কলেজের ইসরাত জাহান জেরিনসহ নতুন রোল পাওয়া ৫১ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে। ভালুকার মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বাটাজোর সোনার বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গফরগাঁও উপজেলার হুরমত উল্লাহ কলেজসহ আরও কয়েকটি কলেজের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

পরীক্ষায় প্রবেশপত্রের রোল নম্বর জটিলতার বিষয়টি নিয়ে পরদিন সোমবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালামের কাছে যান কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সেখানে তারা দাবি করেন, কলেজগুলো কারসাজি করে এমনটি করেছে। শতভাগ পাস করানোর জন্য কিছু শিক্ষার্থীকে গ্যারান্টি দিয়ে এনে ভর্তি করে তাদের শুধু পাস করানো হয়েছে। বাকিদের ফেল করানো হয়ে থাকতে পারে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর শিক্ষা বোর্ডের সামনে মানববন্ধন করেন অকৃতকার্য এসব শিক্ষার্থী।

বাস্তবেই এ বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফল পরিবর্তন হয়েছে নাকি বিষয়টি অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের বোঝার ভুল- এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে নিউজবাংলা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব জনবল সংকট রয়েছে। এ অবস্থায় এই বোর্ডের কাজটি করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর শিক্ষা বোর্ড। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ফল প্রকাশের আগমুহূর্তে ধরা পড়ে জটিলতা। পরীক্ষার খাতায় লেখা বিভিন্ন শিক্ষার্থীর রোল নম্বরে অন্য শিক্ষার্থীর ফল আসতে থাকে। এমন অবস্থায় বিষয়টি সমাধানে কাজ করে শিক্ষা বোর্ড। পরে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও খাতার সঙ্গে মিল করে ফল তৈরি করা হয়।

তবে এমনটা মানতে নারাজ ফেল করা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা মনে করেন, খাতায় লেখা রোল নম্বর এবং পরে ফলাফলের জন্য দেয়া অন্য রোল নম্বরের জন্যই ভুল ফল এসেছে। তাই আবারও খাতা দেখে সুষ্ঠুভাবে ফল তৈরি করে তা প্রকাশ করতে হবে। নয়ত অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে বোর্ডের সামনে লাগাতার মানববন্ধন করা হবে।

পরীক্ষার পর রোল পরিবর্তনে ফেল, যৌক্তিকতা কতটুকু!

এদিকে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, একটি মহল অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে ক্ষেপিয়ে তুলছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জানি যে কোন রাজনৈতিক নেতা এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীকে নিয়ে রাজনীতি করছে। এক রাজনৈতিক নেতা বোর্ডে একটি কাজে সুপারিশ করেছিলেন। সেটি না মানায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের উস্কে দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয় ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাকেও জানানো হয়েছে।’

তবে শিক্ষার্থীরা বাইরের কারও ইন্ধনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভালুকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী কাকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খাতায় লেখা রোল নম্বরে ফল প্রকাশ না করে নতুন রোল নম্বরে প্রকাশ করার কারণেই ফেল করেছি। আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে পাস করব। কারও ইশারায় আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধন করিনি। আমাদের খাতাগুলো নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে আবারও দেখে ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’

একই কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজ উদ্দিন সুমন বলেন, ‘এমন ফলাফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আমাদের দায়ী করেছেন। অথচ এসব বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। ফেল করা শিক্ষার্থীরা আসলেই ফেল করেছে কিনা, তা বোর্ডই ভালো বলতে পারবে।’

একই বক্তব্য দিয়েছেন মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান জুয়েল।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. সামছুল ইসলাম বলেন, ‘৮ হাজারের মতো শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ডুপ্লিকেশন হয় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। পরে সূক্ষ্মভাবে বিষয়টি তদারকি করে ফল প্রকাশের এক মাস আগে নতুন প্রবেশপত্র পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে। রোল নম্বর পরিবর্তনের সঙ্গে ফলের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গাজী হাসান কামালের সঙ্গে কথা বলে নিউজবাংলা। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে। ফল প্রস্তুত করা হয় রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে। এ জন্য রোল নম্বর প্রয়োজন নেই। যেগুলোতে সমস্যা হয়েছে, সেগুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে করা হয়েছে। ফল সঠিক রয়েছে। তারপরও লিখিতভাবে আবেদন করলে পুনরায় খাতা দেখে সমাধান করা হবে।’

আরও পড়ুন:
চায়ের দোকান করেও জিপিএ-৫ পেলেন স্মৃতি
এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষা করা যাবে যেভাবে
রাজশাহী বোর্ডে এগিয়ে মেয়েরা, কমেছে পাস ও জিপিএ ৫
ফরিদপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল: শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
সিলেটে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

মন্তব্য

শিক্ষা
How can HSC result be rechecked?

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষা করা যাবে যেভাবে

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষা করা যাবে যেভাবে ফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভিকারুননিসার ছাত্রীরা। ফাইল ছবি
উদাহরণ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বোর্ডের কোনো পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর 123456 হলে এবং পরীক্ষার্থী আবেদন করতে চাইলে মেসেজ অপশনে RSC dha 123456 লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে, তা এবং একটি PIN প্রদান করা হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC space Yes space PIN space Contact Number (যেকোনো মোবাইল অপারেটর) লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে।’

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে রোববার। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরা ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে তাদের ফল পুনঃনিরীক্ষা করতে পারবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রথমে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে। পরে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে।

উদাহরণ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বোর্ডের কোনো পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর 123456 হলে এবং পরীক্ষার্থী আবেদন করতে চাইলে মেসেজ অপশনে RSC dha 123456 লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে, তা এবং একটি PIN প্রদান করা হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC space Yes space PIN space Contact Number (যেকোনো মোবাইল অপারেটর) লিখে সেন্ড করতে হবে 16222 নম্বরে।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একই এসএমএসের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা দিয়ে বিষয়/পত্রের কোডগুলো আলাদা করে লিখতে হবে। যেমন: পদার্থ ও রসায়ন দুটি বিষয়ের/পত্রের জন্য আপনার টেলিটক প্রিপেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC space dha space Roll Number space 174, 175, 176 লিখতে হবে।’

এতে আরও বলা হয়, প্রতি পত্রের জন্য আবেদন ফি নেয়া হবে ১৫০ টাকা। দ্বিপত্র বিশিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে উভয় পত্রেই আবেদন করতে হবে। ম্যানুয়াল কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা
এইচএসসিতে পাসের হার কমেছে
ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ-৫
পাসে এগিয়ে ছাত্রীরা
এইচএসসি ও সমমানে পাস ৭৮.৬৪%

মন্তব্য

p
উপরে