× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
97 batch students Mukhurita Janata Multipurpose High School in Kaltan
google_news print-icon

৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কলতানে মুখর জনতা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়

৯৭-ব্যাচের-শিক্ষার্থীদের-কলতানে-মুখর-জনতা-বহুমুখী-উচ্চ-বিদ্যালয়
শনিবার অনুষ্ঠিত এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অতিথিদেরও সম্মানিত করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
পুরনো স্মৃতিচারণে একখণ্ড অতীতকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন উপজেলার বেলুয়া বাজারে অবস্থিত বিদ্যালয়টির ১৯৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পুরনো বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গ পেয়ে ফের যেন কিশোর-কিশোরীতে পরিণত হন তারা। হাসি, ঠাট্টা, খুনসুটিতে ভরে ওঠে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কক্ষ।

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার জনতা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জমজমাট পুনর্মিলনী।

শনিবার ১৯৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এ আয়োজন ঘিরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

পুরনো স্মৃতিচারণে একখণ্ড অতীতকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন উপজেলার বেলুয়া বাজারে অবস্থিত বিদ্যালয়টির ১৯৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পুরনো বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গ পেয়ে ফের যেন কিশোর-কিশোরীতে পরিণত হন তারা। হাসি, ঠাট্টা, খুনসুটিতে ভরে ওঠে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কক্ষ।

এসময় নিজেদের পরিবার-সন্তানদেরও সঙ্গে নিয়ে আসেন আনেকে। বাবা, মায়ের এমন শিশুসুলভ আচরণ দেখে হতবাক হয় তারা। সহজ ভঙ্গিমায় মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় শিশু-কিশোর থেকে শুরু শেষ যৌবনের পরিণত মানুষগুলো।

৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কলতানে মুখর জনতা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
শিশুদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যান মধ্যবয়সী মানুষগুলো। ছবি: নিউজবাংলা

আবেগভরা এই আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম মিয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন (বিএসসি স্যার)। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকবৃন্দও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বিএসসি স্যার। তিনি বলেন, ‘জীবনের শেষলগ্নে এসে আবারও আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাসে আসতে পারব, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারব- এমন স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি। সারাজীবন সহকর্মী শিক্ষক ও কিশোর-কিশোরীদের মাঝে সময় কাটিয়ে অবসরকালে, বৃদ্ধ বয়সে এসে একাকিত্বের কী যে যন্ত্রণা, তা আমার মতো যেসব অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন, সবাই জানেন।

‘আজ পুরনো সব ছাত্র-ছাত্রীকে নতুন, পরিণত মানুষ হিসেবে পেয়ে কী যে ভালো লাগছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’

কথা বলতে গিয়ে বারবার কণ্ঠরোধ হয়ে যাচ্ছিল তার। এসময় শ্রোতার আসনে বসা তার অনেক শিক্ষার্থীকেও চোখের কোণ মুছতে দেখা যায়।

৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কলতানে মুখর জনতা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাবেক শিক্ষার্থীদের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ছবি: নিউজবাংলা

সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘এ বিদ্যালয়ে থেকে পড়ে শিক্ষার্থীরা এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মে রয়েছেন। দেশের ও বিদেশের মানুষের কাছে তারা আমাাদের অঞ্চলের সুনাম বৃদ্ধি করছে। তাই তারা শুধু এই বিদ্যালয়ের নয়, আমাদের সমগ্র অঞ্চলের মুখ উজ্জ্বল করছেন। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তারা আবারও তাদের পুরনো শিক্ষায়তনে ফিরে আসায় আমি খুবই আনন্দিত ও গর্ববোধ করছি।’

এসময় সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকে স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা দেন। বক্তৃতায় তারা সঙ্গে থাকা পরবর্তী প্রজন্মকেও বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক উপদেশ দেন।

দুপুরে ব্যাপক আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজের পর বিকেলে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র। শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি অথিতিদেরও এসময় সম্মানিত করা হয়।

বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Primary assistant teacher recruitment exam has started

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: প্রথম গ্রুপের পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: প্রথম গ্রুপের পরীক্ষা সম্পন্ন প্রতীকী ছবি
তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

জেলা পর্যায়ে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত।

তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।

আরও পড়ুন:
আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউতে পাস ৬ হাজার ২২৯ জন
সিলেটের দেড় সহস্রাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ
ইউটিউবারের উদ্যোগে অবশেষে খাসিয়াপুঞ্জিতে বসল প্রাথমিক বিদ্যালয়
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল
২৮ অক্টোবরের বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
Awaiting the commencement of the primary assistant teacher recruitment exam

