× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

শিক্ষা
Sikrivi vice chancellors grief to the registrar in 8 complaints
google_news print-icon

৮ অভিযোগে রেজিস্ট্রারকে সিকৃবি উপাচার্যের শোকজ

৮-অভিযোগে-রেজিস্ট্রারকে-সিকৃবি-উপাচার্যের-শোকজ
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা (বাঁয়ে) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
একই সঙ্গে দেয়া অপর একটি অবহিতকরণ চিঠিতে রেজিস্ট্রারকে ১ জুন থেকে অধ্যাপক ও সমমানের কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্ধকৃত ফাঁকা বাসাগুলোর একটিতে উঠে সর্বক্ষণ ক্যাম্পাসে অবস্থানের জন্য বলা হয়েছে।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েবের বিরুদ্ধে গুরুতর বিভিন্ন অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।

বুধবার দুপুরে রেজিস্ট্রারকে শোকজের চিঠি দেন উপাচার্য। চিঠিতে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অসহযোগিতা, দায়িত্বে অবহেলা, উপাচার্যের সঙ্গে অসৌজন্যতা ও সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে না থাকাসহ গুরুতর ৮টি অভিযোগ এনে সাত দিনের মধ্যে চিঠির লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে দেয়া অপর একটি অবহিতকরণ চিঠিতে রেজিস্ট্রারকে ১ জুন থেকে অধ্যাপক ও সমমানের কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্ধকৃত ফাঁকা বাসাগুলোর একটিতে উঠে সর্বক্ষণ ক্যাম্পাসে অবস্থানের জন্য বলা হয়েছে।

কারণ দর্শানো নোটিশের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, ‘এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা নিজেরাই এগুলোর সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের গতি বৃদ্ধি করবো।’

তার বিচরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে চাননি রেজিস্ট্রার।

উপাচার্য স্বাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান। উপাচার্যের অনুরোধ সত্ত্বেও এ সময়গুলোতে রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন না, যা অসৌজন্যমূলক ও শিষ্টাচারবহির্ভূত।

উপাচার্যের বাসভবনে ওঠার সময় প্রয়োজনীয় জনবল রদবদল করতে উপাচার্যকে সহযোগিতা করেননি রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব। উপাচার্য বাসভবনে উঠার পর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হলে তাতেও উপস্থিতত থাকেননি তিনি, যা সৌজন্যতার মধ্যে পড়ে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

শোকজের চিঠিতে উপাচার্য আরও অভিযোগ করেন, ‘আপনি কখন অফিসে আসেন, কখন অফিস ত্যাগ করেন, বিষয়টি আপনি কখনোই উপাচার্যকে অবহিত করেন না। প্রায়ই মধ্যাহ্নবিরতির পর অফিসে অবস্থান করেন না। এমনকি প্রায়ই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। ৮ মে-ও আপনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।’

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করে থাকেন, কিন্তু অনেক আবেদনই রেজিস্ট্রার যথাসময়ে উপস্থাপন করেন না বা যথাযথ ব্যবস্থা নেন না। এমনকি, কোনো কোনো আবেদন উপাচার্যের কাছে উপস্থাপনই করেন না।

এ ছাড়া প্রায়ই যথাসময়ে উপাচার্যের দপ্তরে নথি পৌঁছানো হয় না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নথি উপস্থাপন করার জন্য বারবার নির্দেশনা দিলেও রেজিস্ট্রার তা এড়িয়ে যান। গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে উপাচার্য কোনো নথি দেখতে চাইলেও তিনি তা সরবরাহ করেন না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত উপাচার্য অনুমোদন দেয়ার পরও সেগুলোর চিঠি জারি ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে দেরি করেন। সেই সঙ্গে জারি করা চিঠি যথাসময়ে বিতরণ করার ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নেন না রেজিস্ট্রার।

তার এসব কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬ ও কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) বিধির পরিপন্থী হওয়ায় কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে নোটিশে।

