× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Rabi Upacharya is going to America for a month to see his son
google_news print-icon

ছেলেকে দেখতে এক মাসের জন্য আমেরিকায় যাচ্ছেন রাবি উপাচার্য

ছেলেকে-দেখতে-এক-মাসের-জন্য-আমেরিকায়-যাচ্ছেন-রাবি-উপাচার্য
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। ছবি: সংগৃহীত
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রোকসানা বেগম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

দীর্ঘ এক মাসের ছুটিতে যাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রোকসানা বেগম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, আগামী ৯ জুন উপাচার্য তার ছেলে ও ছেলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ৭ জুলাই পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

পরে সেপ্টেম্বরের ২-৩ তারিখ তিনি ১৩তম উত্তর আমেরিকা বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনে যোগদান করবেন।

আদেশপত্রে আরও বলা হয়, এ ছুটির ব্যক্তিগত ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল ব্যয় তার ছেলে বহন করবে এবং সম্মেলনের ব্যয় বহন করবে সংগঠন। এতে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। তার অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম।

আরও পড়ুন:
রাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৫
তারাবির নামাজ ও কিয়ামুল লাইলের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে?
সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে তারাবি পড়ার আহ্বান
সংঘর্ষে আঘাতপ্রাপ্ত রাবির তিন শিক্ষার্থীকে আনা হচ্ছে ঢাকায়
সংঘর্ষ: দুই দিন পর ক্লাস পরীক্ষা শুরু রাবিতে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Kubi Teachers Association announces 7 day class boycott if demands are not met

দাবি না মানায় ৭ দিন ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

দাবি না মানায় ৭ দিন ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির সোমবার জরুরি সাধারণ সভা শেষে কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের একটি সাংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। ছবি: নিউজবাংলা
কুবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকটে হস্তক্ষেপ করুক। এই প্রশাসন থেকে আমরা আর এই সংকটের সমাধান পাবো বলে আশ্বাস রাখতে পারছি না।’

সাত দফা দাবি না মানায় আবারও সেমিস্টার পরীক্ষা ব্যতীত সাত কর্মদিবসের জন্য সকল শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সোমবার জরুরি সাধারণ সভা শেষে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের একটি সাংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের আগের যে দাবিগুলো ছিল, সেগুলো উপাচার্য মানেননি। তাই আমরা আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল (১৯ মার্চ) থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করছি।’

এই ক্লাস বর্জন প্রক্রিয়ায় মিডটার্ম, অ্যাসাইনমেন্ট- এগুলো অন্তর্ভুক্ত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত পরীক্ষা (সেমিস্টার) হবে, তবে বাকি মিডটার্ম বা প্রেজেন্টেশন অ্যাসাইনমেন্ট- সকল বিষয়ই এর অন্তর্ভুক্ত।’

এদিন দুপুরের পর শিক্ষক লাউঞ্জে জরুরি সাধারণ সভা ডাকে শিক্ষক সমিতি। সভা শেষে সমিতির আগে নেয়া সিদ্ধান্ত এবং দাবি-দাওয়ার বিষয় কথা বলতে উপাচার্য দপ্তরে যান তারা। উপাচার্যের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর তার দপ্তর থেকে ক্ষুব্ধ অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সমিতির নেতাদের। সেখান থেকে আসার পর বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করে সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংকট দেখছেন না বলছেন৷ উনি বলছেন, এই সংকট শিক্ষক সমিতির, উনার নয়। আমাদের আগের যে সিদ্ধান্ত এবং দাবিসমূহ নিয়ে একটি চিঠি তাকে দিয়েছিলাম, সেটি তিনি পড়েও দেখেননি। আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকটে হস্তক্ষেপ করুক। এই প্রশাসন থেকে আমরা আর এই সংকটের সমাধান পাবো বলে আশ্বাস রাখতে পারছি না।’

এ ব্যাপারে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমি উনাদের বলেছি যে, বিষয়গুলো নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে, কিন্তু উনারা আমার রুমে এসে নিজেরা নিজেরা গোলযোগ করেন। কথা বলার কোনো পরিবেশ রাখেন না তারা।

‘তাদের বলেছি, আপনাদের আইনসিদ্ধ যেকোনো দাবি অবশ্যই কার্যকর করব। শুধু শুধু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করবেন না।’

এর আগে, গত ১২ মার্চ জরুরি ভিত্তিতে ডাকা এক সাধারণ সভায় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি ও তিন সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়।

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবিগুলো হলো-

১. গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সবার সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিত করা এবং হামলায় মদদদানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ।

২. শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজ অবমুক্ত করা।

৩. অধ্যাপক গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

৪. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহের ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসব বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যাহার করা।