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর অপেক্ষা

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর অপেক্ষা নিয়োগ পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে শুক্রবার।

জেলা পর্যায়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:
আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউতে পাস ৬ হাজার ২২৯ জন
সিলেটের দেড় সহস্রাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ
ইউটিউবারের উদ্যোগে অবশেষে খাসিয়াপুঞ্জিতে বসল প্রাথমিক বিদ্যালয়
এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল
২৮ অক্টোবরের বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত

মন্তব্য

শিক্ষা
Primary Assistant Teacher Recruitment Three Division Test Today

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: তিন বিভাগের পরীক্ষা আজ

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: তিন বিভাগের পরীক্ষা আজ নিয়োগ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। ফাইল ছবি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম গ্রুপের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা হবে শুক্রবার।

জেলা পর্যায়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের সামগ্রী এরই মধ্যে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

তিন বিভাগের ১৮টি জেলায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩৫টি আর কক্ষের সংখ্যা ৮ হাজার ১৮৬টি।

পরীক্ষা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ০২৫৫০৭৪৯৬৯ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:
একই ভবনে স্কুল ও পুলিশ ক্যাম্প, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
ক্রীড়ায় পিছিয়ে নেই কুবির মেয়েরা
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর
আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউতে পাস ৬ হাজার ২২৯ জন
এআই প্রযুক্তি শিক্ষায় ডিজিটালাইজেশনে ভূমিকা রাখবে: পিয়ারসন এডুকেশন

মন্তব্য

শিক্ষা
3164 non cadre candidates recommended in 41st BCS

৪১তম বিসিএসে নন ক্যাডারে ৩১৬৪ জনকে সুপারিশ

৪১তম বিসিএসে নন ক্যাডারে ৩১৬৪ জনকে সুপারিশ
সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের রোল নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কোন পদে কতজন নিয়োগ পাচ্ছেন তা-ও জানানো হয়েছে এই তালিকায়।

৪১তম বিসিএসের নন ক্যাডার থেকে সবমিলিয়ে ৩ হাজার ১৬৪ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের রোল নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কোন পদে কতজন নিয়োগ পাচ্ছেন তা-ও জানানো হয়েছে এই তালিকায়।

এর আগে গত ৩ আগস্ট প্রকাশ করা হয় ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ৫২০ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ৮৮৮ জনকে সুপারিশ করা হয় শিক্ষা ক্যাডারে। এছাড়া প্রশাসন ক্যাডারে ৩২৩, পুলিশে ১০০, পররাষ্ট্রে ২৫, স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন ১০৮, ডেন্টিস্ট ১৭১, কৃষি ক্যাডারে ২৩০, বন ক্যাডারে ৩৬, পশুসম্পদ ক্যাডারে ৭৬, তথ্য ক্যাডারের তিন পদে ৩৮, কর ক্যাডারে ৬০ ও অন্যান্য ক্যাডারে ৪৬৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

তখন নন ক্যাডারে ৯ হাজার ৮২১ জন প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করে পিএসসি।

৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর। তাতে আবেদন পড়ে চার লক্ষাধিক। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। তাতে উত্তীর্ণ হওয়া ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গত বছরের ১০ নভেম্বর ওই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। তাতে উত্তীর্ণ হন ১৩ হাজার প্রার্থী। সবশেষে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয় চলতি বছরের ২৬ জুন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Simultaneous resignation of 30 teachers of Khukribi

খুকৃবির ৩০ শিক্ষকের একযোগে পদত্যাগ

খুকৃবির ৩০ শিক্ষকের একযোগে পদত্যাগ
এসব শিক্ষকদের দাবি, খুকৃবির চলমান সঙ্কট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হয়। ওই নির্দেশনা মেনে নিয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই নির্দেশনা হুবহু না মেনে নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ৩৮ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে গেছে।

বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন খুকৃবির (খুকৃবি) ৩০ জন শিক্ষক। এর মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বিভাগীয় প্রধান, চারজন হল প্রাধ্যক্ষ এবং তিনজন আইকিউএসি সেলের প্রধান।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষক সমিতির কাছে তারা নিজেদের পদত্যাগের বিষয়টি অবহিত করেন। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্রগুলো জমা দিতে যান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি থেকে সবার পদত্যাগপত্র নিয়ে আসা হয়েছিল। এতগুলো পদত্যাগপত্র নিতে ঝামেলা হওয়ায় একটি ফরোয়াডিং লেটার দিয়ে পদত্যাগপত্রগুলো পাঠাতে বলা হয়েছে।’

মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। এ নিয়ে শিক্ষকদের দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয়। এর আগে গত অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দ্রুত পাওয়ার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন করেছিলেন তারা। এবার শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

শিক্ষকদের দাবি, খুকৃবির চলমান সঙ্কট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠানো হয়। ওই নির্দেশনা মেনে নিয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই নির্দেশনা হুবহু না মেনে নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ৩৮ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে গেছে।

খুকৃবির শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বিদ্যুৎ মাতুব্বর বলেন, ‘৩২ জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা না মানায় বিভিন্ন পদের ৩০ জনই শিক্ষক সমিতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ওই পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে- এমন অভিযোগে ৭৩ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তের প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়। গত জুন মাসে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নিয়োগের ব্যাপারটি পুনরায় তদন্ত করার জন্য আবেদন করেন শিক্ষকরা। আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৬ নভেম্বর পুনরায় তদন্তের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ওই নির্দেশনা পরিপালন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মধ্যে ছিল- খুকৃবির প্রথম ও সাবেক উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৬ স্বজনের নিয়োগ বাতিল করা। এর মধ্যে একজন শিক্ষক এবং ৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন।

নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের জন্য আগের যে নির্দেশনা ছিল তার মধ্যে শুধু সাবেক উপাচার্যের মেয়ে ছাড়া সবার ক্ষেত্রে তা স্থগিত করা হয়। তবে নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল হলেও ২৪ শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত ও এক শিক্ষকের পদোন্নতি বাতিল, একজন শিক্ষকের পদাবনতি করা হয়। আর অন্য ৪৬ জন শিক্ষক ও ৩ কর্মচারীর নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।

যে ২৪ জন শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত রাখা হয়, তার মধ্যে রয়েছেন ২০ জন প্রভাষক ও ৪ জন সহকারী অধ্যাপক। ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্টিকেলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমপক্ষে একটি আর্টিকেল প্রথম লেখক হিসেবে প্রকাশ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা পুরোপুরি পরিপালন করার দাবি করছেন শিক্ষকরা।

খুকৃবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা পরিপালনের জন্য তা সিন্ডিকেটের ১৪তম সভায় তোলা হয়। গত ১৮ নভেম্বর ওই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় যাদের চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল তারা উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন। এ কারণে ওই ব্যাপারটি নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। নির্দেশনার অন্য দুটি সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট সভা নিজেদের মতো করে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হলো, কোনো কিছু পাস করতে হলে তা সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মধ্যে চারটি ধারা ও চারটি উপধারা ছিল। যে নির্দেশনায় চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছিল, মামলা থাকায় সেখানে সিন্ডিকেট সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। দুটি নির্দেশনা বাদে অন্য সবগুলো নির্দেশনা হুবহু পরিপালন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুল আলমের পদাবনতির ব্যাপারটিতে তদন্তের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কারণে তিনি সব শিক্ষকদের বুঝিয়ে পদত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছেন।’

খুকৃবির প্রথম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। তার চার বছর মেয়াদে অনুমোদন পাওয়া ৪৪৭ পদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে, শ্যালক, ভাতিজাসহ ৪২৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ বাড়াতে চার বছরে পাঁচ অনুষদের ৪৩ বিভাগ চালু করা হয়।

নিয়োগে অনিয়ম দেখে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য। চিঠিতে তারা লিখেছিলেন, ‘খুকৃবিতে নিয়োগের শুরু থেকেই অস্বচ্ছতা ও আত্মীয়করণ দেখা যাচ্ছে। বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অদক্ষ জনবল ও আত্মীয়করণের হাত থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’

নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালের নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি করে ইউজিসি। এক বছরের বেশি সময় পর তদন্ত কমিটি ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩ আগস্ট উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৯ স্বজন ও ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এর আগে অনিয়ম হওয়ায় কয়েক দফা নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি।

আরও পড়ুন:
শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, যাতায়াত সমস্যায় চবি শিক্ষকরাও
স্ত্রীর অভিযোগে শিক্ষককে ক্লাস-প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মাদারীপুরে মাদ্রাসার ৪ ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ
শিক্ষক সংকটে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষকের বেতের আঘাতে শিশুর চোখ নষ্ট, ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