এদিকে, শোকজের সঙ্গে দেয়া অপর চিঠিতে রেজিস্ট্রারকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে থাকার কথা বলে উপাচার্য লেখেন, রেজিস্ট্রার ক্যাম্পাস কোয়ার্টারে অবস্থান না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে যেমন ব্যাঘাত ঘটছে, তেমনি সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে অধ্যাপক ও সমমানের কর্মকর্তাদের ফাঁকা বাসার যেকোনো একটি পছন্দ করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

এসব বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞার সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ড. সালাউদ্দিন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ‘উপাচার্য স্যার মিটিংয়ে আছেন’ বলেন জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
সিকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞা
দুই বিমানের সংঘর্ষ: অবহেলায় জড়িত সবার জবাবদিহি চান প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

শিক্ষা
Students have nothing to worry about US visa policy Education Minister

ভিসা নীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই: শিক্ষামন্ত্রী

ভিসা নীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই: শিক্ষামন্ত্রী রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে আলোচনা সভা শেষ করে সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। ছবি: নিউজবাংলা
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান, আমেরিকার ভিসা নীতি নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাবধান থাকতে হবে তাদের যারা ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বয়কট করে এবং নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশের মানুষের সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে দেশের বাইরে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। তবে নির্বাচনে ষড়যন্ত্রকারীদের সাবধান থাকতে হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে সিআরআই ও ইয়াং বাংলার উদ্যোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি দেশটিতে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না- এমন প্রশ্নে জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সাবধান থাকতে হবে তাদের যারা ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন বয়কট করে; নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে এবং নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশের মানুষের সাধারণ মানুষের জান-মালের ক্ষতি করে।

‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতান্ত্রিক পন্থায় বাংলাদেশে নির্বাচন করে আসছি। আগামীতেও স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হবে।’

শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ডিপিপির কাজ শেষ হয়েছে। সেটি মূল্যায়ন চলছে। এটি একনেকে আসলে তবেই চূড়ান্ত রূপ পাবে।’

সেটি খুব শীঘ্রই তারা করবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

উচ্চশিক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হার কমে যাবার প্রশ্নে দীপু মনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব। এখন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ডিগ্রি পাশ করেও অন্য কোনো বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এছাড়া অনেক ডিপ্লোমা কোর্সেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর শাহ আজম, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনসহ সিআরআই ও ইয়াং বাংলার সদস্যরা।

মন্তব্য

শিক্ষা
DU Blue team led by Hasan Sahadat

ঢাবি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে নীল দলের নেতৃত্বে হাসান-সাহাদাত

ঢাবি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে নীল দলের নেতৃত্বে হাসান-সাহাদাত নীল দলের নবনির্বাচিত সিনিয়র প্রতিনিধি অধ্যাপক হাসান আল শাফী (বাঁয়ে) ও আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। কোলাজ: নিউজবাংলা
সিনিয়র প্রতিনিধি পদে ১ জন, আহ্বায়ক পদে ১ জন ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ২ জনসহ মোট ৪টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ভোট শুরু হয়। অনুষদের ১৫৮ জন শিক্ষক এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন।

সিনিয়র প্রতিনিধি পদে ১ জন, আহ্বায়ক পদে ১ জন ও যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ২ জনসহ মোট ৪টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ৭৭ ভোট পেয়ে সিনিয়র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাসান আল শাফী। এ পদে বাকি প্রার্থীদের মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিককতা বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ পেয়েছেন ১৫ ভোট, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান পেয়েছেন ৬৪ ভোট।

৯৬ ভোট পেয়ে আহ্বায়ক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। বাকি প্রার্থীদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী পেয়েছেন ৪১ ভোট, ওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ পেয়েছেন ১১ ভোট ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ড. কাজী শাহেদুল হালিম পেয়েছেন ৮ ভোট।

যুগ্ম আহ্বায়কের দুই পদে সবচেয়ে বেশি ভোট অর্থাৎ ১০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম নাজমুস সাকিব ও ৮৫ ভোট পেয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন ভূঞা। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বাকি প্রার্থীদের মধ্যে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩৪ ভোট আর টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের এসএম ইমরান হোসেন পেয়েছেন ৪০ ভোট।