৫. শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইনবহির্ভূত ও অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে, দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ।

৬. ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে আগের নীতিমালা বহাল রাখা।

৭. ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

আরও পড়ুন:
কুবি ভিসির নামে আবারও ভুয়া অ্যাকাউন্ট
৭ দাবি বাস্তবায়নে ক্লাস বর্জন কুবি শিক্ষক সমিতির
কুবিতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, উপাচার্যকে ‘ডাস্টবিন’ বললেন শিক্ষক সমিতির সম্পাদক
আগে ফুল দেয়া নিয়ে শহীদ মিনারে কুবি শিক্ষকদের হট্টগোল
কুবি শিক্ষক সমিতির নতুন সভাপতি তাহের, সম্পাদক মেহেদী

মন্তব্য

শিক্ষা
Jabirs new proctor is Alamgir Kabir

জাবির নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর

জাবির নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির আলমকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’। এর পরিপ্রেক্ষিতে আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে সাময়িকভাবে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে চলতি বছরের ১৮ মার্চ অপরাহ্ন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।’

নতুন দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। তিনি বলেন, ‘আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরণে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব।’

প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ থেকে ৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’। ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির আলমকে ১৭ মার্চের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। পরে উপাচার্য ১৮ মার্চ অব্যাহতি দেয়ার আশ্বাস দিলে নতুন প্রশাসনিক ভবনের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:
প্রক্টর প্রভোস্টকে অব্যাহতির আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ স্থগিত
প্রক্টর-প্রভোস্টের অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
প্রক্টরের অপসারণসহ ৫ দফা দাবি জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মন্তব্য

শিক্ষা
The committee wants information about the involvement of Deen Islam in Avantikas death

অবন্তিকার মৃত্যুতে দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তথ্য চায় কমিটি

অবন্তিকার মৃত্যুতে দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তথ্য চায় কমিটি ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা ও দ্বীন ইসলাম। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
জাকির হোসেন বলেন, কারও কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের কাছে জমা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় প্ররোচনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ চেয়েছে তদন্ত কমিটি।

সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের সম্পৃক্ততার তথ্য চাওয়া হয়েছে।

সোমবার তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন পেশ করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত ঘটনা বিষয়ে তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, কারও কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের কাছে জমা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

এর আগে রোববার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে দেড়টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টাব্যাপী কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, প্রথম সভায় ঘটনা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিজেরা বিশ্লেষণ করেছে। সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আরও তিন-চারটা সভার পর তদন্ত কোন দিক দিয়ে আগাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে অবন্তিকার গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস।

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করেছেন তার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনে প্রকৃত অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তার সহপাঠী ও শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়ে এরই মধ্যে রিমান্ডে আছেন।

মন্তব্য

শিক্ষা
Human chain at Jabi demanding justice in the case of Avantikas death

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: নিউজবাংলা
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আইন বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মতো একজন ফাইটারের এভাবে চলে যাওয়া আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনের প্রকৃত অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে আইন বিভাগের ব্যানারে একটি শোক র‍্যালী পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে আইন বিভাগের শিক্ষকসহ অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আইন বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মতো একজন ফাইটারের এভাবে চলে যাওয়া আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হক বিজয় বলেন, আজকে মানববন্ধনে এই বার্তাই থাকবে যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি কোথাও-ই যেন এমন যৌন হয়রানিমূলক ঘটনা না ঘটে এবং আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার চাই। শুধু গ্রেপ্তার নয় যতদিন পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না হয় ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ মানববন্ধন চলবে।

আরেক শিক্ষার্থী ফারিয়া তাহসিন বলেন, অভিযুক্তরা দোষী হয়ে থাকলে তারা যেন সর্বোচ্চ শাস্তিটা পায়, এটাই আমাদের দাবি। গ্রেপ্তার হয়েছে এটাই সবকিছু নয়। তদন্ত কমিটি হয়েছে তারা যেনো সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে, মূল ঘটনা উত্থাপন করে আর এর পেছনে আরও কারা জড়িত তাদের বের করে শাস্তির আওতায় আনে এটাই আমাদের চাওয়া।

বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, অবন্তিকা আপু সাতবার প্রশাসনের কাছে গেছেন।তবুও বিচার পাননি। এখানে অবশ্যই প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। আমরা তাদেরও বিচার চাই।

ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ল বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী জান্নাত সরকার নিতু বলেন, সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ মানববন্ধন চলবে। এর আগেও আমরা অনেককে হারিয়েছি। পরবর্তীতে যেন এমন কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ।

আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী আক্কাস বলেন, অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনে কারা জড়িত তা যথাযথ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে শোক র‍্যালি করেছি। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে এটাই আমাদের আজকের মানববন্ধনের মূল দাবি।

এর আগে রোববার রাতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করে মশাল মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছয় দফা দাবি আদায়ে নতুন করে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেনআন্দোলনকারীরা। একই সময়ে বামপন্থীরা গলায় রশি বেঁধে ও মুখে টেপ মেরে প্রতীকী আন্দোলন করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে গলায় রশি বাঁধা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় অবন্তিকার। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

এরপর থেকেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত ওই দুজনকে।

আরও পড়ুন:
জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহপাঠী, সহকারী প্রক্টর রিমান্ডে
অবন্তিকার মৃত্যুতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল
অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি

মন্তব্য

শিক্ষা
Avantikas suicide The investigation committee received the documents

অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি

অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ছবি: সংগৃহীত
তদন্ত কমিটির প্রথম সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বলে অভিযুক্তদের সবাইকে আমরা ধারাবাহিকভাবে ডাকার চেষ্টা করব।’

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ওই শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে রোববার দুপুর ১২টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। শুরু থেকেই এই ঘটনায় যারা যারা সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের সবাইকে আমরা ধারাবাহিকভাবে ডাকার চেষ্টা করব।’

তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।

তদন্ত কমিটির সদস্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রথম সভায় ঘটনা-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিজেরা বিশ্লেষণ করেছি। সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আরও তিন/চারটি সভার পর তদন্ত কোন দিক দিয়ে এগিয়ে নেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় অবন্তিকা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

আত্মহত্যার ১০ মিনিট ‌আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
অবন্তিকার আত্মহত্যা: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অবন্তিকা
অবন্তিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে উঠে এলো আরও যাদের নাম
জবি ছাত্রীর মৃত্যু: অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বহিষ্কার, শিক্ষক বরখাস্ত
আত্মহত্যা নিয়ে স্ট্যাটাসের পর জবি ছাত্রীর মৃত্যু, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

মন্তব্য

শিক্ষা
Even if the committee jumps on the girl entering the empty house there is no action

ফাঁকা বাসায় ঢুকে ছাত্রীর ওপর ‘ঝাঁপ’, কমিটি হলেও পদক্ষেপ নেই

ফাঁকা বাসায় ঢুকে ছাত্রীর ওপর ‘ঝাঁপ’, কমিটি হলেও পদক্ষেপ নেই
অভিযুক্ত রকিবুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের প্রভাষক। যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তোলা ওই ছাত্রী বাংলা বিভাগে পড়ছেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনায় দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ সামনে এসেছে।

গত বছরের ২৮ অক্টোরের ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও প্রতিবেদন জমা হয়নি এখনও।

অভিযুক্ত রকিবুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের প্রভাষক। যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তোলা ওই ছাত্রী বাংলা বিভাগে পড়ছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি ভবনের চার তলার ফ্ল্যাটে ওই ছাত্রী আরেক জুনিয়র ছাত্রীকে নিয়ে থাকেন। ভবনটির তিন তলায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন শিক্ষক রকিবুজ্জামান।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর পূজার ছুটিতে ভবনটিতে ভাড়া থাকা প্রায় সবাই বাড়িতে চলে যান। কিছুদিন পর সেমিস্টার পরীক্ষা তাই পড়াশোনা করতে বাড়িতে যাননি ওই ছাত্রী। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে কক্ষের টেবিলে বসে পড়ছিলেন ওই ছাত্রী। এ সময় সঙ্গে থাকা জুনিয়র ছাত্রী স্থানীয় বাজারে এক কোচিংয়ে ক্লাস নিতে চলে যান। হুট করে শিক্ষক রকিবুজ্জামান তার কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন।

অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষক এভাবে কক্ষে প্রবেশ করবেন ভাবতেও পারেনি ওই ছাত্রী। রকিবুজ্জামান ঢুকেই চারদিকে ঘুরপাক করতে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রীকে বলতে থাকেন- ‘তোমার বাড়ি যেন কোথায়? তুমি কোন বিভাগে পড়? তোমার বাসায় বুয়া আসে? তোমার মাসে কত টাকা খরচ হয়? তুমিতো বেশ গোছালো, দেখে মনে হয় বাড়ির মতো বাসাটা সাজিয়ে রাখো।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, এর পর ওই শিক্ষক বলেন, ‘ছাদে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দরজা খোলা দেখে চলে আসছি। আমি চলে যাচ্ছি’- এই বলে ছাত্রীর ওপর ঝাপিয়ে পড়েন শিক্ষক। এ সময় বলতে থাকেন- ‘তুমিতো অনেক সুন্দর, অনেক গোছালো। আমি তোমাকে অনেকদিন ধরে নজরে রেখেছি। তুমি কিছু মনে করছো না তো? কিছু মনে করো না প্লিজ।’ এ সময় কান্না করতে থাকেন ছাত্রী। এক পর্যায়ে শিক্ষক তাকে ছেড়ে দিয়ে কক্ষ থেকে চলে যান।

শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাৎক্ষণিক অভিযোগ না দিয়ে পরে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষক রকিবুজ্জামান কক্ষ থেকে চলে যাওয়ার পর ঘটনাটি বিভাগের ড. তারানা নূপুর ম্যাডামসহ এক বড় আপুকেও জানাই। কিন্তু লজ্জার ভয়ে বাবা-মাকে জানাইনি৷ সামনে পরীক্ষা, তারা জানলে হয়ত আমার পড়াশোনা বন্ধ করে দেবে। এলাকার লোকজন হয়ত বলবে মেয়েরই দোষ। তাই চুপচাপ ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমি সবসময় চিন্তিত ছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম, আর গোপন রাখা ঠিক হবে না। এদিকে আমার সেমিস্টার পরীক্ষাও শেষ হয়ে যায়। পরে ৫ ডিসেম্বর উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দিই৷’

এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘অভিযোগের পর পরই তদন্ত কমিটি গঠন হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনায় দুই শিক্ষককে বহিষ্কার করার পর আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়ার ঘটনার আবারও বিচার চাইলে রকিবুজ্জামান আরও বেশি ভয় পেয়ে যায়। এখন সে নিজেকে ভালো মানুষ প্রমাণ করতে নানাভাবে চেষ্টা করছে। তার কাছের বিভিন্ন ছাত্রকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে খারাপ স্ট্যাটাস দেয়াচ্ছে। আমাকে খারাপ মেয়ে প্রমাণ করতে চেষ্টা চালাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রী হয়ে আমার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলবো কেন? এতে তো শিক্ষকের পাশাপাশি আমারও মান সম্মান নষ্ট হচ্ছে। তবুও আমি চাচ্ছি, শিক্ষক হলেও সে বিচারের আওতায় আসুক। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না আনলে আমি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হব। কারণ ঘটনাটি নিয়ে আমি চরম লজ্জিত।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের প্রভাষক রকিবুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে। এটি ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ। আমি মেয়েটিকে ভালো করে চিনিও না। আশা করছি তদন্ত প্রতিবেদনে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব। এরপর যে মেয়েটি আমার মানসম্মান নষ্ট করতে চেয়েছে, তাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন-নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি, তদন্ত কমিটির প্রধান ও সংগীত বিভাগের অধ্যাপক মুশাররাত শবনম বলেন, অভিযোগের পর ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘তদন্ত কমিটিকে কয়েকদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিলে ভুল করবে। আমি নিজে তাকে বুঝিয়ে বলবো- নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত কমিটি।’

এদিকে সম্প্রতি অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করেন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করা ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারীরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে স্থায়ী বহিষ্কার ও একই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন:
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জে দুই শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

শিক্ষা
The police found the involvement of classmate and proctor in the death of Jabi student

জবি ছাত্রীর মৃত্যুতে সহপাঠী ও প্রক্টরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ

জবি ছাত্রীর মৃত্যুতে সহপাঠী ও প্রক্টরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ মামলার আসামি জবি শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। কোলাজ: নিউজবাংলা
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আমাদের ঘটনার খণ্ডিত অংশ জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আত্মহত্যা নিয়ে স্ট্যাটাসের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর (সাময়িক বরখাস্ত) দ্বীন ইসলামের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার দুপুরে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। খবর বাসসের

তিনি বলেন, ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আজকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘তারা আমাদের ঘটনার খণ্ডিত অংশ জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে।’

এদিকে ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেয়া আইন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের (১৪তম ব্যাচের) অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন:
অবন্তিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে উঠে এলো আরও যাদের নাম
জবি ছাত্রীর মৃত্যু: অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বহিষ্কার, শিক্ষক বরখাস্ত
আত্মহত্যা নিয়ে স্ট্যাটাসের পর জবি ছাত্রীর মৃত্যু, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
জবি নীল দলের সভাপতি জাকারিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবেদ
জবি সাহিত্য সংসদের নেতৃত্বে আলিমুল-শাহরিয়ার

মন্তব্য

p
উপরে