মন্তব্য

শিক্ষা
Two Ansar members were dismissed in Chabi on charges of eve teasing

চবিতে ‘মেয়েদের ওয়াশরুমে গিয়ে বসে থাকা’ ২ আনসার সদস্য বরখাস্ত

চবিতে ‘মেয়েদের ওয়াশরুমে গিয়ে বসে থাকা’ ২ আনসার সদস্য বরখাস্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের চবি থেকে প্রত্যাহারপূর্বক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চবির ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটে দায়িত্ব পালন করা ওই দুজনকে বহিষ্কার করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন মো. আশিকুর রহমান ও মো. আনিসুর রহমান।

বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব।

এ বিষয়ে ছাত্রীরা অভিযোগপত্রে লেখেন, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্রী। সম্প্রতি আমাদের কয়েকজন ছাত্রী ফরেস্ট্রিতে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছি।

অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তারা (অভিযুক্ত দুই আনসান সদস্য) অপ্রস্তুত অবস্থায় মেয়েদের ছবি তোলেন, ইচ্ছাকৃত মেয়েদের ওয়াশরুমে বসে থাকেন, ফরেস্ট্রির রাস্তায় মেয়েদের দিকে বাজেভাবে তাকান, মেয়েদের দেখলে শিস দেন, গান গায় এবং ডিউটি বাদ দিয়ে একাডেমিক ভবনে ঘোরাফেরা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ বলেন, ‘ছাত্রীরা অভিযোগ দিয়েছে কিছুদিন আগের একটা অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের অনুমতি ছাড়া তারা (অভিযুক্ত দুই আনসান সদস্য) ছবি তুলেছেন৷

‘এ ছাড়া তাদের একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে লেডিস ওয়াশরুমের আশেপাশে দেখেছে৷ এটা নিয়ে আজ ছাত্ররা দুই আনসার সদস্যকে আটকিয়ে রেখে আমাদের খবর দেয়। ছাত্রীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই আনসার সদস্যকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে জেলা কমান্ড্যান্ট বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের চবি থেকে প্রত্যাহারপূর্বক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
চবি চলচ্চিত্র সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি
অবরোধের সমর্থনে চবির প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা
চবির উদ্ভিদ উদ্যানে ৮ ফুট লম্বা অজগর
চবি ক্যাম্পাসে সাবেক কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার
চবির অডিও কেলেঙ্কারি: সিন্ডিকেটে শাস্তি কার্যকরের সিদ্ধান্ত

মন্তব্য

শিক্ষা
Sacked teacher for selling math test questions

গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করে বরখাস্ত শিক্ষক

গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করে বরখাস্ত শিক্ষক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল। ছবি: সংগৃহীত
অভিভাবকরা বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অভিভাবকদের ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। আমরা কয়েকজন অভিভাবক ওই নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করি। তখন ৫ শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে গণিতের প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে টুটুল স্যার আমাদের প্রস্তাব দেন।’

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার গণিতের প্রশ্ন ফাঁস করে বিক্রি করার দায়ে ইমাম হোসেন টুটুল নামের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

ইমাম হোসেন টুটুল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের ১১ নম্বর দক্ষিণ বর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

এ বিষয়ে অবিভাবক রিনা বেগম ও কুমকুম বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে চারুকারু পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুল তার মোবাইল নম্বর কাগজে লিখে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অভিভাবকদের ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন। আমরা কয়েকজন অভিভাবক ওই নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করি। তখন ৫ শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে গণিতের প্রশ্ন পাওয়া যাবে বলে টুটুল স্যার আমাদের প্রস্তাব দেন। কয়েকজন টাকা দিয়ে পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যায় (২৫ নভেম্বর) গণিতের প্রশ্ন নেন ওই শিক্ষকের কাছ থেকে। কিন্তু শিক্ষকের এ ধরনের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে আমরা কয়েকজন মিলে এ সংক্রান্ত কয়েকটি কল রেকর্ড টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দেই।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, ‘আমরা ২৫ নভেম্বর রাতেই টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-মামুন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই। পরে ওই রাতেই ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ওই তিন শ্রেণির গণিত প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয় বলে আমরা জানতে পারি।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর নতুন প্রশ্নে ৩ নম্বর ক্লাস্টারের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ওই ক্লাস্টারভূক্ত ২৬টি বিদ্যালয়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছিল।’

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার পর ইউএনও এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে প্রশ্ন বিক্রির সত্যতা মিলেছে। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ধারা ২০১৮-এর ৩ (বি) ধারায় অভিযুক্ত করে শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলকে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ইমাম হোসেন টুটুলের মোবাইল নম্বরে বারবার কল করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য

p
উপরে