আরও পড়ুন:
ঢাবির পরীক্ষায় ছাত্রীদের মুখ খোলা রাখতে হবে: আপিল বিভাগ
বর্তমান সংসদের মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানোর দাবি ঢাবি শিক্ষকের

মন্তব্য

শিক্ষা
The reason for the downfall of the Muslim Ummah is internal conflict and lack of knowledge

মুসলিম উম্মাহর পতনের কারণ দ্বন্দ্ব ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাব: প্রধানমন্ত্রী

মুসলিম উম্মাহর পতনের কারণ দ্বন্দ্ব ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাব: প্রধানমন্ত্রী ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক যুগে মুসলিমরা মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এটাই আধুনিক যুগে গবেষণা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর অবদানের প্রকৃত চিত্র।'

ইসলামি বিশ্বের গৌরবময় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিজেদের ভেতরের মতভেদ ও দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসা ও জ্ঞানচর্চার অন্যান্য ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মুসলিমরা বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদের অধিকারী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে এই সম্পদ ব্যবহার করে আমরা আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারি। আমি এটা বিশ্বাস করি।

‘ইসলামের স্বর্ণযুগে মুসলিম পণ্ডিতরা বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোলসহ জ্ঞানের অনেক শাখায় সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন। এ ছাড়া সে যুগের মুসলিম পণ্ডিতরা সংস্কৃতি, জ্ঞান আহরণ, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও সমসাময়িক সাহিত্যে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন।’

এ সময় অতীতে গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানদের পতনের কারণ বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতির অভাব ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাবকেই কারণ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

মুসলিম উম্মাহর পতনের কারণ দ্বন্দ্ব ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাব: প্রধানমন্ত্রী
আইইউটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের সনদ ও স্বর্ণপদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ছবি: পিআইডি

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমন অনেক বিষয় (উপরিউক্ত) মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হারানো এ গৌরব পুনরুদ্ধার করতে, আমি মনে করি, আমাদের মুসলিম উম্মাহকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

‘বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে মুসলিম দেশগুলোকে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের, শিক্ষা ও বিজ্ঞানে আরও বেশি আত্মনিয়োগ করতে হবে।’

এ সময় মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও স্বীকৃতির ব্যাপারে দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আধুনিক যুগে মুসলিমরা মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এটাই আধুনিক যুগে গবেষণা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর অবদানের প্রকৃত চিত্র।

‘মুসলিম দেশগুলোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও জোরালো প্রচেষ্টা দরকার, যাতে তারা আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।’

‘বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও অন্যান্য প্রযুক্ত খাতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া উচিত নয়’, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইউটির চ্যান্সেলর ও ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা।

আরও পড়ুন:
শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও মনোযোগ দেয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

শিক্ষা
Notre Dames Raju is the first in the C unit of the bunch

গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটে প্রথম নটরডেমের রাজু

গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটে প্রথম নটরডেমের রাজু শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়। ফাইল ছবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩৭ জন যা মোট পরীক্ষার্থীর ৬৩.৪৬ শতাংশ। পাস করতে পারেননি ১৪০১৩ জন (৩৬.৫৪%)। এ ছাড়া একজন পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল করা হয়েছে।’

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৮৫.২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন মো. রায়হান খান রাজু।

রাজু রাজধানীর নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী। তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

সোমবার রাতে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সভা শেষে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, ‘সি ইউনিটের পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছিলেন ৩৯ হাজার ৮৬৪ শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১৫১৩ শিক্ষার্থী যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩.৮০ শতাংশ।

‘পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩৭ জন যা মোট পরীক্ষার্থীর ৬৩.৪৬ শতাংশ। পাস করতে পারেননি ১৪০১৩ জন (৩৬.৫৪%)। এ ছাড়া একজন পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল করা হয়েছে।’

উপাচার্য বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়াদের মধ্যে ৮৫ নম্বরের ওপরে পেয়েছেন ওই একজনই। এ ছাড়া ৮০ নম্বরের ওপরে পেয়েছেন ১৬ জন, ৭৫ নম্বরের ওপরে পেয়েছেন ৮৮ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে পেয়েছেন ৩৯০ জন, ৬৫ নম্বরের ওপরে পেয়েছেন ৯৮৪, ৬০ নম্বরের ওপরে পেয়েছেন ২ হাজার ১৯৭, ৫৫ নম্বর বা তার ওপরে পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬০, ৫০ নম্বরের ওপরে পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২১।

শনিবার (২৭ মে) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গুচ্ছে এ বছর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ৩ হাজার ৩৩২টি আসনের বিপরীতে সারাদেশে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৬৪ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৮ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থী যা শতকরায় ৯৬ দশমিক ১৯৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, যানজটে ভোগান্তি
গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বেন ১২ শিক্ষার্থী
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ শুরু, মানবিকের প্রতি আসনে লড়ছেন ১৩
ঢাবি ছাত্রীদের মুখ খোলা রাখা নিয়ে বাংলা বিভাগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট

মন্তব্য

শিক্ষা
Chhatra League lock the main gate of EB on unknown demand

‘অজানা’ দাবিতে ইবি’র প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের তালা

‘অজানা’ দাবিতে ইবি’র প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের তালা প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আটকে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কথায় কথায় ফটক আটকে আন্দোলন ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রধান ফটক আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে কিসের দাবিতে আন্দোলন, তা ঠিক করে জানাতে পারেননি আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীরা।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে তারা আন্দোলন করেন। এতে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া, শৈলকূপা ও ঝিনাইদহ রুটে ছেড়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো প্রধান ফটকে আটকা পড়ে। ফলে দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আটকে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কথায় কথায় ফটক আটকে আন্দোলন ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক।

এদিকে ঠিক কিসের দাবিতে আন্দোলন চলছে- এ ব্যাপারে জানেন না বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এসময় একেকজন একেকরকম দাবির কথা জানান।

শুরুতে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেয়া ছাত্রলীগের ৩৩ দফার বিষয়টি জানালেও পরে তারা ৭ দফা দাবির কথা জানান।

অন্যদিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন আন্দোলনকারীদের দাবি, গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন, সুপেয় পানি ব্যবস্থা, ইন্টারনেট সমস্যা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার ৫ দফা দাবিতেই তারা আন্দোলন করছেন। তবে পরে আবার ৪ দফা দাবির কথা বলেন তারা।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। ঠিক ওই সময়ে প্রধান ফটকে তালা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে চলে আন্দোলন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘গেট আটকে আন্দোলন করলে শুধু আমাদের ভোগান্তিই বাড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে যদি শিক্ষার্থীরাই ভোগান্তিতে পড়ে, তাহলে এ আন্দোলন কাদের জন্য?’

এদিকে আড়াই ঘণ্টা প্রধান ফটক তালাবদ্ধ থাকলেও ঘটনাস্থলে আসেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় ‘মঙ্গলবার বেলা ১২টায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ’- এমন আশ্বাসে তালা খুলে দেয় আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘এর (আন্দোলন) সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমস্যার বিষয়ে তারা (আন্দোলনকারীরা) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলুক। পরিবহন-সংক্রান্ত সমস্যা হলে ভিন্ন কথা ছিল। শুধু শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো মানে হয় না।

‘কথায় কথায় এভাবে গেট আটকানো উচিত নয়। এটা এক প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমি না আসলেও ঘটনাস্থলে সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন। কথায় কথায় প্রধান ফটক আটকানোর সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এটা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের মাধ্যম হতে পারে না।’

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আলোচনা হবে বলে এ সময় জানান প্রক্টর।

আরও পড়ুন:
গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে ইবি’র ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: শো-কজের জবাব দিলেন ৩ ছাত্রলীগ নেত্রী

মন্তব্য

শিক্ষা
ISD fair in solidarity

একাত্মবোধের প্রত্যয়ে ‘আইএসডি ফেয়ার’

একাত্মবোধের প্রত্যয়ে ‘আইএসডি ফেয়ার’ আইএসডি প্রাঙ্গণে শুক্রবার আয়োজিত ফেয়ারে নৃত্য পরিবেশনা। ছবি: নিউজবাংলা
ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-আইএসডি প্রাঙ্গণে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ফেয়ারে বিনোদনমূলক খেলা, লাইভ মিউজিক, সার্কাস, পাপেট-শো ছাড়াও ছিল নানা পরিবেশনা। এছাড়াও ছিল দেশীয় কারুশিল্প, পোশাকের ব্র্যান্ড, বই ও কনফেকশনারির প্রায় ৬০টি স্টল।

কমিউনিটির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আবারও ‘আইএসডি ফেয়ার’ আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)। শুক্রবার স্কুল প্রাঙ্গণে এই ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেলায় বিনোদনমূলক খেলার আয়োজন, লাইভ মিউজিক, সার্কাস ও পাপেট-শো ছাড়াও ছিল উপভোগ্য নানা পরিবেশনা। এছাড়াও এতে ছিল দেশীয় কারুশিল্প, পোশাকের ব্র্যান্ড, বই ও কনফেকশনারির প্রায় ৬০টি স্টল।

একাত্মবোধের প্রত্যয়ে ‘আইএসডি ফেয়ার’
আইএসডি ফেয়ারে লাইভ পারফরম করেন ব্যান্ড ইনডালো’র ভোকালিস্ট জন কবির। ছবি: নিউজবাংলা

মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড ইনডালো’র ভোকালিস্ট ও গিটারিস্ট জন কবিরের লাইভ পারফরমেন্স। মেলায় আগত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কমিউনিটি সদস্যরা নাগরদোলা, পাপেট-শো, ম্যাজিক-শো, আর্কেড ও ভিআর গেমসসহ বিভিন্ন শো ও খেলা উপভোগ করেন।

দিনব্যাপী এ আয়োজনের কো-স্পন্সর ছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও স্টেপ মিডিয়া লিমিটেড। এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল ওয়ান্ডারল্যান্ড ও টগি ফান ওয়ার্ল্ড এবং আইসক্রিম পার্টনার ছিল সেভয় আইসক্রিম।

মন্তব্য

শিক্ষা
In Rabi 49 candidates took the exam for each seat in C Unit

রাবিতে ‘সি’ ইউনিটে আসনপ্রতি পরীক্ষা দিলেন ৪৯ ভর্তিচ্ছু

রাবিতে ‘সি’ ইউনিটে আসনপ্রতি পরীক্ষা দিলেন ৪৯ ভর্তিচ্ছু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণের জন্য তিন ইউনিটে ৩ হাজার ৯৩০টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। প্রথম দিনে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা হয়েছে। মঙ্গলবার ‘এ’ ইউনিট ও শেষ দিন বুধবার ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই ভর্তিযুদ্ধ।

বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে ১ হাজার ৫৩৩ আসনের বিপরীতে মোট পরীক্ষা দিচ্ছেন ৭৫ হাজার ৮৫১জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে এই ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ৪৯ জন ভর্তিচ্ছু।

রাবির তিন ইউনিটে ৩ হাজার ৯৩০টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। প্রথম দিনে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা হয়েছে। মঙ্গলবার ‘এ’ ইউনিট ও শেষ দিন বুধবার ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম দিন পরীক্ষা চালাকালে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। পরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। মাঠে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমাদের হেল্প ডেস্ক ও মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।’

উপাচার্য বলেন, ‘আগামীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কয়েকটি বিভাগীয় শহরে নেয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়।’

পোষ্য কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত ছিল। তবে চলতি বছরে আমরা এক শতাংশ কমিয়েছি।’

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা সোমবার, যা জানা দরকার
রাবির ভর্তি পরীক্ষা: ট্রেনের ছুটি বাতিল, থাকবে বাড়তি বগি

মন্তব্য

p
উপরে